রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে কমলা

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে কমলা

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে কমলা
কমলা সারা বছর পাওয়া গেলেও শীতকালে পাওয়া যায় বেশি। ১০০ গ্রাম কমলাতে আছে ভিটামিন বি ০.৮ মিলিগ্রাম, সি ৪৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩০০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৩ মিলিগ্রাম। 

প্রতিদিন যতটুকু ভিটামিন সি প্রয়োজন তার প্রায় সবটাই একটি কমলা থেকে সরবরাহ হতে পারে। কমলায় আছে শক্তি সরবরাহকারী চর্বিমুক্ত ৮০ ক্যালোরি, যা শক্তির ধাপগুলোর জন্য জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। কমলায় আছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা ক্যান্সার প্রতিরোধক, স্বাস্থ্যকর, রক্ত প্রস্তুতকারক এবং ক্ষত আরোগ্যকারী হিসেবে খুবই উপকারী। 

কমলা 'বি' ভিটামিন ফোলেটের খুব ভালো উৎস, যা জন্মগত ত্রুটি এবং হৃদরোগের জন্য ভালো কাজ করে। প্রতিদিনকার প্রয়োজনীয় পটাসিয়ামের সাত ভাগ পূরণ করা সম্ভব কমলা দিয়ে, যা শরীরের তরলের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রয়োজন।
কমলাতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্রি-র‌্যাডিকাল ড্যামেজ করে। ফলে ত্বকের সজীবতা বজায় থাকে। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিভিন্ন ইনফেকশন প্রতিরোধে সহায়তা করে। কমলায় উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন সেল ড্যামেজ প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম থাকায় ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। পটাসিয়াম ইকেট্রোলাইট ব্যালেন্স বজায় রাখে এবং কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম ভালো রাখতে সহায়তা করে। কমলাতে উপস্থিত লিমিয়েড মুখ, ত্বক, ফুসফুস, পাকস্থলীকে কোমল রাখে এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় ওজন কমাতেও সহায়তা করে।

পৃথিবীর কক্ষপথে আরেকটা চাঁদ, বেরিয়ে এলো আসল সত্য!

পৃথিবীর কক্ষপথে আরেকটা চাঁদ, বেরিয়ে এলো আসল সত্য!

পৃথিবীর কক্ষপথে আরেকটা চাঁদ, বেরিয়ে এলো আসল সত্য!
প্রথমে ভাবা হয়েছিল পৃথিবীর কক্ষপথে বুঝি ঢুকে পড়েছে ছোট্ট আরেকটা চাঁদ। যদিও হাতির আকারের ওই চাঁদ আসলে ব্যর্থ হওয়া চন্দ্রাভিযানের টুকরো- একেবারে প্রথমেই এক বিজ্ঞানী এমন সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন। কিন্তু এত দিনে প্রমাণ হল, এটি সত্যিই তাই।

আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের মাইনর প্ল্যানেট সেন্টার থেকে টেলিস্কোপে প্রথম চোখে পড়ে এই বামন চাঁদটি। সৌর জগতের সমস্ত গ্রহ, গ্রহাণু পর্যবেক্ষণ, গবেষণা, নামকরণের সব দায়িত্ব রয়েছে এই আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনমিকাল ইউনিয়নের মাইনর প্ল্যানেট সেন্টারের উপরে।

তো, সেই সব গবেষণা মোতাবেকে এখন জানা গেছে, ১৯৬৬ সালে মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসার পক্ষ থেকে চাঁদের মাটিতে একটি রকেট পাঠানো হয়। কিন্তু কোনও কারণে এটি সফল হয়নি। দীর্ঘ ৫৪ বছর এটির কোনও খোঁজও পায়নি নাসা। এত বছর পর পৃথিবীর কক্ষপথে এসে পড়ায় এটিকে অনেকেই গ্রহাণু বলে গুলিয়ে ফেলেছিলেন।

ক্যাসপার উইজখোর্স এই আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনমিকাল ইউনিয়নের মাইনর প্ল্যানেট সেন্টারের এক মহাকাশবিজ্ঞানী। তিনি সম্প্রতি এই ২০২০সিডি৩ নিয়ে টুইট করেছিলেন। টুইট করে জানিয়েছিলেন ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভে দলের সদস্য ক্যাসপার এবং তার অন্যান্য সহকর্মীরা প্রথম ১৫ ফেব্রুয়ারি এই গ্রহাণুটির খোঁজ পান।

ক্যাসপার সেই সময়ে জানিয়েছেন, এ ধরণের গ্রহাণু কয়েক লক্ষ রয়েছে। তবে পৃথিবীর কক্ষপথে ঢুকে পড়ার ঘটনা মহাকাশের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার ঘটল। এর আগে ২০০৬ আরএইচ১২০ নামের এক গ্রহাণু অল্প কিছুদিনের জন্য ঢুকে পড়েছিল পৃথিবীর কক্ষপথে। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণও করেছিল। সেটিও প্রথম চোখে পড়ে ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভে-র সদস্যদের।

তবে ঠিক কী কারণে এই গ্রহাণু আসে পৃথিবীর কক্ষপথে? বিজ্ঞানীরা বলছেন পৃথিবী, চাঁদ এবং সূর্যের মাধ্যাকর্ষণের মিলিত প্রতিক্রিয়ায় এ রকম ঘটনা ঘটতে পারে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অনুমান বিগত তিন বছর ধরে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরছে ২০২০সিডি৩। ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১-এর মে মাসের মধ্যে ফের কক্ষপথ পালটে ফেলবে, এমন ধারণাও করেছিলেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। অনুমান করা হয়েছিল আগামী বছরের শুরুতে পৃথিবীর আরও কাছে এসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে গ্রহাণুটির।

তবে নাসার সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট-এর বিজ্ঞানী পল চোডাস অবশ্য প্রথম থেকেই অনুমান করেছিলেন এটি মহাজাগতিক কিছু নাও হতে পারে। বস্তুটি সম্ভবত ১৯৬০-এর দশকের পুরনো কোনও বুস্টার রকেট। দেখা গেল তার কথাই সত্যি হল!

সন্ধান মিলল ১৩ হাজার বছর আগের মানুষের পায়ের ছাপের

সন্ধান মিলল ১৩ হাজার বছর আগের মানুষের পায়ের ছাপের

সন্ধান মিলল ১৩ হাজার বছর আগের মানুষের পায়ের ছাপের!
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডস ন্যাশনাল পার্কের শুকিয়ে যাওয়া এক নদীখাত থেকে ১৩ হাজার বছর আগের আদিম মানুষের জীবাশ্মে পরিণত হয়ে যাওয়া পায়ের ছাপ উদ্ধার হয়েছে। 

অনেকগুলি পায়ের ছাপের জীবাশ্ম পেয়েছেন নৃতত্ত্ববিদরা। তবে তারা জানান, সবক'টি পায়ের ছাপই পরস্পরের সঙ্গে মিলে যায়। এবং পরীক্ষা করে তারা বুঝতে পেরেছেন, ওই সব জীবাশ্মের মধ্যে রয়েছে পূর্ণবয়স্ক এক পুরুষ, প্রাপ্তবয়স্কা এক নারী এবং এক শিশুর পদচিহ্ন। নৃতত্ত্ববিদরা বলছেন, ওই মানুষগুলি খুব তাড়াহুড়ার মধ্যে ছিলেন। 

কী করে জানলেন বিজ্ঞানীরা? তারা দেখেছেন, আদিম পুরুষ এবং নারীর প্রতি সেকেন্ডে পদক্ষেপের গতি ছিল ১.৭ মিটার। ধীরে হাঁটলে যা হওয়ার কথা প্রতি সেকেন্ডে ১.২ মিটার বা বড়জোর ১.৫ মিটার। 

নৃতত্ত্ববিদরা আরও জানান, এই দম্পতির পায়ের ছাপের মাঝে আচমকাই এক শিশুর পায়ের ছাপও দেখা গেছে। এ থেকে তাদের অনুমান- হয়তো মা ক্লান্ত হয়ে শিশুটিকে কিছুক্ষণের জন্য কোল থেকে নামিয়েছিলেন। নৃতত্ত্ববিদদের দাবি, ফেরার পথে আর শিশুটির পায়ের ছাপ দেখা যায়নি। কেন?

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সেই সময়ে  অসংখ্য ভয়ঙ্কর সব প্রাণীরা ছিল। হয়তো তাদের থেকে সুরক্ষার জন্য শিশুটিকে নিরাপদ কোনও আশ্রয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন বাবা-মা। আদিম ওই বাবা-মা শিশুটিকে হয়তো নিরাপদ কোনও জায়গায় লুকিয়ে রেখে আবার আগের জায়গায় ফিরে গিয়েছিলেন। তাই ফেরার পথে আর শিশুটির পায়ের ছাপ দেখা যায়নি।

ডাইনোসরের কঙ্কাল আবিষ্কার করল ১২ বছরের শিশু

ডাইনোসরের কঙ্কাল আবিষ্কার করল ১২ বছরের শিশু

ডাইনোসরের কঙ্কাল আবিষ্কার করল ১২ বছরের শিশু
কঙ্কাল আবিষ্কার করা নাথান
কানাডায় বিলুপ্ত প্রাণী ডাইনোসরের কঙ্কাল আবিষ্কার করলো নাথান হারশকিন নামের এক ১২ বছরের এক শিশু। বিজ্ঞানীদের ধারণা এটি অন্তত ৬ কোটি ৯০ লাখ বছর আগের কঙ্কাল। খবর বিবিসির।

শিশুটি জানায়, তার বাবার সাথে পাহাড়ি এলাকা আলবার্টায় বেড়াতে গিয়ে গত জুলাইতে কঙ্কাল সদৃশ বস্তু দেখতে পায়। এ ঘটনা জানানো হয় রয়েল টাইরেল জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে। সেই কঙ্কালের ছবি এবং ঠিকানা নিয়ে জায়গাটিতে একদল গবেষক পাঠায় তারা। দীর্ঘদিনের উদ্ধার অভিযান শেষ হয় গতকাল বৃহস্পতিবার। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ৩০ থেকে ৫০টি হাড়।

গবেষক দল বলছে, ডাইনোসরটি ৩ থেকে ৪ বছর বয়সী ছিলো। এর আগে উদ্ধার হওয়া একটি ডাইনোসরের কঙ্কাল নিলামে বিক্রি হয় ৪০ লাখ ডলারে। 

এক বিবৃতিতে জাদুঘরের ইকোলজি কিউরেটর বলেন, এই হ্যাড্রোসরাসটির আবিষ্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অ্যালবার্টায় আসলে কী রকমের ডাইনোসর বা প্রাণী বাস করত সে সম্পর্কে আমাদের ধারণা অনেক কম। নাথান ও তার বাবা ডিওনের এই আবিষ্কার ডাইনোসরের বিবর্তন সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানের খালি অংশ পূরণে সাহায্য করবে।

খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের প্রতি নবীজির অঙ্গীকারনামা

খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের প্রতি নবীজির অঙ্গীকারনামা


খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের প্রতি নবীজির অঙ্গীকারনামা
খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের প্রতি নবীজির অঙ্গীকারনামা
৬২৮ খ্রিস্টাব্দে সেন্ট ক্যাথরিন গির্জার একজন প্রতিনিধি মহানবী (সা.) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সুরক্ষা প্রদানের অনুরোধ করেন। মহানবী (সা.) ওই প্রতিনিধিকে তার সম্প্রদায়ের বিশেষাধিকারের সংবলিত একটি অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন। সেন্ট ক্যাথরিন গির্জা মিসরের সিনাই উপত্যকার পাদদেশে অবস্থিত। বেশ পুরনো হওয়ায় এটি এখন বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষিত স্থান। সেন্ট ক্যাথরিন গির্জায় প্রায় ১৪০০ বছর ধরে ধরে রক্ষিত আছে বহু প্রাচীন দলিল ও নথিপত্র। ধারণা করা হয়, ভ্যাটিকানের পর সেন্ট ক্যাথরিন প্রাচীনতম পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণের জন্য বিখ্যাত। সেখানেই আছে ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে লেখা সন্ন্যাসীদের উদ্দেশে লেখা মহানবী (সা.)-এর একটি চিঠির অনুলিপি। ঐতিহাসিক ওই অঙ্গীকারনামায় মহানবী (সা.) খ্রিস্টানদের বিশেষাধিকারের সনদ প্রদান করেছেন এবং মুসলিম সমাজে বসবাসকারী খ্রিস্টানদের নিরাপত্তা প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছেন। ঐতিহাসিক সেই অঙ্গীকারনামার অনুবাদ নিচে তুলে ধরা হলো-

‘এটি মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহর পক্ষ থেকে বার্তা তাদের প্রতি, যারা চুক্তির অংশ হিসেবে খ্রিস্টবাদ ধারণ করে; তারা কাছের হোক বা দূরের আমরা তাদের সঙ্গে আছি। প্রকৃতপক্ষে আমি, দাসরা, সাহায্যকারী ও আমার অনুসারীরা তাদের রক্ষা করবে। কেননা খ্রিস্টানরা আমার নাগরিক। আল্লাহর কসম! আমি এমন সব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে, যা তারা অপছন্দ করে। তাদের ওপর বিশেষ কোনো বিধি-নিষেধ থাকবে না। তাদের বিচারকদের চাকরিচ্যুত করা হবে না এবং তাদের সন্ন্যাসীদের গির্জাগুলো থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে না। কেউ তাদের ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস করবে না, ক্ষতিগ্রস্ত করবে না অথবা মুসলিমদের জন্য তা থেকে কোনো কিছু ছিনিয়ে আনবে না। কেউ এমনটি করলে সে আল্লাহর সঙ্গে কৃত অঙ্গীকার ভঙ্গ করল এবং তার নবীর অবাধ্য হলো। নিশ্চয়ই তারা আমার মিত্র এবং তারা যেসব বিষয় ঘৃণা করে আমি তার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা সনদ দিচ্ছি। কেউ তাদের ভ্রমণে বা যুদ্ধে অংশগ্রহণে বাধ্য করবে না; বরং মুসলিমরা তাদের জন্য যুদ্ধ করবে। কোনো খ্রিস্টান নারীর অনুমতি ছাড়া কোনো মুসলিম তাকে বিয়ে করতে পারবে না। (বিয়ের পর) প্রার্থনার জন্য তাকে চার্চে যেতে বাধা দেওয়া যাবে না। খ্রিস্টানদের চার্চের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হবে। কেউ চার্চ সংস্কার বা তার পবিত্রতা রক্ষায় বাধা দেবে না। কোনো মুসলিম কিয়ামত পর্যন্ত এই অঙ্গীকারনামার অবাধ্য হবে না।’

নোরার শরীরে 'আপত্তিকর' স্পর্শের সেই ভাইরাল ভিডিও ভুয়া

নোরার শরীরে 'আপত্তিকর' স্পর্শের সেই ভাইরাল ভিডিও ভুয়া

নোরার শরীরে 'আপত্তিকর' স্পর্শের সেই ভাইরাল ভিডিও ভুয়া
অভিনেত্রী নোরা ফতেহি ও কোরিওগ্রাফার টেরেন্স লুইসের একটি ভিডিও সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। একটি নাচের রিয়েলিটি শোয়ে দুজনে বিচারকের আসনে রয়েছেন। ভাইরাল সেই ভিডিওতে নোরাকে আপত্তিকর ভাবে স্পর্শ করতে দেখা যায় টেরেন্সকে।

এরপরই নেটিজেনদের রোষানলেন পড়েন তিনি। অবশেষে এই বিষয়ে মুখ খুললেন টেরেন্স। যে ভিডিওটি ভাইরাল হয় সেখানে দেখা যাচ্ছিল, নোরার নিতম্ব স্পর্শ করছেন টেরেন্স। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনরা আক্রমণ করেন টেরেন্সকে। যদিও প্রতিক্রিয়া স্বরূপ কিছুই করেননি নোরা ফতেহি। তখনই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি এই ভিডিও আসলেই কি সত্য, নাকি প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে এমন একটি ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। কারণ এভাবে কাউকে স্পর্শ করলে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পাওয়াই স্বাভাবিক। 

টেরেন্স বলেন, সারা জীবনে তিনি বিপরীত লিঙ্গের থেকে যথেষ্ট ভালোবাসা পেয়েছেন। তাই নিজেকে কোনও কিছু থেকেই বঞ্চিত অনুভব করেন না। এই ধরনের জিনিস ১৭ বছর বয়সিদের উত্তেজিত করতে পারে। আমার বয়স ৪৫। টেরেন্স জানান, তিনি নোরাকে শ্রদ্ধা করেন।

তার দাবি, এমন কিছু সত্যি ঘটলে যে কোনও নারী সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেবেন। কিন্তু এমন কিছুই ঘটেনি বলে তারা দুজনই প্রতিক্রিয়াহীন ছিলেন। কিছুদিন আগে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টের মাধ্যমেও নোরা ও টেরেন্স দুজনেই ঘটনাটি মিথ্যে বলে দাবি করেন।

টেরেন্সের পোস্টে নোরা কমেন্ট করেছিলেন, ধন্যবাদ টেরেন্স। এখন ফটোশপ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বহু বিকৃতি ঘটানো যায়। আমার ভালো লাগছে যে তুমি বিষয়টা নিয়ে শান্ত থেকেছ। তুমি এবং গীতা, দুজনকেই আমি শ্রদ্ধা করি। এই শোয়ের বিচারক হতে পেরে আমি খুশি। অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পেয়েছি ও শিখেছি বহু কিছু। খুব ভালো থেক।

শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০

সাইলেন্ট অবস্থায় ফোন হারিয়ে গেলে খুঁজে পাবেন যেভাবে

সাইলেন্ট অবস্থায় ফোন হারিয়ে গেলে খুঁজে পাবেন যেভাবে


সাইলেন্ট অবস্থায় ফোন হারিয়ে গেলে খুঁজে পাবেন যেভাবে
মোবাইল ফোনটি কোথায় রেখেছেন খুঁজে পাচ্ছেন না, এরকম ঘটনা প্রায়ই হয়। সাধারণভাবে এমন ঘটনায় অন্য কোনও ফোন থেকে নিজের নম্বরটি ডায়াল করাই সেই ফোনকে খুঁজে পাওয়ার সহজতম পন্থা। মোবাইলটি বাজতে শুরু করলেই সেই আওয়াজ অনুসরণ করে সহজেই আপনি খুঁজে পেয়ে যাবেন মোবাইলটি। কিন্তু ফোন যদি সাইলেন্ট মোডে থাকে তাহলে এই কৌশল কার্যকর হবে না। তা হলে সেই অবস্থায় কীভাবে খুঁজে পাবেন সেই হারানো মোবাইল? জেনে নিন এর কৌশল-

১. প্রথমে অন্য কোন মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে গুগল-এর ওয়েবসাইটে যান।
২. সেখানে সার্চ বারে লিখুন ‘ফাইন্ড মাই ফোন’।
৩. তার পর গুগল অ্যাকাউন্ট বা জিমেইল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করুন।
৪. নিজের মোবাইলের লোকেশন দেখতে পাবেন গুগল-এ।
৫. এর পর আপনার সামনে অপশন আসবে, যেটির মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারটি ‘অন’ করে দিতে পারবেন।
৬. এবার ‘রিং’ অপশনটিকে সিলেক্ট করুন।
৭. আপনার ফোন সাইলেন্ট মোডে থাকলেও সেটি ফুল ভলিউমে রিং হতে শুরু করবে। এবং যতক্ষণ না আপনি ফোনটিকে খুঁজে বার করে তার পাওয়ার বাটনটি চেপে ধরছেন, ততক্ষণ ফোন রিং হতেই থাকবে। এ বার সেই আওয়াজ অনুসরণ করে ফোনটিকে খুঁজে বার করা তো কোন ব্যাপারই নয়।

এই একই পদ্ধতিতে আপনি আপনার হারানো অ্যান্ড্রয়েড ট্যাব-ও খুঁজে পেতে পারেন। তবে একটা বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। সেটা হলো, আপনার ডিভাইস থেকে অবশ্যই গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করা থাকতে হবে। নতুবা এই পদ্ধতিতে হারানো মোবাইল খুঁজে পাওয়া যাবে না।

জেনে নিন যে ৭ কারণে কমে যাচ্ছে আপনার আয়ু

জেনে নিন যে ৭ কারণে কমে যাচ্ছে আপনার আয়ু


জেনে নিন যে ৭ কারণে কমে যাচ্ছে আপনার আয়ু
সবাই বেশি দিন বেঁচে থাকতে চায়। কিন্তু জানেন কি, এমন অনেক কাজ আছে যেগুলো আমাদের অজান্তেই আমাদের আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে? আসুন কারণগুলো জেনে যাক-

টিভি দেখা
ব্রিটিশ জার্নাল অব স্পোর্টস মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, ২৫ বছরের বেশি বয়সীরা এক ঘণ্টা টিভি, ডিভিডি বা ভিডিও দেখলে তাদের জীবনের আয়ু প্রায় ২২ মিনিট কমে যেতে পারে। সে হিসেবে কেউ যদি ধারাবাহিকভাবে দিনে গড়ে ছয় ঘণ্টা করে টিভি দেখেন, তাহলে তার জীবন থেকে পাঁচটি বছর চলে যেতে পারে।

যৌনসম্পর্ক
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের একটি গবেষণায় জানা যায়, যেসব পুরুষ মাসে কমপক্ষে একবারও যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হননি তাদের মারা যাওয়ার সম্ভাবনা, যারা সপ্তাহে অন্তত একদিন যৌনসম্পর্ক করেছেন, তাদের চেয়ে দ্বিগুণ।

এদিকে ডিউক ইউনিভার্সিটির গবেষণা বলছে, যেসব নারীর আনন্দময় যৌনজীবন রয়েছে তারা অন্যদের চেয়ে প্রায় আট বছর বেশি বাঁচেন। কাজেই সুস্থ, সুন্দর জীবনের জন্য নিয়মিত যৌনসম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ বৈকি!

একা থাকা
অনেকেই একা থাকতে পছন্দ করেন। মনে করেন এতে করে চাপ এড়ানো যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা। তাদের মতে, একা থাকা মানে জীবনের সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য থেকে বঞ্চিত হওয়া – যা আয়ু কমাতে পারে। দিনে ১৫টি সিগারেট খেলে স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি হয়, পর্যাপ্ত সামাজিক যোগাযোগ না করলেও সেরকম ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন মনোবিজ্ঞানী জুলিয়ান হোল্ট-লুনস্টাড।

বসে থাকা
আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন-এর জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, দিনে গড়ে ১১ ঘণ্টার বেশি সময় বসে থাকা মানে পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে যাওয়া। কাজেই আর বসে থাকা নয়, শারীরিক পরিশ্রম করুন, সুস্থ থাকুন!

বেকারত্ব
ক্যানাডার গবেষকরা বলছেন, একজন মানুষ বেকার থাকা মানে তার অকালমৃত্যুর সম্ভাবনা ৬৩ শতাংশ বেড়ে যাওয়া। ১৫টি দেশের প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষের ৪০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পেয়েছেন গবেষকরা।

ঘুমানো
দিনে আট ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঘুমানো ঠিক নয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, ধারাবাহিকভাবে এত সময় ধরে ঘুমানো স্বাস্থ্যকর নয়। দিনে সর্বোচ্চ সাত ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

অতিরিক্ত ব্যায়াম
ব্যায়াম করা শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু সেটা বেশি হয়ে গেলেই বিপদ। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ব্যায়াম করা উচিত।

চোখ ভালো রাখতে গরম দুধে এক চামচ মধু, কাজ দেবে ম্যাজিকের মত

চোখ ভালো রাখতে গরম দুধে এক চামচ মধু, কাজ দেবে ম্যাজিকের মত


চোখ ভালো রাখতে গরম দুধে এক চামচ মধু, কাজ দেবে ম্যাজিকের মত!
দুধ ও মধু, পুষ্টিতে ভরপুর বস্তু দুটো অতিপরিচিত। ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে ভালো উৎস হল দুধ। ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁত ও হাড়ের গঠনে সাহায্য করে। 

এছাড়া দাঁতের ক্ষয়রোধ করে দুধ। আর দাঁতের ক্ষয়রোধের সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতেও দুধ অত্যন্ত কার্যকরী। সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর ক্লান্তি দূর করতে এক গ্লাস গরম দুধ খুবই উপকারী। গরম দুধ ক্লান্ত পেশি সতেজ করতে সাহায্য করে। গত কয়েক মাস ধরে সবাই ওয়ার্ক ফ্রম হোমে অভ্যস্ত। সেই সঙ্গে দেখা দিচ্ছে আরও নানা সমস্যাও। আমাদের অজান্তেই বেড়ে গেছে স্ক্রিন-টাইমিং।

সারাদিনই বাড়িতে থাকার ফলে ল্যাপটপ, মেবাইল আর টিভিতেই কাটছে বেশির ভাগ সময়। এছাড়াও শপিং থেকে অফিসের কাজ ভরসা সেই ল্যাপটপ। যার ফলে প্রভাব পড়ছে চোখে। সারাদিনের এই অতিরিক্ত চাপে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে চোখ। এদিকে চাইলেই যে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারবেন এমন নিশ্চয়তাও নেই। অতএব যত্ন আপনার নিজেকেই নিতে হবে। যেমন কাজের ফাঁকে ল্যাপটপ থেকে একটু বিরতি নিন। চোখ সরিয়ে রাখুন। সবুজের দিকে তাকান। কিংবা চোখ বন্ধ করে খানিকক্ষণ চোখের ব্যায়াম করুন। এরফলে দেখবেন চোখ অনেকটা সতেজ লাগবে। যারা ইতোমধ্যেই চশমাতে অভ্যস্ত তাদের পাওয়ার বেড়ে গিয়েছে অনেকখানি।

এদিকে যাদের চশমা ছিল না, তাদেরও অনেক রকম সমস্যায় পড়তে হয়েছে। বর্তমানে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মানসিক চাপও। সেই প্রভাবও পড়ছে চোখে। যাদের অ্যালার্জি কিংবা ড্রাই আইজের সমস্যা রয়েছে তারা কাজের ফাঁকে যেমন ঠান্ডা পানিতে চোখ ধোবেন তেমনই চোখে গরম-ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভাপও নেবেন। এইভাবে একরকম যত্ন নিতে পারেন।

এছাড়াও অবশ্যই বদল আনুন খাবারের মেনুতে। প্রতিদিন যদি কোনও একটা সময় গরম দুধে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন। আর্য়ুবেদ শাস্ত্রেও বলা রয়েছে দুধে মধু মিশিয়ে খাবার কথা।


দুধে মধু মিশিয়ে খেলে যেসব উপকার পাবেন

চোখ ভালো থাকবে
মধুর মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিফাংগাল যা যেকোনও রকম ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও দুধে আছে ভিটামিন ডি, এ। আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম। ফলে যখন এই দুই উপাদান মিশে যাচ্ছে তখন তা যেমন দৃষ্টিশক্তি ভালো করে তেমনই চোখের পেশির কার্যক্ষমতা বাড়ায়। চোখের জন্য বেশ কিছু ওষুধেও ব্যবহার করা হয় মধু।

মানসিক চাপ কমায়
গরম দুধ আর মধু একসঙ্গে খেলে তা স্নায়ুর উপর প্রভাব ফেলে। ফলে পেশির ক্লান্তি দূর হয়। মানসিক চাপ কমে। হজম ভালো হয়।

ঘুম ভালো হয়
গরম দুধে মধু মিশিয়ে যদি প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে খাওয়া যায় তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। পেট পরিষ্কার থাকে। যারা গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন তারা যদি প্রতিদিন এই গরম দুধ খান তাহলে উপকার পাবেন। তবে খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যাদের দুধে সমস্যা আছে তারা এড়িয়ে চলুন।

শক্তি বাড়ায়
মধু আর দুধ এমনিই প্রচুর এনার্জি দেয়। কাজেই যখন দুটো একসঙ্গে মিশছে তখন যে তার ফল দ্বিগুণ হবে তা বলার অপেক্ষা থাকে না। সকালে অর্থাৎ প্রাতরাশের পর এক গ্লাস খেলে সারাদিন এনার্জি থাকবে তুঙ্গে।

পেটের যেকোনও সংক্রমণে
অনেকেই আছেন যারা ক্রনিক পেটের সমস্যায় ভোগেন। গ্যাস, অম্বল, পেটখারাপ অনেকের লেগেই থাকে। এছাড়াও হজমের সমস্যা তো থাকেই। আর মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান পাকস্থলীর সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে।

মনযোগ বাড়ায়
একটানা ঘরে বসে কাজ করার ফলে সকলেরই নানা রকম সমস্যা আসছে। বিশেষত মানসিক। কাজে আসছে একঘেঁয়েমি। যার ফলে মস্তিষ্কেও তার প্রভাব পড়ছে। নষ্ট হচ্ছে মনযোগ। যে কারণে মধু আর দুধ খুব উপকারী। মধু মস্তিষ্কে ভালো প্রভাব ফেলে আর দুধ মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ঠিক থাকে। সব মিলিয়ে মনসংযোগের ঘাটতি পূরণ হয়। মন মেজাজ ভালো থাকে। কাজে গতি আসে।

আইফোন ১২-তে রয়েছে যেসব নতুন ফিচার

আইফোন ১২-তে রয়েছে যেসব নতুন ফিচার

আইফোন ১২-তে রয়েছে যেসব নতুন ফিচার
ফাইভজি নেটওয়ার্ক সুবিধাযুক্ত নতুন চারটি মডেলের আইফোন উন্মোচন করেছে অ্যাপল। অ্যাপল নিশ্চিত করেছে ফাইভ জি নেটওয়ার্কে কাজ করা তাদের প্রথম হ্যান্ডসেট হতে যাচ্ছে আইফোন ১২।

আইফোন ১২ সিরিজের মডেলগুলো হল- আইফোন ১২, আইফোন ১২ মিনি, আইফোন ১২ প্রো এবং আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স।

প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চিত করেছে যে এই ফোনসেটের একটি নতুন ‘মিনি’ মডেল থাকবে, যেটির স্ক্রিন থাকবে ৫.৪ ইঞ্চি।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) অ্যাপল প্রধান টিম কুক অনলাইন ইভেন্টটি শুরু করেন হোমপড মিনি ডিভাইস উন্মোচনের মধ্য দিয়ে।

প্রধান নির্বাহী টিম কুক বলেন, “ডাউনলোড ও আপলোডের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে ফাইভ জি। আরও হাই কোয়ালিটি ভিডিও স্ট্রিমিং, আরও সংবেদনশীল গেমিং, যোগাযোগের মাত্রায় আরও নতুনত্বসহ অনেক পরিবর্তন আসবে এই প্রযুক্তিতে।”

আর আইফোন ১২-এ নতুন পাঁচ ন্যানোমিটার প্রসেসে তৈরি এ১৪ বায়োনিক চিপ ব্যবহার করেছে অ্যাপল। ফলে আইফোন ১১ সিরিজের চেয়ে বেশি গতি এবং গ্রাফিক্স পাওয়া যাবে আইফোন ১২-এ।

আইফোন ১২ সিরিজের সঙ্গে নতুন ‘ম্যাগসেইফ’ ফিচারও এনেছে অ্যাপল।

ডিভাইসটির পেছনে চুম্বক পাত যোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে ওয়্যারলেস চার্জিং প্যাডে ডিভাইসটি সহজে সঠিক স্থানে বসাতে পারবেন গ্রাহক।

আর আইফোনের নতুন মডেলের প্রান্তগুলো আগের মডেলগুলোর তুলনায় অপেক্ষাকৃত তীক্ষ্ণ হবে বলে জানানো হয়েছে।

যেসব পরিবর্তন আসছে নতুন আইফোনে

চার্জার বিহীন ফোন
এই প্রথমবারের মত আইফোনের সাথে কোনও চার্জার অথবা হেডফোন দেওয়া হচ্ছে না।

অ্যাপল জানিয়েছে, পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অপেক্ষাকৃত বেশি দামী আইফোন-১২ প্রো মডেলে স্ক্রিনটি বড় থাকবে এবং কম আলোয় ছবি তোলার সুবিধার্থে নতুন সেন্সর ব্যবহার করা হবে।

সিরামিক শিল্ড
অ্যাপল জানিয়েছে, আইফোন ১২-তে আগের মডেলগুলোর মত ৬.১ ইঞ্চি (১৫.৫ সেমি) স্ক্রিন রয়েছে, তবে এখন জমকালো রঙয়ের সেটগুলোর জন্য এলসিডি’র বদলে ওএলইডি প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।

অ্যাপল বলছে, এর কারণে নতুন আইফোন আগের চেয়ে ১১% বেশি সরু করে তৈরি করা সম্ভব হয়েছে তাদের জন্য।

তারা আরও জানিয়েছে যে নতুন সেটের স্ক্রিন বেশি রেজোলিউশনের এবং এতে ডিসপ্লের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ‘সিরামিক শিল্ড’ ব্যবহার করা হয়েছে যার ফলে হাত থেকে পড়ে যাওয়ার হিসেবে আগের চেয়ে ‘চার গুণ বেশি’ সুবিধা পাওয়া যাবে।

ডেপথ সেন্সর
অপেক্ষাকৃত বেশি দামী মডেলগুলোতে বড় আকারের ডিসপ্লে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সেগুলোকে নতুন করে ডিজাইন করা হয়েছে - আইফোন প্রো’এর স্ক্রিন ৫.৮ ইঞ্চি থেকে ৬.১ ইঞ্চি এবং প্রো ম্যাক্সের স্ক্রিন ৬.৫ ইঞ্চি থেকে ৬.৭ ইঞ্চি।

এছাড়াও এই সেটগুলোতে ‘লিডার’ (লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং) স্ক্যানার সংযুক্ত করা হয়েছে।

এর ফলে ফোনের আশেপাশের পরিবেশের জন্য একটি ডেপথ ম্যাপ তৈরি হয়, যার ফলে কম আলোতে অটোফোকাস 'ছয় গুণ দ্রুততায়' করা সম্ভব।

এছাড়া অগমেন্টেড রিয়েলিটির কাজ করার জন্যও এই সেন্সর ব্যবহৃত হতে পারে, যদিও এই ক্ষেত্রে খুব বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়নি।

ফাইভ জি
স্যামসাং ২০১৯ সালে গ্যালাক্সি এস ১০ ফোন বাজারে ছাড়ে যা ফাইভ জি নেটওয়ার্কে কাজ করে এবং এর পর হুয়াওয়ে, ওয়ান প্লাস ও গুগলও এই ধরণের ফোন বাজারে ছাড়ে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেসব ফোন সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ খুব একটা বেশি নেই।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফরেস্টারের টমাস হাসন বলেন, “অ্যাপল সাধারণত নতুন প্রযুক্তি বাজারে আনে না, তারা একটি প্রযুক্তি পরিপক্ক হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে এবং ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে সেই প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করে।”

স্মার্ট স্পিকার
নিজেদের স্মার্ট স্পিকার ‘হোমপড মিনি’র একটি নতুন ভার্সনও বাজারে ছেড়েছে অ্যাপল।

এটি আরও ব্যাপক পরিসরের ভয়েস কমান্ড সমর্থন করে। পাশাপাশি এটিতে একটি হোম ইন্টারকম সিস্টেমও রয়েছে।

অ্যাপলের প্রথম হোমপড ২০১৮ সালে বাজারে ছাড়া হয়, তবে এখন পর্যন্ত অ্যামাজন ও গুগলের স্পিকারের তুলনায় এটি অনেক পিছিয়ে রয়েছে।

৪ মডেলের 'আইফোন ১২' আনলো অ্যাপল

৪ মডেলের 'আইফোন ১২' আনলো অ্যাপল


৪ মডেলের 'আইফোন ১২' আনলো অ্যাপল
আইফোন ১২ হাতে অ্যাপলের সিইও টিম কুক
অ্যাপল বাজারে আনলো আইফোন ১২'র চারটি ভার্সন- আইফোন ১২, আইফোন ১২ মিনি এবং আইফোন ১২ প্রো এবং প্রো ম্যাক্স। এই সবগুলো মডেলেই ৫জি কাজ করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাপল পার্ক থেকে ভার্চুয়াল ইভেন্টের মাধ্যমে আইফোন ১২ সিরিজের চারটি ডিভাইস উন্মোচন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে পাওয়া যাবে আইফোন ১২ এবং আইফোন ১২ প্রো মডেল দু’টি। তবে আইফোন ১২ মিনি এবং আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স কবে বাজারে আসবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।

লাল, সাদা, নীল, সবুজ এবং কালো- এই পাঁচটি রঙে পাওয়া যাবে আইফোন ১২ এবং আইফোন ১২ মিনি। ৬৪, ১২৮ এবং ২৫৬ জিবি- এই তিনটে ভ্যারিয়ান্টেই ফোনগুলো মিলবে। আইফোন ১২ সিরিজের এই ফোনগুলো খুব পাতলা করা হয়েছে। ওজনেও হালকা এবং ছোট। ৫জি সাপোর্ট ছাড়াও এই ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে ওয়্যারলেস সফটওয়্যার। 

আইফোন ১২-এ রয়েছে ওলেড ডিসপ্লে। স্ক্রিন যাতে সহজে ভেঙে না যায় তার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে সিরামিক শিল্ড গ্লাস প্রযুক্তি। এছাড়া এই ফোনে রয়েছে এ-১৪ বায়োনিক প্রসেসর। 

অ্যাপল'র দাবি, এই ফোনের সিপিইউ এবং জিপিইউ অন্যান্য স্মার্টফোনের চেয়ে অনেক দ্রুত। এই ফোনে রয়েছে ১২ মেগাপিক্সেলের দু’টি ওয়াইড অ্যাঙ্গল সেন্সর এবং আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা। এখন নাইট মোডেও ছবি তোলা যাবে ফ্রন্ট ও রিয়ার ক্যামেরায়। কোনও কেবল ছাড়াই চার্জ করা যাবে আইফোন ১২। এতে ম্যাগসেফ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।  রয়েছে ম্যাগনেট এবং সেন্সরকে কাজে লাগিয়ে ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের ব্যবস্থা। ফলে অনেক দ্রুত চার্জ হবে ফোন।

অ্যাপল জানিয়েছে, তাদের আইফোন ১২ মিনি ছোট এবং পাতলা ফোন। এতে রয়েছে ৫.৪ ইঞ্চি ডিসপ্লে। ফোনটিকে টেকসই করার জন্য সিরামিক মেটারিয়াল ব্যবহার করা হয়েছে। দু'টি রিয়ার ক্যামেরা রয়েছে। তাতে নাইট মোড ফিচার রয়েছে। রয়েছে এ-১৪ বায়োনিক চিপ। স্ক্রিনের মাপ ৫.৪ ইঞ্চি। এছাড়া রয়েছে সুপার রেটিনা এক্সডিআর ডিসপ্লে। আইফোন ১২'র মতো ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে এতেও।

ফেসবুকের যে পোস্টগুলোতে অবশ্যই রিপোর্ট করবেন

ফেসবুকের যে পোস্টগুলোতে অবশ্যই রিপোর্ট করবেন

ফেসবুকের যে পোস্টগুলোতে অবশ্যই রিপোর্ট করবেন
ফেসবুক ব্যবহার করার সময় আমরা প্রত্যেকেই এমন অনেক পোস্টের সম্মুখীন হয়েছি যেগুলো রিপোর্ট করা নিয়ে আমরা দ্বন্দ্বে পড়ে যাই। অনেক সময় আমরা এমন পোস্ট শেয়ার করি বা এমন পোস্টে কমেন্ট করি যার প্রভাব সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণা নেই। আবার কখনো কোন পোস্ট শেয়ার করা ঠিক হবে কি না তা নিয়েও দ্বিধাগ্রস্ত হই। তবে ১০ ধরনের কন্টেন্ট যদি কোন ফেসবুক গ্রুপ, পেজ, কমেন্ট, প্রোফাইল এমনকি মেসেঞ্জারের বার্তাতেও পান তাহলে নির্দ্বিধায় সেগুলো রিপোর্ট করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো।

১. নির্দিষ্ট কোন মতবাদ বা ব্যক্তি সত্ত্বাকে অসম্মান করা হলে:
যদি কোন পোস্টে নির্দিষ্ট মতবাদ, লিঙ্গ, জাতি বা ধর্মীয় অনুভূতিতে সরাসরি আঘাত করে তবে সেই পোস্টটি এবং যে এই পোস্ট শেয়ার করেছে তাকেও রিপোর্ট করতে পারেন। জাতি, মতবাদ ও ধর্মীয় বিশ্বাস প্রত্যেকের নিজস্ব ব্যাপার এবং এগুলোর ভিত্তিতে কাউকে বিবেচনা করার অধিকার কারো নেই।

২. অশালীন ও আপত্তিকর ছবি থাকলে:
যেসব কন্টেন্ট যৌন নির্যাতন বা জাতিগত সহিংসতা প্রচার করে অবিলম্বে সেসব পোস্ট রিপোর্ট করতে হবে। কারণ অন্য পোস্টের চেয়ে এই পোস্টগুলো বেশি শেয়ার হয় এবং ব্যবহারকারীরা এই পোস্টগুলো বিশ্বাসও করে বেশি, তাই এই ধরণের পোস্টগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

৩. হিংস্রতা ও অসহিষ্ণুতা প্রকাশ পেলে:
যদি কোন পোস্টে হিংস্রতা বা অসহিষ্ণুতা প্রকাশ পায় যা অন্যের অনুভূতিতে আঘাত করে তবে সেই পোস্টগুলো রিপোর্ট করুন। কারণ এই পোস্ট বা জিআইএফগুলো যখন কোন ব্যক্তিকে কটাক্ষ করে করা হয় সেখান থেকে পারস্পরিক বা জাতিগত সংঘর্ষ হতে পারে।

৪. ব্যক্তিগত তথ্যে অ্যাক্সেস করার চেষ্টা করলে:
নিজের অ্যাকাউন্ট এবং যে তথ্যগুলো অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা হয় যেমন: ছবি, স্ট্যাটাস, চেক-ইনস, যোগাযোগের বিবরণ, কর্মস্থলের ঠিকানা ইত্যাদি, সে সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। এসব তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে ফেসবুকের প্রাইভেসি ও সিকিউরিটি টুলস ব্যবহার করুন। নইলে প্রতারক চক্র আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে যা আপনার নিজের এবং ফেসবুক কমিউনিটির জন্য ক্ষতিকর।

৫. কোন পোস্ট আপনার অনুমতি ছাড়া শেয়ার করা হলে:
যদি আপনার নিজের কোন পোস্ট বা ছবি আপনার অনুমতি না নিয়েই কেউ শেয়ার করেন যা আপনার গোপনীয়তা নষ্ট করে তবে সেই ব্যক্তিকে ও পোস্ট রিপোর্ট করুন।

৬. ভুয়া খবর হলে:
ফেসবুকে এখন নানা ধরনের ভুয়া খবর ছড়িয়ে আছে। ব্যবহারকারীরা এই খবরগুলোর সত্যতা না জেনেই শেয়ার করে থাকেন। স্প্যাম আছে এমন পোস্টগুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকুন বা যিনি পোস্টটি শেয়ার করেছেন অ্যাকাউন্টটি ফেইক কিনা তা লক্ষ্য করুন।

৭. পোস্টে সহিংসতামূলক ছবি বা ভিডিও থাকলে:
যদি কোন ভিডিও, ছবি বা গ্রাফিক্স কন্টেন্টে সহিংসতা বা অন্যের দুর্ভোগ ও অপমান সমর্থন করে তাহলে অবিলম্বে সেই পোস্টটি রিপোর্ট করুন। এতে পারস্পরিক সহিংসতা রোধ করা যাবে।

৮. অপরাধমূলক কাজ প্রচার করলে:
যদি কোন পোস্টে সহিংসতামূলক অপরাধ, চুরি, জালিয়াতি বা কোন অপরাধের বর্ণনা থাকে তবে সেই পোস্টটি সাথে সাথে রিপোর্ট করতে হবে।

৯. অন্যের ক্ষতি করতে উৎসাহিত করলে:
যদি কোন পোস্ট অপরাধমূলক কাজ করতে উস্কানি দেয় যা মানুষ, ব্যবসা বা প্রাণীর ক্ষতি করতে পারে, সেই পোস্ট রিপোর্ট করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

১০. কোন পোস্ট নিজের ক্ষতি বা আত্মহত্যা সমর্থন করলে:
যদি কোন পোস্ট হুমকিস্বরূপ হয় বা আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে তাহলে দ্রুত স্থানীয় ইমার্জেন্সি সার্ভিসে যোগাযোগ করুন। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে পোস্টটি রিপোর্ট করুন। ফেসবুকই প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দেবে যা তাদের সাহায্য করতে পারে।

আপত্তিকর কন্টেন্ট বা স্প্যাম রিপোর্ট করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো পোস্টের উপরের ডানদিকে “তিনটি ডট”-এ ক্লিক করে ‘ফাইন্ড সাপোর্ট’ বা ‘রিপোর্ট পোস্ট’ সিলেক্ট করা এবং পোস্টটি কীভাবে ফেসবুক কমিউনিটি গাইডলাইনের নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে তার বর্ণনার সাথে মিলে এমন অপশনে ক্লিক করা।

এ বিষয় সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন - www.facebook.com/communitystandards  

চার্জিং সুবিধার সাথে দুর্দান্ত সব স্পেসিফিকেশন নিয়ে এসেছে রিয়েলমি ৭ প্রো

চার্জিং সুবিধার সাথে দুর্দান্ত সব স্পেসিফিকেশন নিয়ে এসেছে রিয়েলমি ৭ প্রো


চার্জিং সুবিধার সাথে দুর্দান্ত সব স্পেসিফিকেশন নিয়ে এসেছে রিয়েলমি ৭ প্রো
দেশের বাজারে সেরা চার্জিং সুবিধার রিয়েলমি ৭ প্রো নিয়ে এসেছে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি। রিয়েলমি ৭ প্রোতে রয়েছে শক্তিশালী ৪ হাজার ৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, বহুমাত্রিক ব্যবহারের পরেও যার চার্জ থাকবে পুরো একদিন। নতুন এ স্মার্টফোনটির সবচেয়ে দুর্দান্ত বিষয়টি হলো এর ৬৫ ওয়াটের সুপারডার্ট চার্জিং।

মাত্র ৩৪ মিনিটে চার্জ হবে পুরো ব্যাটারি, যা নতুন এ স্মার্ট ফোনটিকে বাজারের সবচেয়ে দ্রুতগতিতে চার্জ হওয়া স্মার্টফোনের তালিকায় নিয়ে এসেছে। মাত্র ১২ মিনিটে ফোনটির ব্যাটারি ৫০ শতাংশ চার্জ হবে। এছাড়া মাত্র তিন মিনিটে চার্জ হবে ১৩ শতাংশ, যা দিয়ে তিন রাউন্ড পাবজি খেলা যাবে (১.২২ ঘণ্টা), ২ ঘণ্টা ইন্সটাগ্রাম ব্রাউসিং, ইউটিউব দেখা যাবে আড়াই ঘণ্টা এবং ফোন স্ট্যান্ডবাই মোডে রাখা যাবে চারদিন।

রিয়েলমি ৭ প্রোর ৪ হাজার ৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিতে রয়েছে ডুয়াল ২ হাজার ২৫০ মিলি অ্যাম্পিয়ার সেল, যা ফাস্ট চার্জিং এমসিইউ’র অধীনে একইসাথে ১০ ভোল্ট ৬.৫ অ্যাম্পিয়ারে চার্জ হবে।

চার্জের গতি ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ফোন চার্জ দিতে সঠিক ভোল্টেজ নিশ্চিতে চার্জ পাম্প ব্যবহার করে সুপার ডার্ট চার্জ। অতিরিক্ত গরম হওয়া প্রতিরোধে এবং বৈদ্যুতিক শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারে চার্জের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।

নন-স্টপ গেমিং অভিজ্ঞতা 

হেভি গেমিংয়ের সময় খেলায় বিরতি দেওয়া ছাড়াও ৬৫ ওয়াটের সুপার ডার্ট চার্জ ডিভাইসের ব্যাটারি মাত্র ৩০ মিনিটে ৪৩ শতাংশ বাড়াবে। এছাড়াও স্মার্টফোনটি ১৮ ওয়াটের পিডি/কিউসি চার্জিং স্ট্যান্ডার্ড সাপোর্ট করবে। ফলে অধিকাংশ চার্জারের মাধ্যমে রিয়েলমি ৭ প্রো চার্জ দেওয়া যাবে। শক্তিশালী চার্জিং ফিচার ও ব্যাটারি ছাড়াও রিয়েলমি ৭ প্রো অন্যান্য ক্যাটাগরিতেও অলরাউন্ডার পারফরমেন্স। 

মান ও পারফরমেন্সের দারুণ সমন্বয়  

রিয়েলমি ৭ প্রোতে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৭২০জি চিপসেট। আরও রয়েছে অ্যাড্রিনো ৬১৮ জিপিইউ, ৮ জিবি এলপিডিডিআর৪এক্স র‍্যাম এবং ১২৮ জিবি ইউএফএস ২.১ স্টোরেজ। যেকোনো ধরনের ব্যবহারের জন্যই এর শক্তিশালী চিপসেট দিবে অনন্য পারফরমেন্স। গেমিং-ওরিয়েন্টেড চিপসেট ডিভাইসটিকে গেমারদের উপযুক্ত ডিভাইসে পরিণত করেছে।

৭ প্রোতে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ১০, সাথে রিয়েলমি ইউআই। এছাড়াও প্রথম ডিভাইস হিসেবে টিইউভি রেইনল্যান্ড স্মার্টফোন রিলায়েবিলিটি ভেরিফিকেশনে উত্তীর্ণ হয়েছে রিয়েলমি ৭ প্রো।

সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে

মিড-রেঞ্জ সেগমেন্টে অন্যতম সেরা ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে রিয়েলমির নতুন এই স্মার্টফোনে। ফুল এইচডি প্লাস রেজ্যুলেশনের ৬.৪ ইঞ্চির সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লেতে রয়েছে ৬০০ ব্রাইটনেস নিটস এবং ৯৮ শতাংশ এনটিএসসি কালার গেমট কাভারেজ। ফোনটির সকল পাশে সরু বেজেলের ফলে এর স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও’র পরিমাপ ৯০.৮ শতাংশ; সোয়াইপ করার ক্ষেত্রে কিংবা হাতে নেওয়ার স্বাচ্ছন্দ্যে পাশগুলো সামান্য বাঁকানো হয়েছে।

কোয়াড ক্যামেরা, সাথে সনি সেন্সর 

কোয়াড ক্যামেরা সেটআপের রিয়েলমি ৭ প্রোর ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে ৬৪ মেগাপিক্সেল সনি আইএমএক্স৬৮২ সেন্সর, ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স, ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো এবং ২ মেগাপিক্সেল পোর্ট্রেট সেন্সর। সনি আইএমএক্স৬৮২ এর রয়েছে অবিশ্বাস্য লাইট-সেন্সিং দক্ষতা এবং এর ১/১.৭৩ ইঞ্চি সুপার লার্জ সেন্সরের কারণে ছবি হবে উজ্জ্বল। স্মার্টফোনটির ১১৯ ডিগ্রি ফিল্ড অব ভিউ ব্যবহারকারীদের ল্যান্ডস্কেপ, আর্কিটেকচার কিংবা বড় গ্রুপ ছবিতে কারও বা কোনো কিছুর বাদ পড়ার দুশ্চিন্তা ছাড়াই অসাধারণ ছবি তোলার সুযোগ করে দিবে।
  
ফোনটির আল্ট্রা ম্যাক্রো লেন্সের ফলে ব্যবহারকারীরা ম্যাক্রো ছবি তুলতে বিষয়ের আরও অনেক কাছে যেতে পারবেন- মাত্র ৪ সেন্টিমিটার দূর থেকে মাক্রো ফটোগ্রাফির সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দী করতে পারবেন। নতুন কালার ফিল্টার সিস্টেমের কারণে পোর্ট্রেট লেন্স আরও অধিক পরিসরে আলো ব্যবহার করতে পারবে, প্রাইমারি লেন্স আরও ভালো ছবি ধারণ করতে পারবে এবং টেক্সচার থেকে পোর্ট্রেট করার ক্ষেত্রে রেট্রো স্টাইল ইমেজ তৈরি করবে। অসাধারণ সিনেম্যাটিক ভিজ্যুয়াল এফেক্ট আনার মাধ্যমে এআই কালার মোড ভিডিও’তে থাকা সবাইকে হাইলাইট করবে।

রিয়েলমি ৭ প্রো’তে রয়েছে রিয়েলমি’র সবচেয়ে বেশি রেজ্যুলেশনের ফ্রন্ট ক্যামেরা। এর এআই বিউটিফিকেশন সমৃদ্ধ ৩২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরায় ঝকঝকে বিউটি শট নেওয়া যাবে। অন্ধকারেও এর সুপার নাইটস্কেপ মোড ব্যালেন্স এক্সপোজার ও চমৎকার ডিটেইলে ব্যবহারকারীদের উজ্জ্বল সেলফি তোলার সুযোগ করে দেবে।

নাইটস্কেপ মোডে শাটার, আইএসওসহ অন্যান্য প্যারামিটারের সামঞ্জস্যের মাধ্যমে নিজেদের নাইট ফটোগ্রাফি দক্ষতাকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যেতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। এ স্মার্টফোনটিতে চমৎকার ফোর-কে ভিডিও করা যাবে। 

এ সকল স্পেশিফিকেশন ছাড়াও রিয়েলমি ৭ প্রো’র ডিজাইনে রয়েছে অভিনবত্ব। এর ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যেন মনে হয় আয়নার ওপরে আলোর প্যাটার্ন। স্লিম ডিজাইন ফোনটিকে প্রিমিয়াম লুক দিয়েছে। এছাড়াও, রিয়েলমি ৭ প্রো’তে রয়েছে ডলবি অ্যাটমোস ডুয়াল-চ্যানেল অডিও আউটপুট, যা উচ্চ মানসম্পন্ন সাউন্ড এফেক্ট নিশ্চিত করবে।

সুপার ডার্ট চার্জিং সুবিধা এবং প্রিমিয়াম হার্ডওয়্যার ছাড়াও রিয়েলমি ৭ প্রো’তে রয়েছে সকল স্পেশিফিকেশন, যা এখন হাই-এন্ড ডিভাইস থেকে প্রত্যাশা করে স্মার্টফোনপ্রেমীরা। মিরর সিলভার এবং মিরর ব্লু- এ দুই রঙে ২৭,৯৯০ টাকা বাজার মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে রিয়েলমি ৭ প্রো। কেনার জন্য বিস্তারিত জানতে ক্লিকঃ https://realmebd.com/bd/realme-7-pro.html

সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০

Apple Does Not Need to Return Fortnite to App Store, Judge Rules

 Apple Does Not Need to Return Fortnite to App Store, Judge Rules
Fortnite’s parent company, Epic Games, had broken its contract with Apple, a federal judge found. The case goes to trial next year.
Credit...
Brian Finke for The New York Times
SAN FRANCISCO — A federal judge ruled on Friday that Apple did not need to reinstate the popular video game Fortnite in its App Store, in a blow to Fortnite’s parent company, Epic Games, which is locked in an antitrust battle with the tech giant over its app store fees and rules.
Judge Yvonne Gonzalez Rogers of the Northern District of California said in her ruling that Apple’s ban of the game could continue because Epic had violated its contract with Apple. There is “significant public interest” in requiring companies to adhere to contracts or resolve disputes through the normal course, she wrote.
But Judge Gonzales Rogers also said that Apple could not ban Unreal Engine, Epic’s developer tools, from its platforms because of the “potential significant damage to both developers and gamers” who rely on the software.
The mixed ruling showed the high cost of taking on a tech behemoth like Apple, even for an established company like Epic. The 116 million people who have accessed Fortnite through Apple’s systems will continue to be kept away while Epic and Apple prepare for a trial in the case, which is scheduled for May.
An Epic spokeswoman said the company “is grateful that Apple will continue to be barred from retaliating against Unreal Engine and our game development customers.” Epic will continue developing for Apple’s platforms and “pursue all avenues to end Apple’s anti-competitive behavior,” she said.
An Apple spokesman said the company was grateful that the court “recognized that Epic’s actions were not in the best interests of its own customers and that any problems they may have encountered were of their own making when they breached their agreement.” The spokesman added that Apple’s app store has been “an economic miracle” that has created “transformative business opportunities” for developers.
Epic’s battle with Apple comes as the largest tech companies face scrutiny of their power. On Tuesday, House lawmakers said Apple, Amazon, Facebook and Google had exercised and abused their monopoly power to stifle competition and harm consumers and recommended that the companies be restructured. European regulators have also opened an investigation into whether Apple’s app store rules are anticompetitive. And in the coming days, the Justice Department is expected to sue Google over anticompetitive search practices.
At the heart of Epic’s case is Apple’s and Google’s tight grip over smartphone apps in their app stores. Both companies require that developers use their payment systems and pay a 30 percent cut of any money they make in their apps.
“They think they can just decide arbitrarily what apps can exist, and what fees can be charged, and tax all commerce,” Tim Sweeney, Epic’s chief executive, said in an interview last month. “We came gradually to the realization that we had to fight this, not just by words, but also by really broad actions.”
Epic has said it wants Apple to change its requirements that apps use its payment system and shell out a 30 percent fee. It also wants to operate its own app store within Apple’s.
The companies began fighting in August, when Epic violated Apple’s and Google’s rules by directing Fortnite users to its own payments service. Apple and Google responded by pulling Fortnite from their app stores. Epic then sued both companies, arguing they were breaking antitrust laws.
Apple later also cut off its support for Unreal Engine, Epic’s software development tool that is used by thousands of game makers. Judge Gonzalez Rogers said on Friday that Apple must continue supporting Unreal Engine and could not retaliate against any of Epic’s other affiliated apps or products.
The fight has escalated over the past few weeks. Apple has accused Epic of seeking a special deal for itself, while Epic has accused Apple of cherry-picking out-of-context emails in its legal response.
Other companies have used the battle to criticize Apple. Microsoft filed a declaration in support of Epic and has announced a set of developer-friendly principles for its own app store. Facebook has also recently called out Apple’s 30 percent app fees.
Smaller app makers, normally wary of angering the tech giants, have found strength in numbers. In September, more than a dozen of them, including the music streaming service Spotify, the dating service Match Group and the Bluetooth tracking device maker Tile, formed a nonprofit group called Coalition for App Fairness to push for changes to the app stores.
In a hearing last month, Apple said it was willing to reinstate Fortnite to its app store before a trial if Epic would return to complying with its rules. Judge Gonzalez Rogers proposed an arrangement that would put Apple’s fees from Fortnite in an escrow account until after the trial. But Epic refused, arguing that doing so would be complying with a contract it views as unlawful.“I didn’t buy that argument before,” Judge Gonzalez Rogers said in the hearing. “I’m not particularly impressed with it now.”

Microsoft Surface Duo: Rethinking the Smartphone

Microsoft Surface Duo: Rethinking the Smartphone

By Rob Enderle
Microsoft Surface Duo


I've been using the Microsoft Surface Duo for over a week now, and it is my new favorite smartphone.

Optimized more for business than for consumer use, it isn't for everyone. But for the way I use my smartphone, it is a better device for me. Let me walk you through why, and we'll close with my product of the week -- the new Nvidia RTX 30 card that may make you look better on your next Zoom call.

Spinning Back to a Business Focus

I was one of the last of the BlackBerry users and only recently gave up the latest BlackBerry phone because it was just too far out of date. While I'm still missing the keyboard a bit, what I really miss was the business focus of the device.

When the market pivoted from phones like the Palm, Microsoft, and Research In Motion (BlackBerry) devices, to the Android and iOS devices, we lost something. Mostly we lost a lot of time. We should have been focusing on work instead of distractions; and while streamed content is fun, it tends to consume our resources, i.e. time and money. At the same time, the old business standard arguably was more focused on helping us make more money and advance in our careers.

To me, and I realize that I'm not in the majority here, it is more important to focus on increasing my income and productivity than it is to focus on increasing my distractions and eating up both my free and work time.

I think Microsoft had it right when they ran this ad campaign for their old Microsoft phone, arguing that folks should take their nose out of their phones and experience life:

For me, a phone should predominantly be a way to communicate, but we communicate far differently now, and the apps we use to communicate seem to prefer larger screens; and that takes us to the Duo, which has twin screens and is very different from the foldable phones with which it will compete.

New Ways of Doing Things

The Microsoft Surface Duo is a very different phone, which means it has a learning curve. For instance, to use it as a phone, you need to flip it open, pivot the screen around to the back, and put the screen with the camera above it next to your ear (and this also automatically answers the phone).

This configuration makes the device much better when you are using earbuds or one of the few Android smartwatches, like the latest generation Diesel smartwatch. It runs Android with a Microsoft UI, and it does take some retraining. Learning the unique gestures makes it a ton more fun to use, but at first, it's a little frustrating because it's different.

Now, what this device is particularly good at is reading books, doing email, and Microsoft Teams calls. In all three cases, the foldable screen makes the device substantially more efficient.

For reading books: You get two pages (when you put it in two-page mode), which makes it feel pretty close to a small paperback.

For email: You get the list of messages on one screen and what is in the highlighted message on the other. This makes going through email far more efficient.

For Microsoft Teams: You get the video conference on one screen and another function on the other screen, like the chat window, or PowerPoint; allowing you to work with the phone similarly to how you likely work with your personal computer.

Microsoft Surface Duo video conference PowerPoint

The phone uses glass for its case, and it comes with rubber bumpers in the box: USE THEM. I didn't. I dropped the phone and cracked the case. It still works fine, and the rubber bumper covers most of the crack, but I wish I'd put on the rubber bumpers before I started using the phone.

Applications work as they would on any phone, but you can tent this phone much as you can a convertible laptop and prop it on your desk or table to watch a video, so you don't have to hold the phone. Unlike a foldable phone, however, doing a video using both screens is annoying because of the break in the middle. I'm ok with this, but some may want a larger screen experience.


Surface Duo comes with 128 or 256 GB, and the difference in price is US$100, so I'd go with the extra storage for the money. The base price is $1,399, so this isn't a cheap date, and I'd suggest you play with one for a bit before picking it up. Also, this is a Generation 1 product, so if you don't like being an early adopter, you may be better off waiting for the Generation 2 or 3 version -- and the next generation should have 5G and Wi-Fi 6.

The phone doesn't have wireless charging, which I do miss a little, and it doesn't have 5G or Wi-Fi 6, but given 5G isn't deployed yet where I live, and it is a phone, I'm not missing the shortcoming, but I might if 5G was available. My laptop is Wi-Fi 6, and I need it for larger files, but picture uploads are fast with Wi-Fi 5, and this Duo does support 4x4 MIMO. It has a decent camera, and rather than switching from the front camera to back, you fold the screen over to take a picture or leave it in book form to take a selfie.

But I love the thing, and it is my new favorite phone.

Wrapping Up: Why This Phone Fits Me

I'm a reader. I read a lot of books. I don't play video games on my phone. I have PCs and game systems for that, and I'm used to using a headset, my watch, or earbuds for calls.

As a book reader, the Surface Duo is incredible. Outlook on the phone is similar to the experience on my laptop. I typically carry a phone and a tablet, and I've found that now with this Surface Duo, I'm down to carrying only the phone. I even read with it in bed at night and only go to the tablet if my charge starts running low.

This form factor also fits how I'm using the phone at home, mostly to stay connected when I'm away from my desk and to read from when I have some downtime. It resides in my back pocket, so I always have it with me; and if I have to run an errand or go someplace where I have to wait (like to pick up dinner), I have my best reader in hand.

The Surface Duo phone is worth checking out, and for people like me, it may be worth it. However, once again, it is a first-generation device and it will likely change a lot over the next two generations. So for those that like something a bit more cooked, you'll want to wait for Generation 2 or 3. But for me, Generation 1 is where I live; and, as an analyst, pain is my middle name.

Seriously, I'm having a ton of fun with this phone and, if you are a heavy ebook reader, this could be just the phone for you. It is for me.

Rob Enderle's Technology Product of the Week

The Nvidia RTX 30 series has pushed the graphics envelope significantly, but, as I mentioned last week, the significant advantage is that it significantly enhances other things you need to do while working from home.

Nvidia Broadcast allows you to create a much better video image of yourself. Virtual backgrounds look more real, active noise cancellation virtually eliminates background noise, and you can dynamically place your image inside the content you are sharing.

All of this makes you present better to the folks you are virtually meeting with, and that can make a huge difference. This week I was doing a call with a VP, and he was having all kinds of video and sound issues that this card could have mitigated. Granted, right now this is a desktop PC-only solution, but I find I live on my desktop PC when I'm working from home.

I continue to think that this is the new battleground for graphics, and Qualcomm and Intel are on this same page concerning providing enhancements. But I love it when an OEM thinks out of the box and starts working on problems that are outside of their standard field.

Nvidia is all about graphics performance, and this new card line should be stunning for that.

Nvidia RTX 3080 and 3090 graphics cards
Nvidia RTX 3080 and 3090 Graphics Cards
Not everyone games, but right now most of us are meeting online, and improving that experience is likely far higher on our needs list than better game playing. Though I should mention that these new cards also reduce latency significantly, so for those of you who are gamers and like first-person shooters, this could be your ticket to more wins.

In any case, I use a desktop computer and I live on video calls right now. This card family hits me where I live -- which makes the Nvidia RTX 30 Series my product of the week.

Newest RoboLinux 11 Update Goes Far Beyond Typical Linux

Newest RoboLinux 11 Update Goes Far Beyond Typical Linux

By Jack M. Germain  LinuxInsider  ECT News Network
RoboLinux 11.13 review

RoboLinux is one of the most advanced desktop Linux distributions you can find. The latest release is even better, making it potentially THE best Linux variety available today for desktop users.

The Oct. 9 release of RoboLinux 11.13 is an upgraded build of the project's Ubuntu-based distribution. But wait, there is a whole lot more to RoboLinux than just another Ubuntu-based retread.

RoboLinux is a unique distro that focuses on incorporating versions of Windows XP through Windows 10 within a fully functional Linux operating system. Many of the specialized systems applications in this Linux distro are devoted to transplanting the Windows OS and software to run in a virtual machine.

This latest version brings insanely fast bootup times. Can you say under 10 seconds? That kind of performance blows the doors of my most costly Chromebooks which are known for rapid bootup times.

This all happens without the hassle normally experienced with having to install and setup everything yourself. That is a good incentive for newcomers to switch to RoboLinux. It is even a better incentive for small businesses and disgruntled Windows users to come to Linux in general.


Benefits Beyond Bewitching

Seasoned Linux users might never need the built-in Stealth VM features that let you easily install and run Microsoft Windows. But if you work heavily in various content production or specialty enterprise environments, this Stealth VM feature can spare you the need to maintain two or more computers to run essential programs.

If you are a Windows user looking for a reliable migration path from Windows to Linux, Robolinux lets you bring the Windows OS with you. More on this later.

Sure, you can set up Windows and Linux to run in a dual boot. You can also install Windows in a virtual machine in most other Linux distros. But RoboLinux's Stealth VM tool streamlines the process and improves its operation.

No more dual booting. With this process, you can have Windows XP, 7 or 10 up and running with ease.

Stealth Unwrapped

The Stealth VM features include special installers that let you download and install pre-configured versions of your choice of Windows XP/7/10. These include both the 32-bit and 64-bit versions.

This feature essentially clones these Windows OSes and runs them in a secure virtual container within RoboLinux. The process creates a cloned Drive C from a Windows partition within the VirtualBox environment.

RoboLinuxStealth VM
One of this distro's best features is Stealth VM, which lets you run a pre-configured Windows installation in a virtual machine within RoboLinux.
- click image to enlarge -
The premise behind RoboLinux makes this distro a must-try computing platform. In my case, I can hang on to my workbench Windows software without actually keeping separate physical boxes that add to my office clutter. I can also play classic and current Windows-based games.

Of course, you can use the WINE Windows emulator application to run Windows programs in most any Linux distribution. But WINE does not work with every Windows program and can be clunky to use.

Choice of Linux Flavors

The Series 11 releases of RoboLinux give you a top-notch general-purpose Linux computing platform. It comes with a choice of three leading desktop environments -- Cinnamon, Xfce, and MATE.

Of the three desktop choices currently available, none is considered to be the default desktop that defines this distro. The Cinnamon desktop, based on the crown jewel of Linux Mint, is a powerhouse with a lot of animations and system settings that Xfce lacks.

Xfce is an older lightweight desktop environment that packs a lot of configuration options. The Mate desktop is a modern-looking and performing throwback to the earlier days of the GNOME 2 user interface.

RoboLinux Cinnamon desktop
The lightweight but fully functional Cinnamon desktop is one of two other choices -- Xfce and Mate -- for RoboLinux 11.13.
- click image to enlarge -
Earlier RoboLinux versions also offered GNOME 3, LXDE, and KDE environments. But in the course of the last few major upgrades, the developer consolidated the desktop choices.

Under the Hood

If you track the release history, you will discover that the series 11 releases skip a few numbers. This number realignment is an irregular occurrence in that jumping to the next whole number normally signals a major code base upgrade.

That code base change did not happen until this 11.13 release. The developer thought the kernel upgrade now used was not mature enough when first debuted.

All three of the Robolinux 11.13 versions are optimized so they fit in smaller ISO package sizes. The email management program Thunderbird is replaced with Electron Mail, the open source privacy-based version of Proton Mail.

Version 11.13 runs the same kernel used in Ubuntu 20.04 that increases performance, stability, and security improvements. This kernel provides support for more hardware such as the newly-announced 11th generation Intel Core processors, upcoming AMD processors and GPUs, and other peripherals.

You also get what could become an undisputed killer app -- the latest version of Robo Untracker. This is a special feature also available as a commercial add-on for some distros. It prevents your PC or Laptop from being contact traced or tracked.

Track Me Not, Ye Evil Internet Hucksters

Untracker is a built-in RoboLinux feature you will not find in any other Linux offering. But the icing on the Linux cake is the ability to download Untracker and run it as part of other popular Linux distributions.

Robo Untracker makes it impossible for a PC or Laptop to be contact traced or tracked, according to the developer. It automatically changes all of the MAC addresses every time a user reboots the computer.

The rebooting generates a completely new random set of data packets at predetermined intervals. This process renders the computer untrackable, untraceable, anonymous, and unidentifiable.


Untracker can run as part of other popular Linux distributions
You can download Untracker and run it as part of other popular Linux distributions.

An additional safety element in Robo Untracker lets you change your MAC addresses once an hour, or even by the minute, if you are hyper-concerned with being tracked.

Though less of an anti-tracking feature, RoboLinux comes with the FAAST Boot feature. This is an innovative application that uses a non-invasive specialized diagnostic software tool to generate a unique custom hand-coded FAAST Boot Installer tar file -- so the user can safely reduce the operating system's boot-up time to an average of only five-to-seven seconds.

Why Use It? Because You Can!

Developer John Martinson suggests that the unequaled security boost is the best answer. It makes tracking your movements -- including your location -- virtually impossible.

Martinson said in his documentation that he developed Untracker after hearing from hundreds of Linux desktop users worldwide who do not want governments contact tracing or otherwise tracking them. That, of course, is a reference to the developing technology for finding people potentially infected with COVID-19.

In essence, Untracker lets you go off the grid while still on it! The Untracker installer comes as part of the main menu in RoboLinux. However, you must click on the installer entry in the menu to download and setup Untracker.

Robo Untracker installation screen
RoboLinux comes with the potential killer app -- Robo Untracker -- that prevents your desktop or Laptop from being contact traced or tracked.
- click image to enlarge -
I did not test the process or determine if Untracker actually works. Not that I wasn't curious about being masked online. I just did not have any reliable way to test Untracker's effectiveness at this early stage.

Newfound Appeal

RoboLinux has had a strong following over the years. I reviewed earlier versions of this distro in 2014 and in 2018. It was one of my favorite Linux OSes because it had lots of extras bundled within.

This distro has steadily grown in popularity based on its download record mapped by several tracking websites. A big reason for this popularity is the added features that make moving to the Linux operating system more intuitive and using the Linux platform more productive.

I have a collection of computers -- both desktops and laptops -- I use to test different Linux distributions. I often rotate the computer I use for my weekly work and leisure tasks. Usually, each computer has multiple dual boot partitions.

With the release of Series 11.12 last month and now 11.13, I am spending more time using RoboLinux. That's because it has proven its reliability and feature-rich offerings. This latest release out-performs earlier versions.

Near Universal Compatibility

RoboLinux works on most PCs and laptops built within the last 10 years. If your computer is older than that, it probably does not support virtual machines.

An older computer can still run RoboLinux without the Stealth VM feature. Another option is to install RoboLinux on your old Windows computer as a dual boot configuration.

What else does your computer need to run RoboLinux? Not much at all. The OS will run on a computer with at least 2GB RAM.

Bottom Line

Whatever brings you to Robolinux, this distro goes far beyond what other new-user-friendly distros offer about resembling the look and feel of Microsoft Windows. RoboLinux delivers a solid performance and is stuffed with some of the best applications that Linux has to offer.

Robolinux also has dozens of popular applications such as VLC, Audacious, Firefox, Thunderbird, Deluge Torrent client, Brasero CD/DVD burner, and Simple Screen Recorder.

This distro is packed with many custom one-click installers like Tor Browser, 12P, Steam Wireshark, Opera, and Brave browser. Add the additional RoboLinux toolset to the array of controls already available in the three desktop environments and you get an unbeatable computing experience.

RoboLinux comes with everything you need -- and then some -- to make daily computing tasks convenient. Many of the software packages typically are not found bundled in other Linux distros.

This makes an awesome combination. RoboLinux could be an ideal vehicle for both enterprises and SMBs to make the migration to Linux.

Want to Suggest a Review?

Is there a Linux software application or distro you'd like to suggest for review? Something you love or would like to get to know?

Please email your ideas to me, and I'll consider them for a future Linux Picks and Pans column.

And use the Reader Comments feature below to provide your input.