শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫

প্লেনে ফোন ফ্লাইট মোডে রাখতে বলা হয় কেন

প্লেনে ফোন ফ্লাইট মোডে রাখতে বলা হয় কেন

প্লেনে ফোন ফ্লাইট মোডে রাখতে বলা হয় কেন?

ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনের (এফসিসি) দাবি, সেলফোন বা এ ধরনের ডিভাইসগুলোর রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি প্লেনের নেভিগেশন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমস্যা তৈরি করতে পারে। এ কারণে, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) প্লেন উড়ানের সময় এবং অবতরণের সময় কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে নিষেধ করে।

ফ্লাইট মোড সাময়িকভাবে ফোন বা ল্যাপটপের ডেটা ট্রান্সমিটার এবং রিসিভারের সিগন্যালগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। অর্থাৎ ডিভাইসে কোনও ডেটা পাঠানো বা গ্রহণ করা যায় না। ফলে ব্যবহারকারী কোনও কল করতে, টেক্সট মেসেজ করতে বা মেল পাঠাতেও পারবেন না।

কেন স্মার্টফোন ক্যামেরায় থাকে তিন বা চারটি লেন্স

কেন স্মার্টফোন ক্যামেরায় থাকে তিন বা চারটি লেন্স

কেন স্মার্টফোন ক্যামেরায় থাকে তিন বা চারটি লেন্স?

একাধিক লেন্সের প্রয়োজনীয়তা
ডিএসএলআর ক্যামেরায় বিভিন্ন ধরনের শট নেওয়ার জন্য লেন্স পরিবর্তনের সুবিধা থাকে। তবে, স্মার্টফোনের আকার ছোট হওয়ায় এতে বারবার লেন্স পরিবর্তনের সুযোগ নেই। এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে তুলতে স্মার্টফোন নির্মাতারা একাধিক ক্যামেরা সেন্সর যুক্ত করেছেন, যেখানে প্রত্যেক ক্যামেরার আলাদা ফোকাল লেংথ ও সক্ষমতা রয়েছে।

ক্যামেরা অ্যাপে আলট্রা-ওয়াইড, টেলিফটো বা ম্যাক্রো অপশন নির্বাচন করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্দিষ্ট ক্যামেরা সেন্সর নির্বাচন হয়, যা উন্নত মানের ছবি তুলতে সাহায্য করে।

একাধিক ক্যামেরার ভূমিকা
বর্তমানে আইফোন ১৬ প্রো, গুগল পিক্সেল ৭ প্রো, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ২৫ ও ওয়ানপ্লাস ১৩-এর মতো জনপ্রিয় স্মার্টফোনগুলোতে তিনটি ক্যামেরা থাকে।

প্রধান তিনটি ক্যামেরার কাজ:

প্রাইমারি ক্যামেরা (ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল):
সাধারণ ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত হয়।
এটি সাধারণত সবচেয়ে শক্তিশালী ও উচ্চ মেগাপিক্সেলের হয়ে থাকে।

আলট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা:
আরও বিস্তৃত ভিউ ধারণ করতে পারে।
গ্রুপ ফটো বা ল্যান্ডস্কেপ শট তোলার জন্য উপযুক্ত।

টেলিফটো ক্যামেরা:
অপটিক্যাল জুমের মাধ্যমে দূরের বস্তু স্পষ্টভাবে ক্যাপচার করা যায়।
ডিজিটাল জুম বা ক্রপিং ছাড়াই ছবির মান বজায় থাকে।
কিছু স্মার্টফোন, যেমন স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ২৫ আল্ট্রা, চারটি ক্যামেরা যুক্ত করেছে। এখানে চতুর্থ ক্যামেরাটি পেরিস্কোপ টেলিফটো, যা টেলিস্কোপিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দূরবর্তী বস্তুর স্পষ্ট ছবি তুলতে সাহায্য করে।

এছাড়া, কিছু স্মার্টফোনে মনোক্রোম সেন্সর যুক্ত থাকে, যা সাদা-কালো ছবি তুলতে ব্যবহৃত হয় এবং ছবির কনট্রাস্ট ও বিস্তারিত ডিটেইলস উন্নত করে।

একাধিক ক্যামেরার সমন্বিত কাজ
স্মার্টফোনের ছবির মান শুধু ক্যামেরার সংখ্যা নয়, বরং ইমেজ প্রসেসিংয়ের ওপরও নির্ভর করে।

গুগল পিক্সেল ৩ ও তার আগের মডেলগুলো মাত্র একটি ক্যামেরা ব্যবহার করেও উন্নতমানের ছবি তুলতে সক্ষম ছিল, কারণ এতে কম্পিউটেশনাল ফটোগ্রাফি ব্যবহৃত হয়েছে।

কম্পিউটেশনাল ফটোগ্রাফি কীভাবে কাজ করে?

বিভিন্ন ক্যামেরা থেকে নেওয়া তথ্য একত্রিত করে উন্নতমানের ছবি তৈরি করা হয়।
পোর্ট্রেট মোডে ছবি তুললে, ক্যামেরা বিষয়বস্তুর গভীরতা পরিমাপ করে পটভূমিকে ব্লার করে বোকেহ ইফেক্ট তৈরি করে।
মনোক্রোম সেন্সর থাকলে, এটি কনট্রাস্ট ও বিস্তারিত ধরে রাখে এবং অন্য ক্যামেরা রঙের তথ্য যোগ করে আরও স্পষ্ট ছবি তৈরি করে।

অ্যাপ ডাউনলোড করার পর ফোন হ্যাং হলে কী করবেন

অ্যাপ ডাউনলোড করার পর ফোন হ্যাং হলে কী করবেন

অ্যাপ ডাউনলোড করার পর ফোন হ্যাং হলে কী করবেন?ফোনে নানান কাজে অ্যাপ ডাউনলোড করছেন যে কোনো সময়। তবে স্মার্টফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করে দেখলেন, মোবাইলটি ঘনঘন হ্যাং হচ্ছে, বা স্মার্টফোন দ্রুত গরম হচ্ছে বা চার্জও থাকছে না বেশিক্ষণ। এমন হলে সতর্ক হোন। বিপদ থাকতে পারে ডাউনলোড করা অ্যাপের মধ্যেই। জেনে নিন এসময় কী করবেন, কী করবেন না-

অ্যাপ ডাউনলোড করুন সব সময়ে ট্রাস্টেড প্ল্যাটফর্ম থেকে। যেমন- বৈধ ও নিরাপদ ওয়েবসাইট অথবা অথরাইজড অ্যাপ স্টোর থেকে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও বিজ্ঞাপন দেখে অথবা কোনো ফরোয়ার্ডেড লিঙ্ক বা মেসেজ থেকে কোনও অ্যাপ কখনো ডাউনলোড না-করাই ভালো।

কোনো অ্যাপ স্মার্টফোনে ডাউনলোড করার সময়ে ভালো কররে দেখে নিন, তাকে কোন কোন তথ্য ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছেন। একান্ত ব্যক্তিগত কোনো তথ্য, ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড নম্বর, ব্যাঙ্ক ডিটেলস, আধার-প্যান নম্বর এমন সব তথ্য চাওয়া হলে অবশ্যই সতর্ক হোন।

কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে তার বিস্তারিত আগে দেখুন। এর আগের ব্যবহারকারীরা অ্যাপটি সম্পর্কে কী রেটিং দিয়েছেন, এর কোনো খারাপ দিকের কথা উল্লেখ করেছেন কি না, সেগুলো দেখে নিন।

অ্যাপ প্রস্তুতকারী সংস্থাটি সম্পর্কেও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করুন অ্যাপ ইনস্টল করার আগে।

আপনার স্মার্টফোনে ট্রাস্টেড অ্যান্টি-ভাইরাস ও অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার অবশ্যই ইনস্টল করে রাখুন। তাতে কোনও ম্যালিশিয়াস অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে আপনার কাছে সতর্কবার্তা চলে যাবে।

অনেক সময়ে প্রতারকরা হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামে গ্রুপ তৈরি করে নতুন কাজের সুযোগ দেওয়ার নাম করে বিশেষ অ্যাপ ডাউনলোডের পরামর্শ দেয়। এরকম কোনও অ্যাপ ডাউনলোড না-করাই ভালো।

সাম্প্রতিক অতীতে কম ইনভেস্টমেন্টে বেশি লাভের টোপ দিয়ে অনেক লোন-অ্যাপ বাজারে ছাড়ছে প্রতারকরা। এরকম অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না।

অনেক সময়ে আবার আপনাকে কোনো সার্ভিস প্রোভাইডারের নাম করে মোবাইলে রিমোট অ্যাপ ডাউনলোডের টোপ দিতে পারে প্রতারকরা। সেটা করবেন না। কারণ, এতে আপনার মোবাইলের দখল রিমোটেই নিয়ে নিতে পারে প্রতারকরা।

যে সব মোবাইল অ্যাপ আপনি দীর্ঘদিন ব্যবহার করছেন না, সেগুলো আন-ইনস্টল করে দেওয়াই ভালো। নাহলে সেগুলি আপডেট হতে থাকবে, আপনার স্মার্টফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চালুও থাকবে, তাতে মোবাইলের চার্জ তাড়াতাড়ি চলে যেতে পারে। ফোন হ্যাংও হতে পারে।

চ্যাটজিপিটি-৪.৫ আবেগ বোঝে, উত্তর দেবে আরও বাস্তবসম্মতভাবে

চ্যাটজিপিটি-৪.৫ আবেগ বোঝে, উত্তর দেবে আরও বাস্তবসম্মতভাবে

চ্যাটজিপিটি-৪.৫: আবেগ বোঝে, উত্তর দেবে আরও বাস্তবসম্মতভাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কোম্পানি ওপেনএআই গত বৃহস্পতিবার তাদের নতুন মডেল জিপিটি-৪.৫ উন্মোচন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি অনুযায়ী, এটি তাদের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী মডেল। আগের মডেলগুলোর তুলনায় এটি আরও ভালোভাবে আবেগ বুঝতে পারে এবং সংবেদনশীলভাবে উত্তর দিতে সক্ষম।

আরও ‘বড়’ ও ‘ব্যয়বহুল’ মডেল
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যান বলেন, "জিপিটি-৪.৫-এর সঙ্গে কথা বললে মনে হবে যেন একজন চিন্তাশীল মানুষের সঙ্গে কথা বলছি।" তিনি আরও বলেন, "এটি এমন একটি মডেল, যা আমাকে চমকিত করেছে এবং সত্যিকারের ভালো পরামর্শ দিয়েছে।"

তিনি জানান, এই মডেলটি আরও ‘বড়’ এবং ‘ব্যয়বহুল’ হবে। প্রতিষ্ঠানটি একই সঙ্গে পেইড সাবস্ক্রিপশন স্তর (প্লাস ও প্রো) চালু করতে চাইলেও পর্যাপ্ত জিপিইউ (gpu) না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তবে পরবর্তী সপ্তাহে আরও হাজার হাজার জিপিইউ যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে এবং প্রথমে প্লাস ব্যবহারকারীদের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হবে।

আরও স্মার্ট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
সিলিকন ভ্যালিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেলগুলোর উন্নয়ন নিয়ে নানা মতপার্থক্য রয়েছে। তবে জিপিটি-৪.৫ প্রমাণ করেছে যে, বেশি ডেটা ও কম্পিউটেশনাল শক্তি ব্যবহার করলে মডেল আরও উন্নত হয়।

এক নিউজলেটারে ওপেনএআইয়ের প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা মার্ক চেন জানান, "মডেলটি আরও বড় এবং বেশি ডেটা ব্যবহারের পরও এর পারফরম্যান্স কমেনি।"

চেন আরও বলেন, "ওপেনএআই খুবই কঠোর ও সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে মডেল তৈরি করে। আগের মডেলগুলোর পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে পরবর্তী ফলাফল পূর্বানুমান করা হয় এবং স্কেলিং যন্ত্রপাতি তৈরি করা হয়।"

কম খরচে শক্তিশালী মডেল
মডেল প্রশিক্ষণের খরচ এখনো অনেক বেশি হলেও, বড় মডেল চালানোর জন্য সাশ্রয়ী কিছু পদ্ধতি খুঁজে পেয়েছে ওপেনএআই। ফলে জিপিটি-৪.৫ চালানোর খরচ জিপিটি-৪-এর তুলনায় অনেক কমে গেছে।

জিপিটি-৪.৫ মডেলটি গবেষণা প্রিভিউ হিসেবে উন্মুক্ত করা হয়েছে। এটি প্রথমে চ্যাটজিপিটি প্রো সাবস্ক্রাইবার ও এপিআই ডেভেলপাররা ব্যবহার করতে পারবে। পরবর্তী সময়ে প্লাস, টিম ও ইডিইউ ব্যবহারকারীদের জন্য চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, চ্যাটজিপিটি প্রো সাবস্ক্রিপশনের জন্য প্রতি মাসে ২০০ ডলার এবং প্লাস সাবস্ক্রিপশনের জন্য মাসে ২০ ডলার খরচ করতে হয়।

আরও নির্ভুল ও কম ভুল তথ্য
ওপেনএআই জানিয়েছে, জিপিটি-৪.৫ পূর্ববর্তী মডেলগুলোর তুলনায় আরও বেশি সঠিক এবং এতে ভুল তথ্য (Hallucination) তৈরির প্রবণতা অনেক কম।