শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

কোন দেশে কত রোবট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে

কোন দেশে কত রোবট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে

কোন দেশে কত রোবট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে?

রোবট এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। বিভিন্ন দেশেই রোবটের ব্যবহার রয়েছে। আসুন জেনে নিই কোন দেশে কত রোবট কাজ করে?
১. জাপান
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে গড়ে ২৯৫ টি রোবট কাজ করে।
২. সিঙ্গাপুর
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে গড়ে ১৬৯ টি রোবট কাজ করে।
৩. দক্ষিণ কোরিয়া
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে গড়ে ১৬৪ টি রোবট কাজ করে।
৪. জার্মানি
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে গড়ে কাজ করে ১৬৩ টি রোবট।
৫. সুইডেন
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে গড়ে ১২৬ টি রোবট কাজ করে।
৬. ইতালি
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে গড়ে কাজ করে ১২৪ টি রোবট।
৭. ফিনল্যান্ড
এই দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে গড়ে ৯৮ টি রোবট কাজ করে।
৮. বেলজিয়াম
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে গড়ে কাজ করে ৮৯ টি রোবট।
৯. যুক্তরাষ্ট্র
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে গড়ে ৮৬ টি রোবট কাজ করে।
১০. স্পেন
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে গড়ে ৮৪ টি রোবট কর্মচারী রয়েছে।

মহাকাশ থেকে কেমন দেখতে রাতের পৃথিবী

মহাকাশ থেকে কেমন দেখতে রাতের পৃথিবী 

মহাকাশ থেকে কেমন দেখতে রাতের পৃথিবী (ভিডিও)

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বাল্ব আবিষ্কারের পর থেকে মানুষ কীভাবে রাতের পৃথিবীকে সাজিয়ে তুলেছে তা ক্যামেরা বন্দী করেছে। পরে ই-বই আকারে প্রকাশ করেছে মার্কিন এই সংস্থাটি।
রাতের বেলায় যখন বিভিন্ন প্রান্তে রং-বেরং এর আলো জ্বলে তখন মহাকাশ থেকে অবাক লাগে এই পৃথিবীকে।১৫০টিরও বেশি দুর্লভ ছবি সম্বলিত ২০০ পাতার ‘আর্থ অ্যাট নাইট’ (ই-বুক) নামে একটি বই প্রকাশ করে নাসা। 
নাসার তথ্য অনুসারে ২০০ পাতার এই বইতে রয়েছে ১৫০টিরও বেশি ছবি। ২৫ বছর ধরে ছবিগুলো তোলা হয়। প্রতিটি ছবির সঙ্গে রয়েছে ব্যাখ্যাও।


অল্পের জন্য রক্ষা পেল পৃথিবী

অল্পের জন্য রক্ষা পেল পৃথিবী


অল্পের জন্য রক্ষা পেল পৃথিবী!

তীব্র গতিতে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছিল একটি বিশাল আকারের গ্রহাণু। গত শনিবার ভোরে সেটি পৃথিবীর পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। রক্ষা পায় পৃথিবী। এমনটাই জানিয়েছে নাসা।
এ ব্যাপারে নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পৃথিবী থেকে ৫.৭৭ মিলিয়ন কিলোমিটার দূর থেকে চলে গিয়েছে ওই গ্রহাণুটি ফলে বিপদ হয়নি।
এদিকে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গ্রহাণু আকারে যে কোনও ইমারতের থেকে বিশাল বড়। এই ‘ক্ষতিকারক’ গ্রহাণু পৃথিবীর স্থলভাগে আঘাত হানলে পুরো একটা মহাদেশ ধ্বংস হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। এটি চওড়ায় ছিল ১ কিলোমিটার। ঘণ্টায় গতিবেগ ছিল ৫৪,৭১৭ কিলোমিটার।

অ্যান্ড্রয়েডে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ পেমেন্ট

অ্যান্ড্রয়েডে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ পেমেন্ট

অ্যান্ড্রয়েডে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ পেমেন্ট
প্রতীকী ছবি

বর্তমানে বেশীরভাগ মানুষই ডিজিটাল পেমেন্টের উপরে নির্ভরশীল। আর তাই এই বছর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে আসতে চলেছে এক নতুন পেমেন্ট সিস্টেম। কিন্তু এই নতুন ফিচার যোগ করতে হলে একটু সাবধান হতেই হবে।
যেভাবে সেট করবেন এই নতুন ফিচার
প্রথমে হোম স্ক্রিনে হোয়াটসঅ্যাপ খুলতে হবে। সেখান থেকে স্ক্রিনের উপরে ডানদিকের তিনটে ডটে ক্লিক করতে হবে। সেখান থেকে পেমেন্ট অপশনে ক্লিক করতে হবে।
অ্যাড পেমেন্ট অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপরে সেখান থেকে অ্যাকসেপ্ট অ্যান্ড কন্টিনিউ অপশনে ক্লিক করতে হবে। তার পরেই এই ফিচার চালু হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে নিজের ব্যাংক সিলেক্ট করলে করা যাবে লেনদেন।
এছাড়াও নিজেদের ফোন নম্বর দিতে হবে। তবে যে নম্বরটি হোয়াটসঅ্যাপে রয়েছে মনে করে সেই নম্বরটি দিতে হবে। সেটি যাচাই করার পরে তবে খোলা যাবে এই অ্যাকাউন্ট। পাশাপাশি চ্যাট ও করা যাবে।

যে কারণে অ্যাপলকে ২ কোটি ৭০ লাখ ডলার জরিমানা

যে কারণে অ্যাপলকে ২ কোটি ৭০ লাখ ডলার জরিমানা

যে কারণে অ্যাপলকে ২ কোটি ৭০ লাখ ডলার জরিমানা

প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলকে ২৫ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় দুই কোটি ৭০ লাখ ডলার) জরিমানা করা হয়েছে। ব্যবহারকারীদের না জানিয়ে ইচ্ছে করে আইফোনের পুরোনো মডেলে গতি কমিয়ে দেওয়ার কারণে এই জরিমানা করা হয়।
ফ্রান্সের প্রতিযোগিতা ও প্রতারণা বিষয়ক তদারকি সংস্থা ডিজিসিসিআরএফ এই জরিমানা আরোপ করে। তবে জরিমানাটা কবে কখন করা হয়েছে, তা নিশ্চিত করে পাওয়া যায়নি।
অ্যাপলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যবহারকারীদের আগে থেকে সতর্ক না করেই আইফোনের পুরোনো মডেলে গতি কমিয়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে ২০১৭ সালে অ্যাপল জানিয়েছিল, কিছু আইফোনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ডিভাইস আরও বেশি দিন যাতে কার্যকর থাকে, সে জন্যই এ কাজ করা হয়েছে বলেছিল মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।
ডিজিসিসিআরএফ বলছে, আইফোনের ব্যবহারকারীরা জানতেন না অপারেটিং সিস্টেম আইওএস আপডেট নেওয়ার কারণে তাদের ডিভাইসের গতি কমে যাবে। চুক্তি অনুযায়ী অ্যাপলের উচিত ছিল এ সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া। কিন্তু তা করেনি।
এদিকে, এই অভিযোগ বরাবরের মতো অস্বীকার করলেও জরিমানা পরিশোধ করতে সম্মত হয়েছে অ্যাপল।
আইফোনের পুরোনো ব্যবহারকারীদের অভিযোগ ছিল, নতুন মডেলের আইফোন বাজারে আনার পর ইচ্ছে করেই পুরোনো মডেলের ফোনগুলোর গতি কমিয়ে দিয়েছে অ্যাপল। মূলত নতুন মডেলের ফোনের বিক্রি বাড়ানোর জন্যই এটা করা হয়েছে।
তবে অ্যাপলের দাবি, নতুন মডেলের ফোনের বিক্রি বাড়াতে নয়, বেশি দিন টিকিয়ে রাখার জন্যই পুরোনো কিছু মডেলের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

যেসব স্মার্টফোনে যুক্ত হচ্ছে ই-সিম

যেসব স্মার্টফোনে যুক্ত হচ্ছে ই-সিম


যেসব স্মার্টফোনে যুক্ত হচ্ছে ই-সিম

আপনার ফোনে সিম কার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এ সিম কার্ড আপনার ফোনকে সেলুলার নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করে, এতে ফোন নাম্বার ব্যবহার করে আপনি কল করতে পারেন, বার্তা পাঠাতে পারেন। ই-সিমও একই কাজ করে। তবে প্লাস্টিক চিপের পরিবর্তে যেটি আপনি চাইলেই ফোন থেকে বের করতে পারেন, তেমনটা নয় ই-সিম। এটি ফোনের ভেতরকারই একটি অংশ যা আপনি ফোন থেকে খুলে ফেলতে পারবেন না।
বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের স্মার্টফোনে যুক্ত করা হচ্ছে ই-সিম। এ তালিকায় রয়েছে আইফোন এক্সএস, এক্সএস ম্যাক্স, এক্সআর, ১১, ১১ প্রো এবং ১১ প্রো ম্যাক্স। আইফোনের বাইরে গুগল পিক্সেল ২, ৩, ৩এ, ৪ মডেলেও যুক্ত করা হয়েছে এটি। এ ছাড়া স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোল্ড মডেল, মটোরোলা রেজর, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২০, এস২০ প্লাস মডেলে থাকছে ই-সিম।
আধুনিক স্মার্টফোন গবেষকেরা জানিয়েছেন, ই-সিম মূলত ‘এমবেডেড সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল’। এটি ছোট একটি ইলেকট্রনিক চিপ, যার সাহায্যে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা নতুন কোনও সিম ছাড়াই প্রাথমিক নেটওয়ার্ক খুঁজে পাবেন। এই সিমে আলাদা কোনও সিম ট্রে থাকছে না। এটি বিল্ট-ইন অবস্থায় স্মার্টফোনেই থাকছে।
নতুন ই-সিম যুক্ত করে গ্রাহক যখন নতুন স্মার্টফোন চালু করবেন, তখনই তিনি কোন নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করবেন তা জানতে চাওয়া হয়। তখন ব্যবহারকারী যদি কোনো সিম ব্যবহারের কথা না জানাতে পারেন, তবে ই-সিম নির্বাচন করেই স্মার্টফোনটি সক্রিয় করা যাবে।

আপত্তিকর ছবি ডিলিট করতে টুইটারে নতুন ফিল্টার

আপত্তিকর ছবি ডিলিট করতে টুইটারে নতুন ফিল্টার


আপত্তিকর ছবি ডিলিট করতে টুইটারে নতুন ফিল্টার
প্রতীকী ছবি

অযাচিত আপত্তিকর ছবি ডিলিট করতে নতুন একটি ফিল্টার নিয়ে এসেছে টুইটারে। সেফ ডিএম (Safe DM) নামের ফিল্টারটি আপত্তিকর ছবি পাঠানো বন্ধের পাশাপাশি ডিলিট করতে পারবে।
ডেভেলপার কেলসি ব্রেসার অপরিচিত এক পুরুষের কাছ থেকে আপত্তিকর ছবি পাওয়ার পর নতুন এই ফিল্টারের কথা ভাবেন।
মিস ব্রেসার বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ইচ্ছা করলে তার ব্যবহারকারীদের সাইবারফিশিং থেকে আরও রক্ষা করতে পারে।
নতুন এই ফিল্টারটি অন্য যোগাযোগমাধ্যমে এখনই ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন ব্রেসার, ‘অন্য সাইটে এটি ব্যবহার করার বিষয়ে আমরা আলোচনার পর্যায়ে আছি।’
সেফ ডিএম টিমের দাবি, ফিল্টারটি তৈরি করার পর সাধারণ মানুষের থেকে তারা ৪ হাজার আপত্তিকর ছবি পেয়েছেন। প্রায় সবগুলোই ডিলিট হয়ে গেছে।
 সফটওয়্যারটি আপত্তিকর ছবি শনাক্ত করে উভয় ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে ছবি ডিলিট করবে।
ফিল্টারটি তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি বা এআই ব্যবহার করে।

১৬ শতাংশ ফেসবুক আইডি ভুয়া

১৬ শতাংশ ফেসবুক আইডি ভুয়া

১৬ শতাংশ ফেসবুক আইডি ভুয়া

বিশ্বের সর্ব বৃহৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যত আইডি আছে ব্যবহারকারীদের তার ১৬ শতাংশ আইডিই ভুয়া অথবা নকল।
সম্প্রতি জার্মানির পরিসংখ্যান ও বিশ্লেষণী সাময়িকী স্ট্যাটিসটা প্রকাশ করেছে এমনই তথ্য।
ফেসবুক সূত্রের বরাতে স্ট্যাটিসটা জানায়, এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পৃথিবীতে সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২৪০ কোটি। তবে ফেসবুক এ আইডির সংখ্যা ব্যবহারকারীর সংখ্যার থেকেও বেশি।
ফেসবুক নিজেই জানায়, তাদের সাইটে যতো আইডি আছে, গ্রাহকদের তার ১৬ শতাংশই ভুয়া অথবা নকল। এখানে নকল বলতে একই ব্যক্তির একাধিক আইডিকে বোঝানো হচ্ছে বলে ফেসবুকের বরাতে জানায় স্ট্যাটিসটা।
স্ট্যাটিসটার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৫ সালে সক্রিয় ব্যবহারকারীর তুলনায় এতে নকল আইডির অনুপাত ছিল প্রায় ৫ শতাংশ। এরপর ২০১৮ পর্যন্ত সেটি বাড়তেই থাকে। ’১৬ সালে এসে সেটি হয় ৬ শতাংশ, ’১৭ সালে ১০ শতাংশ এবং ’১৮ সালে তা এসে ১১ শতাংশে। ২০১৯ সালে নকল আইডির সংখ্যা না বাড়লেও, কমেনি অবশ্য।
অন্যদিকে ২০১৫ সালে ভুয়া আইডির অনুপাত ছিল দুই শতাংশের কিছু কম। ’১৬ সালে ছিল প্রায় এক শতাংশ। ’১৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ থেকে ৪ শতাংশে। তবে ’১৮ সালে ভুয়া আইডির অনুপাত আরও একটু বেড়ে হয় ৫ শতাংশ। অবশ্য সেটিও অপরিবর্তিত আছে ২০১৯ অবধি।

গলায় মাছের কাটা বিঁধলে যা করবেন

গলায় মাছের কাটা বিঁধলে যা করবেন


গলায় মাছের কাটা বিঁধলে যা করবেন

মাছ একটি সুস্বাদু খাবার। অধিকাংশ মানুষই মাছ খেতে ভালবাসে। কিন্তু কিছু কিছু মাছ যেগুলোতে কাটার পরিমাণ একটু বেশি। অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে খেতে গিয়ে গলায় বিঁধে যায় কারও কারও। কখনো গলায় মাছের কাটা বিঁধলে ৫টি ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করুন, সহজেই সমাধান হয়ে যাবে আপনার সমস্যা।
১) গলায় কাঁটা বিঁধলে উষ্ণ পানিতে সামান্য পাতিলেবুর রস মিশিয়ে ওই মিশ্রণ খান। পাতিলেবুর রসের অ্যাসিডিক ক্ষমতা কাঁটাকে নরম করে দেবে। ফলে গলায় বিঁধে থাকা কাঁটা সহজেই নরম হয়ে নেমে যাবে গলা থেকে।
২) লবণ কাঁটা নরম করতে অত্যন্ত কার্যকর। তবে শুধু লবণ না খেয়ে এক কাপ উষ্ণ পানিতে সামান্য লবণ মেশিয়ে নিন। এই উষ্ণ লবণ-পানি খেলে গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটা সহজেই গলা থেকে নেমে যাবে।
৩) গলায় কাঁটা বিঁধলে দেরি না করে সামান্য অলিভ অয়েল খেয়ে নিন। অলিভ অয়েল অন্য তেলের তুলনায় একটু বেশিই পিচ্ছিল। ফলে অলিভ অয়েল খেলে গলায় বিঁধে থাকা কাঁটা পিছলে সহজেই নেমে যাবে।
৪) গলায় কাঁটা বিঁধলে এক কাপ পানির সঙ্গে ২ চামচ ভিনিগার মিশিয়ে খেয়ে নিন। ভিনেগার গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটাকে নরম করতে সক্ষম। তাই পানির সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে খেলে গলায় বিঁধে থাকা কাঁটা সহজেই নরম হয়ে নেমে যাবে।
৫) গলায় কাঁটা বিঁধলে খানিকটা ভাত বা পাউরুটি চটকে ছোট ছোট মণ্ড করে নিন। এবার একবারে গিলে ফেলুন। ভাত বা পাউরুটির মণ্ডের ধাক্কায় গলায় বিঁধে থাকা কাঁটা সহজেই নেমে যাবে।

শরীরের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে পারে বাদাম

শরীরের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে পারে বাদাম


শরীরের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে পারে বাদাম
ফাইল ছবি

বয়স বাড়ছে মানেই হাড়ে ক্ষয়। বয়স বাড়লে হাড়ের ক্ষয় যেন স্বাভাবিক ব্যাপার। বয়স চল্লিশ বছর পার হলেই শরীরে দেখা দেয় ক্যালসিয়ামের অভাব। আর ক্যালসিয়ামের অভাব মানেই হাড়ে গন্ডগোল। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি। হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে। অস্টিওপরোসিসের সমস্যা দেখা দেয়।
আমাদের শরীরে যে হাড় তৈরি হয় তার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি হয় ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত। ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হাড়ের যেমন ক্ষয় হয়, তেমনই রিপ্লেসমেন্টও হয়। এ দু'টোর ভারসাম্য থাকে। ৪০ বছরের পর থেকে হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে তা একটু আগেই হয়। অস্টিওক্লাস্ট নামে একটি কোষ হাড়ের ক্ষয় করে। নারীদের ক্ষেত্রে ইসট্রোজেন হরমোন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অস্টিওক্লাস্টিং বেড়ে যায়। এতে হাড় ক্ষয় হতে পারে। আর পুরুষদের ক্ষেত্রে হয় সেনাইল অস্টিওপরোসিস।
তাই ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে রাখার জন্য কিছু পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। দুপুরে কিংবা রাতের খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ থাকুক বা না থাকুক, খাবারে কয়েকটা বাদাম রাখতেই হবে। চিকিৎসকরা প্রায়ই দিনে অন্তত তিন-চারটি বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে আখরোট, কাজু থেকে হাড় মজবুত রাখতে ভাল সব ধরনের বাদামই। কোনও বাদামে কার্বোহাইড্রেট বেশি, কোথাও প্রোটিন। হাড় সুস্থ রাখতে কমবেশি সব বাদামই উপকারী।

হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ

হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ


হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ
প্রতীকী ছবি

যখন হৃদপিণ্ডের কোনও শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহে বাঁধার সৃষ্টি করে তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। বয়স, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, উচ্চ কোলেস্টোরলের সমস্যা, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, মানসিক চাপ- এসবই মূলত হার্ট অ্যাটাকের কারণ। অনেক সময় হার্ট অ্যাটাক হলেও সঠিকভাবে বোঝা সম্ভব হয় না। সমস্যা হল কখনও কখনও বুকে কোনও ধরণের ব্যথা ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, ফলে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কিনা তা খুব ভাল করে বোঝা যায় না। তাই জেনে নেওয়া যাক হার্ট অ্যাটাকের অন্যান্য লক্ষণগুলি সম্পর্কে-
১) হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের প্রায় একমাস আগে থেকেই দুর্বলতা এবং ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা শুরু হয়ে যায়। কোনও কারণ ছাড়াই শারীরিক দুর্বলতা এবং খুব সহজেই হাঁপিয়ে উঠে ঘন ঘন শ্বাস নেওয়ার সমস্যা শুরুর বিষয়ে সতর্ক থাকুন। এই রকম শারীরিক দুর্বলতা এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হলে বুঝতে হবে হৃদপিণ্ডের বিশ্রামের প্রয়োজন।
২) হটাৎ করে অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার সমস্যা শুরু হলে অবহেলা করবেন না। কারণ এটিও হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ। যখন হার্ট ব্লক হয় তখন রক্ত সঞ্চালনে হৃদপিণ্ডের অনেক বেশি কাজ করতে হয়। এই অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে ঘামের সৃষ্টি হয় এবং এই ঘাম সাধারণত অনেক ঠাণ্ডা হয়ে থাকে। এই ধরনের সমস্যাকে অবহেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
৩) একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, হার্ট অ্যাটাকের আগে থেকে বেশিরভাগ আক্রান্তরই বদহজমের সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও বুক জ্বালা যা আমরা অনেকে স্বাভাবিক বদহজমের সমস্যা ভেবে অবহেলা করি, তাও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত। এর পাশাপাশি কোনও কারণ ছাড়াই মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব এবং বমি করার বিষয়গুলি অবহেলা করবেন না।
৪) অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের সময় বুকে ব্যথা অনুভূত হয় না। এ ক্ষেত্রে বুকে অস্বস্তিকর অনুভূতি এবং বুকে চাপ ধরা ভারি ভাব অনুভব করার বিষয়টিতে নজর দিতে হবে। এই সময় শ্বাস নিতেও সমস্যা হতে পারে। এসব বিষয় নজরে পড়লে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
৫) শুধু বুকে ব্যথাই নয়, শরীরের অন্যান্য বিশেষ কিছু অঙ্গে ব্যথা অনুভব হওয়াও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। পেটের উপরের অংশ, কাঁধ, পিঠ, গলা, দাঁত ও চোয়াল এবং বাম বাহুতে হুট করে অতিরিক্ত ব্যথা হওয়া বা চাপ অনুভব অথবা আড়ষ্টতা অনুভব করাও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। তাই এই বিষয়গুলিকে মোটেই অবহেলা করবেন না।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী করবেন

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী করবেন

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী করবেন
প্রতীকী ছবি

যে কোনো ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া শরীরকে তখনই কাবু করতে পারে যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। জেনে নেওয়া যাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে কী করা যেতে পারে।
রঙিন ফলমূল ও শাক-সবজি : শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজন নানা উপাদান। শাক-সবজি, রঙিন ফলমূলে তার অনেকটাই পাওয়া যায়। প্রতিদিনের খাবারে তাই এসব রাখার চেষ্টা করুন।
প্রয়োজনীয় টিকা দিন : আপনার সব প্রয়োজনীয় টিকা দেওয়া থাকতে হবে। প্রাপ্তবয়স্করা ভ্যাকসিন রিফ্রেশ করতে ভুলবেন না! বিশেষ করে ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, পোলিও, হেপাটাইটিস, মেনিনজাইটিস, হাম, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং এমন অন্যান্য রোগের টিকা নিন।
ভাইরাস পালিয়ে যাবে : বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরের পেশিগুলো নিয়মিত, অর্থাৎ সপ্তাহে তিন দিন জগিং, নর্ডিক ওয়াকিং বা হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়াম করে ঠিক রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। প্রয়োজন যথেষ্ট ঘুম : ঘুম শরীরকে শুধু বিশ্রামই দেয় না, গভীর ঘুমের মধ্যে শরীরে নিউরোট্রান্সমিটার ছড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও সচল রাখে। চাই জীবনে ‘আনন্দ’ : সমীক্ষায় জানা যায়, শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য ভালো মন-মেজাজ এবং জীবনে আনন্দের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমরা নিজেরাও দেখে থাকি যে, তুলনামূলকভাবে হাসি-খুশি মানুষের অসুখ-বিসুখ কম হয়ে থাকে।
মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন : বর্তমান বিশ্বে ‘স্ট্রেস’ বা মানসিক চাপ বহুল উচ্চারিত একটি শব্দ। তবে নেতিবাচক চাপ শরীরে কর্টিসোলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই এ চাপ কমাতে শরীরের ব্যাটারিকে রিচার্জ করুন, অর্থাৎ নিয়মিত যোগব্যায়াম, মেডিটেশন বা এমন কিছু করুন।
হাঁটুন : তাজা বাতাস এবং হাঁটা দুটোই শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। মুক্ত বাতাসে হাঁটার সময় শরীরে রক্ত সঞ্চালনও ঠিকভাবে হয়।

ফেসবুকে বিপজ্জনক কন্টেন্ট বন্ধে রাষ্ট্রকেই কঠোর আইন করতে হবে

ফেসবুকে বিপজ্জনক কন্টেন্ট বন্ধে রাষ্ট্রকেই কঠোর আইন করতে হবে


‘ফেসবুকে বিপজ্জনক কন্টেন্ট বন্ধে রাষ্ট্রকেই কঠোর আইন করতে হবে’
মার্ক জাকারবার্গ

ফেসবুকে বিপজ্জনক অনলাইন কন্টেন্ট বন্ধের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আরও কঠোর আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মার্ক জাকারবার্গ।
তিনি বলেছেন, কোনও বক্তব্য 'আইনসম্মত ও বৈধ' কিনা সেটি বিচার করা ফেসবুকের মত কোনও প্রতিষ্ঠানের কাজ হতে পারে না।
তবে একই সঙ্গে সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত কড়াকড়ি করা হলে সেটি মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করবে, বলে উল্লেখ করে এ বিষয়ে জাকারবার্গ চীনের উদাহরণ দেন।
জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা বিষয়ক এক সম্মেলনে এ কথা বলেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইনে মিথ্যা খবর ও গুজব ছড়ানো বন্ধের জন্য ফেসবুকের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে।
বিশেষ করে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বিষয়ে ফেসবুকের নীতির কারণে সংস্থাটি ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছে।
ফেসবুক ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এবং পরের বছর সারা বিশ্বের জন্য রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বিষয়ে নতুন নীতিমালা চালু করে।
নীতিমালার মধ্যে অন্যতম ছিল, নির্দিষ্ট ওই প্রচারণার জন্য অর্থ প্রদানকারীর নাম-পরিচয় বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করতে হয়, এবং ওই অ্যাডের একটি কপি পাবলিকলি সার্চ করা যায় এমন ডাটাবেসে পরবর্তী সাত বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হয়।
কিন্তু এ সপ্তাহে ফেসবুক ঘোষণা দিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার তারকাদের স্পন্সর করা রাজনৈতিক পোষ্ট সংস্থাটির ডাটাবেসে আর সংরক্ষণ করা হবে না।
তাছাড়া কোম্পানির নীতি অনুযায়ী রাজনীতিবিদদের পোষ্টগুলোর সত্যমিথ্যাও সবসময় যাচাই করা হয়না।
যে কারণে ওই সম্মেলনে জাকারবার্গ আইন কঠোর করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পেয়ারা

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পেয়ারা


রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পেয়ারা

দেশী ফলগুলোর মধ্যে পেয়ারা বেশ পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি ফল। সাধারণ এবং সহজলভ্য এই ফলটির পুষ্টিগুণ অনেক। শুধু ফল নয়, পেয়ারা পাতায়ও রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। 
পেয়ারার পুষ্টিগুণ:
পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ। একটি পেয়ারাতে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে একটি মাঝারি আকৃতির কমলা থেকে। ১০ গুণ বেশি ভিটামিন এ রয়েছে লেবুর তুলনায়। এছাড়া ভিটামিন বি২, ই, কে, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, কপার, আয়রন, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম রয়েছে।
উপকারিতা:
১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে বিভিন্ন রোগের সাথে যুদ্ধ করার শক্তি প্রদান করে।
২। ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস
পেয়ারাতে লাইকোপিন, ভিটামিন সি, কোয়ারসেটিন এর মত অনেকগুলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা শরীরের ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধ করে। এটি প্রোসটেট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৩। হার্ট সুস্থ রাখতে
১৯৯৩ সালে “Journal of Human Hypertension” এ প্রকাশিত হয় যে নিয়মিত পেয়ারা খেলে রক্ত চাপ ও রক্তের লিপিড কমে। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, ভিটামিন সি রয়েছে। পটাশিয়াম নিয়মিত হৃদস্পন্দনের এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত ভাবে লাইকোপিন সমৃদ্ধ গোলাপি পেয়ারা খেলে কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমায়।
৪। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
চাইনিজ চিকিৎসা শাস্ত্ররে অনেক বছর ধরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেয়ারা ব্যবহার হয়ে আসছে। ১৯৮৩ সালে American Journal of Chinese Medicine প্রকাশ করেন যে, পেয়ারার রসে থাকা উপাদান ডায়াবেটিস মেলাইটাসের চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে পেয়ারা পাতাও বেশ কার্যকর। কচি পেয়ারা পাতা শুকিয়ে মিহি গুঁড়ো করে ১ কাপ গরম পানিতে ১ চা চামচ দিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রেখে তারপর ছেঁকে নিয়ে পান করতে পারেন প্রতিদিন।
৫। ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে
বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত সমস্যা যেমন ব্রংকাইটিস সারিয়ে তুলতে ভূমিকা রাখে পেয়ারা। উচ্চ পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন সি থাকায় এটি শ্লেষ্মা কমিয়ে দেয়। তবে কাঁচা পেয়ারা ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে কার্যকর।
৬। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
পেয়ারা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৭। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে
ভিটামিন এ চোখের জন্য উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন এ কর্নিয়াকে সুস্থ রাখে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেয়ারা রাখুন। কাঁচা পেয়ারা ভিটামিন এ এর ভাল উৎস।

ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয়

ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয়


ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয়

ক্যান্সার রাতারাতি হয় না। দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারার ফলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে। তবে আপনি চাইলেই এখন এ ঝুঁকি কমাতে পারেন। শুধু আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে কিছু খাবার। 
ক্যান্সার প্রতিরোধক খাবার সম্পর্কে জেনে নিন;
চিনিযুক্ত পানীয় বাদ দিন : চিনিযুক্ত পানীয় স্থূলতা এবং ডায়াবেটিস হওয়ার মূল কারণ। জনস্বাস্থ্য মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল থেকে গবেষণা করে দেখা গেছে, চিনিযুক্ত পানীয় পানে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে প্রায় ৮৭ শতাংশ পর্যন্ত। তাই চিনিযুক্ত পানীয় যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
রসুন  : এই তীব্র কটু ঔষধি অ্যালাইল সালফার যৌগ যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে ইমিউন সিস্টেম তৈরি করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে রসুন কোলন ক্যান্সারের কম ঝুঁকি ৫০ শতাংশ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া রসুন হার্টের জন্যও খুবই উপকারী।
নিয়মিত বাদাম খান : বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি। যারা প্রতিনিয়ত বাদাম খান তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি এমনিতেই কমে যায়। কারণ বাদাম শ্বসনতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে ক্যান্সারের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। যেহেতু বিভিন্ন কারণে ক্যান্সার হতে পারে,তাই বাদাম শুধু সামান্য কিছু কারণের ঝুঁকি কমাতে পারে। 
অ্যালকোহল পরিহার করুন : অতিরিক্ত অ্যালকোহল মুখ, গলা, খাদ্যনালী, এবং স্বরযন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।তাই অ্যালকোহল পুরোপুরি পরিহার করতে হবে। 
বসে থাকার অভ্যাস কমাতে হবে : একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে যারা দিনের বেশির ভাগ সময় বসে কাটায় তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে ২৪ শতাংশ বেশি। তাই একটানা বসে না থেকে এক ঘন্টায় অন্তত কয়েক মিনিটের জন্য হলেও চারপাশে পায়চারি করাতে হবে।