রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০

সেই হাদিস অনুযায়ী ওষুধ বানিয়ে করোনা চিকিৎসায় অবিশ্বাস্য সাফল্যের দাবি সৌদিতে

সেই হাদিস অনুযায়ী ওষুধ বানিয়ে করোনা চিকিৎসায় অবিশ্বাস্য সাফল্যের দাবি সৌদিতে




প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব।  এই ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে যখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে বিশ্বের আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান, তখন হাদিসে বর্ণিত উপায়ে ওষুধ বানিয়ে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ার দাবি করেছে সৌদি আরবের গবেষক দল।



সহীহ বুখারী শরিফের ৫৩৬৩ নম্বর হাদিসে হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুল (সা.) বলেছেন, “কালিজিরা সকল রোগের ওষুধ কেবল বিষ ছাড়া। ” তিনি (আয়েশা) বললেন ‘বিষ’ কী? জবাবে নবী (সা.) বললেন, “মৃত্যু”।
হাদিসের এই বাণীর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ‘তাইবুভিড’ নামে একটি ওষুধ তৈরি করেছে মদীনার ‘তাইবাহ ইউনিভার্সিটির অ্যান্টি-কোভিড ট্রিটমেন্ট’ গবেষক দল।  আমেরিকান জার্নাল ‘পাবলিক হেল্থ রিসার্চ’ এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেছে।
এই ওষুধের মূল উপাদান হল:- কালিজিরা, ক্যামোমিল ও প্রাকৃতিক মধু।
গবেষণাপত্র অনুযায়ী, এক ডোজ তাইবুভিডে রয়েছে, “এক চা চামচ (২ গ্রাম) কালিজিরা, এক চা চামচ (১ গ্রাম) ক্যামোমিল (এক ধরনের ফুল) চূর্ণ এবং এক চা চামচ প্রাকৃতিক মধু।”

খাবারের নিয়ম

এই উপাদানগুলো ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।  এরপর ভালভাবে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে হবে। 
উল্লেখ্য, এটা খাওয়ার পর জুস, কমলা ও লেবু খেলে আরও ভাল।

চিকিৎসা

• প্রথম এক সপ্তাহ প্রতিদিন পাঁচবার করে এই ওষুধ খেতে হবে।  এরপর মহামারী শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন একবার করে খেতে হবে।

• যদি তীব্র কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকে, কালিজিরা অথবা লবঙ্গ দিয়ে গরম পানির ভাপ নিতে পারেন।  অথবা কালিজিরা ও ক্যামোমিল দিয়েও গরম পানির ভাপ নেওয়া যেতে পারে।

• উপরের দুইটি উপাদানের যেকোনও একটি নেবুলাইজারে দিয়ে তা নাসারন্দ্র দিয়ে গ্রহণ করুন।

• যদি নেবুলাইজার না থাকে, সেক্ষেত্রে এক টেবিল চামচ কালিজিরা, এক টেবিল চামচ ক্যামোমিল চূর্ণ এবং এক কাপ পানি একটি পাত্রে নিয়ে গরম করে ভাপ নিতে হবে। এভাবে দিনে ৫ থেকে  ৬ বার নিতে হবে।

তাইবাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষক দলের প্রধান ডা. সালাহ মোহাম্মদ আল সাঈদ বলেন, “আমরা করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য কালিজিরা, ক্যামোমিল, লবঙ্গসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান নিয়ে গবেষণার পর আশানুরূপ ফল পেয়েছি।  গবেষণার পর আমরা যা পেয়েছে, সেটি হচ্ছে- কালিজিরা এবং ক্যামোমিল করোনাভাইরাসকে পুরোপুরি দমন করতে  পারে।
তিনি আরও বলেন, “আল্লাহ তা’আলার কৃপায় যেসব করোনা আক্রান্ত রোগী এই ওষুধ গ্রহণ করেছেন, তারা খুব ভাল উপকার পেয়েছেন।  তারা এটি নিজেরা বাড়িতেই তৈরি করেছেন।”
“এই ওষুধে উপকার পেতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগেনি,” যোগ করেন তিনি। 

নতুন ডেটা সক্ষমতা এবং বৈশিষ্ট্যতা দিচ্ছে মাল্টি-ক্লাউড প্লাটফরম

নতুন ডেটা সক্ষমতা এবং বৈশিষ্ট্যতা দিচ্ছে মাল্টি-ক্লাউড প্লাটফরম

নতুন ডেটা সক্ষমতা এবং বৈশিষ্ট্যতা দিচ্ছে মাল্টি-ক্লাউড প্লাটফরমমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক কম্পিউটার টেকনোলজি কর্পোরেশন ওরাকলের তত্ত্বাবধানে ফরেস্টার কনসাল্টিং পরিচালিত নতুন এক গবেষণায় মাল্টি-হাইব্রিড ক্লাউড প্লাটফরমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দেয়া হয়েছে।




সংকটকালীন সময়ে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানাতে এবং তা পর্যবেক্ষণে সক্ষম করতে প্রয়োজনীয় অসংখ্য তথ্যকে ক্রমানুসারে সাজিয়ে রাখতে এ প্লাটফরমের গুরুত্বের কথা বলা হয়েছে।

“মুভিং দ্য নিডল: ডেটা ম্যানেজমেন্ট ফর দ্য মাল্টি-হাইব্রিড এইজ অব টেকনোলজি” শীর্ষক এ গবেষণায় বলা হয়েছে, ৬৭০ জন সিনিয়র টেকনোলজি ডিসিশন মেকারদের মধ্যে ৮২ শতাংশ মনে করেন, সঠিক ডেটা ব্যবস্থাপনা কৌশলে বিনিয়োগ করলে ব্যবসায় ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। কিন্তু ৭৩ শতাংশ স্বীকার করেন, তাদের পৃথক এবং স্বতন্ত্র ডেটা কৌশল তাদের ব্যবসায়িক অংশীদারদের প্রয়োজনীয় ডেটা সরবরাহে বাধা দিচ্ছে।  
ওরাকল সিস্টেমস, জেএপিএসি (জাপাক) এবং ইএমইএ’এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট চং হেং বলেন, “এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানগুলো ডেটার উৎসকে সমন্বিত করতে এবং ডেটা সুরক্ষা ও পরিচালনায় শীর্ষে থাকার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ অগ্রগতি এনেছে। কিন্তু গবেষনায় আরো দেখা যাচ্ছে, এ বিষয়ে তাদের অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়াটা তাদের হয়তো মাল্টি-হাইব্রিড ক্লাউডের কিছু সুবিধা উপলব্ধি করা থেকে পিছিয়ে রাখছে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর ডেটা ব্যবস্থাপনায় অনন্য সক্ষমতা এবং বৈচিত্রতা পাওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমানে মাল্টি-হাইব্রিড ক্লাউড প্রয়োজন। এমনকি, জাপান এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ প্রতিষ্ঠানকে ডেটা ব্যবস্থাপনার এই দিকটিতে গুরুত্ব দিতে দেখা গেছে, যা ইউরোপের দুই-তৃতীয়াংশের চেয়েও বেশি। তাদের যত দ্রুত সম্ভব মাল্টি-হাইব্রিড ক্লাউড এনভায়রনমেন্টের সুবিধা বুঝতে হবে, তা না হলে ঝুঁকিতে পড়তে হবে।”
গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরনের আইটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গিয়ে ক্রমবর্ধমান জটিলতায় ৬৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মাল্টি-হাইব্রিড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জের সাথে লড়াই করছে। তাই, ৭০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের তাদের আইটি খাতকে সহজ করার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়াটা খুব বেশি আশ্চর্যজনক নয়।
ওরাকল বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বিশেষ করে এশিয়া প্যাসিফিক, ইউরোপ এবং মধ্য প্রাচের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানের ডেটা ব্যবস্থাপনা মূল্যায়ণ করার জন্য ফরেস্টার কনসাল্টিং’কে দায়িত্ব দেয়। ফরেস্টার ডেটা ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং ডেটা স্ট্র্যাটেজির দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ৬৭০ জন প্রযুক্তি এবং ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর উপর অনলাইন জড়িপ পরিচালনা করে। এছাড়াও তারা এসব অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে ১০ জন সি-লেভেল এক্সিকিউটিভদের ডেটা ব্যবস্থাপনায় তাদের এপ্রোচ, ড্রাইভার এবং বেস্ট প্র্যাকটিসের সূক্ষাতিসূক্ষ বিষয় বের করে আনতে সাক্ষাৎকার নেয়।

রবিবার, ৩১ মে, ২০২০

এবার বাজারে এলো অ্যাপলের ‘ম্যাকবুক প্রো’

এবার বাজারে এলো অ্যাপলের ‘ম্যাকবুক প্রো’

এবার বাজারে এলো অ্যাপলের ‘ম্যাকবুক প্রো’
করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। করোনা মোকাবেলায় বিশ্বজুড়ে চলা লকডাউনের মধ্যেও নতুন সংস্করণের ‘ম্যাকবুক প্রো’ ল্যাপটপ বাজারে এনেছে অ্যাপল। 
দশম প্রজন্মের ইন্টেল প্রসেসরে চলা ১৩ ইঞ্চি স্ক্রিনের ল্যাপটপটিতে রয়েছে আট গিগাবাইট র‌্যাম এবং ২৫৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতা। তবে ব্যবহারকারীরা চাইলেই ল্যাপটপটিতে ১৬ বা ৩২ গিগাবাইট র‌্যাম এবং চার টেরাবাইট পর্যন্ত এসএসডি স্টোরেজ যুক্ত করতে পারবেন।
ম্যাজিক কিবোর্ড সুবিধার ল্যাপটপটির দাম এক হাজার ২৯৯ ডলার। সোমবার থেকে অনলাইনে কেনার সুযোগ মিললেও অ্যাপল স্টোরে ল্যাপটপটির দেখা মিলবে আগামী সপ্তাহে। গত মাসে নতুন সংস্করণের আইফোনও বাজারে এনেছে অ্যাপল।

শনিবার, ৩০ মে, ২০২০

একসঙ্গে ২৫০ জনের ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সুবিধা পাওয়া যাবে!

একসঙ্গে ২৫০ জনের ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সুবিধা পাওয়া যাবে!


একসঙ্গে ২৫০ জনের ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সুবিধা পাওয়া যাবে!
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ঠেকাতে দেশে দেশে চলমান লকডাউনে ঘরবন্দী মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা বেড়েছে ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপের। অনেকই অ্যাপই অনলাইনে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করেছে। এর মধ্যে শুরুতে জুম অ্যাপের জয়জয়কার থাকলেও নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়ে যায় সেটি। এতে মাইক্রোসফট, গুগলের মতো টেক জায়ান্ট এমন অ্যাপ সুবিধা নিয়ে আসে। এবার মাইক্রোসফটের ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ মাইক্রোসফট টিমে ২৫০ জন অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আগে এই সুবিধা ১০০ জনের মধ্যে সীমাবন্ধ ছিল। 
গতকাল বুধবার এই ঘোষণার মাধ্যমে মাইক্রোসফট আশা করছে যে, এটি গুগল মিট এবং জুম অ্যাপের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হবে।  লকডাউনের কারণে বাড়ি থেকে কর্মরত বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ ব্যবহার করছেন। এছাড়া এর সাহায্যেই অনলাইনে চলছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনাও। বর্তমানে এমএস টিমে ৭৫ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। তবে ২০ জন অংশগ্রহণকারী বিনামূল্যে এই ভিডিও কনফারেন্সিং-এর সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ফিচারটি চলে আসবে।

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য এলো ফেসবুক শপস

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য এলো ফেসবুক শপস


ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য এলো ফেসবুক শপস
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসা প্রসারের জন্য ‘ফেসবুক শপস’ নামে নতুন একটি ফিচার চালু করেছে। ফেসবুকের মালিকানাধীন ইন্সটাগ্রামেও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অনলাইন শপ চালু করে ব্যবসা করতে পারবেন উদ্যোক্তারা।

ফেসবুকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জুকারবার্গ বুধবার নিজ আইডি থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে ফেসবুক শপের ঘোষণা দেন। ফেসবুক শপ ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে বলে জানালেও কোন কোন দেশ বা অঞ্চলে এখন পর্যন্ত এটি কার্যকর করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলেননি মার্ক।
মার্ক জুকারবার্গ বলছেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা সম্ভব হচ্ছে না। একইসঙ্গে যে অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এতে অনেকেই চাকরি হারাচ্ছেন। এমন প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীরা অনলাইন শপ এর প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। 
ফেসবুক শপ এর ধারণা দিয়ে মার্ক জুকারবার্গ জানান, ফেসবুক শপ চালু করা খুবই সহজ এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা যাবে এটি। ফেসবুক শপ চালুর সঙ্গে সঙ্গে এটি ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রামে চালু হবে। আর দ্রুতই এই সুবিধা আসতে যাচ্ছে মেসেঞ্জার এবং হোয়াটস অ্যাপেও।
ক্ষুদ্র এবং স্থানীয় উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ীদের ফেসবুক শপের সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে শপিফাই, বিগ কমার্স, উ-কমার্স, ক্যাফে ২৪, ফেডনমিক্স এর মতো প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেও অংশীদারিত্বে ফেসবুক কাজ করছে বলে জানান মার্ক।
অদূর ভবিষ্যতে ফেসবুক শপসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং অগমেন্টেট রিয়েলিটি (এআর) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এতে ফেসবুক ব্যবহারকারীর পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন শপসের পণ্য সম্ভাব্য গ্রাহকদের দেখানো হবে। অগমেন্টেট রিয়েলেটি এর মাধ্যমে ক্রেতারা অনলাইনেই বাস্তব কেনাকাটার মতো অভিজ্ঞতা পাবেন। 
জুকারবার্গ বলছেন, ফেসবুকের এসব টুলস ব্যবহার করে ঘরে লিভিং রুমে বসেই পুরোদস্তুর একটি সুপার শপ চালাতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। 
একই সাথে গ্রাহকদের রিয়েল টাইম শপিং করার অভিজ্ঞতা দিতে চালু করা হবে লাইভ ফিচারস।

শুক্রবার, ২৯ মে, ২০২০

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাওয়া জরুরি

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাওয়া জরুরি

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাওয়া জরুরি
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকলে বিভিন্ন রোগ ও সংক্রমণ থেকে বাঁচা যায়। ভিটামিন সি শরীরের এই ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

যেসব খাবারে পাওয়া যায়
বিভিন্ন ফল ও সবজিতে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যেমন ফলের মধ্য়ে আছে কিউই, লেবু, কমলা, পেঁপে, পেয়ারা, আঙুর, জাম্বুরা, আমলকী, আমড়া, স্ট্রবেরি। আর সবজির মধ্যে ব্রাসেলস স্প্রাউট, ব্রকোলি, মরিচ এসব। তবে মনে রাখতে হবে ভিটামিন সি তাপ-সংবেদনশীল। তাই রান্নার সময় একটু সতর্ক থাকতে হবে।
উপকারিতা
শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে ভিটামিন সি। সাধারণ সর্দি-কাশিতেও এটি অনেক উপকারী। এছাড়া ত্বক, দাঁত ও চুল ভালো রাখতে সহায়তা করে ভিটামিন সি।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, টিউমার, ক্যানসারসহ নানান কঠিন অসুখের জন্য দায়ী ফ্রি-র‌্যাডিক্য়াল, যা ফরমালিন ও কীটনাশকযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে। এছাড়া দূষিত পরিবেশে বসবাস, অনেক বেশি ফাস্টফুড খাওয়া, মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবন ইত্যাদি কারণেও শরীরে ফ্রি-র‌্যাডিক্য়াল তৈরি হয়। ভিটামিন সি-র মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এসব ফ্রি-র‌্যাডিক্য়ালের ক্ষতিকর প্রভাব প্রশমিত করতে পারে।
কোলাজেন তৈরি
আমাদের শরীরের মাংসপেশী, হাড়, রক্তনালী, পরিপাকতন্ত্র ও ত্বকে কোলাজেন প্রোটিন রয়েছে। এটি কোষের স্বাস্থ্য ও স্থিতিস্থাপকতা ঠিক রাখে। বয়স হলে কোলাজেনের পরিমাণ কমতে থাকে। তাই তখন ত্বক ঝুলে যেতে শুরু করে। ভিটামিন সি এই কোলাজেন তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
লড়াই
সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে শরীরে ভিটামিন সি দরকার। কারণ শরীরের কোনও অংশে সংক্রমণ দেখা দিলে সেখানে রোগ-প্রতিরোধী কোষ পাঠাতে সহায়তা করে ভিটামিন সি।
স্কার্ভি থেকে মুক্তি
ভিটামিন সি-এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হতে পারে। সম্ভাব্য প্রাণঘাতী এই রোগের লক্ষণগুলো হচ্ছে ক্ষত তাড়াতাড়ি না শুকানো, চুল ও দাঁত পড়া, কালশিটে দাগ পড়া ও জয়েন্টে ব্যাথা। স্কার্ভি থেকে বাঁচতে প্রতিদিন ১০ মিলিগ্রাম সমপরিমাণ ভিটামিন সি খাওয়া যথেষ্ট।
প্রতিদিন কতটুকু খাওয়া উচিত?
জার্মানির পরামর্শক সংস্থার হিসেবে একজন পুরুষের দৈনিক ১১০ মিলিগ্রাম ও একজন নারীর ৯৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে প্রতিদিন ৪০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়ার পরামর্শ দেন। 

গ্রেফতার করলেও কারখানা খোলা রাখব: টেসলা প্রধান

গ্রেফতার করলেও কারখানা খোলা রাখব: টেসলা প্রধান


গ্রেফতার করলেও কারখানা খোলা রাখব: টেসলা প্রধান
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের। 
এমন পরিস্থিতির মাঝেই স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করে ক্যালিফোর্নিয়ার আলামেডা কাউন্টিতে অবস্থিত ফ্রিমন্ট কারখানা খুলে দিয়েছেন টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির মালিক বলছেন, কারখানায় পুলিশ গেলে তিনি নিজে গ্রেফতার হবেন। 
মাস্ক গত মাস থেকে লকডাউনের বিরুদ্ধে সোচ্চার। এর মধ্যে গত শনিবার আলামেডা কাউন্টির বিরুদ্ধে মামলা করে দেন। অভিযোগে কাউন্টির কর্মকাণ্ডকে তিনি ‘ক্ষমতা-দখলের’ সঙ্গে তুলনা করেন। পাশাপাশি হুমকি দেন, খুলতে না দিলে কারখানা নেভাডা অথবা টেক্সাসে সরিয়ে নেবেন।
টেসলা প্রধান বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়া গভর্নরের কাছে কারখানা খোলার অনুমতি চান। রবিবার তিনি জানিয়ে দেন, কারখানায় শ্রমিক যাচ্ছে।
মাস্ক সোমবার টুইটে লিখেছেন, ‘শ্রমিকদের সঙ্গে আমি কাজে নামব। কেউ গ্রেফতার হলে সেটা হব শুধুমাত্র আমি।’

এক ভিডিও কলেই ৩৭০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা উবারের

এক ভিডিও কলেই ৩৭০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা উবারের


এক ভিডিও কলেই ৩৭০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা উবারের
এক ভিডিও কলের মাধ্যমেই প্রায় সাড়ে ৩৭০০ কর্মী ছাঁটাই করায় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছে অ্যাপ-ক্যাব পরিসেবা প্রদানকারী সংস্থা উবার। কোম্পানিটির কর্মীদের ছাঁটাই করার কথা ঘোষণা করেন উবারের গ্রাহক পরিসেবা বিভাগের প্রধান রাফিন শ্যাভলো। প্রায় তিন মিনিটের একটি ভিডিও কলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৪ শতাংশ কর্মীকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানান তিনি।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে কোম্পানি যে আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতেই উবারের কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত। ভিডিও কলটিতে শ্যাভলো বলেন, আজই উবারের সঙ্গে আপনাদের শেষ দিন। ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে বলে নিশ্চিত করেন শ্যাভলো।
কোনো ধরনের নোটিস ছাড়াই একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও কলের মাধ্যমে এভাবে কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনায় তোপের মুখে পড়েছে উবার। প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মীরাও এর জন্য সমালোচনা করছেন।

এবার রহস্যময় প্রযুক্তির বিস্ময়কর চশমা আনছে অ্যাপল

এবার রহস্যময় প্রযুক্তির বিস্ময়কর চশমা আনছে অ্যাপল

এবার রহস্যময় প্রযুক্তির বিস্ময়কর চশমা আনছে অ্যাপল
বিজ্ঞানের বিস্ময় মানুষকে প্রতিনিয়তই ভাবাচ্ছে। অবাক করা অনেক প্রযুক্তিই এখন মানুষের ঘরে ঘরে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত অনেক কিছুই প্রযুক্তির ছোঁয়ায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বৈশ্বিক স্মার্ট ঘড়ির বাজারে একচ্ছত্র আধিপত্য ধরে রেখেছে প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল। এবার মার্কিন এই প্রতিষ্ঠানটি ঘড়ির পর গুগল গ্লাসের মতো স্মার্ট চশমা আনতে যাচ্ছে বিশ্ব বাজারে।
বলতে গেলে চশমার আদলে স্মার্টফোন ও কম্পিউটারের চেয়েও অ্যাডভান্স অনেক বিস্ময় ও রহস্য যুক্ত থাকবে সেই চশমায়। অনেকদিনের গবেষণা অনুযায়ী এ বছরের শেষে বা ২০২১ এর শুরুতে বা ২০২২ সালে রিলিজ হতে পারে এই সুপার ডিজিটাল ডিভাইসটি। 
ডিভাইসটি বাজারে আসার আগেই এটি নিয়ে নানা রকম মুখোরোচক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই অ্যাপলের চশমা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানাচ্ছে, বলা হচ্ছে এগুলো ফাঁস হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন রকম ফিচারের কথা, যা যুক্ত থাকবে অ্যাপলের ঐ স্মার্ট চশমায়। ‘ফ্রন্ট পেজ টেক’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে এর ডিজাইন, রহস্যময় অনেক ফিচার, নামকরণ, মূল্য ও বাজারের আসার তারিখ নিয়ে কিছু এক্সক্লুসিভ তথ্য ফাঁস করা হয়েছে।
ওই ইউটিউবারের দেওয়া তথ্য ও বিভিন্ন পোর্টালের প্রতিবেদন বলছে, প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলের চশমায় iPad Pro এর মতো AR সেন্সর থাকবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জন্য ও প্রজেক্টর থাকবে চশমার পিছনে কন্টেন্ট দেখার জন্য। ডাটা প্রসেস হবে আইফোনে, ওয়ারলেস চার্জিং ও Starboard UI-ও থাকবে।
এও বলা হচ্ছে, এই চশমায় ক্যামেরা, মাইক্রোফোনস, হেডসেটস এমনকী তুলনামূলক অনেক অ্যাডভান্স শক্তিশালী সেন্সরও থাকবে। আইফোনের সাথে কানেক্টেড থেকে অ্যাপলের এই ডিভাইস তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। যাতে গুগল গ্লাসের আদলে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, অডিও-ভিডিও কলিং, ছবি তোলা, ভিডিও করা, ম্যাপ দেখা, ফেস ও লোকেশন রিকগনাইজ করাসহ অনেক সুবিধা থাকবে। যার মূল্য শুরু হতে পারে ৪৯৯ ইউএস ডলার থেকে। আরও বিস্তারিত দেখুন এই ভিডিওতে
উল্লেখ্য, প্রযুক্তির জগতে সবচেয়ে রহস্যময় পণ্য হিসেবে আলোচনায় থাকা গুগল গ্লাসকেও পেছনে ফেলে দেবে অ্যাপল স্মার্ট গ্লাস। যা আগামী দিনের স্মার্টফোনের ধারণাকেই বদলে দিবে। যদিও ২০১৩ সালে প্রথম এই ধরনের স্মার্ট গ্লাস এনে সমালোচনার মুখে পড়ে গুগল। সেই গ্লাসের সাহায্যে অনুমতি ছাড়া এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট জ্ঞান না থাকায় ছবি তোলা বা রেকর্ডিং করার অভিযোগ ওঠে। তাতে টনক নড়ে গুগল কর্তৃপক্ষেরও। পরে তা বিক্রি বন্ধ করে দেয় গুগল কর্তৃপক্ষ। এবং কিছু সংস্কার নিয়ে আসা হয় গুগল চশমায়। গুগলের সেই চশমার সাহায্যে ছবি তোলা, ভিডিওচিত্র ধারণ, অডিও ধারণ করার জন্য রয়েছে বিশেষ প্রযুক্তি। ইন্টারনেট ব্রাউজ করা ও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটসহ নানা অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার। এবং কণ্ঠস্বর ও চেহারা শনাক্তকরণ প্রযুক্তিও রয়েছে এতে

দুশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা, বন্ধ হয়ে যেতে পারে ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট পরিষেবা!

দুশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা, বন্ধ হয়ে যেতে পারে ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট পরিষেবা!

দুশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা, বন্ধ হয়ে যেতে পারে ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট পরিষেবা!
একের পর এক বিপর্যয় দেখছে গোটা বিশ্ব। ২০২০ শুরু না হতেই করোনার প্রকোপ। যা কিনা গোটা বিশ্বকে প্রায় স্তব্ধ করে দিয়েছে। প্রথম বিশ্বের দেশগুলো থেকে তৃতীয় বিশ্বের দেশ, বাদ পড়েনি কেউ-ই! মৃত্যু মিছিল সবর্ত্র। করোনার মাঝেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ও ওড়িশায় ধেয়ে এল আম্ফান ঝড়। একেবারে তছনছ করে দিল পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাকে। আম্ফানের তাণ্ডব থেকে এখনও নিজেদের কাটিয়ে উঠতে পারেনি সেখানকার মানুষ।
ফের যেন বিশ্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ। না এবার কোনও রোগ বা ঘূর্ণিঝড় নয়। বরং তার থেকেও যেন আরও বেশি ভয়ঙ্কর খবর শোনালো ইউরোপিয়ান স্পেশ এজেন্সি ও তাদের তোলা কিছু স্যাটেলাইট ছবি। সেই ছবি ও তথ্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, দুর্বল হয়ে আসছে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র। যার ফল কিনা ভয়াবহ ।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র এমন এক ধরনের চৌম্বক ক্ষেত্র যা পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ থেকে শুরু করে মহাশূন্য পর্যন্ত বিস্তৃত। ভূপৃষ্ঠে এর আয়তন ২৫ থেকে ৬৫ মাইক্রোটেসলা। এই শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রের কারণেই মহাবিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে থাকা কোটি ধরনের মহাজাগতিক রশ্মি থেকে রক্ষা পাচ্ছে আমাদের এই পৃথিবী। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র যদি কোনওদিন শূন্য হয়ে যায় তাহলে এ গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব টিকে থাকাটাই কঠিন হবে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের চৌম্বক ক্ষেত্র ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে। যা কিনা বেশ দুশ্চিন্তার। তা এই চৌম্বক ক্ষেত্র দুর্বল হলে কী হতে পারে? গবেষকদের ধারণা ভূচৌম্বক ক্ষেত্র দুর্বল হয়ে যাওয়া পৃথিবীর মেরুর পরিবর্তনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। গোলমাল হতে পারে ম্যাগনেটিক নর্থ ও ম্যাগনেটিক সাউথের। আজ থেকে ৭ লাখ ৮০ হাজার বছর আগেও একইভাবে একবার পৃথিবীর মেরু পরিবর্তন ঘটেছিল।
বিজ্ঞানীদের কথায়, প্রাথমিকভাবে মোবাইল, ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট কাজ করা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে মানবসভ্যতা। তবে আশার আলো একটাই, এই ঘটনা ঘটতে লাগবে বহু বছর । একদিনে হুট করে এটা হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই।

উপুড় হয়ে শুয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে হতে পারে যেসব ভয়ানক ক্ষতি

উপুড় হয়ে শুয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে হতে পারে যেসব ভয়ানক ক্ষতি

উপুড় হয়ে শুয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে হতে পারে যেসব ভয়ানক ক্ষতি

পেটে ভর দিয়ে উপুড় হয়ে শোয়া বা আধশোয়া হয়ে বই পড়া, ল্যাপটপ-মোবাইল চালান অনেকে। সাময়িকভাবে আরাম মনে হলেও এ অভ্যাসের কারণে মেরুদণ্ড, শ্বাসপ্রশ্বাস, শরীরের বিশ্রাম ও ঘুমের ওপরও প্রভাব পড়তে পারে।
পেটে ভর দিয়ে শুয়ে বিভিন্ন কাজ করলে ক্ষতির শিকার হতে পারে মেরুদণ্ড এবং অন্ত্র। এ ছাড়াও মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বাঁক বদলে গিয়ে ঘাড়-পিঠে ব্যথা হতে পারে।
পেটের ভরে শোওয়ার সময় ঘাড় প্রসারিত হয়ে দুই কাঁধ কানের কাছাকাছি পৌঁছায়। শরীরের বেশির ভাগ ভর পড়ে দুই হাতের ওপর। এই অবস্থায় বিভিন্ন হাড়ের জোড়ায় অস্বাভাবিক চাপ পড়ে। এটি প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত হলে দীর্ঘ মেয়াদে ভয়ানক ক্ষতি হতে পারে।
শরীরে সব অঙ্গের স্বাভাবিক কার্যাবলির নিয়ন্ত্রক স্নায়ুতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে মেরুদণ্ড। স্নায়ুতন্ত্রে কোনো সমস্যা দেখা দিলে পুরো শরীরই অচল হয়ে পড়তে পারে। আর পেটে ভর দিয়ে শুয়ে থাকায় এই ঝুঁকিটাই বাড়তে থাকে।
এভাবে শুয়ে থাকলে পিঠের নিচের অংশেও অস্বাভাবিক চাপ পড়ে। পিঠের নিম্নাংশে সমস্যা থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য ও মলত্যাগজনিত নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
এছাড়া পেটে ভর দিয়ে শুয়ে থাকার সময় শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পেশিগুলোর ওপর শরীরের ভার পড়ে। ফলে শ্বাসপ্রশ্বাস পরিপূর্ণ হতেও বাধার সৃষ্টি হয়।
করণীয়
চেয়ারে বা বিছানায় আরাম করে বসে মোবাইল-ল্যাপটপ ব্যবহারের অভ্যাস করুন।
বসার সময় যেন পিঠের ওপর টানা চাপ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
দেখার জন্য মাথা না ঝুঁকিয়ে বরং ডিভাইসটি চোখের সমান্তরালে নিয়ে আসুন।

কোনটা স্বাস্থ্যসম্মত, কম ঝাল নাকি বেশি ঝালের মরিচ

কোনটা স্বাস্থ্যসম্মত, কম ঝাল নাকি বেশি ঝালের মরিচ

কোনটা স্বাস্থ্যসম্মত, কম ঝাল নাকি বেশি ঝালের মরিচ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজির অধীনে পরিচালিত ‘ল্যাবরেটরি অব ইউকারেউটিক জিন এক্সপ্রেশন অ্যান্ড ফাংশন’ এবং চিটাগাং রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর চিলড্রেন সার্জারি (ক্রিকস) যৌথভাবে এক সমীক্ষা চালায়।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের অতিরিক্ত ঝাল খাওয়ার প্রবণতা ও উপকূলীয় মানুষের শুটকি খাওয়ার কারণে ক্যান্সার বেশি হচ্ছে বলে সমীক্ষায় ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে বছরে অন্তত দুই লাখ মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত হন। আর চট্টগ্রামে বছরে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত হন। তার মধ্যে মহিলারা জরায়ু এবং ব্রেস্ট ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। অপরদিকে পুরুষরা ফুসফুস এবং মলদ্বারের ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
দক্ষিণ চট্টগ্রাম এবং বৃহত্তর কক্সবাজার এলাকায় ব্রেস্ট, জরায়ু এবং খাদ্যনালীর ক্যান্সারের রোগী বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
সমীক্ষায় প্রকাশ করা হয় ডিটিটিযুক্ত শুঁটকি ও অতিরিক্ত ঝাল মরিচ এর প্রধান কারণ।
কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ঝাল খাওয়ার কারণে জিহ্বার স্বাদকোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়। অত্যন্ত ঝাল খাওয়ার অভ্যাস স্মৃতিলোপ ঘটাতে পারে এবং অ্যালঝেইমার্স রোগের সম্ভাবনাও দেখা দেয়।
এপেন্ডিসাইটিস হওয়ার মূল কারণ অতিরিক্ত ঝাল, এটি খাদ্যনালী সংকুচিত করে খাদ্যনালীর প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত করে যার ফলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত ঝাল খেলে একটা সময়ের পরে খাবার আর হজম হতে চায় না এবং পরবর্তীতে পাকস্থলীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই আসুন সুস্থ, সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য আমরা খাদ্যাভাস পরিবর্তন করি এবং অতিরিক্ত ঝাল মরিচ গুঁড়া পরিহার করে কম ঝালের মরিচ গুঁড়া খাওয়ার অভ্যাস করি।
বি. দ্র. যাদের বেশি ঝাল খাওয়ার অভ্যাস তারা রান্নায় কাঁচা মরিচ ব্লেন্ড করে খেতে পারেন।

খুশকির সমস্যায় অব্যর্থ ৪ ভেষজ সমাধান

খুশকির সমস্যায় অব্যর্থ ৪ ভেষজ সমাধান


খুশকির সমস্যায় অব্যর্থ ৪ ভেষজ সমাধানচুলের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে খুশকি একটা বিরাট সমস্যা। আগে শুধুমাত্র শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়াতেই খুশকির সমস্যা দেখা দিত বা বৃদ্ধি পেত। কিন্তু বর্তমানে মাত্রাতিরিক্ত দুষণের ফলে মোটামুটি সারা বছর এই সমস্যা লেগেই থাকে। 
অত্যধিক চুল ঝরা, রুক্ষ চুল, বিভিন্ন ধরনের স্ক্যাল্প ইনফেকশন জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দায়ি এই খুশকি। তাই খুশকির সমস্যার সমাধানে সঠিক সময়ে তৎপর না হলে মাথা ভরা চুল ঝরে গেছে অল্পদিনের মধ্যেই।
খুশকি থেকে রেহাই পেতে বাজারে নানা ধরনের শ্যাম্পু ও লোশন পাওয়াই যায়। কিন্তু সেগুলিতে থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের প্রভাবে কখনও কখনও উল্টে চুলেরই ক্ষতি হয়। তাহলে উপায়?
আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন বেশ কয়েকটি কার্যকরী ভেষজ উপাদান সম্পর্কে যেগুলি খুশকির সমস্যা দ্রুত সমাধানদূর করতে একেবারে অব্যর্থ। আর এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলির দামও সামান্য। তাই অল্প খরচে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই খুশকির সমস্যার সমাধান করুন।
১) পিয়াজের রস-
দু'টো পেঁয়াজ ভাল করে বেটে এক মগ পানিতে মিশিয়ে নিন। মাথায় এই পিয়াজের রস ভাল করে লাগিয়ে মালিশ করুন। কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দু’বার পিয়াজের রস মাথায় মাখলে খুশকির সমস্যায় দ্রুত উপকার পাবেন।
২) নারকেল তেল-
নারকেল তেল খুশকির প্রকোপ কমাতে খুবই কার্যকরী। এছাড়া চুলে গোড়া ময়েশ্চারাইজ করে খুশকি এবং স্ক্যাল্প ইনফেকশনের সম্ভাবনাও অনেক কমিয়ে দেয়। সপ্তাহে দু’বার চুলের গোড়ায় সামান্য উষ্ণ নারকেল তেলের মালিশ করলে দ্রুত উপকার পাবেন।
৩) টকদই-
খুশকির সমস্যা থেকে বাচঁতে টকদই খুব কার্যকরী। খুশকি দূর করতে টকদই মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ১০ মিনিট রেখে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। খুশকির সমস্যা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে দু’বার এই ভাবে চুলে টকদই ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪) লেবুর রস-
দুই টেবিল-চামচ লেবুর রস অল্প পানির সঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ২-৫ মিনিট ম্যাসাজ করার পর চুল ধুয়ে নিন। খুশকির সমস্যা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে দু’বার এই ভাবে চুলে লেবু ব্যবহার করা যাবে।

লকডাউনে যেভাবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবেন

লকডাউনে যেভাবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবেন

করোনাভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রায় দু’মাস ধরে ঘরবন্দি সাধারণ মানুষ। বাড়িতে থেকেই কাটাতে হচ্ছে বেশির ভাগ সময়। বন্ধ হয়ে গেছে দৈনন্দিন শরীরচর্চা বা হাঁটাচলাও। বাড়িতে থেকেই স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা যতটা সম্ভব শরীরচর্চা করছেন।
লকডাউনে আমাদের দৈনন্দিন কার্যকলাপ যে ভাবে কমে গেছে, তাতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে স্বাস্থ্যের উপর। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু ঘন ঘন হাত ধুলেই হবে না, শরীর সুস্থ রাখাও অত্যন্ত জরুরী। এই সময় বাড়িতে থেকেই বাড়িয়ে তুলতে হবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তবে ঘরবন্দি অবস্থায় কীভাবে ঘরে বসে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবেন, জেনে নেওয়া যাক-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমের প্রয়োজন। লকডাউনে বেশি রাত অবধি জেগে দেরী করে ঘুম থেকে উঠার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ। যা শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। শুধু লকডাউনেই নয় শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম এবং ভোর বেলা ঘুম থেকে ওঠা অভ্যাস করা উচিত। ঘুম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। ডায়াবেটিস, স্থূলত্ব, হৃদরোগ এবং রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও পর্যাপ্ত ঘুমের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
এমন পরিস্থিতিতে একটি নির্দিষ্ট রুটিন ঠিক করে নিন। ঘুম থেকে ওঠার দুই ঘন্টার মধ্যে পেট ভরে প্রাতঃরাশ করুন। এর সঙ্গে  প্রতি ৩ থেকে ৪ ঘন্টা পরপর হালকা খাবার খান। দুপুরের খাবার বেলা ১২ টা থেকে ১ টার মধ্যে সেরে ফেলুন। সন্ধ্যা বেলা কম চিনিযুক্ত চা সঙ্গে চিড়া অথবা সুজির মতো হালকা খাবার খেয়ে নিন।
রাত ৯ টার মধ্যে রাতের খাবার সেরে ফেলুন। সেই সঙ্গে সারা দিনে নিয়ম করে প্রচুর জল পান করুন। এর ফলে শরীরের থেকে টক্সিন দূর হবে এবং শরীরে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে শরীর সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। এর সঙ্গে যারা প্রতিদিন যোগা বা অন্যান্য শারীরিক কসরত করে থাকেন তা নিয়মিত অভ্যাসে রাখুন। প্রতিদিন নিয়ম করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধ্যান বা মেডিটেশন করুন। এর ফলে আপনার মনও শান্ত থাকবে সেই সঙ্গে মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করবে।

করোনায় মাস্ক ব্যবহারে কমেছে লিপস্টিক বিক্রি!

করোনায় মাস্ক ব্যবহারে কমেছে লিপস্টিক বিক্রি!

করোনায় মাস্ক ব্যবহারে কমেছে লিপস্টিক বিক্রি!

নারীদের সবচেয়ে পছন্দের মেকআপ সঙ্গী হল লিপস্টিক। অন্য কোনও সাজগোজ না করলেও ঠোঁটজোড়া একটু রাঙিয়ে নিতে ভালোবাসেন তারা। কিন্তু সেই ঠোঁটের সাজে বাধ সেধেছে করোনাভাইরাস।
করোনার কারণে এখন বাইরে বের হলেই পরতে হবে মাস্ক। তাই অনেকটা বিপাকে পড়েছেন নারীরা। পছন্দের লিপস্টিকে ঠোঁট রাঙাতে পারছেন না তারা। এই অবস্থায় কমেছে লিপস্টিকের ব্যবহার। লিপস্টিক বিক্রিতেও তার উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মেকআপ কোম্পানিগুলোও সেই কারণে লিপস্টিকের বদলে আই মেকআপের দিকে নজর দিচ্ছে। মাস্কে মুখ ঢাকা থাকলেও খোলা থাকছে চোখদুটো। তাই বাইরে বেরনোর আগে সেটাকেই সুন্দর করে সাজাতে চাইছেন নারীরা। লিপস্টিক, লিপলাইনার, লিপজেলের পরিবর্তে এখন বাজারে বেশি করে আইলাইনার, মাসকারা, আইশ্যাডো নিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিভিন্ন কসমেটিকস কোম্পানি।
কসমেটিক্স কোম্পানিগুলোর হিসেবে প্রতিবেশি দেশ ভারতে এমনিতেই চোখের মেকআপ সামগ্রী বেশি বিক্রি হয়। দেশটিতে সারা বছর মেকআপ সামগ্রী যা বিক্রি হয়, তার ৩৬ শতাংশই আই মেকআপ। তবে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের নারীরাও। করোনার কারণে ঠোঁট ঢাকা পড়লেও মনে করা হচ্ছে এবার চোখকে সুন্দর করে সাজানোর প্রবণতা আরও বাড়বে নারীদের।