শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

১৬ শতাংশ ফেসবুক আইডি ভুয়া

১৬ শতাংশ ফেসবুক আইডি ভুয়া

১৬ শতাংশ ফেসবুক আইডি ভুয়া

বিশ্বের সর্ব বৃহৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যত আইডি আছে ব্যবহারকারীদের তার ১৬ শতাংশ আইডিই ভুয়া অথবা নকল।
সম্প্রতি জার্মানির পরিসংখ্যান ও বিশ্লেষণী সাময়িকী স্ট্যাটিসটা প্রকাশ করেছে এমনই তথ্য।
ফেসবুক সূত্রের বরাতে স্ট্যাটিসটা জানায়, এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পৃথিবীতে সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২৪০ কোটি। তবে ফেসবুক এ আইডির সংখ্যা ব্যবহারকারীর সংখ্যার থেকেও বেশি।
ফেসবুক নিজেই জানায়, তাদের সাইটে যতো আইডি আছে, গ্রাহকদের তার ১৬ শতাংশই ভুয়া অথবা নকল। এখানে নকল বলতে একই ব্যক্তির একাধিক আইডিকে বোঝানো হচ্ছে বলে ফেসবুকের বরাতে জানায় স্ট্যাটিসটা।
স্ট্যাটিসটার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৫ সালে সক্রিয় ব্যবহারকারীর তুলনায় এতে নকল আইডির অনুপাত ছিল প্রায় ৫ শতাংশ। এরপর ২০১৮ পর্যন্ত সেটি বাড়তেই থাকে। ’১৬ সালে এসে সেটি হয় ৬ শতাংশ, ’১৭ সালে ১০ শতাংশ এবং ’১৮ সালে তা এসে ১১ শতাংশে। ২০১৯ সালে নকল আইডির সংখ্যা না বাড়লেও, কমেনি অবশ্য।
অন্যদিকে ২০১৫ সালে ভুয়া আইডির অনুপাত ছিল দুই শতাংশের কিছু কম। ’১৬ সালে ছিল প্রায় এক শতাংশ। ’১৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ থেকে ৪ শতাংশে। তবে ’১৮ সালে ভুয়া আইডির অনুপাত আরও একটু বেড়ে হয় ৫ শতাংশ। অবশ্য সেটিও অপরিবর্তিত আছে ২০১৯ অবধি।

গলায় মাছের কাটা বিঁধলে যা করবেন

গলায় মাছের কাটা বিঁধলে যা করবেন


গলায় মাছের কাটা বিঁধলে যা করবেন

মাছ একটি সুস্বাদু খাবার। অধিকাংশ মানুষই মাছ খেতে ভালবাসে। কিন্তু কিছু কিছু মাছ যেগুলোতে কাটার পরিমাণ একটু বেশি। অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে খেতে গিয়ে গলায় বিঁধে যায় কারও কারও। কখনো গলায় মাছের কাটা বিঁধলে ৫টি ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করুন, সহজেই সমাধান হয়ে যাবে আপনার সমস্যা।
১) গলায় কাঁটা বিঁধলে উষ্ণ পানিতে সামান্য পাতিলেবুর রস মিশিয়ে ওই মিশ্রণ খান। পাতিলেবুর রসের অ্যাসিডিক ক্ষমতা কাঁটাকে নরম করে দেবে। ফলে গলায় বিঁধে থাকা কাঁটা সহজেই নরম হয়ে নেমে যাবে গলা থেকে।
২) লবণ কাঁটা নরম করতে অত্যন্ত কার্যকর। তবে শুধু লবণ না খেয়ে এক কাপ উষ্ণ পানিতে সামান্য লবণ মেশিয়ে নিন। এই উষ্ণ লবণ-পানি খেলে গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটা সহজেই গলা থেকে নেমে যাবে।
৩) গলায় কাঁটা বিঁধলে দেরি না করে সামান্য অলিভ অয়েল খেয়ে নিন। অলিভ অয়েল অন্য তেলের তুলনায় একটু বেশিই পিচ্ছিল। ফলে অলিভ অয়েল খেলে গলায় বিঁধে থাকা কাঁটা পিছলে সহজেই নেমে যাবে।
৪) গলায় কাঁটা বিঁধলে এক কাপ পানির সঙ্গে ২ চামচ ভিনিগার মিশিয়ে খেয়ে নিন। ভিনেগার গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটাকে নরম করতে সক্ষম। তাই পানির সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে খেলে গলায় বিঁধে থাকা কাঁটা সহজেই নরম হয়ে নেমে যাবে।
৫) গলায় কাঁটা বিঁধলে খানিকটা ভাত বা পাউরুটি চটকে ছোট ছোট মণ্ড করে নিন। এবার একবারে গিলে ফেলুন। ভাত বা পাউরুটির মণ্ডের ধাক্কায় গলায় বিঁধে থাকা কাঁটা সহজেই নেমে যাবে।

শরীরের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে পারে বাদাম

শরীরের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে পারে বাদাম


শরীরের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে পারে বাদাম
ফাইল ছবি

বয়স বাড়ছে মানেই হাড়ে ক্ষয়। বয়স বাড়লে হাড়ের ক্ষয় যেন স্বাভাবিক ব্যাপার। বয়স চল্লিশ বছর পার হলেই শরীরে দেখা দেয় ক্যালসিয়ামের অভাব। আর ক্যালসিয়ামের অভাব মানেই হাড়ে গন্ডগোল। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি। হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে। অস্টিওপরোসিসের সমস্যা দেখা দেয়।
আমাদের শরীরে যে হাড় তৈরি হয় তার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি হয় ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত। ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হাড়ের যেমন ক্ষয় হয়, তেমনই রিপ্লেসমেন্টও হয়। এ দু'টোর ভারসাম্য থাকে। ৪০ বছরের পর থেকে হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে তা একটু আগেই হয়। অস্টিওক্লাস্ট নামে একটি কোষ হাড়ের ক্ষয় করে। নারীদের ক্ষেত্রে ইসট্রোজেন হরমোন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অস্টিওক্লাস্টিং বেড়ে যায়। এতে হাড় ক্ষয় হতে পারে। আর পুরুষদের ক্ষেত্রে হয় সেনাইল অস্টিওপরোসিস।
তাই ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে রাখার জন্য কিছু পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। দুপুরে কিংবা রাতের খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ থাকুক বা না থাকুক, খাবারে কয়েকটা বাদাম রাখতেই হবে। চিকিৎসকরা প্রায়ই দিনে অন্তত তিন-চারটি বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে আখরোট, কাজু থেকে হাড় মজবুত রাখতে ভাল সব ধরনের বাদামই। কোনও বাদামে কার্বোহাইড্রেট বেশি, কোথাও প্রোটিন। হাড় সুস্থ রাখতে কমবেশি সব বাদামই উপকারী।

হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ

হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ


হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ
প্রতীকী ছবি

যখন হৃদপিণ্ডের কোনও শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহে বাঁধার সৃষ্টি করে তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। বয়স, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, উচ্চ কোলেস্টোরলের সমস্যা, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, মানসিক চাপ- এসবই মূলত হার্ট অ্যাটাকের কারণ। অনেক সময় হার্ট অ্যাটাক হলেও সঠিকভাবে বোঝা সম্ভব হয় না। সমস্যা হল কখনও কখনও বুকে কোনও ধরণের ব্যথা ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, ফলে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কিনা তা খুব ভাল করে বোঝা যায় না। তাই জেনে নেওয়া যাক হার্ট অ্যাটাকের অন্যান্য লক্ষণগুলি সম্পর্কে-
১) হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের প্রায় একমাস আগে থেকেই দুর্বলতা এবং ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা শুরু হয়ে যায়। কোনও কারণ ছাড়াই শারীরিক দুর্বলতা এবং খুব সহজেই হাঁপিয়ে উঠে ঘন ঘন শ্বাস নেওয়ার সমস্যা শুরুর বিষয়ে সতর্ক থাকুন। এই রকম শারীরিক দুর্বলতা এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হলে বুঝতে হবে হৃদপিণ্ডের বিশ্রামের প্রয়োজন।
২) হটাৎ করে অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার সমস্যা শুরু হলে অবহেলা করবেন না। কারণ এটিও হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ। যখন হার্ট ব্লক হয় তখন রক্ত সঞ্চালনে হৃদপিণ্ডের অনেক বেশি কাজ করতে হয়। এই অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে ঘামের সৃষ্টি হয় এবং এই ঘাম সাধারণত অনেক ঠাণ্ডা হয়ে থাকে। এই ধরনের সমস্যাকে অবহেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
৩) একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, হার্ট অ্যাটাকের আগে থেকে বেশিরভাগ আক্রান্তরই বদহজমের সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও বুক জ্বালা যা আমরা অনেকে স্বাভাবিক বদহজমের সমস্যা ভেবে অবহেলা করি, তাও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত। এর পাশাপাশি কোনও কারণ ছাড়াই মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব এবং বমি করার বিষয়গুলি অবহেলা করবেন না।
৪) অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের সময় বুকে ব্যথা অনুভূত হয় না। এ ক্ষেত্রে বুকে অস্বস্তিকর অনুভূতি এবং বুকে চাপ ধরা ভারি ভাব অনুভব করার বিষয়টিতে নজর দিতে হবে। এই সময় শ্বাস নিতেও সমস্যা হতে পারে। এসব বিষয় নজরে পড়লে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
৫) শুধু বুকে ব্যথাই নয়, শরীরের অন্যান্য বিশেষ কিছু অঙ্গে ব্যথা অনুভব হওয়াও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। পেটের উপরের অংশ, কাঁধ, পিঠ, গলা, দাঁত ও চোয়াল এবং বাম বাহুতে হুট করে অতিরিক্ত ব্যথা হওয়া বা চাপ অনুভব অথবা আড়ষ্টতা অনুভব করাও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। তাই এই বিষয়গুলিকে মোটেই অবহেলা করবেন না।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী করবেন

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী করবেন

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী করবেন
প্রতীকী ছবি

যে কোনো ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া শরীরকে তখনই কাবু করতে পারে যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। জেনে নেওয়া যাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে কী করা যেতে পারে।
রঙিন ফলমূল ও শাক-সবজি : শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজন নানা উপাদান। শাক-সবজি, রঙিন ফলমূলে তার অনেকটাই পাওয়া যায়। প্রতিদিনের খাবারে তাই এসব রাখার চেষ্টা করুন।
প্রয়োজনীয় টিকা দিন : আপনার সব প্রয়োজনীয় টিকা দেওয়া থাকতে হবে। প্রাপ্তবয়স্করা ভ্যাকসিন রিফ্রেশ করতে ভুলবেন না! বিশেষ করে ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, পোলিও, হেপাটাইটিস, মেনিনজাইটিস, হাম, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং এমন অন্যান্য রোগের টিকা নিন।
ভাইরাস পালিয়ে যাবে : বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরের পেশিগুলো নিয়মিত, অর্থাৎ সপ্তাহে তিন দিন জগিং, নর্ডিক ওয়াকিং বা হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়াম করে ঠিক রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। প্রয়োজন যথেষ্ট ঘুম : ঘুম শরীরকে শুধু বিশ্রামই দেয় না, গভীর ঘুমের মধ্যে শরীরে নিউরোট্রান্সমিটার ছড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও সচল রাখে। চাই জীবনে ‘আনন্দ’ : সমীক্ষায় জানা যায়, শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য ভালো মন-মেজাজ এবং জীবনে আনন্দের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমরা নিজেরাও দেখে থাকি যে, তুলনামূলকভাবে হাসি-খুশি মানুষের অসুখ-বিসুখ কম হয়ে থাকে।
মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন : বর্তমান বিশ্বে ‘স্ট্রেস’ বা মানসিক চাপ বহুল উচ্চারিত একটি শব্দ। তবে নেতিবাচক চাপ শরীরে কর্টিসোলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই এ চাপ কমাতে শরীরের ব্যাটারিকে রিচার্জ করুন, অর্থাৎ নিয়মিত যোগব্যায়াম, মেডিটেশন বা এমন কিছু করুন।
হাঁটুন : তাজা বাতাস এবং হাঁটা দুটোই শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। মুক্ত বাতাসে হাঁটার সময় শরীরে রক্ত সঞ্চালনও ঠিকভাবে হয়।