মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০২০

করোনাভাইরাস এবং ক্যান্সার

করোনাভাইরাস এবং ক্যান্সার

অধ্যাপক পারভীন শাহিদা আখতার

  • Currently 0/5
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
করোনাভাইরাস এবং ক্যান্সার


বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস কোভিড-১৯। প্রধানত আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শে এলেই, তার হাঁচি, কাশির মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। এটি অতি মাত্রায় ছোঁয়াছে রোগ। আক্রান্ত ব্যক্তির সংর্স্পশ আসা মাত্রই করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। এ ভাইরাস আক্রান্ত স্থানে হাত পড়লে তা সংক্রামিত হয়। পরবর্তীতে সংক্রামিত হাত চোখে মুখে নাকে লাগলে রোগ দেহে প্রবেশ করে এবং আক্রান্ত হয়। দেহের সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত স্থান হলো ফুসফুস। নিউমোনিয়া হয়। এ নিউমোনিয়াকে বলে নবেল করোনা আক্রান্ত নিউমোনিয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী, এ ধরনের নিউমোনিয়া হলে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে ৪.৩%।
উপসর্গ
আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এলেই বা আক্রান্ত স্থান স্পর্শ করলেই সাথে সাথেই উপসর্গ শুরু হয় না। দুই সপ্তাহ এ রোগ সুপ্ত অবস্থায় থাকে। সাধারণ উপসর্গগুলো হলো অন্যান্য ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মত। যেমন, জ্বর, সর্দি কাঁশি,  হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ, গলা ব্যথা, খাবারের স্বাদ কমে যাওয়া, পাতলা পায়খানা, গা, হাত, পা ব্যথা। ফুসফুস বেশী মাত্রায় আক্রান্ত হতে থাকলে বুকে চাপ, ব্যথা অনুভব, শ্বাসকষ্ট, ঠোঁট, মুখ নীল বর্ণ ও চৈতন্য হারানো। 
কভিড-১৯ এর জন্য অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি 
বয়স্ক ব্যক্তি (৬৫ বছর ঊর্ধ), ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী রোগ (হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, সিওপিডি) আছে,  হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনির জটিলতা, ক্যান্সার আছে এমন ব্যক্তি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে এ রোগ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ক্যান্সার এবং ক্যান্সার চিকিৎসা উভয়ই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তবে সকল ক্যান্সার রোগী সমান ঝুঁকিপূর্ণ নয়। ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে বেশী ঝুঁকিপূর্ণ হলো
রক্তরোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত (লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা, মাল্টিপল মায়লোমা)
কেমোথেরাপি চিকিৎসারত 
রক্তে শ্বেতকণিকার সংখ্যা স্বাভাবিক মাত্রার নিচে নেমে আসা
খাবারে পুষ্টির ঘাটতি থাকা
এ সময় ক্যান্সারের উপসর্গ থাকা অর্থাৎ ক্যান্সারের সম্ভাব্য রোগী, ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়া এবং ক্যান্সার চিকিৎসা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। আতঙ্কের মাত্রা বেড়ে যায়। ক্যান্সার চিকিৎসার সার্থকতা বিপরীতে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি বিবেচনায় ক্যান্সার চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসার রুটিনের পরিবর্তন করা উচিত। 
তবে সকল ক্যান্সার রোগীকে করোনাভাইরাস ও প্রতিরোধ সম্পর্কে প্রাথমিক স্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষা থাকতে হবে যাতে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়া মাত্রই পরীক্ষা করা যায়, চিকিৎসা নেয়া ও পৃথক থাকা যায়। করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য করোনাভাইরাস প্রতিরোধের সাধারন বিষয়গুলো যেমন মুখে মাস্ক ব্যবহার করা, বাড়িতে থাকা, বারবার সাবান দিয়ে নিয়মমত হাত ধোয়া, চোখে মুখে হাত না লাগানো, ব্যক্তি সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা (হাত ধরা, কোলাকুলি), কমপক্ষে মিটার দূরত্ব বজায় রাখা।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা আবিস্কৃত হয়নি। তাই এ মুহূর্তে রোগ মুক্তির একমাত্র উপায় শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে:
যথেষ্ট পরিমাণ বিশ্রাম নেয়া। কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো। 
ব্যয়াম করা 
মুক্ত বাতাসে হাঁটা
পুষ্টিকর এবং সুষম খাবার গ্রহণ (মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বাদাম, শস্যদানা,  শাকসবজি, ফলমূল, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া) 
পানি এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ পানীয় পান করা
ধূমপান ও পানের সাথে সাদাপাতা জর্দা কোনভাবে গ্রহণ না করা
দেহের রক্তচাপ, রক্তের সুগার, ফুসফুসের প্রদাহ জনিত রোগ এবং কিডনি কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখা
সর্বোপরি মানসিক চাপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে। তাই সব সময় যতটা সম্ভব নিরুদ্বেগ ও স্বচ্ছন্দ জীবন যাপন করা।
 
লেখক: মেডিকেল অনকোলজিস্ট,
শান্তি ক্যান্সার ফাউন্ডেশন
সাবেক বিভাগীয় প্রধান, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

সোমবার, ৪ মে, ২০২০

লকডাউনে সুস্থ ও সবল থাকতে যা করবেন

লকডাউনে সুস্থ ও সবল থাকতে যা করবেন

লকডাউনে সুস্থ ও সবল থাকতে যা করবেন



কভিড-১৯ করোনাভাইরাসের এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। তাই প্রতিরোধই একমাত্র উপায়। লকডাউনের এ সময়টাতে সবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখার ওপর মনোনিবেশ করা উচিত। এ জন্য যা করতে পারেন: 
১. সক্রিয় থাকুন
ঘরে আছেন, তাই বলে বসে থাকবেন না। ঘরের কাজকর্ম করতে করতে ৫ হাজার কদম হাঁটার টার্গেট করুন। ইয়োগা, প্ল্যাংক, স্কিপিং, স্পট জগিংসহ নানা ধরনের ঘরোয়া ব্যয়াম করতে পারেন। সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা করুন। এতে আপনার অনেক ধরনের উপকার হবে। ঘুম ভালো হবে, ওজনও বাড়বে না। ঘরে বসে থাকতে থাকতে যে একঘেয়েমি তৈরি হয়েছে সেটাও দূর হবে। 
২. খেতে পারেন শুকনো ফল
এসময় যতটা সম্ভব বাইরে কম বের হওয়াই ভালো। এক্ষেত্রে তার পুষ্টি চাহিদা পূরণে ভালো উৎস হতে পারে শুকনো ফল। ডুমুর, খেঁজুর, অ্যাপ্রিকোটসহ নানা শুকনো ফল স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী।
৩.  ভালো চর্বি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ
বাতাম, বীজ, নারিকেল তেল, ঘি ভালো চর্বির উৎস। এ ধরনের খাবার আপনার মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি খসখসে ত্বককেও সুরক্ষা দেবে।
৪. সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন সি ও ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন। 
৫.  শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালীর করার উপায় আমাদের রান্নাঘরেই আছে। আদা, গোলমরিচ, হলুদ, দারুচিনি এগুলো খুবই উপকারী। ভালো ঘুমে সাহায্য করে হলুদ ও দুধের মিশ্রণ। এটি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া ওষধি হিসেবে তুলসির জুড়ি মেলা ভার। 
৬. গরম পানির ভাপ
করোনার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ শ্বাসকষ্ট। কিন্তু অন্য কারণেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। অনেকে আবার দীর্ঘদিন ধরেই এ ধরনের সমস্যায় ভোগেন। শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যা থাকলে সকালে উঠার পর প্রথম কাজই হতে পারে গরম পানির ভাপ নেওয়া। দিনে ১/২বার এটি করতে পারেন।

লকডাউনে দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে এই সব বনৌষধি

লকডাউনে দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে এই সব বনৌষধি


লকডাউনে দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে এই সব বনৌষধি

লকডাউনে গৃহবন্দি থাকার সময়েও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানোর জন্য আমাদের নানা রকমের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলাটাই সবচেয়ে জরুরি। তাতে ওষুধ লাগবে না, যে কোনও ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণ আমাদের শরীর আপনাআপনিই প্রতিরোধ করতে পারবে। আর সেই প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার জন্য নিয়মিতভাবে কয়েকটি বনৌষধি আমাদের খাওয়া প্রয়োজন। 
রসুন
এক্ষেত্রে প্রথমেই বলতে হয় রসুনের কথা। রসুন আমাদের অনেক রকমের শারীরিক সমস্যা থেকে দূরে রাখে। গন্ধটা খুব কটূ হলেও এ উপকারিতা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের। সব বাড়িরই রান্নাঘরে রসুন থাকে। হয়তো তার উপকারিতার সব দিক জেনে বা না জেনেই। রসুনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যাকটেরিয়া বিনাশী এবং প্রদাহ প্রতিরোধী খুব কমই আছে।
আদা
এমন কিছু যৌগ থাকে আদায়, যা আমাদের রক্তের শ্বেত কণিকার সংখ্যা বাড়ায়। আর শ্বেত কণিকাই আমাদের শরীরে ঢুকে পড়া ভাইরাস আর ব্যাকটেরিয়াদের মারে। আদা মেশানো চা খুব উপকারী। নুন দিয়ে কাঁচা আদা খাওয়াও খুব ভাল।চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দেহের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে এই সময় নিয়মিত আদা, রসুন খাওয়া উচিত।
গুলঞ্চ
বহু দিন ধরেই আয়ুর্বেদের বিভিন্ন ওষুধে গুলঞ্চের ব্যবহার চালু আছে। এগুলি আমাদের শরীরের বিষকে বের করে দিতে সাহায্য করে। রক্ত শোধন করে। আর শত্রু ব্যাকটেরিয়াদের বিরুদ্ধে জোর লড়াই চালাতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, গুলঞ্চ খেলে আমাদের হজম ও প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে। স্বাস্থ্য ভাল থাকে। গ্লাসে ১৫ থেকে ৩০ মিলিমিটারের মতো গুলঞ্চের রস নিয়ে রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খাওয়া উচিত।
মেথি, কুমড়ার বীজ
মেথি, কুমড়া বীজ খাওয়াও খুব উপকারী। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এদের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে থাকে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। দু’টিই আমাদের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। আমাদের প্রদাহ কমায়। প্রদাহ ঠেকানোর জন্য দেহে যে ব্যবস্থা রয়েছে, তাকে সক্রিয় করে তোলে।
মেথি
কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক (দস্তা), লৌহ এবং ভিটামিন-ই। কুমড়োর বীজ আমাদের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। কুমড়োর বীজ যেমন ভাইরাস বিনাশী, তেমনই তা ছত্রাকজনিত বিভিন্ন রোগও রুখতে পারে। তা কোষের বৃদ্ধিতেও সহায়ক। এমনকি, যারা অনিদ্রাজনিত অসুখে ভোগেন, তাদের পক্ষেও খুব উপকারী কুমড়ার বীজ। 
সূর্যমুখী বীজ
নানা ধরনের পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ সূর্যমুখী বীজে প্রচুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন-ই, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও। এই বীজে থাকে সেলেনিয়াম, যা কয়েক ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক। বাড়ায় দেহের প্রতিরোধক্ষমতাও। ত্বক ভাল রাখতেও সাহায্য করে সূর্যমুখী বীজ।
হলুদ
হলুদ দেহের প্রতিরোধক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে। এটির উপাদান রক্তের শ্বেত কণিকার সংখ্যাও বাড়ায়। যা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস মারতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়।
দারুচিনি
বহু দিন ধরে খাবারদাবারে দারুচিনি ব্যবহারের চল রয়েছে, এর নানা ধরনের গুণের জন্য। প্রদাহ রুখতে এর বড় ভূমিকা রয়েছে। পারে নানা ধরনের সংক্রমণ রুখতে। নষ্ট কোষগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতেও এ ভূমিকা রয়েছে। 

করোনা প্রতিরোধে ফুসফুস সুস্থ রাখতে জোর দিবেন যেসব খাবারে

করোনা প্রতিরোধে ফুসফুস সুস্থ রাখতে জোর দিবেন যেসব খাবারে

করোনা প্রতিরোধে ফুসফুস সুস্থ রাখতে জোর দিবেন যেসব খাবারে
প্রতীকী ছবি

বিশ্বজুড়ে মহামারি রূপ নিয়েছে করোনাভাইরাস। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। করোনাভাইরাসের সাধারণ উপসর্গ হল জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি বা গলাব্যথা। শেষ পর্যন্ত এই ভাইরাস ফুসফুসে আঘাত হানে। এতে রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এমনকি এতে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। 
নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া করার পাশাপাশি কয়েকটি বিশেষ খাবার খেলে ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষ করে যাদের ফুসফুস একটু দুর্বল। 
পিয়াজ ও রসুন: প্রদাহের প্রবণতা কমায়। সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি জোগায়। ‘জার্নাল অব ক্যানসার এপিডেমিওলজি’ ও ‘বায়োমার্কারস অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এ প্রকাশিত প্রবন্ধে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যে সব ধূমপায়ী কাঁচা রসুন খান ফুসফুসের বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যায় তাদের।
আদা: প্রদাহ কমায়। অল্প করে আদা কুচি নিয়মিত খেলে ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
হলুদ: হলুদের কারকিউমিন প্রদাহ কমায়। বেঙ্গালুরুতে ৭৭ জন হাঁপানি ও সিওপিডি রোগীকে ৩০ দিন ধরে কারকিউমিন ক্যাপসুল খাইয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, তাঁদের কষ্ট অনেক কমে গেছে।
ফল ও সবজি: আপেল, পেয়ারা, শসা, সবেদা এই সব ফল ফুসফুসের যত্নের জন্য খুবই ভাল। আপেল ও বাতাবি লেবুর ফ্ল্যাভেনয়েড ও ভিটামিন সি নিশ্চিতভাবে কার্যকারিতা বাড়ায় ফুসফুসের। গাজর, কুমড়ো, বেল পেপারে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি। সারা শরীরের পাশাপাশি ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এই সব সবজি। কাজেই এদেরও রাখতে হবে পাতে।
বিভিন্ন ধরনের বিন ও বীজ: এই সব খাবারে অন্যান্য উপকারের পাশাপাশি আছে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম। ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে এর ভূমিকা আছে। তিষির বীজে আছে ভিটামিন ই, বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আখরোটের ওমেগা থ্রি কার্যকারিতা বাড়ায় ফুসফুসের।

করোনা মহামারীর মধ্যেই 'দ্বিতীয় পৃথিবী'র সন্ধান

করোনা মহামারীর মধ্যেই 'দ্বিতীয় পৃথিবী'র সন্ধান

করোনা মহামারীর মধ্যেই 'দ্বিতীয় পৃথিবী'র সন্ধান


সারাবিশ্বে চলছে করোনা মহামারী। এরই মধ্যে নাসা দাবি করছে খোঁজ মিলেছে দ্বিতীয় পৃথিবীর। আকারে একেবারে পৃথিবীর মতোই। 
নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী থেকে ৩০০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে ওই গ্রহ। নাসার কেপলার টেলিস্কোপের সাহায্যে যে সব গ্রহের অবস্থান এখনও পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়েছে তার মধ্যে পৃথিবীর সঙ্গে সবথেকে বেশি মিল রয়েছে এই গ্রহটির। এটি পৃথিবী থেকে মাত্র ১.০৬ গুন বড়। পৃথিবীতে যতটা সূর্যের আলো পৌঁছায়, নতুন এই গ্রহে তার নক্ষত্র থেকে সেই আলোর ৭৫ ভাগ আলো পৌঁছায়। 
মহাকাশবিদরা জানাচ্ছেন, এই গ্রহে নাকি রয়েছে হ্যাবিটেবল জোন। হ্যাবিটেবল জোন হল পাথুরে গ্রহের সেই অংশ যেখানে জল ধারণের ক্ষমতা রয়েছে।
নাসার সায়েন্স মিশনের ডিরেক্টরেট অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর থমাস জারবিউকেন বলেন, এই আবিষ্কারে আসা যাচ্ছে যে তারাদের ভিড়ে লুকিয়ে আছে এক দ্বিতীয় পৃথিবী।