মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২১

বিশ্বে প্রথম আরব নারী নভোচারী হলেন নোরা

বিশ্বে প্রথম আরব নারী নভোচারী হলেন নোরা

বিশ্বে প্রথম আরব নারী নভোচারী হলেন নোরা
নোরা আল মাত্রোশি
আরব আমিরাতের মহাকাশ কর্মসূচির দ্বিতীয় ব্যাচের নভোচারী হিসাবে দুজনকে নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিতদের মধ্যে বিশ্বে প্রথম আরব নারী নভোচারী হলেন নোরা আল মাত্রোশি।

কর্মসূচির অপর নভোচারী হলেন মোহাম্মদ আল মুল্লা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুম টুইটারে এক বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

এছাড়াও আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষের খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহাকাশ কর্মসূচির দ্বিতীয় ব্যাচে দুজনকে নির্বাচিত করা হয়েছে।'

যে গ্রামে কেউ কাপড় পরে না!

যে গ্রামে কেউ কাপড় পরে না

যে গ্রামে কেউ কাপড় পরে না!
একমাত্র নগ্ন হতে রাজি হলেই সে কিনতে পারবে জমি। অন্যথায় জমিও মিলবে না, মিলবে না বাড়ি-ঘর বা বসবাসের সুযোগ। অবাক হচ্ছেন? যুক্তরাজ্যের হার্টফোর্ডশায়ারে অবস্থিত স্পিলপ্লাজ নামক গ্রামে এমনই রীতি! কারণও আছে, ওই গ্রামে কেউ কাপড়ই পরে না। তাই সেখানে থাকতে চাইলে তাদের মতো করেই থাকতে হবে আপনাকে।

নগ্ন বিচের কথা শোনা গেছে, নগ্ন অবকাশযাপন কেন্দ্রের কথাও অনেকের জানা, কিন্তু নগ্ন গ্রাম! হ্যা, দক্ষিণ আমেরিকায় ঘনজঙ্গলে কিছু আদিবাসী আছে যারা এখনও সভ্যতার ছোঁয়া পায়নি। তাদের ব্যাপার হলে ভিন্ন কথা ছিল। কিন্তু সভ্যতার পথপ্রদশক বলে যারা নিজেদের দাবি করে সেই যুক্তরাজ্যে এমন গ্রামের কথা শুনলে অনেকেই হয়ত অবাক হবেন। তবে গ্রামবাসী অবশ্য নগ্নতার মধ্যে অসভ্যতার কিছু দেখেন না। আর যেখানে ইউরোপ-আমেরিকার সামনের সারির সভ্য দেশগুলোর শিক্ষিতরা নগ্নতার দাবিতে আন্দোলন করছেন, রাস্তার মধ্যে কাপড় খুলে ব্যানার হাতে টিভি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন সেখানে ওই গ্রামবাসীকে অসভ্য বলার সুযোগই বা কোথায়? তারা তো নিজেদের মতো করে থাকছেন, কারও বাড়া ভাতে ছাই দিচ্ছেন না। এটা ওই গ্রামেরই মানুষের কথা।

মজার ব্যাপার হচ্ছে- ওই গ্রামের মানুষ বেশ সচেতন ও সৌখিন। তারা গায়ে কাপড়ের কোন পোশাক না পরলেও রোদ থেকে চোখ বাঁচাতে সানগ্লাস ঠিকই ব্যবহার করেন। গলায় স্বর্নের চেইন এমনকি আঙ্গুলে আংটিও পরেন শখ করে। গ্রামের ভেতর বেশ সমৃদ্ধ বারও আছে। শুধু পোশাকই নেই গায়ে।

মোর-৪ নামের একটি টিভি চ্যানেল সেই গ্রামের বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা নিয়ে একটি ধারাবাহিক ডকুমেন্টরি তৈরি করছে। এর ফলেই নতুন করে আলোচনায় চলে আসে স্পিলপ্লাজ।

শোনা গেছে, ওই গ্রামের সবাই বস্ত্রহীন। প্রথম দর্শনে একে আর দশটি গ্রামের মতোই মনে হবে। ছবির মতো সুন্দর, বেশ পরিপাটি। কিন্তু আপনার ধারণা পাল্টাতে শুরু করবে যখন আপনি এই গ্রামের কোনো বাসিন্দার দেখা পাবেন। এই গ্রামের বাসিন্দারা গ্রামটিকে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে পুরনো নগ্নতাবাদী অঞ্চল বলে দাবি করেন। তারা এতটাই নগ্নতাবাদী যে আপনি যদি তাদের মতের সাথে একমত না হন তাহলে সেই গ্রামের কেউ আপনার কাছে জায়গা-জমি, বাড়ি-ঘর কিছুই বিক্রি করবে না।

এই গ্রামের বাসিন্দা ৮৫ বছর বয়সী ইছিয়ুট রিচার্ডসন বলেন, আমি বুঝি না এটা নিয়ে এত হৈচৈ করার কি আছে। আমি তো অন্য গ্রামের সাথে এই গ্রামের কোনো পার্থক্য দেখি না। ওরা যেভাবে জীবন ধারণ করে আমরাও সেইভাবে করি। সকালে ঘুম থেকে উঠি, দিনের কাজ শুরু করি, বাজারে যাই, পানশালায় যাই, দুধওয়ালা, পোষ্টম্যানরা আমাদের বাড়িতে আসে। সবই তো স্বাভাবিত, অস্বাভাবিক তো কিছু দেখি না। আমরা শুধু বস্ত্রহীন থাকি, এই যা।

মঙ্গলে নীল-হলুদ এলাকার বিস্ময়কর ছবি প্রকাশ

মঙ্গলে নীল-হলুদ এলাকার বিস্ময়কর ছবি প্রকাশ

মঙ্গলে নীল-হলুদ এলাকার বিস্ময়কর ছবি প্রকাশমঙ্গলের উত্তরমেরুর বিস্তীর্ণ এলাকা। নানা রকম তার রঙ। সেই ছবি সামনে আনল নাসা। এ যেন লাল গ্রহে নীল-হলুদের সমুদ্র। মঙ্গল-এর নর্দান পোলার ক্যাপ জুড়ে এই দৃশ্য। অবশ্য এই ছবি প্রকাশের একটি উপলক্ষ আছে। Mars Odyssey orbiter-এর ২০ বছর পূর্ণ হল।

নাসা জানিয়েছে, তারা যে ছবি তুলেছে সেটা এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলের। প্রায় ১৯ মাইল জুড়ে। এই মঙ্গলের বুকে বালিবাতাসের সমুদ্র ছেয়ে রয়েছে প্রায় টেক্সাসের মতো আয়তনের এক এলাকা জুড়ে। ছবিতে যে রঙ দেখা যাচ্ছে, তা অবশ্য ওরিজিনাল নয়। কেননা, তাপমাত্রার সঙ্গে সঙ্গেই বদলে যায় এই এলাকার রঙ। নীল অঞ্চলটা শীতল, সূর্যতপ্ত অঞ্চলটা হলুদ।

নাসা জানিয়েছে, ছবিটি ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে তোলা। Odyssey-র অ্যানিভার্সারি উপলক্ষে এই ছবি পেয়ে উল্লসিত মহাকাশপ্রেমী মানুষ।

Mars Odyssey orbiter এক ধরনের robotic spacecraft। এই স্পেসক্র্যাফ্টটি মঙ্গলকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। এতে রয়েছে একটি 'থার্মাল ইমেজার'। এর কাজ হল, মঙ্গলে পানি বা বরফের অস্তিত্ব খুঁজে বের করা ও তা চিহ্নিত করা।

এখনও পর্যন্ত এটিই মঙ্গল নিয়ে কাজ করা সবচেয়ে পুরনো স্পেসক্র্যাফ্ট। ২০০১ সালে এটি কাজ করেছিল

সোমবার, ৫ এপ্রিল, ২০২১

আম-পুদিনার শরবত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

আম-পুদিনার শরবত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

আম-পুদিনার শরবত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
কাঁচা আম সকলের কাছেই পছন্দনীয় এবং খেতেও সুস্বাদু। আচার, ভর্তা, শরবত বিভিন্নভাবেই খেতে এটি সমান জনপ্রিয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে 'ভিটামিন সি' যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। করোনা মহামারি সংক্রমণ রোধে ভিটামিন সি খুবই কার্যকরি। 

শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ছাড়াও বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে ভিটামিন সি। তাই এর ঘাটতি পূরণে খাদ্য তালিকায় কাঁচা আম রাখা সবচেয়ে সহজলভ্য।

কাঁচা আম বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া গেলেও এর সঠিক পুষ্টিগুন পেতে শরবত খাওয়ার বিকল্প নেই। গরমে এক গ্লাস কাঁচা আমের শরবত খেলে যেন মুহূর্তেই শরীরে স্বস্তি দেয়। বিভিন্নভাবে কাঁচা আমের শরবত তৈরি করা যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ একটি উপায় হলো 'কাঁচা আম ও পুদিনা পাতা' দিয়ে তৈরি শরবত। 

পুদিনা পাতা তাপ নিয়ন্ত্রণ করে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এর রস পিষে দু'তিন ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে পান করলে ক্লান্তিভাব দূর হয়। নিয়মিত পুদিনা পাতা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে বুকে কফ জমতে পারেনা। এতে থাকা ‘মেন্থল’ পেশিকে শিথিল করার মাধ্যমে শরীরের ব্যথা কমায়।

দীর্ঘদিন আয়রনের ঘাটতিতে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়

দীর্ঘদিন আয়রনের ঘাটতিতে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়

দীর্ঘদিন আয়রনের ঘাটতিতে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়
আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মূল উপাদান গঠন করে। শরীরের আয়রনের পরিমাণ কমে গেলে রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া দেখা দেয়। অধিক রক্তশূন্যতার জন্য রক্ত নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। মহিলাদের পিরিয়ডে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও গর্ভবতী মায়েদের রক্তশূন্যতার সমস্যা বেশি থাকলেও নারী-পুরুষ ভেদে সকলের আয়রন ঘাটতি হতে পারে।

আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো ক্লান্তি। কারণ তখন শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রনের অভাবে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে পারে না। পর্যাপ্ত হিমোগ্লোবিন ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন টিস্যু এবং পেশিতে পৌঁছায় না। শরীর ক্লান্তবোধ করে।

শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম হলে ত্বক ফ্যাকাশে দেখায়। এমন সমস্যায় অনেকের মুখ, মাড়ি, ঠোঁট, নিচের চোখের পাতা এবং নখও ফ্যাকাশে দেখায়।

দীর্ঘদিন এ সমস্যার চিকিৎসা করা না হলে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ, হৃদরোগজনিত জটিলতা দেখা দিতে পারে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। সময়মতো চিকিৎসা করানো না হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ারও ঝুঁকি বাড়ে।

ত্বক-চুলের ক্ষতি রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাবে কোষগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ কম হয়। ত্বক, চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, চুল পড়া এবং নখ ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।