সৌরজগতের প্রান্তসীমা ছাড়িয়ে মহাকাশযান ভয়েজার এখন অসীমের পথে ছুটে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী মার্ক সুইসডাক এক সাক্ষাত্কারে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ২০১২ সালেই সৌরজগত্ ছেড়ে গেছে নাসার পাঠানো এই নভোযান। এই প্রথম মানুষের তৈরি কোনো নভোযানের সৌরজগৎ ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন তাঁরা।
এর আগে চলতি বছরের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার গবেষকেরা জানিয়েছিলেন, সৌরজগৎ ছাড়িয়ে যেতে বড়জোর আরও কয়েক বছর লাগতে পারে ভয়েজারের। তবে এ গবেষণা সঠিক নয় বলে ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক মার্ক সুইসডাক দাবি করেছেন, গত বছরেই সৌরজগতের প্রান্তসীমা অতিক্রম করে গেছে ভয়েজার।
মার্ক সুইসডাকের দাবি, ভয়েজারে যখন চৌম্বকক্ষেত্রের বিশাল তারতম্য ধরা পড়েছিল তখনই সৌরজগৎ ছাড়িয়ে গেছে ভয়েজার।
সুইসডাকের নতুন এ গবেষণা সম্পর্কে নাসার গবেষক এজ স্টোন জানিয়েছেন, কম্পিউটার মডেলের ওপর ভিত্তি করে যে ফল পাওয়া গেছে তাতে একেক সময় একেক ফল দেখায়। তবে, ম্যারিল্যান্ডের গবেষকেদের করা গবেষণাও আগ্রহ তৈরি করতে পারে।
অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা দাবি করেছেন, কম্পিউটার মডেলের ওপর ভিত্তি করে তারা এ প্রমাণ পেয়েছেন। পরবর্তীতে ভয়েজার ২ নিয়েও গবেষণা করবেন তাঁরা।
এর আগে চলতি বছরের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার গবেষকেরা জানিয়েছিলেন, সৌরজগৎ ছাড়িয়ে যেতে বড়জোর আরও কয়েক বছর লাগতে পারে ভয়েজারের। তবে এ গবেষণা সঠিক নয় বলে ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক মার্ক সুইসডাক দাবি করেছেন, গত বছরেই সৌরজগতের প্রান্তসীমা অতিক্রম করে গেছে ভয়েজার।
মার্ক সুইসডাকের দাবি, ভয়েজারে যখন চৌম্বকক্ষেত্রের বিশাল তারতম্য ধরা পড়েছিল তখনই সৌরজগৎ ছাড়িয়ে গেছে ভয়েজার।
সুইসডাকের নতুন এ গবেষণা সম্পর্কে নাসার গবেষক এজ স্টোন জানিয়েছেন, কম্পিউটার মডেলের ওপর ভিত্তি করে যে ফল পাওয়া গেছে তাতে একেক সময় একেক ফল দেখায়। তবে, ম্যারিল্যান্ডের গবেষকেদের করা গবেষণাও আগ্রহ তৈরি করতে পারে।
অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা দাবি করেছেন, কম্পিউটার মডেলের ওপর ভিত্তি করে তারা এ প্রমাণ পেয়েছেন। পরবর্তীতে ভয়েজার ২ নিয়েও গবেষণা করবেন তাঁরা।
নাসার গবেষকেরা চলতি বছরের জুন মাসে জানিয়েছিলেন, মহাকাশের রহস্যের জাল ভেদ করতে এত দিন সৌরজগতের অভ্যন্তরেই ছিল মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পদচারণ। সৌরজগতের প্রান্তসীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে ৩৫ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার উৎক্ষেপণ করা নভোযান ভয়েজার ১। ঠিক কবে নাগাদ ভয়েজার সৌরজগতের সীমা ছাড়াবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে না পারলেও গবেষক এড স্টোন ওই সময় জানিয়েছিলেন, সেই মাহেন্দ্রক্ষণ খুব নিকটেই। এখন সৌরজগতের এক প্রান্তসীমায় অবস্থান করছে ভয়েজার ১।
এর আগে ২০১২ সালে এজ স্টোন জানিয়েছিলেন, মহাকাশযানটি সৌরজগতের শেষ সীমায় অবস্থান করছে। সে সময় চার্জিত কণার একটি বিশেষ অঞ্চলে ভয়েজার ১ অবস্থান করছে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, সূর্য-নিঃসৃত কণিকার প্রবাহ বর্হিমুখী না হয়ে বরং পার্শ্বমুখী হচ্ছে। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, ভয়েজার ১ নক্ষত্র রাজির মধ্যকার মহাশূন্যের প্রায় কাছাকাছি অবস্থান করছে। সম্প্রতি গবেষক জানিয়েছেন, বিশেষ এ অঞ্চলটি পার হয়ে আরেকটি হালকা কণার বিশেষ স্তরে প্রবেশ করেছে ভয়েজার ১। এ অঞ্চলটি বিশেষ চৌম্বক স্তরের। গবেষকেরা ধারণা করছেন, এ বিশেষ স্তরটিই হচ্ছে সৌরমণ্ডলের সবচেয়ে বাইরের স্তর। তবে এই অঞ্চলটির বিস্তৃতি সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই তাঁদের।
১৯৭৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ভয়েজার ১ পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। ৩৫ বছর ধরে সৌরজগতের অজানা রহস্যের সন্ধান দিয়ে যাচ্ছে মহাকাশযানটি। গবেষকেরা বলছেন, সৌরজগতের মায়া কাটিয়ে ভয়েজার মহাশূন্যের এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে যেখান থেকে পাঠানো তথ্য পৃথিবীতে আসতে সময় লাগছে ১৭ ঘণ্টা।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) নভোযান ভয়েজার ১ সৌরজগতের এমন একটি অংশে প্রবেশ করেছে, যা গবেষকেদের কাছেও অজানা। এখানে নভোযানটির ওপর সূর্যের প্রভাবের চেয়ে মহাজাগতিক অন্য প্রভাব বেশি কাজ করছে।
গবেষকেরা ধারণা করছেন, এ নভোযানটি ২০২০ সাল পর্যন্ত সংকেত পাঠাতে সক্ষম হবে। এরপর তা অজানার পথে পাড়ি দেবে। ধারণা করা হচ্ছে, এসি+৭৯৩৮৮ নামক নক্ষত্রের দিকে ছুটতে থাকবে এ নভোযানটি। কোনো দুর্ঘটনা ছাড়া ৪০ হাজার বছরের পথ পাড়ি দিয়ে দুই আলোকবর্ষ দূরের এ নক্ষত্রটির দিকে ছুটে যাবে মানুষের তৈরি এ নভোযান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন