শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৯

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল
খুলনা-বরিশাল অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে 'বুলবুল'
বরিশালের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে জনগণকে নিরাপদে যাওয়ার আহ্বান

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-পশ্চিম উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার মধ্যরাতের দিকে খুলনা-বরিশাল অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। তবে উপকূলে আঘাত হানার আগে কিছুটা দুর্বল হয়ে যেতে পারে ধারণা করছেন তারা।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে চার নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১৫ কিমি দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯০ কিমি দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে গত রাত থেকে পটুয়াখালী উপকুলজুড়ে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। জেলায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া বিভাগ।

এদিকে, সাগর উত্তাল রয়েছে নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় জেলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের দরবার হলে দুর্যোগ প্রস্তুতি বিষয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ জেলার সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থগিত রেখে শ্রমিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ৬৫ ফুটের চেয়ে ছোট সকল নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সকল মাছ ধরা ট্রলার নিরাপদে আশ্রয় নিচ্ছে।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, জেলায় মোট ৪০৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সার্বিক বিষয় মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১শ’ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ১৬৬ বান্ডিল টিন এবং ৩ হাজার ৫০০টি কম্বল মজুত রাখা হয়েছে।

এদিকে, সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করছেন বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকরা।

কোন মন্তব্য নেই: