জাপানিদের মতো দীর্ঘায়ু চান, আজই বন্ধ করতে হবে কিছু খাবার
দীর্ঘায়ুর জন্য জাপানের মানুষ বিশ্বজুড়ে খ্যাত হয়ে রয়েছে। জাপানিরা জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স আমেরিকা, ব্রিটেন ও কানাডার চেয়ে বেশি দিন বেঁচে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘায়ু হওয়ার পেছনে জাপানিদের ডায়েটের বিশেষ ভূমিকা আছে। 'ইন্টারন্যাশনাল কম্পেরিশন' এর এই রিপোর্টটি গত বছর ইউরোপীয় জার্নাল অফ ক্লিনিক নিউট্রিশনে ছাপা হয়েছিল।
মানুষের দীর্ঘায়ু বুঝতে 'ন্যাশনাল সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ অ্যান্ড মেডিসিন' ১৫ বছর ধরে ৮০ হাজার পুরুষ ও মহিলাদের খাদ্যাভ্যাসের পদ্ধতি এবং অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করেছে। এই গবেষণায় দেখা গেছে জাপানিরা ২০০৫ সালে জারি করা স্বাস্থ্যকর ডায়েটের গাইডলাইন কড়া ভাবে মেনে চলে।
এই গাইডলাইনে বলা হয়েছিল, প্রতিদিনকার খাবারে পাঁচ থেকে সাতটি শস্যদানা থাকবে। এ ছাড়া ছয় থেকে সাত রকম সবজি থাকতে হবে। এছাড়া দিনে ২-৩ বার মাছ/মাংস খেতেও বলা হয়েছিল। নানা ধরণের ফল এবং দুধ দিনে দুবার খেতে বলা হয়। এছাড়া এই গাইডলাইনে দেখা গিয়েছে, এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম ছিল এবং হাই শর্করার খাবার ছিল।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, বেশি শস্য, শাকসব্জি, ফলমূল, মাংস, মাছ, ডিমের মতো খাবার এবং সীমিত অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় মানুষের আয়ু বাড়িয়ে তুলতে সহায়ক। এই মন্ত্রে আসলে জাপানিরা বিশ্বাস করে। তাঁরা মনে প্রাণে এটা মেনেও চলে।
সমীক্ষা বুলছে, জাপানিরা প্লেটের নেওয়ার চেয়ে বাটিতে খাবার খেতে বেশি পছন্দ করেন। খুব ধীরে ধীরে খায় তাঁরা। একই সঙ্গে খাবার সময় টিভি বা মোবাইল দেখা তাঁদের না পসন্দ। খাবার সময় তাঁরা খাবারের দিকেই মন দেন।
এছাড়া হাই কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার যা কিনা আমরা বেশিরভাগ সময় খাই, জাপানিরা ঠিক এগুলিই এড়িয়ে চলে। সস, মাখন, ঘি, ক্রিম, পনির, কেক এসব খাবারে প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, এগুলি এড়িয়ে চলা উচিত্। একই সঙ্গে হাই সুগারের খাবার খাওয়াও এড়িয়ে চলতে হবে।
চা পান করা - জাপানিরা চা পান করতে খুব পছন্দ করে। গ্রিন টি পাতা থেকে তৈরি এক প্রকার চা তাঁরা খায়। এই চা পুষ্টিকর এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। এই চা প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হজমকে ঠিক রাখে এবং ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ প্রতিরোধ করে।
নিয়মিত অনুশীলন - নিয়মিত অনুশীলন আপনাকে দীর্ঘজীবন পেতে সহায়তা করে। জাপানিরা বেশিক্ষণ বসতে পছন্দ করেন না। তারা প্রচুর হাঁটেন। বেশিরভাগ মানুষ হাঁটতে হাঁটতে বা সাইকেলেই কলেজ বা অফিস যান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন