F S S T S T L

বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

উপকারী দোয় শত্রুর অনিষ্ট থেকে বাঁচার দোয়া



শত্রুর অনিষ্ট থেকে বাঁচার দোয়া
অ- অ অ+

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহুরিহিম ওয়া নাউজুবিকা মিং শুরুরিহিম।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমরা তাদের মোকাবিলায় তোমাকে যথেষ্ট ভাবছি এবং তাদের অনিষ্ট থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাইছি।’

উপকার : আবু বুরদা ইবনে আবদুল্লাহ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তার পিতা তাকে বর্ণনা করেন যে, নবী (সা.) কোনো সম্প্রদায় দ্বারা ক্ষতির আশঙ্কা করলে এই দোয়া পড়তেন।

জ্বলন্ত আগুনে উল্টো ঘি ঢাললেন ভারতীয় সেনাপ্রধান




জ্বলন্ত আগুনে উল্টো ঘি ঢাললেন ভারতীয় সেনাপ্রধান
অ- অ অ+

বিতর্কিত মন্তব্য করে ফের খবরের শিরোনাম হলেন ভারতীয় সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত। তাঁর বক্তব্য, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ভারত প্রত্যুত্তর দেওয়ার জন্য তৈরি।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং এনআরসি নিয়ে ভারতে এখন অশান্তি তুঙ্গে। আগুন ছড়াচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারতে। ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে দক্ষিণ ভারতের বেঙ্গালুরুতে। অশান্ত হায়দরাবাদ। ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে কাশ্মীর। এমন পরিস্থিতিতে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে আগুন যেন উস্কে দিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। বললেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে যে কোনো সময় যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ভারত প্রত্যুত্তর দেওয়ার জন্য তৈরি।

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা কোনো নতুন কথা নয়। গত কয়েক মাসে ভারত একাধিকবার দাবি করেছে যে, পাক সীমান্তরক্ষী বাহিনী অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে গুলি চালিয়েছে। পাকিস্তানও একাধিকবার একই দাবি করেছে। কিন্তু ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে কাশ্মীর পরিস্থিতি যে দিকে মোড় নিয়েছে, তাতে সীমান্তে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ভারত সরকার বার বার দাবি করছে কাশ্মীর শান্ত। কিন্তু কাশ্মীরীদের এক বড় অংশের দাবি সেখানে পরিস্থিতি ভয়াবহ। ১৩৪ দিন ধরে কাশ্মীর কার্যত অবরুদ্ধ। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। হাসপাতাল থেকে ব্যবসা কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এরই মধ্যে সেনাপ্রধানের মন্তব্যে কাশ্মীর উপত্যকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে।

যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ভারতীয় সেনাপ্রধানের এই মন্তব্যের জেরে সত্যি সত্যি যদি সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ে তাতে এই মুহূর্তে ভারতের পক্ষে তা সামলানো তত সহজ হবে না। কারণ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিক্ষোভের জেরে সেনা বাহিনীর একটি বড় অংশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে উত্তর পূর্ব ভারতে। দেশের ভিতরেও প্রায় সর্বত্র বিক্ষোভ চলছে। এই মুহূর্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি সামলানো মুশকিল।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, দেশের ভিতর দিকে দিকে বিক্ষোভ থেকে চোখ ঘোরানোর জন্যই কি এমন মন্তব্য করলেন রাওয়াত?

আগামী ৩১ ডিসেম্বর জেনারেল রাওয়াতের অবসর নেওয়ার কথা। তবে তার পরে তিনি দেশের নিরপত্তা প্রধান হতে পারেন। এই প্রথম এমন একটি পদ তৈরি করেছে সরকার। সেই পদে বসার কথা জেনারেল রাওয়াতের।

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বললাম, তুমি মুসলিম : এলিজাবেথ ভ্যালেনসিয়া

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বললাম, তুমি মুসলিম : এলিজাবেথ ভ্যালেনসিয়া


আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বললাম, তুমি মুসলিম : এলিজাবেথ ভ্যালেনসিয়া
প্রতীকী ছবি

অ- অ অ+

‘ইসলামের শাশ্বত বাণী আমার জীবনে আমূল পরিবর্তন এনেছে। আমার কাছে জীবনটা আগে থেকেই বিষাদময় মনে হতো। নিজেকে অনেক সময় অনেক কষ্ট দিতাম। মা-বাবা আমার প্রয়োজনের সবই সরবরাহ করতেন। তার পরও তাঁদের প্রতি ক্রোধান্বিত হতাম। জীবনটা আমার কাছে বরাবর বিষাদময় মনে হতো। স্কুলে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করতাম, যেন তারা অপরিচিত। মনে হতো, আমি যেমন নিজেকে চিনি না, তেমনি তাদেরও আমি চিনি না।

আমি আমার সাথিদের চেয়ে পড়াশোনায় বেশ ভালো ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমি ক্লাস ফাঁকি দিতে শুরু করলাম, ফলাফল খারাপ করলাম। তখন মিথ্যা বলা শুরু করলাম এবং ক্রমেই নিজের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হতে লাগলাম। বয়ফ্রেন্ডরাও আমাকে অপছন্দ করতে লাগল। সার্বিক দিক দিয়ে জ্বালা-যন্ত্রণা ক্রমে আমাকে অসহনীয় করে তুলল। আমার স্কুলের বন্ধু, মা-বাবা ও দাদা-দাদির কাছে বলতে শুরু করলাম আমার মানসিক অবস্থা। আমি অস্থির হয়ে ভাবতে শুরু করলাম আমি কী করব? তারপর হঠাৎ করেই একদিন মানসিক অবস্থা পরিবর্তনে আমি প্রার্থনা-উপাসনায় মনোযোগ দিলাম। কিন্তু ক্রমেই আমার মনের অবস্থা আরো কৌতূহলী, উচ্ছল হতে লাগল। বেড়ে গেল অনুসন্ধিৎসা। খুঁজতে লাগলাম কার উপাসনা করছি আমি। কোনো সমাধান পেলাম না। আমার সমস্যা আরো প্রকট হলো। আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা হলো। আমার যেসব বান্ধবীর বয়ফ্রেন্ড ছিল, তাদের হিংসা করতাম।

এরই মধ্যে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে স্কুল বন্ধ হলো। ৪ নভেম্বর শনিবার আমি একজনের দেখা পেলাম। তিনি আমাকে এক কপি পবিত্র কোরআন শরিফ উপহার দিলেন। আমি অধীর আগ্রহে পবিত্র কোরআন পাঠ করে তিন মাসে শেষ করলাম। এটিই ছিল আমার জীবনের প্রথম একাধারে পাঠ করে শেষ করা কিতাব। কোরআনের প্রতিটি শব্দ ও বাক্য আমাকে আবেগতাড়িত করল। আমার অনুভূতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার করল।

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০১ সাল। সেদিন আমি হঠাৎ কিছুটা বিষণ্নতায় ছিলাম। মনে মনে কোনো মুসলমান বন্ধুর টেলিফোন আশা করছিলাম। সেদিন আমি আমার স্কুল ফ্রেন্ড, বয়ফ্রেন্ড এমনকি মা-বাবার সম্পর্কের টানাপড়েন সইতে পারছিলাম না। প্রচণ্ড মানসিক দ্বন্দ্বে আমি ভুগছিলাম। সব প্রশংসা আল্লাহ পাকের, দরুদ ও সালাম নবীর ওপর। এই কঠিন সময়ে আমার মন পরিবর্তন হলো। আমি দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় মসজিদে হামজায় গিয়ে সেখান থেকে কিছু মুসলমানের ফোন নম্বর সংগ্রহ করলাম। এক দম্পতির সঙ্গে ফোনে কথা বললাম। উল্লেখ করলাম যে আমি বেশ কিছুদিন ধরে ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করছি। ১৩ বছর বয়স্ক এক মুসলিম মেয়েকেও পেলাম। আমি বললাম, মুসলমান হতে চাই। কিন্তু কিভাবে হতে হয়? সে বলল, এটা খুবই সহজ ব্যাপার। অন্তর থেকে মনোযোগসহকারে ঘোষণা দিতে হবে, স্বীকার করতে হবে, আল্লাহ এক ও একমাত্র উপাস্য। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর বান্দা ও রাসুল। মুসলিম মেয়েটি জিজ্ঞেস করল, আমি এ ঘোষণা তার বাবা ও বাবার সহযোগীর সামনে দিতে প্রস্তুত কি না? আমি রাজি হলাম। দুজন সাক্ষীর সামনেই আমি তাওহিদের মহান বাণী মনে-প্রাণে স্বীকার করে গ্রহণ করলাম। আনন্দে আমি মনভরে, প্রাণভরে কিছু সময় ধরে কাঁদলাম। আমি সেই মুসলিম বোনকে ইসলাম গ্রহণের কাহিনি শোনালাম। সবাই অভিবাদন জানাল, দোয়া করল আল্লাহর দরবারে। আমি তারপর গোসল করলাম। আয়নার সামনে দাঁড়ালাম, নিজেকে বললাম, তুমি মুসলমান। তুমি মুসলমান, ভুলে যেয়ো না, এই মুহূর্ত থেকে তুমি একজন মুসলিম নারী।

আমি দ্রুত নামাজ, রোজাসহ শরিয়তের বিধানাবলি শিখতে আরম্ভ করলাম। প্রয়োজনীয় সুরাগুলো মুখস্থ করলাম। স্কুলে যাওয়ার ফাঁকে আমি মাঝেমধ্যে মসজিদে যাওয়া শুরু করলাম। ইসলামী বইপুস্তক অধ্যয়ন শুরু করলাম। আস্তে আস্তে আমার মনের দৃঢ়তা বাড়তে থাকল। এরই মধ্যে আমি একদিন বাবার সঙ্গে ইসলাম সম্পর্কে আলোচনা করলাম। এ ব্যাপারে আলোচনায় কারো সঙ্গে আমার ভয় হতো না। ইসলামের কথা বলতে না বলতেই আমার ক্যাথলিক খ্রিস্টান পিতার ইসলাম সম্পর্কে ভুল ভাঙল।

ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার

ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার


ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার
অ- অ অ+

অতিরিক্ত ওজন হোক বা না হোক, আমরা সকলেই বিষাক্ত পদার্থ থেকে মুক্তি পেতে চাই। আপনি অবশ্যই জুস ডিটক্স, সালাদ ডিটক্স সম্পর্কে শুনেছেন, কিন্তু আপনি কি আপেল সিডার ভিনেগার ডিটক্সের কথা শুনেছেন? কিছু মশলার সাথে আপেল সিডার ভিনেগার একটি মিশ্রণ হল নতুন শুদ্ধি যা লোকেদের ওজন কমানোর চেষ্টা করছে।

ডিটক্স জনগণের ওজন হ্রাস করতে, তাদের কোলেস্টেরল কমাতে, রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে, রক্তচাপকে হ্রাস করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং শরীরের পিএইচ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

১–২ টেবিল-চামচ কাঁচা ছাপানো আপেল সিডার ভিনেগার, ২৫০ মিলি বিশুদ্ধ পানি এবং ১- ২ টেবিল চামচ সুইটেনার্স (মধু, ম্যাপেল সিরাপ বা স্টেভিয়া) নিন। সুবিধার জন্য অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (সপ্তাহ বা মাস) নিয়মিত এটি গ্রহণ করতে হবে।

২০০৯ সালে পরিচালিত একটি জাপানি গবেষণায় ১৫৫ জনকে নিয়ে গবেষণা করা হয়েছিল। এই লোকদের তিনটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছিল যার একটি গ্রুপের একটি প্লাসবো ছিল, অন্য গ্রুপে ছিল ১ টেবিল চামচ এসিভি এবং তৃতীয় গ্রুপে ২ টেবিল চামচ এসিভি রয়েছে।

১২ সপ্তাহ পরে, এটি পাওয়া গেছে যে প্ল্যাসেবো ছিল এমন লোকেরা কোনও ওজন কমাতে পারেনি। যাদের ভিনেগার ছিল তারা অধ্যয়ন শেষে ২–৪ পাউন্ড কমিয়েছিলেন। আপেল সিডার ক্লিনসকে ব্যয় করা হয় বলে বলা হয়, যা আপনাকে ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে। ভিনেগারের অম্লতা কম পিএইচ এবং ধীরে ধীরে হজমকে সক্রিয় করতে পারে। ধীরে ধীরে হজম মানে পরিপূর্ণ হয়।

আরবদের বহু বিবাহ প্রথা ও কিছু কথা

আরবদের বহু বিবাহ প্রথা ও কিছু কথা


আরবদের বহু বিবাহ প্রথা ও কিছু কথা
অ- অ অ+

বিয়ে একটি সামাজিক ও ধমীয় প্রথা। তবে একাধিক বিয়ে নিয়ে রয়েছে নানা মত। একাধিক বিয়ে নিয়ে কেউ সুখী আবার কেউ বা দুঃখী। যেমন, আমিরাতের (ইউএই) আরবদের একাধিক বিয়ে সংক্রান্ত ধ্যান-ধারণা কৌতুহলোদ্দীপক। একাধিক বিয়ে বা বউ নিয়ে তারা অত্যধিক সুখী না হলেও দুঃখী কাউকে দেখা যায় না। একাধিক বিয়ে নিয়ে আরবদের অনেকেই তেমন কিছু বলতে চান না। তবে অনেক ঘনিষ্ঠজনের কাছে প্রসঙ্গক্রমে বলেন অনেক কিছুই- সেসব থেকে জানা কিছু কিছু বিসয় তুলে ধরা হরো এখানে।

আমিরাতে বিয়ে করতে গেলে কনে পক্ষকে বিপুল পরিমাণ মোহরানার অর্থ দিতে হয়। এ কারণে বেশ কিছু আরব স্থানীয় আরব মেয়ের পরিবর্তে ভিনদেশি মেয়েদের বিয়ের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। আর আরব মেয়েরাও এতে তেমন একটা পিছিয়ে নেই। অবশ্য এখন অনেকেই একাকী জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। তাদের মতে সতীনের সঙ্গে ঘর করার চেয়ে একা থাকাই ভালো। এ কারণে অনেক আরব মেয়ে বিয়ে করেননি।

আবার অনেকে বিয়ে করে কিছুদিন সংসার করে পিতৃগৃহে বা নিজ ঘরে বসে আছেন। এখানে তালাক দেওয়া-নেওয়ার ঘটনা প্রচুর। যাদের ঘরে তিন-চারটা মেয়ে রয়েছে, তাদের ২-১ জনের বিয়ে হলেও ঘুরে ফিরে আবার তাদের বাপের বাড়িতেই দেখা যায়।

আহমদ আল শামসির (ছদ্মনাম) বয়স ৩৪, একটা কম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, তার দুজন স্ত্রী এবং চারটি সন্তান। বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতেই বলে ওঠেন, “এখন পর্যন্ত দুটো। তবে চারটা পর্যন্ত করার ইচ্ছে। এখন দুইজনকে দুই ঘরে রাখি, ঝামেলা তেমন একটা হয় না।" কৌশলে সব কিছু ম্যানেজ করেন বলে জানান তিনি। তার বাবার, শ্বশুরের আর দাদারও দুটো করে বউ ছিল বলে জানান।

এস হারিবের (ছদ্মনাম) বয়স ৩২, একটি সরকারি অফিসের বিশেষ বিভাগের প্রধান। বিয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে জানান, বউ তার একটাই। তবে ছয়জন ছেলেমেয়ে। ২২ বছর বয়সে নিজের কাজিনকে বিয়ে করেন তিনি।

হারিব আরও জানান, তার বাবার তিন বউ, শ্বশুরের চার বউ। আর বিয়ে করবেন কিনা জানতে চাইলে জানান, অন্তত দুই থেকে তিনটি বিয়ে করবেন তিনি। তবে এখন নয়- তা হবে চল্লিশের পর।

তিনি আরো জানান, তার তিনটি মোবাইল, একটি মোবাইলে তিন চারজন গার্ল ফ্রেন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ। পরে হয়তো এদের কাউকে বিয়ে করতে পারেন বলে জানান। বউয়ের সঙ্গে এদের কোনো সমস্যা হবে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি জানান, এসব কিছু ম্যানেজ করতে হবেই। শুধু বাড়ি, গাড়ি আলাদা করে দিলেই হলো। তবে তার বউ নাকি নিশ্চিত তার আরো দুই তিনজন সতীন আসবে।

আবু জিদান (ছদ্ম নাম) অর্থাৎ জিদানের বাবার বয়স ৫২ বছর। তার ছেলের নাম জিদান তাই তাকে সবাই আবু জিদান বলেই ডাকেন। আরবে কোনো ব্যক্তিকে তার বড় ছেলের নামের আগে আবু যুক্ত করে ডাকার রেওয়াজ রয়েছে। আবু জিদান একজন চৌকস ব্যবসায়ী, ঘরে রয়েছে তিনজন বউ। আলাদা দুই বাড়িতে দুই বউকে, আর তৃতীয়জনকে রেখেছেন একটি ফ্লাটে। ছেলেমেয়েদের কথা জিজ্ঞেস করতেই মুচকি হেসে বলেন, “অনুমান করেন, কয়টি হবে?” বললাম, “১০ জন হবে।” মুচকি হেসে ‘হাঁ’ বললেন এ বুড়ো খোকা।

জানলাম, কয়েক মাস পূর্বে জর্ডান থেকে আরেকটি বিয়ে করে নিয়ে এসেছেন। তার আগে আনলেন মরক্কো থেকে একটি। কেন এসব করছেন- জিজ্ঞেস করলে বলেন, “মন তো আরো বেশি চায়।”

সালমা আলীর (ছন্দনাম) বয়স ৩৬। একটি সরকারি অফিসে ভালো চাকরি করতেন। চার সন্তান নিয়ে আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন তিনি। চাকরির সুবাদে আলাপ ও দেখা হত ২৬ বছরের যুবক আলীর সঙ্গে। প্রতিদিনের আলাপে ফেঁসে যান আলী। একদিন সালমা আলীর ঘরে বউ হয়ে আসেন। তাদের রয়েছে এখন চারটি ছেলেমেয়ে। আগের ঘরের ছেলেরাও মায়ের সঙ্গে থাকেন। সালমা জানেন, সুযোগ বুঝে আলীও কয়েকটি বিয়ে করবেন।

তবে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে একাধিক প্রেমের প্রবণতা প্রবল থাকলেও বিয়ের প্রবণতা অনেক কমেছে। আরবের অনেক শেখের উপযুক্ত ছেলেরাও এখনো বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান না। যাদের পেতে বা বিয়ে করতে অনেক মেয়েই পাগল। আরবের নতুন প্রজন্মও বোঝে, বিয়ে বা বহু বিবাহ সব সমস্যার সমাধান নয়। বহু বিবাহ তাদের রীতি; বাপ দাদারা করে এসেছেন, তাই তারা করেন। কিন্তু এখন অনেকেই এক বউ বা এক সংসারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। যদিও নারী আসক্তিটা তাদের কমবেশি রয়েছেই।


মন্তব্য

অফিস পৌঁছাতে দেরি হলে অনীহা বাড়ে কাজে!

অফিস পৌঁছাতে দেরি হলে অনীহা বাড়ে কাজে!


অফিস পৌঁছাতে দেরি হলে অনীহা বাড়ে কাজে!
অ- অ অ+

বাড়ি থেকে সময়মতোই বের হচ্ছেন। তারপরও নির্দিষ্ট সময়ের পরে অফিসে পৌঁছাচ্ছেন। নিজেকে দোষারোপ করছেন। সে সঙ্গে অফিসও বাঁকা চোখে দেখছে আপনাকে। তা নিয়ে আপনি নিশ্চয়ই অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে থাকেন। ভাববেন না, আপনার মতো এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে যাদের অফিস পৌঁছানোর সময় এতটাই বেশি যে পৌঁছনোর পর অফিসের কাজ হয়ে ওঠে অসহ্য।

আবার দিনে দিনে যানজটের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তার জ্যাম টপকে অফিস পৌঁছানো এবং বাড়ি ফেরা অসম্ভভ ক্লান্তিকর। আর এই বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ একটি গবেষণা করেছে। তাতে দেখা গেছে, যতটা সময় ধরে কেউ অফিস পৌঁছান, তার জব স্যাটিসফেকশন ততটাই কম। অফিসের কাছে যার বাড়ি তার থেকে অনেকাংশেই কম অন্তত।

সম্প্রতি পশ্চিম ইংল্যান্ডের এক দল গবেষক অফিস পৌঁছানোর জন্য অতিবাহিত সময় এবং কাজের প্রতি ভালোবাসার মধ্যে একটি যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন। তাদের দাবি, প্রতি বাড়তি এক মিনিটে কর্মীর মানসিক চাপ বাড়তে থাকে এবং কাজের প্রতি অনীহা বাড়ে। বলা হচ্ছে, ২০ মিনিট বাড়তি সময় কাটিয়ে ফেললে তা কর্মীর মনে ১৯ শতাংশ বেতন কেটে নেওয়ার মতো প্রভাব ফেলে। এর ফলে কাজের কোনো আনন্দ উপভোগ করেন না কর্মচারী।

হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ’র রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউরোপের ছয়টি শহরের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের মত, পৌঁছাতে দেরির কারণে কর্মক্ষেত্রে যে মানসিক হয়রানি তৈরি হয় তার পরিমাণ অনেক বেশি নতুন বাড়িতে শিফট করা বা ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়ার চাইতে। আসলে, অফিস থেকে বাড়ি এবং বাড়ি থেকে অফিসে আসার সময় একজন মানুষকে তার 'চরিত্র' পরিবর্তন করতে হয়। তবে অনেক বেশি সময় ভ্রমণ করলে সমস্ত শক্তি ও এনার্জি নষ্ট হয়ে যায়। মানুষ অনেক বেশি বিরক্ত হয়ে পড়েন। সে কারণে ধীরে ধীরে জীবন উপভোগ করার ইচ্ছেটাই মরে যায়।

শরীরের এই পাঁচ জায়গায় চুম্বনে বোঝা যায় প্রেম কতটা গভীর!

শরীরের এই পাঁচ জায়গায় চুম্বনে বোঝা যায় প্রেম কতটা গভীর!


শরীরের এই পাঁচ জায়গায় চুম্বনে বোঝা যায় প্রেম কতটা গভীর!
অ- অ অ+

প্রেমে চুম্বনের গুরুত্ব বিরাট। প্রেমিক বা প্রেমিকা একে অপরকে ঠিক কীভাবে চুম্বন করেন, তার উপরে বোঝা যায় সম্পর্কের গভীরতা কতটা।

প্রেম করলে চুম্বনের ইচ্ছা জাগবেই। কিন্তু শরীরের কোথায় চুম্বন, তা দেখে বোঝা যায় অনেক কিছু।

কারও প্রেমে পড়লে তাকে চুম্বন করতে ইচ্ছে করে। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক অনুভূতি। কিন্তু সেই চুম্বনের ধরন দেখলে বোঝা যায় প্রেমের অনুভূতিটা কতটা গভীর। প্রেমের মধ্যে একাধিক অনুভূতি মিশে থাকে— স্নেহ, মমতা, শরীরী আকর্ষণ— সবকিছু মিলিয়েই প্রেমের অনুভূতি গড়ে ওঠে।

যদি প্রেমের মধ্যে মানসিক যোগাযোগ কম আর শরীরী আকর্ষণের মাত্রা বেশি থাকে, তবে চুম্বন হবে এক রকম। আবার যদি প্রেমে স্নেহের মাত্রা বেশি থাকে, তবে চুম্বনের ধরনটা অনেকটাই অন্যরকম হবে। শুধু তাই নয়, প্রেমিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার মুহূর্তে প্রেমিক ঠোঁট বাদ দিয়ে তার শরীরের কোন অঙ্গে বার বার চুম্বন করছে, সেটা দেখেও বোঝা যায় প্রেমের ধরনটা ঠিক কী রকম।

শরীরের বিশেষ ৫টি জায়গা এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ— কপাল, গাল, নাক, নাভি বা কোমর ও হাতের উল্টো দিক।

কপাল— কপালে চুম্বন অত্যন্ত গভীর প্রেমের লক্ষ্ণণ। প্রেমিক যদি বার বার কপালে চুম্বন করেন তবে বুঝতে হবে তাঁর অনুভূতি অত্যন্ত প্রবল এবং সম্পর্ক নিয়ে তিনি খুবই সিরিয়াস।

গাল— বার বার গালে চুম্বন প্রবল সখ্যতার লক্ষ্ণণ অর্থাৎ প্রেমে বন্ধুত্বের জায়গাটি খুব দৃঢ়। এই প্রবণতা এটাও বলে দেয় যে এই সম্পর্কে একজন আর একজনকে প্যাম্পার করতে পছন্দ করেন।

নাক— একে অপরের জন্য প্রবল স্নেহ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব থাকলে নাকে চুম্বন করার ইচ্ছেটা আসে।

নাভি বা কোমর— প্রেমিকার নাভি বা কোমরের কাছে চুম্বন যৌনতার প্রকাশ। যদি যৌনমিলন ছাড়াও এমনি সময়েও কোমরে বার বার চুম্বন করেন প্রেমিক তবে বুঝতে হবে তিনি প্রেমিকার প্রতি শারীরিকভাবে অত্যন্ত বেশি রকম আকৃষ্ট।

হাতের উল্টো পিঠ— এই চুম্বন পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে বেশি প্রচলিত। সেখানে এটি যে কোনও মেয়েকেই সম্মান জানানোর একটি ধরন। তা বাদ দিয়ে প্রেমের ক্ষেত্রে এর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। প্রেমিকার হাতে যাঁরা এভাবে চুম্বন করেন, তাঁদের প্রেমিকার প্রতি গভীর সম্মান রয়েছে।

ঊর্বশীর নগ্ন গোসলের ভিডিও ফাঁস

ঊর্বশীর নগ্ন গোসলের ভিডিও ফাঁস


ঊর্বশীর নগ্ন গোসলের ভিডিও ফাঁস
অ- অ অ+

আরও এক বলিউড অভিনেত্রীর এমএমএস কাণ্ড। 'সনম রে' সিনেমার শ্যুটিংয়ে এক গোসলের দৃশ্যে অভিনয়ের সময় ভিডিও ফাঁস হয়ে যায় ঊর্বশী রাউতেলার। দিব্যা খোসলা কুমার পরিচালিত এই সিনেমার শ্যুটিংয়ের ফাঁকে এই ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় বিরক্ত প্রযোজক সংস্থা। তবে কীভাবে এই দৃশ্যর ভিডিও ফাঁস হল তা নিয়ে মুখ খুলছেন না পরিচালক-প্রযোজকরা। যদিও এই ভিডিও যে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়েছিল, সেইখান থেকে ঊর্বশীর গোসলের কার্যত নগ্ন ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
ঊর্বশির পাশাপাশি 'সনম রে' সিনেমাটিতে আছেন পুলকিত শর্মা, ইয়ামি গৌতম। উত্তরাখণ্ডের ২১ বছরের মেয়ে ঊর্বশি ২০১২ সালে মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্সের খেতাব জেতেন। ২০১৩ সালে সানি দেওলের 'সিং সাব দ্য গ্রেট' সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সনম রে মুক্তি পাচ্ছে। তার আগে এই সিনেমার মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই ইউটিউবে রেকর্ড পরিমাণ হিট হয়েছে গানটি। তার আগে ঊর্বশীর এই এমএমএস কাণ্ড সিনেমার প্রচারে কতটা সাহায্য করে সেটাই দেখার।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি 'সনম রে' মুক্তি পাচ্ছে।

অভিশপ্ত যৌন পর্যটন-১: মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে দেয়া গর্বিত জাতি ওরা

অভিশপ্ত যৌন পর্যটন-১: মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে দেয়া গর্বিত জাতি ওরা


অভিশপ্ত যৌন পর্যটন-১: মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে দেয়া গর্বিত জাতি ওরা
মেয়েদের জোরপূর্বক প্রবেশ করানো হয় সেক্স-ট্যুরিজমে, ইনসেটে ফাদার শে কুলেন

অ- অ অ+

মানবপ্রকৃতির নৈতিক স্খলনের অনেক উদাহরণ দেখা যায়। তবে বিস্তৃত পরিসরে বিকৃতব্যবস্থা পরিচালনার সর্বাপেক্ষা দুঃখজনক উপায়টি হয়ে উঠেছে 'সেক্স ট্যুরিজম'। এই বিদ্যমান বিষয়টি অনেক দেশেই সরকারের সমর্থন ও উৎসাহপুষ্ট হয়ে থাকে। এ ব্যবস্থা ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে শুরু করে রীতিমতো জাতীয় আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম যৌন পর্যটনের সঙ্গে জড়িত। এর মাধ্যমে যেমন একটা অংশের হাতে অর্থ যাচ্ছে, তেমনি অন্য অংশের লাখ লাখ মানুষ শোষন আর বঞ্চনার শিকার হচ্ছে।

সেক্স ট্যুরিজম নিয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গী প্রকাশ করেছেন আইরিশ মিশনারি প্রিস্ট এবং প্রেডা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ফাদার শে কুলেন। যৌন-পর্যটনের নানা দিক উঠে এসেছে তার বিশ্লেষণে। আজ দেখুন তার প্রথম পর্ব।

বর্তমানে ফিলিপাইনের প্রায় ৫ লাখ মানুষ বিশাল পরিসরের যৌন পর্যটনের সঙ্গে জড়িত। আরো অন্যান্য দেশেই এমনটা ঘটছে। এই ইন্ডাস্ট্রি বছরে বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করছে। অথচ এর আড়ালে ভুক্তভোগীদের ভোগান্তির কোনো পরিসীমা নেই। লাখো মানুষের জীবন নিভে গেছে, ধ্বংস হয়েছে এবং পুরোপুরি নষ্টে পথে এগোচ্ছে।

অতি সুচারুভাবে গড়ে ওঠে এই অর্থ বানানোর দুনিয়া যৌন পর্যটন। এ বাণিজ্য ফুলেফেঁপে ওঠার পেছনে রয়েছে মধ্যবয়সী এবং বয়স্ক মানুষগুলোর চাহিদা, যাদের জীবনে নিজ দেশে যৌন পরিতৃপ্তি লাভের কোনো উপায় নেই। তারা সাধারণত ধনী। বিভিন্ন দেশে ঘুরেফিরে সেই চাহিদা পূরণ করেন। সাধারণত কম বয়সী নারী, এমনকি পুরুষের লোভেও অন্য দেশে চলে যান অতৃপ্তরা। এই খদ্দেরদের মনোরঞ্জনে অপেক্ষায় থাকতে হয় কম বয়সী, বিপদগ্রস্ত এবং দরিদ্র ঘরের মেয়েদের। দেখা যায়, এই পর্যটক পুরুষদের বেশিরভাগই ডিভোর্সপ্রাপ্ত, বিপত্নীক কিংবা অবিবাহিত। অথবা তারা স্ত্রী-পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। যৌনতার জন্যে পর্যটনরতদের মনে এই নারীদের প্রতি কোনো ধরনের শ্রদ্ধাবোধ নেই। তারা মেয়েদের বিক্রয়ের জন্যে রাখা ভোগ্যপণ্য হিসেবেই দেখেন। একান্ত ব্যক্তিগত ভোগের জন্যে তাদের পেতে চান। এখানে যৌন-পর্যটনের শিকার কোনো নারীর ভালো-মন্দের কিছুই দেখা হয় না।

এমন হাজারো কম বয়সী মেয়েকে এমন কাজে লাগানো হয়। তারা সবাই অশিক্ষিত হয়েই থাকে। অনেকের পরিচয় আর গোপন থাকে না। তখন দরিদ্র পরিবারও আর তাদের ফিরিয়ে নিতে চায় না। পুরোপুরি বাণিজ্যিকভাবে যৌনতা বিক্রিতে রাজি না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোনো আয় আসে না। এক অর্থে তাদের কোনো মূল্য নেই। তাদের মূল্য নির্ধারিত হয় একমাত্র যৌনতা বিলানোর মধ্য দিয়ে। অন্যদিকে, মানুষ হিসেবে তাদের মর্যাদা, গুরুত্ব এবং অধিকার শতভাগ লঙ্ঘিত হচ্ছে।

জড়িত নারীদের মূল্যমান আরো কমে আসে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ আর ধনকুবেরদের সংশ্লিষ্টতায়। সেক্স ট্যুরিজম থেকে আসা বিশাল অর্থের অংশ তাদের হাতেও যায়। এই খেলায় পুলিশও জড়িত থাকে। সুবিধাভোগীদের প্রত্যেকের লোভ, স্বার্থপরতা এবং বিকৃত কামনাই আসলে পুরো কারবারের হৃৎপিণ্ড হয়ে কাজ করে। এই বড় বড় নিয়ন্ত্রকদের অনেকেরই আবার ব্যক্তিগত দায়িত্বে কম বয়সী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক যৌনদাসী থাকে।

মানবতাকে বড় মূল্য দিতে হচ্ছে এখানে। যে মেয়েটা এর শিকার হচ্ছেন তার মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ভালো একটা জীবনের অধিকার নেই তাদের। শিক্ষালাভ কিংবা ক্যারিয়ার গড়ে তোলার কোনো স্বপ্ন নেই। যে জাতি পর্যটকদের জন্যে নিজের দেশের মেয়েদের বিক্রি করে দেয়, তাদের চেয়ে ঘৃণ্য কেউ নেই। এটা এক কলঙ্কিত আর দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজের উদাহরণ যারা বিশ্বজুড়ে কম বয়সের লাখো নারীকে এক অন্ধকার জীবনে ঠেলে দিয়েছে।

যৌন-পর্যটন আসলে সত্যিকার অর্থে পর্যটন সংশ্লিষ্ট কোনো আয়োজন নয়। এটা কেবলই যৌনদাসত্বের আধুনিক সংস্করণ। এখানে অপরাধী এবং অন্যায়কারীরা নারীদের মানবাধিকার খর্ব করে। যৌনতার আকাঙ্ক্ষায় পর্যটক হয়ে আসা মানুষগুলোর সাথে যৌনকর্মীদের মধ্যকার এই বচসা মূলত ক্ষমতা, নিয়ন্ত্রণ আর দমনের প্রদর্শন। নিজের বিকৃত রুচি চরিতার্থের জন্যে অন্যকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেন পর্যটকরা। এই মেয়েরা চাইলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন না। পরিবার আর তাদের গ্রহণ করে নেয় না। সমাজেও মুখ দেখানোর উপায় থাকে না। এ ধরনের নিপীড়ন যে অপরাধমূলক কাণ্ড, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

এমন কাজে আসার পেছনে মেয়েদের যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে তা হলো চরম দারিদ্রতা। তাদের কাছে কোনো উৎস নেই, শিক্ষা অর্জনের পথ সরু এবং গ্রামে বসবাসরত এই মেয়েগুলো বাঁচার তাগিদে অর্থ উপার্জনের জন্যে যেকোনো কাজ করতে রাজি থাকেন। তবে এ পেশায় প্রবেশের পর বিষয়টা স্রেফ বেঁচে থাকার এবং একাকী টিকে থাকার হয়ে ওঠে। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তাদের পয়সার জন্যে অস্থির থাকতে হয়। এক কাপ ভাত আর সামান্য সবজির টাকা নিশ্চিত করাই তাদের একমাত্র দুশ্চিন্তা। অনেক সময় রেস্টুরেন্টের উচ্ছিষ্ট জোগাড় করে আবারো রান্না করে খেতে হয় তাদের।

যৌন-পর্যটনের সঙ্গে যে মেয়েরা জড়িয়ে পড়েন তাদের অনেকেই আবার নিজগৃহেই আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী কিংবা পরিবারের সদস্যের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন। তাদের বাঁচার জন্যে বাড়ি থেকে পালানো ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। রাস্তায় থাকা কিংবা যৌনকর্মী হিসেবে মেয়েদের খোঁজে ঘুরে বেড়ানো দালালদের খপ্পরে পড়তে বেশি সময় লাগে না। আর একবার যদি যৌন-পর্যটনের দালালদের কাছে তারা আটকে যায়, তবে আরো কোনো কথা নেই। এরা প্রথমেই অর্থ, খাবার আর আশ্রয় প্রদান করে। আর কী চাই তাদের! পরে স্থান হয় পতিতালয়, সেক্স বার এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্লাবে ঠাঁই হয়।

এ অবস্থা কেবল ফিলিপাইনেই নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা ইউরোপের বিশাল আকারের কুখ্যাত সব পতিতালয়ে এভাবেই মেয়েরা আসে। এ বাণিজ্যকে যে সরকার এবং সমাজ মদদ দিচ্ছে, তারাও সমান অপরাধী। মেয়েদের অনেকেই একেবারে অপ্রাপ্তবয়স্ক। সেক্স ট্যুরিজমই মূলত শিশুদের যৌনকর্মে আনতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে।

যৌন-পর্যটন যেকোনো সমাজের লক্ষ্য ও বুনুন নষ্ট করে দেয়। নারীদের মর্যাদাহানী করে। ওই সমাজের তরুণ সমাজ এবং বাচ্চাদের অধঃপতন ঘটে। যারা এমন অপকর্ম জড়িয়ে থাকে তাদের কাছে কম বয়সী নারীদের দেহ বিক্রির পণ্য বলেই গণ্য হয়। তারা কখনোই মেয়েদের হৃদয় আর আত্মা, অনুভূতি, আকাঙ্ক্ষা এবং আশা নিয়ে বেঁচে থাকা কোনো প্রাণ বলে মনে করে না।

এই দালালরা মূলত মানব বণিক। দর-দামে মিললে মেয়েদের বিক্রি করে দেয়। অনেকেই এই কম বয়সীদের ধর্ষণসহ বিকৃত যৌনরুচি মেটাতে চায়। তাদের সন্ধানেই থাকে দালালরা। মানবাধিকার বিষয়ক আইন-কানুনের কোনো তোয়াক্কা নেই তাদের। মেয়েদের কুমারীত্বই তাদের মূল আকর্ষণের বিষয়।

ফিলিপাইনসহ বিশ্বের অনেক দেশেই পতিতাবৃত্তি অবৈধ। তবুও এমন অনেক স্থানেই তা ধুন্দুমার চলছে। সংশ্লিষ্ট ক্লাব এবং বারগুলো রক্ষা করে পুলিশ ও রাজনীতিবিদরা। এদের অনেকেই আবার নিজেই এ ধরনের ক্লাবের মালিক।

একবার আমি নিজেই বিদেশি পর্যটক হিসেবে খদ্দের সেজে একটা ক্লাবে গিয়েছিলাম, বলছেন লেখক। সেখানে ছোট একটা মঞ্চে ছয় টিনেজার দাঁড়িয়ে রয়েছে বিকিনি পরে। আমি ম্যানেজারকে বললাম, ওইখান থেকে একটা মেয়ের সঙ্গে যদি সময় কাটাতে চাই তবে এখানে তা নিরাপদে করা যাবে কি?

ওহ, স্যার। আপনাকে মোটেও চিন্তা করতে হবে না। আপনি এখানে পুরোপুরি নিরাপদ, জানান দিলেন ম্যানেজার।

তাই নাকি? কিন্তু কীভাবে?- লেখকের পাল্টা প্রশ্ন।

এই ক্লাবের মালিক একজন পুলিশ কর্মকর্তা, জানালেন ম্যানেজার।

অনেক সময়ই মানুষ তাদের মেয়েদের দোষারোপ করে এমন নোংরা কাজে জড়িয়ে পড়ার জন্যে। অথচ মেয়েদের এমন বিপদগ্রস্ত পরিস্থিতিতে ফেলার জন্যে এই মানুষগুলোর উদাসীনতাই অনেকভাবে দায়ী। এসবের বিরুদ্ধে গির্জা বা মানুষের মাঝে তীব্র প্রতিবাদ নেই। এরা অনায়াসেই হাজারো মানুষের দুর্ভোগ ও জীবন ধ্বংকে মেনে নিয়েছে। এক সময়কার এক গর্বিত জাতি ওরা, নিজেদের মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে ফেলতে দ্বিধা করেনি।

ভাষান্তর: সাকিব সিকান্দার
সূত্র: ম্যানিলা টাইমস

আগামীতে আসছে 'অভিশপ্ত যৌন পর্যটনের পরের পর্ব'

স্তন ক্যান্সারের কারণ জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, নতুন গবেষণায় দাবি

স্তন ক্যান্সারের কারণ জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, নতুন গবেষণায় দাবি

স্তন ক্যান্সারের কারণ জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, নতুন গবেষণায় দাবি
অ- অ অ+

স্তন ক্যানসার নিয়ে যখন সারা বিশ্ব সচেতন হওয়ার প্রয়াস চালাচ্ছে, তখনই আমেরিকার ‘ফ্রেড হোচিনসন ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার’-এর গবেষকরা সামনে আনলেন এর অন্যতম এক কারণ। পরিবার পরিকল্পনার ভাবনা তেমন করে শুরু না হলে অধিকাংশ মেয়েই বিয়ের পর জন্মনিয়ন্ত্রক পিল খাওয়ার অভ্যাস করেন। ঘন ঘন এই পিল খাওয়াই স্তন ক্যানসারের অন্যতম কারণ বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।

সম্প্রতি ওই ‘ফ্রেড হোচিনসন ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার’-এর গবেষকদের একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে আমেরিকার একটি হেলথ ম্যাগাজিনে। সেই তথ্য অনুসারে, ৪০-এর কমবয়সি মেয়েদের শরীরে স্তন ক্যানসার বাসা বাঁধার অন্যতম কারণ এই বার্থ কন্ট্রোল পিল বা গর্ভনিরোধক বড়ি। সঙ্গমের পরেই মুড়িমুড়কির মতো কথায় কথায় এই ওষুধ গ্রহণ করেন অনেক মেয়েই। অনেকেই খানিকটা সাবধান হয়ে কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার পিল খোঁজেন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রায় সব রকম পিল ঘন ঘন ব্যবহারেই স্তন ক্যানসারের একটা ঝুঁকি থেকেই যায়।

২১ হাজার ৯৫২ জন মহিলাকে নিয়ে পরীক্ষা চালান গবেষকেরা। ১০ বছর ধরে টানা পরীক্ষা চালানোর পর তাঁরা ২০১০-এ গর্ভনিরোধক বড়িকে ‘ভিলেন’ হিসেবে সন্দেহ করেন। এ বার সেই ভিলেনকেই গ্রহণযোগ্যতা দিলেন তাঁরা। সাম্প্রতিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই ২১ হাজার ৯৫২ জনের মধ্যে ১১০২ জন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর অধিকাংশেরই এই ধরনের পিল খাওয়া অভ্যাস ছিল। এমনকি, গবেষণা চলাকালীন, টানা ১০ বছরে যাঁরা নতুন করে এই পিল নেওয়া শুরু করেছিলেন তাঁদের প্রায় ৬৪ শতাংশের ক্ষেত্রেই এই অসুখ দেখা দিয়েছে। আবার অনেকেই ১০ বছর আগে এই ওষুধ নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এত দিন কোনও লক্ষণও ধরা পড়েনি। কিন্তু ১০ বছর পর এই রোগ নতুন করে জানান দিচ্ছে।

ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সুকুমার সরকারের মতে, এই ধরনের পিল আসলে হরমোনের উপর খুবই প্রভাব ফেলে। সাধারণত ৪০-এর আগে এই অসুখ দানা বাঁধত না শরীরে। তবে আজকাল ৩০-এর পরেও দেখা দিচ্ছে । জন্মনিরোধক পিলগুলোর কমবেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকেই। ইস্ট্রোজেনের মাত্রার তারতম্য ঘটায় এই ওষুধ। ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার জন্যও স্তন ক্যানসার দেখা দিতে পারে। তবে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা সরাসরি কতটা দায়ী তা নিয়ে সারা বিশ্বে এখনও সবিস্তার গবেষণা চলছে। কিন্তু তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা না হলেও গর্ভনিরোধর বড়িগুলো যে ভাবে হরমোনের তারতম্য ঘটায়, তা নিয়মিত নিলে ক্যানসারের শঙ্কা খুবই বাড়ে। তাই জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য ঘন ঘন পিল নয়, বরং আস্থা রাখুন কন্ডোমে।

গর্ভনিরোধক বড়ি কখনওসখনও একান্তই নিতে হলে তা নেওয়ার নিয়ম, দু’টি বড়ির মধ্যে ন্যূনতম ব্যবধান কত হওয়া উচিত, হরমোনাল কোনও অসুখ আগে থেকেই থাকলে আদৌ এই ওষুধ চলবে কি না, এগুলো চিকিৎসকের থেকে জেনে তবেই এই ওষুধ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


মন্তব্য

স্মার্টফোনের কারণেই ওজন বাড়ে, ভুলগুলো করছেন না তো?




স্মার্টফোনের কারণেই ওজন বাড়ে, ভুলগুলো করছেন না তো?
অ- অ অ+

মোবাইল সঙ্গে নিয়ে বেশিরভাগ মানুষ ঘুমাতে যায়, খেতে বসে, হাঁটতে যায়, ঘুরতেও যায়। স্মার্টফোন ছাড়া এক মিনিটও যেন ভাবতেই পারেন না অনেকে। কিন্তু এই স্মার্টফোনের কারণে হাজার চেষ্টা করেও পাতলা হতে পারছেন না!

সব সময় সঙ্গে মোবাইল রাখা কিন্তু মোটেও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। যদি মনে করেন যে, সব সময় মোবাইল ঘাঁটার অভ্যাসের কারণে শুধু আপনার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটছে, তা কিন্তু নয়। মোবাইল ঘাঁটার অভ্যাস আপনাকে পাতলা হতে দিচ্ছে না।

কী নোটিফিকেশন এল, স্ট্যাটাস আপডেট করার পরেও এখনো কেন নোটিফিকেশন এল না, এই চিন্তা আমাদের পিছু ছাড়ে না। মোবাইল ফোন নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাটি আমাদের স্ট্রেস হরমোন বাড়িয়ে দেয়। এই স্ট্রেস হরমোনের কারণে ওজন বেড়ে যায়।

এছাড়া মোবাইল হাতে হাঁটতে বের হলে চোখ বারবার চলে যায় ফোনের স্ক্রিনের দিকে। ফলে হাঁটার বেগও অনেকটাই কমে যায়। যথেষ্ট জোরে না হাঁটলে ওজন কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

খাওয়ার সময় চোখ মোবাইলের দিকে থাকলে আপনি কী খাচ্ছেন, কতটা খাচ্ছেন সেদিকে মনোযোগ দিতে পারবেন না। ফোনে মনোনিবেশ করতে গিয়ে আপনার অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার সম্ভাবনাও যথেষ্ট প্রবল। সে কারণে মোবাইল নিয়ে খেতে বসলে ডায়েট ঠিক থাকবে না।

বেশি রাত পর্যন্ত মোবাইল ঘাঁটাঘাটির অভ্যাস অনেকেরই আছে। ফোন দেখতে গিয়ে রাতে ঘুম ঠিক মতো হয় না। আর ঘুম ঠিক না হলে স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ হয়ে ওজন বাড়বে। রাতে ঠিক মতো ঘুমাতে না পারলে সকালে উঠে ওয়ার্ক আউটও করতে পারবেন না। এসব কারণে ওজন যাবে বেড়ে।


মন্তব্য

নতুন বছর থেকে যেসব ফোনে চলবে না হোয়াটসঅ্যাপ

নতুন বছর থেকে যেসব ফোনে চলবে না হোয়াটসঅ্যাপ

বেশ কিছু ফোনে ১ জানুয়ারি থেকে আর হোয়াটসঅ্যাপ করা যাবে না। কারণ ওই ফোনে যে অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে সেগুলো যথেষ্ট পুরনো- ফলে সেগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপ সাপোর্ট করবে না। এই তালিকায় ‘উইন্ডোজ’-এর সব ফোনের সঙ্গে রয়েছে কিছু ‘অ্যান্ড্রয়েড’ ও ‘আইওএস’ ফোনও।

হোয়াটসঅ্যাপ ঘোষণা করেছে, কোনও উইন্ডোজ ফোনেই ১ জানুয়ারি থেকে আর তাদের পরিষেবা মিলবে না। এখন আর উইন্ডোজ ফোন বেশি ব্যবহার হয় না। তাই অনেক অ্যাপ আগেই উইন্ডোজ ভার্সনে সাপোর্ট দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সেই অ্যাপগুলো আর কাজ করে না উইন্ডোজ ফোনে। ধীরে ধীরে উইন্ডোজ ফোন ব্যবহার বন্ধের পথে। তাই শেষ পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপও আর সাপোর্ট দিচ্ছে না বলে ঘোষণা করে দিল।

কিছু পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস-এওসাপোর্ট দেওয়া বন্ধ করতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ। অ্যান্ড্রয়েট ২.৩.৭ বা তার আগের ভার্সনে আর সাপোর্ট পাওয়া যাবে না। ফলে এখনও যদি কেউ এই পুরনো অপারেটিং সিস্টেমের ফোন ব্যবহার করেন, তবে তারা আর হোয়াটসঅ্যাপ করতে পারবেন না। অ্যান্ড্রয়েডের এই পুরনো ভার্সনগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ থেকে।
একই ভাবে ‘আইওএস ৮’ বা তার পুরনো ভার্সনের ফোনগুলোতেও আর মিলবে না হোয়াটসঅ্যাপ সাপোর্ট। ‘আইওএস ৮’২০১৫ সালের আগস্ট মাসে লঞ্চ করে। ফলে এখনও যাদের ডিভাইস এই অপারেটিং সিস্টেমেই চলছে তারা আর সেই ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা পাবেন না। এক্ষেত্রেও পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।

২৬ কোটি ৭১ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস

২৬ কোটি ৭১ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস


২৬ কোটি ৭১ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস

ফেসবুকের ২৬ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ৪৩৬ জন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে যার অধিকাংশই আমেরিকান নাগরিক। ফাঁস হওয়া এসব তথ্য স্প্যামিং ও ফিশিংয়ের মতো প্রতারণামূলক কাজে ব্যবহার হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাজ্যের গবেষণা প্রতিষ্ঠান কম্পারিটেকের তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বব ডিয়াচেঙ্কো সম্প্রতি ফেসবুক থেকে ফাঁস হওয়া তথ্যের ডেটাবেইস খুঁজে পান। ৪ ডিসেম্বর ওই ডেটাবেইস অনলাইনে ইনডেক্স করা হয়। পরে ওই ডেটাবেইস সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

ওই ডেটাবেইস সরিয়ে ফেলার আগ পর্যন্ত একটি হ্যাকার ফোরামে ডাউনলোডযোগ্য ফাইল হিসেবে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল। ফাঁস হওয়া তথ্যের মধ্যে রয়েছে ফেসবুক আইডি, ফোন নম্বর ও পূর্ণ নাম।

মেকআপ ছাড়া যেমন দেখায় সারা আলী খানকে

মেকআপ ছাড়া যেমন দেখায় সারা আলী খানকে

মেকআপ ছাড়া যেমন দেখায় সারা আলী খানকে
সারা আলি খান

শুটিংয়ের মাঝে এবার নতুন ছবি শেয়ার করলেন সারা আলি খান। যেখানে মেকআপ রুমে বসে পরপর দুটি ছবি শেয়ার করেন সাইফ-কন্যা। যে ছবি দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই। ওই ছবিতে সারা আলি খান তুলে ধরেন, মেকআপ করার সময়ের লুক। সেই সঙ্গে মেক আপ তোলার পর সারাকে দেখতে কেমন লাগে, সেই ছবিও নিজেই তুলে ধরেন সারা।

ছবি দু’টি প্রকাশর পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। সারা বর্তমানে কুলি নাম্বার ওয়ান-এর সিক্যুয়েল নিয়ে ব্যস্ত। এই সিনেমায় বরুণ ধাওয়ানের বিপরীতে অভিনয় করছেন তিনি। কুলি নাম্বার ওয়ানের পাশাপাশি লভ আজকাল-এও দেখা যাবে সারাকে। পরিচালক ইমতিয়াজ আলির এই সিনেমায় সারার বিপরীতে রয়েছেন কার্তিক আরিয়ান।

প্রসঙ্গ, কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে নাকি বিচ্ছেদ হয়ে গেছে সারার। বিচ্ছেদের পরও শুটিং ফ্লোরে সারার সঙ্গে কার্তিকের যে কোনও বিভেদ দাগ কাটতে পারেনি, তা স্পষ্ট করে দেন বলিউডের এই জুটি। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েও হাসিমুখে কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নেন সারা আলি খান। সূত্র : জি নিউজ।
ছবি দু’টি দেখতে এখানে ক্লিক করুন...

স্পর্শ ছাড়াই উড়ল হেলিকপ্টার (ভিডিও)

স্পর্শ ছাড়াই উড়ল হেলিকপ্টার (ভিডিও)


স্পর্শ ছাড়াই উড়ল হেলিকপ্টার (ভিডিও)

হাতের কোনো স্পর্শ ছাড়াই হেলিকপ্টারকে নিয়ে উড়েছে স্কাইরিস নামের একটি স্টার্টআপ। অটোমেশন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এই হেলিকপ্টার পরিচালনায় কোনো স্পর্শ প্রয়োজন নেই।

যদিও এর আগেও অনেকগুলো এয়ার ট্যাক্সিতে অটোমেশন প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখানো হয়েছে। এসব এয়ার ট্যাক্সি ওড়ানো সম্ভব হয়েছে বিদ্যুতের মাধ্যমে চার্জ দিয়ে। তবে অন্যগুলো থেকে ব্যতিক্রম ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক স্টার্টআপ স্কাইরিস। প্রচলিত হেলিকপ্টার রবিনসন আর-৪৪ এ তারা অটোমেশন প্রযুক্তিটি যুক্ত করে।

হেলিকপ্টারটি চালাতে ও স্থির রাখতে কাজ করে কয়েকটি সেন্সর। যাত্রাপথ, সময় ও উচ্চতা পরিমাপ করা হয় ফেডেরাল এভিয়েশন অ্যাডমিন্ট্রেশন সিস্টেম ও স্মার্ট হেলিপ্যাডের সেট করা সেন্সরের মাধ্যমে। সেন্সরগুলো আবহাওয়ার গতি প্রকৃতি, উড়ন্ত বস্তু কিংবা পাখি ও বাতাস ট্র্যাক করতে পারবে।
হাতের স্পর্শ ছাড়া হেলেকপ্টারটি কিভাবে উড়ছে তা দেখাতে ইউটিউবে দেড় মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, হেলিকপ্টারটিতে দুজন পাইলট বসে আছেন। তাদের একজন মার্ক গ্রোডেন। ২৯ বছর বয়সী এই ইঞ্জিনিয়ারই স্কাইরিস স্টার্টআপটির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও।