অভিশপ্ত যৌন পর্যটন-১: মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে দেয়া গর্বিত জাতি ওরা
অভিশপ্ত যৌন পর্যটন-১: মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে দেয়া গর্বিত জাতি ওরা
মেয়েদের জোরপূর্বক প্রবেশ করানো হয় সেক্স-ট্যুরিজমে, ইনসেটে ফাদার শে কুলেন
অ- অ অ+
মানবপ্রকৃতির নৈতিক স্খলনের অনেক উদাহরণ দেখা যায়। তবে বিস্তৃত পরিসরে বিকৃতব্যবস্থা পরিচালনার সর্বাপেক্ষা দুঃখজনক উপায়টি হয়ে উঠেছে 'সেক্স ট্যুরিজম'। এই বিদ্যমান বিষয়টি অনেক দেশেই সরকারের সমর্থন ও উৎসাহপুষ্ট হয়ে থাকে। এ ব্যবস্থা ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে শুরু করে রীতিমতো জাতীয় আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম যৌন পর্যটনের সঙ্গে জড়িত। এর মাধ্যমে যেমন একটা অংশের হাতে অর্থ যাচ্ছে, তেমনি অন্য অংশের লাখ লাখ মানুষ শোষন আর বঞ্চনার শিকার হচ্ছে।
সেক্স ট্যুরিজম নিয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গী প্রকাশ করেছেন আইরিশ মিশনারি প্রিস্ট এবং প্রেডা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ফাদার শে কুলেন। যৌন-পর্যটনের নানা দিক উঠে এসেছে তার বিশ্লেষণে। আজ দেখুন তার প্রথম পর্ব।
বর্তমানে ফিলিপাইনের প্রায় ৫ লাখ মানুষ বিশাল পরিসরের যৌন পর্যটনের সঙ্গে জড়িত। আরো অন্যান্য দেশেই এমনটা ঘটছে। এই ইন্ডাস্ট্রি বছরে বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করছে। অথচ এর আড়ালে ভুক্তভোগীদের ভোগান্তির কোনো পরিসীমা নেই। লাখো মানুষের জীবন নিভে গেছে, ধ্বংস হয়েছে এবং পুরোপুরি নষ্টে পথে এগোচ্ছে।
অতি সুচারুভাবে গড়ে ওঠে এই অর্থ বানানোর দুনিয়া যৌন পর্যটন। এ বাণিজ্য ফুলেফেঁপে ওঠার পেছনে রয়েছে মধ্যবয়সী এবং বয়স্ক মানুষগুলোর চাহিদা, যাদের জীবনে নিজ দেশে যৌন পরিতৃপ্তি লাভের কোনো উপায় নেই। তারা সাধারণত ধনী। বিভিন্ন দেশে ঘুরেফিরে সেই চাহিদা পূরণ করেন। সাধারণত কম বয়সী নারী, এমনকি পুরুষের লোভেও অন্য দেশে চলে যান অতৃপ্তরা। এই খদ্দেরদের মনোরঞ্জনে অপেক্ষায় থাকতে হয় কম বয়সী, বিপদগ্রস্ত এবং দরিদ্র ঘরের মেয়েদের। দেখা যায়, এই পর্যটক পুরুষদের বেশিরভাগই ডিভোর্সপ্রাপ্ত, বিপত্নীক কিংবা অবিবাহিত। অথবা তারা স্ত্রী-পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। যৌনতার জন্যে পর্যটনরতদের মনে এই নারীদের প্রতি কোনো ধরনের শ্রদ্ধাবোধ নেই। তারা মেয়েদের বিক্রয়ের জন্যে রাখা ভোগ্যপণ্য হিসেবেই দেখেন। একান্ত ব্যক্তিগত ভোগের জন্যে তাদের পেতে চান। এখানে যৌন-পর্যটনের শিকার কোনো নারীর ভালো-মন্দের কিছুই দেখা হয় না।
এমন হাজারো কম বয়সী মেয়েকে এমন কাজে লাগানো হয়। তারা সবাই অশিক্ষিত হয়েই থাকে। অনেকের পরিচয় আর গোপন থাকে না। তখন দরিদ্র পরিবারও আর তাদের ফিরিয়ে নিতে চায় না। পুরোপুরি বাণিজ্যিকভাবে যৌনতা বিক্রিতে রাজি না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোনো আয় আসে না। এক অর্থে তাদের কোনো মূল্য নেই। তাদের মূল্য নির্ধারিত হয় একমাত্র যৌনতা বিলানোর মধ্য দিয়ে। অন্যদিকে, মানুষ হিসেবে তাদের মর্যাদা, গুরুত্ব এবং অধিকার শতভাগ লঙ্ঘিত হচ্ছে।
জড়িত নারীদের মূল্যমান আরো কমে আসে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ আর ধনকুবেরদের সংশ্লিষ্টতায়। সেক্স ট্যুরিজম থেকে আসা বিশাল অর্থের অংশ তাদের হাতেও যায়। এই খেলায় পুলিশও জড়িত থাকে। সুবিধাভোগীদের প্রত্যেকের লোভ, স্বার্থপরতা এবং বিকৃত কামনাই আসলে পুরো কারবারের হৃৎপিণ্ড হয়ে কাজ করে। এই বড় বড় নিয়ন্ত্রকদের অনেকেরই আবার ব্যক্তিগত দায়িত্বে কম বয়সী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক যৌনদাসী থাকে।
মানবতাকে বড় মূল্য দিতে হচ্ছে এখানে। যে মেয়েটা এর শিকার হচ্ছেন তার মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ভালো একটা জীবনের অধিকার নেই তাদের। শিক্ষালাভ কিংবা ক্যারিয়ার গড়ে তোলার কোনো স্বপ্ন নেই। যে জাতি পর্যটকদের জন্যে নিজের দেশের মেয়েদের বিক্রি করে দেয়, তাদের চেয়ে ঘৃণ্য কেউ নেই। এটা এক কলঙ্কিত আর দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজের উদাহরণ যারা বিশ্বজুড়ে কম বয়সের লাখো নারীকে এক অন্ধকার জীবনে ঠেলে দিয়েছে।
যৌন-পর্যটন আসলে সত্যিকার অর্থে পর্যটন সংশ্লিষ্ট কোনো আয়োজন নয়। এটা কেবলই যৌনদাসত্বের আধুনিক সংস্করণ। এখানে অপরাধী এবং অন্যায়কারীরা নারীদের মানবাধিকার খর্ব করে। যৌনতার আকাঙ্ক্ষায় পর্যটক হয়ে আসা মানুষগুলোর সাথে যৌনকর্মীদের মধ্যকার এই বচসা মূলত ক্ষমতা, নিয়ন্ত্রণ আর দমনের প্রদর্শন। নিজের বিকৃত রুচি চরিতার্থের জন্যে অন্যকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেন পর্যটকরা। এই মেয়েরা চাইলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন না। পরিবার আর তাদের গ্রহণ করে নেয় না। সমাজেও মুখ দেখানোর উপায় থাকে না। এ ধরনের নিপীড়ন যে অপরাধমূলক কাণ্ড, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এমন কাজে আসার পেছনে মেয়েদের যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে তা হলো চরম দারিদ্রতা। তাদের কাছে কোনো উৎস নেই, শিক্ষা অর্জনের পথ সরু এবং গ্রামে বসবাসরত এই মেয়েগুলো বাঁচার তাগিদে অর্থ উপার্জনের জন্যে যেকোনো কাজ করতে রাজি থাকেন। তবে এ পেশায় প্রবেশের পর বিষয়টা স্রেফ বেঁচে থাকার এবং একাকী টিকে থাকার হয়ে ওঠে। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তাদের পয়সার জন্যে অস্থির থাকতে হয়। এক কাপ ভাত আর সামান্য সবজির টাকা নিশ্চিত করাই তাদের একমাত্র দুশ্চিন্তা। অনেক সময় রেস্টুরেন্টের উচ্ছিষ্ট জোগাড় করে আবারো রান্না করে খেতে হয় তাদের।
যৌন-পর্যটনের সঙ্গে যে মেয়েরা জড়িয়ে পড়েন তাদের অনেকেই আবার নিজগৃহেই আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী কিংবা পরিবারের সদস্যের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন। তাদের বাঁচার জন্যে বাড়ি থেকে পালানো ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। রাস্তায় থাকা কিংবা যৌনকর্মী হিসেবে মেয়েদের খোঁজে ঘুরে বেড়ানো দালালদের খপ্পরে পড়তে বেশি সময় লাগে না। আর একবার যদি যৌন-পর্যটনের দালালদের কাছে তারা আটকে যায়, তবে আরো কোনো কথা নেই। এরা প্রথমেই অর্থ, খাবার আর আশ্রয় প্রদান করে। আর কী চাই তাদের! পরে স্থান হয় পতিতালয়, সেক্স বার এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্লাবে ঠাঁই হয়।
এ অবস্থা কেবল ফিলিপাইনেই নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা ইউরোপের বিশাল আকারের কুখ্যাত সব পতিতালয়ে এভাবেই মেয়েরা আসে। এ বাণিজ্যকে যে সরকার এবং সমাজ মদদ দিচ্ছে, তারাও সমান অপরাধী। মেয়েদের অনেকেই একেবারে অপ্রাপ্তবয়স্ক। সেক্স ট্যুরিজমই মূলত শিশুদের যৌনকর্মে আনতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে।
যৌন-পর্যটন যেকোনো সমাজের লক্ষ্য ও বুনুন নষ্ট করে দেয়। নারীদের মর্যাদাহানী করে। ওই সমাজের তরুণ সমাজ এবং বাচ্চাদের অধঃপতন ঘটে। যারা এমন অপকর্ম জড়িয়ে থাকে তাদের কাছে কম বয়সী নারীদের দেহ বিক্রির পণ্য বলেই গণ্য হয়। তারা কখনোই মেয়েদের হৃদয় আর আত্মা, অনুভূতি, আকাঙ্ক্ষা এবং আশা নিয়ে বেঁচে থাকা কোনো প্রাণ বলে মনে করে না।
এই দালালরা মূলত মানব বণিক। দর-দামে মিললে মেয়েদের বিক্রি করে দেয়। অনেকেই এই কম বয়সীদের ধর্ষণসহ বিকৃত যৌনরুচি মেটাতে চায়। তাদের সন্ধানেই থাকে দালালরা। মানবাধিকার বিষয়ক আইন-কানুনের কোনো তোয়াক্কা নেই তাদের। মেয়েদের কুমারীত্বই তাদের মূল আকর্ষণের বিষয়।
ফিলিপাইনসহ বিশ্বের অনেক দেশেই পতিতাবৃত্তি অবৈধ। তবুও এমন অনেক স্থানেই তা ধুন্দুমার চলছে। সংশ্লিষ্ট ক্লাব এবং বারগুলো রক্ষা করে পুলিশ ও রাজনীতিবিদরা। এদের অনেকেই আবার নিজেই এ ধরনের ক্লাবের মালিক।
একবার আমি নিজেই বিদেশি পর্যটক হিসেবে খদ্দের সেজে একটা ক্লাবে গিয়েছিলাম, বলছেন লেখক। সেখানে ছোট একটা মঞ্চে ছয় টিনেজার দাঁড়িয়ে রয়েছে বিকিনি পরে। আমি ম্যানেজারকে বললাম, ওইখান থেকে একটা মেয়ের সঙ্গে যদি সময় কাটাতে চাই তবে এখানে তা নিরাপদে করা যাবে কি?
ওহ, স্যার। আপনাকে মোটেও চিন্তা করতে হবে না। আপনি এখানে পুরোপুরি নিরাপদ, জানান দিলেন ম্যানেজার।
তাই নাকি? কিন্তু কীভাবে?- লেখকের পাল্টা প্রশ্ন।
এই ক্লাবের মালিক একজন পুলিশ কর্মকর্তা, জানালেন ম্যানেজার।
অনেক সময়ই মানুষ তাদের মেয়েদের দোষারোপ করে এমন নোংরা কাজে জড়িয়ে পড়ার জন্যে। অথচ মেয়েদের এমন বিপদগ্রস্ত পরিস্থিতিতে ফেলার জন্যে এই মানুষগুলোর উদাসীনতাই অনেকভাবে দায়ী। এসবের বিরুদ্ধে গির্জা বা মানুষের মাঝে তীব্র প্রতিবাদ নেই। এরা অনায়াসেই হাজারো মানুষের দুর্ভোগ ও জীবন ধ্বংকে মেনে নিয়েছে। এক সময়কার এক গর্বিত জাতি ওরা, নিজেদের মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে ফেলতে দ্বিধা করেনি।
ভাষান্তর: সাকিব সিকান্দার
সূত্র: ম্যানিলা টাইমস
আগামীতে আসছে 'অভিশপ্ত যৌন পর্যটনের পরের পর্ব'
IT IS HOT NEWS. Some information and news unknown to everyone. Which is only possible in F S S T S T L. SO keeps watching and keeps telling others.
My page
- Home
- CORONA VIRUS
- Live Wind Map
- Islamic songs
- Radio 24 Music
- Video
- CHANNEL 69
- Music
- BTEB
- Results bd
- Results .bd
- ইসলাম
- Live News
- NEWS WORLD
- Ramadan
- Event Management
- bangla news
- Spoken English
- BPSC RSULT
- BTEB
- sexy story stories
- Hot Girl Gallary
- Career News
- real life sex stories
- 5 Sex Positions
- interview-warmup
- Dating Sex Stories
- Sex Stories
- Privacy policy
- SEX
Translate
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
FSS blog
Link in World
I like it
- Bangla Song
- Love
- Move
what is love?
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
Wikipedia
সার্চ ফলাফল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন