সোমবার, ১৬ মার্চ, ২০২০

কুয়েতে বদলে গেছে আজান, বাড়িতেই নামাজ পড়ার আহ্বান

কুয়েতে বদলে গেছে আজান, বাড়িতেই নামাজ পড়ার আহ্বান

কুয়েতে বদলে গেছে আজান, বাড়িতেই নামাজ পড়ার আহ্বান
সংগৃহীত ছবি

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কুয়েতে ২৯ মার্চ পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার থেকে এ ছুটি কার্যকর হয়েছে। দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, মসজিদে শুধু আজান হবে তবে মুসল্লিরা নামাজ পড়বেন যার যার বাসায়।
ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আজানের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে শোনা যায়, আজানে ‘হাইয়া আ'লাস সালাহ’ (নামাজে জন্য আসো) এর পরিবর্তে মুয়াজ্জিন বলছেন ‘আস্সালাতু ফি বুয়ুতিকুম’। অর্থাৎ ‘নামাজ বাড়িতে (পড়ুন)।’
মুয়াজ্জিন আজানে মধ্যে ‘আস্সলাতু ফি বুয়ুতিকুম’ বলার পর যথারীতি ‘আল্লাহ আকবর, আল্লাহ আকবর’ এবং ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলে আজান শেষ করেন।
তুরস্কের আনাদুলো এজেন্সির খবরে জানা যায়, নামাজ পড়তে মসজিদগুলোতে যাতে কেউ না যান সেজন্য আজানের মধ্যে অপরিচিত এ শব্দটি প্রচার করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো কোনো মসজিদে আজানের শুরু বা শেষে বিষয়টি বলে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেক মসজিদে ‘হাইয়া আলাস সালাহ’র পরিবর্তে ‘আস্সালাতু ফি বুয়ুতিকুম’ কথাটি বলা হচ্ছে।
কুয়েতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

করোনাভাইরাস: স্মার্টফোন দিনে কয়বার জীবাণুমুক্ত করা উচিত

করোনাভাইরাস: স্মার্টফোন দিনে কয়বার জীবাণুমুক্ত করা উচিত


করোনাভাইরাস: স্মার্টফোন দিনে কয়বার জীবাণুমুক্ত করা উচিত

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে স্মার্টফোন থেকেও। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তবে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে স্মার্টফোনকে জীবাণুমুক্ত করার একটি সময়সীমাও জানা গেছে।
ডাক্তাররা বলছেন, প্রতি ৯০ মিনিট অন্তর অ্যালকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ফোন জীবাণুমুক্ত করা উচিত।
দিল্লির ফোর্টিস এসকর্টস হাসপাতালের প্রধান রবি শেখর ঝা আইএএনএসকে বলেন, প্রচলিত স্প্রিট দিয়ে ফোন জীবাণুমুক্ত করা সবচেয়ে ভালো উপায়। এটি ছাড়া অ্যালকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজারও ব্যবহার করা যেতে পারে।
যারা বেশি ব্যস্ত থাকেন, তারা ৯০ মিনিট পরপর ফোন জীবাণুমুক্ত করতে না পারলে দিনে কমপক্ষে দুইবার করতে পারেন।
ইনস্যুরেন্স টুগো নামের একটি সংস্থার জরিপে দেখা গেছে, প্রতি ২০ জন ব্যবহারকারীর মধ্যে মাত্র একজন ফোন পরিষ্কার করেন; তাও ছয় মাসে একবার! নভেল করোনাভাইরাসের দিনগুলোতে এই অভ্যাস খুব বিপজ্জনক হতে পারে।
জার্নাল অব হসপিটাল ইনফেকশনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় জার্মানির গবেষকেরা জানিয়েছেন, মোবাইলে করোনাভাইরাসের জীবাণু কয়েক দিন বেঁচে থাকে।
এ গবেষণাকে আমলে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ (এনআইএইচ) জানিয়েছে, কপার জাতীয় পদার্থের ওপর কভিড-১৯ ভাইরাসটি চার দিন বেঁচে থাকতে পারে! তিন দিন থাকে প্লাস্টিক এবং স্টেইনলেস স্টিলের ওপর।
এ দুটি গবেষণা থেকে বোঝা যায় মোবাইল নভেল করোনাভাইরাসের বেশ ‘প্রিয়’ জায়গা। কেননা শক্ত কাগজে এটি এক দিনের বেশি বাঁচতে পারে না। বাতাসেও তার সুবিধা হয় না, এখানে টিকতে পারে তিন থেকে চার ঘণ্টা। সেখানে প্লাস্টিক, স্টিল, কপারে কয়েক দিন!
মোবাইল থেকে করোনা যেন আক্রমণ করতে না পারে, সেজন্য সৌদি আরবের প্রাইম হাসপাতালের চিকিৎসক শ্যাম রাজমোহন গালফ নিউজের সঙ্গে আলাপকালে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন, ‘মোবাইল অন্যের কাছে দেওয়া যাবে না। যখন একাধিক মানুষ ফোনটি ব্যবহার করবেন, তখন সতর্ক হতে হবে। কোনো কাপড়ে উদ্বায়ী পদার্থের পরিষ্কারক লাগিয়ে মালিশ করা যেতে পারে।’
অনেকেই দিনে গড়ে শতবারের বেশি মোবাইল স্পর্শ করেন। করোনাভাইরাস থেকে সতর্ক থাকতে সাধারণ স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মানতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে নিয়মিত ভালো করে হাত ধোয়া। পারলে হালকা গরম পানি ও সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়া। বারবার মুখে হাত দেওয়া যাবে না। যেসব জিনিস নিয়মিত স্পর্শ করা হয়, তা জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। টয়লেটে কোনওভাবেই ফোন নেওয়া যাবে না।
ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ও স্যামসাং কর্তৃপক্ষ ফোন পরিষ্কারের ক্ষেত্রে কোনও ডিটারজেন্ট, অ্যালকোহল বা অ্যামোনিয়াভিত্তিক পরিষ্কারকদ্রব্য ব্যবহার করতে নিষেধ করে। অ্যাপল জানায়, অ্যারোসল স্প্রে ও ব্লিচের ক্ষেত্রে এখনও এ সমস্যা হতে পারে। তবে অ্যাপলের সাপোর্ট পেজ বেশকিছু পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। সেখানে নতুন একটি বিভাগ যুক্ত করে কীভাবে অ্যাপল পণ্য পরিষ্কার করতে হবে, এর দিকনির্দেশনা দিয়েছে। অ্যাপলের প্রকাশ করা ওই নোট অনুযায়ী, অ্যাপল পণ্য ব্যবহারকারীরা তাদের আইফোনে ‘ক্লোরক্স ডিসইনফেকটিং ওয়াইপস’ বা একই ধরনের পণ্য ব্যবহার করতে পারেন।
স্যামসাংয়ের ক্ষেত্রেও ভেজা কাপড় ও হালকা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ফোন পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে। তবে ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। অনেক দোকানেই ফোন ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রবান্ধব স্যানিটাইজার বিক্রি করা হয়। ফোন জীবাণুমুক্ত রাখতে এসব পণ্যেও ভরসা রাখা যায়।

ইন্টারভিউ দিতে টিভির অনুষ্ঠানে হাজির করোনাভাইরাস

ইন্টারভিউ দিতে টিভির অনুষ্ঠানে হাজির করোনাভাইরাস


ইন্টারভিউ দিতে টিভির অনুষ্ঠানে হাজির করোনাভাইরাস!

করোনার ভয়ে গোটা বিশ্ব থরহরি কাঁপছে। সেই করোনাভাইরাসের সরাসরি সাক্ষাৎকার নিলেন এক সাংবাদিক! অবাক হচ্ছেন? মিশরের এক টিভি চ্যানেলে সেই সাক্ষাৎকার সরাসরি সম্প্রচারও হলো। ইউটিউবে সেই ভিডিও আপলোড হতেই ভাইরাল হয়ে যায়।
মিশরের আল হায়াহ্‌ চ্যানেলে সম্প্রতি একটি শো শুরু করেছেন সাংবাদিক জাবের আল কারমুতি। অনুষ্ঠানের নাম ‘হোয়াট ইজ দ্য টক অ্যাবাউট?’ প্রতি সোমবার সম্প্রচার হয় এই অনুষ্ঠান। এই সপ্তাহে, করোনাভাইরাসের মতো দেখতে একটি মুখোশ পরে এক ব্যক্তি জাবেরের সঙ্গে কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে ‘করোনাভাইরাস’ বলেন, তাকে নিয়ে অযথা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে তাঁর কারণে যা ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী’। সাংবাদিক জাবের ‘করোনা’-র কাছে জানতে চান, কীভাবে ভাইরাসের প্রকোপ আটকানো যাবে? 
উত্তরে করোনা বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। ভালো করে বার বার হাত ধুতে হবে। সেই সঙ্গে সিঁড়ির রেলিং-এর মতো জায়গায় বেশি হাত না দিতেও পরামর্শ দিয়েছেন ‘করোনা’। তার পরামর্শ, 'হাঁচি, কাশির সময় মুখ ঠিক ভাবে ঢাকা দিতে হবে’।
মজার ছলে তৈরি করা এই সাক্ষাৎকারটি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ইউটিউবে ভিডিওটি এখনই প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার বার দেখা হয়েছে।

করোনা সতর্কতায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

করোনা সতর্কতায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা4


করোনা সতর্কতায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
ফাইল ছবি

আগামী বুধবার (১৮মার্চ) থেকে দেশের স্কুল-কলেজ, মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। করোনাভাইরাসের সতর্কতায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
সোমবার বিকেলে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি হবে। গণমাধ্যমকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চীনের উহান থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। প্রতিদিনই বিশ্বব্যাপী করোনায় মানুষ আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছে।

সাফল্যের শীর্ষে নেদারল্যান্ডস, করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি আবিষ্কার

সাফল্যের শীর্ষে নেদারল্যান্ডস, করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি আবিষ্কার


সাফল্যের শীর্ষে নেদারল্যান্ডস, করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি আবিষ্কার

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে অ্যান্টিবডি আবিষ্কার হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের ইরাসমাস মেডিকেল সেন্টার ও আটরেচট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই অ্যান্টিবডি আবিষ্কারের কথা জানিয়েছেন।
শনিবার আবিষ্কার, নতুন উদ্যোগ এবং প্রযুক্তি বিষয়ক ইউরোপীয় প্ল্যাটফর্ম ‘ইননোভেশন অরিজিনস’-এর একটি প্রতিবেদনে এ খবর দেওয়া হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০জন বিজ্ঞানীর সমন্বয়ে গঠিত দল গবেষণাপত্রটি তৈরি করেছে। এটি বর্তমানে শীর্ষস্থানীয় জার্নাল ‘নেচার’-এর পিয়ার রিভিউর জন্য প্রস্তুত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রোটারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল ‘ইরাসমাস ম্যাগাজিন’ প্রথম এ চাঞ্চল্যকর সংবাদটি দিয়েছে।

করোনা সতর্কতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

করোনা সতর্কতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা


করোনা সতর্কতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

চীনের উহান থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এই প্রাণঘাতী করোনার সতর্কতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে এ ঘোষণা দেন উপাচার্য। 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৮ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস-পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত থাকবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল চালু থাকবে।

করোনা আক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে দুই শিশু, এক নারী


করোনা আক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে দুই শিশু, এক নারী
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা

করোনা আক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে দুই শিশু, এক নারী



দেশে নতুন করে আরও তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে দু’জন শিশু ও একজন নারী। এই তিনজন একই পরিবারের সদস্য।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট  (আইইডিসিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার দুপুরে আইইডিসিআর’র পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
এ নিয়ে দেশে মোট ৮ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হল।
এর মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

রবিবার, ৮ মার্চ, ২০২০

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন শনাক্ত

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন শনাক্ত


বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন শনাক্ত

বাংলাদেশে প্রথম তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আরো তিনজনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। রবিবার দুপুরে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, গতকাল (শনিবার) তাদের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী এবং দু’জন পুরুষ রয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন ইতালি ফেরত বাংলাদেশি রয়েছেন। ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর জানিয়েছে, আক্রান্ত তিনজন রোগীর অবস্থায়ই স্থিতিশীল। তারা ভালো আছেন। তবে আইসোলেশনে থাকবেন।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এরই মধ্যে এক লাখ ছাড়িয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ।
১০২টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের উহানে প্রথম এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। আড়াই মাসের কম সময়ের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেক দেশে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। 

শুক্রবার, ৬ মার্চ, ২০২০

F S S T S T L: পেটের চর্বি কমায় যে ৫ খাবার

F S S T S T L: পেটের চর্বি কমায় যে ৫ খাবার: পেটের চর্বি কমায় যে ৫ খাবার প্রতীকী ছবি প্রতিনিয়ত ওজনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেটের চর্বি। পেটের এই অতিরিক্ত চর্বি কম... FSS TSTL

অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকেরা সবুজ বা নীল অ্যাপ্রন কেন পরেন জানেন

অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকেরা সবুজ বা নীল অ্যাপ্রন কেন পরেন জানেন


অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকেরা সবুজ বা নীল অ্যাপ্রন কেন পরেন জানেন?

সাধারণত সাদা রঙের অ্যাপ্রন পরেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু অস্ত্রোপচার করার সময় দেখা যায় উল্টো।
সাদার পরিবর্তে সবুজ বা নীল রঙের অ্যাপ্রন পরে থাকতে দেখা যায় চিকিৎসকদের।
টেলিভিশন বা ফিল্মে অনেক সময় সবুজ অ্যাপ্রনই পরে থাকতে দেখা যায় তাদের। কেন জানেন?
আসলে ভিন্ন রঙের অ্যাপ্রন পরার পিছনে রয়েছে মনস্তাত্ত্বিক বিষয়।
অস্ত্রোপচার মানেই রক্তাক্ত ব্যাপার। যত ছোটখাটো অস্ত্রোপচার হোক না কেন, রোগীর রক্তপাত হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।
সেই অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকদের অ্যাপ্রনে রক্তের দাগ লাগবেই। যদি চিকিৎসকেরা সাদা রঙের অ্যাপ্রন পরেন, তাহলে তাতে রক্তের দাগ দেখতে খুবই খারাপ লাগে।
এমনকি অপারেশন টেবিলে শুয়ে থাকা রোগীও সেটা দেখে আতঙ্কিত হয়ে উঠতে পারেন।
বিজ্ঞানসম্মতভাবে, সবুজ বা নীল আসলে লালের পরিপূরক রং। সবুজ বা নীল রঙের উপর লাল রং মিশিয়ে দিলে, তা কালো হয়ে যায়।
সবুজ বা নীল অ্যাপ্রনের উপর কালো রং খারাপ মানসিক প্রভাব ফেলে না। রক্ত বলে মনে না হওয়ায় রোগীও মানসিক ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন না।
সে কারণে শুধু অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকদের অ্যাপ্রনই নয়, হাসপাতালের পর্দা থেকে শুরু করে রোগীর বিছানার চাদরও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সবুজ বা নীল রঙের হয়ে থাকে।

পেটের চর্বি কমায় যে ৫ খাবার

পেটের চর্বি কমায় যে ৫ খাবার

পেটের চর্বি কমায় যে ৫ খাবার
প্রতীকী ছবি

প্রতিনিয়ত ওজনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেটের চর্বি। পেটের এই অতিরিক্ত চর্বি কমাতে অনেক কিছুই করে থাকেন আপনি।
পুষ্টিবিদদের মতে, পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে শুধু শরীরচর্চা করলেই হবে না, খাওয়ার প্রতি যত্নশীল হতে হবে।
কিছু খাবার রয়েছে, যা আপনার পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমাবে। আসুন জেনে নিই এমন কিছু খাবার সম্পর্কে-
মাশরুম
পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে চাইলে খেতে পারেন প্রোটিনে ঠাসা মাশরুম। মাশরুম রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বি কমায় মাশরুম।
সবুজ শাক
শাক ও সবুজ পাতা পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমায়। পুষ্টিবিদদের মতে, যেসব খাবারে পেটে ও শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে খেতে পারেন শাক। হজমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসক শাক খাওয়ার পরামর্শ দেন।
গাজর
চর্বি কমাতে খাবারে গাজর খেতে পারেন। গাজরের রস নিয়ম মেনে খেতে পারলে কমবে ভুঁড়ি। ওজন ঝরিয়ে চেহারা উজ্জ্বল করবে।
ব্রকোলি
ব্রকোলিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ফাইবারের পরিমাণ প্রচুর। ফটোকেমিক্যালে ভর্তি এই সবজিতে বিভিন্ন খনিজ লবণ ও ভিটামিন থাকে। তাই অতিরিক্ত চর্বি কমাতে ব্রকোলি খেতে পারেন।
শসা
শসার বেশিরভাগই ফাইবার আর পানি। তাই ডিটক্সিফিকেশন তো হয়ই সঙ্গে ফাইবারের আধিক্যে খিদেও কমায়। শরীরের চর্বি কমাতে খেতে পারেন শসা।

সোমবার, ২ মার্চ, ২০২০

কিডনির পাথরসহ আরও যেসব রোগ সারায় লেবুর খোসা

কিডনির পাথরসহ আরও যেসব রোগ সারায় লেবুর খোসা

কিডনির পাথরসহ আরও যেসব রোগ সারায় লেবুর খোসা

লেবু একটি অতিপরিচিত জিনিস। প্রায় প্রতিটি মানুষই লেবু পছন্দ করেন। কিন্তু জানেন কি লেবুর রস খেলে যতটা শারীরিক উপকার পাওয়া যায়, তার থেকে অনেক বেশি পাওয়া যায় লেবুর খোসা খেলে। আসুন জেনে নিই লেবুর খোসার উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধের উন্নতি
লেবুর খোসায় উপস্থিত ডায়েটারি ফাইবার এবং ভিটামিন-সি শরীরে প্রবেশ করলে দেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে সংক্রমণের মতো রোগও দূরে থাকতে বাধ্য হয়।
দূরে থাকে কিডনি পাথরের মতো রোগ
নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে শরীরে সাইট্রিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। যার প্রভাবে কিডনিতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা একদম কমে যায়।
ক্যান্সারে উপকারী
লেবুর খোসায় উপস্থিত সয়ালভেসস্ট্রল কিউ ৪০ এবং লিমোনেন্স নামে দুটি উপাদান ক্যান্সার সেলের ধ্বংসে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ ছাড়া লেবুর খোসা খেলে ব্যাকটেরিয়াল এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।
ভালো থাকে মুখগহ্বর
লেবুর খোসায় উপস্থিত ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড মাড়ি থেকে রক্তপড়া, জিঞ্জিভাইটিসসহ একাধিক রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
দেহের ওজনের নিয়ন্ত্রণ
প্যাকটিন নামে একটি উপাদান প্রচুর মাত্রায় থাকায় লেবুর খোসা নিয়মিত খেলে ওজন কমে। কারণ এই উপাদানটি শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত চর্বিকে ঝরিয়ে ফেলতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি
লেবুর খোসায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের নিচে জমে থাকা টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
স্ট্র্রেসের মাত্রা কমে
লেবুর খোসায় উপস্থিত সাইট্রাস বায়ো-ফ্লেভোনয়েড স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।

চুল পড়া রোধে করণীয়

চুল পড়া রোধে করণীয়

চুল পড়া রোধে করণীয়

চুল মানুষের সৌন্দর্যের অন্যতম আকর্ষণ। তবে বর্তমান সময়ে চুল পড়া সমস্যা বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যায় ভুগেছেন অনেকেই। যারা এই সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তাদের জন্য রয়েছে ঘরোয়া সমাধান। ঘরোয়া কিছু নিয়ম মানলেই আপনার চুল পড়া অনেক কমে যাবে।
চুলের গোড়ায় গরম তেল ম্যাসেজ :
গরম তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী। এ ক্ষেত্রে নারকেল ও বাদামের তেলের জুড়ি নেই। তেল গরম করার পরে ধীরে ধীরে আপনার আঙ্গুলের দ্বারা মাথার খুলিতে ম্যাসেজ করুন। এই ম্যাসেজ চুলের গোড়ায় রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে, শিকড়ে শক্তি বাড়ায় ও চুল পড়া রোধ করে।
পেঁয়াজ রস
পেঁয়াজে উচ্চ মাত্রায় সালফার থাকে। পেঁয়াজের রস মাথায় নতুন চুল গজাতেও চুল পড়া বন্ধে সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া উপাদান জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
সবুজ চা
সবুজ চায়ে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা চুল পড়া রোধ ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এক কাপ গরম পানিতে দুই ব্যাগ চা মিশিয়ে নিন। হালকা গরম থাকা অবস্থায় মাথায় লাগান। এক ঘণ্টা পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
আমলকি  
চুল পড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ভিটামিন সি’র অভাব। আমলকিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে। আমলকি চুলপড়া বন্ধ, চুলের খুশকি দূর করে। আমলকির রস নারকেলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ার লাগালে উপকার পাওয়া যায়।  
নিমপাতা
নিমপাতাকে বলা হয় সকল রোগের মহৌষধ। তেমনি এই চুলপড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজাতে নিমপাতার জুড়ি নেই। নিম পাতা গরম পানিতে দিয়ে পেস্ট করে চুলে লাগানোর ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। দুই সপ্তাহের মধ্যেই দেখবেন আপনার চুল পড়া অনেক অংশে কমে গেছে। 

ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে যেসব খাবার

ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে যেসব খাবার


ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে যেসব খাবার

দিন দিন ক্যান্সার যেমন বাড়ছে, পাশাপাশি বাড়ছে এই রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা। প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় না। সচেতন রোগীর প্রাথমিক অবস্থায় রোগ ধরা পড়লে যথাযথ চিকিৎসায় ক্যান্সার পুরোপুরি সেরে যেতে পারে অথবা নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক সহজ হয়। কাজেই ক্যান্সার মানেই মৃত্যু নয়।
ক্যান্সারের সাধারণ কিছু লক্ষণ : ১) অল্প অল্প বা বেশি জ্বর হওয়া, রাতে ঠান্ডা লাগা বা ঘেমে যাওয়া, ২) স্বাভাবিকের চাইতে বা অতীতের চাইতে ক্ষুধা কমে যাওয়া, ৩) শরীরের যে কোনও জায়গায় চাকা বা দলা দেখা দেয়া। কখনও এই চাকায় ব্যাথা হতে পারে, কখনও ব্যাথা নাও হতে পারে, ৪) দীর্ঘস্থায়ী কাশি থাকা, কোনও কিছুতেই না সারা। কিংবা অনেকদিন যাবত গলা ভাঙ্গা থাকা, ৫) মলত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন আসা। ঘন ঘন ডায়রিয়া,কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা মলের সাথে রক্ত যাওয়া, ৬) বিনা কারণেই খুব ক্লান্ত বোধ করা, ৭) অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে যাওয়া।
ক্যান্সার প্রতিরোধক খাদ্য সমূহ:
সবুজ শাক-সবজি : পালং শাক, কেইল, কলার্ড গ্রীন, রোমেইন ও আরুগুলা লেটুস, ওয়াটার ক্রেস (হেলেঞ্চা শাক) সহ দেশীয় সবুজ শাক-পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও মিনারেলগুলো, এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং এনজাইম। এন্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এছাড়াও আছে গ্লুকোসাইনোলেটস, এন্টিব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিভাইরাল উপাদান এবং নিষ্ক্রিয় কার্সিনোজেনস। যা টিউমার সৃষ্টি রোধ, ক্যান্সার কোষ ধ্বংস ও ক্যান্সার স্থানান্তরণে বাধা প্রদান করে। কাজেই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবুজ শাক-পাতা থাকা আবশ্যকীয়।
হলুদ: হলুদে বিদ্যমান ‘কারকিউমিন’ প্রদাহজনিত সমস্যা বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানব দেহের টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দেহকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করে তোলে। শরীরকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করতে চাইলে কাঁচা হলুদ খেতে পারেন অথবা মাছ ও মাংসের তরকারিতে প্রয়োজন মতো ব্যাবহার করতে পারেন।
অর্গানিক মাংস : কোনো প্রকার স্টেরয়েড, হরমোন ও এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ ছাড়া পালিত মুরগির কলিজা এবং তৃণভোজী গরুর মাংস ক্যান্সার রোগীর খাদ্য তালিকায় থাকা বাঞ্চনীয়। কারণ এই পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবারে ভিটামিন বি ১২ আছে উচ্চ মাত্রায়। সেলেনিয়াম, জিংক ও বি ভিটামিন রক্ত পরিশোধন, হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি ছাড়াও হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য : প্রক্রিয়াকরণ দুগ্ধজাত খাবার যেমন টক দই হলো প্রোবায়োটিক বা ভালো ব্যাক্টেরিয়ার উত্তম উৎস। প্রোবায়োটিক টিউমার বৃদ্ধি রোধ করে। গরু ও ছাগলের দুধ এবং পনিরে রয়েছে সালফার প্রোটিন ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা ক্যান্সার রোগীর খাদ্য তালিকায় রাখা জরুরি। দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি আছে। এই ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে ক্যালসিয়াম রেকটাল সহ নানা রকমের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এছাড়াও ব্রেস্ট এবং ওভারিয়ান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
মাছ : গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, মাছের ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড -এন্টিইনফ্ল্যামেটরি, এন্টিটিউমার ও এন্টিক্যান্সার বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও বিষাক্ততা কমাতে ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ফলদায়ক ভূমিকা রাখে। তৈলাক্ত মাছ খাদ্য তালিকায় রাখুন।
গ্রীন টি : ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর প্রধান কারণ মেটাস্ট্যাসিস বা ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়া। গ্রীন টিতে আছে পলিফেনোলিক কম্পাউন্ড, ক্যাটেচিন, গ্যালোক্যাটেচিন এবং ইজিসিজি (এন্টিঅক্সিডেন্ট)। যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, টিউমার বৃদ্ধি রোধ ও ক্যান্সার স্থানান্তরণ অর্থাৎ মেটাস্ট্যাসিস রুখে মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন গ্রীন টি পান করুন।
মাশরুম: উচ্চ পুষ্টিসম্পন্ন মাশরুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মাশরুম রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
স্বাস্থ্যকর অপরিশোধিত ভোজ্য তেল: নারকেল তেল, তিসির তেল এবং এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল অন্ত্রে পুষ্টি যোগায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। জলপাই তেলে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস যা প্রদাহ কমায়। এমনকি ব্রেস্ট ও কলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
বাদাম ও বীজসমূহ : চিনাবাদাম ভিটামিন-ই এর সব থেকে ভালো উৎস। ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ চিনাবাদাম কোলন, ফুসফুস, যকৃত এবং অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। সকালে কিংবা বিকালের নাস্তায় চিনাবাদাম রাখুন।

ভ্রমণ যাত্রায় যা খাবেন আর যা খাবেন না

ভ্রমণ যাত্রায় যা খাবেন আর যা খাবেন না

ভ্রমণ যাত্রায় যা খাবেন আর যা খাবেন না
► মডেল : আদর ও তমা ► ছবি : ম্যাক্স ব্যাগ
ভ্রমণে বের হওয়ার আগে প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে। ভ্রমণকে আরও আনন্দময় করতে ভ্রমণকালে স্বাস্থ্যকর খাবারের একটা ফর্দ তুলে ধরা যাক।

ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে। কেউ যাত্রা করেন বাসে, লঞ্চে, ট্রেনে, গাড়িতে বা ফ্লাইটে। বেশ কিছু মানুষের যাত্রার সময় বেশ কয়েক ধরনের সমস্যা দেখা যায় যেমন- মাথা ঘুরানো, বমি বমি ভাব, অনেকের পেটের সমস্যা হয় মাঝ রাস্তায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার খাওয়ার জন্য। তাই কোথাও যাওয়ার আগে বুঝে খাবার গ্রহণ করতে হয় এবং বেশ কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হয়।

যাত্রার সময় যেসব খাবার খাবেন সেগুলো দেওয়া হলো-
১. যাত্রাপথে যাওয়ার আগে অল্প পরিমাণে তেল ও মসলাযুক্ত খাবার খাবেন। এতে করে আপনার পেট ঠান্ডা থাকবে এবং খাবার সহজে হজম হবে।
২. যাত্রাপথে পানির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। অনেকেই ভ্রমণের সময় পানি পান করতে চায় না। এতে করে শরীর ডি-হাইড্রেটেড হয়ে যায়। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
৩. গুরুপাক ও অতিরিক্ত ভারী মসলা জাতীয় খাবার ও ভাজাপোড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারণ এসব খাবার যাত্রার সময় অথবা যাত্রা শুরু করার আগে গ্রহণ করলে বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং অ্যাসিডিটি বাড়ে।
৪. রাস্তার কাছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হাতে বানানো ঝাল-মুড়ি, আচার, কাসন্দি দিয়ে মাখানো ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে করে জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৫. যাত্রাপথে সঙ্গে সেদ্ধ ডিম, রুটি, শুকনো খাবার, কেক, বিস্কুট, বাদাম, খেজুর, শসা, ডার্ক চকলেট ইত্যাদি রাখবেন। এতে আপনার পেটও ভরে যাবে ক্লান্তিভাবও কাটবে।
৬. যাদের যাত্রাপথে বমি হয় তারা যাত্রার পূর্বে আদা চা পান করবেন এতে করে বমি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
৭. যে কোনো কার্বোনেটেড বেভারেজ, চিপস ও  কেমিক্যালযুক্ত প্রসেসড জ্যুস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ এতে করে অনেক সময় অতিরিক্ত ইউরিন হতে পারে।
৮. যাত্রাপথে সর্বদা স্যালাইন রাখবেন। এতে করে আপনার পেটের সমস্যা থাকলেও বা ক্লান্তিভাব হলেও স্যালাইন অনেক ভালো কাজ করবে শরীরের জন্য।