মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০

চিপ সংকটে বিশ্ব, হুমকিতে স্মার্টফোন-ল্যাপটপ উৎপাদন

চিপ সংকটে বিশ্ব, হুমকিতে স্মার্টফোন-ল্যাপটপ উৎপাদন

চিপ সংকটে বিশ্ব, হুমকিতে স্মার্টফোন-ল্যাপটপ উৎপাদন
করোনাভাইরাসের হানায় লণ্ডভণ্ড বিশ্ব। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে বিশ্ব অর্থনীতি কভিড-১৯ মহামারীর ধাক্কা সামলে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের চাহিদাও বাড়তে শুরু করেছে। অথচ এমন এক সময় স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ছাড়াও আধুনিক গাড়ির অত্যাবশ্যকীয় চিপের সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে, যা ডিভাইসগুলোর উৎপাদন হুমকির মুখে ফেলেছে। খবর রয়টার্স।

বিশ্বজুড়ে চিপ সংকট দেখা দেয়ার একাধিক কারণ রয়েছে বলা হচ্ছে। প্রযুক্তি খাতসংশ্লিষ্ট নির্বাহী এবং বিশ্লেষকদের ভাষ্যে, চীনভিত্তিক হুয়াওয়ের ওপর মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং কালো তালিকাভুক্তি চিপ সংকট দেখা দেয়ার অন্যতম কারণ। বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার প্রভাব এবং কতদিন স্থায়ী হবে তা বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন উৎস থেকে বিপুলসংখ্যক চিপ মজুদ করেছে হুয়াওয়ে। 

এছাড়া চিপ সংকট দেখা দেয়ার পেছনে জাপানের একটি বৃহৎ চিপ উৎপাদন কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ঘোষিত লকডাউনের প্রভাব এবং ফ্রান্সে টানা ধর্মঘট পরিস্থিতির অবনতি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

প্রতিবেদনে সবচেয়ে বড় ও মৌলিক কারণ হিসেবে ৮ ইঞ্চি সাইজের অধিকাংশ চিপ উৎপাদক কারখানার মালিক এশীয় হওয়াকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কারখানা মালিকের সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিনিয়োগের ঘাটতি রয়েছে। বিশ্বজুড়ে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ফাইভজি সমর্থিত ফোন, ল্যাপটপ ও ট্যাবলেটের পাশাপাশি গাড়ি উৎপাদনে চিপের চাহিদা প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুতগতিতে বেড়েছে। বিনিয়োগ ঘাটতি থাকায় তারা এ ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না।

সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে হুয়াওয়ের স্মার্ট পিভি টেকনোলোজি

সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে হুয়াওয়ের স্মার্ট পিভি টেকনোলোজি


সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে হুয়াওয়ের স্মার্ট পিভি টেকনোলোজি
ময়মনসিংহে দেশের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রে হুয়াওয়ে স্মার্ট ফটোভোলটাইক (পিভি) সমাধান ইনস্টল করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সম্প্রতি জাতীয় গ্রিডের সাথে যুক্ত হয়েছে এ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র।

২০২১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে দেশের সর্বমোট বিদ্যুতের ১০ শতাংশ উৎপাদনে সরকারের লক্ষ্য অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে ৭৩ মেগাওয়াট পিভি সক্ষমতার এ সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট।

একটি ফটোভোলটাইক সিস্টেম, পিভি সিস্টেম বা সৌর শক্তি ব্যবস্থা, এমন একটি বিদ্যুৎ ব্যবস্থা যা ব্যবহারযোগ্য সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহে কাজ করে।

সৌর প্যানেল, সোলার ইনভার্টার, মাউন্টিং, ক্যাবলিং এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ সম্বলিত এই ফটোভোলটাইক সিস্টেম সব কিছুর মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে ওয়ার্কিং সিস্টেম নিশ্চিত করে।

দক্ষিণ এশিয়াতে আদ্র ও উষ্ণ জলবায়ু দেশ বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৫’শ ঘণ্টার বেশি সূর্যালোক থাকে। আর এটা বিবেচনায় রেখে এ প্রকল্পের সর্বোচ্চ সক্ষমতায় আইপি৬৬ উচ্চস্তরের সুরক্ষা এবং অ্যান্টি-পিআইডি প্রযুক্তিসহ হুয়াওয়ে এসইউএন২০০০-১৮৫কেটিএল স্মার্ট পিভি স্ট্রিং ইনভার্টার ব্যবহার করা হয়েছে।

এ প্রকল্পটি ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ব্রক্ষ্মপুত্র নদীতীরে অবস্থিত। ১৭৩কে সোলার প্যানেল এবং ৩৩২ ইনভার্টারের মাধ্যমে এ প্রকল্প জাতীয় গ্রিডে বিশেষ অবদান রাখবে।

এ নিয়ে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ইয়াং গুয়োবিং বলেন, ‘বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে ডিজিটালকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাজার আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৭৩ মেগাওয়াটের এ প্রকল্পে আমাদের অংশীদারদের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ভবিষ্যতেও আমাদের উদ্ভাবন ও দক্ষতার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের জ্বালানিখাতের ডিজিটালকরণ ও রূপান্তরে অবদান রাখতে চাই।’

বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য শক্তিখাতের দ্রুত উন্নতি সাধন হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে সরকারের ৩১৬৮ মেগাওয়াট ইনস্টলেশন সক্ষমতার লক্ষ্য রয়েছে। এ মেগা প্রকল্প সে লক্ষ্য অর্জনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তিতে ৩০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতাসহ হুয়াওয়ে উদ্ভাবন এবং নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের মাধ্যমে প্রতিটি ব্যক্তি, বাসা ও সংস্থার ক্ষমতায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

চাঁদের মাটিতে কি জন্মাতে পারে শাক-সবজি, গবেষণা চালাচ্ছে চীন

চাঁদের মাটিতে কি জন্মাতে পারে শাক-সবজি, গবেষণা চালাচ্ছে চীন


চাঁদের মাটিতে কি জন্মাতে পারে শাক-সবজি, গবেষণা চালাচ্ছে চীনবেশ কিছুদিন ধরে চাঁদের জমিতে চাষ করার ইচ্ছা নিয়ে কাজ করে চলেছে চীন। চীনা মহাকাশযান চেঙ্গি-৫ গত সপ্তাহের শেষে সফলভাবে চাঁদ থেকে প্রায় ১৭৩১ গ্রাম মাটি এবং শিলা নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে। বিজ্ঞানীরা এখন চাঁদ থেকে আনা এই নমুনাগুলো বিশ্লেষণ ও গবেষণা করে বুঝতে চাইছেন কীভাবে এই মাটি ব্যবহার করা যায়। খবর গ্লোবাল টাইমসের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা দেখেছেন চাঁদের মাটিতে কোনও জৈব পুষ্টি নেই। এটা খুব শুকনো। এই মাটি শাক সবজি জন্মানোর পক্ষে বা আলু চাষের পক্ষে ভালো নয়। চাঁদের মাটি শাক সবজি জন্মানোর মতো না। তবে এটি অন্যান্য জিনিসের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

চীনা চ্যানেল সিসিটিভি’র পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দীর্ঘমেয়াদী সৌর বায়ু চাঁদের মাটিতে প্রচুর পরিমাণে হিলিয়াম-৩ প্রবেশ করিয়েছে। যা থার্মোনক্লিয়ার সংশ্লেষণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে।

এটা এমন নয় যে, চীন প্রথম চাঁদে এমন চাষ করার চেষ্টা করছে। ২০১৩ সালের পর তৃতীয়বারের মতো চীন চাঁদে পৌঁছেছে। এর আগে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে একটি চীনা মহাকাশযান চ্যাং-ই ৪ একটি ছোট রোবোটিক রোভারের মাধ্যমে চাঁদের অনেক গভীরে পৌঁছে গিয়েছিল, যা ইতিহাস সৃষ্টি করে।

আমেরিকা ৪০ বছর আগে চাঁদের নমুনা সংগ্রহ করতে মহাকাশযান পাঠিয়েছিল। তারপর এটা চীনের প্রথম প্রচেষ্টা। এখন দেখার চীনা বিজ্ঞানীরা আদৌ কি চাঁদের মাটিতে কোনওভাবে শাক সবজি ফলাতে পারেন, নাকি ব্যর্থ হবে চীনের এই স্বপ্ন।

শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০২০

খেজুরের কিছু ঔষধি গুণাগুণ

খেজুরের কিছু ঔষধি গুণাগুণ


খেজুরের কিছু ঔষধি গুণাগুণ
মরু অঞ্চলের ফল খেজুর। পুষ্টিমানে যেমন এটি সমৃদ্ধ, তেমনি এর রয়েছে অসাধারণ কিছু ঔষধিগুণ। চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হয়েছে, সারা বছর খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া, এই ফলটিতে রয়েছে প্রাণঘাতী রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা। চলুন জেনে নেই খেজুরের কিছু ঔষধি গুণাগুণ।  

১. রুচি বাড়াতে খেজুরের কোন তুলনা হয় না। অনেক শিশুরা তেমন একটা খেতে চায় না, তাদেরকে নিয়মিত খেজুর খেতে দিলে রুচি ফিরে আসবে।

২. তুলনামূলকভাবে শক্ত খেজুরকে পানিতে ভিজিয়ে (সারা রাত) সেই পানি খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। তাজা খেজুর নরম এবং মাংসল যা সহজেই হজম হয়।

৩. হৃদপিণ্ডের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন খেজুর খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। গবেষণায় দেখা যায়, পুরোরাত খেজুর পানিতে ভিজিয়ে সকালে পিষে খাওয়ার অভ্যাস হার্টের রোগীর সুস্থতায় কাজ করে।

৪. ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ এই ফল দৃষ্টিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল বিদ্যমান থাকায় অনেক রোগ নিরাময় করা সম্ভব। সাথে সাথে আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে সহায়তা করে।

৫. খুব দুর্বল লাগছে অথবা দেহে এনার্জির অভাব হচ্ছে? তাহলে ঝটপট খেয়ে নিন খেজুর। তাৎক্ষণিকভাবে দেহে এনার্জি সরবরাহের ক্ষেত্রে খেজুরের তুলনা নেই।

৬. খেজুর বিভিন্ন ক্যান্সার থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন খেজুর লাংস ও ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

৭. খেজুরের মধ্যে রয়েছে স্যলুবল এবং ইনস্যলুবল ফাইবার ও বিভিন্ন ধরণের অ্যামিনো অ্যাসিড যা সহজে খাবার হজমে সহায়তা করে। এতে করে খাবার হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

৮. খেজুরে আছে ডায়েটরই ফাইবার যা কলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়। ফলে ওজন বেশি বাড়ে না, সঠিক ওজনে দেহকে সুন্দর রাখা যায়।

৯. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য খেজুর খুবই উপকারী।

১০. খেজুরের চূর্ণ মাজন হিসেবে ব্যবহার করলে দাঁত পরিষ্কার হয়।

রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে কমলা

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে কমলা

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে কমলা
কমলা সারা বছর পাওয়া গেলেও শীতকালে পাওয়া যায় বেশি। ১০০ গ্রাম কমলাতে আছে ভিটামিন বি ০.৮ মিলিগ্রাম, সি ৪৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩০০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৩ মিলিগ্রাম। 

প্রতিদিন যতটুকু ভিটামিন সি প্রয়োজন তার প্রায় সবটাই একটি কমলা থেকে সরবরাহ হতে পারে। কমলায় আছে শক্তি সরবরাহকারী চর্বিমুক্ত ৮০ ক্যালোরি, যা শক্তির ধাপগুলোর জন্য জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। কমলায় আছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা ক্যান্সার প্রতিরোধক, স্বাস্থ্যকর, রক্ত প্রস্তুতকারক এবং ক্ষত আরোগ্যকারী হিসেবে খুবই উপকারী। 

কমলা 'বি' ভিটামিন ফোলেটের খুব ভালো উৎস, যা জন্মগত ত্রুটি এবং হৃদরোগের জন্য ভালো কাজ করে। প্রতিদিনকার প্রয়োজনীয় পটাসিয়ামের সাত ভাগ পূরণ করা সম্ভব কমলা দিয়ে, যা শরীরের তরলের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রয়োজন।
কমলাতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্রি-র‌্যাডিকাল ড্যামেজ করে। ফলে ত্বকের সজীবতা বজায় থাকে। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিভিন্ন ইনফেকশন প্রতিরোধে সহায়তা করে। কমলায় উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন সেল ড্যামেজ প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম থাকায় ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। পটাসিয়াম ইকেট্রোলাইট ব্যালেন্স বজায় রাখে এবং কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম ভালো রাখতে সহায়তা করে। কমলাতে উপস্থিত লিমিয়েড মুখ, ত্বক, ফুসফুস, পাকস্থলীকে কোমল রাখে এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় ওজন কমাতেও সহায়তা করে।

পৃথিবীর কক্ষপথে আরেকটা চাঁদ, বেরিয়ে এলো আসল সত্য!

পৃথিবীর কক্ষপথে আরেকটা চাঁদ, বেরিয়ে এলো আসল সত্য!

পৃথিবীর কক্ষপথে আরেকটা চাঁদ, বেরিয়ে এলো আসল সত্য!
প্রথমে ভাবা হয়েছিল পৃথিবীর কক্ষপথে বুঝি ঢুকে পড়েছে ছোট্ট আরেকটা চাঁদ। যদিও হাতির আকারের ওই চাঁদ আসলে ব্যর্থ হওয়া চন্দ্রাভিযানের টুকরো- একেবারে প্রথমেই এক বিজ্ঞানী এমন সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন। কিন্তু এত দিনে প্রমাণ হল, এটি সত্যিই তাই।

আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের মাইনর প্ল্যানেট সেন্টার থেকে টেলিস্কোপে প্রথম চোখে পড়ে এই বামন চাঁদটি। সৌর জগতের সমস্ত গ্রহ, গ্রহাণু পর্যবেক্ষণ, গবেষণা, নামকরণের সব দায়িত্ব রয়েছে এই আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনমিকাল ইউনিয়নের মাইনর প্ল্যানেট সেন্টারের উপরে।

তো, সেই সব গবেষণা মোতাবেকে এখন জানা গেছে, ১৯৬৬ সালে মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসার পক্ষ থেকে চাঁদের মাটিতে একটি রকেট পাঠানো হয়। কিন্তু কোনও কারণে এটি সফল হয়নি। দীর্ঘ ৫৪ বছর এটির কোনও খোঁজও পায়নি নাসা। এত বছর পর পৃথিবীর কক্ষপথে এসে পড়ায় এটিকে অনেকেই গ্রহাণু বলে গুলিয়ে ফেলেছিলেন।

ক্যাসপার উইজখোর্স এই আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনমিকাল ইউনিয়নের মাইনর প্ল্যানেট সেন্টারের এক মহাকাশবিজ্ঞানী। তিনি সম্প্রতি এই ২০২০সিডি৩ নিয়ে টুইট করেছিলেন। টুইট করে জানিয়েছিলেন ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভে দলের সদস্য ক্যাসপার এবং তার অন্যান্য সহকর্মীরা প্রথম ১৫ ফেব্রুয়ারি এই গ্রহাণুটির খোঁজ পান।

ক্যাসপার সেই সময়ে জানিয়েছেন, এ ধরণের গ্রহাণু কয়েক লক্ষ রয়েছে। তবে পৃথিবীর কক্ষপথে ঢুকে পড়ার ঘটনা মহাকাশের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার ঘটল। এর আগে ২০০৬ আরএইচ১২০ নামের এক গ্রহাণু অল্প কিছুদিনের জন্য ঢুকে পড়েছিল পৃথিবীর কক্ষপথে। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণও করেছিল। সেটিও প্রথম চোখে পড়ে ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভে-র সদস্যদের।

তবে ঠিক কী কারণে এই গ্রহাণু আসে পৃথিবীর কক্ষপথে? বিজ্ঞানীরা বলছেন পৃথিবী, চাঁদ এবং সূর্যের মাধ্যাকর্ষণের মিলিত প্রতিক্রিয়ায় এ রকম ঘটনা ঘটতে পারে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অনুমান বিগত তিন বছর ধরে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরছে ২০২০সিডি৩। ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১-এর মে মাসের মধ্যে ফের কক্ষপথ পালটে ফেলবে, এমন ধারণাও করেছিলেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। অনুমান করা হয়েছিল আগামী বছরের শুরুতে পৃথিবীর আরও কাছে এসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে গ্রহাণুটির।

তবে নাসার সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট-এর বিজ্ঞানী পল চোডাস অবশ্য প্রথম থেকেই অনুমান করেছিলেন এটি মহাজাগতিক কিছু নাও হতে পারে। বস্তুটি সম্ভবত ১৯৬০-এর দশকের পুরনো কোনও বুস্টার রকেট। দেখা গেল তার কথাই সত্যি হল!

সন্ধান মিলল ১৩ হাজার বছর আগের মানুষের পায়ের ছাপের

সন্ধান মিলল ১৩ হাজার বছর আগের মানুষের পায়ের ছাপের

সন্ধান মিলল ১৩ হাজার বছর আগের মানুষের পায়ের ছাপের!
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডস ন্যাশনাল পার্কের শুকিয়ে যাওয়া এক নদীখাত থেকে ১৩ হাজার বছর আগের আদিম মানুষের জীবাশ্মে পরিণত হয়ে যাওয়া পায়ের ছাপ উদ্ধার হয়েছে। 

অনেকগুলি পায়ের ছাপের জীবাশ্ম পেয়েছেন নৃতত্ত্ববিদরা। তবে তারা জানান, সবক'টি পায়ের ছাপই পরস্পরের সঙ্গে মিলে যায়। এবং পরীক্ষা করে তারা বুঝতে পেরেছেন, ওই সব জীবাশ্মের মধ্যে রয়েছে পূর্ণবয়স্ক এক পুরুষ, প্রাপ্তবয়স্কা এক নারী এবং এক শিশুর পদচিহ্ন। নৃতত্ত্ববিদরা বলছেন, ওই মানুষগুলি খুব তাড়াহুড়ার মধ্যে ছিলেন। 

কী করে জানলেন বিজ্ঞানীরা? তারা দেখেছেন, আদিম পুরুষ এবং নারীর প্রতি সেকেন্ডে পদক্ষেপের গতি ছিল ১.৭ মিটার। ধীরে হাঁটলে যা হওয়ার কথা প্রতি সেকেন্ডে ১.২ মিটার বা বড়জোর ১.৫ মিটার। 

নৃতত্ত্ববিদরা আরও জানান, এই দম্পতির পায়ের ছাপের মাঝে আচমকাই এক শিশুর পায়ের ছাপও দেখা গেছে। এ থেকে তাদের অনুমান- হয়তো মা ক্লান্ত হয়ে শিশুটিকে কিছুক্ষণের জন্য কোল থেকে নামিয়েছিলেন। নৃতত্ত্ববিদদের দাবি, ফেরার পথে আর শিশুটির পায়ের ছাপ দেখা যায়নি। কেন?

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সেই সময়ে  অসংখ্য ভয়ঙ্কর সব প্রাণীরা ছিল। হয়তো তাদের থেকে সুরক্ষার জন্য শিশুটিকে নিরাপদ কোনও আশ্রয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন বাবা-মা। আদিম ওই বাবা-মা শিশুটিকে হয়তো নিরাপদ কোনও জায়গায় লুকিয়ে রেখে আবার আগের জায়গায় ফিরে গিয়েছিলেন। তাই ফেরার পথে আর শিশুটির পায়ের ছাপ দেখা যায়নি।

ডাইনোসরের কঙ্কাল আবিষ্কার করল ১২ বছরের শিশু

ডাইনোসরের কঙ্কাল আবিষ্কার করল ১২ বছরের শিশু

ডাইনোসরের কঙ্কাল আবিষ্কার করল ১২ বছরের শিশু
কঙ্কাল আবিষ্কার করা নাথান
কানাডায় বিলুপ্ত প্রাণী ডাইনোসরের কঙ্কাল আবিষ্কার করলো নাথান হারশকিন নামের এক ১২ বছরের এক শিশু। বিজ্ঞানীদের ধারণা এটি অন্তত ৬ কোটি ৯০ লাখ বছর আগের কঙ্কাল। খবর বিবিসির।

শিশুটি জানায়, তার বাবার সাথে পাহাড়ি এলাকা আলবার্টায় বেড়াতে গিয়ে গত জুলাইতে কঙ্কাল সদৃশ বস্তু দেখতে পায়। এ ঘটনা জানানো হয় রয়েল টাইরেল জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে। সেই কঙ্কালের ছবি এবং ঠিকানা নিয়ে জায়গাটিতে একদল গবেষক পাঠায় তারা। দীর্ঘদিনের উদ্ধার অভিযান শেষ হয় গতকাল বৃহস্পতিবার। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ৩০ থেকে ৫০টি হাড়।

গবেষক দল বলছে, ডাইনোসরটি ৩ থেকে ৪ বছর বয়সী ছিলো। এর আগে উদ্ধার হওয়া একটি ডাইনোসরের কঙ্কাল নিলামে বিক্রি হয় ৪০ লাখ ডলারে। 

এক বিবৃতিতে জাদুঘরের ইকোলজি কিউরেটর বলেন, এই হ্যাড্রোসরাসটির আবিষ্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অ্যালবার্টায় আসলে কী রকমের ডাইনোসর বা প্রাণী বাস করত সে সম্পর্কে আমাদের ধারণা অনেক কম। নাথান ও তার বাবা ডিওনের এই আবিষ্কার ডাইনোসরের বিবর্তন সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানের খালি অংশ পূরণে সাহায্য করবে।

খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের প্রতি নবীজির অঙ্গীকারনামা

খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের প্রতি নবীজির অঙ্গীকারনামা


খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের প্রতি নবীজির অঙ্গীকারনামা
খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের প্রতি নবীজির অঙ্গীকারনামা
৬২৮ খ্রিস্টাব্দে সেন্ট ক্যাথরিন গির্জার একজন প্রতিনিধি মহানবী (সা.) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সুরক্ষা প্রদানের অনুরোধ করেন। মহানবী (সা.) ওই প্রতিনিধিকে তার সম্প্রদায়ের বিশেষাধিকারের সংবলিত একটি অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন। সেন্ট ক্যাথরিন গির্জা মিসরের সিনাই উপত্যকার পাদদেশে অবস্থিত। বেশ পুরনো হওয়ায় এটি এখন বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষিত স্থান। সেন্ট ক্যাথরিন গির্জায় প্রায় ১৪০০ বছর ধরে ধরে রক্ষিত আছে বহু প্রাচীন দলিল ও নথিপত্র। ধারণা করা হয়, ভ্যাটিকানের পর সেন্ট ক্যাথরিন প্রাচীনতম পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণের জন্য বিখ্যাত। সেখানেই আছে ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে লেখা সন্ন্যাসীদের উদ্দেশে লেখা মহানবী (সা.)-এর একটি চিঠির অনুলিপি। ঐতিহাসিক ওই অঙ্গীকারনামায় মহানবী (সা.) খ্রিস্টানদের বিশেষাধিকারের সনদ প্রদান করেছেন এবং মুসলিম সমাজে বসবাসকারী খ্রিস্টানদের নিরাপত্তা প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছেন। ঐতিহাসিক সেই অঙ্গীকারনামার অনুবাদ নিচে তুলে ধরা হলো-

‘এটি মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহর পক্ষ থেকে বার্তা তাদের প্রতি, যারা চুক্তির অংশ হিসেবে খ্রিস্টবাদ ধারণ করে; তারা কাছের হোক বা দূরের আমরা তাদের সঙ্গে আছি। প্রকৃতপক্ষে আমি, দাসরা, সাহায্যকারী ও আমার অনুসারীরা তাদের রক্ষা করবে। কেননা খ্রিস্টানরা আমার নাগরিক। আল্লাহর কসম! আমি এমন সব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে, যা তারা অপছন্দ করে। তাদের ওপর বিশেষ কোনো বিধি-নিষেধ থাকবে না। তাদের বিচারকদের চাকরিচ্যুত করা হবে না এবং তাদের সন্ন্যাসীদের গির্জাগুলো থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে না। কেউ তাদের ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস করবে না, ক্ষতিগ্রস্ত করবে না অথবা মুসলিমদের জন্য তা থেকে কোনো কিছু ছিনিয়ে আনবে না। কেউ এমনটি করলে সে আল্লাহর সঙ্গে কৃত অঙ্গীকার ভঙ্গ করল এবং তার নবীর অবাধ্য হলো। নিশ্চয়ই তারা আমার মিত্র এবং তারা যেসব বিষয় ঘৃণা করে আমি তার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা সনদ দিচ্ছি। কেউ তাদের ভ্রমণে বা যুদ্ধে অংশগ্রহণে বাধ্য করবে না; বরং মুসলিমরা তাদের জন্য যুদ্ধ করবে। কোনো খ্রিস্টান নারীর অনুমতি ছাড়া কোনো মুসলিম তাকে বিয়ে করতে পারবে না। (বিয়ের পর) প্রার্থনার জন্য তাকে চার্চে যেতে বাধা দেওয়া যাবে না। খ্রিস্টানদের চার্চের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হবে। কেউ চার্চ সংস্কার বা তার পবিত্রতা রক্ষায় বাধা দেবে না। কোনো মুসলিম কিয়ামত পর্যন্ত এই অঙ্গীকারনামার অবাধ্য হবে না।’

নোরার শরীরে 'আপত্তিকর' স্পর্শের সেই ভাইরাল ভিডিও ভুয়া

নোরার শরীরে 'আপত্তিকর' স্পর্শের সেই ভাইরাল ভিডিও ভুয়া

নোরার শরীরে 'আপত্তিকর' স্পর্শের সেই ভাইরাল ভিডিও ভুয়া
অভিনেত্রী নোরা ফতেহি ও কোরিওগ্রাফার টেরেন্স লুইসের একটি ভিডিও সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। একটি নাচের রিয়েলিটি শোয়ে দুজনে বিচারকের আসনে রয়েছেন। ভাইরাল সেই ভিডিওতে নোরাকে আপত্তিকর ভাবে স্পর্শ করতে দেখা যায় টেরেন্সকে।

এরপরই নেটিজেনদের রোষানলেন পড়েন তিনি। অবশেষে এই বিষয়ে মুখ খুললেন টেরেন্স। যে ভিডিওটি ভাইরাল হয় সেখানে দেখা যাচ্ছিল, নোরার নিতম্ব স্পর্শ করছেন টেরেন্স। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনরা আক্রমণ করেন টেরেন্সকে। যদিও প্রতিক্রিয়া স্বরূপ কিছুই করেননি নোরা ফতেহি। তখনই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি এই ভিডিও আসলেই কি সত্য, নাকি প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে এমন একটি ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। কারণ এভাবে কাউকে স্পর্শ করলে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পাওয়াই স্বাভাবিক। 

টেরেন্স বলেন, সারা জীবনে তিনি বিপরীত লিঙ্গের থেকে যথেষ্ট ভালোবাসা পেয়েছেন। তাই নিজেকে কোনও কিছু থেকেই বঞ্চিত অনুভব করেন না। এই ধরনের জিনিস ১৭ বছর বয়সিদের উত্তেজিত করতে পারে। আমার বয়স ৪৫। টেরেন্স জানান, তিনি নোরাকে শ্রদ্ধা করেন।

তার দাবি, এমন কিছু সত্যি ঘটলে যে কোনও নারী সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেবেন। কিন্তু এমন কিছুই ঘটেনি বলে তারা দুজনই প্রতিক্রিয়াহীন ছিলেন। কিছুদিন আগে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টের মাধ্যমেও নোরা ও টেরেন্স দুজনেই ঘটনাটি মিথ্যে বলে দাবি করেন।

টেরেন্সের পোস্টে নোরা কমেন্ট করেছিলেন, ধন্যবাদ টেরেন্স। এখন ফটোশপ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বহু বিকৃতি ঘটানো যায়। আমার ভালো লাগছে যে তুমি বিষয়টা নিয়ে শান্ত থেকেছ। তুমি এবং গীতা, দুজনকেই আমি শ্রদ্ধা করি। এই শোয়ের বিচারক হতে পেরে আমি খুশি। অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পেয়েছি ও শিখেছি বহু কিছু। খুব ভালো থেক।

শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০

সাইলেন্ট অবস্থায় ফোন হারিয়ে গেলে খুঁজে পাবেন যেভাবে

সাইলেন্ট অবস্থায় ফোন হারিয়ে গেলে খুঁজে পাবেন যেভাবে


সাইলেন্ট অবস্থায় ফোন হারিয়ে গেলে খুঁজে পাবেন যেভাবে
মোবাইল ফোনটি কোথায় রেখেছেন খুঁজে পাচ্ছেন না, এরকম ঘটনা প্রায়ই হয়। সাধারণভাবে এমন ঘটনায় অন্য কোনও ফোন থেকে নিজের নম্বরটি ডায়াল করাই সেই ফোনকে খুঁজে পাওয়ার সহজতম পন্থা। মোবাইলটি বাজতে শুরু করলেই সেই আওয়াজ অনুসরণ করে সহজেই আপনি খুঁজে পেয়ে যাবেন মোবাইলটি। কিন্তু ফোন যদি সাইলেন্ট মোডে থাকে তাহলে এই কৌশল কার্যকর হবে না। তা হলে সেই অবস্থায় কীভাবে খুঁজে পাবেন সেই হারানো মোবাইল? জেনে নিন এর কৌশল-

১. প্রথমে অন্য কোন মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে গুগল-এর ওয়েবসাইটে যান।
২. সেখানে সার্চ বারে লিখুন ‘ফাইন্ড মাই ফোন’।
৩. তার পর গুগল অ্যাকাউন্ট বা জিমেইল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করুন।
৪. নিজের মোবাইলের লোকেশন দেখতে পাবেন গুগল-এ।
৫. এর পর আপনার সামনে অপশন আসবে, যেটির মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারটি ‘অন’ করে দিতে পারবেন।
৬. এবার ‘রিং’ অপশনটিকে সিলেক্ট করুন।
৭. আপনার ফোন সাইলেন্ট মোডে থাকলেও সেটি ফুল ভলিউমে রিং হতে শুরু করবে। এবং যতক্ষণ না আপনি ফোনটিকে খুঁজে বার করে তার পাওয়ার বাটনটি চেপে ধরছেন, ততক্ষণ ফোন রিং হতেই থাকবে। এ বার সেই আওয়াজ অনুসরণ করে ফোনটিকে খুঁজে বার করা তো কোন ব্যাপারই নয়।

এই একই পদ্ধতিতে আপনি আপনার হারানো অ্যান্ড্রয়েড ট্যাব-ও খুঁজে পেতে পারেন। তবে একটা বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। সেটা হলো, আপনার ডিভাইস থেকে অবশ্যই গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করা থাকতে হবে। নতুবা এই পদ্ধতিতে হারানো মোবাইল খুঁজে পাওয়া যাবে না।

জেনে নিন যে ৭ কারণে কমে যাচ্ছে আপনার আয়ু

জেনে নিন যে ৭ কারণে কমে যাচ্ছে আপনার আয়ু


জেনে নিন যে ৭ কারণে কমে যাচ্ছে আপনার আয়ু
সবাই বেশি দিন বেঁচে থাকতে চায়। কিন্তু জানেন কি, এমন অনেক কাজ আছে যেগুলো আমাদের অজান্তেই আমাদের আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে? আসুন কারণগুলো জেনে যাক-

টিভি দেখা
ব্রিটিশ জার্নাল অব স্পোর্টস মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, ২৫ বছরের বেশি বয়সীরা এক ঘণ্টা টিভি, ডিভিডি বা ভিডিও দেখলে তাদের জীবনের আয়ু প্রায় ২২ মিনিট কমে যেতে পারে। সে হিসেবে কেউ যদি ধারাবাহিকভাবে দিনে গড়ে ছয় ঘণ্টা করে টিভি দেখেন, তাহলে তার জীবন থেকে পাঁচটি বছর চলে যেতে পারে।

যৌনসম্পর্ক
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের একটি গবেষণায় জানা যায়, যেসব পুরুষ মাসে কমপক্ষে একবারও যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হননি তাদের মারা যাওয়ার সম্ভাবনা, যারা সপ্তাহে অন্তত একদিন যৌনসম্পর্ক করেছেন, তাদের চেয়ে দ্বিগুণ।

এদিকে ডিউক ইউনিভার্সিটির গবেষণা বলছে, যেসব নারীর আনন্দময় যৌনজীবন রয়েছে তারা অন্যদের চেয়ে প্রায় আট বছর বেশি বাঁচেন। কাজেই সুস্থ, সুন্দর জীবনের জন্য নিয়মিত যৌনসম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ বৈকি!

একা থাকা
অনেকেই একা থাকতে পছন্দ করেন। মনে করেন এতে করে চাপ এড়ানো যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা। তাদের মতে, একা থাকা মানে জীবনের সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য থেকে বঞ্চিত হওয়া – যা আয়ু কমাতে পারে। দিনে ১৫টি সিগারেট খেলে স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি হয়, পর্যাপ্ত সামাজিক যোগাযোগ না করলেও সেরকম ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন মনোবিজ্ঞানী জুলিয়ান হোল্ট-লুনস্টাড।

বসে থাকা
আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন-এর জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, দিনে গড়ে ১১ ঘণ্টার বেশি সময় বসে থাকা মানে পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে যাওয়া। কাজেই আর বসে থাকা নয়, শারীরিক পরিশ্রম করুন, সুস্থ থাকুন!

বেকারত্ব
ক্যানাডার গবেষকরা বলছেন, একজন মানুষ বেকার থাকা মানে তার অকালমৃত্যুর সম্ভাবনা ৬৩ শতাংশ বেড়ে যাওয়া। ১৫টি দেশের প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষের ৪০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পেয়েছেন গবেষকরা।

ঘুমানো
দিনে আট ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঘুমানো ঠিক নয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, ধারাবাহিকভাবে এত সময় ধরে ঘুমানো স্বাস্থ্যকর নয়। দিনে সর্বোচ্চ সাত ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

অতিরিক্ত ব্যায়াম
ব্যায়াম করা শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু সেটা বেশি হয়ে গেলেই বিপদ। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ব্যায়াম করা উচিত।

চোখ ভালো রাখতে গরম দুধে এক চামচ মধু, কাজ দেবে ম্যাজিকের মত

চোখ ভালো রাখতে গরম দুধে এক চামচ মধু, কাজ দেবে ম্যাজিকের মত


চোখ ভালো রাখতে গরম দুধে এক চামচ মধু, কাজ দেবে ম্যাজিকের মত!
দুধ ও মধু, পুষ্টিতে ভরপুর বস্তু দুটো অতিপরিচিত। ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে ভালো উৎস হল দুধ। ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁত ও হাড়ের গঠনে সাহায্য করে। 

এছাড়া দাঁতের ক্ষয়রোধ করে দুধ। আর দাঁতের ক্ষয়রোধের সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতেও দুধ অত্যন্ত কার্যকরী। সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর ক্লান্তি দূর করতে এক গ্লাস গরম দুধ খুবই উপকারী। গরম দুধ ক্লান্ত পেশি সতেজ করতে সাহায্য করে। গত কয়েক মাস ধরে সবাই ওয়ার্ক ফ্রম হোমে অভ্যস্ত। সেই সঙ্গে দেখা দিচ্ছে আরও নানা সমস্যাও। আমাদের অজান্তেই বেড়ে গেছে স্ক্রিন-টাইমিং।

সারাদিনই বাড়িতে থাকার ফলে ল্যাপটপ, মেবাইল আর টিভিতেই কাটছে বেশির ভাগ সময়। এছাড়াও শপিং থেকে অফিসের কাজ ভরসা সেই ল্যাপটপ। যার ফলে প্রভাব পড়ছে চোখে। সারাদিনের এই অতিরিক্ত চাপে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে চোখ। এদিকে চাইলেই যে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারবেন এমন নিশ্চয়তাও নেই। অতএব যত্ন আপনার নিজেকেই নিতে হবে। যেমন কাজের ফাঁকে ল্যাপটপ থেকে একটু বিরতি নিন। চোখ সরিয়ে রাখুন। সবুজের দিকে তাকান। কিংবা চোখ বন্ধ করে খানিকক্ষণ চোখের ব্যায়াম করুন। এরফলে দেখবেন চোখ অনেকটা সতেজ লাগবে। যারা ইতোমধ্যেই চশমাতে অভ্যস্ত তাদের পাওয়ার বেড়ে গিয়েছে অনেকখানি।

এদিকে যাদের চশমা ছিল না, তাদেরও অনেক রকম সমস্যায় পড়তে হয়েছে। বর্তমানে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মানসিক চাপও। সেই প্রভাবও পড়ছে চোখে। যাদের অ্যালার্জি কিংবা ড্রাই আইজের সমস্যা রয়েছে তারা কাজের ফাঁকে যেমন ঠান্ডা পানিতে চোখ ধোবেন তেমনই চোখে গরম-ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভাপও নেবেন। এইভাবে একরকম যত্ন নিতে পারেন।

এছাড়াও অবশ্যই বদল আনুন খাবারের মেনুতে। প্রতিদিন যদি কোনও একটা সময় গরম দুধে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন। আর্য়ুবেদ শাস্ত্রেও বলা রয়েছে দুধে মধু মিশিয়ে খাবার কথা।


দুধে মধু মিশিয়ে খেলে যেসব উপকার পাবেন

চোখ ভালো থাকবে
মধুর মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিফাংগাল যা যেকোনও রকম ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও দুধে আছে ভিটামিন ডি, এ। আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম। ফলে যখন এই দুই উপাদান মিশে যাচ্ছে তখন তা যেমন দৃষ্টিশক্তি ভালো করে তেমনই চোখের পেশির কার্যক্ষমতা বাড়ায়। চোখের জন্য বেশ কিছু ওষুধেও ব্যবহার করা হয় মধু।

মানসিক চাপ কমায়
গরম দুধ আর মধু একসঙ্গে খেলে তা স্নায়ুর উপর প্রভাব ফেলে। ফলে পেশির ক্লান্তি দূর হয়। মানসিক চাপ কমে। হজম ভালো হয়।

ঘুম ভালো হয়
গরম দুধে মধু মিশিয়ে যদি প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে খাওয়া যায় তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। পেট পরিষ্কার থাকে। যারা গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন তারা যদি প্রতিদিন এই গরম দুধ খান তাহলে উপকার পাবেন। তবে খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যাদের দুধে সমস্যা আছে তারা এড়িয়ে চলুন।

শক্তি বাড়ায়
মধু আর দুধ এমনিই প্রচুর এনার্জি দেয়। কাজেই যখন দুটো একসঙ্গে মিশছে তখন যে তার ফল দ্বিগুণ হবে তা বলার অপেক্ষা থাকে না। সকালে অর্থাৎ প্রাতরাশের পর এক গ্লাস খেলে সারাদিন এনার্জি থাকবে তুঙ্গে।

পেটের যেকোনও সংক্রমণে
অনেকেই আছেন যারা ক্রনিক পেটের সমস্যায় ভোগেন। গ্যাস, অম্বল, পেটখারাপ অনেকের লেগেই থাকে। এছাড়াও হজমের সমস্যা তো থাকেই। আর মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান পাকস্থলীর সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে।

মনযোগ বাড়ায়
একটানা ঘরে বসে কাজ করার ফলে সকলেরই নানা রকম সমস্যা আসছে। বিশেষত মানসিক। কাজে আসছে একঘেঁয়েমি। যার ফলে মস্তিষ্কেও তার প্রভাব পড়ছে। নষ্ট হচ্ছে মনযোগ। যে কারণে মধু আর দুধ খুব উপকারী। মধু মস্তিষ্কে ভালো প্রভাব ফেলে আর দুধ মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ঠিক থাকে। সব মিলিয়ে মনসংযোগের ঘাটতি পূরণ হয়। মন মেজাজ ভালো থাকে। কাজে গতি আসে।

আইফোন ১২-তে রয়েছে যেসব নতুন ফিচার

আইফোন ১২-তে রয়েছে যেসব নতুন ফিচার

আইফোন ১২-তে রয়েছে যেসব নতুন ফিচার
ফাইভজি নেটওয়ার্ক সুবিধাযুক্ত নতুন চারটি মডেলের আইফোন উন্মোচন করেছে অ্যাপল। অ্যাপল নিশ্চিত করেছে ফাইভ জি নেটওয়ার্কে কাজ করা তাদের প্রথম হ্যান্ডসেট হতে যাচ্ছে আইফোন ১২।

আইফোন ১২ সিরিজের মডেলগুলো হল- আইফোন ১২, আইফোন ১২ মিনি, আইফোন ১২ প্রো এবং আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স।

প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চিত করেছে যে এই ফোনসেটের একটি নতুন ‘মিনি’ মডেল থাকবে, যেটির স্ক্রিন থাকবে ৫.৪ ইঞ্চি।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) অ্যাপল প্রধান টিম কুক অনলাইন ইভেন্টটি শুরু করেন হোমপড মিনি ডিভাইস উন্মোচনের মধ্য দিয়ে।

প্রধান নির্বাহী টিম কুক বলেন, “ডাউনলোড ও আপলোডের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে ফাইভ জি। আরও হাই কোয়ালিটি ভিডিও স্ট্রিমিং, আরও সংবেদনশীল গেমিং, যোগাযোগের মাত্রায় আরও নতুনত্বসহ অনেক পরিবর্তন আসবে এই প্রযুক্তিতে।”

আর আইফোন ১২-এ নতুন পাঁচ ন্যানোমিটার প্রসেসে তৈরি এ১৪ বায়োনিক চিপ ব্যবহার করেছে অ্যাপল। ফলে আইফোন ১১ সিরিজের চেয়ে বেশি গতি এবং গ্রাফিক্স পাওয়া যাবে আইফোন ১২-এ।

আইফোন ১২ সিরিজের সঙ্গে নতুন ‘ম্যাগসেইফ’ ফিচারও এনেছে অ্যাপল।

ডিভাইসটির পেছনে চুম্বক পাত যোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে ওয়্যারলেস চার্জিং প্যাডে ডিভাইসটি সহজে সঠিক স্থানে বসাতে পারবেন গ্রাহক।

আর আইফোনের নতুন মডেলের প্রান্তগুলো আগের মডেলগুলোর তুলনায় অপেক্ষাকৃত তীক্ষ্ণ হবে বলে জানানো হয়েছে।

যেসব পরিবর্তন আসছে নতুন আইফোনে

চার্জার বিহীন ফোন
এই প্রথমবারের মত আইফোনের সাথে কোনও চার্জার অথবা হেডফোন দেওয়া হচ্ছে না।

অ্যাপল জানিয়েছে, পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অপেক্ষাকৃত বেশি দামী আইফোন-১২ প্রো মডেলে স্ক্রিনটি বড় থাকবে এবং কম আলোয় ছবি তোলার সুবিধার্থে নতুন সেন্সর ব্যবহার করা হবে।

সিরামিক শিল্ড
অ্যাপল জানিয়েছে, আইফোন ১২-তে আগের মডেলগুলোর মত ৬.১ ইঞ্চি (১৫.৫ সেমি) স্ক্রিন রয়েছে, তবে এখন জমকালো রঙয়ের সেটগুলোর জন্য এলসিডি’র বদলে ওএলইডি প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।

অ্যাপল বলছে, এর কারণে নতুন আইফোন আগের চেয়ে ১১% বেশি সরু করে তৈরি করা সম্ভব হয়েছে তাদের জন্য।

তারা আরও জানিয়েছে যে নতুন সেটের স্ক্রিন বেশি রেজোলিউশনের এবং এতে ডিসপ্লের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ‘সিরামিক শিল্ড’ ব্যবহার করা হয়েছে যার ফলে হাত থেকে পড়ে যাওয়ার হিসেবে আগের চেয়ে ‘চার গুণ বেশি’ সুবিধা পাওয়া যাবে।

ডেপথ সেন্সর
অপেক্ষাকৃত বেশি দামী মডেলগুলোতে বড় আকারের ডিসপ্লে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সেগুলোকে নতুন করে ডিজাইন করা হয়েছে - আইফোন প্রো’এর স্ক্রিন ৫.৮ ইঞ্চি থেকে ৬.১ ইঞ্চি এবং প্রো ম্যাক্সের স্ক্রিন ৬.৫ ইঞ্চি থেকে ৬.৭ ইঞ্চি।

এছাড়াও এই সেটগুলোতে ‘লিডার’ (লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং) স্ক্যানার সংযুক্ত করা হয়েছে।

এর ফলে ফোনের আশেপাশের পরিবেশের জন্য একটি ডেপথ ম্যাপ তৈরি হয়, যার ফলে কম আলোতে অটোফোকাস 'ছয় গুণ দ্রুততায়' করা সম্ভব।

এছাড়া অগমেন্টেড রিয়েলিটির কাজ করার জন্যও এই সেন্সর ব্যবহৃত হতে পারে, যদিও এই ক্ষেত্রে খুব বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়নি।

ফাইভ জি
স্যামসাং ২০১৯ সালে গ্যালাক্সি এস ১০ ফোন বাজারে ছাড়ে যা ফাইভ জি নেটওয়ার্কে কাজ করে এবং এর পর হুয়াওয়ে, ওয়ান প্লাস ও গুগলও এই ধরণের ফোন বাজারে ছাড়ে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেসব ফোন সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ খুব একটা বেশি নেই।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফরেস্টারের টমাস হাসন বলেন, “অ্যাপল সাধারণত নতুন প্রযুক্তি বাজারে আনে না, তারা একটি প্রযুক্তি পরিপক্ক হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে এবং ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে সেই প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করে।”

স্মার্ট স্পিকার
নিজেদের স্মার্ট স্পিকার ‘হোমপড মিনি’র একটি নতুন ভার্সনও বাজারে ছেড়েছে অ্যাপল।

এটি আরও ব্যাপক পরিসরের ভয়েস কমান্ড সমর্থন করে। পাশাপাশি এটিতে একটি হোম ইন্টারকম সিস্টেমও রয়েছে।

অ্যাপলের প্রথম হোমপড ২০১৮ সালে বাজারে ছাড়া হয়, তবে এখন পর্যন্ত অ্যামাজন ও গুগলের স্পিকারের তুলনায় এটি অনেক পিছিয়ে রয়েছে।

৪ মডেলের 'আইফোন ১২' আনলো অ্যাপল

৪ মডেলের 'আইফোন ১২' আনলো অ্যাপল


৪ মডেলের 'আইফোন ১২' আনলো অ্যাপল
আইফোন ১২ হাতে অ্যাপলের সিইও টিম কুক
অ্যাপল বাজারে আনলো আইফোন ১২'র চারটি ভার্সন- আইফোন ১২, আইফোন ১২ মিনি এবং আইফোন ১২ প্রো এবং প্রো ম্যাক্স। এই সবগুলো মডেলেই ৫জি কাজ করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাপল পার্ক থেকে ভার্চুয়াল ইভেন্টের মাধ্যমে আইফোন ১২ সিরিজের চারটি ডিভাইস উন্মোচন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে পাওয়া যাবে আইফোন ১২ এবং আইফোন ১২ প্রো মডেল দু’টি। তবে আইফোন ১২ মিনি এবং আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স কবে বাজারে আসবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।

লাল, সাদা, নীল, সবুজ এবং কালো- এই পাঁচটি রঙে পাওয়া যাবে আইফোন ১২ এবং আইফোন ১২ মিনি। ৬৪, ১২৮ এবং ২৫৬ জিবি- এই তিনটে ভ্যারিয়ান্টেই ফোনগুলো মিলবে। আইফোন ১২ সিরিজের এই ফোনগুলো খুব পাতলা করা হয়েছে। ওজনেও হালকা এবং ছোট। ৫জি সাপোর্ট ছাড়াও এই ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে ওয়্যারলেস সফটওয়্যার। 

আইফোন ১২-এ রয়েছে ওলেড ডিসপ্লে। স্ক্রিন যাতে সহজে ভেঙে না যায় তার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে সিরামিক শিল্ড গ্লাস প্রযুক্তি। এছাড়া এই ফোনে রয়েছে এ-১৪ বায়োনিক প্রসেসর। 

অ্যাপল'র দাবি, এই ফোনের সিপিইউ এবং জিপিইউ অন্যান্য স্মার্টফোনের চেয়ে অনেক দ্রুত। এই ফোনে রয়েছে ১২ মেগাপিক্সেলের দু’টি ওয়াইড অ্যাঙ্গল সেন্সর এবং আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা। এখন নাইট মোডেও ছবি তোলা যাবে ফ্রন্ট ও রিয়ার ক্যামেরায়। কোনও কেবল ছাড়াই চার্জ করা যাবে আইফোন ১২। এতে ম্যাগসেফ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।  রয়েছে ম্যাগনেট এবং সেন্সরকে কাজে লাগিয়ে ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের ব্যবস্থা। ফলে অনেক দ্রুত চার্জ হবে ফোন।

অ্যাপল জানিয়েছে, তাদের আইফোন ১২ মিনি ছোট এবং পাতলা ফোন। এতে রয়েছে ৫.৪ ইঞ্চি ডিসপ্লে। ফোনটিকে টেকসই করার জন্য সিরামিক মেটারিয়াল ব্যবহার করা হয়েছে। দু'টি রিয়ার ক্যামেরা রয়েছে। তাতে নাইট মোড ফিচার রয়েছে। রয়েছে এ-১৪ বায়োনিক চিপ। স্ক্রিনের মাপ ৫.৪ ইঞ্চি। এছাড়া রয়েছে সুপার রেটিনা এক্সডিআর ডিসপ্লে। আইফোন ১২'র মতো ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে এতেও।