Translate

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

চোখের যেসব লক্ষণে সাবধান হতে হবে

চোখের যেসব লক্ষণে সাবধান হতে হবে


চোখের যেসব লক্ষণে সাবধান হতে হবে
চোখের সমস্যা কম-বেশি সবারই হতে পারে। কিন্তু অনেকে বুঝতে পারেন না যে, তার চোখে সমস্যা হয়েছে। তিনি জানেন না, কখন চোখের ডাক্তার দেখাবেন। এ ক্ষেত্রে নিজের চোখের অবস্থা ও লক্ষণ দেখে বুঝে নিতে হবে। চোখের কিছু লক্ষণে আপনাকে সাবধান হতে হবে। যেতে হবে  চিকিৎসকের কাছে। 

লক্ষণগুলো কী?

১. ঝাপসা দেখা: চোখে ঝাপসা দেখা বা চোখের সামনে অন্ধকার দেখা ক্যানসার, টিউমার বা স্ট্রোকেরও ইঙ্গিত দেয়। এ সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

২. ডাবল ভিশন: ডাবল ভিশন বা দুটো করে সবকিছু দেখার সমস্যা থাকলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মূলত চোখের ভেতরে পেশির সমস্যা হলে ডাবল ভিশন হয়। এ ছাড়া স্নায়ু রোগেও এই সমস্যা দেখা যায়। এ ছাড়া স্ট্রোক বা ব্রেন টিউমার হলেও এই সমস্যা হয়।

৩. হঠাৎ চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়া: অনেক সময়ে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। চোখের সামনে আলো ফেললে কিছু দেখা যায় না, তেমন অনেকেরই সাধারণ আলোতেই হঠাৎ চোখ ধাঁধিয়ে যায়। ক্ষণিকের অস্বস্তি হলেও এই সমস্যাকে কেউ খুব একটা গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি এই সমস্যা দেখা যায়, তাহলে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিন।

৪. চোখ জ্বালা করা বা চোখ চুলকানো: হঠাৎ চোখ জ্বালা করা বা চোখ চুলকানোর সমস্যায় ভুগলেও এড়িয়ে যাবেন না। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে এই সমস্যা হয়ে থাকে। প্রায়ই এই সমস্যা হতে থাকলে চিকিৎসকের কাছে যান।

৫. চোখ যদি লাল হয়ে যায়: হঠাৎ চোখ যদি লাল হয়ে যায়, তা যথেষ্ট চিন্তার কারণ। কোনও ইনফেকশন হলেও চোখ লাল হয়ে যায়। এ ছাড়া শরীরে অন্যান্য কয়েকটি রোগের উপসর্গ চোখ লাল হয়ে যাওয়া।

অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা বুঝবেন যেভাবে

অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা বুঝবেন যেভাবে


অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা বুঝবেন যেভাবে
পেটে ব্যথা খুবই সাধারণ একটা বিষয় হলেও, তাকে পাত্তা না দিলে সে ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। গ্যাসের ব্যথা বলে অনেক ব্যথা এড়িয়ে যাই আমরা। মূলত, বিভিন্ন জটিলতার সঙ্গে অন্যান্য সমস্যার কারণে অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা আলাদা করে চিনে ওঠা সম্ভব হয় না।  হঠাৎ একদিন অ্যাপেন্ডিক্সের মারাত্মক ব্যথা ব্যথায় অসহায় করে দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থা হয়ে যায় রোগীর। 

শরীরের অবাঞ্চিত অঙ্গ অ্যাপেন্ডিক্সকে পাত্তা না দিলে প্রাণ সংশয় হতে পারে। তাই ব্যথা সম্পর্কে অবগত হন।

অ্যাপেন্ডিক্স হলে তল পেটের ডান দিকে ব্যথা শুরু হবে।  নাভির চারিদিক থেকে ব্যথাটা  ক্রমশ তল পেটের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। তলপেট ফুলে ওঠে। তবে শুরুর দিকে ব্যথা কম হবে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই ব্য়থা ক্রমশ বাড়তে থাকে। খাবার খেলেই ব্যথা বেড়ে যায়। 

জ্বর আসার সম্ভাবনা থাকে। তবে সবার ক্ষেত্রে জ্বর আসে না। খেতে ইচ্ছা করে না। হজমে সমস্যা হয়। সেখান থেকে শুরু হয় বমি। কিছুক্ষেত্রে রোগীর পেট খারাপও হতে পারে। হাঁটাচলা করলে, বসে ওঠার সময়, অথবা সিড়ি দিয়ে নামার সময় ব্যথা হতে পারে।

এই সকল লক্ষণ দেখলে ভুলেও দেরি করবেন না। পরামর্শ নিন ডাক্তারের থেকে। কারণ অ্যাপেন্ডিক্সকে অবহেলা করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বর্তমানে ল্যাপারোস্কোপি করে অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন করা হয়। আধুনিক পদ্ধতিতে পেট না কেটেই বাদ দেওয়া হয় অ্যাপেন্ডিক্স। 

মানুষের হার্টকে সারিয়ে তোলার জাদু জানে ছোট্ট এই মাছ

মানুষের হার্টকে সারিয়ে তোলার জাদু জানে ছোট্ট এই মাছ

মানুষের হার্টকে সারিয়ে তোলার জাদু জানে ছোট্ট এই মাছ!
যেন জাদুমন্ত্র জানে আমাদের ধানখেতের আলে, খালেবিলে, পুকুরে, নদীতে থাকা ম্যাজিশিয়ান এই মাছটি। অনেকে চিনেন আবার অনেকে নামও জানেন না মাছটির। এই মাছটির নাম জেব্রা ফিশ, যা বাংলায় অঞ্জু মাছ বলে পরিচিত। এর শক্তি সম্পর্কে জানলে আপনি রীতিমতো অবাক হবেন। মূলত গ্রাম বাংলা আর উত্তর-পূর্ব ভারতের নদী, পুকুর, খালবিলে এই জেব্রা ফিশটি পাওয়া যায়। 

হাতের আঙুলের আকারের ও গায়ে ডোরাকাটা দাগের এই মাছটি ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পরেও মস্তিষ্ক, হৃদযন্ত্র, যকৃত, অগ্ন্যাশয়, মেরুদণ্ডসহ তার শরীরের প্রায় সবকটি অঙ্গকে নতুন করে গড়ে তুলতে পারে, যা মানুষ কিংবা কোনও স্তন্যপায়ী প্রাণীও পারে না।

ভারতের পুনের আগরকর রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ডেভেলপমেন্টাল বায়োলজি বিভাগের বিজ্ঞানী চিন্ময় পাত্রের তত্ত্বাবধানে আমাদের দুর্বল হয়ে পড়া হৃদযন্ত্রকে ফের জাগিয়ে তোলার এই সঞ্জীবনী মন্ত্রটি খুঁজে বের করেছেন দেবাঞ্জন মুখোপাধ্যায় ও তার সহযোগীরা। দেবাঞ্জন এখন ফ্রাঙ্কফুর্টে গোথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট ফর কার্ডিওভাসকুলার রিজেনারেশনের গবেষক।

চিন্ময় ও দেবাঞ্জনসহ ১০ জনের গবেষকদল পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্বে এই প্রথম দেখালেন, একটি বিশেষ জিন কীভাবে জেব্রা ফিশের ক্ষতবিক্ষত হৃদযন্ত্রকে (‘মায়োকার্ডিয়াল ইনজুরি’) পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠতে সাহায্য করে। জিনটির নাম- ‘কানেকটিভ টিস্যু গ্রোথ ফ্যাক্টর (সিটিজিএফ)’। আরও একটি নাম রয়েছে জিনটির, তাহলো ‘সেলুলার কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ফ্যাক্টর ২-এ’।

এই গবেষণাতেই প্রথম বোঝা গেল কেন হার্ট অ্যাটাকের পর আমরা আর হৃদযন্ত্রকে আগের অবস্থায় ফিরে পাই না এবং তৃতীয়বার হার্ট অ্যাটাকের পর অনিবার্যই হয়ে ওঠে আমাদের মৃত্যু। আর কেনই বা জেব্রা ফিশের হৃদযন্ত্র বার বার ক্ষতবিক্ষত হয়েও পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠতে পারে প্রায় নতুন হৃদযন্ত্রের মতোই?

গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটেন থেকে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘ডেভেলপমেন্ট’-এ। মূল গবেষক দেবাঞ্জন কাজ করেছেন পুনের ‘আগরকর রিসার্চ ইন্সটিটিউট (এআরআই)’-এর ডেভেলপমেন্টাল বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক চিন্ময় পাত্রের তত্ত্বাবধানে। সহযোগিতা করেছে জার্মানির ‘ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইন্সটিটিউট ফর হার্ট অ্যান্ড লাং রিসার্চ’ এবং আমেরিকার ডারহ্যামের ‘ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়’-এর মেডিক্যাল সেন্টারও।

গবেষণায় কেন বেছে নেওয়া হলো জেব্রা ফিশ?

সাধারণত ২ থেকে ৩ বছর জেব্রা ফিশ বেঁচে থাকে। তাই ৩ মাস বয়স হয়ে গেলেই এই মাছ প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠে। গবেষকরা কাজটা করেছেন অন্তত ৬ মাস বয়সি জেব্রা ফিশ নিয়ে। সেগুলো ছিল প্রাপ্তবয়স্ক জেব্রা ফিশ। হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ও আশঙ্কা যেহেতু শিশুদের চেয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বেশি, প্রবীণদের ক্ষেত্রে আরও বেশি, গবেষকরা তাই কাজটা করেছেন প্রাপ্তবয়স্ক জেব্রা ফিশ নিয়ে।

জেব্রা ফিশ নিয়ে কাজ করার একটা সুবিধা হলো, জন্মের পর ১০-১৫ দিন পর্যন্ত বাইরে থেকেই তাদের হৃদযন্ত্র, যকৃত, অগ্ন্যাশয়সহ শরীরের সবকটি অঙ্গের বিকশিত হয়ে ওঠা আর তাদের কাজকর্ম চাক্ষুষ করা যায়। কীভাবে হৃদযন্ত্রের ভাল্ব তৈরি হচ্ছে, তা-ও দেখা যায়, একেবারে কোষের স্তরে গিয়েও। আর একটা সুবিধা হলো জেব্রা ফিশের বেশির ভাগ কার্যকরী জিনের (প্রাণী বা উদ্ভিদের অনেক জিনই কার্যকরী থাকে না) সঙ্গেই মানুষ ও ইঁদুরের কার্যকরী জিনগুলোর খুব সাদৃশ্য রয়েছে। গত শতাব্দীর ৬-এর দশক থেকেই গ্রাম বাংলার এই ‘ম্যাজিশিয়ান’ মাছটি নিয়ে বিদেশে শুরু হয় গবেষণা। এখন বিশ্বের প্রায় ১ হাজারটি 

হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে বিট রস

হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে বিট রস


হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে বিট রস
বীটরুট একটি উপাদেয় ফল। আমাদের দেশে ফলটির জনপ্রিয়তা কম হলেও গবেষণায় দেখা গেছে যে বিটের রস পান করলে উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়। স্নায়ু কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা করে। হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে। আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং ফাইটোকেমিক্যালগুলি রক্তকে বিশুদ্ধ করতে সহায়তা করে এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়িয়ে তোলে।

বিটের খনিজ,নাইট্রিক অক্সাইড,পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। নাইট্রিক অক্সাইড আমাদের দেহের দ্বারা উৎপাদিত একটি অণু যা সারা শরীরের কোষগুলিতে সংকেত স্থানান্তর করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন এই রস খেলে শরীর জুড়ে রক্ত প্রবাহকে আরও উন্নত করতে সহায়তা করে।

জার্নাল অব নিউট্রিশনের গবেষণায় প্রমাণিত হয়, 'প্রতিদিন কমপক্ষে এক গ্লাস বিটের রস রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তারা এক গ্লাস বিট রসের মাধ্যমে তাদের রক্তচাপ কমাতে এবং নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা। বিশেষ করে, ৫৪ থেকে ৮০ বছর বয়সীদের জন্য বিট রস খুব কার্যকর। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ইতিবাচক লক্ষণ পাওয়া গেছে'। 
 
বিটের রস পান করা ছাড়াও এটি স্যুপ, সালাদ বা স্বাস্থ্যকর মিষ্টি হিসাবে খাওয়া যেতে পারে। দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই উপকারী ফলটি অন্তর্ভুক্ত করা যায়।

চির তারুণ্য ধরে রাখে বরই

চির তারুণ্য ধরে রাখে বরই

চির তারুণ্য ধরে রাখে বরই
খাওয়ার রুচি বাড়ানোর জন্য বরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বরই ঠান্ডা, জ্বর, সর্দি-কাশির প্রতিরোধ করে। নিদ্রাহীনতা দূর করে আমাদের কর্মশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফলটি ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে চির তারুণ্য ধরে রাখে।

বরই এর রস অ্যান্টি-ক্যানসার ড্রাগ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এই ফলে রয়েছে ক্যানসার সেল, টিউমার সেল, লিউকেমিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার অসাধারণ শক্তি।

আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রজাতির বরই রয়েছে। এর ভিটামিন ‘সি’ গলার ইনফেকশনজনিত বিভিন্ন অসুখ, টনসিলাইটিস, ঠোঁটের কোণে ঘা, জিহ্বাতে ঠাণ্ডাজনিত লালচে ব্রণের মতো ফুলে যাওয়া, ঠোঁটের চামড়া উঠে যাওয়া দূর করে।

রক্ত বিশুদ্ধকারক হিসেবে এই ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। ডায়রিয়া, মোটা হয়ে যাওয়া, রক্তের হিমোগ্লোবিন ভেঙে রক্তশূন্যতা তৈরি হওয়া, ব্রঙ্কাইটিস নিরাময়ে বরই অত্যন্ত কার্যকরী। উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই ফল যথেষ্ট উপকারি। 

পুরো বছর সংরক্ষণ করে খাওয়ার জন্য বরই দিয়ে টক-মিষ্টি-ঝাল আচার তৈরি করে রাখা যায়। এছাড়াও বরই ভর্তা খুবই মুখরোচক।

পেঁপে ক্যান্সারের প্রতিষেধক

পেঁপে ক্যান্সারের প্রতিষেধক

পেঁপে ক্যান্সারের প্রতিষেধক!
আমাদের দেহের কার্যকরী অঙ্গ লিভার সুস্থ ও সক্রিয় রাখতে পেঁপের বীজ এবং গাছের পাতা সমান ভাবে উপকারী। লিভার ভালো রাখতে নিয়মিত খেতে হবে পুষ্টিকর পেঁপে। পেঁপেতে থাকা ড্যানডেলিওন, মিল্ক থিসল লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।  

পেঁপের পাতার রস করতে প্রথমে পাতাগুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার পাটা বা হাম্বলদিস্তায় থেঁতো করে নিন। এবার রস ছেকে নিয়ে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এছাড়াও, পেঁপের বীজ প্রথমে রোদে শুকিয়ে নিন। এটি পিষে নিয়ে এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ মধু দিয়ে পান করুন।  

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পেঁপে লিভারে থাকা সমস্ত অপ্রয়োজনীয় বস্তুকে বের করে বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচায় । পেঁপের পাতার রস পান করলে হজমশক্তি বাড়ে, শরীর দ্রুত প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে। এছাড়া সব ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

অত্যন্ত সুস্বাধু পাকা পেঁপে ত্বক, হজম শক্তি বাড়ায়, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, ক্যান্সারের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। সকালে খালি পেটে খাঁচা পেঁপে খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও দূর হয়। আবার কাঁচা পেঁপে সালাদ বা সবজি হিসেবে রান্না করেও খাওয়া যায়। 

সোমবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২১

বৃহস্পতির উপগ্রহ থেকে এলো রেডিও সিগন্যাল, জল্পনা তুঙ্গে

বৃহস্পতির উপগ্রহ থেকে এলো রেডিও সিগন্যাল, জল্পনা তুঙ্গে


বৃহস্পতির উপগ্রহ থেকে এলো রেডিও সিগন্যাল, জল্পনা তুঙ্গে
পৃথিবীর বাইরের জগত নিয়ে মানুষের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। চলছে গবেষণাও। এরইমধ্যে সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বৃহস্পতির উপগ্রহ গ্যানিমেড থেকে রেডিও সিগন্যাল পেয়েছে নাসার পাঠানো মহাকাশ যান জুনো। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে।

সাধারণত রেডিও তরঙ্গ বা এফএম সিগন্যাল কোনো জীব থাকার ইঙ্গিত বা যোগাযোগের বিষয়টিকে তুলে ধরে বলেই গ্যানিমেডে প্রাণের অস্তিত্বের বিষয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে মহাকাশবিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি। বৃহস্পতির কোনো প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার জেরেই এই রেডিও তরঙ্গের উৎপত্তি।

এ ব্যাপারে নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জুনো বৃহস্পতির কক্ষপথ ধরেই প্রদক্ষিণকালে সম্প্রতি গ্যানিমেড থেকে এই সংকেত পেয়েছে। বৃহস্পতির ৭৯টি উপগ্রহের মধ্যে অন্যতম হলো গ্যানিমেড। এর আগে কখনও এই উপগ্রহ থেকে কোনোরকম তরঙ্গ বা এফএম সিগন্যাল ধরা পড়েনি।

মহাকাশবিজ্ঞানীদের কথায়, মূলত ইলেকট্রন থেকে এ ধরনের তরঙ্গ বা সিগন্যাল সৃষ্টি হয়। এই গ্রহে হয়তো কোনো প্রাকৃতিক পরিবর্তন ঘটছে। তা থেকেই এমন তরঙ্গের সৃষ্টি হয়েছে।

নাসার গবেষক প্যাট্রিক ইউইংস বলেন, সাইক্লোট্রন ম্যাসার ইনস্ট্যাবিলিটি নামে এক ধরনের প্রক্রিয়ার ফলে এমন হতে পারে। সাধারণত কোনো তড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রক্রিয়া ঘটে থাকে। এতে ইলেকট্রনের উপস্থিতিও লক্ষ করা যায়। আর আশপাশের এলাকায় একটি ফ্রিকোয়েন্সি অনুভূত হয়। জুনো সেই ফ্রিকোয়েন্সি ধরতে সক্ষম হয়েছে।

নাসার মেগা রকেটের ইঞ্জিন পরীক্ষা বাতিল

নাসার মেগা রকেটের ইঞ্জিন পরীক্ষা বাতিল

নাসার মেগা রকেটের ইঞ্জিন পরীক্ষা বাতিল
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নতুন মেগা রকেটের (স্পেস লঞ্চ সিস্টেম) ইঞ্জিনের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। চারটি ইঞ্জিনে একসঙ্গে আগুন ধরে যাওয়ায় পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়।

স্পেস লঞ্চ সিস্টেম চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছিল মিসিসিপির বে সেন্ট লুইসের কাছে স্টেনিস স্পেস সেন্টারে। 

স্টেনিস স্পেস সেন্টার অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করছে।   

নতুন দুইটি ফিচার নিয়ে এসেছে লুডু কিং গেম

নতুন দুইটি ফিচার নিয়ে এসেছে লুডু কিং গেম


নতুন দুইটি ফিচার নিয়ে এসেছে লুডু কিং গেম
কুইক লুডু ও সিক্স প্লেয়ার মোড নামে দুইটি ফিচার যোগ হয়েছে লুডু কিং গেমে। এর ফলে চারজনের জায়গায় ছয়জন মিলে একসঙ্গে খেলতে পারবেন। পাশাপাশি পাওয়া যাবে ভয়েস চ্যাটের সুবিধাও। একই সঙ্গে মাত্র পাঁচ মিনিটেই এক রাউন্ড লুডু খেলা হয়ে যাবে।

ক্লাসিক লুডু গেম বা সাধারণ লুডু গেম খেলতে প্রায় ১৫ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগে। কিন্তু কুইক লুডু মোডের সাহায্যে মাত্র পাঁচ মিনিটেই এক রাউন্ড লুডু খেলা হয়ে যাবে।

এবার আসা যাক ফাইভ টু সিক্স প্লেয়ার মোড ফিচারে। নামেই বোঝা যাচ্ছে এই ফিচারের কাজ। এক্ষেত্রে একসঙ্গে ছয়জন প্লেয়ার একে অন্যের সঙ্গে লুডু খেলতে পারবেন। এতদিন পর্যন্ত অফলাইনে কার্যকর ছিল এই সিক্স প্লেয়ার মোড।

এবার থেকে চার জনের জায়গায় অনলাইনে একসঙ্গে ছয়জন মিলে খেলতে পারবেন। অনলাইনেই একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন ছয়জন খেলোয়াড়। আর এই মোডেই ভয়েস চ্যাটের সুবিধা পাওয়া যাবে। ভয়েস চ্যাট অপশনের মাধ্যমে খেলা চলাকালীন একে অন্যের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ঠাট্টা-তামাশা করতেন পারবেন তারা। 

উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রায় ৩০টি দেশে ও ১৪টি ভাষায় কার্যকর রয়েছে এই লুডু কিং গেম। এক্ষেত্রে গুগল প্লে স্টোর, অ্যাপ স্টোর ও উইন্ডোস ভার্সনে রয়েছে এই গেম।

হোয়াটসঅ্যাপ বাদ দিয়ে তুরস্কের ‘বিআইপি’তে যোগদানের হিড়িক

হোয়াটসঅ্যাপ বাদ দিয়ে তুরস্কের ‘বিআইপি’তে যোগদানের হিড়িক

বিশ্বব্যাপী তুরস্কের অ্যাপ বিআইপিতে যোগদানের হিড়িক চলছে। আমেরিকান প্রতিষ্ঠান হোয়াটসঅ্যাপ নিজেদের প্রাইভেসি পলিসিতে বিতর্কিত পরিবর্তন আনার পর থেকেই তুরস্কের এই অ্যাপে প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ করে ব্যবহারকারী বাড়ছে। 

জানা গেছে, নিরাপদভাবে বার্তা আদান-প্রদানকারী অ্যাপটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তুরস্কের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় টেলিকম সংস্থা ‘তুর্কসেল’। ২০১৩ সালে চালু হওয়া বিআইপি গত কয়েক বছরের ব্যবধানে ১৯২টি দেশে বিস্ময়কর জনপ্রিয়তা লাভ করে।

তুর্কসেলের মহাব্যবস্থাপক জানান, গত শুক্রবার থেকে ৬৪ লাখ ব্যবহারকারী হোয়াটঅ্যাপস ছেড়ে বিআইপিতে যোগদান করেছেন। বর্তমান পরিবেশে বিআইপি নিরাপদ স্থান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আমরা টেলিগ্রামের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলেছি।

উল্লেখ্য, অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোনের মেসেঞ্জারে চ্যাটসহ ছবি আদান-প্রদান, ভিডিও ও অডিও মিডিয়া বার্তাও আদান-প্রদান করা যায় বিআইপিতে। বর্তমানে এই অ্যাপে পাঁচ কোটির বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে বিশ্বব্যাপী।

প্রযুক্তি বর্জ্য কমাতে ফোনের সাথে চার্জার ও হেডফোন দেবে না স্যামসাং

প্রযুক্তি বর্জ্য কমাতে ফোনের সাথে চার্জার ও হেডফোন দেবে না স্যামসাং

প্রযুক্তি বর্জ্য কমাতে ফোনের সাথে চার্জার ও হেডফোন দেবে না স্যামসাং
প্রযুক্তিখাতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান স্যামসাং হাটতে চলেছে অ্যাপল ও শাওমির পথে। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি সবার হাতে তুলে দিতে চায় প্রতিষ্ঠান। ই-ওয়াস্ট বা প্রযুক্তি বর্জ্য কমাতে এখন থেকে ফোনের সঙ্গে হেডফোন দেবে না। এর আগে অ্যাপলের আইফোনে চার্জার ও হেডফোন বাদ দেয়া হয়। এরপর শাওমিও একই পথে হাটে। এবার সেই পথের পথিক হলো স্যামসাংও।

স্যামসাং তাদের গ্যালাক্সি এস২১ সিরিজের ফোনগুলোর সঙ্গে চার্জার ও হেডফোন দেবে না।

সম্প্রতি উইন ফিউচার দুটি ছবি শেয়ার করেছে। আর সেই দুটি ছবিতে দেখা গেছে গ্যালাক্সি এস২১ প্লাস ও গ্যালাক্সি এস২১ আল্ট্রার বক্স। ছবির টাইটেলে লেখা হয়েছে, ‘হোয়াটস ইন দ্যা বক্স’। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হওয়া সেই ছবি থেকেই পরিষ্কার যে, বক্সের ভিতর কুইক স্টার্ট গাইড, ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট, ডেটা কেবল এবং ইজেকশন পিন দেওয়া হবে। চার্জার এবং ইয়ারফোন না দেওয়ার ফলে আকার-আয়তনের দিক থেকে গ্যালাক্সি এস২১ সিরিজের বক্স বেশ ছোট হতে চলেছে।

উইন ফিউচার রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, সব জায়গায় এমনতর কাণ্ড ঘটাবে না স্যামাসাং। নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলের জন্যই গ্যালাক্সি এস২১ সিরিজের বাক্সে চার্জার এবং ইয়ারফোন না দেওয়ার পথেই হাঁটছে স্যামসাং। আর তার কারণ হিসেবে অ্যাপল, শাওমির মতোই পরিবেশবান্ধব মোবাইল বক্সের তত্ত্ব খাড়া করেছে সাউথ কোরিয়ান এই স্মার্টফোন-মেকার। কিছু দিন ধরেই স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস২১ সিরিজে চার্জার এবং ইয়ারফোন না দেওয়ার গুজব সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হতে থাকে।

এলন মাস্কের 'Use Signal' টুইটে লাভবান দুই কোম্পানি

এলন মাস্কের 'Use Signal' টুইটে লাভবান দুই কোম্পানি

এলন মাস্কের 'Use Signal' টুইটে লাভবান দুই কোম্পানি

Use Signal- টুইটারে মাত্র এই দুইটি শব্দ লিখে একটি টুইট করেন স্পেস এক্সের প্রধান নির্বাহী ও প্রকৌশলী এলন মাস্ক। সে টুইটটি রিটুইট করেছিলেন টুইটারের প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডরসি।

মূলত হোয়াটসঅ্যাপের পরিবর্তে সিগনাল নামের একটি অ্যাপ ব্যবহার করতে গত ৭ জানুয়ারি টুইটারে তার অনুসারীদের আহবান করে টুইটটি করেন তিনি। কিন্তু দিনশেষে এতে কপাল খুলে যায় সিগনাল অ্যাডভান্স ইন-কর্পোরেট নামে একটি বায়োটেকনোলজি কোম্পানির।
তিন দিনের মধ্যে শেয়ার বেড়ে যায় কোম্পানিটির। যার পরের দিনই বিভ্রান্তি ধরা পড়লেও তাতে কমেনি এর শেয়ার। বরং সোমবার পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার আরও বেড়ে যায়।

বায়োটেকনোলজি কোম্পানি সিগনাল অ্যাডভান্স ইন-কর্পোরেট শুধু নয়, ব্যবহারকারী বেড়েছে মেসেজিং অ্যাপ সিগনাল (Signal) এরও। বহু মানুষ এ অ্যাপে একসঙ্গে  নিবন্ধন করার চেষ্টা করায় বিপাকে পড়ে কর্তৃপক্ষ। 

উল্লেখ্য, সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপের নিরাপত্তাজনিত নীতি পরিবর্তনের কারণে নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন অনেকেই এর বিকল্প মাধ্যম খুঁজছেন। আর এলন মাস্ক টুইটারে সিগনাল অ্যাপ ব্যবহারের আহবান জানিয়েছিলেন।

১০০ মানুষ নিয়ে মঙ্গলে যাবে স্টারশিপ

১০০ মানুষ নিয়ে মঙ্গলে যাবে স্টারশিপ


১০০ মানুষ নিয়ে মঙ্গলে যাবে স্টারশিপ
পৃথিবীর বাইরের জগত নিয়ে মানুষের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। এ নিয়ে অনেক আগে থেকেই চলছে গবেষণা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার মঙ্গলযাত্রার জন্য খুব শিগগির মহাকাশযান স্টারশিপের প্রটোটাইপ উন্মোচন করবে স্পেসএক্স। পুনরায় ব্যবহারযোগ্য স্টারশিপে করে মঙ্গলগ্রহে একসঙ্গে ১০০ মানুষ পাঠানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। 

মহাকাশ যানের ওপরের অংশটির নাম স্টারশিপ। এর হবে উচ্চতা ৫০ মিটার। নিচের অংশে থাকবে সুপার হ্যাভি বুস্টার নামের রকেট। মঙ্গলগ্রহে মানুষের বসতি স্থাপন করার পরিকল্পনা থেকেই মাস্কের এ প্রকল্প। তার মতে অন্য গ্রহের সঙ্গে সংঘর্ষে বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে পৃথিবী থেকে প্রাণের অস্তিত্ব বিলীন হতে পারে।

যৌথভাবে মহাকাশ যান ও রকেটের উচ্চতা হবে ১২০ মিটার। মহাকাশে যাত্রা করার সময় সুপার হ্যাভিতে থাকবে ছয়টি র‌্যাপটর। ওপরে আর নিচে থাকবে চারটি পাখা। শুধু র‌্যাপটর তৈরিতে এক দশকেরও বেশি সময় লেগেছে। সুপার হেভি বুস্টার রকেটের ওজন হবে ৩ হাজার ৩৩০ টন। ওড়ার সময় স্টারশিপ ও সুপার হ্যাভি আলাদা হয়ে যাবে। সুপার হ্যাভি পৃথিবীতেই রয়ে যাবে। স্টারশিপ চলে যাবে মঙ্গলে। ফিরে আসবে ৯ মাস পর। প্রতিটি স্টারশিপে ৪০টি কেবিন থাকবে। প্রতিটি কেবিনে থাকবে ৩ জন। স্টারশিপের ভেতরে করে ১০০ টনের বেশি পণ্য ও ১০০ মানুষ কক্ষপথে পাঠানো সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০

নতুন করোনা তীব্র গতিতে ছুটছে

নতুন করোনা তীব্র গতিতে ছুটছে

এবার বিশ্বের জন্য নতুন হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে পুরনো করোনাভাইরাস থেকে ‘নতুন জাতের ভাইরাসে’ রূপান্তরিত হওয়া ‘নতুন করোনা’। এটি ব্রিটেনে ছড়ানোর পর এখন ইতালি, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়াতে ঢুকে পড়েছে। এরপর একে একে এটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে বলে গবেষকরা আশঙ্কা করছেন। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এই নতুন করোনাভাইরাসের গতি রকেটের গতির মতো। অতি দ্রুত এটি ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, আল জাজিরা, সিএনএন।

এই বাস্তবতায় এরই মধ্যে ইউরোপীয় প্রতিবেশীরা যুক্তরাজ্যের ভ্রমণকারীদের জন্য দরজা বন্ধ করা শুরু করেছে। জার্মানির সরকারও যুক্তরাজ্যের               সব ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আত্মরক্ষার তাগিদে সৌদি আরবও গতকাল থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলে এক সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। এদিকে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলায় পুরো অস্ট্রেলিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে রাজধানী সিডনিকে। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রবিবার এ সিদ্ধান্তটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

ব্রিটেনের দরজা বন্ধ : গত শনিবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও বিজ্ঞানীরা দেশটিতে করোনাভাইরাসের একটি নতুন রূপ শনাক্তের কথা ঘোষণা করে এ ধরনটি ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক বলে জানিয়েছেন। এরপর রবিবার যুক্তরাজ্য থেকে ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে নেদারল্যান্ডস,  বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালি। রবিবার রাত থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য যুক্তরাজ্য থেকে আসা সবার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ফ্রান্স। সড়ক, সমুদ্র,  রেল ও আকাশপথে মালামাল বহন করে নিয়ে আসা  লোকজনও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে বলে দেশটি জানিয়েছে।

আয়ারল্যান্ড জানিয়েছে, রবিবার মধ্যরাত থেকেই তারা প্রতিবেশী দেশটির ফ্লাইট এবং ফেরি চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। প্রাথমিকভাবে ৪৮ ঘণ্টা এই বিধিনিষেধ জারি রাখা হবে। বেলজিয়াম জানিয়েছে, তারা রবিবার মধ্যরাত থেকে যুক্তরাজ্য থেকে আসা জনপ্রিয় ইউরোস্টার সার্ভিসসহ ট্রেন, ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।  দেশটির প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্দ্রার  দোকো টিভি চ্যানেল ভিআরটিতে বলেছেন, ‘পূর্বসতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা অন্তত ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আরও  কোনো পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন কিনা সেটি আমরা পরে দেখব।’

ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রোবের্তো স্পেরানজা বলেছেন, ‘সম্প্রতি লন্ডনে আবিষ্কৃত কভিডের ধরনটি উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো। আমাদের বিজ্ঞানীদেরও এটি পরীক্ষা করে দেখা দরকার। এর মধ্যে আমরা সবচেয়ে বিচক্ষণ পথটি বেছে নিয়েছি।’ ইতালি, যুক্তরাজ্য থেকে ছেড়ে আসা সব ধরনের ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর পাশাপাশি গত ১৪ দিনের মধ্যে ব্রিটেন ঘুরে আসা সবার ইতালি প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে  দেশটি। জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েনস ইসপান সরকারি গণমাধ্যম এআরডিকে বলেছেন, ‘এটি (ভাইরাসের এই মিউটেশনটি) এখনও জার্মানিতে পাওয়া যায়নি, কিন্তু অবশ্যই ব্রিটেন  থেকে আসা প্রতিবেদনগুলোকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি।’ নেদারল্যান্ডস রবিবার থেকে যুক্তরাজ্যের সব যাত্রীবাহী ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত এটি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে। অস্ট্রিয়া সরকারও যুক্তরাজ্য  থেকে ফ্লাইট নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। অন্যদিকে স্পেনও ইইউ  দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের ফ্লাইট বন্ধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চায় বলে জানিয়েছেন  দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সুইডেন জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য থেকে তাদের দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত  নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। রোমানিয়া, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, বুলগেরিয়া ও চেক রিপাবলিকও যুক্তরাজ্যের ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা  ঘোষণা করেছে।

আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা সৌদি আরবের : করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় গতকাল থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলে এক সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি আরব সরকার। সৌদি আরবের এয়ারলাইন্স সাউদিয়ার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২১ ডিসেম্বর প্রথম প্রহর থেকে এক সপ্তাহের এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে  সৌদি সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। এ নিষেধাজ্ঞা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হতে পারে। আকাশ পথের মতো স্থল ও সমুদ্রবন্দরের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের বার্তা সংস্থা এসপিএ।

অস্ট্রেলিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন সিডনি : বিশ্বজুড়ে তা-ব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস। এ অবস্থায় দ্য অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি (এসিটি) সিডনির বাসিন্দাদের কাছে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। ৫০ লাখ বাসিন্দার উদ্দেশে বলা হয়েছে, ‘আমাদের কাছে আসবেন না।’ নগরী থেকে বের হলেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে এতে। এসিটির স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে, ‘আপনি যদি এসিটির বাসিন্দা না হন এবং সিডনিতে অবস্থান করে থাকেন, আমাদের বার্তা একেবারেই সাধারণ এসিটিতে ভ্রমণ করবেন না।’

গতকাল থেকে ভিক্টোরিয়া ও কুইন্সল্যান্ড রাজ্য এবং নর্দার্ন  টেরিটরির বাসিন্দাদের সিডনিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সিডনিতে প্রবেশ ঠেকাতে নিউ সাউথ ওয়েলসে কুইন্সল্যান্ডের পুলিশ তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে। সাউথ অস্ট্রেলিয়া রাজ্য সিডনি থেকে আসা  লোকদের জন্য ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন ঘোষণা করেছে। শনিবার একই ঘোষণা দিয়েছিল তাসমানিয়া। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া রাজ্য সীমান্তে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে আসা যেকোনো ব্যক্তিকে এই রাজ্যে প্রবেশ করতে হলে তাকে প্রমাণপত্র দেখাতে হবে  যে, তিনি সিডনির সংক্রমিত এলাকা থেকে আসেননি।

ইতালিতেও নতুন প্রজাতির করোনা : যুক্তরাজ্যের পর এবার ইতালিতেও নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। রবিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে নতুন যে প্রজাতির সন্ধান পাওয়া  গেছে ওই ইতালীয় নাগরিকের শরীরেও সেই একই প্রজাতির করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। বর্তমানে আইসোলেশনে থাকা ওই ব্যক্তি কিছুদিন আগে এক ফ্লাইটে তার সঙ্গীকে নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন বলে জানা গেছে।

ইংল্যান্ডে আবার লকডাউন : যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন, নতুন প্রজাতির এই ভাইরাস থেকে  ফের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এবং তার গতি আগের চেয়েও  বেশি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শনিবার লন্ডনসহ দক্ষিণ ইংল্যান্ডে আবারও লকডাউন জারির ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস আগের চেয়ে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তা আগের প্রজাতির চেয়ে বেশি প্রাণঘাতী নয় বলে মনে করা হচ্ছে। নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়াতেও এই নতুন প্রজাতির উপস্থিতি পাওয়া  গেছে। তবে এ প্রজাতি করোনা ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখায় বলে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য করোনাভাইরাসের রূপান্তরের তথ্য তাদের সঙ্গে বিনিময় করছে। সংস্থার পক্ষ  থেকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এই বিষয়ে অবহিত করার উদ্যোগ নিচ্ছে।

কেন এত উদ্বেগ : নতুন করোনাভাইরাসের কারণে পরিস্থিতিকে ‘সত্যিকারের উদ্বেগের কারণ’ বলে মনে করা হচ্ছে। করোনা মহামারী আকারে দেখা দেওয়ার পর থেকে এবারই প্রথম রূপান্তর বা জিনগত পরিবর্তনের কারণে ভাইরাসটির সংক্রমণ বেড়েছে, তা নয়। তবে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের পর ধারণা করা হচ্ছে এই ছড়িয়ে পড়ার হার ৭০ শতাংশ কিংবা তার চেয়েও বেশি।

স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত মানব শরীরকে আক্রান্ত করা কভিড-১৯ এর অন্তত সাতটি বড় গ্রুপ কিংবা স্ট্রেইন পাওয়া গেছে। মূল স্ট্রেইনটি আবিষ্কার হয়েছে গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে। এর নাম ‘এল স্ট্রেইন’। এরপর ২০২০ সালের শুরুর দিকে এর রূপান্তর হয়ে এস স্ট্রেইন হয়। এরপর আবারও রূপান্তরের মধ্য দিয়ে উদ্ভব হয় ভি ও জি স্ট্রেইনের।

ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকাতে সাধারণত করোনাভাইরাসের স্ট্রেইন জি দেখা যায়। তবে এসব মহাদেশে মানুষের চলাচলের ওপর বিধি-নিষেধ শিথিল থাকার কারণে দ্রুত এ ভাইরাস ছড়িয়েছে এবং জিআর, জিএইচ ও জিভি স্ট্রেইনের উদ্ভব হয়েছে। এদিকে আবার এশিয়াতে মূল স্ট্রেইন এল-এর উপস্থিতি অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময়ের জন্য ছিল। কারণ চীনসহ বিভিন্ন দেশ দ্রুত তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে চলাফেরায় বিধি-নিষেধ আরোপ করায় এর রূপান্তর হয়নি। এছাড়া অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত কিছু স্ট্রেইনকে একসঙ্গে ‘স্ট্রেইন ও’ নামে ডাকা হয়ে থাকে। বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি আধিপত্যকারী স্ট্রেইন হলো জি  স্ট্রেইনস। বিশেষ করে ইতালি ও ইউরোপে প্রাদুর্ভাবের  পেছনে এটি দায়ী। সুনির্দিষ্ট মিউটেশনটি হলো ডি৬১৪জি। এটি সবচেয়ে পরিচিত রূপান্তর। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এ রূপান্তরের মধ্য দিয়ে ভাইরাস আরও বেশি সংক্রামক হয়ে উঠতে পারে। তবে কিছু গবেষণা আবার এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এরই মধ্যে মূল এল স্ট্রেইন ও ভি  স্ট্রেইনের মতো শুরুর দিককার স্ট্রেইনগুলো ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হচ্ছে। রয়টার্সের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, মহামারী  মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কার্যকরী পদক্ষেপের মধ্যদিয়ে অস্ট্রেলিয়া এল ও এস  স্ট্রেইনের সংক্রমণ রোধ করতে পেরেছে। আর জি  স্ট্রেইনের কারণে যে নতুন সংক্রমণ দেখা গেছে তা এসেছে বিদেশ ফেরতদের মাধ্যমে। মার্চের শুরু থেকেই এশিয়াতে জি, জিএইচ ও জিআর স্ট্রেইনের প্রকোপ বাড়তে  দেখা গেছে। এক মাসেরও বেশি সময় আগে থেকে এ  স্ট্রেইন ইউরোপে ছড়িয়েছে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে ৪৩ শতাংশ নতুন সংক্রমণ, পূর্ব ইংল্যান্ডে ৫৯ শতাংশ এবং লন্ডনে ৬২ শতাংশ নতুন সংক্রমণের পেছনে এ রূপান্তরিত স্ট্রেইন দায়ী। ইংল্যান্ডের প্রধান মেডিক্যাল কর্মকর্তা অধ্যাপক ক্রিস হুইটি বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহে খুব দ্রুত এর সংক্রমণ বেড়েছে।’ প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা প্যাট্রিক ভ্যালান্স বলেন, ‘অস্বাভাবিকভাবে বড় সংখ্যায় এর রূপান্তর দেখা গেছে।’ করোনাভাইরাসের নতুন এ স্ট্রেইনটির ২৩টি ভিন্ন ভিন্ন পরিবর্তন দেখা গেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ভাইরাসের নতুন রূপান্তরিত স্ট্রেইন (ভিইউআই-২০২০১২/০১) ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি সংক্রামক হতে পারে। এটি আর নাম্বার ০.৪ বাড়িয়ে দিতে পারে।

চার দশক পর ফের চাঁদের মাটি এল পৃথিবীতে

চার দশক পর ফের চাঁদের মাটি এল পৃথিবীতে

চার দশক পর ফের চাঁদের মাটি এল পৃথিবীতে
চার দশক পর আবার চাঁদের মাটি এল পৃথিবীতে। বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদের মাটি নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে চীনের একটি মহাকাশযান। খবর ডয়চে ভেলের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনা মহাকাশযানটি নিরাপদে পৃথিবীর মাটি ছুঁয়েছে। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে চাঁদের থেকে দুই কিলোগ্রাম পাথর ও মাটি। এর মধ্য দিয়ে ৪৪ বছর পর আবার চাঁদের মাটি ও পাথর এলো।

পরিকল্পনা অনুসারেই পৃথিবীতে অবতরণ করেছে ক্যাপসুলটি। পৃথিবীতে নামার আগে ক্যাপসুলটি অরবিটার মডিউল থেকে আলাদা হয়ে যায়। এটির গতিবেগ কমে যায়। তারপর প্যারাসুট করে তা নেমে আসে ইনার মঙ্গোলিয়ার সিজিয়াংয়ে।

এর জন্য হেলিকপ্টার ও গাড়ি তৈরি ছিল। ভোরের আধো অন্ধকারে ক্যাপসুলটি উদ্ধার করা হয়।

সরকারি চ্যানেল চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, ৩০০ কেজির ক্যাপসুল উদ্ধার করতে সঙ্গে সঙ্গে কর্মীরা পৌঁছান। তারা ক্যাপসুলটি দেখে সেটিকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাবেন।

সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস জানাচ্ছে, চন্দ্রাভিযান সফল হওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সকলকে ধন্যবাদ দিয়েছেন।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাকডোনেল সেন্টার ফর স্পেস সায়েন্সের ডিরেক্টর ব্র্যাড জলিফ বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, ‘চাঁদের থেকে আনা এই মাটি ও পাথর হল অমূল্য সম্পদ। এই কঠিন মিশন সফল করার জন্য আমি চীনের বিজ্ঞানীদের কুর্নিশ জানাচ্ছি। এই মাটি ও পাথর বিশ্লেষণ করে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। আমার আশা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা গবেষণার কাজ করতে পারবেন।’

চীনের এই চন্দ্রাভিযানের মেয়াদ ছিল ২৩ দিন। এই সময়ের মধ্যে পৃথিবী থেকে উড়ে, চাঁদে নেমে মাটি-পাথর সংগ্রহ করে আবার পৃথিবীতে ফিরে এসেছে মহাকাশযান। চীন হল তৃতীয় দেশ, যারা চাঁদ থেকে মাটি ও পাথর আনল। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন চাঁদের মাটি-পাথর এনেছিল।

হোয়াটঅ্যাপ হ্যাকিং আতঙ্ক! যা করবেন

হোয়াটঅ্যাপ হ্যাকিং আতঙ্ক! যা করবেন

হোয়াটঅ্যাপ হ্যাকিং আতঙ্ক! যা করবেন
জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও কিন্তু হ্যাক হতে পারে আপনার ফোনের যাবতীয় তথ্য। এই ধরণের জালিয়াতির ক্ষেত্রে প্রথমে হ্যাকার একটি মেসেজ পাঠায় হোয়াটসঅ্যাপে। তারপরে বন্ধুত্বের ছল করে আপনাকে বলা হবে একটি ওটিপি ভুল করে আপনার নম্বরে চলে এসেছে।

সেই ওটিপি আপনি দিলেই হ্যাকার আপনার ব্যক্তিগত চ্যাটের বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবে। এরপর আপনার হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকার নিজে ব্যবহার করতে পারবে ও ফোনের কনট্যাক্টসদের থেকে টাকা চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার নিজের ফোনে আর আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি কাজ করবে না।

কিন্তু কীভাবে এই জালিয়াতি আটকাবেন। এ জন্য রয়েছে দুটি বিশেষ পথ। প্রথম উপায়ে আপনাকে যাচাই করতে হবে মেসেজ যে পাঠিয়েছে, সে সত্যি আপনার বন্ধু নাকি রহস্যজনক কোনও অপরিচিত।

দ্বিতীয়ত হোয়াটসঅ্যাপে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন অন রাখা। এতে অ্যাকাউন্টে লগ ইন করলেই ৬ ডিজিটের একটি পিন আসবে। এতে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকবে।

১. প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংসে যান।

২. এরপর ‘অ্যাকাউন্ট’ অপশনে ট্যাপ করে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন এনেবল করুন।

৩. এরপর আপনার পছন্দমত ছয় ডিজিটের একটি পিন বেছে নিন এবং কনফার্ম করুন।

৪. অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করার জন্য একটি ই-মেইল আইডি দিন অথবা ই-মেইল না দিতে চাইলে ‘স্কিপ’ বোতামে প্রেস করুন। হোয়াটসঅ্যাপ এখানে আপনাকে একটি ই-মেইল অ্যাড্রেস দিতে বলবে, যাতে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন রিসেট করা যায়। এটি আপনার অ্যাকাউন্টকে আরো সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।

৫. এরপর ‘নেক্সট’ বাটনে ক্লিক করুন।

৬. ই-মেইল অ্যাড্রেস কনফার্ম করে ‘সেভ’ অথবা ‘ডান’ বাটনে ক্লিক করুন। এরপর যখনই আপনি হোয়াটসঅ্যাপে লগ ইন করবেন, তখনই ওই ৬ ডিজিটের পিন আপনার মোবাইলে দিতে হবে। এতে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকবে।

স্ট্রোকের ঝুঁকি আছে কি না? জানাবে অ্যাপ

স্ট্রোকের ঝুঁকি আছে কি না? জানাবে অ্যাপ

স্ট্রোকের ঝুঁকি আছে কি না? জানাবে অ্যাপ
সংখ্যাটা কোভিড আক্রান্তদের তুলনায় অনেক বেশি। বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে ১ জন ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন, প্রতি ৪ মিনিটে ১ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এটি সম্পর্কে সচেতন হলে ৭০% ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলা যায়।

যারা বেঁচে যান, তাদের একটা বিশাল অংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গৃহবন্দি থাকতে বাধ্য হন। অনেক ছোটখাট উপসর্গও ব্রেন স্ট্রোকের পূর্বাভাস হতে পারে। চোখে ঝাপসা দেখা থেকে শুরু করে হাত পায়ের সাড় কিছুক্ষণের জন্যে চলে যাওয়া, কথা আটকে যাওয়া কিংবা আচমকা পড়ে যাওয়ার মত অনেক ছোটখাট ঘটনাও ব্রেন স্ট্রোকের উপসর্গ হতে পারে।

স্ট্রোক সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন ১৭টি ভাষায় একটি বিশেষ অ্যাপ চালু করেছে। স্মার্ট ফোনে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিলে স্ট্রোকের ঝুঁকি সম্পর্কে জেনে নিয়ে প্রতিরোধ করা সহজ হবে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্বের যে কোনও অঞ্চলের মানুষ স্মার্ট ফোনের অ্যাপ স্টোর থেকে স্ট্রোক রিস্কোমিটার অ্যাপটি লোড করে নিলে জেনে নিতে পারবেন ব্যবহারকারীর ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি কতটা।

অ্যাপ ব্যবহারকারী আগামী ৫ বছরে ও ১০ বছরে নিজের বা বাড়ির অন্যদের স্ট্রোকের ঝুঁকি সম্পর্কে একটা ধারণা পাবেন। শুধু স্ট্রোকই নয় এই অ্যাপের মাধ্যমে ডায়াবেটিস, ডিমেনশিয়া ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সম্পর্কেও জানা যাবে। 

স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারীদের এই অ্যাপটি ব্যবহারের উপর জোর দিতে অনুরোধ করছে ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন এবং স্ট্রোকের চিকিৎসকরা। 

১৭টি ভাষায় বানানো এই অ্যাপটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মোবাইলে আপলোড করে নেয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের গবেষণাভিত্তিক মোট ২০টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নিজের বা নিকটজনের স্ট্রোকের ঝুঁকি সম্পর্কে জানিয়ে দেবে এই অ্যাপ। 

২০ বছর থেকে ৯০ বছর বয়সের যেকোনো মানুষই এই অ্যাপ ব্যবহার করে নিজের ও নিকটজনের স্ট্রোকের ঝুঁকি সম্পর্কে জেনে নিয়ে সতর্ক হতে পারবেন। 

ইতোমধ্যে বিশ্বের প্রায় ১৬০টি দেশের অজস্র মানুষ এই অ্যাপ ব্যবহার করে অনেকাংশে স্ট্রোকের মারাত্মক দিক সম্পর্কে সচেতন হয়েছেন।

চিপ সংকটে বিশ্ব, হুমকিতে স্মার্টফোন-ল্যাপটপ উৎপাদন

চিপ সংকটে বিশ্ব, হুমকিতে স্মার্টফোন-ল্যাপটপ উৎপাদন

চিপ সংকটে বিশ্ব, হুমকিতে স্মার্টফোন-ল্যাপটপ উৎপাদন
করোনাভাইরাসের হানায় লণ্ডভণ্ড বিশ্ব। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে বিশ্ব অর্থনীতি কভিড-১৯ মহামারীর ধাক্কা সামলে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের চাহিদাও বাড়তে শুরু করেছে। অথচ এমন এক সময় স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ছাড়াও আধুনিক গাড়ির অত্যাবশ্যকীয় চিপের সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে, যা ডিভাইসগুলোর উৎপাদন হুমকির মুখে ফেলেছে। খবর রয়টার্স।

বিশ্বজুড়ে চিপ সংকট দেখা দেয়ার একাধিক কারণ রয়েছে বলা হচ্ছে। প্রযুক্তি খাতসংশ্লিষ্ট নির্বাহী এবং বিশ্লেষকদের ভাষ্যে, চীনভিত্তিক হুয়াওয়ের ওপর মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং কালো তালিকাভুক্তি চিপ সংকট দেখা দেয়ার অন্যতম কারণ। বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার প্রভাব এবং কতদিন স্থায়ী হবে তা বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন উৎস থেকে বিপুলসংখ্যক চিপ মজুদ করেছে হুয়াওয়ে। 

এছাড়া চিপ সংকট দেখা দেয়ার পেছনে জাপানের একটি বৃহৎ চিপ উৎপাদন কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ঘোষিত লকডাউনের প্রভাব এবং ফ্রান্সে টানা ধর্মঘট পরিস্থিতির অবনতি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

প্রতিবেদনে সবচেয়ে বড় ও মৌলিক কারণ হিসেবে ৮ ইঞ্চি সাইজের অধিকাংশ চিপ উৎপাদক কারখানার মালিক এশীয় হওয়াকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কারখানা মালিকের সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিনিয়োগের ঘাটতি রয়েছে। বিশ্বজুড়ে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ফাইভজি সমর্থিত ফোন, ল্যাপটপ ও ট্যাবলেটের পাশাপাশি গাড়ি উৎপাদনে চিপের চাহিদা প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুতগতিতে বেড়েছে। বিনিয়োগ ঘাটতি থাকায় তারা এ ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না।

সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে হুয়াওয়ের স্মার্ট পিভি টেকনোলোজি

সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে হুয়াওয়ের স্মার্ট পিভি টেকনোলোজি


সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে হুয়াওয়ের স্মার্ট পিভি টেকনোলোজি
ময়মনসিংহে দেশের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রে হুয়াওয়ে স্মার্ট ফটোভোলটাইক (পিভি) সমাধান ইনস্টল করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সম্প্রতি জাতীয় গ্রিডের সাথে যুক্ত হয়েছে এ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র।

২০২১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে দেশের সর্বমোট বিদ্যুতের ১০ শতাংশ উৎপাদনে সরকারের লক্ষ্য অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে ৭৩ মেগাওয়াট পিভি সক্ষমতার এ সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট।

একটি ফটোভোলটাইক সিস্টেম, পিভি সিস্টেম বা সৌর শক্তি ব্যবস্থা, এমন একটি বিদ্যুৎ ব্যবস্থা যা ব্যবহারযোগ্য সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহে কাজ করে।

সৌর প্যানেল, সোলার ইনভার্টার, মাউন্টিং, ক্যাবলিং এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ সম্বলিত এই ফটোভোলটাইক সিস্টেম সব কিছুর মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে ওয়ার্কিং সিস্টেম নিশ্চিত করে।

দক্ষিণ এশিয়াতে আদ্র ও উষ্ণ জলবায়ু দেশ বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৫’শ ঘণ্টার বেশি সূর্যালোক থাকে। আর এটা বিবেচনায় রেখে এ প্রকল্পের সর্বোচ্চ সক্ষমতায় আইপি৬৬ উচ্চস্তরের সুরক্ষা এবং অ্যান্টি-পিআইডি প্রযুক্তিসহ হুয়াওয়ে এসইউএন২০০০-১৮৫কেটিএল স্মার্ট পিভি স্ট্রিং ইনভার্টার ব্যবহার করা হয়েছে।

এ প্রকল্পটি ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ব্রক্ষ্মপুত্র নদীতীরে অবস্থিত। ১৭৩কে সোলার প্যানেল এবং ৩৩২ ইনভার্টারের মাধ্যমে এ প্রকল্প জাতীয় গ্রিডে বিশেষ অবদান রাখবে।

এ নিয়ে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ইয়াং গুয়োবিং বলেন, ‘বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে ডিজিটালকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাজার আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৭৩ মেগাওয়াটের এ প্রকল্পে আমাদের অংশীদারদের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ভবিষ্যতেও আমাদের উদ্ভাবন ও দক্ষতার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের জ্বালানিখাতের ডিজিটালকরণ ও রূপান্তরে অবদান রাখতে চাই।’

বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য শক্তিখাতের দ্রুত উন্নতি সাধন হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে সরকারের ৩১৬৮ মেগাওয়াট ইনস্টলেশন সক্ষমতার লক্ষ্য রয়েছে। এ মেগা প্রকল্প সে লক্ষ্য অর্জনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তিতে ৩০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতাসহ হুয়াওয়ে উদ্ভাবন এবং নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের মাধ্যমে প্রতিটি ব্যক্তি, বাসা ও সংস্থার ক্ষমতায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

চাঁদের মাটিতে কি জন্মাতে পারে শাক-সবজি, গবেষণা চালাচ্ছে চীন

চাঁদের মাটিতে কি জন্মাতে পারে শাক-সবজি, গবেষণা চালাচ্ছে চীন


চাঁদের মাটিতে কি জন্মাতে পারে শাক-সবজি, গবেষণা চালাচ্ছে চীনবেশ কিছুদিন ধরে চাঁদের জমিতে চাষ করার ইচ্ছা নিয়ে কাজ করে চলেছে চীন। চীনা মহাকাশযান চেঙ্গি-৫ গত সপ্তাহের শেষে সফলভাবে চাঁদ থেকে প্রায় ১৭৩১ গ্রাম মাটি এবং শিলা নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে। বিজ্ঞানীরা এখন চাঁদ থেকে আনা এই নমুনাগুলো বিশ্লেষণ ও গবেষণা করে বুঝতে চাইছেন কীভাবে এই মাটি ব্যবহার করা যায়। খবর গ্লোবাল টাইমসের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা দেখেছেন চাঁদের মাটিতে কোনও জৈব পুষ্টি নেই। এটা খুব শুকনো। এই মাটি শাক সবজি জন্মানোর পক্ষে বা আলু চাষের পক্ষে ভালো নয়। চাঁদের মাটি শাক সবজি জন্মানোর মতো না। তবে এটি অন্যান্য জিনিসের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

চীনা চ্যানেল সিসিটিভি’র পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দীর্ঘমেয়াদী সৌর বায়ু চাঁদের মাটিতে প্রচুর পরিমাণে হিলিয়াম-৩ প্রবেশ করিয়েছে। যা থার্মোনক্লিয়ার সংশ্লেষণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে।

এটা এমন নয় যে, চীন প্রথম চাঁদে এমন চাষ করার চেষ্টা করছে। ২০১৩ সালের পর তৃতীয়বারের মতো চীন চাঁদে পৌঁছেছে। এর আগে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে একটি চীনা মহাকাশযান চ্যাং-ই ৪ একটি ছোট রোবোটিক রোভারের মাধ্যমে চাঁদের অনেক গভীরে পৌঁছে গিয়েছিল, যা ইতিহাস সৃষ্টি করে।

আমেরিকা ৪০ বছর আগে চাঁদের নমুনা সংগ্রহ করতে মহাকাশযান পাঠিয়েছিল। তারপর এটা চীনের প্রথম প্রচেষ্টা। এখন দেখার চীনা বিজ্ঞানীরা আদৌ কি চাঁদের মাটিতে কোনওভাবে শাক সবজি ফলাতে পারেন, নাকি ব্যর্থ হবে চীনের এই স্বপ্ন।

FSS blog

FSS TSTL Photo Gallery

FSS TSTL Photo Gallery
Pictures

I like it

  • Bangla Song
  • Love
  • Move

what is love?

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

লেবেল

লেবেল

ভূমি (1) sex (6)

Wikipedia

সার্চ ফলাফল