Translate

শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

অল্পের জন্য রক্ষা পেল পৃথিবী

অল্পের জন্য রক্ষা পেল পৃথিবী


অল্পের জন্য রক্ষা পেল পৃথিবী!

তীব্র গতিতে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছিল একটি বিশাল আকারের গ্রহাণু। গত শনিবার ভোরে সেটি পৃথিবীর পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। রক্ষা পায় পৃথিবী। এমনটাই জানিয়েছে নাসা।
এ ব্যাপারে নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পৃথিবী থেকে ৫.৭৭ মিলিয়ন কিলোমিটার দূর থেকে চলে গিয়েছে ওই গ্রহাণুটি ফলে বিপদ হয়নি।
এদিকে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গ্রহাণু আকারে যে কোনও ইমারতের থেকে বিশাল বড়। এই ‘ক্ষতিকারক’ গ্রহাণু পৃথিবীর স্থলভাগে আঘাত হানলে পুরো একটা মহাদেশ ধ্বংস হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। এটি চওড়ায় ছিল ১ কিলোমিটার। ঘণ্টায় গতিবেগ ছিল ৫৪,৭১৭ কিলোমিটার।

অ্যান্ড্রয়েডে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ পেমেন্ট

অ্যান্ড্রয়েডে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ পেমেন্ট

অ্যান্ড্রয়েডে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ পেমেন্ট
প্রতীকী ছবি

বর্তমানে বেশীরভাগ মানুষই ডিজিটাল পেমেন্টের উপরে নির্ভরশীল। আর তাই এই বছর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে আসতে চলেছে এক নতুন পেমেন্ট সিস্টেম। কিন্তু এই নতুন ফিচার যোগ করতে হলে একটু সাবধান হতেই হবে।
যেভাবে সেট করবেন এই নতুন ফিচার
প্রথমে হোম স্ক্রিনে হোয়াটসঅ্যাপ খুলতে হবে। সেখান থেকে স্ক্রিনের উপরে ডানদিকের তিনটে ডটে ক্লিক করতে হবে। সেখান থেকে পেমেন্ট অপশনে ক্লিক করতে হবে।
অ্যাড পেমেন্ট অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপরে সেখান থেকে অ্যাকসেপ্ট অ্যান্ড কন্টিনিউ অপশনে ক্লিক করতে হবে। তার পরেই এই ফিচার চালু হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে নিজের ব্যাংক সিলেক্ট করলে করা যাবে লেনদেন।
এছাড়াও নিজেদের ফোন নম্বর দিতে হবে। তবে যে নম্বরটি হোয়াটসঅ্যাপে রয়েছে মনে করে সেই নম্বরটি দিতে হবে। সেটি যাচাই করার পরে তবে খোলা যাবে এই অ্যাকাউন্ট। পাশাপাশি চ্যাট ও করা যাবে।

যে কারণে অ্যাপলকে ২ কোটি ৭০ লাখ ডলার জরিমানা

যে কারণে অ্যাপলকে ২ কোটি ৭০ লাখ ডলার জরিমানা

যে কারণে অ্যাপলকে ২ কোটি ৭০ লাখ ডলার জরিমানা

প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলকে ২৫ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় দুই কোটি ৭০ লাখ ডলার) জরিমানা করা হয়েছে। ব্যবহারকারীদের না জানিয়ে ইচ্ছে করে আইফোনের পুরোনো মডেলে গতি কমিয়ে দেওয়ার কারণে এই জরিমানা করা হয়।
ফ্রান্সের প্রতিযোগিতা ও প্রতারণা বিষয়ক তদারকি সংস্থা ডিজিসিসিআরএফ এই জরিমানা আরোপ করে। তবে জরিমানাটা কবে কখন করা হয়েছে, তা নিশ্চিত করে পাওয়া যায়নি।
অ্যাপলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যবহারকারীদের আগে থেকে সতর্ক না করেই আইফোনের পুরোনো মডেলে গতি কমিয়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে ২০১৭ সালে অ্যাপল জানিয়েছিল, কিছু আইফোনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ডিভাইস আরও বেশি দিন যাতে কার্যকর থাকে, সে জন্যই এ কাজ করা হয়েছে বলেছিল মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।
ডিজিসিসিআরএফ বলছে, আইফোনের ব্যবহারকারীরা জানতেন না অপারেটিং সিস্টেম আইওএস আপডেট নেওয়ার কারণে তাদের ডিভাইসের গতি কমে যাবে। চুক্তি অনুযায়ী অ্যাপলের উচিত ছিল এ সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া। কিন্তু তা করেনি।
এদিকে, এই অভিযোগ বরাবরের মতো অস্বীকার করলেও জরিমানা পরিশোধ করতে সম্মত হয়েছে অ্যাপল।
আইফোনের পুরোনো ব্যবহারকারীদের অভিযোগ ছিল, নতুন মডেলের আইফোন বাজারে আনার পর ইচ্ছে করেই পুরোনো মডেলের ফোনগুলোর গতি কমিয়ে দিয়েছে অ্যাপল। মূলত নতুন মডেলের ফোনের বিক্রি বাড়ানোর জন্যই এটা করা হয়েছে।
তবে অ্যাপলের দাবি, নতুন মডেলের ফোনের বিক্রি বাড়াতে নয়, বেশি দিন টিকিয়ে রাখার জন্যই পুরোনো কিছু মডেলের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

যেসব স্মার্টফোনে যুক্ত হচ্ছে ই-সিম

যেসব স্মার্টফোনে যুক্ত হচ্ছে ই-সিম


যেসব স্মার্টফোনে যুক্ত হচ্ছে ই-সিম

আপনার ফোনে সিম কার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এ সিম কার্ড আপনার ফোনকে সেলুলার নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করে, এতে ফোন নাম্বার ব্যবহার করে আপনি কল করতে পারেন, বার্তা পাঠাতে পারেন। ই-সিমও একই কাজ করে। তবে প্লাস্টিক চিপের পরিবর্তে যেটি আপনি চাইলেই ফোন থেকে বের করতে পারেন, তেমনটা নয় ই-সিম। এটি ফোনের ভেতরকারই একটি অংশ যা আপনি ফোন থেকে খুলে ফেলতে পারবেন না।
বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের স্মার্টফোনে যুক্ত করা হচ্ছে ই-সিম। এ তালিকায় রয়েছে আইফোন এক্সএস, এক্সএস ম্যাক্স, এক্সআর, ১১, ১১ প্রো এবং ১১ প্রো ম্যাক্স। আইফোনের বাইরে গুগল পিক্সেল ২, ৩, ৩এ, ৪ মডেলেও যুক্ত করা হয়েছে এটি। এ ছাড়া স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোল্ড মডেল, মটোরোলা রেজর, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২০, এস২০ প্লাস মডেলে থাকছে ই-সিম।
আধুনিক স্মার্টফোন গবেষকেরা জানিয়েছেন, ই-সিম মূলত ‘এমবেডেড সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল’। এটি ছোট একটি ইলেকট্রনিক চিপ, যার সাহায্যে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা নতুন কোনও সিম ছাড়াই প্রাথমিক নেটওয়ার্ক খুঁজে পাবেন। এই সিমে আলাদা কোনও সিম ট্রে থাকছে না। এটি বিল্ট-ইন অবস্থায় স্মার্টফোনেই থাকছে।
নতুন ই-সিম যুক্ত করে গ্রাহক যখন নতুন স্মার্টফোন চালু করবেন, তখনই তিনি কোন নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করবেন তা জানতে চাওয়া হয়। তখন ব্যবহারকারী যদি কোনো সিম ব্যবহারের কথা না জানাতে পারেন, তবে ই-সিম নির্বাচন করেই স্মার্টফোনটি সক্রিয় করা যাবে।

আপত্তিকর ছবি ডিলিট করতে টুইটারে নতুন ফিল্টার

আপত্তিকর ছবি ডিলিট করতে টুইটারে নতুন ফিল্টার


আপত্তিকর ছবি ডিলিট করতে টুইটারে নতুন ফিল্টার
প্রতীকী ছবি

অযাচিত আপত্তিকর ছবি ডিলিট করতে নতুন একটি ফিল্টার নিয়ে এসেছে টুইটারে। সেফ ডিএম (Safe DM) নামের ফিল্টারটি আপত্তিকর ছবি পাঠানো বন্ধের পাশাপাশি ডিলিট করতে পারবে।
ডেভেলপার কেলসি ব্রেসার অপরিচিত এক পুরুষের কাছ থেকে আপত্তিকর ছবি পাওয়ার পর নতুন এই ফিল্টারের কথা ভাবেন।
মিস ব্রেসার বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ইচ্ছা করলে তার ব্যবহারকারীদের সাইবারফিশিং থেকে আরও রক্ষা করতে পারে।
নতুন এই ফিল্টারটি অন্য যোগাযোগমাধ্যমে এখনই ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন ব্রেসার, ‘অন্য সাইটে এটি ব্যবহার করার বিষয়ে আমরা আলোচনার পর্যায়ে আছি।’
সেফ ডিএম টিমের দাবি, ফিল্টারটি তৈরি করার পর সাধারণ মানুষের থেকে তারা ৪ হাজার আপত্তিকর ছবি পেয়েছেন। প্রায় সবগুলোই ডিলিট হয়ে গেছে।
 সফটওয়্যারটি আপত্তিকর ছবি শনাক্ত করে উভয় ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে ছবি ডিলিট করবে।
ফিল্টারটি তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি বা এআই ব্যবহার করে।

১৬ শতাংশ ফেসবুক আইডি ভুয়া

১৬ শতাংশ ফেসবুক আইডি ভুয়া

১৬ শতাংশ ফেসবুক আইডি ভুয়া

বিশ্বের সর্ব বৃহৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যত আইডি আছে ব্যবহারকারীদের তার ১৬ শতাংশ আইডিই ভুয়া অথবা নকল।
সম্প্রতি জার্মানির পরিসংখ্যান ও বিশ্লেষণী সাময়িকী স্ট্যাটিসটা প্রকাশ করেছে এমনই তথ্য।
ফেসবুক সূত্রের বরাতে স্ট্যাটিসটা জানায়, এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পৃথিবীতে সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২৪০ কোটি। তবে ফেসবুক এ আইডির সংখ্যা ব্যবহারকারীর সংখ্যার থেকেও বেশি।
ফেসবুক নিজেই জানায়, তাদের সাইটে যতো আইডি আছে, গ্রাহকদের তার ১৬ শতাংশই ভুয়া অথবা নকল। এখানে নকল বলতে একই ব্যক্তির একাধিক আইডিকে বোঝানো হচ্ছে বলে ফেসবুকের বরাতে জানায় স্ট্যাটিসটা।
স্ট্যাটিসটার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৫ সালে সক্রিয় ব্যবহারকারীর তুলনায় এতে নকল আইডির অনুপাত ছিল প্রায় ৫ শতাংশ। এরপর ২০১৮ পর্যন্ত সেটি বাড়তেই থাকে। ’১৬ সালে এসে সেটি হয় ৬ শতাংশ, ’১৭ সালে ১০ শতাংশ এবং ’১৮ সালে তা এসে ১১ শতাংশে। ২০১৯ সালে নকল আইডির সংখ্যা না বাড়লেও, কমেনি অবশ্য।
অন্যদিকে ২০১৫ সালে ভুয়া আইডির অনুপাত ছিল দুই শতাংশের কিছু কম। ’১৬ সালে ছিল প্রায় এক শতাংশ। ’১৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ থেকে ৪ শতাংশে। তবে ’১৮ সালে ভুয়া আইডির অনুপাত আরও একটু বেড়ে হয় ৫ শতাংশ। অবশ্য সেটিও অপরিবর্তিত আছে ২০১৯ অবধি।

গলায় মাছের কাটা বিঁধলে যা করবেন

গলায় মাছের কাটা বিঁধলে যা করবেন


গলায় মাছের কাটা বিঁধলে যা করবেন

মাছ একটি সুস্বাদু খাবার। অধিকাংশ মানুষই মাছ খেতে ভালবাসে। কিন্তু কিছু কিছু মাছ যেগুলোতে কাটার পরিমাণ একটু বেশি। অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে খেতে গিয়ে গলায় বিঁধে যায় কারও কারও। কখনো গলায় মাছের কাটা বিঁধলে ৫টি ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করুন, সহজেই সমাধান হয়ে যাবে আপনার সমস্যা।
১) গলায় কাঁটা বিঁধলে উষ্ণ পানিতে সামান্য পাতিলেবুর রস মিশিয়ে ওই মিশ্রণ খান। পাতিলেবুর রসের অ্যাসিডিক ক্ষমতা কাঁটাকে নরম করে দেবে। ফলে গলায় বিঁধে থাকা কাঁটা সহজেই নরম হয়ে নেমে যাবে গলা থেকে।
২) লবণ কাঁটা নরম করতে অত্যন্ত কার্যকর। তবে শুধু লবণ না খেয়ে এক কাপ উষ্ণ পানিতে সামান্য লবণ মেশিয়ে নিন। এই উষ্ণ লবণ-পানি খেলে গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটা সহজেই গলা থেকে নেমে যাবে।
৩) গলায় কাঁটা বিঁধলে দেরি না করে সামান্য অলিভ অয়েল খেয়ে নিন। অলিভ অয়েল অন্য তেলের তুলনায় একটু বেশিই পিচ্ছিল। ফলে অলিভ অয়েল খেলে গলায় বিঁধে থাকা কাঁটা পিছলে সহজেই নেমে যাবে।
৪) গলায় কাঁটা বিঁধলে এক কাপ পানির সঙ্গে ২ চামচ ভিনিগার মিশিয়ে খেয়ে নিন। ভিনেগার গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটাকে নরম করতে সক্ষম। তাই পানির সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে খেলে গলায় বিঁধে থাকা কাঁটা সহজেই নরম হয়ে নেমে যাবে।
৫) গলায় কাঁটা বিঁধলে খানিকটা ভাত বা পাউরুটি চটকে ছোট ছোট মণ্ড করে নিন। এবার একবারে গিলে ফেলুন। ভাত বা পাউরুটির মণ্ডের ধাক্কায় গলায় বিঁধে থাকা কাঁটা সহজেই নেমে যাবে।

শরীরের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে পারে বাদাম

শরীরের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে পারে বাদাম


শরীরের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে পারে বাদাম
ফাইল ছবি

বয়স বাড়ছে মানেই হাড়ে ক্ষয়। বয়স বাড়লে হাড়ের ক্ষয় যেন স্বাভাবিক ব্যাপার। বয়স চল্লিশ বছর পার হলেই শরীরে দেখা দেয় ক্যালসিয়ামের অভাব। আর ক্যালসিয়ামের অভাব মানেই হাড়ে গন্ডগোল। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি। হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে। অস্টিওপরোসিসের সমস্যা দেখা দেয়।
আমাদের শরীরে যে হাড় তৈরি হয় তার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি হয় ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত। ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হাড়ের যেমন ক্ষয় হয়, তেমনই রিপ্লেসমেন্টও হয়। এ দু'টোর ভারসাম্য থাকে। ৪০ বছরের পর থেকে হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে তা একটু আগেই হয়। অস্টিওক্লাস্ট নামে একটি কোষ হাড়ের ক্ষয় করে। নারীদের ক্ষেত্রে ইসট্রোজেন হরমোন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অস্টিওক্লাস্টিং বেড়ে যায়। এতে হাড় ক্ষয় হতে পারে। আর পুরুষদের ক্ষেত্রে হয় সেনাইল অস্টিওপরোসিস।
তাই ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে রাখার জন্য কিছু পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। দুপুরে কিংবা রাতের খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ থাকুক বা না থাকুক, খাবারে কয়েকটা বাদাম রাখতেই হবে। চিকিৎসকরা প্রায়ই দিনে অন্তত তিন-চারটি বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে আখরোট, কাজু থেকে হাড় মজবুত রাখতে ভাল সব ধরনের বাদামই। কোনও বাদামে কার্বোহাইড্রেট বেশি, কোথাও প্রোটিন। হাড় সুস্থ রাখতে কমবেশি সব বাদামই উপকারী।

হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ

হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ


হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ
প্রতীকী ছবি

যখন হৃদপিণ্ডের কোনও শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহে বাঁধার সৃষ্টি করে তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। বয়স, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, উচ্চ কোলেস্টোরলের সমস্যা, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, মানসিক চাপ- এসবই মূলত হার্ট অ্যাটাকের কারণ। অনেক সময় হার্ট অ্যাটাক হলেও সঠিকভাবে বোঝা সম্ভব হয় না। সমস্যা হল কখনও কখনও বুকে কোনও ধরণের ব্যথা ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, ফলে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কিনা তা খুব ভাল করে বোঝা যায় না। তাই জেনে নেওয়া যাক হার্ট অ্যাটাকের অন্যান্য লক্ষণগুলি সম্পর্কে-
১) হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের প্রায় একমাস আগে থেকেই দুর্বলতা এবং ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা শুরু হয়ে যায়। কোনও কারণ ছাড়াই শারীরিক দুর্বলতা এবং খুব সহজেই হাঁপিয়ে উঠে ঘন ঘন শ্বাস নেওয়ার সমস্যা শুরুর বিষয়ে সতর্ক থাকুন। এই রকম শারীরিক দুর্বলতা এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হলে বুঝতে হবে হৃদপিণ্ডের বিশ্রামের প্রয়োজন।
২) হটাৎ করে অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার সমস্যা শুরু হলে অবহেলা করবেন না। কারণ এটিও হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ। যখন হার্ট ব্লক হয় তখন রক্ত সঞ্চালনে হৃদপিণ্ডের অনেক বেশি কাজ করতে হয়। এই অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে ঘামের সৃষ্টি হয় এবং এই ঘাম সাধারণত অনেক ঠাণ্ডা হয়ে থাকে। এই ধরনের সমস্যাকে অবহেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
৩) একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, হার্ট অ্যাটাকের আগে থেকে বেশিরভাগ আক্রান্তরই বদহজমের সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও বুক জ্বালা যা আমরা অনেকে স্বাভাবিক বদহজমের সমস্যা ভেবে অবহেলা করি, তাও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত। এর পাশাপাশি কোনও কারণ ছাড়াই মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব এবং বমি করার বিষয়গুলি অবহেলা করবেন না।
৪) অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের সময় বুকে ব্যথা অনুভূত হয় না। এ ক্ষেত্রে বুকে অস্বস্তিকর অনুভূতি এবং বুকে চাপ ধরা ভারি ভাব অনুভব করার বিষয়টিতে নজর দিতে হবে। এই সময় শ্বাস নিতেও সমস্যা হতে পারে। এসব বিষয় নজরে পড়লে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
৫) শুধু বুকে ব্যথাই নয়, শরীরের অন্যান্য বিশেষ কিছু অঙ্গে ব্যথা অনুভব হওয়াও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। পেটের উপরের অংশ, কাঁধ, পিঠ, গলা, দাঁত ও চোয়াল এবং বাম বাহুতে হুট করে অতিরিক্ত ব্যথা হওয়া বা চাপ অনুভব অথবা আড়ষ্টতা অনুভব করাও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। তাই এই বিষয়গুলিকে মোটেই অবহেলা করবেন না।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী করবেন

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী করবেন

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী করবেন
প্রতীকী ছবি

যে কোনো ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া শরীরকে তখনই কাবু করতে পারে যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। জেনে নেওয়া যাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে কী করা যেতে পারে।
রঙিন ফলমূল ও শাক-সবজি : শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজন নানা উপাদান। শাক-সবজি, রঙিন ফলমূলে তার অনেকটাই পাওয়া যায়। প্রতিদিনের খাবারে তাই এসব রাখার চেষ্টা করুন।
প্রয়োজনীয় টিকা দিন : আপনার সব প্রয়োজনীয় টিকা দেওয়া থাকতে হবে। প্রাপ্তবয়স্করা ভ্যাকসিন রিফ্রেশ করতে ভুলবেন না! বিশেষ করে ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, পোলিও, হেপাটাইটিস, মেনিনজাইটিস, হাম, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং এমন অন্যান্য রোগের টিকা নিন।
ভাইরাস পালিয়ে যাবে : বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরের পেশিগুলো নিয়মিত, অর্থাৎ সপ্তাহে তিন দিন জগিং, নর্ডিক ওয়াকিং বা হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়াম করে ঠিক রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। প্রয়োজন যথেষ্ট ঘুম : ঘুম শরীরকে শুধু বিশ্রামই দেয় না, গভীর ঘুমের মধ্যে শরীরে নিউরোট্রান্সমিটার ছড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও সচল রাখে। চাই জীবনে ‘আনন্দ’ : সমীক্ষায় জানা যায়, শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য ভালো মন-মেজাজ এবং জীবনে আনন্দের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমরা নিজেরাও দেখে থাকি যে, তুলনামূলকভাবে হাসি-খুশি মানুষের অসুখ-বিসুখ কম হয়ে থাকে।
মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন : বর্তমান বিশ্বে ‘স্ট্রেস’ বা মানসিক চাপ বহুল উচ্চারিত একটি শব্দ। তবে নেতিবাচক চাপ শরীরে কর্টিসোলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই এ চাপ কমাতে শরীরের ব্যাটারিকে রিচার্জ করুন, অর্থাৎ নিয়মিত যোগব্যায়াম, মেডিটেশন বা এমন কিছু করুন।
হাঁটুন : তাজা বাতাস এবং হাঁটা দুটোই শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। মুক্ত বাতাসে হাঁটার সময় শরীরে রক্ত সঞ্চালনও ঠিকভাবে হয়।

ফেসবুকে বিপজ্জনক কন্টেন্ট বন্ধে রাষ্ট্রকেই কঠোর আইন করতে হবে

ফেসবুকে বিপজ্জনক কন্টেন্ট বন্ধে রাষ্ট্রকেই কঠোর আইন করতে হবে


‘ফেসবুকে বিপজ্জনক কন্টেন্ট বন্ধে রাষ্ট্রকেই কঠোর আইন করতে হবে’
মার্ক জাকারবার্গ

ফেসবুকে বিপজ্জনক অনলাইন কন্টেন্ট বন্ধের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আরও কঠোর আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মার্ক জাকারবার্গ।
তিনি বলেছেন, কোনও বক্তব্য 'আইনসম্মত ও বৈধ' কিনা সেটি বিচার করা ফেসবুকের মত কোনও প্রতিষ্ঠানের কাজ হতে পারে না।
তবে একই সঙ্গে সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত কড়াকড়ি করা হলে সেটি মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করবে, বলে উল্লেখ করে এ বিষয়ে জাকারবার্গ চীনের উদাহরণ দেন।
জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা বিষয়ক এক সম্মেলনে এ কথা বলেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইনে মিথ্যা খবর ও গুজব ছড়ানো বন্ধের জন্য ফেসবুকের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে।
বিশেষ করে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বিষয়ে ফেসবুকের নীতির কারণে সংস্থাটি ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছে।
ফেসবুক ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এবং পরের বছর সারা বিশ্বের জন্য রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বিষয়ে নতুন নীতিমালা চালু করে।
নীতিমালার মধ্যে অন্যতম ছিল, নির্দিষ্ট ওই প্রচারণার জন্য অর্থ প্রদানকারীর নাম-পরিচয় বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করতে হয়, এবং ওই অ্যাডের একটি কপি পাবলিকলি সার্চ করা যায় এমন ডাটাবেসে পরবর্তী সাত বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হয়।
কিন্তু এ সপ্তাহে ফেসবুক ঘোষণা দিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার তারকাদের স্পন্সর করা রাজনৈতিক পোষ্ট সংস্থাটির ডাটাবেসে আর সংরক্ষণ করা হবে না।
তাছাড়া কোম্পানির নীতি অনুযায়ী রাজনীতিবিদদের পোষ্টগুলোর সত্যমিথ্যাও সবসময় যাচাই করা হয়না।
যে কারণে ওই সম্মেলনে জাকারবার্গ আইন কঠোর করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পেয়ারা

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পেয়ারা


রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পেয়ারা

দেশী ফলগুলোর মধ্যে পেয়ারা বেশ পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি ফল। সাধারণ এবং সহজলভ্য এই ফলটির পুষ্টিগুণ অনেক। শুধু ফল নয়, পেয়ারা পাতায়ও রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। 
পেয়ারার পুষ্টিগুণ:
পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ। একটি পেয়ারাতে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে একটি মাঝারি আকৃতির কমলা থেকে। ১০ গুণ বেশি ভিটামিন এ রয়েছে লেবুর তুলনায়। এছাড়া ভিটামিন বি২, ই, কে, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, কপার, আয়রন, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম রয়েছে।
উপকারিতা:
১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে বিভিন্ন রোগের সাথে যুদ্ধ করার শক্তি প্রদান করে।
২। ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস
পেয়ারাতে লাইকোপিন, ভিটামিন সি, কোয়ারসেটিন এর মত অনেকগুলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা শরীরের ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধ করে। এটি প্রোসটেট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৩। হার্ট সুস্থ রাখতে
১৯৯৩ সালে “Journal of Human Hypertension” এ প্রকাশিত হয় যে নিয়মিত পেয়ারা খেলে রক্ত চাপ ও রক্তের লিপিড কমে। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, ভিটামিন সি রয়েছে। পটাশিয়াম নিয়মিত হৃদস্পন্দনের এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত ভাবে লাইকোপিন সমৃদ্ধ গোলাপি পেয়ারা খেলে কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমায়।
৪। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
চাইনিজ চিকিৎসা শাস্ত্ররে অনেক বছর ধরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেয়ারা ব্যবহার হয়ে আসছে। ১৯৮৩ সালে American Journal of Chinese Medicine প্রকাশ করেন যে, পেয়ারার রসে থাকা উপাদান ডায়াবেটিস মেলাইটাসের চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে পেয়ারা পাতাও বেশ কার্যকর। কচি পেয়ারা পাতা শুকিয়ে মিহি গুঁড়ো করে ১ কাপ গরম পানিতে ১ চা চামচ দিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রেখে তারপর ছেঁকে নিয়ে পান করতে পারেন প্রতিদিন।
৫। ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে
বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত সমস্যা যেমন ব্রংকাইটিস সারিয়ে তুলতে ভূমিকা রাখে পেয়ারা। উচ্চ পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন সি থাকায় এটি শ্লেষ্মা কমিয়ে দেয়। তবে কাঁচা পেয়ারা ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে কার্যকর।
৬। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
পেয়ারা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৭। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে
ভিটামিন এ চোখের জন্য উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন এ কর্নিয়াকে সুস্থ রাখে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেয়ারা রাখুন। কাঁচা পেয়ারা ভিটামিন এ এর ভাল উৎস।

ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয়

ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয়


ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয়

ক্যান্সার রাতারাতি হয় না। দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারার ফলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে। তবে আপনি চাইলেই এখন এ ঝুঁকি কমাতে পারেন। শুধু আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে কিছু খাবার। 
ক্যান্সার প্রতিরোধক খাবার সম্পর্কে জেনে নিন;
চিনিযুক্ত পানীয় বাদ দিন : চিনিযুক্ত পানীয় স্থূলতা এবং ডায়াবেটিস হওয়ার মূল কারণ। জনস্বাস্থ্য মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল থেকে গবেষণা করে দেখা গেছে, চিনিযুক্ত পানীয় পানে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে প্রায় ৮৭ শতাংশ পর্যন্ত। তাই চিনিযুক্ত পানীয় যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
রসুন  : এই তীব্র কটু ঔষধি অ্যালাইল সালফার যৌগ যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে ইমিউন সিস্টেম তৈরি করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে রসুন কোলন ক্যান্সারের কম ঝুঁকি ৫০ শতাংশ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া রসুন হার্টের জন্যও খুবই উপকারী।
নিয়মিত বাদাম খান : বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি। যারা প্রতিনিয়ত বাদাম খান তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি এমনিতেই কমে যায়। কারণ বাদাম শ্বসনতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে ক্যান্সারের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। যেহেতু বিভিন্ন কারণে ক্যান্সার হতে পারে,তাই বাদাম শুধু সামান্য কিছু কারণের ঝুঁকি কমাতে পারে। 
অ্যালকোহল পরিহার করুন : অতিরিক্ত অ্যালকোহল মুখ, গলা, খাদ্যনালী, এবং স্বরযন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।তাই অ্যালকোহল পুরোপুরি পরিহার করতে হবে। 
বসে থাকার অভ্যাস কমাতে হবে : একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে যারা দিনের বেশির ভাগ সময় বসে কাটায় তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে ২৪ শতাংশ বেশি। তাই একটানা বসে না থেকে এক ঘন্টায় অন্তত কয়েক মিনিটের জন্য হলেও চারপাশে পায়চারি করাতে হবে।

শিশুর শ্বাসনালিতে কিছু আটকে গেলে তাৎক্ষণিক যা করবেন

শিশুর শ্বাসনালিতে কিছু আটকে গেলে তাৎক্ষণিক যা করবেন


শিশুর শ্বাসনালিতে কিছু আটকে গেলে তাৎক্ষণিক যা করবেন

ছোট শিশুদের সবকিছু মুখে দেওয়ার অভ্যাস। একটু অসাবধান হলেই মুখে দেওয়া এই বস্তু শ্বাসনালিতে আটকে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। এ ধরনের দুর্ঘটনা যত দ্রুত শনাক্ত করা যায় ততই মঙ্গল। 
হঠাৎ যদি কোনও বাচ্চার কাশি শুরু হয় বা বিষম খেতে শুরু করে এবং যদি এমন হয় যে ঠিক তার আগেই বাচ্চা ছোট কোনও বস্তু নিয়ে খেলছিল তবে বুঝতে হবে গলায় কিছু আটকে গেছে। এ ক্ষেত্রে বাচ্চার মুখ দিয়ে অতিরিক্ত লালা বের হতে পারে। কাশি থাকলেও জ্বর, সর্দি থাকবে না। সন্দেহ হলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে হবে।
তৎক্ষণাৎ করণীয়: শ্বাসনালিতে কিছু ঢুকে গেলে শিশুর মুখ খুলে যদি জিনিসটি দেখতে পান, সাবধানতার সঙ্গে বের করে ফেলুন। তবে দেখা না গেলে খোঁচাখুঁচি করবেন না, এতে আটকে যাওয়া জিনিসটি আরও ভেতরে ঢুকে যেতে পারে। বাচ্চা যদি কাশতে থাকে তবে তাকে কাশতে দিন। এতে কাশির সঙ্গে আটকে যাওয়া জিনিসটি বের হয়ে আসতে পারে। যদি শ্বাসকষ্ট হয় তবে শিশুর পিঠ চাপড়ে দিন। বাচ্চার বয়স এক বছরের কম হলে আপনি টুল বা চেয়ারের ওপর বসে শিশুকে আপনার কোলের ওপর আড়াআড়িভাবে উপুড় করে শুইয়ে, মাথা ঝুলিয়ে দিন।
এরপর শিশুর পিঠের মাঝখানে, একটু ওপরের দিকে আপনার হাতের তালুর নিচের অংশ দিয়ে জোরে জোরে পাঁচবার চাপড় দিন। কাজ না হলে আবার করতে পারেন। বয়স বেশি হলে শিশুর পেছনে হাঁটু মুড়ে বা সোজা হয়ে দাঁড়ান, শিশুর বগলের নিচ দিয়ে দুই হাত ঢুকিয়ে, জাপটে ধরার ভঙ্গিতে শিশুর পেটের ওপরের অংশ বরাবর আপনার হাত রাখুন।
এরপর এক হাত মুষ্টিবদ্ধ করে, শিশুর বুকের সামনে চওড়া হাড়ের নিচে, যেখানে দুই পাশের পাঁজরের শেষের হাড়টি মিলিত হয়েছে সে জায়গায় রাখুন। এবার অন্য হাত দিয়ে এই হাতটির কবজি চেপে ধরুন, দুই হাত দিয়ে ওপর এবং ভেতর দিক বরাবর শিশুর পেটে জোরে চাপ দিন। পরপর পাঁচবার চাপ দিন। এতে যদি কাজ না হয় কিংবা শিশুর যদি জ্ঞান না থাকে সে ক্ষেত্রে কাউকে সাহায্যের জন্য ডাকুন।
মুখ থেকে মুখে বা নাকে শ্বাস দিন এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ছোট পুঁতি, মার্বেল, বোতাম, ফলের বিচি, ছোট পার্টসযুক্ত খেলনা শিশুদের নাগালের বাইরে রাখা উচিত। শিশুদের খেলনা বা জামা কেনার সময়ও পুঁতি, ঘন্টিওলা না কেনাই ভালো।

নারীরা যেখানে পুরুষ যৌনকর্মী ভাড়া করে

নারীরা যেখানে পুরুষ যৌনকর্মী ভাড়া করে

  • Currently 4.50/5
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5

নারীরা যেখানে পুরুষ যৌনকর্মী ভাড়া করে!

নারী এখন আর কোনো ব্যাপারেই পিছিয়ে নেই। যৌনতার জন্য এতোদিন কেবল পুরুষকে টাকা-পয়সা খরচ করতে দেখা গেছে। কিন্তু এখন নারীরাও উপভোগের জন্য পুরুষ ভাড়া করছে। এক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। তারা পছন্দমতো পুরুষ যৌনকর্মী ভাড়া করে থাকে। 'উইমেন হু পে ফর সেক্স' শিরোনামে বিবিসি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের একটি বিলাসবহুল এসকর্ট এজেন্সির মালিক নিকোল। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও তার গ্রাহক। শহর থেকে প্রায় মাইল খানেক দূরে নিকোলের বিলাসবহুল বাংলো বাড়ির ভেতরে কী চলছে সেটা বাইরে থেকে কোনভাবেই বোঝার উপায় নেই। নিকোল বলেন, নারী গ্রাহকরা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে চান।
সাংবাদিক হান্নাহ বারনেসের ফিচারধর্মী এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে এমন অনেক নারী আছেন যারা বার কিংবা নাইটক্লাবে গিয়ে পুরুষ সঙ্গী খোঁজা পছন্দ করেন না। যৌনতার জন্য 'এসকর্ট এজেন্সি'র (যৌনকর্মী ও গ্রাহকদের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান) সাহায্য নেন। এসব এজেন্সির কাছে 'এসকর্ট' চাইলেই তারা নারী গ্রাহকদের কাছে তা পাঠিয়ে দেয়।
ক্যাটরিনা জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার কাছে যৌনতা সবসময়ই একটি বিষাদময় ব্যাপার। কখনো ভাবেননি যে তাকে কখনো একজন পুরুষ যৌনকর্মী খুঁজতে হবে। ক্যাটরিনার সাবেক প্রেমিকরা যৌনতা উপভোগের ক্ষেত্রে তার শারীরিক প্রতিবন্ধীতাকে দায়ী করে তাকে ছেড়ে যান। ধীরে ধীরে তার  তখন তার আত্মবিশ্বাস কমতে থাকে। ক্যাটরিনা বলেন, 'যৌনকর্মী অ্যান্ড্রুর কারণে আমার ভেঙে পড়া আত্মবিশ্বাস ফিরে আসতে শুরু করে। প্রথম বারের পরই আমি দেখলাম যৌনতায় আমি সম্পূর্ণ সক্ষম। আনন্দময় যৌন অভিজ্ঞতা হলো আমার।

নিরাপদ রাখতে নগ্ন সেলফি তুলতে বাধা দেবে ফোন

নিরাপদ রাখতে নগ্ন সেলফি তুলতে বাধা দেবে ফোন


নিরাপদ রাখতে নগ্ন সেলফি তুলতে বাধা দেবে ফোন

নগ্ন সেলফি বা অশ্লীল ছবি তুলতে ও সংরক্ষণে বাধা দেবে স্মার্টফোন। ব্যবহারকারীদের নিরাপদ রাখতে এই পদ্ধতি চালু করেছে জাপানের টোন মোবাইল কোম্পানি। ছবি তোলার সময় কেউ নগ্ন হলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে স্মার্টফোনটির ক্যামেরা।
শুধু তা-ই নয়, অভিভাবকরাও দূর থেকে স্মার্টফোনটির বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারবেন। এ জন্য স্মার্টফোনটিতে নতুন করে কোনো অ্যাপ বা এক্সটেনশন ইনস্টল করার প্রয়োজন হবে না। শিশু-কিশোরদের জন্য ‘টোন ই২০’ মডেলের স্মার্টফোনটি তৈরি করেছে জাপানের এই মোবাইল কোম্পানি।
টোনের তৈরি ‘ই২০’ স্মার্টফোনটি মূলত ‘বাজেট ফোন’ বা সাশ্রয়ী দামের। ৬.২৬ ইঞ্চি পর্দার স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ‘ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ’ এবং ‘স্মার্টফোন সুরক্ষা’ ফিচার। 
জাপানের তরুণ সমাজের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে স্মার্টফোনটিকে। চাইলে ই২০ ফোনটিকে সংযুক্ত করে নেওয়া যাবে অন্য ফোনের সঙ্গেও। এতে করে এ ধরনের কোনো ছবি তোলার চেষ্টা করা হলে সহজেই অভিভাবক বা মা-বাবাকে সতর্ক করা সম্ভব হবে।

মানসিক অস্থিরতা যেভাবে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা ও স্মৃতিভ্রম সারাতে সহায়তা করে

মানসিক অস্থিরতা যেভাবে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা ও স্মৃতিভ্রম সারাতে সহায়তা করে

মানসিক অস্থিরতা যেভাবে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা ও স্মৃতিভ্রম সারাতে সহায়তা করে
নিয়মিত বুনন করলে মানসিক চাপ কমে

আপনি যদি বাস্তব জীবনে ফিজেট বা অস্থির বা ছটফটে স্বভাবের হন তা শরীর এবং মনের জন্য ভাল। বিজ্ঞানী ডা. ক্যাট আর্নি পরীক্ষা করে দেখেছেন যে মানুষ কেন ক্রমাগত কলম টকটক করে, অন্যমনস্কভাবে হিজিবিজি কাটে বা হাঁটু কাঁপায়।
নিউইয়র্কের স্নায়ুবিজ্ঞানী অ্যান চার্চল্যান্ড বলেছেন, ল্যাবে আমরা ফিজেট বা অস্থিরভাবে নড়াচড়া করা বলতে এমন যেকোন ধরণের নড়াচড়াকে বোঝাই যা সরাসরি কোন ধরণের কাজের সাথে যুক্ত নয়।
এক ধরণের অস্থির নড়াচড়া হয় পুনরাবৃত্তিমূলক এবং ছন্দময়, যেমন কলম টকটক করা কিংবা এক পা নাড়ানো। দ্বিতীয় ধরণের অস্থির স্বভাব হতে পারে যেখানে ব্যক্তি অস্বস্তিবোধ করে এবং বসে থাকার সময় চেয়ারে দুলতে থাকে। তৃতীয় ধরণের অস্থির স্বভাব সাধারণত গায়ক কিংবা খেলোয়াড়দের মধ্যে দেখা যায়। তারা এমন বিশেষ একটি আচরণ করে যা তারা খুব ভালভাবে করতে পারে, বলেন অ্যান।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন ক্রিকেটার হয়তো ব্যাট করার সময় এমন ধরণের কিছু আচরণ করে যা আসলে তার ব্যাটিংয়ের অংশ বলেই মনে হয়।
নড়াচড়া পছন্দ করার সহজাত স্বভাব রয়েছে আপনার...আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা বুঝিই না যে এটা আমরা করছি। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে, ফিজেটিং বা স্নায়বিক অস্থিরতার তেমন কোন মানে হয় না: এতে শক্তি খরচ হয়, তাই এর একটি শারীরিক ব্যয় তো রয়েছেই। এর জন্য সামাজিকভাবেও মূল্য দিতে হয়- এটা প্রায়ই আমাদের আশেপাশের মানুষদের জন্য বিরক্তিকর হয়। তবে এর কিছু সুবিধাও রয়েছে।
অ্যান চার্চল্যান্ড মনে করেন যে, এ ধরণের কাজ সিদ্ধান্ত গ্রহণের মতো মস্তিস্কের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত।
অ্যান বলেন, আমরা যখন মস্তিষ্ক ব্যবহার করে কঠিন কোন কাজ করে থাকি, তখন এগুলো হয় শরীর নড়াচড়া করার জন্য যে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কাজ করে সেগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টাকে কাজে লাগিয়ে। তাই এ ধরণের কঠিন কাজ করার সময় আমরা আমাদের স্নায়বিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সচল করি নড়াচড়া করার মাধ্যমে।
সহজ করে বলতে গেলে, যদিও আমরা জানি যে, কোন কিছু চিন্তা করতে গেলে স্থির এবং শান্ত হতে হয়, তবুও অনেকেই সেটা পারেন না।
অ্যান বলেন, অনেকের ক্ষেত্রে এটা হয়তো চিন্তা করা মানেই নড়াচড়া করা। তাদের এমন ধরণের নড়াচড়া করতে হয় মস্তিষ্ককে সজাগ এবং সচল করার জন্য।
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট রোনাল্ড রৎজ অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার-এডিএইচডি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, তিনি 'ফিজেট টু ফোকাস' নামে একটি বইও লিখেছেন।
তিনি বলেন যে, ফিজেটিং বা অস্থির স্বভাবের কারণে পুনরাবৃত্তিমূলক অর্থাৎ ঘুরে ঘুরে করতে থাকা একই কাজ আমাদের মনোযোগী হতে সাহায্য করার জন্য শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া মাত্র।
"যখন আমরা মনোযোগী হতে পারি না, বা মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই তখন মনোযোগ ফিরে পাওয়ার জন্য আমাদের দেহ এই প্রক্রিয়া অবলম্বন করে থাকে," বলেন রোনাল্ড।
এ ধরণের আচরণ সাধারণত এডিএইচডি আক্রান্ত রোগীদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়, কিন্তু এমন আচরণ অবচেতন মনে সবাই করে।
ফিজেটিং দেহের ওজন ঠিক রাখতে সহায়তা করে, দেহকে কর্মক্ষম রাখে এবং মানসিক চাপ কমায়।
অস্থিরতার কারণে যে অস্বাভাবিক নড়াচড়া করতে হয় এবং তার জন্য যে শক্তি খরচ হয় তা উপকারীও হতে পারে।
ইউনিভার্সিটি অব লিডসের নিউট্রিশনাল এপিডেমিওলজি'র অধ্যাপক জ্যানেট কেইড নারীদের উপর ১২ বছর ধরে একটি গবেষণা চালিয়েছেন, যেখানে তিনি দেখার চেষ্টা করেছেন যে তারা কতটা সময় স্থিরভাবে বসে থেকে কাটায় এবং কতটা সময় অন্য কাজ করে কাটায়।
তাদেরকে অস্থিরতার কারণে নড়াচড়ার করার অভ্যাস সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
ওই ১২ বছরে, যেসব নারীরা স্থির ভাবে বসে সময় বেশি কাটিয়েছেন এবং যাদের অস্থিরতার কারণে নড়াচড়ার স্বভাব নেই তাদের মধ্যে ওই সময়ে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি ছিল।
আর যেসব নারীর অস্থিরতার কারণে নড়াচড়ার স্বভাব ছিল তাদের মৃত্যু ঝুঁকি কম ছিল: গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা স্থিরভাবে এক সাথে ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় বসে থাকতেন তাদের তুলনায় ফিজেটার বা যারা এ ধরণের নড়াচড়া করতেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি ৩০ শতাংশ কম ছিল।
কারণ অস্থিরতার কারণে নড়াচড়া করলে তা ক্যালরি খরচ করে দেহের ওজন ঠিক রাখতে সহায়তা করে, দেহকে কর্মক্ষম রাখে এবং মানসিক চাপ কমায়, বলেন জ্যানেট।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, যাদের মধ্যে ফিজেটিংয়ের ছোঁয়া আছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বুনন এর মতো কাজ, তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য চমৎকার হতে পারে।
স্টিচলিংকস নামে একটি সংস্থার পরিচালক বেটসান কোরখিল কারুশিল্প বিশেষ করে বুননের চিকিৎসাগত উপাদান সম্পর্কে প্রচারণা চালিয়ে থাকেন।
তিনি দীর্ঘস্থায়ী ব্যথায় ভুগছেন এমন মানুষদের সমন্বয়ে একটি বুনন গ্রুপ পরিচালনা করেন।
এটি দীর্ঘস্থায়ী অস্বস্তি দূর করতে সহায়তা করে বলে জানা যায়।
২০১৩ সালে ৩১টি দেশের ৩,৫০০ জন বুননকারীর উপর একটি জরিপ চালানো হয় যারা এর যাদুকরী গুণাবলীর পক্ষেই মত দিয়েছেন।
"আমাদের তথ্য বলছে, তারা যত বেশি বুনন করে তত বেশি সুখী এবং শান্ত হয়," বেটসান বলেন।
হাতের ব্যবহার এবং হেঁটে বেড়ানোটা মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে।
যুক্তরাজ্যে ডিমেন্সিয়া নিয়ে কাজ করেন ডেভ বেল, যিনি মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ নার্স।
তার অনেক রোগীর জন্য ফিজেটিং বা অস্থিরতার কারণে অস্বাভাবিক নড়াচড়া করাটা একটা সাধারণ কাজ, তা সেটি হাঁটা কিংবা পোশাকের মুড়ি সেলাই করে সময় কাটানোই হোক না কেন।
কারণ স্মৃতিভ্রমের শিকার কোন ব্যক্তি শারীরিকভাবে অস্বস্তি কিংবা ব্যথায় ভোগেন।
অনেকের ক্ষেত্রে পরিবেশগত উপাদান তাদেরকে মানসিকভাবে অস্বস্তিতে ফেলে, অন্যদিকে অনেকের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ক্ষতিসাধনের কারণে তারা পুনরাবৃত্তিমূলক আচরণ করে থাকে।
যদিও এটা দেখতে পীড়াদায়ক মনে হয়, তারপরও ফিজেটিং হচ্ছে নিজে নিজে শান্ত হওয়ার একটা প্রক্রিয়া।
"আমার মনে হয় যেসব ব্যক্তি এ ধরণের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, হাত দিয়ে কিছু করা বা হাঁটাহাঁটি করা নিশ্চিতভাবেই তাদের মানসিক চাপ কমায়," বলেন ডেভ।
স্টিচলিংকস ফিজেটিং এর উপাদান হিসেবে পুঁতি, বোতাম, বেল এবং ফিতা দিয়ে হাতে বোনা মাফ বা বিশেষ ধরণের হাত গরম করার পোশাক তৈরি করছে।
আর আলঝেইমার সোসাইটি স্মৃতিভ্রমের রোগীদের মধ্যে উদ্বেগ কমাতে ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ারের সাথে মিলে ফিজেটের অংশ হিসেবে কাঠের ছোট যন্ত্র তৈরি করছে।
ডেভ বলেন, এর খুব ভাল প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে: এসবের কারণে তাদের আচরণে যে পরিবর্তন এসেছে সেটি আমি দেখেছি।
তবে কারো জন্য উপকারী ফিজেট বা অস্থির নড়াচড়া হয়তো অন্যদের জন্য মনোযোগ নষ্টের কারণ হতে পারে।
তাই এগিয়ে যান- হাতের আঙুল দিয়ে মৃদু আঘাত করুন, খট খট শব্দ করুন কিংবা খেয়াল খুশিমত মোচড়ান- কোন বাধা নেই, তবে যাই করুন না কেন, একটু দায়িত্ববোধ বজায় রাখুন।

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা


কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিস কেবল স্বাদেই অতুলনীয় নয়, ছোট এই ড্রাই ফ্রুটে রয়েছে অনেক উপকারিতা। বিশেষ করে নারীদের তো নিয়ম করে কিসমিস অথবা কিসমিস ভেজানো পানি খাওয়া উচিত। কারণ- সমীক্ষা বলছে প্রত্যেক নারীরা দিনে নির্দিষ্ট পরিমাণ কিসমিস খাওয়া উচিত। এতে শরীর প্রয়োজনীয় ক্যালোরি পাবে কিন্তু কোন ফ্যাট থাকবে না।
কিসমিসে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। আর এর মিষ্টত্ব শরীরকে শক্তি জোগায়। এতে কর্মক্ষমতা বাড়ে। বেশিরভাগ মহিলার শরীরে আয়রনের কমতি থাকে। তাঁরা রক্তাল্পতায় ভোগেন। এমন সমস্যায় কিসমিস ভীষণ উপকারে লাগে। এতে প্রচুর মাত্রায় আয়রন থাকে। ছোট্ট এই ড্রাই ফ্রুটে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়ামও থাকে। যা পেশি সংকোচনের হার কমিয়ে দেয়। আবার স্নায়ুতে রক্তপ্রবাহের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে।
হৃৎপিণ্ডের সমস্যা যাঁদের রয়েছে তাঁদেরও কিসমিস খাওয়া উচিত। কারণ তা হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। কিসমিস রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। লিভার ও কিডনির সমস্যাতেও কিসমিস ভীষণ উপকারি। শুধু কিসমিস কেন কিসমিস ভেজানো পানি খেলেও এই একই উপকার পাওয়া যায়। সংবাদ প্রতিদিন।

হজম শক্তি বাড়ায় যেসব খাবার

হজম শক্তি বাড়ায় যেসব খাবার

হজম শক্তি বাড়ায় যেসব খাবার

হজমশক্তি কমে গেলে দেহে পুষ্টির অভাবে বাসা বাঁধা শুরু করে নানা ধরণের রোগ। এমনকি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে ওজনও। তাই আমাদের দেহের পরিপাকযন্ত্র সুস্থ রাখা এবং হজমশক্তি ঠিক রাখার জন্য আমাদের সচেষ্ট হতে হবে।
এমন কিছু খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখার চেষ্টা করুন যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে দেহ সুস্থ রাখবে-
আদা হজমের শক্তি বৃদ্ধি করতে অনেক প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। আদা দেহের টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। আদায় রয়েছে ‘জিনজারোলস’ যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পরিপাকক্রিয়া দ্রুত করে। সকালে এক কাপ আদা চা এবং রান্নায় আদার ব্যবহার কিংবা কাঁচা আদা খাওয়া পরিপাকযন্ত্র সুস্থ রাখে।
রসুন দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার। রসুনের অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান যেকোন ধরণের ঠাণ্ডা কাশি, ভাইরাল ইনফেকশন দূর করার সাথে সাথে আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধিতেও কাজ করে। রান্নায় ব্যবহারের পাশাপাশি কাঁচা রসুন দেহের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী।
দারুচিনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাংগানিজ যা দেহের ফ্যাটি এসিড হজম করতে সাহায্য করে। এবং এটি আমাদের রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রান্নায় দারুচিনি ব্যবহার আমাদের দেহের পরিপাকযন্ত্র এবং হজমশক্তি বৃদ্ধির জন্য অনেক কার্যকরী।

কাজু বাদাম খেলে শরীরের কী কী উপকার হয়

কাজু বাদাম খেলে শরীরের কী কী উপকার হয়


কাজু বাদাম খেলে শরীরের কী কী উপকার হয়?

কিডনির মত দেখতে। এমনি খান কী ভেজে। দু'ক্ষেত্রেই স্বাদে এত তোফা যে লোভ সামলানো কঠিন হয়ে যায়। এমনিতে চিকিৎসকেরা বলেন, বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। কিন্তু কাজু বাদামের ক্ষেত্রে কি এই কথাটা খাটে? 
আমাদের দেশে এই বিশেষ বাদামটির চাষ হয় না বলেই চলে। ১৪৯৮ সালে ভাস্কো দা গামার হাত ধরে উপমহাদেশে এন্ট্রি ঘটে কাজু বাদামের। তারপর থেকে ছড়িয়ে পড়ে এর স্বাদের সুখ্যাতি। এখন তো দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকা মহাদেশের একাধিক দেশে এই বাদামটির চাষ হয়ে থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হল কাজু বাদাম খাওয়া কি আদৌ স্বাস্থ্যকর?
এক্ষেত্রে যদি বৈজ্ঞানিক নথির উপর ভারসা রাখতে পারেন, তাহলে বলতেই হয় যে পুষ্টিগুণ এবং শরীরিক উপকারিতার দিক থেকে কাজু বাদামের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এতে উপস্থিত প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ এবং ভিটামিন নানা ভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। শুধু তাই নয়, কাজু বাদামে ভিটামিনের মাত্রা এত বেশি থাকে যে চিকিৎসকেরা একে প্রকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেট নামেও ডেকে থাকেন। 
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত যদি কাজু বাদাম খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে নান পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি দূর হয়, সেই সঙ্গে আরও কিছু উপকার পাওয়া যায়।
ক্যান্সার রোগ দূরে থাকে
মারণ রোগটি যদি সাপ হয়, তাহলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হল বেজি। তাই তো যেখানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, সেখানে ক্যান্সার সেলের খোঁজ পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই তো প্রতিদিন এক মুঠো করে কাজু বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। আসলে এই বাদমটির শরীরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার সেলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি টিউমার যাতে দেখা না দেয় সেদিকেও খেয়াল রাখে। 
প্রসঙ্গত, কাজু বাদামে থাকা প্রম্যান্থোসায়ানিডিন নামে একটি উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
সংক্রমণের আশঙ্কা কমে
প্রাকৃতিক উপাদানটিতে থাকা জিঙ্ক, ভাইরাসের আক্রমণের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। তাই আপনি যদি এই ধরনের ইনফেকশনের শিকার প্রায়শই হয়ে থাকেন, তাহলে রোজের ডায়েটে কাজু বাদামের অন্তর্ভুক্তি ঘটাতেই পারেন।
হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে 
কাজু বাদামে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট একদিকে যেমন ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে, তেমনি নানাবিধ হার্টের রোগ থেকে বাঁচাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যাদের পরিবারে হার্ট ডিজিজের ইতিহাস রয়েছে, তারা প্রয়োজন মনে করলে এই প্রকৃতিক উপাদানটির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতেই পারেন।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে 
মাঝে মধ্যেই কি রক্তচাপ গ্রাফের কাঁটার মতো ওঠা-নামা করে? তাহলে তো চটজলদি কাজু খাওয়া শুরু করতে হবে। কারণ এই বাদামে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, যা ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে 
কাজুতে রয়েছে ওলিসিক নামে এক ধরনের মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, যা দেহে বাজে কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে দারুন কাজে আসে। তাই তো নিয়মিত এই বাদমটি খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়
কপার হল সেই খনিজ, যা চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর পাশাপাশি চুলের গোড়াকে শক্তপোক্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই উপাদানটি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে কাজুতে। এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন কিভাবে কাজু চুলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়, কাজু বাদামে থাকা কপার শরীরের অন্দরে এমন কিছু এনজাইমের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, যা চুলের কালো রংকে ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে 
আমাদের দেশে যে হারে সুগার রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে বাদাম খাওয়ার প্রয়োজন বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে- প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবারটি নিয়মিত খেলে রক্তে সুগারের মাত্র নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে শরীরর কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। তাই পরিবারে যদি ডায়াবেটিস রোগের ইতিহাস থাকে, তাহলে প্রতিদিন এক মুঠো করে বাদাম খাওয়ার শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে।-বোল্ডস্কাই।

FSS blog

FSS TSTL Photo Gallery

FSS TSTL Photo Gallery
Pictures

I like it

  • Bangla Song
  • Love
  • Move

what is love?

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

লেবেল

লেবেল

ভূমি (1) sex (6)

Wikipedia

সার্চ ফলাফল