বৃহস্পতিবার, ৫ জুলাই, ২০১২

বিএমডাব্লিউ'র নতুন বৈদ্যুতিক বাইক

বিএমডাব্লিউ'র নতুন বৈদ্যুতিক বাইক

চলতি মাসেই ফ্রাঙ্কফুর্টে শুরু হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম মোটর শো ইন্টারন্যাশনাল অটোমোবিল আস্টেলাং। এ আয়োজনকে সামনে রেখেই গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিএমডাব্ল্রিউ মটোরাড এবং প্রতিষ্ঠানটির সিস্টার ব্র্যান্ড হাস্কভারনা নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল তৈরির পরিকল্পনা করেছে। খবর গিজম্যাগ-এর।

বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল-এর নতুন নকশা তৈরি করছে বিএমডাব্লিউ এমন খবর চাউর হলেও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে আপতত মুখ বন্ধই রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিএমডাব্লিউ-এর সিস্টার ব্র্যান্ড হাস্কভারনা নতুন বৈদ্যুতিক মোটর সাইকেল তৈরি বিষয়ে জানিয়েছে, এ মোটর সাইকেল হবে ই-মোবিলিটি বিএমডাব্লিউ মটোরাড ডিজাইনের এবং এটি সম্পূর্ণ নতুন আইডিয়া।

তরুণদের কথা মাথায় রেখেই এ মোটর সাইকেল নকশা করার কথা বলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এটি দেখতে কেমন হবে সে বিষয়ে দুটি নকশা দেখিয়েছে তারা। এর মধ্যে একটি হচ্ছে হাস্কভারনার নকশা করা ইলেকট্রিক মটোরাড এবং আরেকটি বিএমডাব্লিউ-এর নকশা করা ম্যাক্সি স্কুটার।

১৩ সেপ্টেম্বর প্রেস কনফারেন্সে এ  বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে বিএমডাব্লিউ।


বাতাসেই চলে মোটরসাইকেল

বাতাসেই চলে মোটরসাইকেল

সম্প্রতি বায়ুচালিত একটি মোটরসাইকেল তৈরি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এক শিক্ষার্থী। তার এই মোটরসাইকেলটিকে তিনি আরো উন্নত করার পরিকল্পনাও করেছেন। খবর গিজম্যাগ-এর।

অস্ট্রেলিয়ায় ২৫ নভেম্বর শুরু হচ্ছে সিডনি মোটরসাইকেল অ্যান্ড স্কুটার শো। এ আয়োজন উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনের শিক্ষার্থী ডিন বেনস্টেড বায়ুচালিত মোটরসাইকেল তৈরি করেছেন।

বেনস্টেডের তৈরি প্রোটোটাইপ মোটরসাইকেলটির নাম ‘০২ পারসুইট’। এ মোটরসাইকেলটির শক্তি যোগায় কমপ্রেসড এয়ার।

বেনস্টেডের ২৫০ সিসির এ মোটরসাইকেলটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ডাইপেট্রো এয়ার ইঞ্জিন। মোটরবাইকটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে ঘন্টায় ৬২ মাইল গতি তুলতে পারলেও উদ্ভাবকের আশা উন্নয়ন ঘটানো গেলে এটি আরো দ্রুত গতি পাবে।

এ মোটরসাইকেলটির পার্টস তৈরির আগে তিনি বিশেষভাবে ডিজাইন করে নিয়েছিলেন এবং পরে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে যন্ত্রাংশ সেট করে নেন। পরবর্তী প্রটোটাইপটিকে তিনি হেভি ডিউটি মাউন্টেন বাইক হিসেবে তৈরি করার পরিকল্পনা করেছেন।

কার্বন ফাইবারের গাড়ি বানালো বিএমডাব্লিও

কার্বন ফাইবারের গাড়ি বানালো বিএমডাব্লিও

জার্মান বিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিএমডাব্লিউ নতুন মডেলের গাড়ি তৈরি করেছে যাতে ব্যবহৃত হয়েছে কার্বন ফাইবার। স্টিলের চেয়েও শক্তিশালী এ গাড়ি তৈরিতে বিএমডাব্লিওকে অনেকগুলো স্তরে কাজ করতে হয়েছে। খবর রয়টার্স-এর।

জাপানের মিতসুবিশি রেয়নের সঙ্গে যৌথভাবে রংহীন ফাইবার তৈরি করেছে বিএমডাব্লিও। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মোসেস লেকের ২০০ মিটার লম্বা প্ল্যান্টে ১ হাজার ৪০০ ডিগ্রি সেলসিলাস তাপমাত্রায় ফাইবারকে রিল করে পোড়ানো হয়েছে। এখান থেকে কার্বন অনু আলাদা করে তা থেকে তৈরি করা হয়েছে সুতা। এরপর জার্মানির প্ল্যান্টে এ সুতাকে বোনা হয়েছে। এরপর জার্মানির ল্যান্ডসাট প্ল্যান্টে ফাইবারের বোনাসুতাগুলোকে কয়েকটি স্তরে রং ও অন্যান্য রাসায়নিক মিশিয়ে ত্রিমাত্রিক গাড়ির বডির আকার দেয়া হয়েছে। এরপর লিপজিগ প্ল্যান্টে অ্যাসেম্বল করে তৈরি হয়েছে নতুন মডেলের বিএমডাব্লিও।

কার্বন ফাইবারে তৈরি এ গাড়িটি কবে নাগাদ বাজারে ছাড়বে সে বিষয়ে এখনো তথ্য জানায়নি বিএমডাব্লিও কর্তৃপক্ষ।

শেষ হচ্ছে টায়ার পাংচারের যুগ

শেষ হচ্ছে টায়ার পাংচারের যুগ

বিশ্বের বৃহত্তম টায়ার এবং রাবার কোম্পানি ব্রিজস্টোন সম্প্রতি নতুন টায়ার উদ্ভাবন করেছে যাতে কোনো বাতাস থাকবে না তাই টায়ার পাংচারের শঙ্কাও থাকবে না। খবর গিজম্যাগ-এর।

জাপানে অনুষ্ঠিত ‘টোকিও অটো শো’তে ব্রিজস্টোন নতুন টায়ার দেখিয়েছে। এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে থাকলেও নতুন এ টায়ার তৈরিতে সাফল্যের দাবী করেছে ব্রিজস্টোন কর্তৃপক্ষ।

ব্রিজস্টোন-এর তৈরি এ টায়ারে ব্যবহৃত হয়েছে থার্মোপ্লাস্টিক-রেজিন স্পোক যা রিম থেকে চাকার সঙ্গে ঘুরতে থাকে এবং বাঁ থেকে ডানে বেঁকে যায়। শক্ত কাঠামোতে তৈরি এ টায়ারে বাতাসের কোনো ব্যবহার নেই তাই ফ্ল্যাট টায়ারের যুগ সম্ভবত শেষ হয়ে যাবে বলেই ব্রিজস্টোন কর্তৃপক্ষ আশা পকাশ করেছে। নতুন প্রযুক্তির এ টায়ার বাজারে আনার আগে আরো পরীক্ষা করে দেখবে বলেই জানিয়েছেন ব্রিজস্টোনের প্রোকৌশলীরা।

জানা গেছে, নতুন এ টায়ার এমন উপাদান দিয়ে তৈরি যা সহজেই পুরোপুরি রিসাইকেল করা যাবে।

উল্লেখ্য, বায়ুবিহীন টায়ারের প্রযুক্তি ২০০৬ সাল থেকেই আলোচনায় আছে। অপর বিখ্যাত টায়ার নির্মাতা মিচলিন এর আগে ‘এয়ারলেস টুইল টায়ার’ উদ্ভাবন করে ২০০৬ সালে ইন্টারম্যাট গোল্ড মেডাল জিতেছিলো।

টয়োটার দেখালো ভবিষ্যতের গাড়ি

টয়োটার দেখালো ভবিষ্যতের গাড়ি

সম্প্রতি জাপানি গাড়ি নির্মাতা টয়োটা এমন একটি গাড়ি তৈরি করছে যা আসলে স্মার্টফোন, গেম মেশিন এবং গাড়ির সমন্বয়। ২০১১ টোকিও মোটর শোতে ‘টয়োটা ফান ৭’ নামের এ গাড়ির নকশা দেখিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি এ গাড়িটির রং রিয়েল টাইমেই পরিবর্তন করে নেয়া যাবে।

১৩ ফুট লম্বা গাড়িটি ৩ সিটের। গাড়ির ইনটেরিয়র এবং এক্সটেরিয়র হিসেবে খালি স্লেট ব্যবহার করা হয়েছে। পরিবেশ এবং পছন্দানুসারে রিয়েল টাইমে রং পরিবর্তন করে নিতে পারবেন চালক। আর রং পরিবর্তন করতে ওয়্যারলেস প্রযুক্তিতে স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহৃত হবে। আর গাড়ির রং পরিবর্তিত হবে হলোগ্রাফিক প্রযুক্তিতে।

এ ছাড়াও টয়োটার এ গাড়িতে থাকবে ‘নেভিগেশন কনসার্জ’ নামের একটি হলোগ্রাফিক প্রযুক্তির নারী। যে চালককে পথ দেখাবে এবং অন্যান্য গাড়ির সঙ্গে কথোপকথন বা যোগাযোগ করতে সক্ষম হবে।