বুধবার, ৮ আগস্ট, ২০১২

জলের গায়ক বোহেড তিমি

জলের গায়ক বোহেড তিমি

গান গাইবার প্রতিভার কথা হিসেব প্রাণীজগতে একচ্ছত্র আধিপত্য পাখিদের দখলেই ছিলো এতোদিন। কিন্তু পাখিদের আধিপত্য এবার বুঝি হুমকির মুখে! প্রতিদ্ব›দ্বী বোহেড তিমি। বিজ্ঞানীরা বলছেন সমুদ্রের গভীর জলের বোহেড তিমির গানের গলা এতোই ভালো যে পাখিদের সঙ্গে টক্কর দিতে পারবে তারা। শুধু তাই নয়, বোহেড তিমিকে সমুদ্রের জিমি হেনড্রিক্স বলে আখ্যা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। খবর ওয়ার্ল্ডওয়াইল্ড ডট অর্গ-এর।

বোহেড তিমির ওই গানের প্রতিভা আবিষ্কার করেন ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের ওশানোগ্রাফার কেট স্টাফোর্ড। নরওয়ে থেকে গ্রিনল্যান্ডের মাঝের আর্কটিক সাগরের ফ্রাম স্ট্রেইটে দুটো আন্ডারওয়াটার মাইক্রোফোন বসিয়েছিলেন স্টাফোর্ড এবং তার সহকর্মীরা। লক্ষ ছিলো মাইক্রোফোনে রেকর্ড হওয়া বোহেড তিমির আওয়াজ থেকে আর্কটিক সাগরে বোহেড তিমির সংখ্যা নির্ধারণ।

মাইক্রোফোনগুলোতে খুব বেশি সাউন্ড রেকর্ড হবার আশা করেননি বিজ্ঞানীরা। কারণ, গত কয়েক দশকে ওই অঞ্চলে বোহেড তিমির দেখা পাওয়া গেছে হাতে গোনা কয়েকবার।

টানা এক বছর জলের নিচে ছিলো স্টাফোর্ড এবং তার সহকর্মীদের মাইক্রোফোন দু’টি। এক বছর পর মাইক্রোফোনে রেকর্ড হওয়া ট্র্যাক শুনতে গিয়ে চমকে যান বিজ্ঞানীরা।

এ সম্পর্কে স্টাফোর্ড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘আমরা বড়জোর বোহেড তিমির কিছু গোঙ্গানোর আওয়াজ রেকর্ড হবে বলে ভেবেছিলাম। কিন্তু তার বদলে, বোহেড তিমিগুলো যে টানা পাঁচ মাস ধরে গান গেয়েই যাবে তা আমরা মোটেই আশা করিনি।’

মাইক্রোফোনগুলোতে রেকর্ডকৃত ট্র্যাকে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন, টানা পাঁচ মাসের পুরো শীতকাল জুড়েই দিন-রাত গান গেয়েছে ফ্রাম স্ট্রেইট দিয়ে চলাচল করা তিমিগুলো। শুধু তাই নয়, মাইক্রোফোনের রেকর্ড থেকে বোহেড তিমির আলাদা ৬০টি গান চিহ্নিত করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।

এতোদিন বিজ্ঞানীরা বোহেড তিমিকে বিলুপ্তির মুখে পড়া একটা প্রজাতি ভেবে এসেছেন। কিন্তু মাইক্রোফোনের রেকর্ডকৃত গান অনুযায়ী ফ্রাম স্টেইটে কমপক্ষে ৬০টি পুরুষ বোহেড তিমি সনাক্ত করা হয়েছে। আর বিপরীত লিঙ্গের বোহেড তিমির সংখ্যা যদি পুরুষ তিমির সমান ধরে নেয়া হয় তবে পৃথিবীতে এখনও বেঁচে রয়েছে কমপক্ষে ১০০টি বোহেড তিমি। এই আবিষ্কার বোহেড তিমির ভবিষ্যত নিয়ে নতুন আশা যোগাচ্ছে বিজ্ঞানীদের।

অন্যদিকে বোহেড তিমির এই সঙ্গীত প্রতিভাকে অনেক বিজ্ঞানী মজা করে তুলনা করেছেন কিংবদন্তী রকস্টার জিমি হেনড্রিক্সের সঙ্গে। হেনডিক্সের গিটারের টিউন আর বোহেড তিমির গানের মধ্যে বেশ মিল রয়েছে বলেও বলেছেন তারা।




বিডিনিউটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস/এইচবি

অনিদ্রায় ভোগেন এক তৃতীয়াংশ আমেরিকান

অনিদ্রায় ভোগেন এক তৃতীয়াংশ আমেরিকান

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, এক তৃতীয়াংশ আমেরিকানের রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। রাতে ঘুমানোর আগে সেলফোনে কথা বলতে গিয়ে বা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকার কারণে ঘুমের উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হন তারা। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

দেশটির ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন পুল জানিয়েছে, সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকায় আমেরিকানদের ঘুমের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। রাতে শোয়ার আগে এসব প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে অধিকাংশের ঘুমই প্রশান্তির হয় না। এতে অবসাদের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয় বলে জানিয়েছেন ড. ডান নাইম।

লস এঞ্জেলসের স্লিপ স্টাডি ইনস্টিটিউট ৪১০০ জনের ওপর বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমানোর আগে গভীর রাত পর্যন্ত কম্পিউটার চালানোর ফলে ঘুমে সমস্যা, স্ট্রেস এবং ডিপ্রেশনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। আর যারা সেলফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে তাদের ক্ষেত্রেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বলে জানালেন গবেষকদের প্রধান সারা থমিট।

উজ্জ্বল আলো মেলাটোনিন হরমোন প্রতিরোধ করে। দেখা গেছে ভিডিও গেইমস, সেলফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে স্ক্রিনের উজ্জ্বল আলো এ হরমোনের প্রভাবে চোখের ঘুমকে কেড়ে নেয়। তারা আরও জানিয়েছেন, চমত্কার ঘুমের জন্যে চারপাশে অন্ধকার পরিবেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ।

নাইম আরো জানান, রাতে প্রশান্তির ঘুমের জন্য সেলফোন এবং কম্পিউটার যতো কম ব্যবহার করা যায়, ততোই ভালো। রাতে ঘুম ভালো না হলে পরবর্তীতে মানসিক ও দৈহিক কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়।

হাজার ডলার দামের বিড়ালের হেডফোন!

হাজার ডলার দামের বিড়ালের হেডফোন!

ইলেক্ট্রনিক পণ্য নির্মাতা সোল রিপাবলিক বিড়ালের জন্য ইলেক্ট্রো হাউজ মিউজিক মেকার ডেডম্যাও৫ ক্যাট নামের বিশেষ হেডফোনটি তৈরি করেছে। খবর ম্যাশএবল-এর।

নির্মাতাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিড়ালের জন্য তৈরি হেডফোনটি এ সপ্তাহে বাজারে আসছে। পোষা বিড়ালের জন্য এর এক জোড়া কিনতে হলে খরচ করতে হবে প্রায় ১০০০ মার্কিন ডলার। তবে হেডফোনটি বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যানিম্যাল চ্যারিটির ফান্ডে যোগ হবে।

কোম্পানিটি জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১০টি হেডফোন তারা বাজারজাত করলেও চাহিদার ওপর ভিত্তি করে আরও হেডফোন তৈরি করা হবে। এ ভিন্নধর্মী প্রচেষ্টা মার্কিন সমাজে জীবজন্তুর ওপর নির্যাতন রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে ধারণা নির্মাতাদের।

নির্মাতা কোম্পানির সিএমও সেথ কম্বস বলেন, ‘রিমোট চালিত এ হেডফোনটির সঙ্গে মাইক্রোফোনও আছে। তবে অনেক পোষা বিড়াল এ দু’টি ফাংশন দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করবে বলে আমি কল্পনা করি না।’

কম্বস আরো বলেন, আমরা বিড়ালের কানের উপযোগী করে এটি তৈরি করেছি এবং এর আকৃতি মানুষের হেডফোনের চেয়ে

দ্বিতীয় প্রজন্মের জিপিইউ বানাবে এআরএম

দ্বিতীয় প্রজন্মের জিপিইউ বানাবে এআরএম

দ্বিতীয় প্রজন্মের গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) বানানোর ঘোষণা দিয়েছে এআরএম। এআরএম জানিয়েছে, টি-৬০০ সিরিজের কার্যক্ষমতা হবে আগের তুলনায় শতকরা ৫০ ভাগ বেশি। বাড়তি গতি স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট পিসিতে ভিডিও গেইমকে করে তুলবে আরো উত্তেজনাপূর্ণ, দ্রুতগতির হবে ফটো এডিটিং প্রোগ্রাম। খবর বিবিসির।

এআরএম জানিয়েছে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাজারে আসবে দ্বিতীয় প্রজন্মের গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিটগুলো। মোবাইলের সিপিইউ-এর বাজারে এআরএমের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকলেও জিপিইউ-এর বাজারে পিছিয়ে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

জিপিইউ তৈরিতে এগিয়ে আছে এআরএমের স্বদেশী প্রতিষ্ঠান ‘ইমাজিনেশন টেকনোলজিস’। তবে এআরএম বা ইমাজিনেশন টেকনোলজিস -দু’টি প্রতিষ্ঠানের একটিও সরাসরি কোনো পণ্য উৎপাদন করে না। প্রতিষ্ঠান দু’টি নিজেদের ডিজাইনগুলো লাইসেন্স করিয়ে নেয়। অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ওই ডিজাইন ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের জন্য চিপ বানায়।

সিপিইউ এবং জিপিইউ-এর মূল পার্থক্য হচ্ছে, প্রথাগত সিপিইউ সাধারণত খুব অল্প সময়ে দ্রুত একটি অংক কষে। আর জিপিইউ তূলনামূলক বেশি সময় নিয়ে একসঙ্গে কয়েকটি অংক কষে। প্রথম অবস্থায় গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট বা জিপিইউ ডিজাইন করা হয়েছিলো কেবল গ্রাফিক্সের কাজ করার জন্যে। কিন্তু এখন গ্রাফিক্স ছাড়াও স্পিচ রিকগনিশন, ইমেজ প্রসেসিং, প্যাটার্ন ম্যাচিংয়ের কাজে ব্যবহার বাড়ছে জিপিইউ-এর।


ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়ে সাবধান করলেন ওজনিয়াক

ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়ে সাবধান করলেন ওজনিয়াক

ওয়াশিংটন ডিসিতে এক অনুষ্ঠানে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ওজনিয়াক ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়ে তার আশঙ্কার কথা জানালেন। খবর টেলিগ্রাফ-এর।

ওজনিয়াক বলেন, ‘কম্পিউটিং জগতে ক্লাউডিং নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত। সবকিছুই ক্লাউডে রূপান্তরিত হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরে এজন্য অনেক ভয়াবহ সমস্যা হতে পারে।’

৬১ বছর বয়সি ওজনিয়াক এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ক্লাউডে নিজস্ব বলে কিছু থাকেনা, মুক্ত করে দেয়া হয়।

স্টিভ জবসের সঙ্গে ১৯৭৬ সালে ওজনিয়াক অ্যাপল প্রতিষ্ঠা করেন। আধুনিক পার্সোনাল কম্পিউটিং-এর অগ্রগতিতে স্টিভ জবসের পর বিবেচনা করা হয় স্টিভ ওজনিয়াককে।

অ্যাপল ১ এবং ২ কম্পিউটারের অন্যতম নির্মাতা ওজনিয়াক এখন কাজ করছেন ফিউশন আইও কোম্পানিতে। ১৯৮৭ সালে তিনি অ্যাপলের পূর্ণকালীন পদ থেকে অব্যাহতি নিলেও এখনো তিনি কোম্পানিটির সঙ্গে যুক্ত।