শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১২

আইনস্টাইনের বুদ্ধিমত্তার রহস্য সমাধানে নতুন সূত্র!

আইনস্টাইনের বুদ্ধিমত্তার রহস্য সমাধানে নতুন সূত্র!

আলবার্ট আইনস্টাইনের বুদ্ধিমত্তার রহস্য সমাধানে অনেকদিন ধরেই লেগে আছেন বিজ্ঞানীরা। নোবেলজয়ী এই বিজ্ঞানীর মস্তিষ্কের কিছু সাম্প্রতিক ছবি সেই রহস্য সমাধানে বিজ্ঞানীদের দিচ্ছে নতুন সূত্র। ওই ছবিগুলোতে বেরিয়ে এসেছে আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের ভাঁজে অদ্ভুত কিছু ভিন্নতা, যা উত্তর দিতে পারে অনেক প্রশ্নের। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

ছবিগুলোতে আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটারে বাড়তি ভাঁজ আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেন, আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের সামনের দিকটায় মস্তিষ্কের ভাঁজগুলো ছিলো অনেক বিস্তারিত এবং সূক্ষ্ম। একজন মানুষের চিন্তা-ভাবনা, পরিকল্পনা এর সবই হয়ে থাকে মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটারে।

বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় দেখেন, আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের সেরিব্রাল করটেক্সের পুরোটা জুড়েই ছিলো অস্বাভাবিক ভাঁজ। মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটারের সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার সম্পর্ক থাকার কথা বিজ্ঞানীরা বলছেন অনেকদিন ধরেই। প্রচলিত তত্ত্বমতে, গ্রে ম্যাটারের ঘনত্ব যতো বেশি হবে, ততোই বেশি হবে একজন মানুষের বুদ্ধিমত্তা।

আইনস্টাইনকে বলা চলে ২০ শতকের সবচেয়ে বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের একজন। ১৯৫৫ সালে ৭৬ বছর বয়সে মারা যান তিনি। ময়নাতদন্তের সময় আইনস্টাইনের মস্তিষ্কটি আলাদা করে সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন প্যালোলজিস্ট থমাস হার্ভে।

আইনস্টাইনের মস্তিষ্কটি কেটে কয়েকশ’ মাইক্রোস্কোপিক স্লাইডে ভাগ করেন হার্ভে। এছাড়াও বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ১৪টি ছবি তুলে রেখেছিলেন তিনি।

মাইক্রোস্কোপিক স্লাইডগুলো গবেষকদের হাতে তুলে দিলেও, আইনস্টাইনকে নিয়ে বই লেখার জন্য ছবিগুলো নিজের কাছ লুকিয়ে রেখেছিলেন হার্ভে। কিন্তু বইটি লেখা শেষ করার আগেই মারা যান হার্ভে। ২০১০ সালে হার্ভের পরিবার ওই ছবিগুলো দান করেন ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ হেলথ অ্যান্ড মেডিসিনে।

'আনহ্যাকেবল টেলিকম নেটওয়ার্ক' তৈরিতে আরেকটি ধাপ

আনহ্যাকেবল টেলিকম নেটওয়ার্ক' তৈরিতে আরেকটি ধাপ

ব্যয়বহুল অপটিকাল ফাইবার লিঙ্ক ব্যবহার না করেই কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে টেলিকম নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা বাড়ানোর নতুন এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন গবেষকরা। যুক্তরাজ্যে অবস্থিত তোশিবার ইউরোপিয়ান রিসার্চ ল্যাবরেটরি এবং কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীর তৈরি এই প্রযুক্তি ‘আনহ্যাকেবল টেলিকম নেটওয়ার্ক’ তৈরির গবেষণাকে এগিয়ে নিলো আরেকটি ধাপ। খবর রয়টার্স-এর।

কোয়ান্টাম থিওরি ব্যবহার ডেটা আনক্র্যাকেবল কোডে রুপান্তর করে কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি। বিশ্বের প্রযুক্তিগত দিক থেকে অগ্রসর দেশগুলোর গোয়েন্দা সংস্থা এবং সেনাবাহিনী এই প্রযুক্তির ব্যবহার করে বলে ধারণা করা হয়।

তবে এনক্রিপ্টেড কোড ভেঙ্গে ডেটা উদ্ধার করতে ফোটন বা আলোর ক্ষুদ্র কণার মাধ্যমে কোয়ান্টাম কি আদান-প্রদান করতে প্রয়োজন পড়তো সম্পূর্ণ আলাদা একটি অপটিকাল ফাইবার। এর ফলে ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায় এই প্রযুক্তি।

সম্প্রতি একই অপটিকাল ফাইবার ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কোয়ান্টাম কি এবং ডেটা আদান প্রদানের প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন বলে জানিয়েছেন তোশিবার বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু শিল্ড।

বিজ্ঞানীদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে, ১ মাইক্রোসেকেন্ডের ১০ কোটি ভাগের একভাগ সময়ের মধ্যে এনক্রিপ্টেড কি বাহি ফোটনটি শনাক্ত করতে সক্ষম ডিটেক্টর তৈরি করা।

তোশিবা বিজ্ঞানীদের তৈরি নতুন প্রযুক্তিতে ৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে একটি অপটিকাল ফাইবার ব্যবহার করে ডেটা পাঠানো এবং গ্রহণ করা যাবে। বিজ্ঞানী দলের সদস্য ঝিলিয়ান ইউয়ার রয়টার্সকে জানান, নতুন প্রযুক্তিটি মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষা করে দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা হবে এই প্রযুক্তি।

পৃথিবীর আরো কাছে আসছে গ্র্যাভিটি ম্যাপার

পৃথিবীর আরো কাছে আসছে গ্র্যাভিটি ম্যাপার

ক্রমান্বয়ে পৃথিবীর আরো কাছে নিয়ে আসা হচ্ছে ইউরোপিয়ান সায়েন্স এজেন্সি (ইএসএ)-এর তৈরি আল্ট্রা-লো-ফ্লাইং গ্র্যাভিটি ম্যাপিং স্যাটেলাইট ‘গোসে’ (Goce)। তীরের মতো দেখতে স্পেসক্রাফটি মিশনের বড় একটা সময় কাটিয়েছে মাটি থেকে ২৫৫ কিলোমিটার উপরের বয়ুমণ্ডলে, যা অন্যান্য স্যাটেলাইটের তুলনায় ৫০০ কিলোমিটার নিচে। খবর বিবিসির।

গোসে গ্র্যাভিটি ম্যাপার স্যাটেলাইটের মূল কাজ হচ্ছে, পৃথিবীকে ঘিরে ঘুরে পৃথিবীর সব জায়গার মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ম্যাপ তৈরি করা এবং সাগরের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করে পরিবেশ পরিবর্তন সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা।

স্থান বিভেদে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ক্ষুদ্রতম পার্থক্য ধরতে পারে গোসে স্যাটেলাইটের গ্র্যাডিওমিটার। তবে স্যাটেলাইট থেকে আরো বিস্তারিত তথ্য পাবার লক্ষ্যে গোসেকে ২৫৫ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে নামিয়ে ২৩৫ কিলোমিটারে আনছেন বিজ্ঞানীরা।

অগাস্ট মাস থেকে প্রতিদিন গোসের ওড়ার উচ্চতা ৩০০ মিটার কমিয়ে আনছেন বিজ্ঞানীরা। এ হারে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে স্যাটেলাইটটি ২৩৫ কিলোমিটার উচ্চতায় নেমে আসবে বলে আশা করছেন তারা।

তবে এতো কম উচ্চতায় ওড়ার কারণে নানা ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে স্যাটেলাইটটিকে। ঝড়োবাতাস বা খারাপ আবহাওয়ার কারনে নিজের কক্ষপথ থেকে সরে আসতে পারে স্যাটেলাইটটি। আর কোনো কারণে গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্যাটেলাইটটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে, দু’দিনের মধ্যেই যদি নিয়ন্ত্রণ ফিরে না পাওয়া গেলে তৃতীয় দিনেই পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে স্যাটেলাইটটি।

তবে এখন কক্ষপথে টানা ৫০ সপ্তাহ ওড়ার মতো যথেষ্ট জ্বালানী রয়েছে গোসে স্যাটেলাইটটির। জ্বালানী শেষ হয়ে গেলে বায়ুমণ্ডলে এনে স্যাটেলাইটটি ধ্বংস করে দেবন বিজ্ঞানীরা। তবে তার আগেই হাতে চলে আসবে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নিয়ে অতি প্রয়োজনীয় তথ্য।

ব্রাউজারে চোখ রেখে দেখুন মহাবিশ্ব

ব্রাউজারে চোখ রেখে দেখুন মহাবিশ্ব

গুগল ক্রোম ব্রাউজারে চোখ রেখেই এখন ঘুরে আসা যাবে মহাবিশ্বের অনেকটা। গুগল আর্থের মূল ভাবনা অবলম্বেনে তৈরি গুগল গ্যালাক্সিতে দেখা যাবে মিল্কি ওয়ে আর অগনিত গ্রহ নক্ষত্র। খবর সিনেট-এর।

গুগলের পরীক্ষামূলক ওয়েবপেইজ গুগল গ্যালাক্সি ব্যবহার করে যে কোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ইন্টারনেট ব্রাউজার থেকেই ঘুরে দেখতে পারবেন অজানা মহাকাশ। আর নক্ষত্রপুঞ্জে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হবার আগেই আপনি উপলব্ধি করবেন আমাদের সৌরজগৎটি আদতে মহাবিশ্বর কাছে কতোটা ক্ষুদ্র।

গুগল জানিয়েছে, মহাকাশ নিয়ে উৎসাহি প্রোগ্রামার আর সফটওয়্যার ডিজাইনাররা মিলে ওয়েবজিএল, সিএএসথ্রিডি এবং ওয়েবঅডিও সফটওয়্যার ব্যবহার করে দাঁড় করিয়েছেন গুগল গ্যালাক্সি।

গুগল গ্যালাক্সিতে সফটওয়্যার ডিজাইনার ব্যবহার করেছেন নাসা, ইএসএ এবং উইকিপিডিয়ার আঁকিয়েদের তৈরি ছবিগুলো। আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজকের কাজটি করেছেন ভিডিও গেইমসের মিউজিক কম্পোজার স্যাম হিউলিক।


গুলি থামাবে সুপার ম্যাটিরিয়াল

গুলি থামাবে সুপার ম্যাটিরিয়াল

প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসা গুলিকে পুরোপুরি থামিয়ে দেবার মতো শক্তিশালী ‘সুপার ম্যাটিরিয়াল’ বানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এই সুপার ম্যাটিরিয়াল যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো দৃঢ় করবে বলে আশা করছেন তারা। খবর ইয়াহুর।

সুপার ম্যাটিরিয়াল নিয়ে গবেষণা করছেন রাইস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী টমাস, জে হং লি এবং একদল এমআইটি শিক্ষার্থী। আইনশৃক্সখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য এবং সৈনিকদের জন্য প্রথাগত বর্মের তুলনায় হালকা এবং আরো কার্যকর বর্ম তৈরির চেষ্টা করছেন তারা। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সৈনিকদের পাশাপাশি স্যাটেলাইট এবং প্লেনে মতো দুর্বল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসম্পন্ন যানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে এই সুপার ম্যাটিরিয়াল দিয়ে।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন পলিইউরিথিন নামের জটিল এক পদার্থ নিয়ে। বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় আবিষ্কার করেন, প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসা ৯ মিলিমিটার বুলেটকেও থামিয়ে দিচ্ছে পলিইউরিথিন। শুধু তাই নয়, গুলিটি আঘাত হানার পর বর্মে যে ক্ষতের সৃষ্টি হচ্ছে নিজে থেকেই গলে গিয়ে সেই ক্ষত সাড়িয়ে নিচ্ছে এই আজব পদার্থ।

বিজ্ঞানী টমাস এই পরীক্ষা নিয়ে বলেন, ‘ম্যাটিরিয়ালটিতে কোনো মাইক্রোস্কোপিক ক্ষতি পর্যন্ত হয়নি। এটি ছিড়ে যায় নি, এটি পুরোপুরি সফল।