শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১২

অ্যান্ড্রয়েডের ডিসেম্বর বিভ্রাট দূর হচ্ছে

অ্যান্ড্রয়েডের ডিসেম্বর বিভ্রাট দূর হচ্ছে

গুগলের স্মাটফোন ও ট্যাবলেট ডিভাইসের জন্য অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েডের কনটাক্ট বিষয়ে তথ্য রাখার জন্য তৈরি ‘পিপল অ্যাপ’ ত্রুটির জন্য তাতে ডিসেম্বর মাসের তথ্য রাখা যাচ্ছিলো না। শীঘ্রই এ সমস্যা থাকবে না বলে গুগল জানিয়েছে। খবর বিবিসি ও সিনেট-এর।

অ্যান্ড্রয়েডের এ বাগের ফলে নভেম্বর থেকে সরাসরি ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে চলে যাচ্ছিলো এন্ট্রিগুলো। তবে অন্য ডিভাইসগুলো এ সমস্যার কারণে প্রভাবিত হবে না এবং এ সমস্যা দূর করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে গুগল। অক্টোবরে অ্যান্ড্রয়েডের ৪.২ ভার্সনের অপারেটিং সিস্টেমটি যাত্রা শুরু করে।

বিবিসি জানিয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে কনটাক্ট তথ্য রাখার পিপল অ্যাপস-এ ক্রুটি রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড সংবাদ মাধ্যম অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ ওয়েব সাইটে ডিভাইসটির কিছু ত্রুটির কথা প্রকাশ করা হয়। পকেট লিন্ট বার্তা মাধ্যমের টেকনোলজি এডিটর স্টুয়ার্ট মাইলস জানান, এ সমস্যা দূর করতে গুগল সিস্টেমটি দ্রুত আপডেট করবে।

বেলুনে বাড়ি বেঁধে আটলান্টিক পার

বেলুনে বাড়ি বেঁধে আটলান্টিক পার

ডিজনি মুভি ‘আপ’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে হিলিয়াম বেলুনের সঙ্গে নিজের বাড়িটি বেঁধে নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেবেন ৩৮ বছর বয়সি অ্যাডভেঞ্চার পাগল মার্কিন নাগরিক জোনাথান ট্র্যাপি। খবর অরেঞ্জ নিউজ-এর।

মেক্সিকোর লিওন ইন্টারন্যাশনাল বেলুন ফেস্টিভালে হিলিয়াম বেলুনের সঙ্গে বাঁধা বাড়িটি নিয়ে প্রথমবারের মতো আকাশে ওড়েন ট্র্যাপি। আগামী বছরের গ্রীষ্মে বেলুনে বাঁধা বাড়ি নিয়ে আটলান্টিক সাগরের ওপর দিয়ে আড়াই হাজার মাইল পাড়ি দেবার লক্ষ্য রয়েছে তার।

২০১০ সাল সালে হিলিয়াম বেলুনে চড়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান ট্র্যাপি।

নিজের বেলুন অভিযান নিয়ে ট্র্যাপি বলেন, ‘এর আগে আমি যতোবার আকাশে উড়েছি, তার প্রতিবারই ছিলো এই একটি অভিযানের প্রস্তুতি। পুরো ব্যাপারটার উদ্দেশ্য হচ্ছে এক্সাইটিং জীবন যাপন করা। যাতে একদিন আমরা পেছনে তাকিয়ে বলতে পারি, মানবজাতি অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে।

আইনস্টাইনের বুদ্ধিমত্তার রহস্য সমাধানে নতুন সূত্র!

আইনস্টাইনের বুদ্ধিমত্তার রহস্য সমাধানে নতুন সূত্র!

আলবার্ট আইনস্টাইনের বুদ্ধিমত্তার রহস্য সমাধানে অনেকদিন ধরেই লেগে আছেন বিজ্ঞানীরা। নোবেলজয়ী এই বিজ্ঞানীর মস্তিষ্কের কিছু সাম্প্রতিক ছবি সেই রহস্য সমাধানে বিজ্ঞানীদের দিচ্ছে নতুন সূত্র। ওই ছবিগুলোতে বেরিয়ে এসেছে আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের ভাঁজে অদ্ভুত কিছু ভিন্নতা, যা উত্তর দিতে পারে অনেক প্রশ্নের। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

ছবিগুলোতে আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটারে বাড়তি ভাঁজ আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেন, আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের সামনের দিকটায় মস্তিষ্কের ভাঁজগুলো ছিলো অনেক বিস্তারিত এবং সূক্ষ্ম। একজন মানুষের চিন্তা-ভাবনা, পরিকল্পনা এর সবই হয়ে থাকে মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটারে।

বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় দেখেন, আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের সেরিব্রাল করটেক্সের পুরোটা জুড়েই ছিলো অস্বাভাবিক ভাঁজ। মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটারের সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার সম্পর্ক থাকার কথা বিজ্ঞানীরা বলছেন অনেকদিন ধরেই। প্রচলিত তত্ত্বমতে, গ্রে ম্যাটারের ঘনত্ব যতো বেশি হবে, ততোই বেশি হবে একজন মানুষের বুদ্ধিমত্তা।

আইনস্টাইনকে বলা চলে ২০ শতকের সবচেয়ে বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের একজন। ১৯৫৫ সালে ৭৬ বছর বয়সে মারা যান তিনি। ময়নাতদন্তের সময় আইনস্টাইনের মস্তিষ্কটি আলাদা করে সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন প্যালোলজিস্ট থমাস হার্ভে।

আইনস্টাইনের মস্তিষ্কটি কেটে কয়েকশ’ মাইক্রোস্কোপিক স্লাইডে ভাগ করেন হার্ভে। এছাড়াও বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ১৪টি ছবি তুলে রেখেছিলেন তিনি।

মাইক্রোস্কোপিক স্লাইডগুলো গবেষকদের হাতে তুলে দিলেও, আইনস্টাইনকে নিয়ে বই লেখার জন্য ছবিগুলো নিজের কাছ লুকিয়ে রেখেছিলেন হার্ভে। কিন্তু বইটি লেখা শেষ করার আগেই মারা যান হার্ভে। ২০১০ সালে হার্ভের পরিবার ওই ছবিগুলো দান করেন ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ হেলথ অ্যান্ড মেডিসিনে।

'আনহ্যাকেবল টেলিকম নেটওয়ার্ক' তৈরিতে আরেকটি ধাপ

আনহ্যাকেবল টেলিকম নেটওয়ার্ক' তৈরিতে আরেকটি ধাপ

ব্যয়বহুল অপটিকাল ফাইবার লিঙ্ক ব্যবহার না করেই কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে টেলিকম নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা বাড়ানোর নতুন এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন গবেষকরা। যুক্তরাজ্যে অবস্থিত তোশিবার ইউরোপিয়ান রিসার্চ ল্যাবরেটরি এবং কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীর তৈরি এই প্রযুক্তি ‘আনহ্যাকেবল টেলিকম নেটওয়ার্ক’ তৈরির গবেষণাকে এগিয়ে নিলো আরেকটি ধাপ। খবর রয়টার্স-এর।

কোয়ান্টাম থিওরি ব্যবহার ডেটা আনক্র্যাকেবল কোডে রুপান্তর করে কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি। বিশ্বের প্রযুক্তিগত দিক থেকে অগ্রসর দেশগুলোর গোয়েন্দা সংস্থা এবং সেনাবাহিনী এই প্রযুক্তির ব্যবহার করে বলে ধারণা করা হয়।

তবে এনক্রিপ্টেড কোড ভেঙ্গে ডেটা উদ্ধার করতে ফোটন বা আলোর ক্ষুদ্র কণার মাধ্যমে কোয়ান্টাম কি আদান-প্রদান করতে প্রয়োজন পড়তো সম্পূর্ণ আলাদা একটি অপটিকাল ফাইবার। এর ফলে ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায় এই প্রযুক্তি।

সম্প্রতি একই অপটিকাল ফাইবার ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কোয়ান্টাম কি এবং ডেটা আদান প্রদানের প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন বলে জানিয়েছেন তোশিবার বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু শিল্ড।

বিজ্ঞানীদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে, ১ মাইক্রোসেকেন্ডের ১০ কোটি ভাগের একভাগ সময়ের মধ্যে এনক্রিপ্টেড কি বাহি ফোটনটি শনাক্ত করতে সক্ষম ডিটেক্টর তৈরি করা।

তোশিবা বিজ্ঞানীদের তৈরি নতুন প্রযুক্তিতে ৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে একটি অপটিকাল ফাইবার ব্যবহার করে ডেটা পাঠানো এবং গ্রহণ করা যাবে। বিজ্ঞানী দলের সদস্য ঝিলিয়ান ইউয়ার রয়টার্সকে জানান, নতুন প্রযুক্তিটি মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষা করে দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা হবে এই প্রযুক্তি।

পৃথিবীর আরো কাছে আসছে গ্র্যাভিটি ম্যাপার

পৃথিবীর আরো কাছে আসছে গ্র্যাভিটি ম্যাপার

ক্রমান্বয়ে পৃথিবীর আরো কাছে নিয়ে আসা হচ্ছে ইউরোপিয়ান সায়েন্স এজেন্সি (ইএসএ)-এর তৈরি আল্ট্রা-লো-ফ্লাইং গ্র্যাভিটি ম্যাপিং স্যাটেলাইট ‘গোসে’ (Goce)। তীরের মতো দেখতে স্পেসক্রাফটি মিশনের বড় একটা সময় কাটিয়েছে মাটি থেকে ২৫৫ কিলোমিটার উপরের বয়ুমণ্ডলে, যা অন্যান্য স্যাটেলাইটের তুলনায় ৫০০ কিলোমিটার নিচে। খবর বিবিসির।

গোসে গ্র্যাভিটি ম্যাপার স্যাটেলাইটের মূল কাজ হচ্ছে, পৃথিবীকে ঘিরে ঘুরে পৃথিবীর সব জায়গার মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ম্যাপ তৈরি করা এবং সাগরের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করে পরিবেশ পরিবর্তন সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা।

স্থান বিভেদে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ক্ষুদ্রতম পার্থক্য ধরতে পারে গোসে স্যাটেলাইটের গ্র্যাডিওমিটার। তবে স্যাটেলাইট থেকে আরো বিস্তারিত তথ্য পাবার লক্ষ্যে গোসেকে ২৫৫ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে নামিয়ে ২৩৫ কিলোমিটারে আনছেন বিজ্ঞানীরা।

অগাস্ট মাস থেকে প্রতিদিন গোসের ওড়ার উচ্চতা ৩০০ মিটার কমিয়ে আনছেন বিজ্ঞানীরা। এ হারে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে স্যাটেলাইটটি ২৩৫ কিলোমিটার উচ্চতায় নেমে আসবে বলে আশা করছেন তারা।

তবে এতো কম উচ্চতায় ওড়ার কারণে নানা ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে স্যাটেলাইটটিকে। ঝড়োবাতাস বা খারাপ আবহাওয়ার কারনে নিজের কক্ষপথ থেকে সরে আসতে পারে স্যাটেলাইটটি। আর কোনো কারণে গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্যাটেলাইটটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে, দু’দিনের মধ্যেই যদি নিয়ন্ত্রণ ফিরে না পাওয়া গেলে তৃতীয় দিনেই পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে স্যাটেলাইটটি।

তবে এখন কক্ষপথে টানা ৫০ সপ্তাহ ওড়ার মতো যথেষ্ট জ্বালানী রয়েছে গোসে স্যাটেলাইটটির। জ্বালানী শেষ হয়ে গেলে বায়ুমণ্ডলে এনে স্যাটেলাইটটি ধ্বংস করে দেবন বিজ্ঞানীরা। তবে তার আগেই হাতে চলে আসবে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নিয়ে অতি প্রয়োজনীয় তথ্য।