রবিবার, ৫ মে, ২০১৩

'বোকাফোন' টপকে শীর্ষে স্মার্ট


'বোকাফোন' টপকে শীর্ষে স্মার্ট

‘বোকাফোন’ শব্দটা শুনে অবাক হওয়ার কিছু নেই। প্রযুক্তির অগ্রগতির এই যুগে স্মার্টফোন ছাড়া বাকি সব মোবাইল ফোনকেই এক কাতারে ফেলে এবিসি নিউজ নাম দিয়েছে ‘ডাম্বফোন’, সরাসরি বাংলা করলে যা দাঁড়ায় ‘বোকাফোন’। আর এই বোকাফোনকে টপকে বিশ্বব্যাপী বিক্রির দিক দিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন।

এবিসি নিউজ জানিয়েছে, ২০১৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে স্মার্টফোন নির্মাতারা বিশ্বব্যাপী ২১ কোটি ৬২ লাখ স্মার্টফোন সরবরাহ করেছে। ২০১২ সালের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৫ কোটি ১৭ লাখ। পরিসংখ্যানের হিসেবে, ২০১২ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ২০১৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে স্মার্টফোন বিক্রি বেড়েছে ৪১.৬ শতাংশ।

স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তা বাড়ার এই ব্যাপারটির ব্যাখ্যা দিয়ে আইডিসির বিশ্লেষক বলেন, “মোবাইল ফোন দিয়ে শুধু কল করা আর এসএমএস পাঠানোর দিন শেষ। ক্রেতারা এখন পকেটে একটা কম্পিউটার রাখতে চান।”

গুগলের 'এক্স ফোন'


গুগলের 'এক্স ফোন'

মটোরোলা মোবিলিটির ব্যানারে এবার নিজস্ব ডিজাইনে স্মার্টফোন বানাচ্ছে ইন্টারনেট জায়ান্ট গুগল। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট বিজিআর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী গুগলের বানানো স্মার্টফোনটি প্রাথমিক অবস্থায় চিহ্নিত করা হচ্ছে ‘এক্স ফোন’ নামে। বৃহস্পতিবার প্রযুক্তিবিষয়ক বিভিন্ন সাইটে ছড়িয়ে পড়ে গুগলের ‘এক্স ফোন’-এর ছবি। এ মাসের শেষের দিকেই গুগল স্মার্টফোনটি নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে বলেও জানিয়েছে বিজিআর।

১২৪০ কোটি ডলারে মটোরোলা মোবিলিটি কিনে নেবার পরও মোবাইল ফোন বাজারে ওএস ছাড়া গুগলের বড় কোন সাফল্য নেই বললেই চলে। তাই গুগল সরাসরি নিজস্ব ডিজাইনে মোবাইল ফোন বানাচ্ছে, এমন গুজব শোনা যাচ্ছিলো বেশ কিছুদিন ধরেই। 

বৃহস্পতিবার অনলাইসে ফাঁস হয়ে যায় গুগলের ‘এক্স ফোন’-এর ছবি। এদিকে স্মার্টফোনটির মূল ফিচারগুলো আবিষ্কারের দাবি করেছে নাইনটুফাইভগুগল। সাইটটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্মার্টফোনটি চলবে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২ জেলি বিন অপারেটিং সিস্টেমে। 

অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ৪.৭ ইঞ্চির এইচডি ডিসপ্লে, ৩২ জিবি ইন্টারনাল মেমোরি এবং ২ জিবি র‌্যাম। একসঙ্গে ২৫টি রংয়ের কেসিংয়ে বাজারে পাওয়া যাবে স্মার্টফোনটি, এমনটাও দাবি করেছে নাইনটুফাইভগুগল।

গ্রাফিক্স চিপ 'আইরিশ' আনছে ইনটেল


গ্রাফিক্স চিপ 'আইরিশ' আনছে ইনটেল

বাজারে আসন্ন ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটারের মতো পণ্যে ‘আইরিশ’ নামে গ্রাফিক্স চিপ যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে চিপ জায়ান্ট ইনটেল। প্রযুক্তি সংবাদবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই চিপ থাকার ফলে ব্যবহারকারীদের আর আলাদা গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না।

‘আইরিশ’ চিপ চতুর্থ প্রজন্মের ইনটেল কোর ‘হ্যাশওয়েল’ প্রসেসরে সংযোজিত হবে। এছাড়া ইউ এবং মোবাইল এইচ সিরিজের আলট্রাবুক এবং হাই-পারফরমেন্স ল্যাপটপগুলোর জন্য তৈরি তৃতীয় প্রজন্মের ইনটেল কোর ‘আইভি ব্রিজ’-এ আইরিশ চিপ ব্যবহারে থ্রিডি গ্রাফিক্সের পারফরমেন্স দ্বিগুণ হবে।

মোবাইল এইচ এবং আর-সিরিজের আইরিশ গ্রাফিক্সে দ্রুতগতির ই ডিআরএএম মেমোরি থাকবে। ছবি এবং ভিডিও দ্রুত এডিট করার জন্য থাকবে কুইক সিংক ভিডিও টেকনোলজি এবং এমজেপিইজি এক্সেলারেশন। এছাড়া, ওপেনসিএল এবং ডিরেক্টএক্স ১১.১ ডিসপ্লে ছাড়াও আলট্রা এইচডি ডিসপ্লের রেজুলিউশনও সাপোর্ট করবে আইরিশ।

এবার কাগজেই রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি চিপ


এবার কাগজেই রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি চিপ

উন্নত প্রযুক্তির একধরনের কাগজ তৈরি করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা, যাকে মেশিনের সাহায্যে শনাক্ত করা যাবে। সংবাদ সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, এই কাগজগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন চিপ।

ব্যাংকনোট, আইনি দলিল বা প্রতিষ্ঠানের লেবেলসহ নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে এই কাগজ ব্যবহার করা যাবে। এ কাগজে তৈরি ব্যাংকনোট বা দলিলটি আসল না নকল, তা মেশিনের মাধ্যমে সহজেই শনাক্ত করা যাবে।

আরএফআইডি মেশিনে মূল কাগজ শনাক্ত করতে লেজার ব্যবহার করা হয়, যা কাগজের ইলেকট্রনিক চিপগুলোকে শনাক্ত করে। বাজারে বর্তমানে এ ধরনের কাগজ থাকলেও, তা অনেক পুরু। ফলে তা সাধারণ প্রিন্টারে প্রিন্ট করার উপযোগী নয়। নতুন প্রযুক্তিতে প্লাজমা ইচার ব্যবহার করে চিপগুলোকে আরও পাতলা করা হয়েছে।

অন্যান্য পদ্ধতির চেয়ে এই প্রযুক্তি সাশ্রয়ী বলে জানান প্রকল্পটির প্রধান অধ্যাপক ‌ভ্যাল মারিনোভ।

সংঘর্ষ হতে পারে মহাকাশেও!


সংঘর্ষ হতে পারে মহাকাশেও!

পৃথিবীর কাছের মহাকাশে বিভিন্ন সময়ে পাঠানো ভাসমান ধ্বংসাবশেষ ও জঞ্জালগুলোর সঙ্গে প্রদক্ষিণরত কৃত্রিম উপগ্রহের সংঘর্ষ হতে পারে যে কোনো সময়। সম্প্রতি ষষ্ঠ ইউরোপিয়ান ডেব্রিস সম্মেলনে মহাকাশবিজ্ঞানীরা বিষয়টি জানান। এক প্রতিবেদনে সম্মেলনটির  বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

মহাকাশ গবেষকরা জানিয়েছেন, ১০ সেন্টিমিটার আকৃতির প্রায় ৩০ হাজার ধ্বংসাবশেষ প্রতিনিয়ত পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। এসবের বেশিরভাগই হল পুরনো কৃত্রিম উপগ্রহ এবং রকেটের বিচ্ছিন্ন অংশবিশেষ। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে আগে পাঠানো বিভিন্ন মহাকাশযানের অংশবিশেষ।

উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এসব মহাকাশ আবর্জনার অনেকগুলোর মধ্যে এখনও রয়েছে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ও জ্বালানি। ফলে এদের সংঘর্ষের ফলাফল হবে খুবই বিপজ্জনক। আর তাই এসব মহাকাশের বর্জ্য সরাতে গবেষকরা একমত হয়েছেন। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে, পৃথিবীর কাছাকাছি মহাকাশে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

তবে এগুলো সরানোর ক্ষেত্রেও রয়েছে জটিলতা। অধিকাংশ ধ্বংসাবশেষই হল ছোট আকারের, যা রেডারে ধরা পড়ে না। এছাড়াও কক্ষপথে বিভিন্ন সক্রিয় কৃত্রিম উপগ্রহ রয়েছে। অনাকাক্সিক্ষত সংঘর্ষের ফলে যে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তার প্রভাব পড়বে সমগ্র বিশ্বে।