রবিবার, ১ মার্চ, ২০১৫

টাকা দিয়ে সুখ পাওয়ার উপায়

সম্প্রতি ভারতীয়বংশোদ্ভূত এক গবেষকের গবেষণার ফলাফল এই ইঙ্গিত দিয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে বস্তুগত বিষয়ে অর্থ খরচের চাইতে টাকা খরচ করে কোনো কিছু করা বা অভিজ্ঞতা অর্জন করলে বেশি স্থায়ী সুখ পাওয়া যায়।
গবেষকরা দেখতে পান, কোনো জিনিস পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করার চাইতে কোনো কিছুর অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে আনন্দ, উত্তেজনা ও সুখ বেশি অনুভূত হয়।
প্রধান গবেষক কর্নেল ইউনিভার্সিটির অমিত কুমার ব্যাখ্যা করে বলেন, “বস্তুগত কোনো বিষয়ে অর্থ খরচ করার পরিকল্পনার ব্যাপারে যে অপেক্ষিক অস্থিরতা কাজ করে সেটার চাইতে কোনো অভিজ্ঞতা অর্জনের ক্ষেত্রে অর্থ খরচ করার আনন্দ অনেক বেশি।

ছবি: রয়টার্স।
ফলাফলের ভিত্তিতে গবেষকরা জানান, এই কারণেই হয়ত কোনো কিছু কেনার ক্ষেত্রে অপেক্ষা করার বিষয় চলে আসে।সংক্ষেপে বলা যায়, ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা, ডিনার পার্টি এবং সামনে হতে যাওয়া কনসার্ট দেখতে যাওয়ার অপেক্ষা থেকে বেশি সুখ পাওয়া যায়।
গবেষণাটি সাইকলজিকল সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়।

দুধের অজানা কিছু উপকারিতা

  • ছবি: রয়টার্স।
    ছবি: রয়টার্স।
দুধের বেশ কিছু উপকারিতা আছে যা অনেকেরই অজানা।
পুষ্টিবিষয়ক একটি সাইটে দুধের এমনই কিছু উপকারিতা তুলে ধরা হয়। ওই বিষয়গুলো এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো।
ক্লান্তি দূর করে
সারাদিনের ব্যস্ততার পর ক্লান্তি দূর করতে দারুণ উপকারী এক গ্লাস গরম দুধ। কারণ গরম দুধ ক্লান্ত পেশী সতেজ করতে সাহায্য করে। তাছাড়া দুধ খাওয়ার ফলে শরীরে মেলটনিন ও ট্রাইপটোফ্যান হরমোন নিঃসৃত হয়, আর এই হরমোনগুলো ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে।
ক্ষুদা কমায়
Print Friendly and PDFযারা শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে চান তারা দুধ এড়িয়ে চলেন। তবে অনেকেই জানেন না, দুধ অতিরিক্ত ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন খানিকটা দুধ পান করলে তা অনেকটা সময় ক্ষুধা কমিয়ে রাখতে সাহায্য করবে।
হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
দুধে রয়েছে পটাশিয়াম যা হৃদপিণ্ডের পেশী সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া এর খনিজ উপাদান হৃদপিণ্ড সতেজ রেখে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। যারা ওজন কমাতে চান এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তারা নিশ্চিন্তে কম ফ্যাটযুক্ত দুধ পান করতে পারেন।
নরম ও ঝলমলে চুলের জন্য
দুধে আছে প্রচুর ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা চুলের জন্য দারুণ উপকারী। তাছাড়া দুধের ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড়ের জন্য জরুরি। চুল লম্বা পেতে এবং চুল পড়ার সমস্যা কমাতেও সহায়ক দুধের বিভিন্ন খনিজ উপাদান।
পেটের জন্য উপকারী
পাকস্থলীর অভ্যন্তরে দুধ আলাদা স্তর তৈরি করে। যা হজমের জন্য নিঃসৃত রস যা গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড থেকে তৈরি প্রদাহ প্রতিরোধ করতে পারে। এছাড়া দুধের ক্যালসিয়াম অ্যাসিড নিষ্কৃয় করতে পারে। তাই হাইপারঅ্যাসিডি থেকে রক্ষা করতে পারে দুধ।
তবে হাইপারঅ্যাসিডির সমস্যা কারণে অনেকেই দুধ খাওয়া বাদ দিয়ে থাকেন।

সবসময় ভুল ধরা ভালো নয়

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই ফলাফল পাওয়া গেছে।
দেখা গেছে, নেতিবাচক মনোভাবের কর্মচারীরা সাধারণত মানসিকভাবে বিষাদগ্রস্ত হয় আর আত্মরক্ষামূলক আচরণ করে। এবং চাকরিচ্যুত হওয়ার অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হয়।
“পরিহাসের বিষয় হচ্ছে, যখন মানুষ বিষাদগ্রস্ত হয় তখন তারা সমস্যা তুলে ধরতে খুব কমই পছন্দ করেন।” বলেন এই গবেষণার সহকারী রচয়ীতা মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক রাসেল জোহানসন।
তিনি আরও বলেন, “উপরন্তু, এই ধরনের মানুষরা নিজেদের কাজের মান নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় থাকে, সহজে সহযোগিতা এবং সাহায্য করতে চায় না। এমনকি খুবই বাজে ব্যবহারও করে। যেমন মৌখিকভাবে অন্যকে অবনামনা করা বা অন্যের কাজ চুরি করা।”
এই গবেষণার জন্য দুই ধরনের জরিপে প্রায় ৩শ’র উপর বিভিন্ন পেশার মানুষ যেমন- হিসাবরক্ষক, খুচরা ব্যবসায়ের কর্মচারী, উৎপাদন এবং স্বাস্থ্যকর্মী যুক্ত করা হয়।
জোহানসন জানান, যেসব কর্মচারী নিয়মিত অন্যের ভুল ধরেন তারা মানসিকভাবে বিষাগ্রস্ত থাকতে পারে। প্রায়ই সহকর্মীদের ভুল ধরার কারণে নিজেদের সম্পর্কের মধ্যে চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি করেন।
তিনি আরও বলেন, “প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে সচেতন না থাকাটা আমাদের গবেষণার উদ্দেশ্য নয়, কারণ এটা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সবসময় নেতিবাচক বিষয়ে কথা বললে একক ব্যক্তির উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।”
গবেষণাটি অনলাইনে জার্নাল অব অ্যাপলাইড সাইকোলজি’তে প্রকাশিত হয়।

সপ্তাহের রাশিফল

শনিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

বিয়ের প্রথম বছরটি যৌন জীবনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন

বিয়ের প্রথম বছরটি যৌন জীবনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন
বিয়ের প্রথম বছরটি দাম্পত্য জীবনের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়টাতে নতুন করেই সবকিছু শুরু করতে হয় সকলকে। এই সময়েই বোঝা যায় দাম্পত্য জীবনে কতোটা সফলতা আসতে পারে। যদিও সময় গেলে অনেক গভীরতা আসে সম্পর্কে কিন্তু তারপরও প্রথম বছরেই স্বামী ও স্ত্রী নিজেদের একে অপরের মনে স্থান করে নিতে যথাসম্ভব চেষ্টা করে চলেন। বিয়ের প্রথম বছরেই পুরো জীবনের পরিকল্পনার ভিত্তি তৈরি হয়ে যায়। তাই এই সময়টা দাম্পত্য জীবনের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
১) নতুন মানুষটিকে চিনে নেওয়ার সময় এটিই: ‘আরেঞ্জ ম্যারেজ’ বলুন বা ‘লাভ ম্যারেজ’ বিয়ের পর নতুন একটি পরিবেশে নতুন করে সব কিছু বুঝে নিতে হয়। যাকে প্রেমিক হিসেবে চিনতেন অথবা যাকে একেবারেই চিনতেন না তাকে নতুন করে চিনে নেয়ার সময় এটিই। এই সময়টাতে একেঅপরকে ভালো করে চিনে নিতে পারলে দাম্পত্য জীবন সুখে হয়।
২) এই প্রথম বছরেই বেশি সময় একসাথে কাটানো যায়: একে অপরকে বোঝার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে একসঙ্গে সময় কাটানো। একজন আরেকজনের কথা মন দিয়ে শোনা এবং অপর মানুষটিকে বোঝার চেষ্টা করা। প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হলেও অনেকটা সময় একসঙ্গে কাটানো যায় বলে একে অপরের পছন্দ-অপছন্দ জানা যায় এবং পার্টনারের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মনোভাব তৈরি হয়। এতে করে দাম্পত্য সম্পর্ক গভীর হতে থাকে।
৩) শেয়ার করার জিনিসগুলো: একটি ঘরের সবকিছু, বেডরুম, রান্নাঘর, জিনিসপত্র সব শেয়ার করার বিষয়টির উপরেও কিন্তু দাম্পত্য জীবনের অনেক কিছু নির্ভর করে থাকে। প্রথম বছরেই সঙ্গী সম্পর্কে অনেক কিছু শিখে নেয়া যায় সামান্য শেয়ারিংয়ের মনোভাব থেকে।
৪) দাম্পত্য কলহের সম্ভাবনা: কোনো দম্পতি একেবারেই কখনও ঝগড়া করেননি বিষয়টি অসম্ভব। ঝগড়া, দাম্পত্য কলহ সকল দম্পতিদের মধ্যেই দেখা যায়। কিন্তু বিয়ের প্রথম বছরেই সঙ্গীর পছন্দ অপছন্দ বুঝে নেওয়া, ছোটোখাটো বিষয়ে সঙ্গীর রিঅ্যাকশন সব দেখে বুঝে নেওয়া যায় আপনাদের দাম্পত্য কলহ হলে তা কতটা খারাপ রূপ নিতে পারে। তাই বিয়ের প্রথম বছর থেকেই কিছু জিনিস শিখে নিয়ে এড়িয়ে চলা যায় কঠিন কিছু কলহ।
৫) ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: বিয়ের প্রথম বছরটিতেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে নেওয়ার বিষয়টি দাম্পত্য সম্পর্ক অনেক সহজ করে তোলে। ভবিষ্যতে কি হবে, কতটা ম্যানেজ করে চলা যাবে, সন্তান কখন নেওয়ার কথা ভাবা হবে-এই সব কিছুর পরিকল্পনা করে নেওয়ার সঠিক সময় বিয়ের প্রথম বছর।