শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬

সাফল্যের আকাশ ছুয়ে দেখতে চান, লেগে থাকুন অটুট লক্ষে


সাফল্যের আকাশ ছুয়ে দেখতে চান, লেগে থাকুন অটুট লক্ষে…


আমরা সবাই জীবনে সফলতার জন্য মুখিয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের অনেকেরই নাই নির্দিষ্ট কোন লক্ষ। জীবনে কোন পর্যায়ে যেতে চাই, বড় হয়ে কি হতে চাই তা অধিকাংশ মানুষের কাছে জিজ্ঞাসা করলেই বলতে পারে না। কারন তদের নির্দিষ্ট কোন লক্ষই নাই। আবার অনেককে পেয়েছি যারা তাদের লক্ষের সাথে কোন ভাবেই কম্প্রোমাইজ করতে রাজি না। তাদের একটাই চাওয়া যা কিছুর বিনিময়ে হোক তাকে লক্ষে পৌছাতে হবে।
আমাদের অনেকের লক্ষ স্থির আবার অনেকের দোদুল্যমান। একটু ঝড়ো বাতাসেই শুকনা পাতার মত উড়ে যায়। ছোট বেলায় জীবনের লক্ষ কখনও ঠিক করে দেওয়া হয় আবার কখনও বা সিদ্ধান্ত নিজেকে নিতে বলা হলেও থাকে কয়েকটি বেঁধে দেওয়া পছন্দ অপছন্দের বিষয়। ফলাফল যে কাজটি করতে ভাল লাগে না তার সাথেই উঠাবসা করতে হয়। কিছুদিন পর শুরু হয় সেখান থেকে ছুঁটে পালানোর চেষ্টা। আর জীবনের লক্ষের স্থান হয় বাংলা বইয়ের রচনা অধ্যায়ে।
ছোট বেলায় যখন যেটা ভাল লাগত সেটাই হতে মনে চাইত। কখন বা বিমান চালানোর ইচ্ছা হত, কখনও আবার ঝালমুড়িওয়ালা আবার কখনও বাসের ড্রাইভার আবার কখনও বন্দুক হাতে পুলিশ হয়ে চোর ধরার প্রচেষ্টা। পড়াশুনার শুরুতে প্রায়ই মনে হত শিক্ষক হব। এমন অজস্র হওয়ার ইচ্ছা থেকে আসলে যে কি হব সেটাই বুঝতে না পারাটা হয়ে দাড়িয়েছে প্রধান সমস্যা।
সাইন্স, আর্টস, কমার্সের বাইরে বের হয়ে আমরা কেন চিন্তা করতে পারছি না। আমাদের তো আরও অনেক কিছু হওয়ার আছে। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ছাড়াও তো আরও পেশা আছে। আমাদের চিন্তা ভাবনার যতটুকু পেশার মধ্যেই আটকে থাকছে কেন। আমাদের চিন্তা শক্তির সবটুকু কাজে লাগিয়ে নিজের ইচ্ছাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে নিজের ভাল লাগার কাজকে কেন গ্রহন করতে পারছি না। হ্যা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারও দরকার আছে। তাই বলে যে সবাইকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য ছুটতে হবে সেটাও নয়।
লক্ষ নির্দিষ্ট করুন কি হতে চান। তারপর কাজ একটাই সেই লক্ষের পানে ছুটতে থাকুন। লক্ষে পৌছাতে হলে লেগে থাকার কোন বিকল্প নেই। আপনাকে খেলতে হলে ১২০ মিনিট খেলার মত দম নিয়ে মাঠে নামতে হবে। ৯০ মিনিটে খেলা শেষ নাও হতে পারে। ১০-১৫ মিনিট খেলে মাঠ থেকে বিদায় নেয় তো ভীরুর দল। আরে জয় পরাজয় তো পরের ব্যাপার আগে তো মাঠে খেলুন। সেই সাথে পায়ে বল রাখার চেষ্টা করুন যাতে গোলের সাফল্য আপনার কাছ থেকেই আসে।
ছোট বেলা থেকে আমাদেরকে নিজের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছে। কারও সাথে কোন কিছুর শেয়ার করার বিষয়টি শেখানো হয়নি। যার ফলাফল স্যাররা যা শিখিয়েছে তার বাইরে কিছু শিখতেও পারিনি। আমাদের মা-বাবা ছোট বেলা থেকে শিখাচ্ছে স্কুলে সবার থেকে ভাল করতে হলে কাউকে কিছু দেখানো যাবে না। হোমওয়ার্ক বা নোট কাউকে দেয়া যাবে না। ও যদি তোমার নোট পেয়ে যায় তো তোমার থেকে পরীক্ষায় ভাল করবে। তোমাকে হতে হবে সবার থেকে আলাদা।
কিন্তু এই আলাদা কিছুই যে তাকে নেতিবাচক দিকে টেনে নিচ্ছে তা কি কখনও ভেবে দেখেছি। বড় হয়েও সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। তার কর্মস্থলেও সে আলাদা হওয়ার চেষ্টায় থাকছে। কারও সাথে অফিসের কোন কাজের ব্যাপারেও শেয়ার করছে না। কোন কাজে প্রবলেমে পড়লেও তা নিজেই চেষ্টা করছে সমাধান করার। যা তার বস বা সহ কর্মীর সাথে শেয়ার করলে হয়ত সহজেই সমাধান করতে পারত। সেই সাথে নিজেকেও পরবর্তীতে চাকুরি হারানোর মতসমস্যায়ও পড়তে হত না।
পারিবারিক ভাবে জীবনের লক্ষ নির্দিষ্ট না করে দিয়ে তাকে সুযোগ দেওয়া উচিৎ তার লক্ষ নিয়ে কাজ করার। যে যার ভাল লাগার বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে পারলে সাফল্য তার সুনিশ্চিত। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা যে ছেলেটি হয়ত তার গ্রামের বাজারের বাইরে আসে নি সেই কিনা ছুটে বেড়িয়েছে বিশ্বের বড় বড় শহর গুলোতে তার লক্ষের শেষ সীমানায় পৌছাতে। যে সুপারির পাতার খোলে চড়ে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখেছে সেই তার লক্ষে পৌছে আকাশ ছুয়েছে।
জীবনে সাফল্য পাওয়া অনেক কঠিন কিছু নয়। যারা সফল হয় তারাও আপনার মত একই কাজ করে কিন্তু লেগে থেকে। তাদের ঘাড়ের ওপর দুইটা মাথা নয় একটাই। লক্ষটাকে স্থির রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যান। সাফল্য আপনার গলায় মালা হয়ে ঝুলবে। জীবনে করেকটা বছর পরিশ্রম করে কাটালে যদি বাকীটা জীবন ভাল থাকা যায় তবে লক্ষ স্থির না করে অবহেলায় সময় কাটানোই বোকামী

ক্যারিয়ার এ নেটিশ করা নিয়ে কিছু কথা


ক্যারিয়ার এ নেটিশ করা নিয়ে কিছু কথা….



12096433_632150170222108_9257992418377856_nআজ আমাকে কাছের একজন বন্ধু ইংরেজীতে জিজ্ঞাসা করেছিল আমার নাম্বার কত? আমি কিছু না ভেবেই আমার মোবাইল নাম্বার বলা শুরু করলাম। সে আমাকে পরমূহুর্তে বলতে শুরু করল আমি তোমার মোবাইল নাম্বার জানতে চাই নাই। ওটা আমার মুখস্থ আছে। বুঝতে বাকি রইলনা সে আমার বয়স জানতে চেয়েছিল। আমি কিছু বলার আগেই বলতে শুরু করল সময় বদলেছে সংখ্যার হিসেবে আস….
মাসুদুর রহমান মাসুদ আমন্ত্রন জানাচ্ছি আপনাদের একটু সংখ্যার হিসাব কষে দেখতে। আমরা অনেকেই চাকুরি করছি অনেকদিন ধরেই। কিন্ত সংখ্যার হিসেবটা সেভাবে মিলাতে পারি না। যা অপ্রয়োজনীয় তা আগে উপস্থাপন করি। পরে আসি যা বস জানতে চেয়েছিল সে জায়গাতে। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার প্রবণতা আর কি…বিশেষ করে মার্কেটিং এর চাকুরিতে যারা আছি তাদের মধ্যে এ প্রবণতাটা আরও বেশী।
নেটিশ করা শিখুন কিভাবে করতে হয়। আমার মনে হয়, দিয়ে কথা বলা বাদ দিন। সংখ্যায় কথা বলুন। সংখ্যায় নেটিশ করুন। কারন আপনি আমার দেশের ষোল কোটির একজন। আপনার কি মনে হয় সংখ্যায় নোটিশ এত গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনাকে নোটিশ করা জানতে হবে। আপনি অফিসে নতুন চাকুরি নিয়েছেন। এটা ভাল লাগছে না। এই অফিসের এই নিয়ম ভাল না। তো খাবার ভাল না। এটা এমন কেন তো এটা এমন হওয়া উচিৎ ছিল। বাথরুমে তোয়ালে নাই টিস্যু নাই। এগুলো নিয়ে কথা বলে নিজেকে নোটিশ করার দরকার নাই। ভাই সময় নেন। প্রথমে দ্যাখেন, শুনেন, বুঝেন। মানিয়ে চলেন এখানে এটা নেই। তাহলে এটা থাকে না। হুম এটা ‍এভাবেই হয় এখানে। এখানের বাথরুমে তোয়লে টিস্যু থাকে না। এভাবে চার পাঁচ বছর যাক আপনি নিজের অবস্থান তৈরী করেন, বস হোন, এবার আসেন এই সেই বাথরুম…
কেউ আপনাকে কিছু বললে আপনি তাকে বুঝিয়ে দেন কিভাবে পয়েন্ট নিতে হয় বসের কাছ থেকে। আবার কোথাও আপনার পয়েন্ট হারালে সেটা কিভাবে নিতে হয় তা বোঝাতে গিয়ে মাঝে মাঝে বসের কাছে নোটিশ হন। এভাবে শুরু করতে করতে দেখা যায় নানা ঝামেলায় জড়িয়ে শেষ পর্যন্ত চাকুরি নিয়েই টানাটানি করা শুরু হয়ে যায়। এ জাতীয় পলেটিক্স বাদ দিয়ে প্রশংসা করা করুন আপনার সহকর্মীর কাজের। প্রশংসা করা অনেক বড় একটি কাজ যা করতে পারে না অনেকেই। যার ফলাফল কর্মক্ষেত্রে নানান ঝামেলা বাড়াতে থাকে।
পরিসংখ্যান নামে একটা সাবজেক্ট আছে ব্যবসায় শিক্ষার ছাত্ররা পড়েছেন। যেটা পড়তে গিয়ে বহুবার হয়ত বলেছেন এই স্বাবজেক্ট কি কাজে আসবে ভবিষ্যতে? কোন একটি মেলায় অংশগ্রহন করার জন্য আপনার বস আপনাকে দায়িত্ব দিল ষ্টল নেওয়ার জন্য। আপনার কাছে জানতে চাইল ষ্টল পাওয়া গেছে কিনা সে সম্পর্কে। আপনি বলা শুরু করলেন বস ঈদের সময়, চাপ অনেক, এই আবলা আবলা ইত্যাদি ইত্যাদি পরে বললেন এখনও পাইনি। কিন্তু আপনার বসকে নোটিশ করেন বস এখনও পাইনি। চেষ্টা করছি। এই সমস্যা এখানে। কিন্তু তা না করে মুল বিষয়ের সাথে লেজ লাগিয়ে টানা হেচড়া শুরু করি।
মেলায় অংশগ্রহন করেছেন দিন শেষে আপনার বস জানতে চাইল। আপনি তাকে নোটিশ করা শুরু করেলেন বস ফাটায় ফেলছি একবারে, বহু লোক আসছিল, তারা ব্যপক সাড়া দিছে, একবারে ধুমমমম তাড়াক্কা অবস্থা। ‍এবার আপনার বস জানতে চাইল কত বেচেছ? আপনি মুখ কাচুমাচু করে ১৫০০ টাকা। এভাবে নোটিশ না করে সংখ্যায় করেন। বস মেলায় যারা আসছিল তাদের মধ্যে এত শতাংশ আমাদের শো রুম ‍ভিজিট করেছে, এত শতাংশ ভাল সাড়া দিয়েছে আমরা এত শতাংশ লোকের কাছে মোট এত টাকা বিক্রি করতে পেরেছি। আপনার বসও যে ব্যাপারটি যে বুঝেন না তা নয়।
ধৈয্য ধরুন। আপনি আপনার নেটিশ টা সঠিক পথে করুন। সংখ্যা পদ্ধতি প্রয়োগ করুন। আপনার সময়ের জন্য অপেক্ষা করুন আর কাজের প্রতি শ্রদ্ধা নিয়ে মনোযোগের সাথে বুদ্ধিমানের মত কাজ করে যান । আপনার ক্যারিয়ারের সাফল্য কে ঠেকায়…

আগামীর উদ্যোক্তা

ছাত্র থেকেই শুরু হোক ব্যবসা যদি হতে চান আগামীর উদ্যোক্তা…..

11949491_618495944920864_4624468202716503951_nআপনাদের অসংখ্য অনুরোধের পরিপেক্ষিতে লিখাটি প্রকাশ করছি। যদিও লিখাটি প্রকাশ করতে গিয়ে নিজেকে দাড় করাতে হয়েছে অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জের সামনে। ধৈয্য সহকারে লেখাটি পড়ার জন্য আমন্ত্রন জানাচ্ছি সকলকে….
আমাদের দেশের কাধে বেকারত্বের হার প্রতি বছরই বাড়ছে। সরকার পারছে না তাদেরকে সুযোগ তৈরী করে দিতে। আর আমাদের নিজেদের মানুষিকতারও পরিবর্তন ঘটাতে পারছি না আমরা। এর পেছনের কারন খুঁজতে চলুন ফেলে আসা সময়ে একটু ঘুরে আসি…. বৃটিশ আমাদের অনেক কিছুই শিক্ষা দিয়েছে কিন্তু আমরা আজও তা অনুভব করতে পারিনি। বাঙালীর হাতে চায়ের কাপ তুলে দিয়ে নিজেদের ব্যবসাকে সে সময় করেছিল সমৃদ্ধ এই বৃটিশ। নীল চাষে বাংলার কৃষকদের বাধ্য করে মসলিন কারিগরদের সমৃদ্ধ ব্যবসার ইতি টানতেও বাধ্য করেছিল তারা।
বৃটিশরা নিজেরা ব্যবসায়িক সফলতার শীর্ষে থাকলেও তারা এ বাংলার মানুষের মনে দাসত্বটা ঢুকিয়ে দিয়ে গেছে। তারা বাঙালীর মনে খুব ভালভাবে ঢুকিয়ে দিয়ে গেছে যে চাকুরীতেই সম্মান আর নিশ্চয়তা। আর আজও আমরা সেই শৃঙ্খল ভাঙতে পারিনি। নিজেকে তাই চাকর যার শ্রুতিমধুর উচ্চারন চাকুরীর মধ্যে আটকে রেখেছি।
সেই বৃত্ত থেকে নিজেকে বের করে আনতে হবে। প্রতিষ্ঠিত করতে হবে নিজের স্বকীয়তাকে। প্ররিশ্রম আর মেধার সমন্বয় করতে হবে ছাত্র জীবন থেকেই। আপনি নিশ্চয় জানেন ছাত্র জীবনের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ উক্তিটি। সময় ও স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না। তাহলে আপনি কেন ছাত্র অবস্থায় ব্যবসা করতে পারবেন না? আপনি লেখাপড়া শেষ করবেন তারপর ব্যবসা করবেন ততদিনে আপনি আপনার জীবন থেকে কতটা বছর পিছিয়ে পড়বেন তা কি ভেবেছেন? যে সময়ে এসে পড়াশুনা শেষ করবেন ততদিনে আপনার ব্যবসায়িক জীবনে প্রতিষ্ঠাও পেয়ে যেতে পারেন।
আপনি প্রথমত সিদ্ধান্ত নিন আপনি কি শিক্ষা জীবন শেষে শিক্ষিত চাকর হবেন নাকি নিজেই হবেন শিক্ষিত চাকরদের বস?
আপনি পড়াশুনা করেন, কি ধরনের ব্যবসা করবেন পড়াশুনার পাশাপাশি? পড়াশুনার সাথে ব্যবসা করার টাইম কিভাবে ম্যানেজ করবেন? আপনার পারিবারিক ভাবে কতটা সাপোর্ট পাবেন? পড়াশুনা আর ব্যবসা দুটো একসাথে কি করে করা সম্ভব? এসব প্রশ্ন জট থেকে বেড়িয়ে আসুন।
নিজেকে স্থির করুন আপনার দুটোই করা সম্ভব। প্ররিশ্রম আর মেধাকে কাজে লাগান। লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে কাজে নেমে পড়ুন। আর ব্যবসার আয়কে ভবিষ্যতের বড় বিনিয়োগ করতে সঞ্চয় করুন।
ছোট থেকে কিছু করার চেষ্টা করুন। শর্টকাটে বড় হওয়ার চিন্তা মাথায় থাকলে আগে থেকেই বাদ দিয়ে দিন। বিলগেটস এর থেকে বড় ধনী হতে আপনাকে খুব বেশী ভাল ছাত্র হতে হবে না। তবে ধৈয্যের প্রয়োজন হবে। লেগে পড়ে থেকে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা খুজতে হবে। সুযোগের সদ্ব্যবহার করা জানতে হবে। আপনার কাজ নিয়ে যে যা মন্তব্য করুক তাতে আপনার কি যায় আসে? আগে আপনি সন্তুষ্ট হন আপনি যে কাজ করবেন তার ওপর।
কত ধরনের ব্যবসা মানুষ করছে? আপনার কাছে যেটা পছন্দ তা থেকেই বেছে নিন না একটা। হতে পারে সেটা মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসা, কিংবা কোচিং সেন্টার, নার্সারী কিংবা বাড়িতে বসেই হাস, মুরগী, কোয়েল পাখি পালন, গরুর মাংশ উৎপাদন অথবা দুগ্ধ খামার। কবুতর পালন করে মুক্তির স্বাদও নিতে পারেন নিজেকে সাবলম্বী করে।
বেকারত্ব ঘুচাতে করে ফেলতে পারেন হস্ত কিংবা কুটির শিল্পের ছোট্ট একটা শপ কিংবা শো পিসের দোকান। যারা একটু তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে ভালবাসেন তারা দিতে পারেন কম্পিউটার বা মোবাইল এর দোকান কিংবা সার্ভিসিং সেন্টার। সৃজনশীল যারা আছেন সেই সাথে ফ্যশন সচেতন তারা কেন ফ্যাশন হাউজ বা গার্মেন্টস এর তৈরী পোষাকের ব্যবসা থেকে দূরে থাকবেন।
অধিকাংশ মেয়েদের প্রিয় খাবার চটপটি ফুসকার দোকানও করতে পারেন কিংবা ফাষ্ট ‍ফুডের দোকান করতে পারেন। অফিস পাড়ায় দুপুরে বিরিয়ানী বিক্রি করে যে আয় কম নয় তাও কিন্তু না।
গ্রামে আছেন শহুরে ব্যবসার সুযোগ নেই। তাতে কি আপনার নিজের জমি অথবা পাশেরই কারো জমি লীজ নিয়ে করতেপারেন শাক-সবজির চাষ। মজা-পচা ‍পুকুরটা পরিস্কার করে মাছ চাষ করতে পারেন। আপনার পাশেরই বাজারে কিংবা হাটে ফসল বেচাকেনার কোন একটা ব্যবসা করেও হতে পারেন সফল। উন্নত প্রযুক্তির সেবা কৃষকদের সরবরাহ করেও হতে পরেন সফল ব্যবসায়ী।
আরও যে কত কত ধরনের ব্যবসা আছে তা আপনি করে যেতে পারেন নিঃসংকোচে। আপনার দ্বারা সৃষ্টি হতে পারে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানের। আপনি চাইলেই পারবেন চলমান ব্যবসার নতুন কোন ব্যবসায়িক রুপ দিতে কিংবা নতুন কোন ব্যবসায়ের সৃষ্টি করতে। যেটা আপনার নাম বহন করে এনে দিবে দাসত্বমুক্ত পরিচয়। সফল উদ্যোক্তার পরিচয়।
আপনাদের সকলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
লাইক দিয়ে পেইজের সাথে থাকুন ও আপনার বন্ধুদের ইনভাইট করুন পেইজে। এবং এ বিষয় সম্পর্কে অন্যদের জানাতে পোষ্টটি শেয়ার করতে পারেন……

পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা

পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা !

11825929_612135242223601_7465189601962997153_nভালভাবে শুরু করা মানে অর্ধেক এগিয়ে যাওয়া কথাটি আপনারা নিশ্চয়ই জানেন। টেলিভিশন সাংবাদিকতা এবং সংবাদ উপস্থাপনার শুরুটাও ভালভাবে করতে হবে। কিন্তু ভালভাবে শুরুর জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা নয়। প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য কিছুটা সময় নেয়া যেতে পারে।
প্রস্তুতি গ্রহণকে কাজের অংশ ধরা হলে এটাকে শুরু মনে করা যায়। আমি মনে করি এক্ষেত্রে ভাল শুরুর অপেক্ষা না করে আজই শুরু, এ মুহুর্ত থেকেই শুরু করতে হবে। অনেক মুসলমান বলেন আগামীকাল ফজর নামাজ থেকে নিয়মিত নামাজ পড়ব। কিন্তু সেটা আগামীকাল। নামাজ নিয়মিত পড়ার সিদ্ধান্ত নিলে আগামীকাল ফজরের জন্য অপেক্ষা না করে আজ মাগরিব, এশা থেকেই শুরু করতে হবে। টেলিভিশন সাংবাদিকতায় এখন তরুণরা দলে দলে অংশগ্রহন করছে এবং সাফল্য পাচ্ছে। প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা পেশাগত কাজে প্রচুর পরিশ্রম, একাগ্রতা এবং ঝুকি নিয়ে কাজ করত। টেলিভিশন সাংবাদিকতায় যারা আছেন তারা আরো বেশি একাগ্রতা ও ঝুকি নিয়ে কাজ করছেন। হঠাৎ করে যারা টেলিভিশন সাংবাদিকতা শুরু করবেন তাদের পরিশ্রম, একাগ্রতা, নিষ্ঠা, ঝুকি যেমন বেশি তেমনি সাফল্য পেতে একটু সময় লাগতে পারে।
লক্ষ্য করুন, প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা টেলিভিশন সাংবাদিকতায় যেমন সফল তেমনি অনেক সাংবাদিকরা সংবাদ উপস্থাপনায় সফল। সেজন্য টেলিভিশন সাংবাদিকতায় জড়িত হওয়ার পূর্বে প্রিন্ট মিডিয়ায় সাংবাদিকতা করা ভাল। সাংবাদিকতা শুরুর জন্য প্রিন্ট মিডিয়ায় রয়েছে প্রচুর সুযোগ। প্রিন্ট মিডিয়াকে সাংবাদিকতার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বলতে পারেন।
প্রিন্ট মিডিয়া থেকে যারা টেলিভিশন সাংবাদিকতা শুরু করবেন তারা টেলিভিশন সাংবাদিকতার কিছু টেকনিক্যাল বিষয় জেনে নিয়েই যে কোন টেলিভিশন চ্যানেলে কাজ শুরু করতে পারেন। দেশে এখন ২৫টির অধিক স্যাটেলাইট টেলিভিশন সম্প্রচার অব্যাহত রেখেছে এবং চ্যানেলের সংখ্যা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেজন্য টেলিভিশন সাংবাদিকতায় প্রচুর সুযোগ তৈরি হচ্ছে। যে কোন টেলিভিশন চ্যানেলে রিপোর্টার, শিক্ষানবিশ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করার জন্য আজই আবেদন করুন এবং সাক্ষাৎকার দিয়ে টেলিভিশন সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়ে যান।
এক্ষেত্রে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় টেলিভিশন চ্যানেল কর্তৃপক্ষ যেন মনে করে টেলিভিশন সাংবাদিকতা সম্পর্কে আপনার ধারণা আছে এবং আপনি কাজটি পারবেন। সেজন্য আপনার কিছু প্রস্তুতি থাকা দরকার। রাজধানীতে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান একমাস বা তিন মাসব্যাপী টেলিভিশন সাংবাদিকতা, সংবাদপাঠ বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে। আপনি এসব প্রতিষ্ঠানে একটি কোর্স করতে পারেন। এশিয়ান জার্নালিস্ট হিউম্যান রাইটস এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন (এজাহিকাফ) ১ দিনের টেলিভিশন সাংবাদিকতা ও সংবাদপাঠ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে।
এ কর্মশালায় অংশ নিয়ে আপনি কিছু ধারণা লাভ করতে পারবেন। সরকারী পর্যায়ে নিমকো ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে। বেসরকারিভাবে বিসিডিজেসী, বিজেম, জবস এ ওয়ান, যাত্রীসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নিয়মিত টেলিভিশন সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করে আসছে। সংবাদ পাঠ বিষয়টি এখন পুরোপুরি সংবাদ উপস্থাপনা।
বর্তমানে সংবাদ উপস্থাপনা অনেক আধুনিক এবং উন্নত। সংবাদ উপস্থাপনার জন্য আপনাকে শুদ্ধ উচ্চারণ জানতে হবে এবং বাচন ভঙ্গি সুন্দর করতে হবে। শুদ্ধ উচ্চারণের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসটি কেন্দ্রিক কয়েকটি প্রতিষ্ঠান/সংগঠন ৩ মাসব্যাপী কোর্স পরিচালনা করে। এর মধ্যে কন্ঠশীলন, স্বরশীলন, সংবৃতা, আবৃত্তিশীলনসহ বেশ কিছু সংগঠনের তিন মাসব্যাপী কোর্সে অংশগ্রহণ করলে আপনি শুদ্ধ উচ্চারণ রপ্ত করতে পারবেন।
শুদ্ধ উচ্চারণ রপ্ত করার পাশাপাশি টিভি চ্যানেলের সংবাদ উপস্থাপনা মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করুন। এরপর কোন টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ উপস্থাপনার জন্য আবেদন করুন। যথাসময়ে সাক্ষাৎকার দিন এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করুন।

চাকরি পেতে কিভাবে এগিয়ে রাখবেন নিজেকে

চাকরি পেতে কিভাবে এগিয়ে রাখবেন নিজেকে…?

1431002965নামীদামি প্রতিষ্ঠানে উঁচু পদে চাকরি, আকর্ষণীয় বেতন কে না চায়। সব চাকরিপ্রার্থীর মধ্যেই থাকে এই স্বপ্ন পূরণের আশা। কিন্তু সবার স্বপ্ন তো আর সার্থক হয় না। গতানুগতিক নিয়োগ পদ্ধতিতে এ আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য চাই উচ্চমানের পড়াশোনা আর দীর্ঘ কর্ম-অভিজ্ঞতা।
তবে এ ব্যাপারে ভিন্ন কথা বলেছে ক্যারিয়ারবিষয়ক ওয়েবসাইট মনস্টার ডটকম। তাদের মতে, শুধু উচ্চশিক্ষা আর অভিজ্ঞতার মাপকাঠিতেই সব সময় পাবেন না উচ্চপদে চাকরি। পছন্দসই চাকরি পেতে অন্য কিছু পদ্ধতিও অনুসরণ করতে হবে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই, যেগুলো এগিয়ে রাখবে আপনাকে বাকিদের থেকে। তো, চলুন দেখে নেওয়া যাক, কী সেই সফলতার চাবিকাঠিগুলো।
জানুন-শিখুন সবকিছু
জ্ঞানের কোনো শেষ নেই, তাই প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুন কিছু জানার কাজে নিয়োজিত রাখতে হবে। কাজ করছেন কোনো ছোট পদে? নিজের কর্মপরিসরের মধ্যে থেকেই নিজেকে মুখোমুখি করুন বিভিন্ন ঝুঁকি আর চ্যালেঞ্জের। এগুলো একজন প্রার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য পূরণে সাহায্য তো করবেই, সঙ্গে সঙ্গে আত্মবিশ্বাসীও করে তুলবে। এই প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্য আর আত্মবিশ্বাস চাকরিদাতাদের কাছে আপনাকে করে তুলবে অন্যদের থেকে আলাদা।
বাড়িয়ে নিন যোগাযোগ দক্ষতা
নিজ কাজে দক্ষ আপনি। তাহলেই কি পাবেন উচ্চ পদের ভালো চাকরি? অবশ্যই না। কর্মদক্ষতার পাশাপাশি আপনাকে হতে হবে যোগাযোগে দক্ষ। যোগাযোগ ক্ষমতা, যা কর্মীদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক মজবুত করার সঙ্গে সঙ্গে করবে উচ্চপদে চাকরির ক্ষেত্রে আপনাকে একধাপ এগিয়ে দেবে।
কাজ করতে শিখুন দলগতভাবে
উচ্চ পদে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে ব্যবস্থাপনায়। দলগতভাবে কাজ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি করে। তাই প্রথম থেকেই অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে দলগত কাজ করার অভ্যাস। দলের পাঁচজনকে নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে আপনি সঞ্চয় করতে পারেন ৫০০ জনের একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা।
ধৈর্যই সাফল্য
উঁচু পদে চাকরির ক্ষেত্রে আপনাকে হতে হবে ধৈর্যশীল। ঘন ঘন চাকরি বদল কিন্তু ধৈর্যশীলতার লক্ষণ নয়। চাকরি বদলের অভ্যাস অনেক সময় চাকরিদাতাদের কাছে একটি অপছন্দের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পছন্দসই কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেলে সেখানেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে নিজের ক্যারিয়ার। কোনো একটি প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ সময়ের সাফল্যের অভিজ্ঞতা অবশ্যই একজনকে এগিয়ে রাখবে।
নেটওয়ার্কিং
নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে একজন প্রার্থী এগিয়ে থাকতে পারেন অনেকটাই। বর্তমানে নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত বা পেশাগতভাবে চেনাজানাদের অনেকটাই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তাই নিজ চেষ্টায় এই চেনা-পরিচিতদের তালিকাটা একটু বাড়িয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ, কনফারেন্সে অংশগ্রহণ এবং লেখালিখির মাধ্যমেও বাড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে পরিচিতির পরিসর।
আগে জানুন চাকরিদাতার আদ্যোপান্ত
সাক্ষাৎকার দেওয়ার আগে বাসায় বসে কিছুটা হোমওয়ার্ক করে নিন। যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে চাইছেন, জেনে নিন প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। প্রতিষ্ঠানটি কেমন, তাদের রীতিনীতি, বিভিন্ন প্রথা, আদর্শ সম্পর্কে ভালো ধারণা নিয়েই যেতে হবে ইন্টারভিউ বোর্ডে। সাধারণত আজকাল এসব তথ্য ইন্টারনেটেই পাওয়া যায়। না পাওয়া গেলে এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে প্রতিষ্ঠানের কর্মরত কর্তাব্যক্তিরা।