শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬

ভিন্ন্ আইডিয়ায় করতে পারেন ফাষ্টফুডের দোকান

ভিন্ন্ আইডিয়ায় করতে পারেন ফাষ্টফুডের দোকান

11742880_604786789625113_8037219577888367925_nভিন্ন্ আইডিয়ায় করতে পারেন ফাষ্টফুডের দোকান। হতে পারেন একজন সফল ব্যবসায়ী….
স্বাগতম আপনাদের সকলকে যারা উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে ফাষ্টফুড আমাদের প্রায় সকলের প্রিয় খাবারে পরিনত হয়ে পড়েছে। সময় আর ব্যস্ততার কারনেই ফাষ্টফুড আমাদের কাছে এত জনপ্রিয় হয়েছে কি?
সে যেকারনেই হোক আমাদের বেকারদের জন্য তা কিন্তু সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত হয়ে এসেছে। ইতি মধ্যেই এ ব্যবসায়ের সাথে নিজেকে জড়িয়ে সফলতার মুখ দেখেছেন অনেক উদ্যোক্তা।
এ ব্যবসা করতে আপনার সুুবিধামত একটি এলাকায় ব্যবসার স্থান নির্বাচন করতে পারেন। তবে অবশ্যই লোক সমাগম ঘটে এমন স্থান হতে হবে। না হলে ক্রেতা পাবেন না।
আপনার ব্যবসায়ের পরিধি ও পুঁজি বিবেচনা করে দোকানের আয়তন নির্ধারণ করবেন। দোকানের ডেকোরেশন অবশ্যই চমৎকার করে করার চিন্তা করবেন। এটি আপনি আপনার নিজের আইডিয়ায় অথবা ভাল কোন ডিজাইনার দিয়েও ডিজাইন করিয়ে নিতে পারেন।
আপনার দোকানের সুন্দর একটা নাম দিতে কিন্তু ভুল করবেন না।
দোকানের জন্য ফার্নিচার, ফ্রিজ, ওভেন, জুস মেকার কফি মেকার সহ খাদ্য তৈরীর বিভিন্ন ইলেকট্রিক মেশিন কিনতে হবে আপনাকে। আর সেই সাথে খাদ‌্য পরিবেশনের জন্য আকর্ষনীয় পাত্র কিন্তু চাই। খাদ্য পরিবেশনের জন্য সুন্দর বাচনভঙ্গি এবং আকর্ষনীয় চরিত্রের লোকবল নিয়োগ দিতে হবে আপনাকেই খুব দক্ষতা ও সর্তকতার সাথে।
ফাষ্টফুড হিসেবে রাখতে পারেন স্যান্ডউইচ, বার্গার, নানা ধরনের রোল, শর্মা, পিজা, চিকেন ফ্রাই নুডুলস সহ নানা ধরনের আকর্ষনীয় খাবার। এসব খাবার আগে থেকেই তৈরী করে দোকানে সাজিয়ে রাখতে হবে। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী গরম করে পরিবেশন করতে হবে। সেই সাথে চাহিদা অনুযায়ী জুস সাথে সাথে তৈরী করে পরিবেশন করতে হবে।
এ জাতীয় ব্যবসা করতে বিশ থেকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়ে। তবে কেউ যদি খূব ছোট আকারে শুরু করতে চান তবে এর থেকে কম মূলধন বিনিয়োগ করেও করতে পারবেন।
এবার এ ব্যবসায়ে আপনার উন্নতির জন্য একটু ভিন্ন আইডিয়া শেয়ার করি। আপনি আপনার দোকানের আসপাশের এলাকার কিছু নিয়মিত ক্রেতার বাসায় হোম ডেলিভারী করতে পারেন। সেই সাথে আশপাশের অফিসে বিকালের নাশতা হিসেবেও ডেলিভারী করতে পারেন। তবে এজন্য দক্ষ ডেলিভারী ম্যান নিয়োগ দিতে হবে আপনাকে। সার্ভিসটি বিনা ডেলিভারী চার্যে করতে পারলে বেশ সাড়া পাবেন।
আপনার মাথায় এ ব্যবসায়ের জন্য আমার থেকেও আরও কোন ভিন্ন আইডিয়া থাকতে পারে। যা আপনাকে নিয়ে যেতে পারবে সফলতার দিকে। নিজের সততা মেধা আর প্ররিশ্রমের সমন্বয় ঘটিয়ে হয়ে উঠুন সফলদের একজন।

ই-কমার্স ব্যবসায়ী হতে চান

ই-কমার্স ব্যবসায়ী হতে চান…?

e-commercee-commerce_r0124l11
পৃথিবীটা এখন আধুনিকতায় মোড়ানো। মানুষের রুচি,কথাবার্তা আর  চালচলনে এসেছে বিপুল পরিবর্তন। শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে নয়,পরিবর্তন এসেছে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই। আর এই পরিবর্তনের বিরাট একটা অংশ এসেছে ইন্টারনেট নামক এক জাদুর কাঠিতে ভর করে। যোগাযোগ ব্যাবস্থা থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রেই বেড়েছে ইন্টারনেট সেই সাথে এটাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে কোটি কোটি ডলারের ইকমার্স ব্যবসা।
দিন যত যাচ্ছে ততই অনলাইনে কেনাকাটার পরিমান বৃ্দ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে অনলাইন শপিং ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশে অনলাইনে কেনাকাটা কিছু শ্রেনীর মানুষদের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলেও অচিরেই এটি যে জনপ্রিয় হতে যাচ্ছে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়, কারন প্রতিনিয়তই ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। আর তাই দিন দিন ইকমার্স সাইটগুলোর জনপ্রিয়তাও বাড়ছে।
কিন্তু অনেকেই বুঝে উঠতে পারছেন না ঠিক কিভাবে শুরু করবেন। অথবা শুরু করার চেষ্টা করছেন কিন্তু গাইডলাইনের অভাবে শুরু করতে পারছেন না  চলুন তাহলে ধারনা নেওয়া যাক এ ব্যবসায়ে সফলতা নিশ্চিত করতে কি কি করা দরকার সে সম্পর্কে।

ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করতে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হল আপনি কোন ধরনের পন্য বিক্রি করবেন তা নির্দিষ্ট করা। পন্য নির্ধারন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই বিচক্ষন হতে হবে। কারন আপনার নির্ধারিত পন্যের  এর চাহিদা কেমন হবে, পন্য বিক্রয় করে কেমন লাভ হবে, পন্য ক্রেতার নিকট পৌছানোর পরিবহন খরচ কেমন পরবে তা চিন্তা না করে যেমন খুশি তেমন সাজো এর মত পন্য সিলেক্ট করলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ব্যবসার শুরুতেই।
আবার নিজের বিন্দুমাত্র আইডিয়া নেই এরকম পন্য সিলেক্ট করা ও বোকামি। পন্য নির্বাচন করার আগে অবশ্যই আপনার প্রতিদ্ধন্দী কারা, তাদের মার্কেট পজিশন কোন স্তরে তা বিবেচনা করা উচিত। কখোনই এমন পন্য বিক্রির চেষ্টা করবেন না যেটি অন্য বিখ্যাত ইকমার্স ওয়েবসাইট দ্বারা মার্কেটের প্রায় ৭৫ শতাংশ চাহিদা পুরন করা হচ্ছে সফলতার সাথে। আর পন্য মানের সাথে কার্পণ্য করা চলবে না। সব সময় বাজারের সেরা পন্যটি আপনার ক্রেতার হাতে তুলে দেবার চেষ্টা রাখতে হবে।
পন্য নির্ধারনের পর নির্দিষ্ট করুন পন্যগুলো কোন কোন ক্যাটাগরীতে পড়ছে। ক্যাটাগরী নির্দিষ্ট করার সুবিধা হচ্ছে, পন্যগুলো কিনতে সুবিধা হবে এবং দাম নির্ধারন করতেও সুবিধা হবে। তাছাড়া আপনার ওয়েবসাইটে কাস্টোমাররা সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় পন্য গুলো খুজে নিতে পারবে।
কোন কোন পন্য বিক্রি করবেন তা নির্ধারন  করার পর আপনি পন্য কীভাবে কাস্টোমারর হাতে পৌছাবেন তা ঠিক করুন। হোম ডেলিভারী দেবার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে কোন কুরিয়ার সার্ভিস/পরিবহন ব্যাবহার করবেন তা নির্ধারন করুন। হোম ডেলিভারী কোন কোন এলাকার জন্য রাখবেন তা নির্ধারন করুন। হোম ডেলিভারীর আগেই পেমেন্ট নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে হবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ওয়েবসাইট তৈরীতে হাত দেওয়ার আগে নির্ধারন করুন পেমেন্ট অপশন হিসেবে আপনি কোনগুলো রাখবেন। অর্থাৎ কোন কোন মাধ্যমে আপনার ক্রেতা আপনার পন্যের মূল্য পরিশোধ করতে পারবে।
মানুষ কোন পেমেন্ট অপশন ব্যাবহারে স্বাচ্ছন্দ্যতা বোধ করে তা বিবেচনা করে পেমেন্ট অপশন নির্ধারন করুন। পেমেন্ট অপশন হিসেবে ব্যাংক ট্রান্সফার, মোবাইল ব্যাকিং  ব্যবস্থা বিকাশ, সহ  পেজা, মানিবুকার রাখতে পারেন। তবে উপরের সবগুলো রাখতে হবে এমন না কারন কাস্টোমারের সেটিসফিকশন যেমন দরকারী তেমন নিজের সুবিধা অনুযায়ী কাজ করতে পারাটাও দরকারি।
একটা ইকমার্স ওয়েবসাইটের অন্যতম সৌন্দর্য হচ্ছে একটি সুন্দর ডোমেইন নেম। আপনার ইকমার্স ওয়েবসাইটের জন্য একটি সুন্দর এবং ইকমার্স রিলেটেড নাম সিলেক্ট করুন। যেমন ইকমার্সের জন্য আপনি যদি চিন্তা করেন অামি-তুমি-সে-ডটকম নাম রাখবেন তাহলে তা মানানসই হবে না, কেউ বুঝবেও না এটা কি ওয়েবসাইট। কিন্তু যদি ইবাজারডটকম রাখেন তবে সবাই বুঝবে এটি কিসের ওয়েবসাইট।
যেকোন ওয়েবসাইটের জন্য ভাল মানের হোস্টিং দরকার আর তা যদি হয় ইকমার্স ওয়েবসাইটের জন্য তাহলে তো কথাই নেই। তাই হোস্টিং কেনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সচেতন হতে হবে আপনাকে।  ইকমার্স ওয়েবসাইট চালুর প্রথম দিকে ভালো শেয়ার্ড বা বিজনেস ক্লাস হোস্টিং ভাল হবে তবে সাইটের ট্রাফিক বাড়লে ভিপিএস বা ডেডিকেটেড এ মাইগ্রেট করাই উত্তম হবে।
কোন স্ক্রিপ্ট দিয়ে তৈরী করবেন অথবা কোন প্রোগামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এ তৈরী করবেন তা আগেই নির্ধারন করুন। যেহেতু এখানে অর্ডার রিসিভ এবং সিকিউরিটি মেইনটেইন করার ব্যাপার আছে তাই ইকমার্স ওয়েবসাইটটি করার সময় সর্তকতার সাথে এগুলো নির্ধারন করতে হবে। আপনার ইকমার্স ওয়েবসাইটের জন্য একটি ইউনিক টেম্পলেট ইউজ করার চেষ্টা করুন এবং নিজে না পারলে তা রেস্পন্সিভ ওয়েবডেভেলপার দিয়ে করুন। সেই সাথে ইকমার্স সাইটের জন্য মোবাইল ভার্সন রাখার চেষ্টা করুন।
এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে ইকমার্স ওয়েবসাইটের জন্য একটা ইউজার ফ্রেন্ডলী ইন্টারফেস সবচেয়ে দরকারী। তাই সাইটের ডিজাইন করার ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব ইউজার ফ্রেন্ডলী করে তৈরি করার চেষ্টা করুন। সেই সাথে আপনার ওয়ব সাইটটি সার্চইঞ্জিনে দ্রুত খুজে পাওয়ার জন্য করতে হবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও এর কাজও।
আপনার ইকমার্স ওয়েবসাইটটি চালু করার আগেই একটু জোরেশোরে প্রচারনা চালানোর চেষ্টা করুন। ইকমার্স ওয়েবসাইটটির ফিচার গুলো কেমন হবে, কেন অন্যদের থেকে আলাদা তা তুলে ধরার চেষ্টা করুন। প্রচারনার জন্য বাজেটের একটা অংশ রাখুন। কারন প্রচারেই প্রসার। প্রচারনার অংশ হিসেবে ফেসবুক প্রোমোট,  বিলবোর্ড এডভার্টাইজিং ইত্যাদি রাখতে পারেন। তাছাড়া ইকমার্স ওয়েবসাইটটি উদ্বোধন উপলক্ষ্যে রাখতে পারেন বিশেষ ছাড় এবং উপহার সামগ্রীও।
ইকমার্স ব্যবসায়ের জন্য ডোমেইন, হোষ্টিং সার্ভার, ওয়েবসাইট ডিজাইন, এসইও অথবা এ সংক্রান্ত যে কোন তথ্যের প্রয়োজনে আপনি উদ্যোক্তার খোঁজে ডটকমের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭৩৫-২৮৪৬১৭ নাম্বারে। আমরা চেষ্টা করব আপনাদের জন্য সঠিক দিক নির্দেশনা রাখার যাতে করে আপনি এগিয়ে যেতে পারেন ইকমার্স ব্যবসায়ে সাফল্যের পথে।

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসার আইডিয়া

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসার আইডিয়া

connessione adsl2ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকার কাজ করে চলেছে দ্রুত গতিতে। আর সেই পথে গতি এনেছে ইন্টারনেট। তথ্যপ্রযুক্তির দিক থেকে বাংলাদেশ খুব বেশী এগোতে না পারলেও সাফল্য কিন্তু কম নয়। মুক্তপেশা ফ্রিল্যান্সিং এ তরুনরা এগিয়ে চলেছে সমান তালে। সফটওয়্যার রপ্তানীতেও বাংলাদেশ সাফল্য দেখিয়েছে। নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে তরুন প্রজন্ম এগিয়ে চলছে সমান তালে। যদিও উন্নত বিশ্ব যখন ফাইভ জি নেটওয়ার্ক নিয়ে এগিয়ে চলছে সেখানে আমরা এখনও থ্রিজি সেবা পৌছে দিতে পারি নাই প্রতিটি জেলা শহরে। আর এই পিছিয়ে পড়া থেকে এগিয়ে যাওয়ার পথে তৈরী হয়েছে নতুন ব্যবসার সম্ভাবনা।
snekআমাদের অনেকেরই হয়ত জানা নেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা সম্পর্কে। আমি মাসুদুর রহমান আজ আপনাদের এ বিষয়ে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। সাথে থাকবেন আশা রাখছি।
কম টাকায় উচ্চ গতির ইন্টারনেট পাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। আনলিমিটেড প্যাকেজ, স্বল্প মূল্য এবং নিরবিচ্ছিন্ন সঠিক গতির নিশ্চয়তার কারণে অধিকাংশ মানুষ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করতে আগ্রহী। কিন্তু আমাদের দেশের খুব কম জায়গাতেই পাওয়া যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবসা যদিও অনেক কম ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু এব্যবসা সম্পর্কে জানার সীমাবদ্ধতার কারনে শুরু করতে পারছেন না অনেকেই।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা মূলত ইন্টারনেট ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা। বিভিন্ন ভাবেই মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। যেমন ওয়ারল্যাস, ওয়াইফাই, ওয়াইম্যাক্স, ব্রডব্যান্ড। এগুলোর মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে সবচেয়ে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া যায় গ্রাহকদের।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবসা করতে সর্বপ্রথম ধারনা নিন আপনার নির্ধারিত ব্যবসায়িক এলাকায় কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা কেমন। যদি সন্তোষজনক হয় তাহলে শুরু করতে পারেন। ব্রডব্যান্ড ব্যবসা করার জন্য বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স নিতে হবে আপনাকে। লাইসেন্স করার জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে।  ফরমে বর্ণিত সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করে বিটিআরসি হেড অফিসে জমা দিতে হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আবেদন করার তিন মাসের মধ্যেই লাইসেন্স পেয়ে যাবেন আপনি। লাইসেন্স পাওয়ার পর আপনাকে কিনতে হবে ব্যান্ডউইথ।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসার জন্য সবার আগে প্রয়োজন হবে ব্যান্ডউইথ। আর ব্যান্ডউইথ আসে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে। তাই প্রথমে দেখতে হবে যে আপনার ব্যবসায়ীক এলাকায় অপটিক্যাল ফাইবার আছে কিনা। শুধু ফাইবার থাকলেই হবে না কানেকশন দেওয়ার পপস পোর্টও থাকতে হবে। বিটিসিএলের ফাইবার লাইনের পপস পোর্ট আছে শুধুমাত্র জেলা শহরগুলোতে। তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। মোবাইল অপারেটরদের ৩জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কারণে এখন গ্রাম পর্যায়েও অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছে গেছে। বেসরকারি আইআইজি  (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) গুলো প্রায় সারাদেশে তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে। আপনাকে সেসব আইআইজি এর কাছ থেকে জেনে নিতে হবে আপনার এলাকায় তাদের অপটিক্যাল ফাইবারের পপস পোর্ট আছে কিনা।
কম দামে ব্যান্ডউইথ বিক্রি করে ও সারাদেশে নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে এমন কয়েকটি আইআইজি হল বিটিসিএল, ম্যাঙ্গো টেলিকম, সামিট কামিউনিকেশন, বাংলা ফোন, ভার্গো কামিউনিকেশন, ফাইবার এ্যাট হোম, নভোকম ও বিডি লিংক কামিউনিকেশন। আমাদের দেশে মোট ৩৬ টি ব্যান্ডউইথ প্রোভাইডার রয়েছে। আপনি এদের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যে ব্যান্ডউইথ কিনে নিতে পারবেন।
যদি আপনার কাছাকাছি পোর্ট থাকে তাইলে ব্যবসা শুরু করতে আর বাধা নেই। কাছাকাছি না হয়ে একটু দূরে পোর্ট থাকলে সেখান থেকেও রেডিও লিংক করে আনতে পারবেন। আর যদি পপস পোর্টের দূরত্ব বেশি হয় তাইলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ নিতে পারবেন বা মাইক্রোওয়েভ দ্বারা কানেক্টেড মোবাইল টাওয়ারের বিটিএস থেকেও নিতে পারবেন ব্যান্ডউইথ। তবে এই দুই পদ্ধতিতেই ব্যান্ডউইথের দাম অনেক বেশি পরবে। বিভাগীয় শহরগুলিতে অনেক আইএসপি কম দামে সাবলাইন দিয়ে থাকে। তাদের থেকে ব্যান্ডউইথ নিয়েও ব্যবসা করতে পারবেন আপনি।
fibre-internet_718ব্রডব্যান্ড ব্যবসা করতে হলে আপনাকে কিছু যন্ত্রপাতি কিনতে হবে। সেগুলি হল স্পিড কন্ট্রোল করার জন্য মাইক্রোটিক রাউটার, মিডিয়া কনভার্টার, ক্যাবল,  পিসি, বেজ ষ্টেশন স্থাপন করার জন্য সুইচ ও বক্স। সেই সাথে আপনাকে চব্বিশ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হবে মাইক্রোটিক রাউটার চালু রাখার জন্য।
প্রাথমিক ভাবে দুই লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলেই শুরু করতে পারবেন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ব্যবসা।  পর্যায়ক্রমে ব্যবসার পরিধির উপর বিনিয়োগ বাড়াতে হবে আপনাকে। প্রাথমিক বিনিয়োগ থেকে আপনি প্রতি মাসে বিশ থেকে পঁচিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। ব্যবসার পরিধি বাড়ার সাথে সাথে আয়ের পরিমানও বাড়বে।
প্রথমেই বলেছি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসায় ঝুঁকি অনেক কম। কারণ এই ব্যবসায় শুরুতেই একবার সব কিছু স্থাপন করে নিলে তারপর ব্যান্ডউইথ কেনা ছাড়া তেমন কোন খরচ নেই। বর্ষাকালটা যদিও ব্রডব্যান্ড ব্যবসার জন্য শত্রুতামুলক আচরন করে। কারন বজ্রপাতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়।
আপনার ব্যবসায়িক এলাকায় আপনি যে ব্রডব্যান্ড ইন্টানেটের সার্ভিস নিয়ে এসেছেন সেটা তো মানুষকে জানাতে হবে। আর এর জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রচার করতে হবে। যেহেতু আপনি একটা এলাকা টার্গেট করে ব্যবসায় নামবেন সেহেতু  মার্কেটিং এর জন্য আপনাকে তেমন বড় বাজেট রাখতে হবে না। লিফলেটে আপনার প্যাকেজ সমূহ, প্যাকেজ মূল্য, স্পিড, শর্তাদি ইত্যাদি বিস্তারিত লিখে আপনার টার্গেটকৃত এলাকায় বিতরণ করতে হবে। আগে থেকেই কোন আইএসপি থাকলে তাদের সাথে কম্পেয়ার করে রেট নির্ধারণ করতে হবে। এ ছাড়া সরাসরি বাসায় বাসায় গিয়ে, মাইকিং করে, ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে, পরিচিত মহলকে অনুরোধ করেও মার্কেটিং করতে পারেন।
এই ব্যবসা যেহেতু ব্যবহারকারী ভিত্তিক এবং এক ব্যবহারকারীর সাথে আরেক ব্যবহারকারী সম্পর্কযুক্ত থাকে তাই আপনার বর্তমান ব্যবহারকারীদের বিশেষ ডিসকাউন্টের অফার দিয়ে প্রভাবিত করেও উইজার বাড়াতে পারবেন। এ ছাড়াও এমন ঘোষণা দিতে পারেন প্রথম নির্দিষ্ট সংখ্যার কিছু ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট পাবেন। এতে করে দ্রুত কাস্টমার পাওয়া আপনার জন্য সহজ হবে।
এই ব্যবসায় আপনি কর্মী নিয়োগ দিতে চাইলে দেখতে হবে সে মাইক্রোটিক রাউটার কন্ট্রোলিং এর কাজ জানে কিনা, নতুন পোর্ট বানানো, সুইচ, কানেকশন দিতে পারে কিনা, যোগাযোগ দক্ষতা কেমন, মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা কেমন। এ ছাড়াও যোগ্যতা হিসেবে বাই সাইকেল চালানো জানলে বাড়তি সুবিধা পাবেন। কেননা দূর দূরান্তে গিয়ে লাইন ঠিক করতে হবে।
আপনার কাস্টমারদের সার্বক্ষণিক সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে আপনাকে। তারা খারাপ কিছু করলেও তাদের উপর রাগ করা যাবে না। গভীর রাতেও অনেকে ফোন করতে পারে আপনার সেবার জন্য। তাতে বিরক্ত হওয়া চলবে না আপনাকে।

দুই থেকে তিন হাজার টাকায় শুরু হোক মাশরুমের ব্যবসা

দুই থেকে তিন হাজার টাকায় শুরু হোক মাশরুমের ব্যবসা

ce5219fdd8fdb0c7ec1c7c0b2770516e1মাশরুম চাষ কিভাবে করা যায়, চাষ করার জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে কিনা,  এর পুষ্টিমান এবং সর্বোপরি এর মাধ্যমে কিভাবে বাড়তি আয় করা সম্ভব, সেই বিষয় সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
‘‘মাশরুম” ব্যাঙের ছাতার মতো এক ধরণের ছত্রাক জাতীয় গাছ। মাশরুম ও ব্যাঙের ছাতা দেখতে একই রকম হলেও এদের মাঝে অনেক পার্থক্য আছে। প্রাকৃতিক পরিবেশে জন্ম নেওয়া কোন কোন মাশরুম বিষাক্ত হয় এবং সেগুলো খাওয়া যায় না। সূর্যের আলোয় প্রাকৃতিকভাবে খুব বেশি মাশরুম জন্মাতে পারে না তাই প্রাকৃতিক উপায়ে খাবারের জন্য বেশি করে মাশরুম পাওয়া যায় না। আমাদের দেশে অনেক স্থানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাশরুম চাষ করা হচ্ছে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষকরা মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। আমাদের দেশের অনেক জায়গায় বিশেষ করে ঢাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, মধুপুর প্রভৃতি স্থানে এখন ব্যবসায়িক ভিত্তিতে মাশরুম চাষ ও বাজারজাত করা হচ্ছে। মাশরুম চাষ করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বাড়তি আয় করাও সম্ভব। মাশরুম চাষ করতে আবাদী জমির প্রয়োজন হয় না।
বাজার সম্ভাবনা
আমাদের দেশের বড় বড় শহরগুলোর বিভিন্ন হোটেল ও চাইনিজ হোটেলগুলোতে মাশরুমের চাহিদা আছে। তাই আপাত দৃষ্টিতে মাশরুমের বাজার মূলত শহরে গড়ে উঠেছে। এছাড়া বিদেশে এর চাহিদা রয়েছে। মাশরুম শুকিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। এজন্য যেসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বিদেশে সবজি ও কাঁচামাল পাঠায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মাশরুম বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব।
প্রয়োজনীয় মূলধন
মাশরুম চাষ করার জন্য ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকার প্রয়োজন হবে। যদি ব্যক্তিগত পূঁজি না থাকে তাহলে মূলধন সংগ্রহের জন্য নিকট আত্মীয়স্বজন, ঋণদানকারী ব্যাংক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের (এনজিও) সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এসব সরকারি ও বেসরকারি ঋণদানকারী ব্যাংক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) শর্ত সাপেক্ষে ঋণ দিয়ে থাকে।
ব্যাংকঃ
সোনালী ব্যাংকঃ http://www.sonalibank.com.bd/
জনতা ব্যাংকঃ  http://www.janatabank-bd.com/
রূপালী ব্যাংকঃ http://www.rupalibank.org/rblnew/
অগ্রণী ব্যাংকঃ http://www.agranibank.org/
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকঃ www.krishibank.org.bd/
e38f43b80c4d0bad0f24a89de35b7562-19এনজিও
আশাঃ http://asa.org.bd/
গ্রামীণ ব্যাংকঃ http://www.grameen-info.org/
ব্রাকঃ http://www.brac.net/
প্রশিকাঃ http://www.proshika.org/
আয়-ব্যয়
অয়েস্টার মাশরুমের পাপড়ি বেশি ছড়ানোর আগেই তুলে গোড়া থেকে সামান্য কেটে ফেলতে হবে। পলি প্রোপাইলিনের প্যাকেটে কয়েকটা ছিদ্র করে এর মধ্যে মাশরুমগুলো ভার মুখ বন্ধ করে এই প্যাকেট বাজারজাত করতে হবে। প্রতিটি বীজ বা স্পন থেকে প্রায় ২০০ গ্রাম মাশরুম পাওয়া যায়। সুতরাং ২০০টি বীজ বা স্পন থেকে প্রায় ৪০ কেজি মাশরুম পাওয়া সম্ভব হবে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি মাশরুমের দাম প্রায় ১২০ থেকে ১৫০ টাকা।
আমাদের দেশে সাধারণত খাবারের উপযোগী তিন জাতের মাশরুম চাষ হয় –
স্ট্র মাশরুম : ধানের খড়, শিমুল তুলা, ছোলার বেসন ও চাউলের কুড়া ইত্যাদি উপকরণ ব্যবহার করে স্ট্র মাশরুম চাষ করা হয়। আমাদের দেশে সাধারণত মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এর চাষ করা যায়।
ইয়ার মাশরুম: সাধারণত বর্ষাকালে প্রাকৃতিকভাবে আম গাছে ইয়ার মাশরুম পাওয়া যায়। ইয়ার মাশরুম দেখতে কালচে রঙের। ইয়ার মাশরুম সারাবছর চাষ করা গেলেও সাধারণত বর্ষাকালে এর ফলন ভালো হয়।
অয়েস্টার মাশরুম: আমাদের দেশে এই জাতের মাশরুম চাষ সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। সারাবছরই এই মাশরুম চাষ করা যায় তবে শীত ও বর্ষাকালে এর ফলন ভালো হয়। অয়েস্টার মাশরুম খুব সহজে চাষ করা যায় এবং এর জন্য খুব অল্প জায়গার প্রয়োজন হয়।
মাশরুম উৎপাদন কৌশল
চাষের উপযোগী স্থান
মাশরুম খোলা জায়গায় চাষ করা যায় না। তাই এর জন্য আবাদী জমির প্রয়োজন হয় না। মাশরুম চাষ করার জন্য ছায়াযুক্ত জায়গায় ছন বা বাঁশের চালা দিয়ে ঘর তৈরি করতে হয়। মাটির দেওয়াল দিয়েও ঘর তৈরি করা যায়। আবার বাঁশের বেড়াও দেওয়া যায়। ঘরের ভেতর যাতে আলো ঢুকতে না পারে সেজন্য বাঁশের বেড়ায় মাটি লেপে দিতে হয়।
অয়েস্টার মাশরুম চাষ পদ্ধতি
অয়েস্টার মাশরুম বীজ বা স্পন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ জোগাড় করে মাশরুম চাষ শুরু করা যাবে। ধাপে ধাপে মাশরুম চাষ করতে হয়।
১ম পদ্ধতি
মাশরুম চাষ কেন্দ্র থেকে মাশরুমের বীজ বা স্পন প্যাকেট সংগ্রহ করতে হবে। বীজ বা স্পনের দুই পাশে কিছুটা গোল করে কেটে চেঁছে নিতে হবে।
মাশরুমের প্যাকেট পানিতে ৩০ মিনিটের জন্য ডুবিয়ে রাখতে হবে। ৩০ মিনিট পরে পানি থেকে মাশরুমের প্যাকেট উঠিয়ে নিতে হবে।
অতিরিক্ত পানি ঝরানোর জন্য মাশরুমের প্যাকেট ৫ থেকে ১০ মিনিট উপুড় করে রাখতে হবে। পানি ঝরে গেলে ঘরের নির্ধারিত জায়গায় রেখে দিতে হবে। প্রতিদিন এর উপর তিন থেকে চারবার করে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
সাধারণত ৩ থেকে ৪ দিন পর কাটা জায়গা থেকে অঙ্কুর গজায়। অঙ্কুর গজানোর পর মাঝে মাঝে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
খাওয়ার উপযোগী মাশরুম উৎপন্ন হতে ৫ বা ৬ দিন সময় লাগে। খাবার উপযোগী মাশরুম উৎপন্ন হলে তা গোড়া থেকে তুলে নিতে হবে।
বীজের যে জায়গা কাটা হয়েছিল তা ব্লেড দিয়ে একটু চেঁছে দিতে হবে। এই বীজ থেকে আবার মাশরুম গজাবে।
একটা আধা কেজি ওজনের বীজ বা স্পন প্যাকেট থেকে ৩-৪ বার মাশরুম পাওয়া যায়। এতে মোট ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম মাশরুম পাওয়া যাবে।
২য় পদ্ধতি
মাশরুম চাষ কেন্দ্র থেকে বীজ বা স্পন সংগ্রহ করতে হবে। এক কেজি ওজনের একটি বীজের পলিথিন খুলে ভিতরের কম্পোস্ট গুঁড়ো করে নিতে হবে।
দুই কেজি পরিমাণ ধানের পরিষ্কার ও শুকনো খড় সংগ্রহ করতে হবে। খড়গুলোকে এক ইঞ্চি মাপে কেটে টুকরা করতে হবে।
পরিমাণ মতো পানি ফুটিয়ে নিতে হবে। খড়গুলো জীবাণুমুক্ত করার জন্য ফুটন্ত পানিতে খড়ের টুকরোগুলো এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।
খড়গুলো পানি থেকে তুলে চিপে পানি শূন্য করে একটি পাত্রে রাখতে হবে।
পাঁচটি পলিব্যাগ নিয়ে পলিব্যাগের ভেতরে প্রথমে কিছু খড় বিছিয়ে নিতে হবে। খড়ের উপর মাশরুম বীজের গুঁড়ো দিতে হবে। এভাবে একটি পলিব্যাগে চার স্তরে খড় আর মাশরুম বীজের গুঁড়ো বিছিয়ে দিতে হবে। শেষ স্তরে আবার খড় বিছিয়ে দিতে হবে।
খড় বিছানো শেষ হলে খুব শক্ত করে পলিব্যাগ বাঁধতে হবে। এভাবে প্রতিটি পলিব্যাগ বাঁধতে হবে।
পলিব্যাগের চার দিকে ১০-১২টি ছিদ্র করতে হবে। এরপর ব্যাগগুলোকে বীজে পরিণত হওয়ার জন্য ১৫-১৮ দিন রেখে দিতে হবে।
১৫-১৮ দিন পরে পলিব্যাগগুলো খুলে বীজের দলাগুলো বের করে নিতে হবে।
প্রতিটি বীজের দলা শিকায় করে ঝুলিয়ে রাখতে হবে এবং প্রতিদিন ৪-৫ বার করে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
৩-৪ দিন পর চারদিক দিয়ে মাশরুমের অঙ্কুর গজাতে শুরু করবে। ৪-৬ দিন পর খাওয়ার উপযোগী মাশরুম গোড়া থেকে তুলে নিতে হবে।
এভাবে মাশরুম চাষে লাভ বেশি হবে। কারণ প্রতিটি পলিব্যাগ থেকে প্রায় আধা কেজি মাশরুম পাওয়া যাবে। সুতরাং পাঁচটি ব্যাগ থেকে প্রায় আড়াই কেজি মাশরুম উৎপন্ন হবে।
সাবধানতা
বীজ বা স্পনে কোনভাবেই সূর্যের আলো পড়তে দেওয়া যাবে না। সবসময় ঘরটি ঠান্ডা রাখতে হবে। খুব বেশি গরম পড়লে ঘরের চারদিকে বস্তা ঝুলিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
মাশরুম ঘর ও ঘরের বাইরের চারদিক সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। অপরিচ্ছন্ন জায়গায় মাশরুম ফ্লাই নামের পোকা মাশরুমের ক্ষতি করে।
কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে না।
মাশরুমের উপকারিতা
মাশরুমে প্রচুর প্রোটিন, খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন আছে। তাই খাদ্য হিসেবে এটা খুবই পুষ্টিকর। এর উপকারিতাসমূহ হল-
রক্তে চিনির সমতা রক্ষা করে ফলে ডায়াবেটিক রোগী এবং যারা স্থুল বা স্বাস্থ্যবান তাদের জন্য উপযুক্ত খাবার।
মাশরুম দেহের ক্ষয়পূরণ, হাড় গঠন ও দাঁত মজবুত করে।
রক্তহীনতা, বেরিবোধ, হৃদরোগ, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
খাবারের উপযোগী মাশরুম
প্রশিক্ষণ
সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় ঢাকা জেলার সাভারে অবস্থিত ‘মাশরুম চাষ কেন্দ্র’ আছে। এছাড়া বাংলাদেশের নানা স্থানে “মাশরুম চাষ কেন্দ্রের” ১৬টি শাখা আছে। মাশরুম চাষ করে ব্যবসা করার জন্য এসব মাশরুম চাষ কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়ে নেওয়া যাবে। এছাড়া মাশরুম চাষ সম্পর্কে বাজারে অনেক বই পাওয়া যায়। এসব বই পড়ার মাধ্যমেও মাশরুম চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। এছাড়া অভিজ্ঞ কারও কাছ থেকে মাশরুম চাষের বিস্তারিত জেনে নিলে চাষ করতে সুবিধা হবে এবং উন্নতমানের মাশরুম পাওয়া সম্ভব হবে।
প্রশিক্ষন প্রদানকারী সংস্থা:
ব্রাকঃ http://www.brac.net/
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরঃ www.dyd.gov.bd
বিসিকঃ http://www.bscic.gov.bd/
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরঃ http://www.dwa.gov.bd/
মাশরুম মূল্যবান সবজি। বিদেশে এর যথেষ্ট চাহিদা আছে। মাশরুমের পুষ্টি ও ঔষধি গুণের কথা বলে সাধারণ মানুষকে মাশরুম খাওয়ার জন্য উদ্ধুদ্ধ করতে হবে। তাহলে সাধারণ বাজারেও এর চাহিদা বাড়বে। আমাদের দেশে এখনও যে খাদ্য ঘাটতি আছে, মাশরুম কিছুটা হলেও তা পূরণ করতে পারে।

আর্বজনা সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত থেকে হতে পারে ব্যবসা

আর্বজনা সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত থেকে হতে পারে ব্যবসা


আবর্জনা থেকে যখন ব্যবসা তখন ব্যাপারটা অবাক করার মত হতে পারে আপনার কাছে। কিন্তু বাস্তবতা বলছে এর ব্যাপক সম্ভাবনার কথা। আর এই ব্যবসার মাধ্যমে আয়ের পথ খুলতে পারেন আপনি। হতে পারেন সম্ভাবনাময় ব্যবসার এক সফল উদ্যোক্তা।
আমাদের প্রতিদিনকার উৎপাদিত বর্জ্য আমরা নানা ভাবে ফেলে দেই। এই ফেলে দেওয়া বর্জ্য আমাদের জন্য বড় একটি সম্পদ। যার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হলে বড় অংকের অর্থ আয়ের পাশাপাশি দেশের কৃষি ক্ষেত্রে ফসলের উৎপাদনে আসতে পারে বড় ধরনের সফলতা। সেই সাথে আমরা পেতে পারি দূর্গন্ধমুক্ত সুন্দর পরিবেশ।
চলুন এবার জানার করি আপনার বর্জ্য ব্যবসা কিভাবে শুরু করতে পারেন সে সম্পর্কে। আপনার এলাকায় এ ব্যবসা গড়ে তোলার জন্য প্রাথমিক ভাবে যে কাজটি করতে হবে তা হল আপনি যে সকল বাসা থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করবেন তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থের বিনিময়ে আপনি তাদের বাসা বাড়ির আবর্জনা সংগ্রহের জন্য প্রস্তাবনা দিন। এভাবে আপনি আপনার কাংখিত কাষ্টমার খুঁজে নিতে পারবেন।
প্রতিদিনকার আবর্জনা পরিবহনের জন্য এবার আপনার দরকার হবে ক্যারিং ভ্যান। চার সাইডে লোহার শিট তৈরী দিয়ে বক্স ভ্যানগুলো আপনি পনের থেকে বিশ হাজার টাকায় তৈরী করে নিতে পারবেন। ময়লা আর্বজনা গুলো পরিবহনের জন্য আপনাকে লোক নিয়োগ দিতে হবে। যারা প্রতিদিন বাসায় বাসায় গিয়ে ময়লা আর্বজনা গুলো সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট ডাষ্টবিনে ফেলবে।
সংগ্রহকৃত আবর্জনা গুলো থেকে রিসাইক্লিন আবর্জনা যেমন: প্রাষ্টিকের ব্যবহার্য ভাঙা জিনিসপত্র, টিনের বা লোহার টুকরা, কাগজের কার্টুন, সহ আরও বিভিন্ন বস্তু যা ভাঙারী হিসেবে আর্থিক মূল্য আছে সেগুলো সংগ্রহ করে সেখান থেকে বাড়তি অর্থ উপার্জন করাও সম্ভব। এছাড়াও আমাদের বাসাবাড়িতে যে সকল আর্বজনা গুলো তৈরী হয় সেগুলোর প্রায় ৮৫ শতাংশ আবর্জনা প্রক্রিয়াজাত করে জৈবসার উৎপাদন করা সম্ভব।
আবর্জনা প্রক্রিয়াজাত করতে চাইলে আপনার একটি নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা  করতে হবে। যেখানে আবর্জনা গুলো স্তুপকরে বাছাই করে একটা নির্দিষ্ট উপায়ে নির্দিষ্ট সময় পরে সেখান থেকে  উৎপাদিত জৈবসার তৈরী করে বাজারজাত করতে পারবেন। আর এ প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত জৈবসার ফসলের ক্ষেতে ব্যবহার করলে তা থেকে ব্যাপক ফলন পাওয়া সম্ভব। যেখানে রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে ফসলের জমির উর্বরতা হ্রাস পায় সেখানে এই জৈবসার জমির উর্বরতা বাড়ায়।
আর্বজনা সংগ্রহ করার মাধ্যমে আপনি যতবেশী বাসা থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করতে পারবেন ততবেশী আয়ের পরিমানও বৃদ্ধি পাবে। এখানে এককালীন ব্যয় বলতে ক্যারিং ভ্যান তৈরীর খরচ আর ঝুকি সর্বনিন্ম পর্যায়ে। প্রতি মাসে বর্জ্য পরিবহন শ্রমিকের বেতন এবং ক্যারিং ভ্যান মেরামত ব্যাতীত আর তেমন কোন বড় আকারের দৃশ্যমান খরচ নেই। একটু সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারলে আপনার বেকারত্ব ঘুচিয়ে সাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি আরও অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করতে পারবেন।