শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬

প্রতিটি গুগল ব্যবহারকারীর জানা দরকার এমন ১০টি ইউআরএল

প্রতিটি গুগল ব্যবহারকারীর জানা দরকার এমন ১০টি ইউআরএল

google_wallpaper_hdআপনি একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারী বা স্মার্টফোন ব্যবহারকারী হলে নিশ্চয়ই আপনি নেট ব্যবহার করে থাকেন। আর ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন কিন্তু গুগল এবং গুগলের সেবাগুলোর সাথে পরিচিত নন তাতো আর হতে পারেনা। আর অনেকেই এমন আছেন যারা গুগল ছাড়া কিছু বোঝেনও না। আর আপনিও যদি হয়ে থাকেন একজন গুগলের ডাইহার্ড ফ্যান তবে আপনার জন্য আজ নিয়ে এলাম ১০টি এমন ইউআরএল যা আপনার কাজে আসবেই আসবে! চলুন তাহলে, শুরু করা যাক।
১। আপনি গুগল ক্রোম ব্যবহার করার সময় যে সকল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকেন সেগুলো গুগল সংরক্ষণ করে রাখে। সেই পাসওয়ার্ড এবং ইউজার নেমগুলো আপনি চাইলেই গুগল থেকে সহজেই পেয়ে যাবেন। এর জন্য আপনাকে যেতে হবে http://passwords.google.com ইউআরএলটিতে।
২। আপনি যে সকল সাইটগুলোতে ভিজিট করে থাকেন সেই সাইটগুলোর উপর ভিত্তি করে আপনার একটি প্রোফাইল তৈরি করে থাকে। সেই প্রোফাইল এবং আপনার গুগল প্লাসের প্রোফাইলের উপত ভিত্তি করে গুগল আপনার বয়স, জেন্ডার, ইন্টারেস্ট সমূহ ইত্যাদি সংরক্ষণ করে রাখে সেই প্রোফাইলটিতে। আপনার প্রোফাইলটি দেখতে ভিজিট করতে পারেন https://www.google.com/ads/preferences ঠিকানায়।
৩। আপনি চাইলেই গুগল ইকোসিস্টেম থেকে আপনার সমস্ত তথ্য এক্সপোর্ট করতে পারবেন, গুগল এই সুবিধা প্রদান করে থাকে। আপনি খুব সহজেই আপনার গুগল ফটোস, কনট্যাক্ট, জিমেইল এমনকি আপনার ইউটিউবের ভিডিও (যদি থাকে) ফাইলগুলো পর্যন্ত আপনি ডাউনলোড করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে যেতে হবে https://www.google.com/takeout ঠিকানাটিতে।
৪। আপনার নিজস্ব কনটেন্ট যদি আপনি অন্য কোন সাইটে দেখে থাকেন তবে আপনি খুব সহজেই DMCA কমপ্লেইন করতে পারবেন। যার জন্য আপনাকে যেতে হবে https://support.google.com/legal ঠিকানাটিতে।
৫। আপনি কি জানেন আপনি যেখানেই যান আপনার ডিভাইসটির মাধ্যমে গুগল আপনার লোকেশন সংগ্রহ করে? কথাটি সত্য না মিথ্যা জানতে ভিজিট করুন https://maps.google.com/locationhistory ইউআরএলটি।
৬। নির্ধারিত গুগল অ্যাকাউন্ট করার সময় আপনার অ্যাকাউন্টে ইউজার নেমের শেষে @gmail.com ব্যবহারিত হয়। তবে আপনি যদি https://accounts.google.com/SignUpWithoutGmail ইউআরএলটি থেকে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে চান তাহলে গুগল ছাড়াই আপনি আপনার অ্যাকাউন্টটি ক্রিয়েট করতে পারবেন।
৭। গুগল এবং ইউটিউবে আপনি যে সার্চ টার্মই ব্যবহার করেন না কেন সেগুলো গুগল এবং ইউটিউব সংরক্ষণ করে রাখে। এছাড়াও কোন ওয়েবসাইটে যদি আপনি গুগলের অ্যাডগুলোতে ক্লিক করে থাকেন তবে সেই লগও গুগল সংরক্ষণ করে রাখে। তাই কি কি করেছেন যদি দেখতে চান তবে নিচের ইউআরএলগুলো কাজে আসবে।
https://history.google.com
https://history.google.com/history/audio
https://www.youtube.com/feed/history

৮। গুগলের টার্মস এবং কন্ডিশন অনুযায়ী আপনি যদি আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টে প্রতি ৯ মাসে একবার করে লগইন না করে থাকেন তবে আপনার অ্যাকাউন্টটি মুছে ফেলা হবে। এটি মূলত সমস্যা করে তাদের যাদের একের অধিক জিমেইল অ্যাকাউন্ট আছে। আপনারও যদি এরকম থাকে তবে আপনার প্রাইমারী মেইল অ্যাকাউন্টটিকে সেকন্ডারি মেইল অ্যাকাউন্টগুলোর ট্রাস্টেড কনট্যাক্ট হিসেবে যুক্ত করতে পারেন। ফলে, গুগল আপনার প্রাইমারী অ্যাকাউন্টে রিমাইন্ডার পাঠাতে থাকবে।
https://www.google.com/settings/account/inactive
৯। আপনার গুগল অ্যাকাউন্টে কেউ ঢুকছে কিনা সে বিষয়ে চিন্তিত? আপনি কিন্তু খুব সহজেই https://security.google.com/settings/security/activity ইউআরএলটির সাহায্যে আপনার অ্যাকতিভিটি লগ চেক করতে পারেন যেখানে কোন কোন ডিভাইস থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করা হয়েছিল এবং কোন কোন আইপি ব্যবহার করেছিল ফোনগুলো সেই তথ্য আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন।
১০। আপনি এ পর্যন্ত কোন কোন অ্যাপলিকেশনগুলোকে আপনার আক্যাউন্টে পারমিশন দিয়েছিলেন মনে নেই? https://security.google.com/settings/security/permissions এই ইউআরএলটি খুব সহজেই আপনাকে মনে করিয়ে দিতে সক্ষম।

ভিন্ন আইডিয়ায় রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা

ভিন্ন আইডিয়ায় রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা…..

12088171_627920107311781_7065564608641490616_nরেষ্টুরেন্ট ব্যবসা বর্তমানে একটি খুবই জনপ্রিয় এবং লাভজনক ব্যবসা। আর কতটা লাভ পাবেন তা জানাব এই লেখার শেষ অংশে। সেই সাথে ব্যবসায়টি করতে পারেন ভিন্ন আইডিয়ায়। ব্যবসাটি সম্পর্কে গতানুগতিক সিষ্টেমের বাইরে এসে ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব আপনাদের। আমন্ত্রন জানাচ্ছি সকলকে উদ্যোক্তার খোঁজে পেইজের পক্ষ থেকে আমি মাসুদুর রহমান মাসুদ।
এব্যবসায়ের জন্য শুরুতেই প্রস্তুত করতে হবে আপনার উদ্যোগী মনকেে নয়তো এমন হাজারটা আইডিয়া পড়ে রবে দেখতে পাবে না সফলতার মুখ। ব্যবসায়ের জায়গাটি নির্বাচন করতে হবে জনবহুল অফিস পাড়ায়। খাবার রান্না করা যাবে এমন এক থেকে দুইটি রুম ভাড়া নিতে হবে। বিকল্প ব্যবস্থা যদি আপনার বাসায় করতে পারেন তবে মন্দ কি। সাশ্রয় হবে আপনার রুম ভাড়ার পুরো অর্থটাই আর তা মাস শেষে যোগ হবে বাড়তি লাভের খাতায়। আপনার টার্গেট মার্কেট বা অফিস পাড়ার প্রত্যেকটি অফিস ভিজিট করা শুরু করুন। এবং কথা বলুন আপনার সেবাটি সম্পর্কে আপনার সাম্ভাব্য ক্রেতাদের সাথে। আস্থা দিন মান সম্মত সেবা প্রদানের। যোগাড় করতে থাকুন কাষ্টমার যারা আপনার তৈরী করা খাবার প্রতি দিন ক্রয় করবে মাসিক চুক্তিতে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার পৌছাতে পারবেন এমন সার্মথ্য রেখে কাংখিত সংখ্যার কাষ্টমার সংগ্রহ করতে থাকুন। সেই সাথে ঠিক কবে থেকে তাদের কাছে খাবার পৌছে দিবেন সেই নির্দিষ্ট তারিখটি জানিয়ে দিতে ভুল করবেন না।
এবার চলুন বাজার ঘুরে আসি। রান্না করার জন্য আপনাকে কিনতে হবে চুলা, হাড়ি, পাতিল, কড়ই, সহ প্রয়োজনীয় তৈজসপত্র যা লাগবে রান্না করার কাজে। আর সেই সাথে যে সকল আইটেম সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আপনার ক্রেতাদের সেগুলোর বাজারটাও সেরে ফেলুন। এবার রান্না করা খাবার আপনার ক্রেতাদের নিকট পৌছে দেওয়ার পাত্রও কেনা দরকার। এক্ষেত্রে আপনি হটপট জাতীয় পাত্র ব্যবহার করলে বাড়তি সুবিধা পাবেন। সাথে আপনার কোয়ালিটির উপর একটা ভাল ধারনা জন্ম নিয়ে নিবে আপনার ক্রেতাদের।
এবার চলুন রান্না ঘরে যাওয়া যাক। রান্না ঘর সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন রেখে রান্না করার প্রস্তুতি নিয়ে নিন। কিন্তু রান্না কি আপনি করবেন। যদি শিখে নিতে পারেন তবে তো ভালই হয়। নিজে না পারলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভাল বাবুর্চী নিয়োগ দিন।
মনে রাখবেন আপনার খাবারের স্বাদ আর মানের উপর নির্ভর করছে আপনার ব্যবসার সফলতা। তাই এখানে রাখতে হবে সর্বোচ্চ নজরদারি আর সর্তকতা। খাবার সময়মত পৌছে দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক লোক আর পরিবহনের ব্যবস্থা করে ফেলুন।
আপনার খাবারের দাম এমন ভাবে নির্ধারন করুন যাতে ক্রেতা তার পাশের রেষ্টুরেন্ট রেখেই আপনার সেবাটি ক্রয় করে। এই ব্যবসায় শতভাগ সফল হওয়ার জন্য আপনাকে আরও একটি গোপন তথ্য দিয়ে দিই। সেটি হল আপনার ক্রেতাদের জন্য অসাধারন ভাল ব্যবহার যাতে আপনি বলতেই আপনার ক্রেতার সামনে ভেসে উঠবে এমন একটি মুখ যেখানে আপনার ক্রেতার সন্তুষ্টি মাখা।
দুপুরের খাবার সরবরাহের পাশাপাশি বিকেলের নাস্তা সরবরাহের ব্যবস্থা কিংবা ফাষ্টফুডও সরবরাহ করতে পারেন আপনার ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী। এছাড়াও বাড়তি আয়ের জন্য আপনি বিয়ে বাড়ি সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও খাবার সরবরাহ করতে পারেন।
এবার আসুন কত বিনিয়োগ লাগবে এ ব্যবসায়। ছোট আকারে করতে আপনি মাত্র দশ থেকে পনের হাজার টাকায় শুরু করতে পারবেন। আর পরবর্তীতে চাইলে আপনি এথানেই বিনিয়োগ করতে পারবেন লক্ষ লক্ষ টাকা। তবে সাবধান কখনও বাসি-পচা খাবার সরবরাহ করার চেষ্টাও করবেন না অতিরিক্ত লাভের আশায়। শুরুতেই বলেছিলাম এ ব্যবসায় খুবই লাভজনক। চলে এসছি সেই কাংখিত জায়গায় বলব লাভের কথা। দক্ষ হাতে আপনি ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারলে সকল খরচ বাদ দিয়ে ত্রিশ থেকে চল্লিশ শতাংশ মুনাফা বা লাভ করতে পারবেন আপনি।

বিজ্ঞাপন এজেন্সীর ব্যবসা করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়

বিজ্ঞাপন এজেন্সীর ব্যবসা করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় …

11891084_615662605204198_4875453982882505681_nবন্ধুরা স্বাগতম আপনাদের সকলকে। আপনাদেরকে আজ লাভজনক একটা ব্যবসায় সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব। যেখানে ব্যবসায় করার জন্য খুব বেশী পুজিঁর প্রয়োজন পড়বে না। যত ভাল যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবেন তত এ ব্যবসায়ের পরিধি বাড়াতে সক্ষম হবেন। সফলতার জন্য আপনার যোগাযোগ ও ব্যবহারই এ ব্যবসায়ের সবচেয়ে বড় পুঁজি।
উৎপাদিত পণ্যের প্রচারের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত মাধ্যম হচ্ছে বিজ্ঞাপন। এবং বড় বড় কোম্পানী গুলো তাদের পণ্যের মূল্যের প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ বিজ্ঞাপন খাতে ব্যয় করে থাকে। টেলিভিশন, রেডিও, পত্রিকা, মাগ্যাজিন, বিলবোর্ড এর সাথে বর্তমানে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার আরও একটি নতুন ক্ষেত্র তৈরী হয়েছে। কিভাবে শুরু করবেন চলুন সে সম্পের্কে একটু জানার চেষ্টা করি। বিজ্ঞাপনী সংস্থা গুলো সাধারনত তৃতীয় পক্ষ হিসেবে কাজ করে থাকে। এর জন্য আপনাকে একটা বা দুইটা রুমের অফিস রুম ভাড়া নিতে হবে। আপনি নিজেই অথবা দু-চার জন কর্মী নিয়োগ দিয়েই শুরু করতে পারবেন এ ব্যবসাটি।
এজন্য আপনাকে অফিস ভাড়ার অগ্রিম এবং অফিস সজ্জা বাবদ সামান্য অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। মিডিয়া পাড়ায় এ ধরনের ব্যবসার ব্যপক সুযোগ রয়েছে। এর বাইরেও বিভাগীয় বা জেলা পর্যায়ে অফিস নিয়ে শুরু করতে পারবেন এ ব্যবসা।
যারা বিভিন্ন টেলিভিশন, রেডিও, পত্রিকা, মাগ্যাজিন বিলবোর্ড বা অনলাইনে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে ইচ্ছুক তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। তাদের কাছ থেকে বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করাই হচ্ছে আপনার কাজ। আর এর মাধ্যমে আপনি পাবেন কমিশন। যেখান থেকে আসবে আপনার আয়। সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিজ্ঞাপন প্রচারের কাজ পাওয়ার পাশাপাশি আপনি প্রেস রিলিজ প্রচারের কাজও পাবেন। যেখান থেকেও আপনার আয় হবে বড় একটা অর্থের।
এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান চালানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই বিজ্ঞাপন প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সর্তকতার সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। তাদের বিজ্ঞাপনের মূল্য সম্পর্কে আপনার পূর্ন ও সঠিক ধারনা থাকতে হবে। সে অনুযায়ী আপনি ব্জ্ঞিাপন সংগ্রহ করে প্রচারের ব্যবস্থা করতে পারলেই আপনার ব্যবসায়ের দ্রুত প্রসার ঘটাতে পারবেন। এবং প্রচুর প্ররিমান আয়ও করতে পারবেন। যত বেশী পরিমান বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে প্রচারের ব্যবস্থা করতে পারবেন আয়ও তত বাড়বে।
এ জাতীয় কিছু বিজ্ঞাপনী এজেন্সী আপনি ঢাকার ফার্মগেট, কাওরান বাজার এলাকায় পাবেন। যদিও ঢাকা শহরের প্রায় জায়গাতেই এ ধরনের অনেক এজেন্সী আছে। এছাড়া বিভাগীয় ও জেলা শহরের প্রেসক্লাব ও মিডিয়া অফিস গুলোর আশপাশেই এ জাতীয় বিজ্ঞাপনী এজেন্সী পাবেন। তাদের সাথে সর্তকতার সাথে যোগাযোগ করলে ব্যবসায়ের কৌশল ও বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আমি আপনাদের আবারও স্মরন করিয়ে দিতে চাই এ ব্যবসায়ের সবচেয়ে বড় পুঁজি হচ্ছে যোগাযোগ, সম্পর্ক তৈরী ও ব্যবহার। ধৈয্য সহকারে এগিয়ে যেতে পারলে এ ব্যবসায় আপনি খুব সহজেই পেতে পারেন সফলতা।

আইটি ফার্মের ব্যাবসা খুলতে পারে আপনার সৌভাগ্যের দ্বার

আইটি ফার্মের ব্যাবসা খুলতে পারে আপনার সৌভাগ্যের দ্বার…

11880551_612004492236676_1037725487755032866_nইনফরমেশন টেকনোলজি আমাদের জীবনে এনেছে গতিময় ছন্দ। যোগাযোগে এনেছে অভূতপুর্ব সাফল্য। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রকে করেছে আরও সমৃদ্ধ। আর সম্ভাবনাময় এ খাতে বিনিয়োগ করে আপনি হতে পারেন সফল উদ্যোক্তা।
স্বাগতম আপনাদের সকলকে। আইটি ফার্মের ব্যবসা স্থাপনের জন্য আপনাকে সবার আগে দক্ষ আইটি কর্মী নিযোগের চিন্তা মাথায় রাখতে হবে। কারন তারাই হচ্ছে আপনার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। তাদের মেধা ও বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। আপনি যদি আইটি বিষয়ে পড়াশুনা করে থাকেন তবে আপনার এ ব্যবসায়ে সফলতা পেতে সহজ হবে। আইটি ব্যবসা ভিন্ন ভিন্ন খাত ধরে করতে পারবেন। আপনি চাইলে ছোট থেকে বিস্তৃত পরিসরে এ ব্যবসা করতে পারবেন। এক লক্ষ টাকা ‍পুজিঁ থেকে শুরু করে কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন এ খাতে।
ছোট করে যদি শুরু করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি কম্পিউটার এর হার্ডওয়্যার মেরামত ও যন্ত্রাংশ বিক্রয় করতে পারেন। নেটওয়ার্কিং করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশও সাথে বিক্রয় করতে পারবেন। এখানে আপনি নষ্ট কম্পিউটার মেরামত থেকে শুরু করে মাউস, কিবোর্ড ,মনিটর, পিসি, সাউন্ড সিষ্টেম, নেটওয়াকিং কেবল, ওয়াইফাই, রাউডার সহ পেনড্রাইভ বিক্রয় করতে পারেন।
একটু বড় পরিসরে আসি এবার। আইটি ফার্ম করার জন্য আপনাকে যা করতে হবে সে সম্পর্কে জানানোর ক্ষুদ্র চেষ্টায় প্রথমত আপনাকে সু সজ্জিত অফিস নিতে হবে। কাজ করার জন্য হাই কনফিগারেশন কম্পিউটার নিতে হবে। সাথে প্রয়োজনীয় ব্যান্ডউইথ সংযোগ নিতে হবে। সফটওয়্যার তৈরীর জন্য দক্ষ, অভিজ্ঞ, সৃজনশীল সফটওয়্যার ইজ্ঞিনিয়ার নিয়োগ দিতে হবে।
আপনার প্রতিষঠান কি ধরনের সফটওয়্যার তৈরী ও বিক্রয় করবেন তার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা একেঁ নিন। প্রচার পরিচালনা চালান দেশে ও বিদেশে। দেশের ভেতর কাজ পেতে যোগাযোগ করুন বানিজ্যিক ও সেবা খাত সমূহের প্রতিষঠানে।
বিদেশের বিভিন্ন ধরনের প্রতিষঠানের কাজ পেতে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখুন সর্তকতার সাথে। বায়ার আপনার কাজে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলে আপনার কাজের অভাব হবে না বিদেশের বাজারে। বাংলাদেশ প্রতি বছর সফটওয়্যার রপ্তানি করে কোটি কোটি টাকা আয় করছে। আর এ খাতে আপনার বিনিয়োগ স্থাপন করে আপনিও নিতে পারেন সে সুবর্ন সুযোগ।
সফটওয়্যার তৈরীর পাশাপাশি আপনি সফটওয়্যার উন্নয়নের কাজও করবেন। আর এখান থেকেও আপনি আয় করতে পারবেন একটা বড় অঙ্কের অর্থ। আর ইন্টারনেট থেকেই আপনি সংগ্রহ করতে পারবেন এ ধরনের কাজ। পাশাপাশি যাদের কাছে সফটওয়্যার বিক্রয় করবেন তাদের কাছ থেকেই পুনরায় আপডেটের কাজ পাবেন। বড় বড় প্রতিষঠান সমূহের নেটওয়াকিং এর কাজ করেবেন সাথে।
ছোট আকারে একটি সফটওয়্যার ফার্ম করতে প্রায় আট থেকে দশ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। এর বাইরে আপনি বিদেশ থেকে আইটি পন্যের আমদানি করে তা দেশের বাজারে বিক্রয়ের ব্যবসায়ও করতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্য আরও বড় ও বেশী পুজিঁর বিনিয়োগ করতে হবে আপনাকে। আর আমদানিক্রত আইটি পন্যের ব্যবসায় করতে গেলে আপনাকে পন্য মানের সাথে কোন প্রকার সামজ্ঞস্য করা চলবে না। অবশ্যই ভাল মানের প্রন্য আমদানি করতে হবে।
মার্কেটিং এন্ড সেলস যেকোন প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। সুতরাং এখানে আপনার কোন প্রকার ছাড় দেওয়ার সুযোগ নাই। পরিশ্রমী এবং দক্ষ লোক নিয়োগ দিতে ভুল করবেন না একটুও। মার্কেটিং প্লান সাজান এবং সে অনুযায়ী এগিয়ে যান কাংখিত লক্ষের দিকে।
মার্কেটিং এনড সেলস দক্ষতার সাথে পরিচালনা করে মান সম্মত সেবা প্রদানের নিশ্চয়তা প্রদান করতে পারলে আপনি খুব সহজেই আইটি ব্যবসায়ে সফল হতে পারবেন

কাপড় অথবা কাগজের হ্যান্ড ব্যাগ তৈরী দিয়েই শুরু হোক আপনার ব্যবসা

 

কাপড় অথবা কাগজের হ্যান্ড ব্যাগ তৈরী দিয়েই শুরু হোক আপনার ব্যবসা….

11846707_609320622505063_2915660693566483325_nইতিমধ্যেই আপনাদের অনেকে আমার কাছে জানতে চেয়েছেন কাপড় অথবা কাগজের হ্যান্ড ব্যাগ তৈরীর ব্যবসা সম্পর্কে। আর তাদের জন্য এ ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর ক্ষুদ্র এ প্রচেষ্টা।
চলুন তাহলে… ভাবছেন কিভাবে শুরু করবেন…?
ব্যগ তৈরীর জন্য সর্বপ্রথমে একটা রুমের প্রয়োজন হবে। আর তাতে স্থাপন করতে হবে দুই থেকে তিনটি সেলাই মেশিন।
মেশিন যখন কিনেই ফেললেন তখন কিছু সেলাই তো করতে হবে। আর এজন্য দরকার হবে আপনি যে কাপড়ের ব্যাগ তৈরী করতে চান সে জাতীয় কাপড়।
সাথে ‍সুতা তো লাগছেই সেলাই করতে। তাই উপযুক্ত সুতা বাছাইয়ের কাজটিও করতে হবে আপনাকে। ব্যাগের হাতল তৈরীর কাজে ব্যবহৃত ফিতা অথবা আলাদা ধরনের সুতাও সংগ্রহ করতে হবে। ব্যাগটি যদি জিপার সিষ্টেম করতে চান তাহলে আপনাকে জিপার সংগ্রহ করতে হবে।
কাগজের ব্যাগের ক্ষেত্রে কাগজ, আঠা, রিপিট সুতা ইত্যাদির প্রয়োজন পড়বে। এ জাতীয় ব্যাগের বাইরে সিমেন্টের ব্যাগ থেকেও তৈরী করতে পারেন হ্যান্ড ব্যাগ। অথবা নেটের ব্যাগও তৈরী করতে পারেন। যার চাহিদা কতটা ব্যাপক তা বাজার করতে গেলে বুঝবেন।
কাপড়ের তৈরী হ্যান্ড ব্যাগকে যদি আকর্ষনীয় রুপ দিতে চান তাহলে সুন্দর রংয়ে রাঙাতে স্ক্রিন প্রিন্ট মেশিনের প্রয়োজন পড়বে।
এ ব্যবসা করতে আপনার বিশেষ কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন পড়বে না। মাত্র দুই থেকে তিন দিন প্রশিক্ষন নিলেই আপনি নিজেই তৈরী করতে পারবেন।
এ ব্যবসা প্রাথমিক অবস্থায় ৫০,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকায় শুরু করতে পারবেন। ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চাইলে তখন বাড়তি পুঁজির প্রয়োজন পড়বে।
নিজে কাজ সম্পর্কে পুরোপুরি ভালভাবে জেনে নিতে পারলে কর্মীদের থেকে পূর্ন আউটপুট বুঝে পাবেন সাথে আপনার কর্মীরাও ফাঁকি দিতে পারবে না।
আপনার তৈরী করা হ্যান্ড ব্যাগ নিকটস্থ বাজেরর দোকান গুলোতে বিক্রয় করতে পারবেন। এছাড়াও ঢাকার চকবাজারে এ জাতীয় ব্যাগের পাইকারী বাজার রয়েছে। সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ জাতীয় পন্যের পাইকারী বাজার পাবেন আপনার তৈরী ব্যাগ বিক্রির জন্য।
তাহলে থেমে আছেন কেন…?
একটু সাহস করেই না হয় কাজে হাত দিয়ে ফেলুন যদি থাকে আত্মবিশ্বাস আর জীবনে সফলতা পাওয়ার অদম্য ইচ্ছা….