শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬

যে ৯টি ব্যক্তিগত প্রশ্ন অবশ্যই করবেন সম্পর্কে যাবার আগে

যে ৯টি ব্যক্তিগত প্রশ্ন অবশ্যই করবেন সম্পর্কে যাবার আগে

একজন মানুষের সাথে পরিচয়ের পর তাকে জানবেন কীভাবে? সবচেয়ে ভাল হয় প্রশ্ন করা। বিশেষ করে ছেলেদের ক্ষেত্রে। ছেলেরা নিজেদের কথা বলতে চায় না, তা নয়। কিন্তু তারা সহজে ব্যক্তিগত কথাগুলো বলে ফেলতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। কিন্তু আপনি যখন আপনার নতুন পরিচিত ব্যক্তিটি সম্পর্কে আগ্রহী তখন এর এগোনো ঠিক হবে কি না বা ইনিই সেই মানুষটি কিনা যার সাথে আপনি ঘনিষ্ট সম্পর্কের কথা ভাবতে পারেন তা বোঝার জন্য সাহায্য নিতে পারেন কয়েকটি মৌলিক কিন্তু কার্যকরী প্রশ্নের। এগুলোর উত্তর যদি সঠিকভাবে পেয়ে যান তাহলে ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত ভুল হবে না আপনার নিশ্চিতimages (1) images (2)
আপনার জীবনে সবচেয়ে বিব্রতকর ঘটনাটি কী?
এই প্রশ্নের উত্তরে অনেক উত্তর থাকতে পারে আবার সে উত্তর নাও দিতে পারে। আপনি শুধু তার আচরণ খেয়াল করুন। যদি মানুষটি আপনাকে নিজের জীবনের এমন সব ঘটনার কথা বলে যেই পরিস্থিতিগুলো নাজুক ছিল তার জন্য, ছিল বিব্রতকরও তাহলে বুঝতে হবে সে আপনার সাথে নিজেকে সহজ করে নিয়েছে। আপনাকে নিজের জীবনে এটুকু গ্রহণযোগ্যতা ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়ে গেছে। আর যদি মানুষটি বলতে না চায় বা ইতস্তত বোধ করে তাহলে হয় সে হীনমন্যতায় ভোগে অথবা আপনার সাথে এমন ঘটনা বলতে আগ্রহী নয়।
কী করবেন যদি আপনার এক্স গার্লফ্রেন্ড ফিরে আসতে চায়?
খুবই জরুরী প্রশ্ন। তবে আমাদের দেশের মানুষের মন মানসিকতা বিচারে একটি কথা প্রথমেই বলা দরকার, তা হল কখনোই আশা করবেন না যে আপনিই হতে যাচ্ছেন মানুষটির জীবনে প্রথম প্রেমিকা। এটি অস্বাভাবিক। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ তার জীবনে অনেক সম্পর্ক পেরিয়ে আসতে পারে। তাই এটা আগে থেকেই মেনে নিন। এখন আপনি যখন প্রশ্নটি করছেন তখন তিনি কি উত্তর করছেন খেয়াল করুন। তিনি যদি বলেন, ফিরে যাবেন, তাহলে আর কোন কথাই থাকে না। আর যদি বলেন, তিনি নম্রভাবে ফিরিয়ে দেবেন, তার মানে তিনি পুরোনো সম্পর্কটি থেকে পুরোপুরি সরে এসেছেন। আর যদি তিনি বলেন, পুরোনো প্রেমিকাকে বলবেন, তিনি আর কারও কথা ভাবছেন মানে আপনার কথা ইঙ্গিত করেন তাহলে পুরো ফ্লোরই আপনার জন্য প্রস্তুত।
আপনার কি ধরণের ট্যাটুর প্রতি আগ্রহ?
ছেলেরা কিন্তু ট্যাটু খুব পছন্দ করে। এখন একজন মানুষ তার নিজের শরীরে একেবারে স্থায়ীভাবে এঁকে রাখতে চায় কি, সেটা দিয়ে আপনি তার পছন্দ, গুরুত্ব বিচার করতে পারেন। তার উত্তর হতে পারে মা এর নামের প্রথম বর্ণ। আবার হতে পারে ঈগল, এমনকি কার্টুন ক্যারেক্টারও। তার মনের দৃঢ়তা, পছন্দ অথবা ছেলেমানুষী ইত্যাদি সম্পর্কে অনেক তথ্য পেতে পারেন আপনি এই একটি প্রশ্নের মাধ্যমে।
আপনি এপর্যন্ত কয়টি সম্পর্কে গেছেন?
হ্যাঁ, উত্তরটি মিথ্যা হতে পারে। কৌশলে জিজ্ঞেস করুন। তিনি যদি কম সংখ্যা উল্লেখ করেন, বুঝতে হবে তিনি সম্পর্কের ব্যাপারে সিরিয়াস। আর যদি সংখ্যাটি হয় বড় তাহলে বুঝতে হবে তিনি আসলে সম্পর্ক করা, টিকিয়ে রাখা বা প্রতিশ্রুতি রাখার ব্যাপারে খুব একটা সিরিয়াস নন।
কখন খুব রাগ হয়?
আপনি হয়ত ভাবছেন রেগে তো সবাই যায়, এটা আবার কেমন প্রশ্ন! মানুষকে বুঝতে হলে তার রাগের কারণ বোঝা জরুরী। যে মানুষটি খুব অল্পতে রেগে যায়, দূর্ব্যবহার করে, অথবা পথাঘাটে সিন ক্রিয়েট করতে পারে তার ব্যক্তিত্ব আসলে খুবই দূর্বল। অপরদিকে যে মানুষটি সহজে রেগে যায় না, বরং অনেক বেশী ধৈর্য্যশীল ও তার ব্যক্তিত্বও অনেক বেশী দৃঢ়।
আপনি কী ধরণের প্রশ্নের উত্তর করেন না?
এই প্রশ্নটি সহজেই আপনাকে নিয়ে যাবে তার একান্ত ব্যক্তিগত বা ক্ষত আছে এমন কোন স্মৃতির দ্বারে। তিনি যদি প্রশ্নের উত্তর দেন তাহলে তো জেনেই গেলেন এমন দরকারি বিষয়টি। কিন্তু খুব সম্ভাবনা আছে প্রশ্নটি এড়িয়ে যাবার। তাই সাবধানে প্রশ্ন করুন।
আপনার আর্থিক অবস্থা কী?
এটি আপনাকে উত্তর দেবে অনেক কিছুর। টাকাপয়সার খোঁজ নিচ্ছেন বলে হীনমন্যতায় ভোগার বা বিব্রত হওয়ার কিছু নেই। একজন মানুষ জীবন সম্পর্কে কতটা সিরিয়াস তা বোঝা যায় তার আর্থিক অবস্থা বা ভবিষ্যতে এই বিষয়ে কি করবেন সেই পরিকল্পনা দ্বারা। নিজের পকেটের খবর কিন্তু আমরা সবার সাথে শেয়ার করি না। তো এই খবরটি যদি ভদ্রলোক আপনার সাথে শেয়ার করেন তাহলে এটাও বোঝা গেল যে আপনাকে তিনি যথেষ্টই গুরুত্ব দিচ্ছেন বা কাছের ভাবছেন।
ভালবাসার মানে কি আপনার কাছে?
হ্যাঁ, খুবই সহজ প্রশ্ন এটি। উত্তরও সহজ। তবু নতুন সম্পর্ক শুরু করার আগে তার মুখ থেকেই একবার জেনে নিন। সবাই একভাবে সম্পর্কের চর্চা করে না। কেউ প্রেম বলতে বোঝে প্রেম, বিয়ে, পরিবার। আবার কেউ কেউ প্রেম বলতে বোঝে শুধুই প্রেম। আবার কারও কাছে হয়ত ভালবাসা কোন মানেই রাখে না। এমন মানুষ হয়ত বলবেন, “আমি এসবে বিশ্বাস করি না”।
শেষ সম্পর্কটি কেন টেকে নি?
প্রত্যেকটি সম্পর্কই অনেক স্পেশাল হয়। ফেলে আসা সম্পর্কটির অনেক বাজে অভিজ্ঞতা থাকতে পারে। কিন্তু ভাল সময়টুকুর প্রতি শ্রদ্ধা থাকা জরুরী। তিনি যদি সমস্ত দোষ তার প্রাক্তন প্রেমিকার ঘাড়ে চাপিয়ে দেন তাহলে বুঝতে হবে তিনি নিজের ত্রুটিগুলো লুকাচ্ছেন। আজ আপনার কাছে নিজেকে যতটা মহৎ হিসেবে তুলে ধরছেন ততটা তিনি হয়ত নন।
প্রশ্নগুলো বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মত লাগছে হয়ত। কিন্তু অবশ্যই এভাবে সরাসরি জিজ্ঞেস করবেন না। কৌশলেজিজ্ঞেস করবেন, কারণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য উত্তরগুলো ঠিকঠাক মত পাওয়া জরুরী।
FSS TSTL

রাশি অনুযায়ী আপনার সঙ্গী কেমন হবে তা আজই জেনে নিন

রাশি অনুযায়ী আপনার সঙ্গী কেমন হবে তা আজই জেনে নিন

জ্যোতিষীরা বিশ্বাস করেন, রাশিভেদে প্রেমের সম্পর্কে আসে নানান উত্থান পতন। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোন রাশির মানুষের সঙ্গে অপর কোন রাশির মানুষের সম্পর্ক কেমন হতে পারে তা জানাটা আমাদেরকে একটু হলেও স্বস্তি দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, রাশি অনুযায়ী কে হবেন আপনার যোগ্য সঙ্গী।
মেষ ও কুম্ভ : এদের নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক হবে মজা, খুনসুটি ও রোমাঞ্চে ভরপুর। এদের সম্পর্কে কখনও বিরক্তি আসবে না। নতুন কিছু করতে এদের উৎসাহ অসীম। সারাক্ষণ নতুন নতুন অ্যাডভেঞ্চার করতে ব্যস্ত থাকে এরা। এরা সম্পর্ককে উপভোগ করে। একে অন্যকে স্পেস দিতে জানে।
বৃষ ও কর্কট : ‘মেড ফর ইচ আদার’ কাপল। এদের সম্পর্ক আবেগে বাঁধা। একে অন্যকে ভালো বোঝেন। গুরুত্ব দেন অপরের মতামতকে। যত দিন যায়, তত আরও মজবুত হয় সম্পর্ক।
মিথুন ও কুম্ভ : এরা যখন ডেট করে, মনে হবে যেন কয়েক যুগের সম্পর্ক। দুজনেই অত্যন্ত শৈল্পিক। কাজের ক্ষেত্রে একে অন্যকে অনুপ্রেরণা দেয়। আইডিয়া শেয়ার করে। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সম্মান দেয়।
কর্কট ও মীন : এই দুই রাশিই জলকে বোঝায়। এদের জুটি যেন উপরওয়ালাই লিখে দিয়েছেন। এরা একে অপরের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে সম্যক ওয়াকিবহাল হয়। এরা দুজনেই খুব মিশুকে প্রকৃতির হয়।
সিংহ ও ধনু : দু’জনেই জীবনকে পুরোদমে উপভোগ করে। দুজনেই উচ্চাকাঙ্ক্ষী। লক্ষ্যপূরণের জন্য এরা সারাক্ষণ একে অন্যকে উৎসাহ দেয়, সাহস যোগায়। এরা প্রচণ্ড আমুদে হয়।
কন্যা ও বৃষ : এরা আবার মাটির কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসে। শান্ত প্রকৃতির হয়। বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে অত্যন্ত বিচক্ষণ এবং সেইমত সিদ্ধান্ত নেয়। সম্পর্কের ক্ষেত্রে এরা খুব সৎ ও সিরিয়াস। একে অন্যকে খুব ভালো বোঝে।
তুলা ও মিথুন : একই মানসিক গঠনের জন্য এরা কাছাকাছি আসে। কিন্তু ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যকে অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়ায় এদের সম্পর্কে অনেকসময় স্থায়িত্ব কম হয়। বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা এদের অন্যতম পছন্দের।
বৃশ্চিক ও কর্কট : প্রচণ্ড আবেগতাড়িত হয় এরা। এরা একে অন্যের ভুল শুধরে দেয়। এক কথায় একে অপরের পরিপূরক। একই মূল্যবোধ এদের ‘পারফেক্ট কাপল’ করে তোলে।
ধনু ও মেষ : একেবারে যাকে বলে ‘আগুনে জুটি’। যত দিন যায়, ততই এদের সম্পর্ক গভীর হয়। এদের মধ্যে কিছুটা বন্যতাও থাকে। যেকোনও বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে এরা সম্পর্কে অটল থাকে।
মকর ও বৃষ : অফুরন্ত ভালোবাসাই এদের সম্পর্কের ভিত্তি। এরা একে অন্যের সঙ্গ উপভোগ করে। অপরের প্রতি অগাধ বিশ্বাস এদের সম্পর্ককে মজবুত করে তোলে। এককথায় ‘সোলমেট’ বলতে যা বোঝায়, এরা সেই জুটি।
বৃশ্চিক ও মীন : এরা একে অন্যের মন বুঝে ফেলতে পারে। দু’জন দু’জনকে খুব ভালো বোঝে। আদ্যোপান্ত রোম্যান্টিক এই জুটি।

পুরুষদের যে কারণে হার্ট অ্যাটাক তুলনামুলক ভাবে বেশি হয়

পুরুষদের যে কারণে হার্ট অ্যাটাক তুলনামুলক ভাবে বেশি হয় !

আজকের কম্পিটিশনের দুনিয়ায় স্ট্রেস একটি দৈনন্দিন সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তাই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যাও ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বাড়ছে মৃত্যুর ঝুঁকিও। আর এই স্ট্রেসকে দূরে সরিয়ে রাখতে বিজ্ঞানীরা এবার নতুন এক উপায় বের করেছেন। তবে, তা বেশিভাবে প্রজোয্য পুরুষদের ক্ষেত্রেই। তাঁদের এই নতুন পন্থা ইতিমধ্যেই নাকি সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে পুরুষদের উপর।
বৈজ্ঞানিকদের মতে শত ব্যস্ততার মাঝেও সময় বের করে স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটালে, কথা বললে নাকি ভালো থাকা যায়। প্রচণ্ডরকম ক্লান্তিতে বা বিষাদগ্রস্ততায় স্ত্রীর সঙ্গে মনের সব কথা শেয়ার করলে হৃৎপিণ্ডটি সুস্থ থাকবে। মার্কিন এই গবেষকরা তাঁদের গবেষণায় দেখেছেন, সঙ্গীর সঙ্গে ইতিবাচক কথা বললে হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়।
সম্প্রতি আমেরিকায় কয়েকজন গবেষক জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে নাকি অতিরিক্ত নেতিবাচক কথা বললে তা সরাসরি হার্টের সমস্যা তৈরি করে দেয়। বিভিন্ন পরীক্ষায় তা ইতিমধ্যেই নাকি প্রমাণিত।
তাঁরা আরও জানিয়েছেন, যারা স্ত্রীর সঙ্গে বেশি ঝগড়া করেন তাদের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। ফলে, ঝগড়া নয় ইতিবাচক কথাই বলুন স্ত্রীর সঙ্গে। ভালো থাকবেন। সুস্থ্য থাকবেন। দাবি গবেষকদের।

কন্ডোম ছাড়াই এক বছর নিশ্চিন্ত। পুরুষদের জন্য সুখবর

কন্ডোম ছাড়াই এক বছর নিশ্চিন্ত। পুরুষদের জন্য সুখবর!


sexমাত্র একটা ইনজেকশন। তাহলেই একবছরের জন্য কন্ডোম ব্যবহারের ঝামেলা থেকে মুক্তি।
শিকাগোর ইলিনয়েস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক মিলে ‘ভ্যাসালজেল’ নামে পুরুষদের জন্য একটি বিশেষ গর্ভনিরোধক তৈরি করেছেন। তাঁদের দাবি,
একবার এই গর্ভনিরোধক ইনজেকশন নিয়ে নিলেই তা পরবর্তী এক বছর কাজ করবে। অর্থাৎ পরবর্তী এক বছর কন্ডোম না পরে সঙ্গম করলেও পার্টনারের গর্ভধারণের কোনও সম্ভাবনা নেই।
ইতিমধ্যেই বেশ কিছু খরগোশের উপরে এই গর্ভনিরোধকটির প্রাথমিক পরীক্ষা সফল হয়েছে। গবেষক দলের প্রধান ডোনাল্ড ওয়ালার-এর দাবি, পরীক্ষায় প্রত্যাশার থেকেও বেশি ভাল ফল পাওয়া গিয়েছে। শরীরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ‘ভ্যাসালজেল’ গর্ভনিরোধক হিসেবে দ্রুত কাজ করতে শুরু করে বলেই গবেষকরা জানিয়েছেন। খুব শিগগিরই মানুষের শরীরে এই ‘ভ্যাসালজেল’-এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হবে।
এই পর্যায়টি সফল হলে সারা পৃথিবীর নারী-পুরুষই একটি বড় চিন্তা থেকে মুক্তি পাবেন। মেয়েদেরও গর্ভনিরোধক পিল খেতে হবে না। এই পিলগুলির বহু সাইড এফেক্ট রয়েছে এবং এ থেকে গর্ভাশয়ে ক্যানসারও হতে পারে। অবাঞ্ছিত গর্ভপাতের সংখ্যাও কমে যাবে।

সন্তানকে বড় করতে গিয়ে এই ৯ ভুল আপনিও করছেন নাতো

সন্তানকে বড় করতে গিয়ে এই ৯ ভুল আপনিও করছেন নাতো?

সন্তান লালন-পালনে বাবা-মায়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু অনেক বাবা-মা এ ব্যাপারটিকে জটিল করে ফেলেন। তাদের নানা ভুলের কারণে সন্তান বিপথগামী হয়ে পড়তে পারে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কয়েকটি ভুল। বিজনেস ইনসাইডার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে।
১) স্বাধীন হতে উৎসাহ না দেওয়া
সন্তানকে স্বাধীন হতে উৎসাহ দেওয়া উচিত প্রত্যেক বাবা-মায়েরই। কিন্তু তারা যদি এ কাজটি না করে বরং আবেগগতভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন তাহলে তা তাদের ওপর নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।
২) বকাঝকা
শিশুকে বকাঝকা করা, শিশুর সামনে চিৎকার, চেঁচামেচি কিংবা অন্য কোনো উপায়ে রাগ প্রকাশ করেন অনেকেই। ২০১৩ সালের ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গের এক গবেষণায় এ ধরনের আচরণে শিশুর নানা ধরনের ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। আর এ ধরনের শিশুরা প্রায়ই আচরণগত কিংবা বিষণ্ণতাজনিত মানসিক সমস্যায় ভোগেন।
৩) সংযুক্ত বনাম অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের পার্থক্য বোঝা
সন্তানের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার অর্থ এই নয় যে, আপনি তার সব বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ করবেন। সন্তানের সব বিষয়ে সংযুক্ত থাকার পরেও তাকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত নয়। যে বাবা-মায়েরা সন্তানকে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন তাদের সন্তানেরা পরবর্তীতে বিগড়ে যান এবং নানা অযাচিত কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হয়ে পড়েন।
৪) অনিয়মিত ঘুম
সন্তানের অনিয়মিত ঘুম তার আচরণকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ কারণে বাবা-মায়ের সর্বদা শিশুর ঘুম যেন নিয়মিত এবং নির্দিষ্ট সময়ে হয় সেজন্য লক্ষ্য রাখা উচিত।
৫) অতিরিক্ত টিভি দেখা
যে শিশুরা তিন বছর বয়সের আগে অতিরিক্ত টিভি দেখে তারা কথা শিখতে দেরি করে। এছাড়া যে শিশুরা ছোট থাকতেই সারাক্ষণ টিভি দেখা রপ্ত করে তারা স্কুলে সমস্যায় পড়ে এবং নানা সামাজিক ও আচরণগত সমস্যায় পড়ে।
৬) স্বৈরাচারী বাবা-মায়ের সন্তান
মনোবিদ ডায়ানা বাউমরাইড ১৯৬০ সালেই জানিয়েছিলেন স্বৈরাচারি বাবা-মায়ের সন্তানেরা নানা সমস্যার মাঝে পড়েন। এ কারণে সন্তান যেন বাবা-মাকে স্বৈরাচারি মনে না করেন এ বিষয়টি পরিষ্কার করা জরুরি।
৭) অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী বাবা-মা
যে বাবা-মায়েরা সন্তানের সামনে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তারা নিজেদের মানসিক চাপ অনেকাংশে বাড়িয়ে দেন। আর এ মানসিক চাপ তাদের সন্তানের মাঝেও সঞ্চারিত হয়। এ কারণে স্মার্টফোন ব্যবহারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা।
৮) সন্তানের সঙ্গে দূরত্ব
যে বাবা-মায়েরা সন্তানের সঙ্গে মানসিকভাবে কাছাকাছি থাকেন না তাদের ক্ষেত্রে প্রায়ই বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়। এতে সন্তান পিতা-মাতার সঙ্গে আবেগগতভাবে সংযুক্ত হতে পারে না এবং কোনো পারিবারিক বন্ধনও বোধ করে না। ফলে এ ধরনের সন্তান প্রায়ই বিপথগামী হয়ে যায়।
৯) শারীরিক শাস্তি
সন্তানকে শারীরিক শাস্তি দেওয়া কখনোই উচিত নয়। শারীরিক শাস্তি দিলে তা শিশুর মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বিভিন্ন গবেষণাতে বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে