খুব কাছে পৃথিবীর মতো আরেক গ্রহ
পৃথিবীর অনুরূপ আরেকটি গ্রহের সন্ধান দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার গবেষকেরা। আমাদের ছায়াপথের এক প্রতিবেশী ছায়াপথে এটির অবস্থান।
ওই গ্রহটি যে দূরত্বে একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে, তা প্রায় পৃথিবীর মতো হওয়ায় গ্রহটিতে প্রাণের উপযোগী পরিবেশ থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন গবেষকেরা। গতকাল শুক্রবার জার্মান সাপ্তাহিক ডের স্পিগেল এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই এক্সোপ্ল্যানেট বা পৃথিবীসদৃশ গ্রহটির কোনো নাম এখনো ঠিক হয়নি। তবে গ্রহটি যে নক্ষত্রটিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে, তা বেশ পরিচিত। এর নাম প্রক্সিমা সেনতুরি। এটি আলফা সেনতুরি সৌরজগতের অংশ।
নাম প্রকাশ না করা সূত্র উল্লেখ করে জার্মান ওই সাময়িকীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নামহীন ওই গ্রহে তরল পানির অস্তিত্ব থাকতে পারে। জীবনের উদ্ভবের জন্য পানি অতি গুরুত্বপূর্ণ। এখন পর্যন্ত এত কম দূরত্বে পৃথিবীসদৃশ কোনো গ্রহের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ওই সাময়িকীতে দাবি করা হয়, আগস্টের শেষ দিকে ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরির (ইএসও) গবেষকেরা নতুন এই গ্রহের কথা জানাবেন। ওই গ্রহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি।
অবশ্য বার্তা সংস্থা এএফপিকে ইএসওর মুখপাত্র রিচার্ড হুক বলেছেন, প্রতিবেদনটি সম্পর্কে তাঁরা জ্ঞাত। কিন্তু তাঁরা এ বিষয় নিশ্চিত বা অস্বীকার কোনোটিই করেননি। তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
এর আগে নাসা বেশ কয়েকবার পৃথিবীসদৃশ গ্রহ খুঁজে পাওয়ার কথা বলেছে। কিন্তু সেসব গ্রহের অধিকাংশই তরল পানির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার উপযুক্ত নয়। সেগুলো হয় অতিরিক্ত উষ্ণ বা অতি শীতল বা আমাদের সৌরজগতের বৃহস্পতি-নেপচুনের মতো গ্যাস দিয়ে তৈরি। মঙ্গল বা পৃথিবীর মতো পাথুরে কোনো গ্রহ নয়।
গত বছর নাসা পৃথিবীর নিকটতম যমজ একটি গ্রহের খোঁজ পাওয়ার তথ্য জানান নাসার গবেষকেরা। কেপলার ৪৫২ বি নামের ওই গ্রহ পৃথিবী থেকে ৬০ শতাংশ বড়। সেখানে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, সমুদ্র, পৃথিবীর মতোই নক্ষত্রের আলো ও দ্বিগুণ মাধ্যাকর্ষণ শক্তি রয়েছে। সেখানে ৩৮৫ দিনে এক বছর হয়। কিন্তু ওই গ্রহ পৃথিবী থেকে ১ হাজার ৪০০ আলোকবর্ষ দূরে।
তাই ওই গ্রহে মানুষের পক্ষে অদূরভবিষ্যতেও পৌঁছানোর আশা করা যায় না। সে তুলনায় প্রক্সিমা সেনতুরির গ্রহটি পৃথিবী থেকে মাত্র ৪ দশমিক ২৪ আলোকবর্ষ দূরে। মহাজাগতিক হিসাবে এটি খুব কাছাকাছি হলেও মানুষের পক্ষে বর্তমান রকেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে পৌঁছানো সম্ভব নয়।
নাসার গোডার্ড স্পেস সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, নতুন গ্রহটি পৃথিবী ও সূর্যের দূরত্বের ২ লাখ ৭১ হাজার গুণ বেশি দূরে অবস্থিত।
প্রক্সিমা সেনতুরি ১৯১৫ সালে আবিষ্কৃত হয়, যা আলফা সেনতুরির অংশ। এই গ্রহাণুপুঞ্জ দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে চোখে পড়ে। তথ্যসূত্র: এএফপি।
ওই গ্রহটি যে দূরত্বে একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে, তা প্রায় পৃথিবীর মতো হওয়ায় গ্রহটিতে প্রাণের উপযোগী পরিবেশ থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন গবেষকেরা। গতকাল শুক্রবার জার্মান সাপ্তাহিক ডের স্পিগেল এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই এক্সোপ্ল্যানেট বা পৃথিবীসদৃশ গ্রহটির কোনো নাম এখনো ঠিক হয়নি। তবে গ্রহটি যে নক্ষত্রটিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে, তা বেশ পরিচিত। এর নাম প্রক্সিমা সেনতুরি। এটি আলফা সেনতুরি সৌরজগতের অংশ।
নাম প্রকাশ না করা সূত্র উল্লেখ করে জার্মান ওই সাময়িকীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নামহীন ওই গ্রহে তরল পানির অস্তিত্ব থাকতে পারে। জীবনের উদ্ভবের জন্য পানি অতি গুরুত্বপূর্ণ। এখন পর্যন্ত এত কম দূরত্বে পৃথিবীসদৃশ কোনো গ্রহের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ওই সাময়িকীতে দাবি করা হয়, আগস্টের শেষ দিকে ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরির (ইএসও) গবেষকেরা নতুন এই গ্রহের কথা জানাবেন। ওই গ্রহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি।
অবশ্য বার্তা সংস্থা এএফপিকে ইএসওর মুখপাত্র রিচার্ড হুক বলেছেন, প্রতিবেদনটি সম্পর্কে তাঁরা জ্ঞাত। কিন্তু তাঁরা এ বিষয় নিশ্চিত বা অস্বীকার কোনোটিই করেননি। তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
এর আগে নাসা বেশ কয়েকবার পৃথিবীসদৃশ গ্রহ খুঁজে পাওয়ার কথা বলেছে। কিন্তু সেসব গ্রহের অধিকাংশই তরল পানির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার উপযুক্ত নয়। সেগুলো হয় অতিরিক্ত উষ্ণ বা অতি শীতল বা আমাদের সৌরজগতের বৃহস্পতি-নেপচুনের মতো গ্যাস দিয়ে তৈরি। মঙ্গল বা পৃথিবীর মতো পাথুরে কোনো গ্রহ নয়।
গত বছর নাসা পৃথিবীর নিকটতম যমজ একটি গ্রহের খোঁজ পাওয়ার তথ্য জানান নাসার গবেষকেরা। কেপলার ৪৫২ বি নামের ওই গ্রহ পৃথিবী থেকে ৬০ শতাংশ বড়। সেখানে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, সমুদ্র, পৃথিবীর মতোই নক্ষত্রের আলো ও দ্বিগুণ মাধ্যাকর্ষণ শক্তি রয়েছে। সেখানে ৩৮৫ দিনে এক বছর হয়। কিন্তু ওই গ্রহ পৃথিবী থেকে ১ হাজার ৪০০ আলোকবর্ষ দূরে।
তাই ওই গ্রহে মানুষের পক্ষে অদূরভবিষ্যতেও পৌঁছানোর আশা করা যায় না। সে তুলনায় প্রক্সিমা সেনতুরির গ্রহটি পৃথিবী থেকে মাত্র ৪ দশমিক ২৪ আলোকবর্ষ দূরে। মহাজাগতিক হিসাবে এটি খুব কাছাকাছি হলেও মানুষের পক্ষে বর্তমান রকেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে পৌঁছানো সম্ভব নয়।
নাসার গোডার্ড স্পেস সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, নতুন গ্রহটি পৃথিবী ও সূর্যের দূরত্বের ২ লাখ ৭১ হাজার গুণ বেশি দূরে অবস্থিত।
প্রক্সিমা সেনতুরি ১৯১৫ সালে আবিষ্কৃত হয়, যা আলফা সেনতুরির অংশ। এই গ্রহাণুপুঞ্জ দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে চোখে পড়ে। তথ্যসূত্র: এএফপি।