আদিম মানুষের সঙ্গে সেক্স করেছিল আধুনিক মানুষ
আদিম মানুষের সঙ্গে সেক্স করেছিল আধুনিক মানুষ
অ- অ অ+
আদিম মানুষের সঙ্গে সেক্স করেছিল আধুনিক সভ্য মানুষ। গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
আজ থেকে প্রায় ১ লাখ বছর আগে। এমনটাই ঘটেছিল। এর আগেও আদিম মানুষের সঙ্গে সেক্সের বিষয়টি গবেষণায় উঠে এসেছিল। তখন ভাবা হয়েছিল ৪৭,০০০ থেকে ৬৫,০০০ হাজার বছর আগে এমনটা হয়েছিল। কিন্তু, সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে সে ভাবনা ভুল।
দীর্ঘদিন ধরে DNA নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয়। তারপরই আদিম মানুষের সঙ্গে সেক্সের বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হন গবেষকরা। আফ্রিকা থেকে আধুনিক সভ্য মানুষ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার আগেই ঘটেছিল এ ঘটনা
IT IS HOT NEWS. Some information and news unknown to everyone. Which is only possible in F S S T S T L. SO keeps watching and keeps telling others.
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯
দীপিকাকে জড়িয়ে অঝোরে কাঁদলেন শ্রীদেবীর স্বামী
দীপিকাকে জড়িয়ে অঝোরে কাঁদলেন শ্রীদেবীর স্বামী
দীপিকাকে জড়িয়ে অঝোরে কাঁদলেন শ্রীদেবীর স্বামী
অ- অ অ+
বলিউডের রানি খ্যাত শ্রীদেবীর চির বিদায়ের দুই বছর হতে যাচ্ছে। কিন্তু স্ত্রীর শোকে এখনো কাতর শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুর। সম্প্রতি দিল্লিতে শ্রীদেবীর বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে কেঁদে ফেললেন তিনি। বনিকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে দেখে জড়িয়ে ধরে তাকে সান্ত্বনা দিলেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন।
অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, দীপিকা পাড়ুকোন বলছেন, আজও শ্রীদেবীকে মনে পড়ে। এমনকি তার কাজের অনুপ্রেরণার পেছনেও কাপুরদের অবদান অনেকটা। ছবি মুক্তি পেলেই এই পরিবার থেকে শুভেচ্ছাবার্তা আসে।
দীপিকা বলেন, আমি মনে করি আজকের এই সন্ধ্যা আমার জন্য বিটার সুইট। আমরা তাকে মিস করি। তবে একই সঙ্গে, আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করি যে কাপুর পরিবার আমাকে এই সুযোগ দিয়েছে।
দীপিকা যখন এসব কথা বলছিলেন, তখন তার পাশে বসেছিলেন বনি কাপুর। তিনি অভিনেত্রীর কথা শুনে আবেগে ভেঙে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে জড়িয়ে ধরেন দীপিকা। সান্ত্বনা দেন।
বইটি লিখেছেন সত্যার্থ নায়ক। এর মুখবন্ধ লিখেছেন কাজল। সেখানে তিনি লিখেছেন, শ্রীদেবীর সুপারস্টারডাম দেখে বড় হয়েছেন তিনি। বড়পর্দায় শ্রীদেবীর ম্যাজিক মোহিত করেছিল তাকে। অভিনয়ের তিনি যেন একটি প্রতিষ্ঠান। শ্রীদেবীই তার প্রিয় আইকন।
শ্রীদেবীর জীবনের গল্প বড়পর্দায় তুলে আনতে চলেছেন বনি কাপুর। শোনা যাচ্ছে, তার কাজও নাকি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছিল, বায়োপিকে শ্রীদেবীর ভূমিকায় অভিনয় করতে নাকি দীপিকা পাড়ুকোনকেই দেখা যাবে।
দীপিকাকে জড়িয়ে অঝোরে কাঁদলেন শ্রীদেবীর স্বামী
অ- অ অ+
বলিউডের রানি খ্যাত শ্রীদেবীর চির বিদায়ের দুই বছর হতে যাচ্ছে। কিন্তু স্ত্রীর শোকে এখনো কাতর শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুর। সম্প্রতি দিল্লিতে শ্রীদেবীর বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে কেঁদে ফেললেন তিনি। বনিকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে দেখে জড়িয়ে ধরে তাকে সান্ত্বনা দিলেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন।
অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, দীপিকা পাড়ুকোন বলছেন, আজও শ্রীদেবীকে মনে পড়ে। এমনকি তার কাজের অনুপ্রেরণার পেছনেও কাপুরদের অবদান অনেকটা। ছবি মুক্তি পেলেই এই পরিবার থেকে শুভেচ্ছাবার্তা আসে।
দীপিকা বলেন, আমি মনে করি আজকের এই সন্ধ্যা আমার জন্য বিটার সুইট। আমরা তাকে মিস করি। তবে একই সঙ্গে, আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করি যে কাপুর পরিবার আমাকে এই সুযোগ দিয়েছে।
দীপিকা যখন এসব কথা বলছিলেন, তখন তার পাশে বসেছিলেন বনি কাপুর। তিনি অভিনেত্রীর কথা শুনে আবেগে ভেঙে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে জড়িয়ে ধরেন দীপিকা। সান্ত্বনা দেন।
বইটি লিখেছেন সত্যার্থ নায়ক। এর মুখবন্ধ লিখেছেন কাজল। সেখানে তিনি লিখেছেন, শ্রীদেবীর সুপারস্টারডাম দেখে বড় হয়েছেন তিনি। বড়পর্দায় শ্রীদেবীর ম্যাজিক মোহিত করেছিল তাকে। অভিনয়ের তিনি যেন একটি প্রতিষ্ঠান। শ্রীদেবীই তার প্রিয় আইকন।
শ্রীদেবীর জীবনের গল্প বড়পর্দায় তুলে আনতে চলেছেন বনি কাপুর। শোনা যাচ্ছে, তার কাজও নাকি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছিল, বায়োপিকে শ্রীদেবীর ভূমিকায় অভিনয় করতে নাকি দীপিকা পাড়ুকোনকেই দেখা যাবে।
নববী চিকিৎসা সুস্বাদু মধুর স্বাস্থ্যগুণ
নববী চিকিৎসা
সুস্বাদু মধুর স্বাস্থ্যগুণ
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ
সুস্বাদু মধুর স্বাস্থ্যগুণ
অ- অ অ+
আধুনিক যুগে চিকিৎসাবিজ্ঞান উন্নতির শীর্ষ চূড়ায় পৌঁছে গেছে। কিন্তু এসব চিকিৎসাসামগ্রীর মূল উপাদান খাদ্যদ্রব্য। মহান আল্লাহ প্রকৃতিতে মানুষের সুস্থ থাকার উপাদানগুলো রেখে দিয়েছেন। প্রাকৃতিক ওষুধের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো—কালিজিরা, পেঁয়াজ, রসুন ও মধু। মধু হচ্ছে সুস্বাদু গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যনির্যাস। এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। মধু একটি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। মধুর নিরাময়শক্তি বিস্ময়কর। এ বিষয়ে কোরআনের ভাষ্য এমন : ‘তোমার রব মৌমাছিকে তার অন্তরে ইঙ্গিত দিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন, গৃহনির্মাণ করো পাহাড়ে, বৃক্ষে ও মানুষ যে গৃহনির্মাণ করে, তাতে। এরপর প্রত্যেক ফল থেকে কিছু কিছু আহার করো। অতঃপর তোমার রবের সহজ পথ অনুসরণ করো। তার পেট থেকে নির্গত হয় বিবিধ বর্ণের পানীয়, যাতে মানুষের জন্য রয়েছে আরোগ্য। অবশ্যই তাতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৬৮-৬৯)
বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায়, রাসুল (সা.) মধু ব্যবহারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা কোরআন ও মধু দিয়ে ব্যাধি নিরাময়ের ব্যবস্থা করবে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৪৫২)
মহানবী (সা.)-এর কাছে এক সাহাবি এসে তার ভাইয়ের পেটের অসুখের কথা বললে রাসুল (সা.) তাকে মধু পান করানোর পরামর্শ দেন এবং এতে সে সুস্থ হয়ে ওঠে। (বুখারি, হাদিস : ৫৩৬০)
আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মিষ্টি ও মধু খুব ভালোবাসতেন। (বুখারি, হাদিস : ৫২৭০)
মধুর মধ্যে রয়েছে অনেক রোগের প্রতিষেধক। মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে। ফুলের পরাগের মধুতে থাকে ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ, ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ ফ্রুক্টোজ, ০.৫ থেকে ৩.০ শতাংশ সুক্রোজ এবং ৫ থেকে ১২ শতাংশ মন্টোজ। আরো থাকে ২২ শতাংশ অ্যামাইনো এসিড, ২৮ শতাংশ খনিজ লবণ এবং ১১ শতাংশ এনকাইম। এতে চর্বি ও প্রোটিন নেই। ১০০ গ্রাম মধুতে থাকে ২৮৮ ক্যালরি।
মধুতে রয়েছে ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স। এটি ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এক চা চামচ খাঁটি মধু ভোরবেলা পান করলে কোষ্ঠবদ্ধতা এবং অম্লত্ব দূর হয়।
মধু রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে বলে এটি রক্তশূন্যতায় বেশ ফলদায়ক। কারণ এতে থাকে খুব বেশি পরিমাণে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ।
ফুসফুসের যাবতীয় রোগে মধু উপকারী। যদি একজন অ্যাজমা (শ্বাসকষ্ট) রোগীর নাকের কাছে মধু ধরে শ্বাস টেনে নিতে বলা হয়, তাহলে সে স্বাভাবিক ও গভীরভাবে শ্বাস টেনে নিতে পারবে। অনেকে মনে করে, এক বছরের পুরনো মধু শ্বাসকষ্টের রোগীর জন্য বেশ ভালো।
মধু অনিদ্রার ভালো ওষুধ। রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে এটি গভীর ঘুম ও সম্মোহনের কাজ করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া মধুতে ডুবিয়ে দিলে মারা যায়। মধু ইস্টের (ণবধংঃ) বংশবৃদ্ধি ঘটতে দেয় না। এ কারণে খাঁটি মধু বোতলজাত করে অনেক দিন রাখা যায়। মধু একটি উৎকৃষ্ট প্রিজারভেটিভ বা সংরক্ষক। চিকিৎসাশাস্ত্রের অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদে ঔষধি গুণ বেশি দিন ধরে রাখার জন্য ওষুধের সঙ্গে অ্যালকোহল বা রেক্টিফায়েড স্পিরিট মেশানো হয়। ইউনানিতে এর পরিবর্তে মেশানো হয় মধু। মিয়ানমারের বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা শব দাহ করার আগে মধুতে ডুবিয়ে রেখে সংরক্ষণ করতেন। মিসরে গিজেহ পিরামিডের গহ্বর মধু দ্বারা পূর্ণ করা ছিল। সারা পৃথিবীতে কাশির ওষুধ ও অন্যান্য মিষ্টিদ্রব্য তৈরি করতে প্রতিবছর কমপক্ষে ২০০ টন মধু ব্যবহৃত হয়। খুসখুসে কাশিতে মধুর সঙ্গে লেবুর রস উপশমদায়ক। মাতাল রোগীকে স্থিরাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে মধু কার্যকর ভূমিকা রাখে। (আদ-দিমাশকি, আত-তিব্বুন নববী, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ২৭)
এ ছাড়া যক্ষ্মা, বহুমূত্র, হৃদেরাগ, ব্লাডপ্রেসার, বাত, যৌন সমস্যা ইত্যাদি রোগে নিয়মিত মধু সেবন করায় উপশম হয়।
সুস্বাদু মধুর স্বাস্থ্যগুণ
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ
সুস্বাদু মধুর স্বাস্থ্যগুণ
অ- অ অ+
আধুনিক যুগে চিকিৎসাবিজ্ঞান উন্নতির শীর্ষ চূড়ায় পৌঁছে গেছে। কিন্তু এসব চিকিৎসাসামগ্রীর মূল উপাদান খাদ্যদ্রব্য। মহান আল্লাহ প্রকৃতিতে মানুষের সুস্থ থাকার উপাদানগুলো রেখে দিয়েছেন। প্রাকৃতিক ওষুধের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো—কালিজিরা, পেঁয়াজ, রসুন ও মধু। মধু হচ্ছে সুস্বাদু গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যনির্যাস। এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। মধু একটি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। মধুর নিরাময়শক্তি বিস্ময়কর। এ বিষয়ে কোরআনের ভাষ্য এমন : ‘তোমার রব মৌমাছিকে তার অন্তরে ইঙ্গিত দিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন, গৃহনির্মাণ করো পাহাড়ে, বৃক্ষে ও মানুষ যে গৃহনির্মাণ করে, তাতে। এরপর প্রত্যেক ফল থেকে কিছু কিছু আহার করো। অতঃপর তোমার রবের সহজ পথ অনুসরণ করো। তার পেট থেকে নির্গত হয় বিবিধ বর্ণের পানীয়, যাতে মানুষের জন্য রয়েছে আরোগ্য। অবশ্যই তাতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৬৮-৬৯)
বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায়, রাসুল (সা.) মধু ব্যবহারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা কোরআন ও মধু দিয়ে ব্যাধি নিরাময়ের ব্যবস্থা করবে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৪৫২)
মহানবী (সা.)-এর কাছে এক সাহাবি এসে তার ভাইয়ের পেটের অসুখের কথা বললে রাসুল (সা.) তাকে মধু পান করানোর পরামর্শ দেন এবং এতে সে সুস্থ হয়ে ওঠে। (বুখারি, হাদিস : ৫৩৬০)
আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মিষ্টি ও মধু খুব ভালোবাসতেন। (বুখারি, হাদিস : ৫২৭০)
মধুর মধ্যে রয়েছে অনেক রোগের প্রতিষেধক। মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে। ফুলের পরাগের মধুতে থাকে ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ, ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ ফ্রুক্টোজ, ০.৫ থেকে ৩.০ শতাংশ সুক্রোজ এবং ৫ থেকে ১২ শতাংশ মন্টোজ। আরো থাকে ২২ শতাংশ অ্যামাইনো এসিড, ২৮ শতাংশ খনিজ লবণ এবং ১১ শতাংশ এনকাইম। এতে চর্বি ও প্রোটিন নেই। ১০০ গ্রাম মধুতে থাকে ২৮৮ ক্যালরি।
মধুতে রয়েছে ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স। এটি ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এক চা চামচ খাঁটি মধু ভোরবেলা পান করলে কোষ্ঠবদ্ধতা এবং অম্লত্ব দূর হয়।
মধু রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে বলে এটি রক্তশূন্যতায় বেশ ফলদায়ক। কারণ এতে থাকে খুব বেশি পরিমাণে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ।
ফুসফুসের যাবতীয় রোগে মধু উপকারী। যদি একজন অ্যাজমা (শ্বাসকষ্ট) রোগীর নাকের কাছে মধু ধরে শ্বাস টেনে নিতে বলা হয়, তাহলে সে স্বাভাবিক ও গভীরভাবে শ্বাস টেনে নিতে পারবে। অনেকে মনে করে, এক বছরের পুরনো মধু শ্বাসকষ্টের রোগীর জন্য বেশ ভালো।
মধু অনিদ্রার ভালো ওষুধ। রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে এটি গভীর ঘুম ও সম্মোহনের কাজ করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া মধুতে ডুবিয়ে দিলে মারা যায়। মধু ইস্টের (ণবধংঃ) বংশবৃদ্ধি ঘটতে দেয় না। এ কারণে খাঁটি মধু বোতলজাত করে অনেক দিন রাখা যায়। মধু একটি উৎকৃষ্ট প্রিজারভেটিভ বা সংরক্ষক। চিকিৎসাশাস্ত্রের অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদে ঔষধি গুণ বেশি দিন ধরে রাখার জন্য ওষুধের সঙ্গে অ্যালকোহল বা রেক্টিফায়েড স্পিরিট মেশানো হয়। ইউনানিতে এর পরিবর্তে মেশানো হয় মধু। মিয়ানমারের বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা শব দাহ করার আগে মধুতে ডুবিয়ে রেখে সংরক্ষণ করতেন। মিসরে গিজেহ পিরামিডের গহ্বর মধু দ্বারা পূর্ণ করা ছিল। সারা পৃথিবীতে কাশির ওষুধ ও অন্যান্য মিষ্টিদ্রব্য তৈরি করতে প্রতিবছর কমপক্ষে ২০০ টন মধু ব্যবহৃত হয়। খুসখুসে কাশিতে মধুর সঙ্গে লেবুর রস উপশমদায়ক। মাতাল রোগীকে স্থিরাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে মধু কার্যকর ভূমিকা রাখে। (আদ-দিমাশকি, আত-তিব্বুন নববী, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ২৭)
এ ছাড়া যক্ষ্মা, বহুমূত্র, হৃদেরাগ, ব্লাডপ্রেসার, বাত, যৌন সমস্যা ইত্যাদি রোগে নিয়মিত মধু সেবন করায় উপশম হয়।
এই শীতে জয়েন্টে ব্যথা হলে
এই শীতে জয়েন্টে ব্যথা হলে...
ডা. জি এম জাহাঙ্গীর হোসেন
এই শীতে জয়েন্টে ব্যথা হলে...
অ- অ অ+
শীতকালে জোড়া বা বাতের ব্যথা মাত্রাতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পায়। বয়স্ক লোকজন, বিশেষ করে যাঁরা আর্থ্রাইটিস, রিওমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও অস্ট্রিওআর্থ্রাইটিসের মতো হাড়ক্ষয় রোগে ভুগছেন, তাঁদের কষ্ট বহুলাংশে বেড়ে যায়। এ ছাড়া পেশি, লিগামেন্ট, হাড় ও স্নায়ুর ব্যথা তীব্র হয়। তাই এ সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
কারণ
♦ শীতকালে স্বাভাবিক নড়াচড়া কম হয় এবং বায়ুর চাপ কম থাকে বলে মানুষের টিস্যুগুলো ফুলে যায়। ফলে জয়েন্ট বা জোড়া জমে যায়; তখন ব্যথার উদ্রেক করে।
♦ শীতের প্রকোপে রক্তনালির খিঁচুনি ও সংকোচন হলে জোড়া, পেশি ও হাড়ে রক্ত চলাচল আগের চেয়ে বেশ কমে যায়; তখন ব্যথা-বেদনা বেড়ে যায়।
♦ শীতে স্নায়ুর সহ্যক্ষমতা কম থাকে এবং অল্পতেই উত্তেজিত হয় বিধায় ব্যথার অনুভূতি বেড়ে যায়।
লক্ষণ
শীতকালে জয়েন্টগুলো, বিশেষ করে ঘাড়, কোমর ও হাঁটুতে ব্যথা বেশি বাড়ে। এ ছাড়া কটি, গোড়ালি, কাঁধ, কনুই ও কবজিতে ব্যথা হয়, জমে যায়। হাত সামনে-পেছনে নেওয়া ও হাত দিয়ে কিছু তোলাও কষ্টকর হয়। হাঁটু ও কোমর সোজা অবস্থা থেকে ভাঁজ করতে এবং বসতে-উঠতে ভীষণ অসুবিধা হয়।
চিকিৎসা
♦ কুসুম কুসুম গরম পানির সেঁক (ময়েস্ট হিট) আর্থ্রাইটিসের ব্যথার জন্য খুবই কার্যকর। এর পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথা ও আর্থ্রাইটিসের অন্যান্য ওষুধ সেবন করতে হবে।
♦ ব্যথানাশক জেল বা মলম দিয়ে হালকাভাবে জোড়ায় ম্যাসাজ করলে ব্যথা নিরাময় হয়।
♦ ব্যথা নিরাময়ে জয়েন্টে ইনজেকশন (স্টেরয়েড ও হায়ালুরোনিক এসিড) পুশেরও প্রয়োজন হয়।
প্রতিরোধে করণীয়
♦ যথেষ্ট গরম কাপড় পরিধান করে শীত থেকে হাড় জোড়াকে রক্ষা করতে হবে।
♦ এক অবস্থায় (বসা, দাঁড়ানো) আক্রান্ত জোড়াকে বেশিক্ষণ রাখা যাবে না।
♦ সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা কম করতে হবে। প্রয়োজনে হাতে স্টিক, পায়ে কুশনযুক্ত জুতা এবং গোড়ালি, হাঁটু, কোমর, ঘাড়, কাঁধ, কনুই ও কবজিতে সাপোর্ট বা ব্রেচ ব্যবহার করতে হবে।
♦ হালকা ব্যায়াম জোড়া ব্যথা উপশমে বেশ ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে শীতকালে কঠোর ব্যায়াম আক্রান্ত জোড়ায় রক্ত চলাচল কমিয়ে ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। জোড়ার স্বাভাবিক নড়াচড়া এবং পেশি, টেনডন ও লিগামেন্টের নমনীয়তা জোড়াকে ব্যথামুক্ত রাখে।
♦ শীতকালে উপযুক্ত খাদ্যদ্রব্য গ্রহণে আর্থ্রাইটিস বা বাত ব্যথার তীব্রতা কমে আসে। এ জন্য সতেজ শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া উচিত। গাজর, শসা, মুলা ইত্যাদি সবজি ব্যথা সৃষ্টিকারী পদার্থকে শরীর থেকে সহজেই বের করে দেয়।
♦ ফলের রস সেবন জোড়াকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
♦ সকালে খালি পেটে রসুন খেলে রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জোড়ায় রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে বলে ব্যথা অনেকাংশে কম অনুভূত হয়।
♦ আদা ও লেবুর রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সকালে এবং রাতে সেবন করলে আর্থ্রাইটিস ব্যথা আস্তে আস্তে কমে আসে।
♦ এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘ডি’, ‘এ’ ও ‘সি’ সেবন করতে হবে। এতদসত্ত্বেও ব্যথা উপশম না হলে উপযুক্ত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
লেখক : হাড়, ট্রমা ও জোড়া বিশেষজ্ঞ এবং অর্থ্রোস্কোপিক সার্জন
বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল, শ্যামলী, ঢাকা।
ডা. জি এম জাহাঙ্গীর হোসেন
এই শীতে জয়েন্টে ব্যথা হলে...
অ- অ অ+
শীতকালে জোড়া বা বাতের ব্যথা মাত্রাতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পায়। বয়স্ক লোকজন, বিশেষ করে যাঁরা আর্থ্রাইটিস, রিওমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও অস্ট্রিওআর্থ্রাইটিসের মতো হাড়ক্ষয় রোগে ভুগছেন, তাঁদের কষ্ট বহুলাংশে বেড়ে যায়। এ ছাড়া পেশি, লিগামেন্ট, হাড় ও স্নায়ুর ব্যথা তীব্র হয়। তাই এ সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
কারণ
♦ শীতকালে স্বাভাবিক নড়াচড়া কম হয় এবং বায়ুর চাপ কম থাকে বলে মানুষের টিস্যুগুলো ফুলে যায়। ফলে জয়েন্ট বা জোড়া জমে যায়; তখন ব্যথার উদ্রেক করে।
♦ শীতের প্রকোপে রক্তনালির খিঁচুনি ও সংকোচন হলে জোড়া, পেশি ও হাড়ে রক্ত চলাচল আগের চেয়ে বেশ কমে যায়; তখন ব্যথা-বেদনা বেড়ে যায়।
♦ শীতে স্নায়ুর সহ্যক্ষমতা কম থাকে এবং অল্পতেই উত্তেজিত হয় বিধায় ব্যথার অনুভূতি বেড়ে যায়।
লক্ষণ
শীতকালে জয়েন্টগুলো, বিশেষ করে ঘাড়, কোমর ও হাঁটুতে ব্যথা বেশি বাড়ে। এ ছাড়া কটি, গোড়ালি, কাঁধ, কনুই ও কবজিতে ব্যথা হয়, জমে যায়। হাত সামনে-পেছনে নেওয়া ও হাত দিয়ে কিছু তোলাও কষ্টকর হয়। হাঁটু ও কোমর সোজা অবস্থা থেকে ভাঁজ করতে এবং বসতে-উঠতে ভীষণ অসুবিধা হয়।
চিকিৎসা
♦ কুসুম কুসুম গরম পানির সেঁক (ময়েস্ট হিট) আর্থ্রাইটিসের ব্যথার জন্য খুবই কার্যকর। এর পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথা ও আর্থ্রাইটিসের অন্যান্য ওষুধ সেবন করতে হবে।
♦ ব্যথানাশক জেল বা মলম দিয়ে হালকাভাবে জোড়ায় ম্যাসাজ করলে ব্যথা নিরাময় হয়।
♦ ব্যথা নিরাময়ে জয়েন্টে ইনজেকশন (স্টেরয়েড ও হায়ালুরোনিক এসিড) পুশেরও প্রয়োজন হয়।
প্রতিরোধে করণীয়
♦ যথেষ্ট গরম কাপড় পরিধান করে শীত থেকে হাড় জোড়াকে রক্ষা করতে হবে।
♦ এক অবস্থায় (বসা, দাঁড়ানো) আক্রান্ত জোড়াকে বেশিক্ষণ রাখা যাবে না।
♦ সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা কম করতে হবে। প্রয়োজনে হাতে স্টিক, পায়ে কুশনযুক্ত জুতা এবং গোড়ালি, হাঁটু, কোমর, ঘাড়, কাঁধ, কনুই ও কবজিতে সাপোর্ট বা ব্রেচ ব্যবহার করতে হবে।
♦ হালকা ব্যায়াম জোড়া ব্যথা উপশমে বেশ ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে শীতকালে কঠোর ব্যায়াম আক্রান্ত জোড়ায় রক্ত চলাচল কমিয়ে ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। জোড়ার স্বাভাবিক নড়াচড়া এবং পেশি, টেনডন ও লিগামেন্টের নমনীয়তা জোড়াকে ব্যথামুক্ত রাখে।
♦ শীতকালে উপযুক্ত খাদ্যদ্রব্য গ্রহণে আর্থ্রাইটিস বা বাত ব্যথার তীব্রতা কমে আসে। এ জন্য সতেজ শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া উচিত। গাজর, শসা, মুলা ইত্যাদি সবজি ব্যথা সৃষ্টিকারী পদার্থকে শরীর থেকে সহজেই বের করে দেয়।
♦ ফলের রস সেবন জোড়াকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
♦ সকালে খালি পেটে রসুন খেলে রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জোড়ায় রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে বলে ব্যথা অনেকাংশে কম অনুভূত হয়।
♦ আদা ও লেবুর রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সকালে এবং রাতে সেবন করলে আর্থ্রাইটিস ব্যথা আস্তে আস্তে কমে আসে।
♦ এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘ডি’, ‘এ’ ও ‘সি’ সেবন করতে হবে। এতদসত্ত্বেও ব্যথা উপশম না হলে উপযুক্ত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
লেখক : হাড়, ট্রমা ও জোড়া বিশেষজ্ঞ এবং অর্থ্রোস্কোপিক সার্জন
বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল, শ্যামলী, ঢাকা।
ঈমান জাগানিয়া গল্প বনি ইসরাঈলের তিন ব্যক্তির পরীক্ষা নিতে ফেরেশতা পাঠালেন আল্লাহ
ঈমান জাগানিয়া গল্প
বনি ইসরাঈলের তিন ব্যক্তির পরীক্ষা নিতে ফেরেশতা পাঠালেন আল্লাহ
মুহাম্মাদ হেদায়াতুল্লাহ
বনি ইসরাঈলের তিন ব্যক্তির পরীক্ষা নিতে ফেরেশতা পাঠালেন আল্লাহ
অ- অ অ+
আল্লাহ তাআলা মানুষকে নানাভাবে পরীক্ষা করেন। কাউকে পরীক্ষা করেন রোগ-ব্যাধি ও বিপদ-আপদ দিয়ে, আবার কাউকে করেন সম্পদ-প্রাচুর্য দিয়ে। তবে সর্বাবস্থায় একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, আল্লাহর সন্তুষ্টিদায়ক কাজে অবিচল থাকা। সুখ-দুঃখ যেকোনো পরিস্থিতি হোক, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা চাই। সুসময় হলে তা অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা করবে। আর কঠিন সময়ের সম্মুখীন হলে তা থেকে পরিত্রাণের দোয়া করবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা কৃতজ্ঞ হলে আমি তোমাদের অবশ্যই বাড়িয়ে দেব, আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠিন।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৭)
প্রিয়নবী (সা.) মুমিনকে প্রাচুর্য ও বিপদের সময় কৃতজ্ঞতা ও ধৈর্যের শিক্ষা দিয়েছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের ব্যাপারটা বিস্ময়কর। তার সব কাজে কল্যাণ নিহিত। মুমিন ছাড়া অন্যদের ক্ষেত্রে এমন নয়। মুমিন আনন্দের মুহূর্তে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। এতে তার কল্যাণ হয়। আবার বিপদের মুহূর্তে সে ধৈর্য ধারণ করে। এটাও তার কল্যাণ বয়ে আনে।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৯৯৯)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, বনি ইসরাঈলের মধ্যে তিনজন লোক ছিল। তাদের একজন ছিল কুষ্ঠরোগী, অপরজনের টাকমাথা এবং অন্যজন অন্ধ। মহান আল্লাহ তাদের পরীক্ষা করতে চাইলেন। তাদের কাছে একজন ফেরেশতা পাঠালেন।
কুষ্ঠরোগীর কাছে এসে ফেরেশতা বলল, তোমার সবচেয়ে পছন্দের বস্তু কী? সে বলল, সুন্দর রং ও সুন্দর চামড়া এবং যে রোগের কারণে মানুষ আমাকে ঘৃণা করে তা থেকে মুক্তি লাভ করা। ফেরেশতা তার দেহ মুছে দিল। এতে তার গায়ের রোগ দূর হয়। তাকে সুন্দর রূপও দেওয়া হলো। অতঃপর ফেরেশতা জিজ্ঞেস করল, কোন সম্পদ তোমার কাছে খুব প্রিয়? সে বলল, উট অথবা গরু (বর্ণনাকারীর সন্দেহ আছে)। তাকে ১০ মাসের গর্ভবতী একটি উটনি দেওয়া হয়। ফেরেশতা বলল, আল্লাহ তোমাকে এতে বরকত দিন।
অতঃপর ফেরেশতা টেকো মাথার লোকের কাছে এলো। তাকে জিজ্ঞেস করল, তোমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কী? সে বলল, সুন্দর রং এবং টাক অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া, যার কারণে মানুষ আমাকে ঘৃণা করে। ফেরেশতা তার মাথা মুছে দিল। তার টাক ভালো হয়ে গেল। তার মাথায় সুন্দর চুল গজাল। ফেরেশতা প্রশ্ন করল, কোন সম্পদ তোমার কাছে খুব প্রিয়? সে বলল, গরু। তাকে একটি গর্ভবতী গাভি দেওয়া হলো। তিনি বললেন, আল্লাহ তোমাকে এতে বরকত দান করুন।
অতঃপর ফেরেশতা অন্ধ ব্যক্তির কাছে এলো। তাকে জিজ্ঞেস করল, তোমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কী? সে বলল, আল্লাহ যেন আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেন, যেন আমি মানুষকে দেখতে পারি। ফেরেশতা তার চোখ স্পর্শ করল। তার চোখের দৃষ্টি আল্লাহ ফিরিয়ে দিলেন। ফেরেশতা জিজ্ঞেস করল, কোন ধরনের সম্পদ তোমার কাছে খুব প্রিয়? সে বলল, ছাগল। তাকে বেশি বাচ্চা দেয় এমন ছাগি দেওয়া হলো।
অল্প দিনের ভেতর উট, গাভি ও ছাগলের বাচ্চা হলো। প্রত্যেকের একেকটি প্রান্তর ভরে গেল উট, গরু ও ছাগল দিয়ে। অতঃপর আগের ফেরেশতা কুষ্ঠরোগীর কাছে প্রথম বেশ ধারণ করে এসে বলল, আমি একজন অসহায় ব্যক্তি। এবারের ভ্রমণে আমার সব কিছু ফুরিয়ে গেছে। এখন আল্লাহ ও তোমার সহায়তা ছাড়া এমন কেউ নেই, যার সাহায্যে আমি গন্তব্যে পৌঁছতে পারব। মহান আল্লাহর নামে তোমার কাছে আমি একটা উট চাচ্ছি, যিনি তোমাকে সুন্দর রং, সুন্দর অবয়ব ও অঢেল সম্পদ দিয়েছেন। তা দিয়ে আমি গন্তব্যে পৌঁছতে পারব। এ কথা শুনে কুষ্ঠরোগী বলল, আমার অনেক ঋণ হয়েছে। ফেরেশতা বলল, তোমাকে তো আমি চিনি। তুমি কুষ্ঠরোগী ছিলে, মানুষ তোমাকে ঘৃণা করত, তাই না? তুমি তো নিঃস্ব ছিলে, আল্লাহ তোমাকে প্রাচুর্য দিয়েছেন। কুষ্ঠরোগী বলল, এই সম্পদ তো আমি উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছি। তিনি বললেন, তুমি মিথ্যাবাদী হলে আল্লাহ যেন তোমাকে আগের মতো করে দেন। অতঃপর ফেরেশতা টাক মাথার ব্যক্তির কাছেও আগের বেশ ধারণ করে এলো। ফেরেশতা তার কাছেও প্রথম ব্যক্তির মতো সাহায্যের আবেদন করল। সে-ও আগের ব্যক্তির মতো উত্তর দেয়। তাই ফেরেশতা তাকে বলল, তুমি মিথ্যাবাদী হলে আল্লাহ যেন তোমাকে আবার আগের মতো করে দেন।
অতঃপর ফেরেশতা অন্ধ ব্যক্তির কাছে আগের বেশে এসে বলল, আমি একজন অসহায় পথিক। আমার সফরের সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। এখন গন্তব্যে পৌঁছতে আল্লাহ ও তোমার সহায়তা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আল্লাহর নামে তোমার কাছে একটি ছাগল চাচ্ছি, যিনি তোমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন। লোকটি বলল, হ্যাঁ, আমি তো অন্ধ ছিলাম, আল্লাহ আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন। কাজেই তোমার ইচ্ছামতো তুমি নিয়ে যাও। আর যা ইচ্ছা রেখে যাও। আল্লাহর শপথ! আজ তুমি যা নেবে তাতে তোমাকে কোনো বাধা দেব না। ফেরেশতা বলল, তোমার সম্পদ তোমার কাছে থাক। তোমাদের সবাইকে পরীক্ষা করা হয়েছে। তোমার প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট আছেন এবং তোমার অপর দুজন সঙ্গীর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন। (বুখারি, হাদিস : ৩৪৬৪, মুসলিম, হাদিস : ২৯৬৪)
অতএব, একজন মুমিনের প্রাচুর্যের সময় সাধ্যমতো অন্যের সহায়তায় এগিয়ে আসা উচিত। কারণ অর্থ-বিত্ত সবই মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ। আমাকে তা দিয়েছেন সঠিক ব্যবহারের জন্য। কাজেই সহায়-সম্পদ ও অর্থবিত্তের অন্যায় ব্যবহার হলে আল্লাহ তা ছিনিয়ে নেবেন।
বনি ইসরাঈলের তিন ব্যক্তির পরীক্ষা নিতে ফেরেশতা পাঠালেন আল্লাহ
মুহাম্মাদ হেদায়াতুল্লাহ
বনি ইসরাঈলের তিন ব্যক্তির পরীক্ষা নিতে ফেরেশতা পাঠালেন আল্লাহ
অ- অ অ+
আল্লাহ তাআলা মানুষকে নানাভাবে পরীক্ষা করেন। কাউকে পরীক্ষা করেন রোগ-ব্যাধি ও বিপদ-আপদ দিয়ে, আবার কাউকে করেন সম্পদ-প্রাচুর্য দিয়ে। তবে সর্বাবস্থায় একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, আল্লাহর সন্তুষ্টিদায়ক কাজে অবিচল থাকা। সুখ-দুঃখ যেকোনো পরিস্থিতি হোক, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা চাই। সুসময় হলে তা অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা করবে। আর কঠিন সময়ের সম্মুখীন হলে তা থেকে পরিত্রাণের দোয়া করবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা কৃতজ্ঞ হলে আমি তোমাদের অবশ্যই বাড়িয়ে দেব, আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠিন।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৭)
প্রিয়নবী (সা.) মুমিনকে প্রাচুর্য ও বিপদের সময় কৃতজ্ঞতা ও ধৈর্যের শিক্ষা দিয়েছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের ব্যাপারটা বিস্ময়কর। তার সব কাজে কল্যাণ নিহিত। মুমিন ছাড়া অন্যদের ক্ষেত্রে এমন নয়। মুমিন আনন্দের মুহূর্তে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। এতে তার কল্যাণ হয়। আবার বিপদের মুহূর্তে সে ধৈর্য ধারণ করে। এটাও তার কল্যাণ বয়ে আনে।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৯৯৯)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, বনি ইসরাঈলের মধ্যে তিনজন লোক ছিল। তাদের একজন ছিল কুষ্ঠরোগী, অপরজনের টাকমাথা এবং অন্যজন অন্ধ। মহান আল্লাহ তাদের পরীক্ষা করতে চাইলেন। তাদের কাছে একজন ফেরেশতা পাঠালেন।
কুষ্ঠরোগীর কাছে এসে ফেরেশতা বলল, তোমার সবচেয়ে পছন্দের বস্তু কী? সে বলল, সুন্দর রং ও সুন্দর চামড়া এবং যে রোগের কারণে মানুষ আমাকে ঘৃণা করে তা থেকে মুক্তি লাভ করা। ফেরেশতা তার দেহ মুছে দিল। এতে তার গায়ের রোগ দূর হয়। তাকে সুন্দর রূপও দেওয়া হলো। অতঃপর ফেরেশতা জিজ্ঞেস করল, কোন সম্পদ তোমার কাছে খুব প্রিয়? সে বলল, উট অথবা গরু (বর্ণনাকারীর সন্দেহ আছে)। তাকে ১০ মাসের গর্ভবতী একটি উটনি দেওয়া হয়। ফেরেশতা বলল, আল্লাহ তোমাকে এতে বরকত দিন।
অতঃপর ফেরেশতা টেকো মাথার লোকের কাছে এলো। তাকে জিজ্ঞেস করল, তোমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কী? সে বলল, সুন্দর রং এবং টাক অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া, যার কারণে মানুষ আমাকে ঘৃণা করে। ফেরেশতা তার মাথা মুছে দিল। তার টাক ভালো হয়ে গেল। তার মাথায় সুন্দর চুল গজাল। ফেরেশতা প্রশ্ন করল, কোন সম্পদ তোমার কাছে খুব প্রিয়? সে বলল, গরু। তাকে একটি গর্ভবতী গাভি দেওয়া হলো। তিনি বললেন, আল্লাহ তোমাকে এতে বরকত দান করুন।
অতঃপর ফেরেশতা অন্ধ ব্যক্তির কাছে এলো। তাকে জিজ্ঞেস করল, তোমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কী? সে বলল, আল্লাহ যেন আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেন, যেন আমি মানুষকে দেখতে পারি। ফেরেশতা তার চোখ স্পর্শ করল। তার চোখের দৃষ্টি আল্লাহ ফিরিয়ে দিলেন। ফেরেশতা জিজ্ঞেস করল, কোন ধরনের সম্পদ তোমার কাছে খুব প্রিয়? সে বলল, ছাগল। তাকে বেশি বাচ্চা দেয় এমন ছাগি দেওয়া হলো।
অল্প দিনের ভেতর উট, গাভি ও ছাগলের বাচ্চা হলো। প্রত্যেকের একেকটি প্রান্তর ভরে গেল উট, গরু ও ছাগল দিয়ে। অতঃপর আগের ফেরেশতা কুষ্ঠরোগীর কাছে প্রথম বেশ ধারণ করে এসে বলল, আমি একজন অসহায় ব্যক্তি। এবারের ভ্রমণে আমার সব কিছু ফুরিয়ে গেছে। এখন আল্লাহ ও তোমার সহায়তা ছাড়া এমন কেউ নেই, যার সাহায্যে আমি গন্তব্যে পৌঁছতে পারব। মহান আল্লাহর নামে তোমার কাছে আমি একটা উট চাচ্ছি, যিনি তোমাকে সুন্দর রং, সুন্দর অবয়ব ও অঢেল সম্পদ দিয়েছেন। তা দিয়ে আমি গন্তব্যে পৌঁছতে পারব। এ কথা শুনে কুষ্ঠরোগী বলল, আমার অনেক ঋণ হয়েছে। ফেরেশতা বলল, তোমাকে তো আমি চিনি। তুমি কুষ্ঠরোগী ছিলে, মানুষ তোমাকে ঘৃণা করত, তাই না? তুমি তো নিঃস্ব ছিলে, আল্লাহ তোমাকে প্রাচুর্য দিয়েছেন। কুষ্ঠরোগী বলল, এই সম্পদ তো আমি উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছি। তিনি বললেন, তুমি মিথ্যাবাদী হলে আল্লাহ যেন তোমাকে আগের মতো করে দেন। অতঃপর ফেরেশতা টাক মাথার ব্যক্তির কাছেও আগের বেশ ধারণ করে এলো। ফেরেশতা তার কাছেও প্রথম ব্যক্তির মতো সাহায্যের আবেদন করল। সে-ও আগের ব্যক্তির মতো উত্তর দেয়। তাই ফেরেশতা তাকে বলল, তুমি মিথ্যাবাদী হলে আল্লাহ যেন তোমাকে আবার আগের মতো করে দেন।
অতঃপর ফেরেশতা অন্ধ ব্যক্তির কাছে আগের বেশে এসে বলল, আমি একজন অসহায় পথিক। আমার সফরের সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। এখন গন্তব্যে পৌঁছতে আল্লাহ ও তোমার সহায়তা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আল্লাহর নামে তোমার কাছে একটি ছাগল চাচ্ছি, যিনি তোমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন। লোকটি বলল, হ্যাঁ, আমি তো অন্ধ ছিলাম, আল্লাহ আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন। কাজেই তোমার ইচ্ছামতো তুমি নিয়ে যাও। আর যা ইচ্ছা রেখে যাও। আল্লাহর শপথ! আজ তুমি যা নেবে তাতে তোমাকে কোনো বাধা দেব না। ফেরেশতা বলল, তোমার সম্পদ তোমার কাছে থাক। তোমাদের সবাইকে পরীক্ষা করা হয়েছে। তোমার প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট আছেন এবং তোমার অপর দুজন সঙ্গীর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন। (বুখারি, হাদিস : ৩৪৬৪, মুসলিম, হাদিস : ২৯৬৪)
অতএব, একজন মুমিনের প্রাচুর্যের সময় সাধ্যমতো অন্যের সহায়তায় এগিয়ে আসা উচিত। কারণ অর্থ-বিত্ত সবই মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ। আমাকে তা দিয়েছেন সঠিক ব্যবহারের জন্য। কাজেই সহায়-সম্পদ ও অর্থবিত্তের অন্যায় ব্যবহার হলে আল্লাহ তা ছিনিয়ে নেবেন।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)