শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২০

নতুন বছর শুরু এভাবেই

নতুন বছর শুরু এভাবেই

 নতুন বছর শুরু এভাবেই
নতুন বছর একসঙ্গে কাটালেন মালাইকা অরোরা এবং অর্জুন কাপুর। ৩১ ডিসেম্বর রাতে গোয়ায় গিয়ে মালাইকা অরোরার সঙ্গে পার্টি করেন অর্জুন কাপুর৷ অর্জুন, মালাইকার সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। পাশাপাশি নতুন বছরের শুরুতে অর্জুনের গালে চুম্বন করছেন মালাইকা, প্রকাশ্যে উঠে আসে সেই ছবিও। 
সম্প্রতি মুম্বাই ছেড়ে ছুটি কাটাতে উড়ে যান অর্জুন কাপুর৷ তবে  অর্জুন কোথায় যাচ্ছেন ছুটি কাটাতে, জানা যায়নি সেই খবর৷ তবে নতুন বছর মালাইকার সঙ্গে অর্জুন গোয়াতেই কাটাবেন বলে গুঞ্জন শুরু হয়৷ সেই অনুযায়ী, মালাইকা এবং অমৃতার সঙ্গে পার্ট করেন অর্জুন কাপুর।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে অর্জুন কাপুরের সিনেমা  পানিপথ। এই সিনেমায় সঞ্জয় দত্ত এবং কৃতি শ্যাননের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেন অর্জুন৷ তবে এই সিনেমায় অবিনয় নিয়েো সমালোচনা এবং কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় অর্জুনকে। যে সমালোচনার প্রেক্ষিতে মুখ খোলেন অর্জুন। 
তিনি বলেন, সমালোচনা এবং কটাক্ষের সঙ্গে তিনি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন৷ এখন কোনও কিছুকেই তিনি আর তেমনভাবে পাত্তা দেন না বলে স্পষ্ট জানান অর্জুন কাপুর।

ফাইভজি যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ

ফাইভজি যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ

১৬ জানুয়ারি ঢাকায় লাইভ প্রদর্শন করবে হুয়াওয়ে ও রবি



ফাইভজি যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ
সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর কাতারে নাম লেখাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বের যে গুটিকয় দেশ পঞ্চম প্রজন্মের (ফাইভজি) মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করছে তার মধ্যে বাংলাদেশও নাম লেখাতে যাচ্ছে। নতুন বছরে বাংলাদেশে কড়া নাড়ছে ফাইভজি। আর এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’তে ফাইভজির ডেমোনেস্ট্রেশন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য চলতি বছরের মধ্যেই তরঙ্গ নিলামের প্রস্তুতি নেওয়া এবং ২০২১ সালের শুরুতে ফাইভজি চালু করা।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের অগ্রগতি জানাতে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার আয়োজন করছে। মুজিববর্ষ পালনের উদ্যোগ হিসেবে এ মেলার অয়োজন করা হচ্ছে। মেলায় প্রাধান্য পাচ্ছে ফাইভজি।
মেলায় ফাইভজি প্রযুক্তিসহ এর ব্যবহার নিয়ে লাইভ দেখানো হবে বলে জানালেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘২০২০ সালে আমরা ফাইভজির সব কাঠামো গড়ে তুলব এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেব। আমাদের টার্গেট ২০২১ সালে এটি আনুষ্ঠানিক চালু করা। তবে আমরা চলতি বছরের ডিসেম্বর কিংবা পরের বছর জানুয়ারিতে চালু করার সর্বাত্মক চেষ্ট করব। 
আমরা ফাইভজি চালু করা বিশ্বের প্রথম ২০ দেশের তালিকায় থাকতে পারব বলে আশা করি। এ জন্য প্রাথমিকভাবে আমাদের যে গাইডলাইন দরকার, সেটি ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করা হবে এবং আমাদের ইচ্ছা জুনের মধ্যে তা চূড়ান্ত করা। বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে তরঙ্গ নিলামের প্রক্রিয়া শুরু করার ইচ্ছা আছে। ফাইভজির স্পেক্ট্রাম বরাদ্দ দেওয়া হলে ২০২০ সালের মধ্যেই ফাইভজি পরীক্ষামূলক চালু করব।’
জানা যায়, ফাইভজি নীতিমালা তৈরিতে গঠিত কমিটি আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রস্তুত করে বিটিআরসির কাছে জমা দেবে। এর আগে ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং রবির সহায়তায় দেশে প্রথমবারের মতো ফাইভজি পরীক্ষা ও সেবা প্রদর্শন করে প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। প্রদর্শনীতে ফাইভজির গতি ছিল ৩ দশমিক ৮৯ জিবিপিএস থেকে ৪ দশমিক ০৯ জিবিপিএস পর্যন্ত।
জানা যায়, ফাইভজি চালু করেছে এমন দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। এ ছাড়া সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে এবং সুইডেন ফাইভজি নেটওয়ার্ক গ্রহণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। ২০২৩ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০০ কোটি ফাইভজি গ্রাহক তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফাইভজি মোবাইল ফোনে শুধু দ্রুতগতির নেটওয়ার্কই এনে দেবে না, চালকবিহীন গাড়ি, ড্রোন, ইন্টারনেট অব থিংসসহ নানা প্রযুক্তিও এগিয়ে যাবে এর সুবাদে। এরই মধ্যে ফাইভজি সমর্থিত স্মার্টফোন বাজারে ছেড়েছে স্যামসাং, হুয়াওয়েসহ শীর্ষ স্মার্টফোন নিমার্তা কম্পানিগুলো।  
সূত্র জানায়, ১৬ জানুয়ারি ফাইভজির প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার উদ্বোধন করবেন এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।  
মেলায় ১০০টি স্টল, মিনি প্যাভিলিয়ন ও প্যাভিলিয়ন থাকবে। এতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সব সংস্থা—ডাক বিভাগ, বিটিআরসি, বিটিসিএল, টেলিটক, সাবমেরিন কেবল কম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কম্পানি লিমিটেড, টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এ ছাড়া আইএসপি প্রতিষ্ঠান, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি পণ্য উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ফোন অপারেটরসহ অনেক প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।
মেলায় টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে তাদের ফাইভজি টাওয়ারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হবে। এতে অপারেটর হিসেবে যোগ দেবে রবি। কয়েকটি স্মার্টফোনে ফাইভজির সেবা পরখ করে দেখা যাবে।  
মেলার আয়োজক আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় ফাইভজির একটি ডেমোনেস্ট্রেশন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে ফাইভজির লাইভ এক্সপেরিয়েন্স পাওয়া যাবে। বিটিএস থেকে শুরু করে সমর্থনযোগ্য ডিভাইসে দর্শনার্থীরা ফাইভজি টেস্ট করে যেতে পারবে। এতে হুয়াওয়ে ফিজিক্যাল ডেমোনেস্ট্রেশন করবে। রবি, গ্রামীণফোনসহ অন্য মোবাইল অপারেটররা অংশ নিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আইএসপি খাত থেকে ট্রিপল প্লে সার্ভিস থাকবে। এ ছাড়া জেডটিই এবং নোকিয়ার ফাইভজি প্যাভিলিয়ন ও দেশের ডিভাইস উত্পাদনকারী শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলো থাকবে।’
আমিনুল হাকিম জানান, মেলায় ৩৫ থেকে ৪০টি আইএসপি প্রতিষ্ঠান, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, ট্রিপল প্লে (এক কেবলে ল্যান্ডফোনের লাইন, ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ), মোবাইল অ্যাপস, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ও প্রযুক্তি ইত্যাদি প্রদর্শন করবে। ওয়ালটন, স্যামসাং, সিম্ফনির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উত্পাদিত পণ্য দেখাবে, দেশি সফটওয়্যার কম্পানিগুলো তাদের তৈরি সফটওয়্যার ও সেবা উপস্থাপন করবে। টেলিকম অপারেটরগুলো তাদের ভয়েস, ইন্টারনেট ও মূল্য সংযোজিত সেবা (ভ্যাস) দেখাবে। এ ছাড়া জেডটিই, হুয়াওয়ে, নকিয়া, এরিকসন ফাইভজি প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে। দেখাবে লাইভ অনুষ্ঠানসহ এর ব্যবহার উপযোগিতা।  
বলা হচ্ছে, ফাইভজি বিশ্বব্যাপী বহু মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনবে। ফোরজির চেয়েও ৪০ গুণ দ্রুতগতির ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা দেবে ফাইভজি। এর মাধ্যমে স্বচালিত কার থেকে রোবটের কার্যক্রম সহজ হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘ফাইভজি কথা বলা বা ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য। জীবনযাপনের জন্য ছোট্ট ঢেউ নয়। এর সঙ্গে দেশের মানুষ ও শিল্পকে সংশ্লিষ্ট করতে কাজ করছে সরকার। তাই আমরা এবার বরাবরের মতো ট্রেন মিস করব না।’

নতুন বছরে বন্ধু হবে ‘নিয়ন’

নতুন বছরে বন্ধু হবে ‘নিয়ন’

নতুন বছরে বন্ধু হবে ‘নিয়ন’
প্রিয় বন্ধুর মতোই মন খুলে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে ‘নিয়ন’ নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি আনতে যাচ্ছে স্যামসাং। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কণ্ঠস্বর নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল সহকারী সেবাগুলোর তুলনায় বেশ আলাদা এই প্রযুক্তি। কারণ শুধু ব্যবহারকারীদের নির্দেশ মানা নয়; বরং তাদের সঙ্গে আলাপচারিতাও চালাতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিটি। বন্ধুর মতো নিজের মতামত জানানোর পাশাপাশি অনুভূতিও প্রকাশ করতে পারে। আর তাই আগামী দিনে ‘নিয়ন’ই হবে মানুষের প্রিয় বন্ধু। 
সব কিছু ঠিক থাকলে ৭ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে অনুষ্ঠেয় কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস প্রদর্শনীতে নিজেদের তৈরি এই প্রযুক্তি তুলে ধরবে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে মুখের কথায় ডিভাইসের বিভিন্ন সেবা ও অ্যাপ নিয়ন্ত্রণের সুযোগ দিতে কণ্ঠস্বর নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল সহকারী ‘বিক্সবি’ চালু করে স্যামসাং।

সেলফি ক্যামেরা দিয়ে টাইপিং স্যামসাংয়ের স্মার্টফোনে!

সেলফি ক্যামেরা দিয়ে টাইপিং স্যামসাংয়ের স্মার্টফোনে!

সেলফি ক্যামেরা দিয়ে টাইপিং স্যামসাংয়ের স্মার্টফোনে!

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে স্মার্টফোনের সামনের ক্যামেরা ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর আঙুলের নড়াচড়া বুঝে নিয়ে টাইপিংয়ের কাজ করে দেবে স্মার্টফোন! সেলফিটাইপ নামে এমনই একটি প্রোজেক্ট সামনে এনেছে স্যামসাং।
নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফোনের সেলফি ক্যামেরা ব্যবহার করে টাইপ করা যাবে। এ পদ্ধতিতে কিউডব্লিউইআরটিওয়াই কিবোর্ডের মাধ্যমে টাইপ করা যাবে।
স্যামসাং জানিয়েছে, সেলফিটাইপ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে আলাদা হার্ডওয়্যারের প্রয়োজন হবে না। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এমনকি ল্যাপটপের সামনের ক্যামেরা ব্যবহার করে কাজ করবে সেলফিটাইপ।
২০১২ সালে প্রথম সি-ল্যাব শুরু করেছিল স্যামসাং। এর ফলে কম্পানির কর্মীরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এমন যে কোনো প্রজেক্টে তারা কাজ করতে পারেন। বিগত কয়েক বছর ধরেই কনজিউমার ইলেকট্রনিক শো (সিইএস) ইভেন্টে বিভিন্ন সি-ল্যাব প্রোজেক্ট গোটা বিশ্বের সামনে আনছে দক্ষিণ কোরিয়ার এ কম্পানি।
সেলফিটাইপ ছাড়াও ২০২০ সালের সিইএস ইভেন্টে আরও একগুচ্ছ নতুন প্রযুক্তি আনবে স্যামসাং। এর মধ্যে অন্যতম হলো চুল ঝরা কমাতে ব্যবহার করার জন্য ‘বিকন’ এবং কৃত্রিম উপায়ে সূর্যের আলো তৈরি করতে পারে এমন প্রযুক্তি ‘সানিসাইড’ প্রোজেক্ট।
এছাড়াও স্যাসসাং একটি নতুন সেন্সর চালু করবে। নতুন এই সেন্সর ব্যবহার করে অতিবেগুনী রশ্মি মাপা যাবে। ওয়্যারেবেল ডিভাইসে এই সেন্সর ব্যবহার হতে পারে। এর ফলে অতিবেগুনী রশ্মি থেকে বিকিরণ থেকে দূরে থাকা যাবে।

কলব্যাক করলেই বিপদ যে নম্বরে!

কলব্যাক করলেই বিপদ যে নম্বরে!

কলব্যাক করলেই বিপদ যে নম্বরে!
আপনি হয়তো প্রায়ই মোবাইল ফোনে অজানা নম্বর থেকে মিসডকল আসলে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে কলব্যাক করেন। কিন্তু এর ফলে আপনি যে কতবড় বিপদে পড়তে পারেন তা কি আপনার জানা আছে!  যেই নম্বর থেকে কলটি আসলো তার কোড যদি হয় +২২৬ অথবা +২৩২ এমন কোনো নম্বর, তাহলে আর আপনার রক্ষা নেই।
এমন নম্বরে আপনি কল ব্যাক করে দেখলেন কেউ একজন কল রিসিভ করেছে, কিন্তু কোনো কথা বলছে না। আর আপনিও হয়তো বিরক্ত হয়ে লাইন কেটে দিলেন। আর এভাবেই আপনি পড়ে গেলেন এক মহা বিপদের ফাঁদে। কারণ এরপর আপনার প্রিপেইড অ্যাকাউন্ট চেক করলে দেখবেন যে ব্যাল্যান্স পুরো শেষ, এক পয়সাও নেই!
এরকম ঘটনা আজকাল প্রায়ই হচ্ছে। আর এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে নতুন এক প্রতারণার ফাঁদ। একটা প্রযুক্তি আছে যার নাম ‘ওয়ান রিং স্ক্যাম’।
এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম বিষয়ক সংস্থা এফএফসিতে একটি বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যিনি কল করছেন, তিনি অটোমেটিক ডায়াল অপশন ব্যবহার করেন, যার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আন্দাজে একের পর এক নম্বরে ডায়াল করা হয়। এবং রিং বাজলেই কেটে যায় ফোন। আর স্বাভাবিকভাবেই ভিন্ন ধাঁচের নম্বর থেকে কল এলে তা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হতেই পারে কারও কাছে।
আরো বলা হয়, তবে যখনই আপনি কলব্যাক করছেন, তখনই উচ্চ রেটের আন্তর্জাতিক হটলাইনের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে আপনাকে। বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্কদের কোনো সাইটের সঙ্গে সংযোগ ঘটে। কলব্যাক করার পর তা অন্যপাশ থেকে তা রিসিভ হবে ঠিকই। তবে হয় বিশেষ কোনো মিউজিক শুনতে পাবেন অথবা কোনো শব্দই পাবেন না। এসব কল রিসিভ হওয়া মাত্রই শুধু হাইরেটে অর্থ কাটবে তাই নয়, যতক্ষণ আপনি অপেক্ষায় থাকবেন আপনার অ্যাকাউন্ট খালি হতেই থাকবে।
অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, আফ্রিকা ভিত্তিক কয়েকটি দল এসব কলের মাধ্যমে ফোনের অর্থ ও স্টোরেজ থেকে ডেটা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই মোবাইল ফোন বাবহারকারীদের এই ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। ভুলেও কলব্যাক করা যাবে না অপরিচিত এই ধরণের নম্বরে।