শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

নারীরা যেখানে পুরুষ যৌনকর্মী ভাড়া করে

নারীরা যেখানে পুরুষ যৌনকর্মী ভাড়া করে

  • Currently 4.50/5
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5

নারীরা যেখানে পুরুষ যৌনকর্মী ভাড়া করে!

নারী এখন আর কোনো ব্যাপারেই পিছিয়ে নেই। যৌনতার জন্য এতোদিন কেবল পুরুষকে টাকা-পয়সা খরচ করতে দেখা গেছে। কিন্তু এখন নারীরাও উপভোগের জন্য পুরুষ ভাড়া করছে। এক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। তারা পছন্দমতো পুরুষ যৌনকর্মী ভাড়া করে থাকে। 'উইমেন হু পে ফর সেক্স' শিরোনামে বিবিসি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের একটি বিলাসবহুল এসকর্ট এজেন্সির মালিক নিকোল। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও তার গ্রাহক। শহর থেকে প্রায় মাইল খানেক দূরে নিকোলের বিলাসবহুল বাংলো বাড়ির ভেতরে কী চলছে সেটা বাইরে থেকে কোনভাবেই বোঝার উপায় নেই। নিকোল বলেন, নারী গ্রাহকরা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে চান।
সাংবাদিক হান্নাহ বারনেসের ফিচারধর্মী এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে এমন অনেক নারী আছেন যারা বার কিংবা নাইটক্লাবে গিয়ে পুরুষ সঙ্গী খোঁজা পছন্দ করেন না। যৌনতার জন্য 'এসকর্ট এজেন্সি'র (যৌনকর্মী ও গ্রাহকদের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান) সাহায্য নেন। এসব এজেন্সির কাছে 'এসকর্ট' চাইলেই তারা নারী গ্রাহকদের কাছে তা পাঠিয়ে দেয়।
ক্যাটরিনা জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার কাছে যৌনতা সবসময়ই একটি বিষাদময় ব্যাপার। কখনো ভাবেননি যে তাকে কখনো একজন পুরুষ যৌনকর্মী খুঁজতে হবে। ক্যাটরিনার সাবেক প্রেমিকরা যৌনতা উপভোগের ক্ষেত্রে তার শারীরিক প্রতিবন্ধীতাকে দায়ী করে তাকে ছেড়ে যান। ধীরে ধীরে তার  তখন তার আত্মবিশ্বাস কমতে থাকে। ক্যাটরিনা বলেন, 'যৌনকর্মী অ্যান্ড্রুর কারণে আমার ভেঙে পড়া আত্মবিশ্বাস ফিরে আসতে শুরু করে। প্রথম বারের পরই আমি দেখলাম যৌনতায় আমি সম্পূর্ণ সক্ষম। আনন্দময় যৌন অভিজ্ঞতা হলো আমার।

নিরাপদ রাখতে নগ্ন সেলফি তুলতে বাধা দেবে ফোন

নিরাপদ রাখতে নগ্ন সেলফি তুলতে বাধা দেবে ফোন


নিরাপদ রাখতে নগ্ন সেলফি তুলতে বাধা দেবে ফোন

নগ্ন সেলফি বা অশ্লীল ছবি তুলতে ও সংরক্ষণে বাধা দেবে স্মার্টফোন। ব্যবহারকারীদের নিরাপদ রাখতে এই পদ্ধতি চালু করেছে জাপানের টোন মোবাইল কোম্পানি। ছবি তোলার সময় কেউ নগ্ন হলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে স্মার্টফোনটির ক্যামেরা।
শুধু তা-ই নয়, অভিভাবকরাও দূর থেকে স্মার্টফোনটির বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারবেন। এ জন্য স্মার্টফোনটিতে নতুন করে কোনো অ্যাপ বা এক্সটেনশন ইনস্টল করার প্রয়োজন হবে না। শিশু-কিশোরদের জন্য ‘টোন ই২০’ মডেলের স্মার্টফোনটি তৈরি করেছে জাপানের এই মোবাইল কোম্পানি।
টোনের তৈরি ‘ই২০’ স্মার্টফোনটি মূলত ‘বাজেট ফোন’ বা সাশ্রয়ী দামের। ৬.২৬ ইঞ্চি পর্দার স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ‘ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ’ এবং ‘স্মার্টফোন সুরক্ষা’ ফিচার। 
জাপানের তরুণ সমাজের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে স্মার্টফোনটিকে। চাইলে ই২০ ফোনটিকে সংযুক্ত করে নেওয়া যাবে অন্য ফোনের সঙ্গেও। এতে করে এ ধরনের কোনো ছবি তোলার চেষ্টা করা হলে সহজেই অভিভাবক বা মা-বাবাকে সতর্ক করা সম্ভব হবে।

মানসিক অস্থিরতা যেভাবে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা ও স্মৃতিভ্রম সারাতে সহায়তা করে

মানসিক অস্থিরতা যেভাবে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা ও স্মৃতিভ্রম সারাতে সহায়তা করে

মানসিক অস্থিরতা যেভাবে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা ও স্মৃতিভ্রম সারাতে সহায়তা করে
নিয়মিত বুনন করলে মানসিক চাপ কমে

আপনি যদি বাস্তব জীবনে ফিজেট বা অস্থির বা ছটফটে স্বভাবের হন তা শরীর এবং মনের জন্য ভাল। বিজ্ঞানী ডা. ক্যাট আর্নি পরীক্ষা করে দেখেছেন যে মানুষ কেন ক্রমাগত কলম টকটক করে, অন্যমনস্কভাবে হিজিবিজি কাটে বা হাঁটু কাঁপায়।
নিউইয়র্কের স্নায়ুবিজ্ঞানী অ্যান চার্চল্যান্ড বলেছেন, ল্যাবে আমরা ফিজেট বা অস্থিরভাবে নড়াচড়া করা বলতে এমন যেকোন ধরণের নড়াচড়াকে বোঝাই যা সরাসরি কোন ধরণের কাজের সাথে যুক্ত নয়।
এক ধরণের অস্থির নড়াচড়া হয় পুনরাবৃত্তিমূলক এবং ছন্দময়, যেমন কলম টকটক করা কিংবা এক পা নাড়ানো। দ্বিতীয় ধরণের অস্থির স্বভাব হতে পারে যেখানে ব্যক্তি অস্বস্তিবোধ করে এবং বসে থাকার সময় চেয়ারে দুলতে থাকে। তৃতীয় ধরণের অস্থির স্বভাব সাধারণত গায়ক কিংবা খেলোয়াড়দের মধ্যে দেখা যায়। তারা এমন বিশেষ একটি আচরণ করে যা তারা খুব ভালভাবে করতে পারে, বলেন অ্যান।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন ক্রিকেটার হয়তো ব্যাট করার সময় এমন ধরণের কিছু আচরণ করে যা আসলে তার ব্যাটিংয়ের অংশ বলেই মনে হয়।
নড়াচড়া পছন্দ করার সহজাত স্বভাব রয়েছে আপনার...আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা বুঝিই না যে এটা আমরা করছি। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে, ফিজেটিং বা স্নায়বিক অস্থিরতার তেমন কোন মানে হয় না: এতে শক্তি খরচ হয়, তাই এর একটি শারীরিক ব্যয় তো রয়েছেই। এর জন্য সামাজিকভাবেও মূল্য দিতে হয়- এটা প্রায়ই আমাদের আশেপাশের মানুষদের জন্য বিরক্তিকর হয়। তবে এর কিছু সুবিধাও রয়েছে।
অ্যান চার্চল্যান্ড মনে করেন যে, এ ধরণের কাজ সিদ্ধান্ত গ্রহণের মতো মস্তিস্কের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত।
অ্যান বলেন, আমরা যখন মস্তিষ্ক ব্যবহার করে কঠিন কোন কাজ করে থাকি, তখন এগুলো হয় শরীর নড়াচড়া করার জন্য যে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কাজ করে সেগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টাকে কাজে লাগিয়ে। তাই এ ধরণের কঠিন কাজ করার সময় আমরা আমাদের স্নায়বিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সচল করি নড়াচড়া করার মাধ্যমে।
সহজ করে বলতে গেলে, যদিও আমরা জানি যে, কোন কিছু চিন্তা করতে গেলে স্থির এবং শান্ত হতে হয়, তবুও অনেকেই সেটা পারেন না।
অ্যান বলেন, অনেকের ক্ষেত্রে এটা হয়তো চিন্তা করা মানেই নড়াচড়া করা। তাদের এমন ধরণের নড়াচড়া করতে হয় মস্তিষ্ককে সজাগ এবং সচল করার জন্য।
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট রোনাল্ড রৎজ অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার-এডিএইচডি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, তিনি 'ফিজেট টু ফোকাস' নামে একটি বইও লিখেছেন।
তিনি বলেন যে, ফিজেটিং বা অস্থির স্বভাবের কারণে পুনরাবৃত্তিমূলক অর্থাৎ ঘুরে ঘুরে করতে থাকা একই কাজ আমাদের মনোযোগী হতে সাহায্য করার জন্য শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া মাত্র।
"যখন আমরা মনোযোগী হতে পারি না, বা মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই তখন মনোযোগ ফিরে পাওয়ার জন্য আমাদের দেহ এই প্রক্রিয়া অবলম্বন করে থাকে," বলেন রোনাল্ড।
এ ধরণের আচরণ সাধারণত এডিএইচডি আক্রান্ত রোগীদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়, কিন্তু এমন আচরণ অবচেতন মনে সবাই করে।
ফিজেটিং দেহের ওজন ঠিক রাখতে সহায়তা করে, দেহকে কর্মক্ষম রাখে এবং মানসিক চাপ কমায়।
অস্থিরতার কারণে যে অস্বাভাবিক নড়াচড়া করতে হয় এবং তার জন্য যে শক্তি খরচ হয় তা উপকারীও হতে পারে।
ইউনিভার্সিটি অব লিডসের নিউট্রিশনাল এপিডেমিওলজি'র অধ্যাপক জ্যানেট কেইড নারীদের উপর ১২ বছর ধরে একটি গবেষণা চালিয়েছেন, যেখানে তিনি দেখার চেষ্টা করেছেন যে তারা কতটা সময় স্থিরভাবে বসে থেকে কাটায় এবং কতটা সময় অন্য কাজ করে কাটায়।
তাদেরকে অস্থিরতার কারণে নড়াচড়ার করার অভ্যাস সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
ওই ১২ বছরে, যেসব নারীরা স্থির ভাবে বসে সময় বেশি কাটিয়েছেন এবং যাদের অস্থিরতার কারণে নড়াচড়ার স্বভাব নেই তাদের মধ্যে ওই সময়ে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি ছিল।
আর যেসব নারীর অস্থিরতার কারণে নড়াচড়ার স্বভাব ছিল তাদের মৃত্যু ঝুঁকি কম ছিল: গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা স্থিরভাবে এক সাথে ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় বসে থাকতেন তাদের তুলনায় ফিজেটার বা যারা এ ধরণের নড়াচড়া করতেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি ৩০ শতাংশ কম ছিল।
কারণ অস্থিরতার কারণে নড়াচড়া করলে তা ক্যালরি খরচ করে দেহের ওজন ঠিক রাখতে সহায়তা করে, দেহকে কর্মক্ষম রাখে এবং মানসিক চাপ কমায়, বলেন জ্যানেট।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, যাদের মধ্যে ফিজেটিংয়ের ছোঁয়া আছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বুনন এর মতো কাজ, তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য চমৎকার হতে পারে।
স্টিচলিংকস নামে একটি সংস্থার পরিচালক বেটসান কোরখিল কারুশিল্প বিশেষ করে বুননের চিকিৎসাগত উপাদান সম্পর্কে প্রচারণা চালিয়ে থাকেন।
তিনি দীর্ঘস্থায়ী ব্যথায় ভুগছেন এমন মানুষদের সমন্বয়ে একটি বুনন গ্রুপ পরিচালনা করেন।
এটি দীর্ঘস্থায়ী অস্বস্তি দূর করতে সহায়তা করে বলে জানা যায়।
২০১৩ সালে ৩১টি দেশের ৩,৫০০ জন বুননকারীর উপর একটি জরিপ চালানো হয় যারা এর যাদুকরী গুণাবলীর পক্ষেই মত দিয়েছেন।
"আমাদের তথ্য বলছে, তারা যত বেশি বুনন করে তত বেশি সুখী এবং শান্ত হয়," বেটসান বলেন।
হাতের ব্যবহার এবং হেঁটে বেড়ানোটা মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে।
যুক্তরাজ্যে ডিমেন্সিয়া নিয়ে কাজ করেন ডেভ বেল, যিনি মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ নার্স।
তার অনেক রোগীর জন্য ফিজেটিং বা অস্থিরতার কারণে অস্বাভাবিক নড়াচড়া করাটা একটা সাধারণ কাজ, তা সেটি হাঁটা কিংবা পোশাকের মুড়ি সেলাই করে সময় কাটানোই হোক না কেন।
কারণ স্মৃতিভ্রমের শিকার কোন ব্যক্তি শারীরিকভাবে অস্বস্তি কিংবা ব্যথায় ভোগেন।
অনেকের ক্ষেত্রে পরিবেশগত উপাদান তাদেরকে মানসিকভাবে অস্বস্তিতে ফেলে, অন্যদিকে অনেকের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ক্ষতিসাধনের কারণে তারা পুনরাবৃত্তিমূলক আচরণ করে থাকে।
যদিও এটা দেখতে পীড়াদায়ক মনে হয়, তারপরও ফিজেটিং হচ্ছে নিজে নিজে শান্ত হওয়ার একটা প্রক্রিয়া।
"আমার মনে হয় যেসব ব্যক্তি এ ধরণের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, হাত দিয়ে কিছু করা বা হাঁটাহাঁটি করা নিশ্চিতভাবেই তাদের মানসিক চাপ কমায়," বলেন ডেভ।
স্টিচলিংকস ফিজেটিং এর উপাদান হিসেবে পুঁতি, বোতাম, বেল এবং ফিতা দিয়ে হাতে বোনা মাফ বা বিশেষ ধরণের হাত গরম করার পোশাক তৈরি করছে।
আর আলঝেইমার সোসাইটি স্মৃতিভ্রমের রোগীদের মধ্যে উদ্বেগ কমাতে ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ারের সাথে মিলে ফিজেটের অংশ হিসেবে কাঠের ছোট যন্ত্র তৈরি করছে।
ডেভ বলেন, এর খুব ভাল প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে: এসবের কারণে তাদের আচরণে যে পরিবর্তন এসেছে সেটি আমি দেখেছি।
তবে কারো জন্য উপকারী ফিজেট বা অস্থির নড়াচড়া হয়তো অন্যদের জন্য মনোযোগ নষ্টের কারণ হতে পারে।
তাই এগিয়ে যান- হাতের আঙুল দিয়ে মৃদু আঘাত করুন, খট খট শব্দ করুন কিংবা খেয়াল খুশিমত মোচড়ান- কোন বাধা নেই, তবে যাই করুন না কেন, একটু দায়িত্ববোধ বজায় রাখুন।

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা


কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিস কেবল স্বাদেই অতুলনীয় নয়, ছোট এই ড্রাই ফ্রুটে রয়েছে অনেক উপকারিতা। বিশেষ করে নারীদের তো নিয়ম করে কিসমিস অথবা কিসমিস ভেজানো পানি খাওয়া উচিত। কারণ- সমীক্ষা বলছে প্রত্যেক নারীরা দিনে নির্দিষ্ট পরিমাণ কিসমিস খাওয়া উচিত। এতে শরীর প্রয়োজনীয় ক্যালোরি পাবে কিন্তু কোন ফ্যাট থাকবে না।
কিসমিসে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। আর এর মিষ্টত্ব শরীরকে শক্তি জোগায়। এতে কর্মক্ষমতা বাড়ে। বেশিরভাগ মহিলার শরীরে আয়রনের কমতি থাকে। তাঁরা রক্তাল্পতায় ভোগেন। এমন সমস্যায় কিসমিস ভীষণ উপকারে লাগে। এতে প্রচুর মাত্রায় আয়রন থাকে। ছোট্ট এই ড্রাই ফ্রুটে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়ামও থাকে। যা পেশি সংকোচনের হার কমিয়ে দেয়। আবার স্নায়ুতে রক্তপ্রবাহের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে।
হৃৎপিণ্ডের সমস্যা যাঁদের রয়েছে তাঁদেরও কিসমিস খাওয়া উচিত। কারণ তা হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। কিসমিস রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। লিভার ও কিডনির সমস্যাতেও কিসমিস ভীষণ উপকারি। শুধু কিসমিস কেন কিসমিস ভেজানো পানি খেলেও এই একই উপকার পাওয়া যায়। সংবাদ প্রতিদিন।

হজম শক্তি বাড়ায় যেসব খাবার

হজম শক্তি বাড়ায় যেসব খাবার

হজম শক্তি বাড়ায় যেসব খাবার

হজমশক্তি কমে গেলে দেহে পুষ্টির অভাবে বাসা বাঁধা শুরু করে নানা ধরণের রোগ। এমনকি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে ওজনও। তাই আমাদের দেহের পরিপাকযন্ত্র সুস্থ রাখা এবং হজমশক্তি ঠিক রাখার জন্য আমাদের সচেষ্ট হতে হবে।
এমন কিছু খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখার চেষ্টা করুন যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে দেহ সুস্থ রাখবে-
আদা হজমের শক্তি বৃদ্ধি করতে অনেক প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। আদা দেহের টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। আদায় রয়েছে ‘জিনজারোলস’ যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পরিপাকক্রিয়া দ্রুত করে। সকালে এক কাপ আদা চা এবং রান্নায় আদার ব্যবহার কিংবা কাঁচা আদা খাওয়া পরিপাকযন্ত্র সুস্থ রাখে।
রসুন দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার। রসুনের অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান যেকোন ধরণের ঠাণ্ডা কাশি, ভাইরাল ইনফেকশন দূর করার সাথে সাথে আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধিতেও কাজ করে। রান্নায় ব্যবহারের পাশাপাশি কাঁচা রসুন দেহের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী।
দারুচিনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাংগানিজ যা দেহের ফ্যাটি এসিড হজম করতে সাহায্য করে। এবং এটি আমাদের রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রান্নায় দারুচিনি ব্যবহার আমাদের দেহের পরিপাকযন্ত্র এবং হজমশক্তি বৃদ্ধির জন্য অনেক কার্যকরী।