অ্যান্টার্কটিকার বুকে রক্তমাখা তুষারের ছবি ভাইরাল! অতঃপর...
সংগৃহীত ছবি
সাদা বরফ হয়ে গেছে লাল! যেন চাপ-চাপ রক্তের ছোপ। যত দূর চোখ যায় একই ছবি। অ্যান্টার্কটিকার এ ছবি দেখতে কজনই বা অভ্যস্ত! যেন সেখানে একখণ্ড মঙ্গলগ্রহ। তুষারের বুক বেয়ে নেমে আসা রক্তস্রোত হিমশীতল জমাট বেঁধে গিয়েছে! অ্যান্টার্কটিকার এ ছবি এখন ভাইরাল নেটরাজ্যে।
তবে এই কৌতূহলের রহস্য ভেদ করেছে ইউক্রেনের শিক্ষা ও বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়। কিছুদিন আগে তারাই এই অদ্ভুত ছবি ছেড়েছিল ফেসবুকে। শেয়ার হতে হতে ভাইরাল সেই লাল বরফের ছবি।
সেই ছবিতে দেখা গেছে, প্রাক্তন ব্রিটিশ গবেষণাগারের চারপাশের তুষার ক্রমে লালবর্ণ ধারণ করছে। ইউক্রেনের বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, এই লাল মাইক্রোস্কোপিক অ্যালগি বা শেত্তলার কারণে। হিমশীতল তাপমাত্রাতেও এই শ্যাওলারা দিব্য বেঁচে থাকতে পারে।
ট্যুইটারে এই ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, অ্যান্টার্কটিকার রক্তলাল বরফ জলবায়ু পরিবর্তনের অশুভ লক্ষণ। যদিও ইউক্রেনের বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় তা বলছে না। এই মন্ত্রণালয়ের দাবি, অ্যান্টার্কটিকায় গ্রীষ্মের মাসগেলোতে পরিবেশ অনুকূল থাকার কারণেই এই মাইক্রোস্কোপিক শ্যাওলার জন্ম হয়।
তারা আরও জানাচ্ছে, লালবর্ণের কারণে তুষার থেকে কম সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়। ফলে, বরফ দ্রুত গলে যায়। যার জন্য শ্যাওলাকে আরও উজ্জ্বল দেখায়।
জানা গেছে, ক্ল্যামিডোমোনাস নিভালিস নামের এই শৈবালগুলোর কোষগুলোতে একটি লাল ক্যারোটিন স্তর থাকে। যা এই শ্যাওলাকে অতিবেগুনি বিকিরণের হাত থেকে রক্ষা করে। সেইসঙ্গে তুষারে লাল দাগ তৈরি করে। এই লাল রঙের কারণেই, তুষার কম সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে, দ্রুত গলে যায়।