রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০

সেই হাদিস অনুযায়ী ওষুধ বানিয়ে করোনা চিকিৎসায় অবিশ্বাস্য সাফল্যের দাবি সৌদিতে

সেই হাদিস অনুযায়ী ওষুধ বানিয়ে করোনা চিকিৎসায় অবিশ্বাস্য সাফল্যের দাবি সৌদিতে




প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব।  এই ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে যখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে বিশ্বের আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান, তখন হাদিসে বর্ণিত উপায়ে ওষুধ বানিয়ে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ার দাবি করেছে সৌদি আরবের গবেষক দল।



সহীহ বুখারী শরিফের ৫৩৬৩ নম্বর হাদিসে হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুল (সা.) বলেছেন, “কালিজিরা সকল রোগের ওষুধ কেবল বিষ ছাড়া। ” তিনি (আয়েশা) বললেন ‘বিষ’ কী? জবাবে নবী (সা.) বললেন, “মৃত্যু”।
হাদিসের এই বাণীর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ‘তাইবুভিড’ নামে একটি ওষুধ তৈরি করেছে মদীনার ‘তাইবাহ ইউনিভার্সিটির অ্যান্টি-কোভিড ট্রিটমেন্ট’ গবেষক দল।  আমেরিকান জার্নাল ‘পাবলিক হেল্থ রিসার্চ’ এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেছে।
এই ওষুধের মূল উপাদান হল:- কালিজিরা, ক্যামোমিল ও প্রাকৃতিক মধু।
গবেষণাপত্র অনুযায়ী, এক ডোজ তাইবুভিডে রয়েছে, “এক চা চামচ (২ গ্রাম) কালিজিরা, এক চা চামচ (১ গ্রাম) ক্যামোমিল (এক ধরনের ফুল) চূর্ণ এবং এক চা চামচ প্রাকৃতিক মধু।”

খাবারের নিয়ম

এই উপাদানগুলো ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।  এরপর ভালভাবে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে হবে। 
উল্লেখ্য, এটা খাওয়ার পর জুস, কমলা ও লেবু খেলে আরও ভাল।

চিকিৎসা

• প্রথম এক সপ্তাহ প্রতিদিন পাঁচবার করে এই ওষুধ খেতে হবে।  এরপর মহামারী শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন একবার করে খেতে হবে।

• যদি তীব্র কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকে, কালিজিরা অথবা লবঙ্গ দিয়ে গরম পানির ভাপ নিতে পারেন।  অথবা কালিজিরা ও ক্যামোমিল দিয়েও গরম পানির ভাপ নেওয়া যেতে পারে।

• উপরের দুইটি উপাদানের যেকোনও একটি নেবুলাইজারে দিয়ে তা নাসারন্দ্র দিয়ে গ্রহণ করুন।

• যদি নেবুলাইজার না থাকে, সেক্ষেত্রে এক টেবিল চামচ কালিজিরা, এক টেবিল চামচ ক্যামোমিল চূর্ণ এবং এক কাপ পানি একটি পাত্রে নিয়ে গরম করে ভাপ নিতে হবে। এভাবে দিনে ৫ থেকে  ৬ বার নিতে হবে।

তাইবাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষক দলের প্রধান ডা. সালাহ মোহাম্মদ আল সাঈদ বলেন, “আমরা করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য কালিজিরা, ক্যামোমিল, লবঙ্গসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান নিয়ে গবেষণার পর আশানুরূপ ফল পেয়েছি।  গবেষণার পর আমরা যা পেয়েছে, সেটি হচ্ছে- কালিজিরা এবং ক্যামোমিল করোনাভাইরাসকে পুরোপুরি দমন করতে  পারে।
তিনি আরও বলেন, “আল্লাহ তা’আলার কৃপায় যেসব করোনা আক্রান্ত রোগী এই ওষুধ গ্রহণ করেছেন, তারা খুব ভাল উপকার পেয়েছেন।  তারা এটি নিজেরা বাড়িতেই তৈরি করেছেন।”
“এই ওষুধে উপকার পেতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগেনি,” যোগ করেন তিনি। 

নতুন ডেটা সক্ষমতা এবং বৈশিষ্ট্যতা দিচ্ছে মাল্টি-ক্লাউড প্লাটফরম

নতুন ডেটা সক্ষমতা এবং বৈশিষ্ট্যতা দিচ্ছে মাল্টি-ক্লাউড প্লাটফরম

নতুন ডেটা সক্ষমতা এবং বৈশিষ্ট্যতা দিচ্ছে মাল্টি-ক্লাউড প্লাটফরমমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক কম্পিউটার টেকনোলজি কর্পোরেশন ওরাকলের তত্ত্বাবধানে ফরেস্টার কনসাল্টিং পরিচালিত নতুন এক গবেষণায় মাল্টি-হাইব্রিড ক্লাউড প্লাটফরমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দেয়া হয়েছে।




সংকটকালীন সময়ে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানাতে এবং তা পর্যবেক্ষণে সক্ষম করতে প্রয়োজনীয় অসংখ্য তথ্যকে ক্রমানুসারে সাজিয়ে রাখতে এ প্লাটফরমের গুরুত্বের কথা বলা হয়েছে।

“মুভিং দ্য নিডল: ডেটা ম্যানেজমেন্ট ফর দ্য মাল্টি-হাইব্রিড এইজ অব টেকনোলজি” শীর্ষক এ গবেষণায় বলা হয়েছে, ৬৭০ জন সিনিয়র টেকনোলজি ডিসিশন মেকারদের মধ্যে ৮২ শতাংশ মনে করেন, সঠিক ডেটা ব্যবস্থাপনা কৌশলে বিনিয়োগ করলে ব্যবসায় ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। কিন্তু ৭৩ শতাংশ স্বীকার করেন, তাদের পৃথক এবং স্বতন্ত্র ডেটা কৌশল তাদের ব্যবসায়িক অংশীদারদের প্রয়োজনীয় ডেটা সরবরাহে বাধা দিচ্ছে।  
ওরাকল সিস্টেমস, জেএপিএসি (জাপাক) এবং ইএমইএ’এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট চং হেং বলেন, “এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানগুলো ডেটার উৎসকে সমন্বিত করতে এবং ডেটা সুরক্ষা ও পরিচালনায় শীর্ষে থাকার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ অগ্রগতি এনেছে। কিন্তু গবেষনায় আরো দেখা যাচ্ছে, এ বিষয়ে তাদের অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়াটা তাদের হয়তো মাল্টি-হাইব্রিড ক্লাউডের কিছু সুবিধা উপলব্ধি করা থেকে পিছিয়ে রাখছে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর ডেটা ব্যবস্থাপনায় অনন্য সক্ষমতা এবং বৈচিত্রতা পাওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমানে মাল্টি-হাইব্রিড ক্লাউড প্রয়োজন। এমনকি, জাপান এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ প্রতিষ্ঠানকে ডেটা ব্যবস্থাপনার এই দিকটিতে গুরুত্ব দিতে দেখা গেছে, যা ইউরোপের দুই-তৃতীয়াংশের চেয়েও বেশি। তাদের যত দ্রুত সম্ভব মাল্টি-হাইব্রিড ক্লাউড এনভায়রনমেন্টের সুবিধা বুঝতে হবে, তা না হলে ঝুঁকিতে পড়তে হবে।”
গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরনের আইটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গিয়ে ক্রমবর্ধমান জটিলতায় ৬৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মাল্টি-হাইব্রিড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জের সাথে লড়াই করছে। তাই, ৭০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের তাদের আইটি খাতকে সহজ করার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়াটা খুব বেশি আশ্চর্যজনক নয়।
ওরাকল বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বিশেষ করে এশিয়া প্যাসিফিক, ইউরোপ এবং মধ্য প্রাচের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানের ডেটা ব্যবস্থাপনা মূল্যায়ণ করার জন্য ফরেস্টার কনসাল্টিং’কে দায়িত্ব দেয়। ফরেস্টার ডেটা ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং ডেটা স্ট্র্যাটেজির দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ৬৭০ জন প্রযুক্তি এবং ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর উপর অনলাইন জড়িপ পরিচালনা করে। এছাড়াও তারা এসব অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে ১০ জন সি-লেভেল এক্সিকিউটিভদের ডেটা ব্যবস্থাপনায় তাদের এপ্রোচ, ড্রাইভার এবং বেস্ট প্র্যাকটিসের সূক্ষাতিসূক্ষ বিষয় বের করে আনতে সাক্ষাৎকার নেয়।

রবিবার, ৩১ মে, ২০২০

এবার বাজারে এলো অ্যাপলের ‘ম্যাকবুক প্রো’

এবার বাজারে এলো অ্যাপলের ‘ম্যাকবুক প্রো’

এবার বাজারে এলো অ্যাপলের ‘ম্যাকবুক প্রো’
করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। করোনা মোকাবেলায় বিশ্বজুড়ে চলা লকডাউনের মধ্যেও নতুন সংস্করণের ‘ম্যাকবুক প্রো’ ল্যাপটপ বাজারে এনেছে অ্যাপল। 
দশম প্রজন্মের ইন্টেল প্রসেসরে চলা ১৩ ইঞ্চি স্ক্রিনের ল্যাপটপটিতে রয়েছে আট গিগাবাইট র‌্যাম এবং ২৫৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতা। তবে ব্যবহারকারীরা চাইলেই ল্যাপটপটিতে ১৬ বা ৩২ গিগাবাইট র‌্যাম এবং চার টেরাবাইট পর্যন্ত এসএসডি স্টোরেজ যুক্ত করতে পারবেন।
ম্যাজিক কিবোর্ড সুবিধার ল্যাপটপটির দাম এক হাজার ২৯৯ ডলার। সোমবার থেকে অনলাইনে কেনার সুযোগ মিললেও অ্যাপল স্টোরে ল্যাপটপটির দেখা মিলবে আগামী সপ্তাহে। গত মাসে নতুন সংস্করণের আইফোনও বাজারে এনেছে অ্যাপল।

শনিবার, ৩০ মে, ২০২০

একসঙ্গে ২৫০ জনের ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সুবিধা পাওয়া যাবে!

একসঙ্গে ২৫০ জনের ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সুবিধা পাওয়া যাবে!


একসঙ্গে ২৫০ জনের ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সুবিধা পাওয়া যাবে!
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ঠেকাতে দেশে দেশে চলমান লকডাউনে ঘরবন্দী মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা বেড়েছে ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপের। অনেকই অ্যাপই অনলাইনে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করেছে। এর মধ্যে শুরুতে জুম অ্যাপের জয়জয়কার থাকলেও নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়ে যায় সেটি। এতে মাইক্রোসফট, গুগলের মতো টেক জায়ান্ট এমন অ্যাপ সুবিধা নিয়ে আসে। এবার মাইক্রোসফটের ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ মাইক্রোসফট টিমে ২৫০ জন অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আগে এই সুবিধা ১০০ জনের মধ্যে সীমাবন্ধ ছিল। 
গতকাল বুধবার এই ঘোষণার মাধ্যমে মাইক্রোসফট আশা করছে যে, এটি গুগল মিট এবং জুম অ্যাপের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হবে।  লকডাউনের কারণে বাড়ি থেকে কর্মরত বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ ব্যবহার করছেন। এছাড়া এর সাহায্যেই অনলাইনে চলছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনাও। বর্তমানে এমএস টিমে ৭৫ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। তবে ২০ জন অংশগ্রহণকারী বিনামূল্যে এই ভিডিও কনফারেন্সিং-এর সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ফিচারটি চলে আসবে।

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য এলো ফেসবুক শপস

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য এলো ফেসবুক শপস


ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য এলো ফেসবুক শপস
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসা প্রসারের জন্য ‘ফেসবুক শপস’ নামে নতুন একটি ফিচার চালু করেছে। ফেসবুকের মালিকানাধীন ইন্সটাগ্রামেও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অনলাইন শপ চালু করে ব্যবসা করতে পারবেন উদ্যোক্তারা।

ফেসবুকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জুকারবার্গ বুধবার নিজ আইডি থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে ফেসবুক শপের ঘোষণা দেন। ফেসবুক শপ ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে বলে জানালেও কোন কোন দেশ বা অঞ্চলে এখন পর্যন্ত এটি কার্যকর করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলেননি মার্ক।
মার্ক জুকারবার্গ বলছেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা সম্ভব হচ্ছে না। একইসঙ্গে যে অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এতে অনেকেই চাকরি হারাচ্ছেন। এমন প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীরা অনলাইন শপ এর প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। 
ফেসবুক শপ এর ধারণা দিয়ে মার্ক জুকারবার্গ জানান, ফেসবুক শপ চালু করা খুবই সহজ এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা যাবে এটি। ফেসবুক শপ চালুর সঙ্গে সঙ্গে এটি ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রামে চালু হবে। আর দ্রুতই এই সুবিধা আসতে যাচ্ছে মেসেঞ্জার এবং হোয়াটস অ্যাপেও।
ক্ষুদ্র এবং স্থানীয় উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ীদের ফেসবুক শপের সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে শপিফাই, বিগ কমার্স, উ-কমার্স, ক্যাফে ২৪, ফেডনমিক্স এর মতো প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেও অংশীদারিত্বে ফেসবুক কাজ করছে বলে জানান মার্ক।
অদূর ভবিষ্যতে ফেসবুক শপসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং অগমেন্টেট রিয়েলিটি (এআর) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এতে ফেসবুক ব্যবহারকারীর পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন শপসের পণ্য সম্ভাব্য গ্রাহকদের দেখানো হবে। অগমেন্টেট রিয়েলেটি এর মাধ্যমে ক্রেতারা অনলাইনেই বাস্তব কেনাকাটার মতো অভিজ্ঞতা পাবেন। 
জুকারবার্গ বলছেন, ফেসবুকের এসব টুলস ব্যবহার করে ঘরে লিভিং রুমে বসেই পুরোদস্তুর একটি সুপার শপ চালাতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। 
একই সাথে গ্রাহকদের রিয়েল টাইম শপিং করার অভিজ্ঞতা দিতে চালু করা হবে লাইভ ফিচারস।