শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০

করোনাকে হারাতে ঘরে বসেই ভিটামিন ডি-র ঘাটতি কমানোর উপায়

করোনাকে হারাতে ঘরে বসেই ভিটামিন ডি-র ঘাটতি কমানোর উপায়

করোনাকে হারাতে ঘরে বসেই ভিটামিন ডি-র ঘাটতি কমানোর উপায়
একজন ব্যক্তির শরীরে প্রতিদিন ৬০০ আইইউ ভিটামিন ডি প্রয়োজন। সূর্যালোক এবং সুষম খাবার থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তবে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি শরীরে গেলে তা কিডনি ও হার্টের ক্ষতি করতে পারে।
 
করোনাভাইরাসের কারণে দেশব্যাপী লকডাউনের কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল হয়ে চলছে আনলক ওয়ান পর্ব। তবু এক জায়গায় অনেক মানুষের জমায়েত বা অকারণে বাড়ির বাইরে বিনাকারণে ঘুরাঘুরি করতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সময় সংক্রমণ এড়াতে যেমন ঘরে থাকা প্রয়োজন, তেমনই দরকার রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি-এর পাশাপাশি ভিটামিন ডি-ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ভিটামিন হাড় মজবুত করার সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও উন্নত করে। ভিটামিন ডি-এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উৎস হল সূর্যালোক। কিন্তু বাড়ির বাইরে না বের হলে গায়ে রোদ লাগবে কী করে? তাই এই সময় শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

ভিটামিন ডি-র ঘাটতি :
শরীরের ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা দিলে তার একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সমীক্ষা বলছে আমাদের দেশের ৭০-৯০ শতাংশ মানুষই ভিটামিন ডি'র অভাবে ভোগেন। শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি থাকলে ক্যানসার, হাইপারটেনশন এবং ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। ঘরে বসে কী ভাবে ভিটামিন ডি বাড়াবেন দেখে নিন।
​রোদ লাগান : 
প্রত্যেক ব্যক্তি প্রতিদিন ৬০০ আইইউ ভিটামিন ডি প্রয়োজন। সুষম আহার ও সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। বাড়ির বাইরে না বের হলেও বারান্দায় বসে দিনে অন্তত আধঘণ্টা হাত, পা ও মুখে রোদ লাগান। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে রোদ লাগাতে হবে। ছাদে বসেও গায়ে রোদ লাগাতে পারেন।
​সামুদ্রিক মাছ খান :
সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। তাই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় টুনা, স্যালমন, সার্ডিনের মতো মাছ অবশ্যই রাখবেন। এছাড়া রোজ ডিমের কুসুম ও দুধ খাবেন। অরেঞ্জ জ্যুস, মাশরুম, সেরালও খাদ্যতালিকায় রাখা খুব প্রয়োজনীয়। এই সব খাবার রোজ খেলে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হবে না।
​কড লিভার অয়েল :
আপনি যদি মাছ খেতে ভালো না বাসেন, বা মাছের গন্ধ যদি সহ্য করতে না পারেন তাহলে প্রতিদিন কড লিভার অয়েল খান। প্রতিদিন এক চামচ করে কড লিভার অয়েল খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা যায় না। এক চা চামচ কড লিভার অয়েল আপনার প্রতিদিনের প্রয়োজনের ৫৬ শতাংশ ভিটামিন ডি সরবরাহ করে।
​ভেগান ডায়েট : 
যারা ভেগান ডায়েট মেনে খাওয়া দাওয়া করেন, তাদের শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা যাওয়া খুবই সাধারণ সমস্যা। ভেগানরা অ্যানিম্যাল প্রোডাক্ট খান বা বলে এই সমস্যা দেখা দেয়। আপনারা সয় মিল্ক, আমন্ড মিল্ক খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি শরীরে গেলে কিডনি ও হার্টের ক্ষতি হতে পারে। অতিরিক্ত ভিটামিন ডি-র থেকে কিডনিতে স্টোন হতে পারে। তাই আপনার কতটা ভিটামিন ডি-র প্রয়োজন তা ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করুন।

শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাওয়াবেন

শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাওয়াবেন


শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাওয়াবেন
প্রতীকী ছবি
করোনা প্রতিরোধে ক্ষমতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়েনোর বিকল্প নাই। যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত বেশি, সে তত ভালো রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হবে এবং সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে। তাই প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের স্বাস্থ্যকর এবং ফিট থাকার জন্য একটি ভালো ডায়েটের প্রয়োজন। কারণ, এটি শিশুকে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করবে।
শিশুর পুষ্টির ব্যাপারে ভীষণ ঝামেলায় পড়তে হয়। মনের মতো না হলে অনেক কিছুই খেতে চায় না তারা। তাদের ঝোঁক বেশি থাকে জাঙ্ক ফুডের দিকে। এতে স্বাভাবিকভাবেই সম্পূর্ণ পুষ্টি না পাওয়ার কারণে নানা রকম রোগ তাদের তাড়া করে। শিশুকে এমন খাবার খাওয়ান যেগুলো তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে এবং একই সঙ্গে পুষ্টির ঘাটতি মেটাবে। 
শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যেসব খাবারগুলো খাওয়ানো জরুরি।
মাতৃদুগ্ধ
ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে তার প্রয়োজনীয় উপাদান হলো মাতৃদুগ্ধ। শিশুরা তাদের স্তন্যপান থেকেই প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করে, তাই মাতৃদুগ্ধের কোন বিকল্প হয় না। 
দই
দই খাওয়া বাচ্চাদের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল অসুস্থতা প্রতিরোধে সহায়ক। দই প্রো-বায়োটিক পূর্ণ, যা দেহের খারাপ ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করতে সহায়তা করে এবং বাচ্চার ইমিউন সিস্টেমকে বাড়িয়ে তোলে। 
ডিম
ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেলস্ এবং প্রোটিন, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। 
সবুজ শাকসবজি
অনেক বাচ্চাই শাকসবজি খেতে পছন্দ করে না। কিন্তু এই সময়ে তাদের সুস্থ রাখতে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে প্রত্যেক দিনের খাবারের তালিকায় রাখুন শাকসবজি। ফুলকপি, ব্রকলি, পালং শাক, মেথি শাক ইত্যাদি রাখলে আরও ভালো।
বাদাম
বাদাম যা বাচ্চার শরীরের অনেক চাহিদাকে পূরণ করতে সহায়ক। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন খেজুর, পেস্তা বাদাম, কাজু বাদাম, আখরোট ইত্যাদি। এগুলি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। 
রসুন
রসুনে অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি শরীরের শ্বেত রক্ত কোষের উৎপাদন করতে সাহায্য করে। যা বাচ্চাদের অনাক্রম্যতা বাড়ানোর জন্য খুবই উপকারি। পাশাপাশি বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ফল
সুস্থ এবং ফিট থাকতে প্রতিদিন ফল খাওয়া প্রয়োজন। ফলে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং অন্যান্য চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন বেরি জাতীয় ফল, আপেল, কমলালেবু, তরমুজ, আঙুর, ডালিম ইত্যাদি খাওয়ান।

গোলমরিচের এত গুণ

গোলমরিচের এত গুণ


গোলমরিচের এত গুণ!

গোলমরিচ একটি অতিপরিচিত জিনিস। অনেক খাবারেই গোলমরিচের ব্যবহার আছে। উপকারের দিক থেকে এর জুড়ি মেলা ভার। মিশকালো গোলমরিচের ওষধি গুণ শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে আর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
গোলমরিচের গুণাগুণ
১. অতিরিক্ত ওজন তো আজকাল প্রায় অনেকেরই সমস্যা। শরীর থেকে বাড়তি ফ্যাট টেনে নিতে গরম পানিতে গোলমরিচ খুব উপকারী। ক্যালোরি পুড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে গোলমরিচ।
২. ঠাণ্ডা লাগলে গরম দুধে গোলমরিচ কষ্ট থেকে উপশম দেয়। যাদের প্রায়ই ঠাণ্ডা লাগে বা ঘন ঘন হাঁচি হয়, তারা যদি কয়েকটা গোলমরিচ রোজ চিবিয়ে খেয়ে নেন, উপকার পাবেনই পাবেন। 
৩. কচি নিমপাতার সঙ্গে তিন-চারটি গোলমরিচ সকালে খালি পেটে চিবিয়ে খেলে সুগারও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪. আপনার কি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে? সকালবেলা অনেকটা সময় যুদ্ধ করতে হয়? এক কাপ হালকা গরম পানিতে লেবুর রস আর গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে টানা কয়েক দিন খেলে গ্যাস-এর সমস্যা কমে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
৫. আপনার যদি ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থাকে, আপনাকে মৃদু গরম পানির সঙ্গে গোলমরিচ খেতেই হবে। ফলে শরীরে ক্লান্তি জমতে পারে না। 
৬. ত্বককে মসৃণ রাখে গোলমরিচ।
৭. খুব হালকা গরম পানিতে গোলমরিচের গুঁড়া ফেলে একটু নেড়ে নিয়ে হালকা হালকা চুমুক দিয়ে খেলে শরীরে শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ে। কাজ করার এনার্জি পাওয়া যায়। শরীরে পানির মাত্রা কমতে পারে না। সকাল বেলা এটা যদি খেয়ে নেন, আপনি সারা দিন মুক্তি পাবেন অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে।
এতগুলো সুফল যখন আছেই, তখন আর দেরি না করে গোল গোল ছোট দানাগুলোকে সকাল থেকেই সঙ্গী করে ফেলুন।

সুখের সঙ্গে টাকার সম্পর্ক, কী বলছে গবেষণা

সুখের সঙ্গে টাকার সম্পর্ক, কী বলছে গবেষণা


সুখের সঙ্গে টাকার সম্পর্ক, কী বলছে গবেষণা?
প্রতীকী ছবি

টাকা থাকলেই কি সুখ কেনা যায়? অনেকেই বলবেন, হ্যাঁ যায়। আবার একদল বলেন, টাকার সঙ্গে মনের শান্তি, স্বস্তির কোনো সম্পর্ক নেই। এই নিয়ে তর্ক চলে। বহুদিন ধরে। আসলে কি টাকা থাকলেই সুখ কেনা যায়?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল সোশ্যাল সার্ভে (জিএসএস) একটি গবেষণার ফল প্রকাশ করেছে সম্প্রতি। তাতে জানানো হয়েছে, টাকা আর সুখের সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭২ সাল থেকে ৪৪ হাজার মানুষের উপর এই গবেষণা করা হয়েছে। 

গত সপ্তাহে 'ইমোশন'নামের একটি পত্রিকায় ওই গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে লেখা হয়েছে, ৩০ বছরের বেশি মানুষের সুখ নির্ভর করে তার উপার্জনের উপর। মনের শান্তি থেকে শুরু করে স্বস্তি, সবটাই অর্থের উপর নির্ভরশীল। 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সব থেকে দীর্ঘদিন ধরে চলা গবেষণাগুলির মধ্যে এটি একটি। অর্থ সুখ কিনতে পারে না- এমন প্রবাদকে চ্যালেঞ্জ করতেই এই গবেষণা করা হয়েছিল। গবেষণায় সুখের কয়েকটি স্তর ধরা পড়়েছে। এছাড়া গত দশকের থেকে বর্তমানে সুখের সঙ্গে উপার্জনের সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ় বলে জানানো হয়েছে।

মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কার্যকরী ঘি

মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কার্যকরী ঘি

মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কার্যকরী ঘি
মাইগ্রেন কেবল একটি সাধারণ ধরণের মাথাব্যথা নয়। এটি আরও তীব্র এবং বারবার ফিরে আসে, বিশেষত কেবল মাথার একপাশে অনুভূত হয়। আপনি বা আপনার কাছের কেউ যদি মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে এটি নিশ্চয়ই জানেন, মাইগ্রেন সহ্য করা কতটা কষ্টকর!
হরমোন পরিবর্তন, স্ট্রেস এবং অ্যালকোহল গ্রহণ- এমন একাধিক কারণে মাইগ্রেন বাড়তে পারে এবং তিন ঘণ্টা থেকে কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে। বেশিরভাগ মানুষ কিছুটা স্বস্তির জন্য ওষুধের দিকে ঝোঁকেন, তবে কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে, যা আপনাকে মাইগ্রেন থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে।
দীর্ঘদিন থেকেই ঘি আমাদের খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে আছে। ঘি ডার্ক সার্কেল, ঠোঁট ফাটা, শুষ্ক ত্বক এবং শুষ্ক চুলের চিকিৎসাও ব্যবহৃত হয়। মজার বিষয় হল, এটি মাইগ্রেনের চিকিৎসার একটি কার্যকরী প্রতিকার।
মাইগ্রেনের চিকিৎসার জন্য কীভাবে ঘি ব্যবহার করবেন:
ঘি গলিয়ে নিন এবং নাকের ছিদ্রে ২-৩ ফোঁটা গরম ঘি দিন। মাইগ্রেন বা মাথাব্যথার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি দিনে দুইবার এটি করতে পারেন।
মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আরও কয়েকটি জিনিস আপনি করতে পারেন:
* প্রচুর পানি পান করুন। ডিহাইড্রেশন মাথা ব্যথার বড় কারণ।
* প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান। নিদ্রাহীনতা মাইগ্রেনের সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
* প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ব্যায়াম করুন।
* প্রতিদিন একই সময়ে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। খাবারের সময় ওঠানামা মাইগ্রেন বাড়িয়ে তুলতে পারে।