শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০

কাজ করছে না হোয়াটসঅ্যাপ, ভোগান্তিতে ব্যবহারকারীরা

কাজ করছে না হোয়াটসঅ্যাপ, ভোগান্তিতে ব্যবহারকারীরা

কাজ করছে না হোয়াটসঅ্যাপ, ভোগান্তিতে ব্যবহারকারীরা

অনেক ব্যবহারকারীই অভিযোগ করেছেন জনপ্রিয় চ্যাট অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ কাজ করছে না। তাদের অভিযোগ, তারা অ্যাপটির সংযোগ পাচ্ছেন না এবং নতুন ম্যাসেজ দেখতে পারছেন না। স্বাধীন বিপর্যয় পর্যালোচনাকারী সংস্থা ডাউন ডিটেক্টর মঙ্গলবার হোয়াটসঅ্যাপ কাজ না করার খবর নিশ্চিত করেছে। বিশ্বজুড়ে দশ হাজার ব্যবহারকারী হোয়াটস অ্যাপ চালাতে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। 

ব্রিটেনের স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের দিকে অনেকগুলো অভিযোগ একসাথে নথিভুক্ত করা হয়। যেসব ব্যবহারকারী অ্যাপসটি কাজ করছে না বলে অভিযোগ করেছেন তাদের ৮৮ শতাংশ  হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে যুক্ত হতে পারছেন না,৮ শতাংশ ম্যাসেজ পাচ্ছেন না এবং ১ শতাংশ নিজের ফেসবুকে লগ ইন করতে পারছে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহারকারীদের অনেকেই জানিয়েছেন, অ্যাপসটি চালু করার সময় কানেক্টিং স্ক্রিন এসে আটকে যাচ্ছে এবং রিফ্রেশ করলেও নতুন মেসেজ আসছে না।
ডাউন ডিটেক্টর জানিয়েছে, মূলত যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ব্যবহারকারীরা সমস্যায় পড়েছেন বেশি। যুক্তরাজ্য থেকেই অন্তত ৬ হাজার রিপোর্ট পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর বিশ্বজুড়ে মোট অভিযোগকারীর সংখ্যা ৭৫ হাজারের বেশি। এর মধ্যে কেউ কেউ বলছে রাত থেকে আবার সমস্যা সমাধান হয়েছে তবে অন্যরা এখনো সমস্যায় ভুগছে। হোয়াটসঅ্যাপ কাজ না করায় বিষয়টি নিয়ে অনেকেই হোয়াটসঅ্যাপের টুইটার অ্যাকাউন্টে অভিযোগ জানাচ্ছেন।

হ্যাকের শিকার ওবামা-বাইডেনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের টুইটার অ্যাকাউন্ট

হ্যাকের শিকার ওবামা-বাইডেনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের টুইটার অ্যাকাউন্ট


হ্যাকের শিকার ওবামা-বাইডেনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের টুইটার অ্যাকাউন্ট
বারাক ওবামা, জেফ বেজস, জো বাইডেনাসহ বিশ্বখ্যাত বেশ কয়েকজনের টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাকের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও অ্যাকাউন্ট হ্যাকের শিকার হয়েছেন মার্কিন র‍্যাপসংগীত শিল্পী কেনি ওয়েস্ট, দক্ষিণ আফ্রিকান প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এলন মাস্ক, মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রতিযোগী জো বাইডেন।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, অনলাইন জায়ান্ট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজস, বিলিওনিয়ার ওয়ারেন বাফেট, নিউইয়র্ক সিটির সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গের অ্যাকাউন্টও হ্যাকের শিকার হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১৫ জুলাই) এই ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার এই খবর সামনে আসে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে  টুইটার কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে অ্যাকাউন্টগুলোর সুরক্ষা দেয়ার প্রতিশ্রতিও দিয়েছে সংস্থাটি। 
এ বিষয়ে তদন্ত ও অ্যাকাউন্ট সুরক্ষার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়ে টুইটারের অফিসিয়াল সাপোর্ট অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জো বাইডেনের হ্যাক করা অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট দেয়া হয়েছিল, নিচের লিংকে তোমরা তোমাদের সব বিটকয়েন দাও, আমি তা দ্বিগুন করে দিবো। যদি তোমরা ১ হাজার ডলার দাও, তাহলে ২ হাজার ডলার ফিরিয়ে দেয়া হবে। এবং এজন্য সময় লাগবে মাত্র ৩৯ মিনিট।
মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিলগেটসের হ্যাক করা অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট বার্তায় জানানো হয়, সবাই তাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি দেয়ার কথা বলছিল। যেখানে বলা হচ্ছিল তুমি ১ হাজার ডলার দিলে ঘণ্টাখানেক পরে ২ হাজার ডলার ফিরিয়ে দেয়া হবে।

স্থূলতার সমাধান ও সাধারণ কিছু টিপস

স্থূলতার সমাধান ও সাধারণ কিছু টিপস

স্থূলতার সমাধান ও সাধারণ কিছু টিপস
চৌধুরী তাসনীম হাসিন

মহামারীর এই দিনগুলোতে বা এর বাইরে নিজেকে সুস্থ রাখতে আমাদের দরকার বাড়তি সচেতনতা। চলুন জেনে নেই স্থূলতার সমাধান ও সাধারণ কিছু টিপস :
* পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী একটি ফিটনেস রুটিন এবং ডায়েট চার্ট মেনটেইন করুন।
* নিজেই ক্যালরি কাউন্ট করার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ পুষ্টিবিদের ডায়েট চাটের বাইরে কখন এবং কি পরিমাণ বাড়তি খাবার খেয়ে ফেলছেন তার চার্ট রাখুন। যা আপনার Maditation বাড়াতে সাহায্য করবে।
* Exerise-এর মাধ্যমে কতটুকু Calorie বার্ন করছেন আর কতটুকু Calorie শরীরে ঢুকছে তার একটি তুলনামূলক হিসাব রাখুন।
* প্রতি সপ্তাহে ১ দিন অথবা মাসে ২ দিন ওজন কমানোর খাদ্য তালিকা না মেনে স্বাভাবিক খাদ্যতালিকা মেনে চলুন। এতে সপ্তাহের বাকি দিনগুলো সহজেই নিজেকে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
* ঘুম থেকে উঠে বিছানায় শুয়েই কিছু হালকা ব্যায়াম করুন।
* চেষ্টা করুন প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১০ মিনিট করে ব্যায়ামের সময় বাড়াতে।
* ব্যায়াম করার সময় একজন উৎসাহী সঙ্গী জোগাড় করুন।
* যতটা সম্ভব লিফট ব্যবহার কম করুন এবং গাড়ি বাড়ি বা অফিস থেকে একটু দূরে রেখে কিছুটা হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছান।
* রাতের খাবারের অন্তত ২ ঘণ্টা পর ঘুমোতে যান এবং চেষ্টা করুন সে সময় একটু হাঁটাহাঁটি করতে।
* দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করুন।
* দৈনিক খাদ্যতালিকার বাইরে হঠাৎ কখনো খিদে পেলে সালাদ বা ফল জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন।

তেজপাতার ৫ ঔষধি গুণ

তেজপাতার ৫ ঔষধি গুণ

তেজপাতার ৫ ঔষধি গুণ
বিরিয়ানি হোক কিংবা পোলাও, তাতে অবশ্যই তেজপাতার ছোয়া থাকতে হবে। তেজপাতা ছাড়া রান্নার কথা চিন্তা করাই মুশকিল। শুধু রান্নায় নয়, তেজপাতা আরও নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। খাবার স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি ঔষধি গুণ থাকার কারণেও তেজপাতা কদর রয়েছে বিশ্বের বহু দেশে।
জেনে নিন তেজপাতা কোন কোন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
১. ঠান্ডা-কাশিতে 
ঠান্ডাজনিত যেকোনো রোগ, ফ্লু ও অন্যান্য সংক্রমণ রোধে লড়াই করে তেজপাতা। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হলে, পানিতে দু-তিনটি তেজপাতা দিয়ে ১০ মিনিট গরম করুন। এই পানিতে ভেজানো একটি কাপড় বুকের ওপর রাখুন। ফ্লু, ঠান্ডা ও কাশি থেকে আরাম পাওয়া যাবে। জ্বর সারাতেও সহায়তা করে তেজপাতা।
২. বদহজমে
তেজপাতা হজমক্রিয়া বাড়াতে সহায়তা করে। হজমক্রিয়ায় সমস্যা থাকলে তা সারিয়ে তোলে। বুক জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তেজপাতা দিয়ে গরম করা এক গ্লাস পানি পান করুন। স্বস্তি পাবেন।
৩. ডায়াবেটিসে
টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় তেজপাতার কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তেজপাতায় রক্তে শর্করা বা চিনি, কোলেস্টেরল কমাতে ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সহায়তা করে। সর্বোচ্চ ফল পেতে তেজপাতা গুঁড়ো করে টানা এক মাস খেতে পারেন। তেজপাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হৃৎপিণ্ডের কার্যক্রম ভালো রাখে।
৪. ব্যথা উপশমে
তেজপাতার তেল বাতের ব্যথা, মচকানো, কোনো কিছুর চাপ লেগে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে বা যেকোনো সাধারণ বা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা উপশম করে। মাইগ্রেন ও মাথাব্যথায় কপালি তেজপাতার তেল মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়।
৫. হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক রোধে 
তেজপাতায় এমন সব ভেষজ উপাদান আছে, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো রোগ প্রতিরোধ হৃদযন্ত্রকে রাখে নিরাপদ। বাড়ায় হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা।

মহামারীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় দারুচিনি

মহামারীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় দারুচিনি

মহামারীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় দারুচিনি!
ফাইল ছবি
দারুচিনিকে এতদিন আমরা খাবারেই ব্যবহার করে এসেছি। গরম মশলার অপরিহার্য পদ এই দারুচিনি। খাবারের সুগন্ধ বাড়াতেও এর জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু এই দারুচিনিই যে আপনার শরীরের যাবতীয় ভাইরাস ধুয়ে মুছে সাফ করে দিতে পারে, তা কি জানতেন? গবেষণা ঠিক এই তথ্যই দিচ্ছে।
প্রাচীনকালে বহু ভাইরাস ধ্বংস করে দেওয়ার নজির দেখিয়েছে দারুচিনি। তাই সুগন্ধি এই পদকে শুধু খাবারে ব্যবহার করলেই চলবে না। গবেষকরা বলছেন, করোনারকালেও প্রতিষেধক হিসেবে কাজে আসতে পারে দারুচিনি। তবে খাবারের সঠিক পদ্ধতিটি জানতে হবে। কোন সময়ে, ঠিক কী ভাবে দারুচিনি খেলে তা শরীরের জন্য কাজে আসবে, জানতে হবে সে পদ্ধতিও। আবার বেশি পরিমাণে দারুচিনি খেয়ে ফেললেও হিতের বিপরীত হতে পারে। সেই দারুচিনি কীভাবে মানুষের শরীর ভালো করার কাজ করেছে? আর তা সঠিক ভাবে খাওয়ার পদ্ধতিটিই বা কী? চলুন জেনে নেই-
১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু ধ্বংস করতে কাজে এসেছিল দারুচিনি
১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু মহামারীর সময়ে যারা দারুচিনির কারখানায় কাজ করতেন, তাদের প্রায় কেউই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। অর্থাৎ খাওয়া তো অবশ্যই, দারুচিনির সংস্পর্শে থাকাটাও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, সেই সময় স্প্যানিশ ফ্লু নির্মূল করার অন্যতম সেরা ওষুধ ছিল দারুচিনির গুঁড়া। কেউ কেউ আবার দুধে সামান্য পরিমাণ দারুচিনি তেল ব্যবহার করেই সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে এইচআইভি, অ্যাডিনোভাইরাস ও হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসের বিরুদ্ধেও দারুচিনি ব্যাপক ভাবে কার্যকারিতা দেখিয়েছে।
করোনায় যেভাবে উপকারী দারুচিনি
বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও বিশ্বের বেশ কিছু দেশে প্রতিষেধক হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে দারুচিনি। বিশেষ করে ডাক্তার থেকে শুরু করে গবেষকরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুচিনি খেতে বলছেন। তবে এখনও পর্যন্ত দারুচিনি করোনাভাইরাস ধ্বংস করতে পারে কি না, সেই বিষয়ে কোনও প্রমাণ না মিললেও ডাক্তাররা বলছেন সংক্রমণের তীব্রতা প্রতিরোধ করতে পারে দারুচিনি। তবে তা ঠিকঠাক পদ্ধতি মেনে খেতে হবে। আর কোন সময়ে খাওয়া হচ্ছে, এবং কতটা পরিমাণে দারুচিনি খাওয়া হচ্ছে তার উপরেও নির্ভর করছে এর গুণাগুণ।
​শরীর ভালো রাখতে কীভাবে সাহায্য করে দারুচিনি
দারুচিনি আসলে শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আমাদের শারীরিক প্রতিরক্ষার জন্য প্রদাহ গুরুত্বপূর্ণ হলেও প্রয়োজনাতিরিক্ত প্রদাহে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। আর সেটার পরিমাণই মূলত কমিয়ে দিতে পারে দারুচিনি। এই দারুচিনির মধ্যেই রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পলিফেনল ও প্রোঅ্যান্থোসায়ানাইডিন, যা কোনও ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। এছাড়াও দারুচিনি মেদ ঝরাতেও কাজে আসে। শ্বাসতন্ত্রের রোগ এবং হার্টের রোগ নির্মূল করতেও খুবই সহায়ক দারুচিনি। দারুচিনির অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল প্রপার্টি বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
দারুচিনি খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি
দারুচিনিকে পানিতে সিদ্ধ করে অথবা গরম পানিতে দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে এর সঠিক উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দারুচিনির তেল ব্যবহার করা উচিত নয়। সিনামন অয়েল এত বেশি শক্তিশালী যে এক বা দুই ফোঁটার বেশি খেলে শরীরের ভেতর পুড়ে যেতে পারে। কোনও খাবারে ঠিক কতটা পরিমাণ সিনামন অয়েল মিশিয়ে খেলে শরীরের কোনও ক্ষতি হবে না, তা জানতে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।