রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০

ডাইনোসরের কঙ্কাল আবিষ্কার করল ১২ বছরের শিশু

ডাইনোসরের কঙ্কাল আবিষ্কার করল ১২ বছরের শিশু

ডাইনোসরের কঙ্কাল আবিষ্কার করল ১২ বছরের শিশু
কঙ্কাল আবিষ্কার করা নাথান
কানাডায় বিলুপ্ত প্রাণী ডাইনোসরের কঙ্কাল আবিষ্কার করলো নাথান হারশকিন নামের এক ১২ বছরের এক শিশু। বিজ্ঞানীদের ধারণা এটি অন্তত ৬ কোটি ৯০ লাখ বছর আগের কঙ্কাল। খবর বিবিসির।

শিশুটি জানায়, তার বাবার সাথে পাহাড়ি এলাকা আলবার্টায় বেড়াতে গিয়ে গত জুলাইতে কঙ্কাল সদৃশ বস্তু দেখতে পায়। এ ঘটনা জানানো হয় রয়েল টাইরেল জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে। সেই কঙ্কালের ছবি এবং ঠিকানা নিয়ে জায়গাটিতে একদল গবেষক পাঠায় তারা। দীর্ঘদিনের উদ্ধার অভিযান শেষ হয় গতকাল বৃহস্পতিবার। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ৩০ থেকে ৫০টি হাড়।

গবেষক দল বলছে, ডাইনোসরটি ৩ থেকে ৪ বছর বয়সী ছিলো। এর আগে উদ্ধার হওয়া একটি ডাইনোসরের কঙ্কাল নিলামে বিক্রি হয় ৪০ লাখ ডলারে। 

এক বিবৃতিতে জাদুঘরের ইকোলজি কিউরেটর বলেন, এই হ্যাড্রোসরাসটির আবিষ্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অ্যালবার্টায় আসলে কী রকমের ডাইনোসর বা প্রাণী বাস করত সে সম্পর্কে আমাদের ধারণা অনেক কম। নাথান ও তার বাবা ডিওনের এই আবিষ্কার ডাইনোসরের বিবর্তন সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানের খালি অংশ পূরণে সাহায্য করবে।

খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের প্রতি নবীজির অঙ্গীকারনামা

খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের প্রতি নবীজির অঙ্গীকারনামা


খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের প্রতি নবীজির অঙ্গীকারনামা
খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের প্রতি নবীজির অঙ্গীকারনামা
৬২৮ খ্রিস্টাব্দে সেন্ট ক্যাথরিন গির্জার একজন প্রতিনিধি মহানবী (সা.) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সুরক্ষা প্রদানের অনুরোধ করেন। মহানবী (সা.) ওই প্রতিনিধিকে তার সম্প্রদায়ের বিশেষাধিকারের সংবলিত একটি অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন। সেন্ট ক্যাথরিন গির্জা মিসরের সিনাই উপত্যকার পাদদেশে অবস্থিত। বেশ পুরনো হওয়ায় এটি এখন বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষিত স্থান। সেন্ট ক্যাথরিন গির্জায় প্রায় ১৪০০ বছর ধরে ধরে রক্ষিত আছে বহু প্রাচীন দলিল ও নথিপত্র। ধারণা করা হয়, ভ্যাটিকানের পর সেন্ট ক্যাথরিন প্রাচীনতম পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণের জন্য বিখ্যাত। সেখানেই আছে ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে লেখা সন্ন্যাসীদের উদ্দেশে লেখা মহানবী (সা.)-এর একটি চিঠির অনুলিপি। ঐতিহাসিক ওই অঙ্গীকারনামায় মহানবী (সা.) খ্রিস্টানদের বিশেষাধিকারের সনদ প্রদান করেছেন এবং মুসলিম সমাজে বসবাসকারী খ্রিস্টানদের নিরাপত্তা প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছেন। ঐতিহাসিক সেই অঙ্গীকারনামার অনুবাদ নিচে তুলে ধরা হলো-

‘এটি মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহর পক্ষ থেকে বার্তা তাদের প্রতি, যারা চুক্তির অংশ হিসেবে খ্রিস্টবাদ ধারণ করে; তারা কাছের হোক বা দূরের আমরা তাদের সঙ্গে আছি। প্রকৃতপক্ষে আমি, দাসরা, সাহায্যকারী ও আমার অনুসারীরা তাদের রক্ষা করবে। কেননা খ্রিস্টানরা আমার নাগরিক। আল্লাহর কসম! আমি এমন সব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে, যা তারা অপছন্দ করে। তাদের ওপর বিশেষ কোনো বিধি-নিষেধ থাকবে না। তাদের বিচারকদের চাকরিচ্যুত করা হবে না এবং তাদের সন্ন্যাসীদের গির্জাগুলো থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে না। কেউ তাদের ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস করবে না, ক্ষতিগ্রস্ত করবে না অথবা মুসলিমদের জন্য তা থেকে কোনো কিছু ছিনিয়ে আনবে না। কেউ এমনটি করলে সে আল্লাহর সঙ্গে কৃত অঙ্গীকার ভঙ্গ করল এবং তার নবীর অবাধ্য হলো। নিশ্চয়ই তারা আমার মিত্র এবং তারা যেসব বিষয় ঘৃণা করে আমি তার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা সনদ দিচ্ছি। কেউ তাদের ভ্রমণে বা যুদ্ধে অংশগ্রহণে বাধ্য করবে না; বরং মুসলিমরা তাদের জন্য যুদ্ধ করবে। কোনো খ্রিস্টান নারীর অনুমতি ছাড়া কোনো মুসলিম তাকে বিয়ে করতে পারবে না। (বিয়ের পর) প্রার্থনার জন্য তাকে চার্চে যেতে বাধা দেওয়া যাবে না। খ্রিস্টানদের চার্চের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হবে। কেউ চার্চ সংস্কার বা তার পবিত্রতা রক্ষায় বাধা দেবে না। কোনো মুসলিম কিয়ামত পর্যন্ত এই অঙ্গীকারনামার অবাধ্য হবে না।’

নোরার শরীরে 'আপত্তিকর' স্পর্শের সেই ভাইরাল ভিডিও ভুয়া

নোরার শরীরে 'আপত্তিকর' স্পর্শের সেই ভাইরাল ভিডিও ভুয়া

নোরার শরীরে 'আপত্তিকর' স্পর্শের সেই ভাইরাল ভিডিও ভুয়া
অভিনেত্রী নোরা ফতেহি ও কোরিওগ্রাফার টেরেন্স লুইসের একটি ভিডিও সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। একটি নাচের রিয়েলিটি শোয়ে দুজনে বিচারকের আসনে রয়েছেন। ভাইরাল সেই ভিডিওতে নোরাকে আপত্তিকর ভাবে স্পর্শ করতে দেখা যায় টেরেন্সকে।

এরপরই নেটিজেনদের রোষানলেন পড়েন তিনি। অবশেষে এই বিষয়ে মুখ খুললেন টেরেন্স। যে ভিডিওটি ভাইরাল হয় সেখানে দেখা যাচ্ছিল, নোরার নিতম্ব স্পর্শ করছেন টেরেন্স। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনরা আক্রমণ করেন টেরেন্সকে। যদিও প্রতিক্রিয়া স্বরূপ কিছুই করেননি নোরা ফতেহি। তখনই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি এই ভিডিও আসলেই কি সত্য, নাকি প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে এমন একটি ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। কারণ এভাবে কাউকে স্পর্শ করলে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পাওয়াই স্বাভাবিক। 

টেরেন্স বলেন, সারা জীবনে তিনি বিপরীত লিঙ্গের থেকে যথেষ্ট ভালোবাসা পেয়েছেন। তাই নিজেকে কোনও কিছু থেকেই বঞ্চিত অনুভব করেন না। এই ধরনের জিনিস ১৭ বছর বয়সিদের উত্তেজিত করতে পারে। আমার বয়স ৪৫। টেরেন্স জানান, তিনি নোরাকে শ্রদ্ধা করেন।

তার দাবি, এমন কিছু সত্যি ঘটলে যে কোনও নারী সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেবেন। কিন্তু এমন কিছুই ঘটেনি বলে তারা দুজনই প্রতিক্রিয়াহীন ছিলেন। কিছুদিন আগে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টের মাধ্যমেও নোরা ও টেরেন্স দুজনেই ঘটনাটি মিথ্যে বলে দাবি করেন।

টেরেন্সের পোস্টে নোরা কমেন্ট করেছিলেন, ধন্যবাদ টেরেন্স। এখন ফটোশপ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বহু বিকৃতি ঘটানো যায়। আমার ভালো লাগছে যে তুমি বিষয়টা নিয়ে শান্ত থেকেছ। তুমি এবং গীতা, দুজনকেই আমি শ্রদ্ধা করি। এই শোয়ের বিচারক হতে পেরে আমি খুশি। অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পেয়েছি ও শিখেছি বহু কিছু। খুব ভালো থেক।

শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০

সাইলেন্ট অবস্থায় ফোন হারিয়ে গেলে খুঁজে পাবেন যেভাবে

সাইলেন্ট অবস্থায় ফোন হারিয়ে গেলে খুঁজে পাবেন যেভাবে


সাইলেন্ট অবস্থায় ফোন হারিয়ে গেলে খুঁজে পাবেন যেভাবে
মোবাইল ফোনটি কোথায় রেখেছেন খুঁজে পাচ্ছেন না, এরকম ঘটনা প্রায়ই হয়। সাধারণভাবে এমন ঘটনায় অন্য কোনও ফোন থেকে নিজের নম্বরটি ডায়াল করাই সেই ফোনকে খুঁজে পাওয়ার সহজতম পন্থা। মোবাইলটি বাজতে শুরু করলেই সেই আওয়াজ অনুসরণ করে সহজেই আপনি খুঁজে পেয়ে যাবেন মোবাইলটি। কিন্তু ফোন যদি সাইলেন্ট মোডে থাকে তাহলে এই কৌশল কার্যকর হবে না। তা হলে সেই অবস্থায় কীভাবে খুঁজে পাবেন সেই হারানো মোবাইল? জেনে নিন এর কৌশল-

১. প্রথমে অন্য কোন মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে গুগল-এর ওয়েবসাইটে যান।
২. সেখানে সার্চ বারে লিখুন ‘ফাইন্ড মাই ফোন’।
৩. তার পর গুগল অ্যাকাউন্ট বা জিমেইল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করুন।
৪. নিজের মোবাইলের লোকেশন দেখতে পাবেন গুগল-এ।
৫. এর পর আপনার সামনে অপশন আসবে, যেটির মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারটি ‘অন’ করে দিতে পারবেন।
৬. এবার ‘রিং’ অপশনটিকে সিলেক্ট করুন।
৭. আপনার ফোন সাইলেন্ট মোডে থাকলেও সেটি ফুল ভলিউমে রিং হতে শুরু করবে। এবং যতক্ষণ না আপনি ফোনটিকে খুঁজে বার করে তার পাওয়ার বাটনটি চেপে ধরছেন, ততক্ষণ ফোন রিং হতেই থাকবে। এ বার সেই আওয়াজ অনুসরণ করে ফোনটিকে খুঁজে বার করা তো কোন ব্যাপারই নয়।

এই একই পদ্ধতিতে আপনি আপনার হারানো অ্যান্ড্রয়েড ট্যাব-ও খুঁজে পেতে পারেন। তবে একটা বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। সেটা হলো, আপনার ডিভাইস থেকে অবশ্যই গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করা থাকতে হবে। নতুবা এই পদ্ধতিতে হারানো মোবাইল খুঁজে পাওয়া যাবে না।

জেনে নিন যে ৭ কারণে কমে যাচ্ছে আপনার আয়ু

জেনে নিন যে ৭ কারণে কমে যাচ্ছে আপনার আয়ু


জেনে নিন যে ৭ কারণে কমে যাচ্ছে আপনার আয়ু
সবাই বেশি দিন বেঁচে থাকতে চায়। কিন্তু জানেন কি, এমন অনেক কাজ আছে যেগুলো আমাদের অজান্তেই আমাদের আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে? আসুন কারণগুলো জেনে যাক-

টিভি দেখা
ব্রিটিশ জার্নাল অব স্পোর্টস মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, ২৫ বছরের বেশি বয়সীরা এক ঘণ্টা টিভি, ডিভিডি বা ভিডিও দেখলে তাদের জীবনের আয়ু প্রায় ২২ মিনিট কমে যেতে পারে। সে হিসেবে কেউ যদি ধারাবাহিকভাবে দিনে গড়ে ছয় ঘণ্টা করে টিভি দেখেন, তাহলে তার জীবন থেকে পাঁচটি বছর চলে যেতে পারে।

যৌনসম্পর্ক
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের একটি গবেষণায় জানা যায়, যেসব পুরুষ মাসে কমপক্ষে একবারও যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হননি তাদের মারা যাওয়ার সম্ভাবনা, যারা সপ্তাহে অন্তত একদিন যৌনসম্পর্ক করেছেন, তাদের চেয়ে দ্বিগুণ।

এদিকে ডিউক ইউনিভার্সিটির গবেষণা বলছে, যেসব নারীর আনন্দময় যৌনজীবন রয়েছে তারা অন্যদের চেয়ে প্রায় আট বছর বেশি বাঁচেন। কাজেই সুস্থ, সুন্দর জীবনের জন্য নিয়মিত যৌনসম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ বৈকি!

একা থাকা
অনেকেই একা থাকতে পছন্দ করেন। মনে করেন এতে করে চাপ এড়ানো যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা। তাদের মতে, একা থাকা মানে জীবনের সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য থেকে বঞ্চিত হওয়া – যা আয়ু কমাতে পারে। দিনে ১৫টি সিগারেট খেলে স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি হয়, পর্যাপ্ত সামাজিক যোগাযোগ না করলেও সেরকম ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন মনোবিজ্ঞানী জুলিয়ান হোল্ট-লুনস্টাড।

বসে থাকা
আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন-এর জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, দিনে গড়ে ১১ ঘণ্টার বেশি সময় বসে থাকা মানে পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে যাওয়া। কাজেই আর বসে থাকা নয়, শারীরিক পরিশ্রম করুন, সুস্থ থাকুন!

বেকারত্ব
ক্যানাডার গবেষকরা বলছেন, একজন মানুষ বেকার থাকা মানে তার অকালমৃত্যুর সম্ভাবনা ৬৩ শতাংশ বেড়ে যাওয়া। ১৫টি দেশের প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষের ৪০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পেয়েছেন গবেষকরা।

ঘুমানো
দিনে আট ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঘুমানো ঠিক নয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, ধারাবাহিকভাবে এত সময় ধরে ঘুমানো স্বাস্থ্যকর নয়। দিনে সর্বোচ্চ সাত ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

অতিরিক্ত ব্যায়াম
ব্যায়াম করা শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু সেটা বেশি হয়ে গেলেই বিপদ। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ব্যায়াম করা উচিত।