শুক্রবার, ১৮ জুন, ২০২১

এবার নতুন ভার্চুয়াল জগত নিয়ে অপো'র সাইবাররিয়েল

এবার নতুন ভার্চুয়াল জগত নিয়ে অপো'র সাইবাররিয়েল

এবার নতুন ভার্চুয়াল জগত নিয়ে অপো'র সাইবাররিয়েল
ভার্চুয়ালি মানুষের অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করতে অপো নিয়ে এসেছে সাইবাররিয়েল এআর (অগমেন্টেড রিয়েলিটি) নামে নতুন অ্যাপ্লিকেশন। অপো এর নিজস্ব এআই ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি এই অ্যাপ্লিকেশন মানুষকে ‘অগমেন্টেড রিয়েলিটি’র স্বাদ দিবে। 

  
অগমেন্টেড রিয়েলিটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ধারণাকেই আরো বাস্তব রূপ দেয়। এখানে কৃত্রিম কোনো জগৎ নয় বরং বাস্তব জগৎকেই আপনার কল্পনার জায়গা বানিয়ে দেয়া হয়। অপো আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআাই) এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি'র যৌথ সমন্বয়ে সবার জন্য ধারণক্ষম একটি প্লাটফর্ম তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। নতুন প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্যই সাইবাররিয়েল অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে এসেছে অপো।

এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আগের যেকোন সময়ের চেয়ে চারগুণ বেশি গতিতে ছবি স্ক্যান করা যাবে। ঘন্টায় ১২ হাজারের বেশি ছবি স্ক্যান করতে সক্ষম এ প্রযুক্তি যেকোন ফ্ল্যাগশিপ স্টোরকে থ্রিডি রূপে পরিণত করতে এর সময় লাগে মাত্র কয়েক ঘণ্টা। অপোর নিজস্ব যে এআই প্লাটফর্ম রয়েছে সেটি যেকোন ছবিকে সুন্দর করে শর্ট ফ্রেমে রিয়েল টাইম থ্রিডি’তে পরিণত করে। এছাড়াও অপো নিজস্ব এআই এডিটিং টুলও তৈরি করেছে। 

গত এপ্রিলে প্রথমবারের মতো অপো’র বেইজিং উকেসং এবং গুয়াংঝাং ঝেংজিয়াং প্লাজার ফ্লাগশিপ স্টোরে আগত দর্শকরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। ৪ মিটার লম্বা ফাইন্ড এক্স৩ প্রো ফোনের মাধ্যমে সাইবার রিয়েল প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা লাভ করেন যেখানে দেখা যায় আকাশ থেকে ফোনটি দর্শকদের হাতে ধীরে ধীরে পড়ছে। 

ইনডোর পজিশনিং ঠিক করার জন্য অপো সাইবাররিয়েল এ বেশি কিছু প্রযুক্তি যুক্ত করেছে। এআই ও ক্লাউড কম্পিউটিং এর সমন্বয় করে অপো ৬ডিওএফ পোজ তৈরি করেছে যার মাধ্যমে দর্শক যেকোন দিক ও অবস্থান থেকে এআর ভিজ্যুয়াল দেখতে পারেন। এমনকি ৩৬০ ডিগ্রি কোণে লক্ষ্যবস্তুতে হাঁটতেও পারবেন। সর্বোপরি, অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে সাইবাররিয়েল আরো বেশি শক্তিশালী এবং কর্মক্ষম।

অপো সম্পর্কে:
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্ট ডিভাইস ব্র্যান্ড অপো। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রথম মোবাইল ফোন 'স্মাইলি ফেস' উন্মোচন করে। এরপর থেকে ক্রেতাদের শিল্প ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মিশেলে তৈরি পণ্য সরবরাহের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করছে অপো। 

বর্তমানে অপো ফাইন্ড ও রোনো সিরিজসহ বিস্তৃত পরিসরের স্মার্টডিভাইস বাজারে নিয়ে আসছে। ডিভাইসের পাশাপাশি অপো তাদের গ্রাহকদের অপো ক্লাউড এবং অপো এর মতো কালারওএস অপারেটিং সিস্টেম ও ইন্টারনেট সেবা প্রদান করছে। 

বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশ এবং অঞ্চলে অপো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানটির ৬টি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ৫টি আরঅ্যান্ডডি সেন্টার রয়েছে। লন্ডনে অপোর একটি ডিজাইন সেন্টারও রয়েছে। বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে অপো'র ৪০,০০০ হাজারেরও বেশি কর্মী কর্মরত আছেন।

২০২৫ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের বাজার হবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি

২০২৫ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের বাজার হবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি

২০২৫ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের বাজার হবে অগমেন্টেড রিয়েলিটিহুয়াওয়ে এবং বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে অগমেন্টেড রিয়েলিটির (এআর) বাজার দাঁড়াবে ৩শ’ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এ বিষয়টির ওপর আবারও জোর দিলেন হুয়াওয়ে ক্যারিয়ার বিজনেস গ্রুপের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা বব কাই । 

তিনি গতকাল বৃহষ্পতিবার চীন থেকে অনলাইনে আয়োজিত হুয়াওয়ের বেটার ওয়ার্ল্ড সামিট ২০২১ -এ ‘ফাইভজি + এআর, টার্নিং ড্রিমস ইনটু রিয়েলিটি’ শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপনের সময় এ বিষয়ে কথা বলেন। 

বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ফাইভজি এআর চালু করবে এবং এআর ফাইভজি প্রযুক্তিকে আরও ত্বরান্বিত করবে। শিক্ষা, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং, কেনাকাটা, ভ্রমণ ও নেভিগেশন এবং গেমিং – এই পাঁচটি শিল্পখাত প্রথমেই এআর প্রযুক্তিকে বিস্তৃতভাবে গ্রহণ করবে। জড়জগৎ আর ডিজিটাল জগতকে একসাথে করার মাধ্যমে আমাদের কল্পনাগুলোকে বাস্তবে পরিণত করবে এআর।’

সামিটে অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন এবং বক্তব্য রাখেন। যাদের মধ্যে ছিলেন, শেনঝেন কমিউনিকেশন ম্যানেজমেন্ট ব্যুরো’র পরিচালক হে চেংজিয়ান; স্ট্রাটেজি অ্যানালিটিক্স’র নির্বাহী পরিচালক ডেভিড ম্যাকক্যুইন; শেনঝেন টিভি স্টেশনের প্রধান নির্মাতা হুয়াং হে; রিয়েলম্যাক্স’র সিইও ওয়েই রঙ্গজি; মিলিপ সিইও হিরোশি ফুকুদা; এইচএডিও চীন রিজিওন’র প্রতিনিধি লিয়াং জিনহাও এবং শেনজেন এআর অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক ফু জি। 

সামিটে বব কাই এআর'র বিভিন্ন বিষয় ও অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে হোয়াইট পেপার প্রকাশের ঘোষণা দেন। হোয়াইট পেপারে এআর শিল্পখাতের ডিভাইস, অ্যাপ্লিকেশন ও নেটওয়ার্কিং নিয়ে বিস্তারিত অনেক তথ্য রয়েছে। 

কোভিড-১৯ -এর বৈশ্বিক মহামারির কারণে সারা বিশ্বের ছড়িয়ে থাকা হুয়াওয়ের গ্রাহকগণ হুয়াওয়ের অফিস পরিদর্শন করতে পারছেন না। এজন্য হুয়াওয়ে এআর -এর সাহায্যে অনলাইনে এর শীর্ষস্থানীয় নানা পণ্য ও সমাধান নিজের গ্রাহকদের সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে অনলাইন যোগাযোগকে আরও কার্যকরী করে তুলেছে। 

এছাড়াও হুয়াওয়ে নিজে এআর ব্যবহার করে ফাইভজি বেইজ স্টেশনগুলোর হস্তান্তর প্রক্রিয়া খুব সহজ ও দ্রুততর করেছে। হুয়াওয়ের এআর ব্যবহারের এরকম বেশ কিছু কেস স্টাডিও দেখানো হয় এই অনুষ্ঠানে। 

কাই আরো বলেন, ‘আপনি যদি দ্রুত কোথাও যেতে চান তবে একা যান; আর আপনি যদি অনেক দূর যেতে চান, তাহলে সবাইকে নিয়ে একসাথে যান। এআর বিকাশের জন্য পুরো শিল্পকে একসাথে কাজ করতে হবে এবং আমাদের সবার যৌথ উদ্যোগে প্রবৃদ্ধিশীল ফাইভজি+এআর ভ্যালু চেইন তৈরি করা প্রয়োজন।’

হঠাৎ দেশে কেন বেড়ে গেল এত ইউটিউবার

হঠাৎ দেশে কেন বেড়ে গেল এত ইউটিউবার

যৌনতা, রূপচর্চা, স্পোর্টস ও বিনোদন কনটেন্টগুলোর ভিউ বেশি

হঠাৎ দেশে কেন বেড়ে গেল এত ইউটিউবার
কয়েক মিনিটের ভিডিও ভিউ বাড়লে হাজার থেকে লাখ টাকা ইনকাম। ঘরে বসেই যদি এমন সহজ আয়ের উৎস হাতের কাছে থাকে তাহলে আর চিন্তা কিসের। দেশে ফেসবুক, টিকটক, লাইকির মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোর জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ছে, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি জনপ্রিয় এখন মার্কিন ভিডিও-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। অনেকের কাছে এটি অর্থ আয়ের জন্য একটি অন্যতম মাধ্যম হিসাবে গড়ে উঠছে। 

একসময় ইউটিউবে তথ্যনির্ভর, রুচিশীল মার্জিত কনটেন্ট থাকলেও অর্থ আয়ের ভিড়ে এখন অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটররা হাঁটছেন ভিন্ন পথে। কেউ কেউ ভাইরাল টপিক নিয়ে ভুয়া তথ্য দিয়ে কনটেন্ট তৈরি করে ভিউ বাড়াতে অর্থ আয়ের চেষ্টা করছেন। আবার কেউ কেউ উষ্ণতা বাড়াতে ঝুঁকছেন পর্নোগ্রাফি কনটেন্টের দিকে। কেউ কেউ আশ্রয় নিচ্ছেন প্রতারণার। কখনো সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও খ্যাতিমান ব্যক্তি বা তারকাদের নিয়ে আপত্তিকর ও বানোয়াট ভিডিও ছাড়া হচ্ছে ইউটিউবে। পরে দাবি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের চাঁদা। প্রশ্ন উঠছে হঠাৎ কেন বেড় গেল এতো ইউটিউবার?

মহামারী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় এখনো বিধিনিষেধ মেনেই চলতে হচ্ছে সবাইকে। এতে কিছু ক্ষেত্রে এর অযৌক্তিকতা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সমাজের এক অংশের মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে। এর জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোও ব্যবহার করা হচ্ছে। দেখা গেছে, ইউটিউবে ঝুঁকে পড়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় তিনগুণ। তবে ভিউ ও অর্থ কামানোর প্রতিযোগিতায় এই মাধ্যমের সঠিক ব্যবহারের চেয়ে অপব্যবহারই বেশি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় তরুণদের বড় একটা অংশ ইউটিউব মুখী হয়েছেন। যাদের কেউ কেউ অবসর সময় পার করতে, কেউ কেউ ইউটিউব তারকা হয়ে উঠতে এবং অনেকেই আবার অর্থ উপার্জন করতে এই মাধ্যমে ব্যাপক হারে তৎপর হয়েছেন। প্রতিনিয়ত ভিউ ও অর্থ কামানোর নেশায় তাদের মধ্যে বেশির ভাগই মাধ্যমটির সঠিক ব্যবহার করছেন না, মেতে উঠছেন অসুস্থ প্রতিযোগিতায়।

তাদের মতে, ইউটিউবে অপচর্চাটা বেশি হচ্ছে। যার ক্ষতিকর প্রভাব সমাজ ও রাষ্ট্রের ওপর পড়ছে। বিনোদন ও প্রচার মাধ্যম হিসেবে ইউটিউবে প্রতিনিয়ত গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে এক শ্রেণির মানুষ। যে কোনো বিষয়বস্তুকে অতিরঞ্জিত করার প্রতিযোগিতায় নিয়োজিত সেসব ইউটিউবাররা ভিউ আর অর্থ উপার্জনের দৌড়ে ব্যস্ত। এতে দরকারি ও মানসম্মত কন্টেন্টগুলো হারিয়ে যাচ্ছে গুজব আর মিথ্যাচারের ভিড়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সেন্সরশিপ ও প্রয়োজনীয় নজরদারির অভাবে ইউটিউবের এই অপচর্চা বর্তমান ও পরবর্তী প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কেননা, একদিকে মহামারী থেকে তৈরি সংকট ও অন্যদিকে আধুনিক বিশ্বায়ন মানুষকে ঘরমুখী করে দিচ্ছে। বিনোদন, সংস্কৃতি চর্চা, শিক্ষা ও কর্ম-সবই এখন অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়েছে। শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধ সব শ্রেণির মানুষই এতে অভ্যস্ত। 

ইউটিউবে দেখা যায়, সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে যে কোনো কনটেন্টকে আকর্ষণীয় করে তুলতে চটকদার নানা উপকরণ যুক্ত করা হচ্ছে। সেখানে সেন্সরশিপ না থাকায় সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে মূলধারার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। যে কেউই যে কারো চরিত্রহরণ করে ভিউ আর অর্থ কামাতে ব্যস্ত। বিনোদন কনটেন্টগুলোর ক্ষেত্রেও অপসংস্কৃতির ছড়াছড়ি। আবার এসব কনটেন্ট ইউটিউব ছাপিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভিডিও শেয়ারিং সাইটে ছড়িয়ে পড়ছে। ফেসবুকেও এগুলোর ছড়াছড়ি।

প্রতারণার মাধ্যম হিসেবেও ইউটিউবকে ব্যবহার করা হচ্ছে। কখনো সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও খ্যাতিমান ব্যক্তি বা তারকাদের নিয়ে আপত্তিকর ও বানোয়াট ভিডিও বানিয়ে ছাড়া হচ্ছে ইউটিউবে। পরে দাবি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের চাঁদা। এ নিয়ে জিডি করেছেন অনেকে। 

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইটি বিভাগের অধ্যাপক কে এম আককাছ আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সরকারি কোনো নীতিমালা নেই। আছে অবাধ স্বাধীনতা, তাই অনেকে অর্থ আয়ের পথ হিসেবে ইউটিউবের দিকে ঝুঁকছে। ইচ্চে মতো চ্যানেল খুলে মনগড়া ভিডিও আপলোড করছে। অনেক শিশু কিশোর লাইভ গেইম চ্যানেলগুলোতে আসক্ত হচ্ছে। এখনকার কনটেন্টগুলোতে ক্রিয়েটিভির কিছু চোখে পড়ে না। মূলত ধর্ম, যৌনতা, রূপচর্চা, স্পোর্টস, বিনোদন রিলেটেড কনটেন্টগুলোর ভিউ বেশি লক্ষ্য করা যায়। 

তিনি বলেন, সাইবার ক্রাইম আগের থেকে অনেক বেড়েছে। ক্ষোভের কারণে মানহানি বা চাঁদাবাজি করতেও মনগড়া কনটেন্ট তৈরি করতে দেখা যাচ্ছে। আবার সরকার বিরোধী অনেক ভিত্তিহীন কনটেন্টও তৈরি হচ্ছে। বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নে দেশের বাইরে থেকে কনটেন্ট তৈরি করে তা টাকা দিকে ছড়িয়ে দেওয়া (প্রমোশন/বুস্ট) হচ্ছে।

অধ্যাপক কে এম আককাছ আলী আরও বলেন, দীর্ঘদিন লকডাউনের কারণে অনেকেই বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে এইদিকে আসছেন। কেউ কেউ অবসর সময়টাকে কাজে লাগাচ্ছে। আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরাও ভিডিও কনটেন্ট তৈরিতে ঝুঁকছেন। তবে ইউটিউব কনটেন্টের জন্য সরকারের উচিত নীতিমালা তৈরি করে দেওয়া। ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েটরদের বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত। যাতে বে-আইনি কিছু করলেই ব্যবস্থা নেওয়া যায়। 

বাংলাদেশের তরুণদের অনেকেই এখন পেশাদারভাবে ইউটিউব এবং ফেসবুকের জন্য কনটেন্ট তৈরি করছেন। এসব ভিডিও দেখা হচ্ছে অসংখ্যবার। বাংলাদেশের একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর সৌভিক আহমেদ বলেন, এখন তো অনেক ইউটিউবার বেড়ে গেছে। আমরা যারা ছিলাম তারা কিন্তু এখনো কাজ করছি, তবে কম। এখন যারা নতুন তারাও নতুন নতুন আইডিয়া শেয়ার করছে, কন্টেন্ট ক্রিয়েট করছে। কেউ রান্না নিয়ে, কেউ বা শর্টফিল্ম, আবার কেউ গেম শো, মজার অনুষ্ঠান বা বিভিন্ন অনুষ্ঠান বানাচ্ছে। 

তিনি বলেন, এখনকার সময়ের সবাই অনেক বেশি ইয়াং ও ডেডিকেটেড। এখনকার ট্রেন্ড, কন্সেপ্ট এখনকার মতো; আগের মতো হবে না। তবে এখনকার সময়ে অনেক রকম ইউটিউবার হয়েছে যারা কন্সেপ্টের বিষয়ে ক্লিয়ার না। কি করবে আর কি বানাবে সেটা সম্পর্কে অজ্ঞ। ফলে বাজে কিছু কনটেন্ট নির্মিত হচ্ছে। তবে আমরা বরাবরই আশাবাদী।

বৃহস্পতিবার, ৩ জুন, ২০২১

বিশ্বের প্রাচীনতম ট্যাটু আঁকার যন্ত্র আবিষ্কার

বিশ্বের প্রাচীনতম ট্যাটু আঁকার যন্ত্র আবিষ্কার

বিশ্বের প্রাচীনতম ট্যাটু আঁকার যন্ত্র আবিষ্কার
ট্যাটু (tatoo) আর্ট (art) যে বহু পুরোনো তা সকলেরই জানা। আজও বহু আদিবাসী রয়েছে যারা সভ্য জগতের থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন তাদের শরীরে উল্কি আঁকতে দেখা যায়।

সম্প্রতি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো ট্যাটু কিট আবিস্কৃত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এই ট্যাটু কিট খ্রিস্টপূর্ব ৫৫২০ থেকে ৩৬২০ সালের মধ্যেকার কোনও একটি সময়ের।

খননকারীরা এই ট্যাটু কিট খুঁজে পেয়েছিলেন আসলে ১৯৮৫ সালে। তখন তারা ন্যাশভিলে একটি ব্রিজ তৈরির কাজ করছিলেন। সেই সময়ে তারা এটিকে সাধারণ কোনও যন্ত্র ভেবেছিল। তিন দশকের বেশি সময় ধরে এটি এইভাবেই পড়েছিল।

ডেটার উলফ আবার এগুলোকে ওষুধের বান্ডিল ভেবেছিল। জু আর্কিওলজিস্ট তানেয়া পেরেসের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হবার পরে ধারণা সম্পূর্ণ বদলে যায়। গবেষণায় উঠে আসা অন্য তথ্য। তারা বুঝতে পারেন এটা অন্য জিনিস। শেষে তারা বলেন ওটা ট্যাটু কিট।

জানা গেছে ট্যাটু কিটের মধ্যে ছিল টার্কির হাড় দিয়ে তৈরি সূচ, পাথর, অর্ধেক শাঁস যুক্ত রঙ রাখার জায়গা। রেডিও কার্বন স্টাডির মাধ্যমে জানা গেছে ট্যাটু জন্য ব্যবহৃত সূচগুলো ৫৫২০ থেকে ৩৬২০ সালের মধ্যেকার কোনও একটি সময়ের। এই আবিষ্কার এটাও বলছে যে নর্থ আমেরিকার মানুষরা পূর্ববর্তী ধারণার আরও হাজার বছর আগে থেমেই ট্যাটু আঁকার কাজ করত।

ওটজি নামে বিখ্যাত মমির দেহ থেকে থেকে পাওয়া গিয়েছিল সব থেকে পুরোনো ট্যাটু। বলা হয়েছিল মমিটি ৫২৫০ বছরের পুরনো। তার দেহ থেকে মিলেছিল ৬১টি ট্যাটু।

১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অস্ট্রিয়ার ওটজাল পর্বতমালায় মিলেছিল এক প্রাকৃতিক মমির সন্ধান। স্থানের নামানুসারে মমির নাম রাখা হয়েছিল ওটজি।

মমির খোঁজ মেলার পর থেকেই ওটির উদ্ধার কার্যের সঙ্গে যুক্ত যারা ছিল তাদের সবার সঙ্গে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে। বেশিরভাগই আকষ্মিক ভাবে মারা গিয়েছিল। তাই অনেকেই মমিটিকে অভিশপ্ত বলতে শুরু করে।

ওটজিকে প্রথম দেখতে পেয়েছিলেন জার্মানির পর্যটক হেলমুট সাইমন। ২০০৪ সালে হাইকিংয়ের সময় পড়ে গিয়ে মারা যান। ওটজিকে প্রথম দেখতে পাওয়ার স্থানের কাছেই তার মৃত্যু হয়েছিল। হেলমুটের মৃতদেহ উদ্ধারকারী দলের প্রধান ছিলেন ওয়ারনেক। হেলমুটের শেষ কৃত্যের এক ঘণ্টার মাথায় হার্ট অ্যাটাকে মারা যান তিনি।

ওটজির দেহ পরীক্ষা করেছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদ কনরাড স্পিন্ডলার। মারা যান মাল্টিপল সেক্লরোসিসে। ওই মমির ফরেনসিক টিমের প্রধান ছিলেন রেইনার হেন। মারা যান সড়ক দুর্ঘটনায়। তুষারধসে মারা যান রেইনকে মমির কাছে নিয়ে যাওয়া পর্বতারোহী কার্ট ফ্রিৎজ। ওটজি উদ্ধারের ভিডিও করেছিলেন অস্ট্রিয়ার সাংবাদিক রেইনার হোয়েলজল। তিনিও ব্রেন টিউমারে মারা যান। সব ঘটনাই ছিল আকষ্মিক।

৭৫০ বর্গকিলোমিটার বরফ গলে গেছে আইসল্যান্ডের

৭৫০ বর্গকিলোমিটার বরফ গলে গেছে আইসল্যান্ডের

৭৫০ বর্গকিলোমিটার বরফ গলে গেছে আইসল্যান্ডের
বিপুল পরিমাণে বরফ হারাচ্ছে ‘বরফভূমি’। সম্প্রতি এক রিপোর্টে উঠে এসেছে, নয় নয় করেও হিমবাহের মোট ক্ষেত্রের প্রায় ৭৫০ বর্গকিলোমিটার বরফ গলে গেছে আইসল্যান্ডের। শতাংশের নিরিখে যা স্থলভাগের প্রায় ৭ শতাংশ। উষ্ণায়নের জেরে গত ২০ বছরে হিমবাহের দেশ আইসল্যান্ডের এই পরিণতি বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আইসল্যান্ডে গোটা স্থলভাগের ১০ শতাংশেরও বেশি জুড়ে রয়েছে হিমবাহ। ফলে হিমবাহ ক্ষয়ের জেরে ২০১৯ সালে দেশের আয়তন কমে দাঁড়িয়েছে ১০,৪০০ বর্গকিমি। এমনটাই দাবি আইসল্যান্ডিক সায়েন্টিফিক জার্নাল ‘জোকাল’-এ প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রের।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ১৮৯০ সাল থেকেই উল্লেখযোগ্য হারে হিমবাহ অঞ্চলের হ্রাস নজরে আসে। তবে ২০০০ সাল থেকে এই হার দ্রুত বেড়েছে। হিমবাহ বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, যা পরিস্থিতি তাতে ২২০০ সালের মধ্যে আইসল্যান্ডের বরফ স্তর সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হওয়ার আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছে। 

গত এপ্রিলে ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, বিশ্বের কমপক্ষে ২,২০,০০০টি হিমবাহের প্রায় সবক’টিই খুব দ্রুত হারে গলছে। যার জেরে বিশ্ব জুড়েই বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর।

২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে করা পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে, এই সময়ে হিমবাহ ক্ষয়ের মাত্রা তড়তড়িয়ে বেড়েছে।