রবিবার, ১২ জুন, ২০২২

ভাইভার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি

ভাইভার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি


ইন্টার্ভিউ রুমে ঢুকার সময় ভিতরে ঢুকার অনুমতি নিবেন। ইন্টার্ভিউ বোর্ডের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন, বসতে বলার পর বসবেন। আপনার সার্টিফিকেট, থিসিস কপি, পাবলিকেশন যদি থাকে নিয়ে যাবেন। একটু স্মার্ট হয়ে যাবেন। ফরমাল পোশাকে ইন করে, সু পরে যাবেন। নার্ভাস এড়াতে বাসায় কিছু প্রাকটিস করে যাবেন, প্রয়োজনে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বা বন্ধু/পরিবারের অন্যদের সাথে ইন্টার্ভিউ প্র্যাকটিস করতে পারেন। আর একটা বিষয় মনে রাখবেন, ভালো, মার্জিত, পরিস্কার এবং কমফোর্টেবল পোশাকে আপনার আত্নবিসশাস বাড়িয়ে দিবে। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে সেদিন করবেন না। মৌখিক পরীক্ষার জন্যে অন্যান্য প্রস্ত্ততি, শারীরিক-মানসিকভাবে ফিট থাকুন।

ভাইবা ড্রেসঃ
ভাইবা বোর্ড আপনার পোশাক, অ্যাপিয়ারেন্স,এক্সপ্রেশন, এটিকেট এবং ম্যানার এই বিষয়গুলো সম্পর্কে খুব নজর দিয়ে থাকেন। তাই একজন যোগ্য প্রার্থী  হিসেবে আপনি ভাইবার জন্য উপযুক্ত ফরমাল ড্রেস নির্বাচনে মনোযোগী হবেন।

ছেলেদের ড্রেসঃ

শার্ট: সাদা ফুল শার্ট। সাদার উপরে যেকোন স্ট্রাইপ হলেও চলবে। অন্য রঙের মানানসই শার্টও পরতে পারেন। শার্টে একটি পকেট থাকলে ভালো হয়। পকেটে একটি কলম রাখবেন। টাই পরতে পারেন।

প্যান্ট: কালো রঙের ফরমাল প্যান্ট পরিধান করুন।

হাত ঘড়ি,বেল্ট ও জুতা: চামড়ার ফিতার ফরমাল হাত ঘড়ি,জুতা ও প্যান্টের সাথে ম্যাচ করে কালো রঙের চামড়ার বেল্ট পরিধান করুন। কাল রঙের,রাবারের সোলযুক্ত ফরমাল সু পরিধান করবেন।

পাঞ্জাবি-পায়জামা: যারা পাঞ্জাবি-পায়জামা পরেন তারা সাদা রঙের পায়জামা – পাঞ্জাবি পরতে পারেন।

*ভাইবার ৫-৬ দিন আগে চুল কাটিয়ে নিন।
*ভাইবার ২-১ দিন আগে নখ ছোট করে নিন।
*ভাইবার আগের দিন/ভাইবার দিন সকালে শেভ করে নিন।

মেয়েদের ড্রেসঃ
মার্জিত রঙের শাড়ি পরিধান করতে পারেন। তবে শাড়ি যেন অতিমাত্রায় কারুকার্যমন্ডিত ও চকমকে না হয় সেদিকটা খেয়াল রাখুন। আপনি চাইলে সালোয়ার কামিজও পরিধান করতে পারেন। তবে তা যেন মার্জিত রং ও ডিজাইনের হয় সেদিকটা বিবেচনায় রাখুন।অর্থাৎ, আপনি শাড়ি কিংবা সালোয়ার কামিজ যেটাই পরেন তা ম্যাচিং করে পরিধান করুন।তবে নিয়োগের ভাইবা সাধারণত শাড়ি পরার পরামর্শ রইল।

*মার্জিত মাপের কানেরর দুল এবং চেইন পরিধান করবেন।
*চুল বেনী করে রাখুন।
*পায়ের জুতা, শাড়ি/স্যালোয়ার কামিজের সাথে ম্যাচিং করে পরিধান করুন। তবে হাই হিল না পরাই ভালো।
*হালকা মেক-আপ এবং মার্জিত রঙের হালকা লিপস্টিক নিতে পারেন।

ভাইভার সময় সাথে একটি কলম রাখুন।

পরীক্ষার দিনের পূর্ব প্রস্তুতিঃ
১.নির্ধারিত সময়ের বেশ আগেই প্রস্তুতি সেরে ফেলতে হবে।
২.যেসব কাগজপত্র বোর্ডের সামনে পেশ করতে হবে সেগুলো, প্রবেশপত্র(রিটেনেরটা), সকল সর্টিফিকেটের মূলকপি এবং মার্কশীট এবং অন্যান্য কাগজপত্র যেমন এনআইডি, নাগরিক সনদ সহ সবকিছুর মূলকপি ও ফটোকপি এবং নিজের ছবি পূর্বেই গুছিয়ে একটি ফাইলে রাখুন।
৩. ইংরেজিতে একটা কথা আছে, “First impression is the last impression.” অর্থাৎ প্রথম দেখার ধারণা চিরস্থায়ী। তাই খুবই পরিপাটি হয়ে বোর্ডে উপস্থিত হবেন।
৪. নির্দিষ্ট সময়ের অন্তত এক ঘন্টা আগে বোর্ডে পৌছাবেন।
৫. আপনার সিরিয়াল পরে থাকলে যাদের ভাইবা হয়ে যাবে তাদের কাছ থেকে অনুভূতি শুনতে পারেন। তবে আপনার কাছে কোন প্রশ্ন কঠিন মনে হলে  বিচলিত হবেন না। কারণ আপনার কাছে ওই প্রশ্ন নাও জানতে চাইতে পারে। তবে অন্য কেউ পারলে জেনে নিতে পারেন।

ভাইবা বোর্ডে করণীয়ঃ

১. দরজা খুলে (আস্তে শব্দ যেন না হয়) মাথাটা একটু ভিতরে ঢুকিয়ে বলবেন, আসতে পারি স্যার। একটু সামনে যেয়ে থেমে নমস্কার/সালাম দিবেন। তারপর সামনে গিয়ে চেয়ারের পাশে দাড়াবেন। বসতে বললে ধন্যবাদ দিয়ে বসবেন। খেয়াল রাখবেন চেয়ারে যেন শব্দ না হয়।
২. যে স্যার প্রশ্ন করবেন তার দিকে তাকিয়ে চোখে চোখ রেখে উত্তর দিবেন। কথা বলার সময় হাত-পা নাড়াবেন না। অন্য কোন মুদ্রাদোষ থাকলে পরিহার করবেন। টেবিলের উপর হাত রাখবেন না।
৩. কথা বলার সময় আঞ্চলিকতা পরিহার করবেন।
৪. ঘাবড়াবেন না, রাগবেন না, বিরক্তি প্রকাশ করবেন না, তর্ক করবেন না, নার্ভাসনেস দেখাবেন না।
৫. জানা না থাকলে স্মার্টলি হাসিমুখে সরি স্যার,জানা নেই বলুন বা বলুন এই মূহুর্তে মনে পড়ছে না স্যার।
৬. আপনি বিনয়ের অবতার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করুন। দেখবেন আপনি যদি কিছু নাও পারেন বোর্ড আপনাকে হতাশ করবে না।
৭. নাচ, গান, আবৃত্তি, অভিনয় এগুলোতে আপনার দক্ষতা না থাকলে বলবেন পারি না স্যার। তবে আপনি পারেন এমন কোনো কিছুর কথা স্মার্টলি বলবেন।
৮. আপনার ভাইবা শেষ হলে আপনাকে আসতে বললে উঠে দাড়িয়ে সালাম/নমস্কার দিয়ে সার্টিফিকেটগুলো নিয়ে চলে আসবেন।

এবার আসা যাক ভাইভায় কি ধরনের প্রশ্ন হতে পারে। ভাইভায় সাধারণত দুই ধরণের প্রশ্ন হয় জেনারেল ও ডিপার্টমেন্টাল। যেমনঃ

জেনারেল প্রশ্ন যেমন হতে পারেঃ
১। আপনার নিজের সম্পর্কে ৫ মিনিট বলুন।
২। ইংরেজিতে আপনার নিজের সম্পর্কে বলুন।
৩। আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু সমালোচনা করুন।
৪। আপনার নিজ জেলার নাম কি? নিজের জেলা সম্পর্কে ১মিনিট বলুন।
৫। আপনার জেলার বিখ্যাত কয়েকজন লোকের নাম বলুন। তারা কেন বিখ্যাত?
৬। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যা জানেন বলেন।
৭। আপনার পরিবার সম্পর্কে বলুন।
৮। বলুন আমরা আপনাকে কেন এই চাকরিটা দিব?
৯। আপনি বিয়ে করেছেন কিনা? কেন করেননি/কেন করেছেন?
১০। বিবাহ সম্পর্কে আপনার চিন্তাভাবনা কি?
১১। আপনার আরো পড়াশুনা করার কোন ইচ্ছা আছে কি না?
১২। কেন আর পড়াশুনার ইচ্ছা নেই?
১৩। এর আগে কোথায় জব করেছেন সেখানে কি ধরনের কাজ করতেন?
১৪। আপনি বর্তমানে যেখানে কাজ করছেন সেখানকার কাজের পরিবেশ ও আপনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কিছু বলুন। সেখান থেকে চলে যেতে চাচ্ছেন কেন?
১৫। আপনার সিভি দেখে মনে হচ্ছে আপনি এর আগে অনেকগুলি জব করে ছেড়ে দিয়েছেন! কি ব্যাপার বলুনতো? জবের মাঝখানে গ্যাপ কেন?
১৬। আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী কত Salary আশা করেন?
১৭। —- এর থেকে কম Salary দেয়া হলে এখানে যোগদান করবেন?
১৮। আপনি কোন ইউনিভার্সিটি/কলেজ থেকে পাশ করেছেন? সাবজেক্ট কি ছিল? থিসিস কি ছিল?
১৯। আপনার কোন পাবলিকেশন আছে? কেন কোন পাবলিকেশনে অংশ নেননি?
২০। কম্পিউটারে আপনি দক্ষ কেমন? কি কি পারেন?
২১। আজ বাংলা কত তারিখ?
২২। এখানে যখন যেখানে প্রয়োজন সেখানে কাজ করতে হবে আপনি কি তাতে রাজি?
২৩। এই —টা কার? এটা টেবিলের উপরে রেখেছেন কেন?
২৪। এক্সেলের একটি ওয়ার্কশীট তৈরি করে তার এভারেজ, মিনিমাম, ম্যাক্সিমাম ভ্যালু বের করে দেখান। একটি নতুন সারি/কলাম ঢুকাতে কি করবেন?
২৫। বাংলা টাইপ পারেন? ইংরেজি ও বাংলায় আপনার টাইপিং স্পিড কত?
২৬। আপনি কি ফেসবুক ব্যবহার করেন? কেন?
২৭। আমাদের এই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কি জানেন?
২৮। আপনার নামের অর্থ কি জানেন?
২৯। আপনার প্রিয় শখ কি?
৩০। এই পোস্টের জন্য আপনাকে কেন আমাদের পছন্দ করা উচিত?

ডিপার্টমেন্ট এর প্রশ্ন যেমন হতে পারেঃ
1. পাওয়ার ফ্যাক্টর কি?
2. পাওয়ার ফ্যাক্টর বেশী হলে ভাল না কম হলে ভাল?
3. পাওয়ার ফ্যাক্টর ইমপ্রুভমেন্টে কেন করি?
4. ভোল্টেজ এবং কারেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি?
5. পিএলসি কি? কেন পিএলসি ব্যাবহার করি?
6. সার্ভো ড্রাইভ মোটর কি?
7. সার্কিট ব্রেকারে আগুন লাগলে কিভাবে নিভাবেন?
8. একটি কক্ষে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগলে আপনি প্রথমে কি করবেন?
9. সাধারণত পিটির সেকেন্ডারি ভোল্টেজ কত হয়?
10. একটি সিটির রেশিও বলুন।
11. আমরা সিটি/পিটি কেন ব্যবহার করি?
12. রিলে কি? কেন ব্যবহার করি? একটি ব্যবহার খেত্র বলেন।
13. বাংলাদেশে সর্বোচ্চ জেনারেশন ভোল্টেজ কত?
14. বাংলাদেশে পাওয়ার সিস্টেমে কোথায় কত ভোল্টেজ?
15. পিজিসিবি, ইজিসিবি, ডিপিডিসি এর কাজ কি?
16. ইন্ডাকশন মোটরে স্টার/ডেল্টা চালু পদ্ধতি কেন ব্যবহার করা হয়?
17. কোন সিম্বল ছাড়া একটি অ্যামমিটার, একটি ভোল্টমিটার দেয়া হল কোনটি অ্যামমিটার/ভোল্টমিটার বাহির করতে পারবেন? কিভাবে?
18. আর্থিং ও নিউট্রাল কি?
19. কতগুলি রেজিস্টর হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলতে পারে মাল্টিমিটার ছাড়া এগুলির মান বের করে দেখান। কি পারবেন না?
20. মাইক্রোকন্ট্রোলার ও মাইক্রোপ্রসেসর এর মধ্যে পার্থক্য কি?
21. AVR কি? এটি কিভাবে কাজ করে সংক্ষেপে বলেন?
22. ৪ টি ১২ ভোল্ট এর ব্যাটারি দিয়ে ২৪ ভোল্ট করতে চাইলে, ডায়াগ্রাম একে দেখান।
23. ফুল চার্জে ব্যাটারির ইলেক্ট্রোলাইট এর স্পেসিফিক গ্রাভিটি কত থাকে?
24. ১ হর্স পাওয়ার সমান কত ওয়াট?
25. সিঙ্গেল ফেজ ভোল্টেজ ২৩০ ভোল্ট হলে কেন লাইন ভোল্টেজ ৪০০ ভোল্ট হয়?
26. ট্রান্সমিশন লাইনে স্যাগের কি প্রভাব?
27. কখন একটি সার্কিটে ইম্পিড্যান্স রেজিস্ট্যান্সের সমান হবে?
28. পোলারিটি আর নন পোলারিটি ক্যাপাসিটরের মধ্যে পার্থক্য কি?
29. একটি ৩-ফেজ মোটরকে রিভার্স ঘুরাবেন কিভাবে?
30. বুখলজ রিলে কেন ব্যবহার করা হয়?
31. ডিফারেন্সিয়াল প্রটেকশন কেন ব্যবহার করা হয়? কোথায় ব্যবহার করা হয়?
32. ট্রান্সফরমার শর্ট সার্কিট প্রটেকশনের জন্য কি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়?
33. কেন নিউট্রাল লাইনে শক লাগেনা?
34. তিন ফেজ মোটর স্টার্ট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টার্ট নেয় না গোঁ গোঁ শব্দ করে, সম্ভাব্য তিনটি কারন বলেন।
35. IEEE কি?
36. সেন্সর ও ট্রান্সডিউসারের মধ্যে পার্থক্য কি?
37. CFL এর পূর্ন নাম কি?
38. AWG/SWG কি?
39. সিঙ্গেল ফেজ মেটর বা ফ্যান চালু করতে ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয় কেন?
40. ট্রান্সফরমার এর তেলের নাম কী?
41. একটি ডেল্টা -স্টার সংযুক্ত ট্রান্সফরমারের সেকেন্ডারিতে পাওয়ার, প্রাইমারি থেকে কত গুন কম বা বেশি হবে?
42. ফেজ সিকুয়েন্স কি?
43. ইনভার্টার দ্বারা কি করা হয়?
44. ইন্সুলেশন রেজিস্ট্যান্স কি মিটার দ্বারা মাপা হয়?
45. ট্রান্সফরমার হামিং কেন হয়?
46. বাসার সকল লোড অফে থাকা সত্বেও মিটার ঘুরে। কোথায় সমস্যা হতে পারে?
47. থ্রি-পিন প্লাগে আর্থ বা গ্রাউন্ড পিনটি বাকী দুইটি পিনের চেয়ে লম্বা থাকে কেন?
48. ট্রান্সফরমারের বারডেন কি?
49. সিস্টেম লস কি?
50. একটি রিলেতে NO/NC বলতে কি বুঝেন?
51. একই কন্ডাক্টরে যথাক্রমে AC ও DC ব্যবস্থায় ভোল্টেজ প্রেরন করলে লাইন রেজিস্ট্যান্স কোনটায় বেশি হবে?
52. IPP কি?
53. বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পাওয়ার প্ল্যান্ট কোনটি?
54. কোল জেনারেশন পাওয়ার প্লান্টে কিভাবে কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়?
55. প্রাইম মুভার কি?
56. ভোল্টেজ কি?
57. ওহমের সূত্রটি বলেন।
58. ট্রানজিয়েট কি?
59. এক্সাইটার কোথায় এবং কেন ব্যবহার করা হয়?
60. মোবাইল চার্জারে AC না DC কোনটি ব্যবহার হয়?
61. AutoCAD 2D & 3D এর কাজ পারেন ?
62.ট্রান্সমিশন লাইনের ভোল্টেজ বেশি হওয়ার বা কম হওয়ার কারন কি?
63. ভোল্টেজ বেশি কম হলে কিভাবে ভোল্টেজ লেভেল ঠিক করা যায়?
64. 400 ভোল্টের জন্য কতো kw  লোড পর্যন্ত পারমিট, 11kV এর জন্য কত kw আর ৩৩kv এর জন্য কত kw লোড পর্যন্ত পারমিট?
65. বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে ব্যবহৃত ইকুইপমেন্ট কি কি?
66. ক্যাপাসিটর ব্যাংক এর কাজ কি?
67. পাশাপাশি ডিস্ট্রিবিউশন ও গ্রিড সাবস্টেশান থাকলে; ডিস্ট্রিবিউশন সাবস্টেশান চেনার উপায় কি?
68. সিস্টেম লস কয়টি?
69. সবচেয়ে ভালো অর্থনৈতিক পাওয়ার ফ্যাক্টরের মানে কি?
70. পাওয়ার ফ্যাক্টরের মান কমে গেলে কি হয়?
71. কনজাম্পশন লস কি?
72. সিস্টেম লস কি?
73. বিলিং লস কি?
74. অকারগরি লস কোথায় বেশি দেখা যায়?
75. পরিবহন লস কিভাবে কমানো যায়?
76. কারিগরি সিস্টেম লস কি কি?
77. কালেকশন লস কি?
78. ভাল সুইচগিয়ারের বৈশিষ্ট্য গুলি কী কী?
79. সুইচগিয়ার কাকে বলে?
80. বৈদ্যুতিক ফল্ট বলতে কী বুঝ?
81. সিমেট্রিকাল ফল্ট কি?
82. আনসিমিট্রিকাল ফল্ট কি?
83. বৈদ্যুতিক সিস্টেমে ফল্ট সংঘটিত হওয়ার কারন কী
84. সাবট্রানজিয়েন্ট কারেন্ট কী?
85. বাসবার কী?
86. সাব-স্টেশন কাকে বলে?
87. পাওয়ার লাইন ক্যারিয়ার (PLC) কি?
88. Q-ফ্যাক্টর কি?
89. লোড ফ্যাক্টর কি?
90. প্লান্ট ফ্যাক্টর কি?
91. ডিমান্ড ফ্যাক্টর কি?
92. ফরম ফ্যাক্টর কি?
93. পিক ফ্যাক্টর কি?
94. স্কিন ইফেক্ট কি?
95. করোনা ইফেক্ট কি?
96. প্রক্সিমিটি ইফেক্ট কি?
97. ফ্যারান্টি ইফেক্ট কি?
98. ডি.সি মোটর কী?
99. ব্যাক ই. এম. এফ কী?
100. টর্ক কাকে বলে?
101. ডি.সি মোটর কত প্রকার ও কী কী?
102. ডি.সি মোটরের গতি নিয়ন্ত্রন করা যায়?
103. ডি.সি মোটরে স্টারটিং কারেন্ট এর মান উচ্চ কেন?
104. ডি.সি মোটর এ স্টারটিং এর বেলায় স্টারটার ব্যাবহার এর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখা কর?
105. অল্টানেটর বলতে কী বুঝ?
106. ভোল্টেজ রেগুলেশন কখন ধনাত্মক হয়?
107. এক্সাইটার কাকে বলে?
108. কয়েল পিচ কী?
109. পাইলট এক্সাইটার বলতে কী বুঝায়?
110. অল্টারনেটর কে সিনক্রোনাস জেনারেটর বলা হয় কেন?
111. নন -স্যালিয়ান্ট পোল রোটর কোথায় ব্যাবহার করা হয়?
112. ফুল পিচ ওয়াইন্ডীং বলতে কী বুঝ?
113. পোল পিচ কী?
114. অল্টারনেটর এর প্রধান লস কোনগুলি?
115. ACCC, ACSR কী?

এছাড়াও পাওয়ার সেক্টর সম্পর্কিত নতুন তথ্য গুলো সংগ্রহ করে পড়তে হবে।

লেখাটির কিছু অংশ অন্য জায়গা থেকে সংগৃহীত করে পরিমার্জিত করা হয়েছে। তাই তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

পরিশেষে বলতে চাই যারা ভাইবা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন এবং উপরে বর্ণিত পড়ার পরিধি যাদের কাছে বোঝা মনে হচ্ছে তাদের জন্য আমার আশার বাণী হলো আপনি কিছু না পড়লেও ভাইবাতে পাশ করবেন যদি মারাত্মক কোনো বেয়াদবি না করেন। কারণ আপনি পারবেন না এমন প্রশ্ন খুব কমই জিজ্ঞাসা করা হবে। কারণ ভাইভায় আপনার নাম- পরিচয় এর বাইরে আপনার একাডেমিক জ্ঞান যাচাই করবে, তবে ভাইবায় ভালো করলে জব পাওয়ার পসিবিলিটি বাড়বে এটা একটা ব্যাপার।

তাই একটু পড়ালেখা করাই ভালো হবে। সর্বোপরি আল্লাহর প্রার্থনা করুন, আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন, ইতিবাচকভাবে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করুন জবটা আপনার হবে।দেখবেন ভাইবা আপনার এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে। সবসময় একটা কথা মনে রাখবেন কিছু পাবার চেষ্টা করলে আল্লাহ আপনাকে তা পাইয়ে শুধু থাকতে হবে আপনার ইচ্ছা, একাগ্রতা ও অধ্যবসায়।

মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২

চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নতুন ওয়েবসাইট নিয়ে এলো গুগল

চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নতুন ওয়েবসাইট নিয়ে এলো গুগল

চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নতুন ওয়েবসাইট নিয়ে এলো গুগল

ইন্টারভিউ ওয়ার্মআপ

https://grow.google/certificates/interview-warmup/

 নামে নতুন ওয়েবসাইট নিয়ে এসেছে সার্চ ইঞ্জিন গুগল। মূলত চাকরির সাক্ষাত্কারের জন্য প্রার্থীদের প্রস্তুতি গ্রহণে এটি চালু করা হয়েছে। 

প্রতিষ্ঠানটি মেশিন লার্নিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। ফলে ওয়েবসাইটটি থেকে প্রার্থীরা সাক্ষাত্কারের জন্য সহজ নির্দেশনা পাওয়ার মাধ্যমে চাকরির জন্য নিজেদের তৈরি করতে পারবে।

একজন ব্যবহারকারী যখন ওয়েবসাইটে অনুশীলন শুরুর বাটনে ক্লিক করবে, তখন গুগল মোট ছয়টি ক্যাটাগরিযুক্ত একটি পেজ দেখাবে। সেখান থেকে ব্যবহারকারী তার পছন্দের ক্যাটাগরি নির্বাচন করবে। একবার নির্বাচনের পর ব্যবহারকারীকে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়ে গেলে গুগলের পক্ষ থেকে উত্তরগুলো মূল্যায়ন করা হবে এবং ইনসাইট দেখানো হবে। ব্যবহারকারী চাইলে একবারে সব প্রশ্নের উত্তর দেখতে পারবে।

কপি-পেস্ট ফিচার যুক্ত হলো গুগল ড্রাইভে

কপি-পেস্ট ফিচার যুক্ত হলো গুগল ড্রাইভে কপি-পেস্ট ফিচার যুক্ত হলো গুগল ড্রাইভে

গুগল ড্রাইভে নতুন আপডেট এসেছে। যুক্ত হলো কাট, কপি ও পেস্ট ফিচার। ফলে এখন থেকে কি-বোর্ড কমান্ডের মাধ্যমে এ ফিচারগুলো ব্যবহার করা যাবে। 

গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীরা এই নতুন ফিচারটির সুবিধা পাবেন। ড্রাইভের ব্যবহারকারীরা বর্তমানে কন্ট্রোল বা কমান্ড কি-এর সঙ্গে সি, এক্স ও ভি বাটন চেপে কপি, কাট বা পেস্টের মাধ্যমে তাদের ফাইল স্থানান্তর করতে পারবেন। আগামী ৪ জুন থেকে ফিচারটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ফিচারটি যুক্ত করার দিক থেকে গুগল পিছিয়ে থাকলেও সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্টটি জানায়, ফিচারটি পরিপূর্ণভাবে কার্যকর থাকবে। ফিচারটি বেসিক শর্টকাটে যুক্ত করা হবে। তবে অন্যান্য ট্যাবেও এটি কাজ করবে।

ব্যবহারকারী যদি কোনো ফাইল কপি করেন এবং ই-মেইল বা গুগল ডকে সেটি পেস্ট করতে চান তাহলে সেখানে ফাইলের শিরোনাম ও লিংক যুক্ত হয়ে যাবে। গুগল ড্রাইভের স্টোরেজে একই ফাইলের দুটি সংস্করণ রাখতে না চাইলে ব্যবহারকারীরা সহজেই শর্টকাট পেস্ট করতে পারবেন। 

ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটা থেকে সরে দাঁড়ালেন শেরিল স্যান্ডবার্গ

ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটা থেকে সরে দাঁড়ালেন শেরিল স্যান্ডবার্গ

ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটা থেকে সরে দাঁড়ালেন শেরিল স্যান্ডবার্গ

শেরিল স্যান্ডবার্গ-মার্ক জাকারবার্গ

ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তার পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন শেরিল স্যান্ডবার্গ। ২০০৮ সালে তিনি ফেসবুকে যোগদান করেন। সম্প্রতি ফেসবুকের মূল কোম্পানির নাম পাল্টে রাখা হয় মেটা। ১৪ বছর শেরিল ফেসবুকের নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকায় ছিলেন।

বৃহস্পতিবার ফেসবুকে শেরিল মেটার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। মেটার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তার পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও শেরিল পরিচালক পর্ষদে থাকবেন বলে জানা গেছে। শেরিল জানিয়েছেন, তিনি মানুষের কল্যাণে বেশি সময় দিতে চান। 

মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ শেরিলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ফেসবুকে জাকারবার্গ লিখেছেন, একটি যুগের অবসান হলো। ২০০৮ সালে শেরিল যখন ফেসবুকে যোগদান করে তখন আমার বয়স মাত্র ২৩ বছর। কোম্পানি কীভাবে চালাতে হয় আমার ধারণাই ছিল না। ফেসবুককে ছোট স্টার্টআপ থেকে সত্যিকারের সংস্থায় পরিণত করতে সংগ্রাম করছিলাম। শেরিল আমাদের বিজ্ঞাপন ব্যবসার রূপরেখা তৈরি করেছিল। গুণী লোকদের নিয়োগ দিয়েছে, কোম্পানি কীভাবে চালাতে হয় শিখিয়েছে। সারা বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের জন্য সে সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আজকে মেটা যে পর্যায়ে দাঁড়িয়ে তার জন্য শেরিল কৃতিত্বের দাবিদার।

স্মার্টফোনে ভাইরাস আছে কিনা যেভাবে বুঝবেন

স্মার্টফোনে ভাইরাস আছে কিনা যেভাবে বুঝবস্মার্টফোনে ভাইরাস আছে কিনা যেভাবে বুঝবেন

প্রতীকী ছবি

দৈনন্দিন ব্যবহারে যেকোনো সময় ভাইরাসের শিকার হতে পারে আপনার স্মার্টফোনটি। প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি দিনের বেশিরভাগ সময়ই ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত থাকে। যার কারণে মোবাইল ফোনটি সহজেই ভাইরাসে প্রভাবিত হতে পারে।

ফোনে ভাইরাস আছে কি না তা জানা অত্যন্ত জরুরি। কারণ ইতিমধ্যে মোবাইলটি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ব্যক্তিগত অনেক তথ্যই আপনার অজান্তে চলে যেতে পারে হ্যাকারদের হাতে। বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলো ভাইরাস বা ম্যালওয়্যারের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ব্যক্তিগত তথ্য ও মোবাইল ফোনকে সুরক্ষিত রাখতে আগে থেকেই জেনে নিন ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আপনার মোবাইলে ঠিক কী কী সমস্যা দেখা দিতে শুরু করবে।

১. ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথমেই আপনার মোবাইল ফোনে যে অসঙ্গতি দেখা দেবে তাহলো স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ডাটা বা ইন্টারনেট প্যাক খরচ হওয়া।

২. হোম স্ক্রিন বার বার বদলে যাওয়া ফোন ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একটি লক্ষণ।

৩. ফোনের ব্যাটারি খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হলে বুঝবেন আপনার ফোনটি ভাইরাসে আক্রান্ত।

৪. অনেক ফোনে সন্দেহজনক বিজ্ঞাপন আসা শুরু হয়। বার বার এই ধরনের বিজ্ঞাপন আপনার কাজে বাধা দিতে শুরু করে।

৫. একই অসঙ্গতি মোবাইলে বার বার লক্ষ্য করলে এটিও ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একটি লক্ষণ হতে পারে।

৬. প্রয়োজনীয় কাজ করার সময় ফোনের স্বাভাবিক গতি আর পাবেন না। প্রায়ই ফোন হ্যাং সমস্যায় ভুগতে শুরু করবে।

ফোনে এমন সমস্যা দেখা দিলে ভাইরাস ঠেকাতে আপনি কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন। যেমন-

১. যদি মোবাইলে কোনো নতুন অ্যাপ ইনস্টল করে থাকেন তবে তা ভাইরাস ফাইন্ডিং অ্যাপ দিয়ে দ্রুত চেক করুন। যদি চেক করার পর তা লাল রং দেখাতে থাকে তবে অ্যাপ আনইনস্টল করুন। এরপর ফোনের সেটিংস থেকে আপনার ব্রাউজার ক্যাশ পরিষ্কার করুন। নিয়মিত অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপসের মাধ্যমে মোবাইল স্ক্যানিং করুন। ব্যবহৃত সফটওয়্যার আপডেট করুন। ফোনের গতি বাড়াতে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস ও ছবি মোবাইল থেকে ডিলিট করুন।

যদি তারপরও মোবাইলে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যাগুলো লক্ষ্য করেন তবে ব্যাটারি ড্রেন ঠিক করতে ও মেরামত করতে ফ্যাক্টরি রিসেট করুন। তবে এই কাজটি করার আগে অবশ্যই আপনার মোবাইলের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো ব্যাক আপ করে নেবেন। তা না হলে রিসেট করার কারণে এই প্রয়োজনীয় ফাইল আপনি আর খুঁজে পাবেন না।