শান্তির ঘুম!
🌼
"আমি অনেক মানুষ দেখেছি যাদের শরীরে কোন পোশাক নেই, আমি অনেক পোশাক দেখেছি যেগুলোর ভিতর কোন মানুষ নেই!!
IT IS HOT NEWS. Some information and news unknown to everyone. Which is only possible in F S S T S T L. SO keeps watching and keeps telling others.
শান্তির ঘুম!
🌼
"আমি অনেক মানুষ দেখেছি যাদের শরীরে কোন পোশাক নেই, আমি অনেক পোশাক দেখেছি যেগুলোর ভিতর কোন মানুষ নেই!!
সাহাবাদের ২৫ টি প্রশ্ন এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উত্তর
১. প্রশ্নঃ আমি ধনী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, অল্পতুষ্টি অবলম্বন কর; ধনী হয়ে যাবে।
২. প্রশ্নঃ আমি সবচেয়ে বড় আলেম (ইসলামী জ্ঞানের অধিকারী) হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, তাক্বওয়া (আল্লাহ্ ভীরুতা) অবলম্বন কর, আলেম হয়ে যাবে।
৩. প্রশ্নঃ সম্মানী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সৃষ্টির কাছে চাওয়া বন্ধ কর; সম্মানী হয়ে যাবে।
৪. প্রশ্নঃ ভাল মানুষ হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, মানুষের উপকার কর।
৫. প্রশ্নঃ ন্যায়পরায়ণ হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যা নিজের জন্য পছন্দ কর; তা অন্যের জন্যেও পছন্দ কর
৬. প্রশ্নঃ শক্তিশালী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, আল্লাহর উপর ভরসা কর।
৭. প্রশ্নঃ আল্লাহর দরবারে বিশেষ মর্যাদার অধিকরী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, বেশী বেশী আল্লাহকে স্মরণ (জিকির) কর।
৮. প্রশ্নঃ রিযিকের প্রশস্ততা চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সর্বদা অযু অবস্থায় থাকো।
৯. প্রশ্নঃ আল্লাহর কাছে সমস্ত দোয়া কবুলের আশা করি!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, হারাম খাবার হতে বিরত থাকো।
১০. প্রশ্নঃ ঈমানে পূর্ণতা কামনা করি!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, চরিত্রবান হও ৷
১১. প্রশ্নঃ কেয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে গুনামুক্ত হয়ে সাক্ষাৎ করতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, জানাবত তথা গোসল ফরজ হওয়ার সাথে সাথে গোসল করে নাও।
১২. প্রশ্নঃ গুনাহ্ কিভাবে কমে যাবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, বেশী বেশী ইস্তেগফার (আল্লাহর নিকট কৃত গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা) কর।
১৩. প্রশ্নঃ কেয়ামত দিবসে আলোতে থাকতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, জুলুম করা ছেড়ে দাও।
১৪. প্রশ্নঃ আল্লাহ্ তা’য়ালার অনুগ্রহ কামনা করি!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, আল্লাহর বান্দাদের উপর দয়া-অনুগ্রহ কর।
১৫. প্রশ্নঃ আমি চাই আল্লাহ্ তা’য়ালা আমার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, অন্যের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখ।
১৬. প্রশ্নঃ অপমানিত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যিনা (ব্যভিচার) থেকে বেঁচে থাকো।
১৭. প্রশ্নঃ আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাঃ) এর নিকট প্রিয় হতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের (সাঃ) এর নিকট পছন্দনীয় তা নিজের জন্য প্রিয় বানিয়ে নাও।
১৮. প্রশ্নঃ আল্লাহর একান্ত অনুগত হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, ফরজ সমূহকে গুরুত্বের সহিত আদায় কর।
১৯. প্রশ্নঃ ইহ্সান সম্পাদনকারী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, এমন ভাবে আল্লাহর এবাদত কর যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ অথবা তিনি তোমাকে দেখছেন।
২০. প্রশ্নঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! (সাঃ) কোন বস্তু গুনাহ্ মাফে সহায়তা করবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন,
ক) কান্না। (আল্লাহর নিকট, কৃত গুনাহের জন্য)
খ) বিনয়।
গ) অসুস্থতা।
২১. প্রশ্নঃ কোন জিনিষ দোযখের ভয়াবহ আগুনকে শীতল করবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, দুনিয়ার মুছিবত সমূহ।
২২. প্রশ্নঃ কোন কাজ আল্লাহর ক্রোধ ঠান্ডা করবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, গোপন দান এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা।
২৩. প্রশ্নঃ সবচাইতে নিকৃষ্ট কি?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, দুশ্চরিত্র এবং কৃপণতা।
২৪. প্রশ্নঃ সবচাইতে উৎকৃষ্ট কি?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সচ্চরিত্র, বিনয় এবং ধৈর্য্য।
২৫. প্রশ্নঃ আল্লাহর ক্রোধ থেকে বাঁচার উপায় কি?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, মানুষের উপর রাগান্বিত হওয়া পরিহার কর।
আল্লাহ্ তা’য়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন…।
যৌবন ধরে রাখতে চাইলে যে খাবার গুলো খাওয়া উচিত ছেলেদের ?
যৌবন ধরে রাখতে আমরা কি না করি। সকলেই চায় আজীবন যৌবন ধরে রাখতে। সুস্থ-সবল থাকতে এবং তারুণ্য ও যৌবন ধরে রাখতে হলে পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই।
নিজেদের সুস্থ-সবল রাখতে পুষ্টিকর জাতীয় খাবারের দিকে নজর দেয়া দরকার। কিছু কিছু খাবার আছে যা নিয়ম মেনে খেলে আপনার যৌবন থাকবে আজীবন। চলুন জেনে নেয়া যাক, যৌবন ধরে রাখবে যে ১৫টি খাবার।
যৌবন ধরে রাখবে যে ১৫টি খাবার:
১. দই:
দই আমাদের অনেকের পছন্দের একটি খাবার। দই মেদ বা ভুড়ি ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। সেইসাথে যারা যৌবন ধরে রাখবেন তারা নিয়মিত দই খাবেন। দই এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম আছে যা শরীরের গঠন ভালো রাখে এবং হাড়ের ক্ষয়-রোধ করতে সাহায্য করে।
বয়সজনিত রোগগুলো প্রতিরোধে দই সহায়তা করে। এছাড়া দই ত্বককে দাগমুক্ত রাখে। তাই যৌবন ধরে রাখতে হলে নিয়মিত দই খাবেন।
২. সামুদ্রিক মাছ:
যৌবন ধরে রাখতে সামুদ্রিক মাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দীর্ঘ দিন যৌবন ধরে রাখতে হলে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় লাল মাংস পরিবর্তে সামুদ্রিক মাছ রাখুন। সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে এবং যৌবন ধরে রাখবে দীর্ঘ দিন।
৩. পালং শাক:
পালং শাক মধ্যে প্রচুর পরিমাণে লুটেইন রয়েছে, যা শরীরের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ এবং যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন পালং শাক খাওয়ার ফলে ত্বক ও চোখের বয়সজনিত সমস্যা কমে যায়। পাশাপাশি পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকায় শরীরের নানা রকম অসুবিধা দূর করে এবং শরীরে পুষ্টি ও শক্তির যোগায়।
৪. কলা:
কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, বি ও সি এবং পটাশিয়াম। পটাশিয়ামের অভাবে ত্বক রুক্ষতার মতো হয়, কলা পটাশিয়ামের অভাব পূরণ করে দেয় এবং ত্বক রুক্ষতা দূর হয়ে যায়।
কলা ভিটামিন-বি ও পটাশিয়াম মানবদেহের যৌনরস উৎপাদন বৃদ্ধি করে। সেই সাথে কলায় রয়েছে ব্রোমেলিয়ানও যা শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৫. আমলা:
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় আমলাকে পুরুষের শারীরিক সক্ষমতা মন্ত্র হিসেবে বলা হয়। পুরুষের শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে আমলা দারুণ কার্যকর।
৬. ফলমূল:
ফলমুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা শরীরের পুষ্টি জোগায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যৌবন ধরে রাখতে হলে নিয়মিত ফলমুল খাবেন।
৭. সবুজ শাক-সবজি:
সবুজ শাক-সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা শরীরের চাহিদা মেটার পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সবুজ শাকসবজি খেলে আপনার যৌবন থাকবে তর তাজা।
৮. কমলালেবু:
শরীরের জন্য কমলালেবু খুবই উপকারী। কারণ কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে। ত্বক টানটান ও উজ্জ্বল রাখতে কমলালেবু সহায়তা করে।
৯. অলিভ অয়েল:
অলিভ অয়েল আপনার যৌবনকে ধরে রাখতে সহায়তা করে। রান্নার মধ্যে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে শরীরের মধ্যে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায় এবং শরীরে মেদ জমে না। পাশাপাশি দৈনিক ঘুমানোর আগে ত্বকে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করলে ত্বকের বলিরেখা পরে না সহজেই। ফলে দীর্ঘ দিন যৌবন ধরে রাখতে সহায়তা করে।
১০. ডার্ক চকলেট:
ডার্ক চকলেট যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। ডার্ক চকলেটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা শরীরের পুষ্টি জোগাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত ছোট এক টুকরা ডার্ক চকলেট খেলে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ যৌবন ধরে রাখতে পারবেন।
১১. স্ট্রবেরি:
স্ট্রবেরি আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কারণ- স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-সি থাকে। যা আপনার ত্বককে সতেজ রাখতে সহায়তা করে।
১২. রসুন:
রসুনে আছে এলিসিন নামক উপাদান ইন্দ্রিয় গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে তোলে। দৈহিক কোনো সমস্যা থাকলে রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
১৩. গাজর ও টমেটো:
গাজর ও টমেটো ত্বকের ও শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষত যৌবন ধরে রাখার ক্ষেত্রে এই সবজিগুলো খুবই উপকারী। গাজর ও টমেটোয় প্রচুর পরিমাণে ফাইটো-নিউট্রিয়েন্ট ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। পাশাপাশি রয়েছে বিটা ক্যারোটিন ও লুটেইন, যা শরীরের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।
১৪. আঙ্গুর:
যৌবন ধরে রাখতে আঙ্গুরের কোনো জুড়ি নেই। আঙ্গুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। আঙ্গুর প্রতিদিন খেলে ত্বক ও দেহ সুন্দর ও সুস্থ-সবল থাকে।
১৫. মিষ্টি কুমড়ার বিচি:
মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে প্রচুর পরিমাণে সাইটোস্টেরোল থাকে। মিষ্টি কুমড়ার বিচি পুরুষদের দেহের মধ্যে টেসটোস্টেরন হরমোনের ভারসাম্যতা রক্ষা করে। এটির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি এসিড পুরুষদের শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। পুরুষদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক মিষ্টি কুমড়ার বিচি।
সুতরাং, নিজেদর যৌবন ধরে রাখতে হলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার। উপরের খাবারগুলো আপনার যৌবনকে ধরে রাখবে আজীবন। তাই প্রতিনিয়ত পুষ্টিকর জাতীয় খাবার খান আর সর্বদা নিজেকে হাসি-খুশি মধ্যে রাখুন, চিন্তা-ভাবনা কোনোভাবেই ধারের কাছে ভিড়তে দেবেন না।
তোমার প্রশ্ন শুনেই বুঝেছি বিয়ের আগে তুমি আমার সেই জগৎখ্যাত ক্র্যাশ কোর্সটি করোনি। কত পিছিয়ে আছে এই দেশ ! এই ভুলগুলো যে কেন কর তোমরা ?
ঠিক আছে আমি অল্প করে , হালকা করে বলে দিচ্ছি । বিন পয়সায় বেশী উপায় বলা যাবে না।
উপায়গুলো ভীষণ সোজা। একদম সিম্পল । নিয়মবিধি গুলো যদি মেনে চল তাহলে তোমার সংসারে মৃদুমন্দ মলয় পবন বইবে সর্বক্ষণ ।
আমার এই পয়েন্টগুলো যদি তুমি মেনে চল তাহলে বৌয়ের মুখ ঝামটা শোনার তোমার প্রয়োজনই পড়বে না। তোমার সংসার সুখে সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে।
সেলসম্যানের কাজ করতেন কেএফসির মালিক কর্নেল স্যান্ডার্স
স্যান্ডার্সকে পুরো পৃথিবী চেনে তার কেএফসি রেস্টুরেন্ট ব্যবসার কারণে। কেএফসির পুরো নাম কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেন। কর্নেল হারল্যান্ড ডেভিড স্যান্ডার্স কেএফসি বা কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেনের প্রতিষ্ঠাতা। কেএফসি প্রতিষ্ঠার আগে যিনি জগতের এমন কোনো কাজ নেই যার সঙ্গে নিজেকে জড়াননি। খুব ছেলেবেলায় স্কুল থেকে ঝরে পড়েন ডেভিড। এরপর কাজ করেছেন ক্ষেতমজুরের, ট্রেনের ফায়ারম্যান, সেলসম্যান, আইনজীবী, গাড়ির টায়ার বিক্রেতা বা ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী হিসেবে। শুধু কি তাই? শখের বশে বেশ কিছুদিন ধাত্রী বিশারদের কাজও করেছেন। নাম লিখিয়েছিলেন রাজনীতিতেও। শেষমেশ তিনি নেমে পড়েন রেস্টুরেন্ট বিজনেসে। পাঁচ বছর বয়সে তার বাবা মারা গেলে মা পরে আবার বিয়ে করেন। সে সময় দরিদ্রতার কারণে তিনি গৃহহীন ছিলেন।
দরিদ্রতার কারণে খাবার কুড়িয়ে খেতে হয়েছে চার্লি চ্যাপলিনকে
শৈশব সম্পর্কে চার্লি চ্যাপলিন বলেন, যদি ভাগ্য সহায় না হতো, তাহলে আমি লন্ডনের পথে পথে চুরি করে বেড়াতাম। আর বেওয়ারিশ লাশ হয়ে কবরে যেতে হতো। মা ও ভাইয়ের সঙ্গে দক্ষিণ লন্ডনের একটি শহরে বিভিন্ন বাড়িতে ভাড়া থাকতেন চ্যাপলিন। ভাড়া দিতে না পারায় প্রায়ই তাদের বাসা থেকে বের করে দেওয়া হতো। এভাবে তাড়া খাওয়ার চাইতে চ্যাপলিন পার্কের বেঞ্চিতে ঘুমাতেই বেশি পছন্দ করতেন। চার্লি একটি মুদির দোকানেও কিছুদিন কাজ করেছিলেন। সেখানে কাজ চলে যাওয়ার পরে কাজ নিয়েছিলেন একটি ডাক্তারখানায়। সেখানেও কাজ চলে যাওয়ার পরে লোকের বাড়ির বাসন মাজার কাজে লেগে পড়েন চার্লি। এক কাচের কারখানা, রঙের দোকান, লোহার দোকান, ছাপাখানা, খেলনা কারখানা, কাঠচেরাই কল, কাগজ বিক্রি ইত্যাদি নানা কাজের মধ্যে তিনি যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন। বাল্যকাল কেটেছে তার অত্যন্ত দরিদ্রতার মধ্য দিয়ে। ফুটপাতে রাত কাটানো এমনকি পচা খাবার কুড়িয়েও খেতে হয়েছে তাকে। অবশ্য কর্মগুণে ও অভিনয় প্রতিভা দিয়ে তিনি মানুষের মন কেড়ে নেন। অর্থ ও সম্মান দুটিই কুড়ান।
বাড়ি না থাকায় পথে পথে ঘুরতে হয়েছিল হ্যালি বেরিকে
অভিনয় জীবনের দুই যুগেরও বেশি সময় পার করেছেন ‘বেরিনস্টার বল’ খ্যাত অস্কারজয়ী অভিনেত্রী হ্যালি বেরি। কৃষ্ণাঙ্গী এই অভিনেত্রী এখনো অভিনয়শৈলীর মাধ্যমে অজস্র তরুণের মন হরণ করে নিচ্ছেন। ভক্তরা তাকে ডাকে ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ বলে। তবে এ অভিনেত্রীর জীবনেও দরিদ্রতার চাবুক লেগেছে। দুটি ব্যর্থ বিয়ে, কিছু ব্যর্থ প্রেমের সম্পর্কের পর আত্মহত্যা করতে বসেছিলেন তিনি। অবশ্য এসবকে ছাপিয়ে যায় তার অতীত। একটা সময় ছিল যখন রাত কাটানোর মতো একটা ছাদ ছিল না তার। সে সময় তিনি অভিনয়ে নামেননি। এত জনপ্রিয়তা ও টাকা কোনোটাই ছিল না। রিডার ডায়জেস্টকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ সত্যটি প্রকাশ করেন। বাড়ি না থাকায় তাকে পথে পথে ঘুরতে হয়েছিল। অস্কারজয়ী এ খ্যাতিমান আফ্রো-আমেরিকান অভিনেত্রী ২৪ বছরের ক্যারিয়ারে অর্ধশতাধিক দর্শকনন্দিত ছবিতে অভিনয় করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি ‘মনস্টার বল’ ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য অস্কার জয় করেন। অভিনয়গুণে তিনি একাধারে অ্যামি অ্যাওয়ার্ড, গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেন।
থাকার ঘর ছিল না স্টিভ জবসের
প্রযুক্তি জগতের বাদশাহ বলে মানা হতো তাকে। তিনি স্টিভ জবস। অ্যাপলের সঙ্গে যার নাম জড়িয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবককে পার্সোনাল কম্পিউটার বিপ্লবের পথিকৃৎ বলা হয়। অনেকে এটাও বলেন, বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে প্রভাবশালী ও প্রতিভাবান প্রযুক্তি ভাবনার অধিকারী ছিলেন তিনি। তিনি স্টিভ ওজনিয়াক এবং রোনাল্ড ওয়েনের সঙ্গে ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে অ্যাপল কম্পিউটার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি অ্যাপল ইনকরপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
এ ছাড়া পিক্সার অ্যানিমেশন স্টুডিওস-এরও প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। টাকা আর সাফল্য শব্দ দুটিকে তিনি জয় করে নেন। এত বিত্ত ও প্রাচুর্য যে মানুষটিকে ডুবিয়ে দিয়েছিল সেই মানুষটিও এক সময় ছিলেন গৃহহীন। তিনি নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে, শিক্ষার্থী থাকাকালীন তার দৈন্যদশা ছিল। সে সময় থাকার একটি ঘরও তার ছিল না। তাই রাত কাটাতে হতো সহপাঠীর কক্ষের মেঝেতে। পকেটে টাকা ছিল না বলে প্রতি রবিবার সাত মাইল হেঁটে এক চার্চে যেতেন ভালোমন্দ কিছু খেতে।
ডেনিয়েল ক্রেইগের পকেট ছিল ফাঁকা
হলিউড কাঁপানো অভিনেতা ডেনিয়েল ক্রেইগকে অনেকেই চেনেন হালের জেমস বন্ড হিসেবে। ২০০৫ সালে জেমস বন্ড সিরিজের জন্য প্রস্তাব পান হলিউড অভিনেতা ডেনিয়েল ক্রেইগ। তখন তার বয়স ছিল ৩৭ বছর। ক্যারিয়ার নিয়ে অনেকটা বিপাকেও ছিলেন তিনি। হিট করার মতো কোনো গল্প মনে মনে খুঁজে ফিরছিলেন তিনি। এমন সময় জেমস বন্ড থেকে হঠাৎই অফার আসে তার কাছে। অভিনয়ের সুযোগ পাওয়া মাত্রই রাজি হয়ে যান তিনি। সেই শুরু। টানা এক যুগ এ সিরিজের প্রতিটি মুভিতে দেখা গেছে তাকে। তার সর্বশেষ বন্ড সিনেমাটিও মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করে নেয় খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে। এখন ব্যক্তিগত সম্পদের পাহাড় জমালেও একসময় এই বন্ডের পকেটে কানাকড়িও ছিল না। সেই দুঃসময়ের কথা ডেনিয়েল বারবার বলেছেন। ডেনিয়েল ক্রেইগ তখন সিনেমার জগতে নাম লেখাননি। কাজ নেই। শহরের পথে পথে ঘুরতেন। ভালো০ খেতে পেতেন না। ঘুমানোর জায়গা ছিল না বলে রাত কাটাতেন পার্কে। গৃহহীন তারকার খেতাবটি তাই তার কপালেও জুটেছে।
জেলে পরিবারের সন্তান সনাথ জয়সুরিয়া
সনাথ তিরান জয়সুরিয়া, শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেট দলের সুপারস্টার। খ্যাতিমান তারকা হলেও তার ছেলেবেলা কেটেছিল গরিবি হালতে। শ্রীলঙ্কার মাতারায় একটি জেলে পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি। বাবা দানস্তান সাগরে মাছ ধরে জীবিকানির্বাহ করতেন। দারিদ্র্যের টানাপড়েনে পরিবার এতটাই অসহায় ছিল যে, বাবা ছেলেকে নিয়ে মাছ ধরতে যেতেন। সেদিন কি কেউ ভেবেছিল যে, সেই জেলের ছেলেই হবে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট সুপারস্টার? ছোট থেকেই ক্রিকেটের প্রতি তার আগ্রহ ছিল প্রখর। ৯ বছর বয়সে টেনিস বল হাতে নিয়ে মাঠে ছুটে যেতেন। ১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় সনাথ জয়সুরিয়া। সময়ের পরিক্রমায় তিনি এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। ক্রিকেটীয় জীবনে যেমন হ্যারিকেন ছিলেন ব্যক্তিজীবনেও ছিলেন দুরন্ত। জাতিসংঘের গুডউইল দূত হয়েছেন। ২০১০ সালে মূলধারার রাজনীতিতে যোগ দেন। পোস্টাল সার্ভিসের প্রতিমন্ত্রী হন। তিনি শ্রীলঙ্কার জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
ডান্স রুমে ঘুমাতেন জেনিফার লোপেজ
জেনিফার লোপেজ একাধারে অভিনেত্রী, সংগীত শিল্পী, বিনোদন তারকা, ব্যবসায়িক উদ্যোক্তা ও প্রযোজক। এ ল্যাতিন তারকা সবচেয়ে বেশি নাম কুড়িয়েছেন সংগীতে। লাইভ কনসার্টগুলোতে তার গানের সঙ্গে নাচ বেশ জনপ্রিয়। জেনিফার লোপেজ ১৯৮৬ সালে মাই লিটল গার্ল নামক ছবির ছোট্ট একটি চরিত্রের মাধ্যমে বিনোদন জগতে প্রবেশ করেন। তিনি ১৯৯১ সালে ‘ইন লিভিং কালার’ শিরোনামের এক অনুষ্ঠানে নাচের মাধ্যমে বিনোদন জগতে যাত্রা শুরু করেন। সিনেমা জগতেও তার দাপট রয়েছে। চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জেনিফার লোপেজ লাতিন আমেরিকার প্রথম অভিনেত্রী হিসেবে ১০ লাখ ডলার পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২৫০ মিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছে বহু আগেই। এখনো তার আয়ের ক্ষেত্রগুলো দিয়ে বাতাসের বেগে টাকা আসছে। অথচ এক সময় ছিল পুরো বিপরীত চিত্র। জনপ্রিয়তা পাওয়ার আগে চরম অর্থ সংকটে ভুগতে হয়েছে তাকে। মাকে নিয়ে ঘুমিয়েছেন ডান্স রুমে। সেখানে সোফায় গাদাগাদি করে শুতে হতো তাকে। শুরুর দিকে মা না চাইলেও এক সময় নাচেই প্রতিষ্ঠা পান তিনি।
ঘরে ঠিকমতো খাবার মিলত না জিম ক্যারির
সবচেয়ে ধনী কমেডি অভিনেতা জিম ক্যারি। এ কানাডিয়ান-আমেরিকান কমেডি অভিনেতা গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডের জন্য পাঁচবার মনোনীত হয়েছেন এবং জয় করেছেন দুবার। তার অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা এবং প্রখর ব্যক্তিত্বের কারণে তাকে হলিউডের অন্যতম বড় তারকা বিবেচনা করা হয়। ১৯৯০ সালে স্কেচ কমেডি ইন লিভিং কালার মুভিতে প্রথম আবির্ভূত হন জিম। ১৯৯৭ সালে লায়ার লায়ার মুভিতে অভিনয় করে দারুণভাবে প্রশংসিত হন ক্যারি। এ মুভিটি তাকে সেরা অভিনেতা ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড এনে দেয়। এখন ১৫০ মিলিয়ন ডলারের মালিক হলেও এক সময় তার পরিবার দরিদ্রতায় ডুবে ছিল। বাবার চাকরি ছিল না, ঘরে ঠিকমতো খাবার মিলত না তার। বাড়ি নেই বলে ভ্যানে করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরে বেড়াত তার পরিবার।
রেস্টুরেন্ট গার্ল শাকিরার বিশ্বজুড়ে খ্যাতি
সিনেমার নায়িকা বা মডেল নন, তবে মঞ্চ কাঁপান কণ্ঠে রিদমিক গান আর কঠিন নাচের কম্বিনেশন দিয়ে। প্রজন্মের হার্টথ্রব শাকিরা। ছোটবেলাতেই দারিদ্র্যের ঝড় হয়তো তাকে উড়িয়ে দিতে পারত। কিন্তু কঠিন লক্ষ্যভেদী এই নারী জয় করেছেন সব কষ্টকে। এক সময় রেস্টুরেন্টে কাজ করলেও আজ বিশ্বতারকা। শাকিরা ইসাবেল মেবারাক রিপোল। গানের জাদুতে পৃথিবী বিখ্যাত শাকিরা। কলম্বিয়ার বারানকিলাতে জন্মেছেন ১৯৭৭ সালে। কলম্বিয়ান এই গায়িকা একই সঙ্গে গীতিকার, সুরকার, সংগীত প্রযোজক, নৃত্যশিল্পী ও জনহিতৈষী হিসেবেও খুব পরিচিত। স্কুল জীবনে সরাসরি উপস্থাপনার মাধ্যমে নিজের প্রতিভার প্রকাশ ঘটাতে শুরু করেন। সেখানে তার নিজস্ব বেলি ড্যান্সিংয়ের সঙ্গে কণ্ঠে সার্থকভাবে রক অ্যান্ড রোল, ল্যাটিন, পূর্ব মধ্যপ্রাচ্যের সংগীত ফুটিয়ে তুলতেন। শাকিরার মাতৃভাষা স্প্যানিস হলেও, তিনি অনর্গল ইংরেজি, পর্তুগিজ এবং ইতালীয় ভাষায় কথা বলতে পারেন। বিত্তশালী পরিবারে জন্ম হলেও হঠাৎই তাদের পরিবারে নেমে আসে চরম অনিশ্চয়তা। তখন শাকিরার বয়স মাত্র আট বছর। ব্যবসায় ধস নামলে শাকিরার বাবা অর্থাভাবে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন। ভরণপোষণের দায়িত্ব ছেড়ে দেন আত্মীয়দের ওপর। কিছুদিন পর শাকিরা নিজ শহরে ফিরে এসে দেখেন তাদের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। শাকিরার গান-নাচ সব থেমে যাওয়ার উপক্রম। শত প্রতিকূলতার মাঝেও তিনি নিজের আত্মবিশ্বাস অটুট রেখে সংগীতচর্চা অব্যাহত রাখেন। গানের টানে শাকিরা নিজ শহর বারানকিলা থেকে চলে যান রাজধানী শহর বোগোটায়। শুরুতে নিজের খরচ চালানোর জন্য বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে তাকে। বার, রেস্টুরেন্টসহ বেশ কিছু জায়গায় পার্টটাইম কাজ করেছেন।
পাশাপাশি ঘরে ও বন্ধুদের সামনে অব্যাহত রেখেছেন গান শোনানো। কলম্বিয়ার স্থানীয় প্রযোজকদের সহায়তায় শাকিরার সংগীত জীবনের প্রথম দুটি অ্যালবাম প্রকাশ পায়। দুর্ভাগ্য যে, সেগুলো কলম্বিয়ার বাইরে খুব একটা পরিচিতি পায়নি। পরবর্তীতে শাকিরা নিজেই অ্যালবাম প্রযোজনার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৯৫ সালে প্রকাশ করেন অ্যালবাম ‘পিয়েস দেসকালসোস’। এই অ্যালবামই তাকে লাতিন আমেরিকা ও স্পেনে খ্যাতি এনে দেয়। শ্রোতাদের কাছে তাকে একজন রহস্যময় সংগীতশিল্পী হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু ১৯৯৮ সালে ‘দোন্দে এস্তান লোস লাদ্রোনেস’ অ্যালবামটি শিল্পী হিসেবে তার গুরুত্ব বাড়াতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। এই অ্যালবামটির জন্য তিনি রোলিং স্টোন, অল মিউজিক গাইড এবং বিলবোর্ড ম্যাগাজিনের সংগীত সমালোচকদের কাছ থেকে উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া পান। তিনি দুই বার গ্র্যামি পুরস্কার, সাতবার ল্যাটিন গ্র্যামি পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছিলেন। বিএমআইয়ের তথ্যানুসারে, তিনি ব্যবসায়িকভাবে সফল দ্বিতীয় ল্যাটিন আমেরিকান নারী শিল্পী; যার অ্যালবাম বিশ্বে পাঁচ কোটি কপি বিক্রীত। এ ছাড়াও তিনি দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সুযোগ পাওয়া একমাত্র শিল্পী যিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিলবোর্ড হট ১০০, কানাডিয়ান বিলবোর্ড হট ১০০, অস্ট্রেলিয়ান এআরআইএ চার্ট ও ইউকে সিঙ্গেলস চার্টে প্রথম স্থান পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। হলিউড ওয়াক অফ ফেইমে একজন তারকা হিসেবে শাকিরা পুরস্কৃত হয়েছেন।
তার বেড়ে ওঠা
মাত্র চার বছর বয়সে শাকিরা প্রথম কবিতা লিখেন, যার শিরোনাম ছিল ‘লা রোসা দে ক্রিস্টাল’। অর্থাৎ স্ফটিকের গোলাপ। সেই বয়সেই স্থানীয় মিডল ইস্টার্ন রেস্টুরেন্টে প্রথমবার ডোম্বেক শোনেন এবং টেবিলের ওপর উঠে নাচতে শুরু করেন। সাত বছর বয়সে বাবাকে একটি টাইপরাইটারে গল্প লিখতে দেখে আগ্রহী হন। বড়দিনের উপহার হিসেবে একটি টাইপরাইটার চেয়ে নেন। তখন থেকেই তিনি কবিতা লেখা চালিয়ে যান। তার কবিতাগুলো ক্রমেই গানে রূপ নেয়। দুই বছর বয়সে শাকিরার এক বড় সৎভাই মারা গেলে শোকাতুর বাবাকে চার বছর কালো চশমা পরে থাকতে দেখেছেন। সেটা নিয়ে শাকিরা আট বছর বয়সে প্রথম গান লেখেন ‘তুস গ্রাফাস ওসকুরাস’ অর্থ তোমার কালো চশমা। তিনি স্কুলের সহপাঠী ও শিক্ষকদের গান শোনাতে ভালোবাসতেন। প্রতি শুক্রবারে তার শেখা বেলি ড্যান্সিংয়ের ধাপগুলো স্কুলে করে দেখাতেন। এভাবেই তিনি লাইভ পারফরম্যান্সের প্রতি নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করেন। কিন্তু দরিদ্র পরিবারে নিজের প্রতিভার চর্চায় বেগ পেতে হয়। বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে জীবিকা অর্জন করেছেন।