বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জাতি-বর্ণের নারীরা বিভিন্নভাবে সুন্দর—এই বিষয়টি আমার কাছে আশ্চর্য লাগে। এই সৌন্দর্যের বৈচিত্র্য সত্যি অবাক করার মতো।
ককেশীয়, মঙ্গলয়েড, নিগ্রয়েড ও অস্ট্রালয়েড—এই ৪ প্রধান জাতির ভিত্তিতে পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে ভাগ করা হয়েছে। যেমন ইউরোপ, রাশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ সাধারণত ককেশীয় জাতিভুক্ত। চীনা, জাপানি, কোরিয়ান, মঙ্গলীয়রা মঙ্গলয়েড জাতিভুক্ত। আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গরা নিগ্রয়েড জাতির অন্তর্ভুক্ত। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকার অনেক মানুষ প্রোটো-অস্ট্রালয়েড জাতির অন্তর্ভুক্ত।
একই দেশে একাধিক জাতির মানুষ থাকতে পারে যেমন ভারত ও নেপালে অস্ট্রালয়েড, মঙ্গলয়েড, নিগ্রয়েডের মিশ্রণ আছে। তবে এ নিয়ে প্রচুর বিতর্কও আছে। যেমন অনেকে দাবি করেন মধ্যপ্রাচ্যের মানুষরা ককেশীয় নয় অথবা ভারতীয়রা অস্ট্রালয়েড নয় ইত্যাদি। আমরা সে বিতর্কে না গিয়ে বরং বিভিন্ন দেশের নারীদের রূপবৈচিত্র্যের পার্থক্য দেখা যাক।
নরওয়ের নন্দিনী
রুশ রূপসী
ইনি ভারতীয়
আর ইনি বঙ্গললনা
এই নারী ইরানি
আর এই নারী ব্রিটিশ
ইনি পাকিস্তানি
ইনি এস্তোনীয় বিস্ময়
আর এই নারী আরবীয়
রোমানীয় মেয়ে
নাইজেরীয় কৃষ্ণ সুন্দরী
ইনি আফগান
জার্মানির মনোহরা
নেপালি কন্যা
সার্বিয়ার সুন্দরী
ইরাকি নিরুপমা
ব্রাজিলীয় তন্বী
তুর্কি রমণী
ইথিওপিয়ার কৃষ্ণ গোলাপ
ইন্দোনেশীয় রূপবতী
সিরীয় সাহসিনী
ভিয়েতনামের সুহাসিনী
আর চীনা অনিন্দিতা
ইউক্রেনের স্বর্ণকেশী
ইতালির বিড়ালাক্ষী
জাপানের মিষ্টি মেয়ে
এই নারী স্লোভেনিয়ার
আর এই নারী সুইডেনের
উজবেকিস্তানের উজবেক
ইনি কিরগিজস্তানের কিরগিজ
শ্রীলঙ্কার লাস্যময়ী
স্পেনের সুনয়না
মিশরীয় তুলনাহীনা
নারীর নমুনা থেকে রূপবৈচিত্র্যের রকমফের কিছুটা হলেও অনুধাবন করা গেল। লক্ষ্য করলে দেখবেন বিভিন্ন জাতির নারীদের ত্বক, চুল, চোখ, দাঁত, চিবুক, চোয়াল প্রভৃতি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। এ বৈচিত্র্য এক আশ্চর্যের বিষয়ই বটে।