মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৩

কিছু অবাক করা সাইকোলজিক্যাল হ্যাক কী?

কিছু অবাক করা সাইকোলজিক্যাল হ্যাক কী?

01. আপনাকে কেউ কিছু প্রশ্ন করছে, অথচ আপনি কিছুই বুঝতে পারলেন না, তাহলে আপনি এক কাজ করুন, আপনি কোনো কথা না বলে, তার চোখের দিকে, যতক্ষণ পর্যন্ত তার কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা না যায় ততক্ষণ পর্যন্ত, তাকিয়ে থাকুন। এরফলে সেই ব্যক্তি আপনাকে সেই প্রশ্নটি আরও বিস্তারিত ভাবে বলবে, অথবা সেটি স্কিপ করবে।

02. আপনার উপড়ে কেউ রাগ করেছে? না কোনো কথা বাড়াবেন না আর। একদম চুপচাপ থাকুন। এরফলে সেই ব্যক্তি আরও রেগে যাবে ঠিকই, কিন্তু কিছুক্ষণ পর সে নিজেই খুব লজ্জা পাবে।

03. কোনো মানুষকে গিফট দেওয়ার সময় আমরা প্রথমেই তাকে বলে ফেলি যে, আমি তোমার জন্য একটি বিশেষ গিফট নিয়ে এসেছি, কিন্তু পরবর্তীতে যখন সে গিফট টি দেখে তখন সে আর সেরকম সন্তুষ্ট হয়না। কারণ আপনি আগেই তাকে বলে ফেলেছেন আপনি তার জন্য একটি বিশেষ গিফট নিয়ে এসেছেন, তাই তার মন আগে থেকেই বড় কিছু পাওয়ার আশায় প্রস্তুত হয়ে থাকছে, তাই সে আর বিশেষ খুশি হয়না। কিন্তু এর পরিবর্তে আপনি যদি বলেন, আমি তোমার জন্য একটি অতি সাধারণ গিফট নিয়ে এসেছি। কিন্তু পড়ে যখন আপনি তাকে গিফট দিবেন, দেখবেন সে গিফট দেখে অনেক খুশি হবে, কারণ আপনি তাকে বলেছেন অতি সাধারণ গিফট দেবেন। তাই তার মন কোনো অতি সাধারণ জিনিসের কথা ভাবে। কিন্তু পড়ে যখন আপনি তাকে গিফট দিবেন, দেখবেন গিফট যেরকমই হোকনা কেন সে অনেক খুশি হবে

04. কেউ আপনার সাথে কথা বলেই যাচ্ছে, থামার কোনো লক্ষণ নেই, অথচ আপনি আর তার কথা শুনতে চান না, তাহলে এক কাজ করুন, আপনার হাঁতে (কলম,পেন্সিল, চাবি) বা কাছে যা আছে তা মাটিতে ফেলে দিন, এরপর ঝুঁকে সেটিকে তুলে নিন, দেখবেন কিছুক্ষণের জন্য সেই ব্যক্তি থেমে যাবে, এরপর সে আর আগের মত কথা বলার পরিস্থিতিতে থাকবে না, তার কথা অনেকটা ছোট হয়ে যাবে। বিশ্বাস না হলে আজই করে দেখুন।

05. কেউ আপনার কাছে সাহায্য চাইলে তাকে যথাসাধ্য সাহায্য করুন। এরফলে সেই ব্যক্তি আপনার উপর ভরসা বাড়াবে, এবং পরবর্তীতে আপনাকেও সে সাহায্য করার রাস্তা খুজবে, যার ফলে আখেরে লাভ কিন্তু আপনারই। তবে স্থান-কাল-পাত্র বুঝেই সাহায্য করুন।

06. কেউ আপনাকে পছন্দ করে কিনা জানতে চান, তাহলে আপনাকে একটি জিনিস লক্ষ্য করতে হবে, যখন কয়েকজন একসাথে থাকবে তখন যদি কোনো কারণে সবাই একসাথে হাঁসে, সেইসময় আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে কে, হাঁসতে হাঁসতে কয়েক সেকেন্ডের জন্য হলেও আপনার দিকে দেখছে। যে ব্যক্তি আপনাকে দেখছে সে আসলে আপনাকে অনেকটাই পছন্দ করে।

এভাবে আপনি কে কাকে পছন্দ করে সেটিও যাচাই করতে পাড়বেন, এক্ষেত্রে হাসার সময় সেই মানুষ দুটি একে-অপরের দিকে দেখবে।

07. যদি কেউ আপনার দিকে দেখছে, তাহলে আপনি আশেপাশের দেওয়ালে লাগানো ঘড়ি বা আপনার হাত ঘড়িটির দিকে যদি তাকান, আপনি দেখবেন যে, সেই ব্যক্তিটিও সেই দেওয়াল ঘড়িটির দিকে দেখছে, অথবা তার হাত ঘড়ির দিকে দেখছে।

08. বাজারে গেছেন, জিনিসপত্রের দর কষাকষি করছেন? এখানে আমরা বেশিরভাগ জনই বিশেষ ভুল করে ফেলি, আমরা সরাসরি দোকানদারকে বলে ফেলি, আরেকটু দাম কমান না। কিন্তু এখানেই আমরা ভুল করে বসি, আমরা এখানে একটি নেতিবাচক শব্দ ‘না’ ব্যবহার করে ফেলি, আর মানুষ এই শব্দ শুনতে খুব একটা স্বচ্ছন্দ নয়। যার ফলে দোকানী সরাসরি বলে দেয় ‘না আর কম করা যাবে না।‘ এর পরিবর্তে আপনি যদি বলেন- “আপনি আরেকটু কমাতে পাড়বেন।“ অথবা “আমি আশা করছি আপনি হয়ত আরেকটু কমাবেন।“ আর গলার স্বর হবে একটু কোমল। যার ফলে সেই দোকানীর মনে একটি ইতিবাচক সাড়া পড়বে। অর্থাৎ মুখে সবসময় পজিটিভ ভাব রাখার চেষ্টা করুন।

09. রাস্তায় কয়েকজন বা দুইজন একসাথে চলছেন, কিন্তু আপনার কাছে থাকা ব্যাগটা তাদের কিছু সময়ের জন্য ধরতে বলবেন অথচ বলতে পাড়ছেন না, কারণ যদি ব্যাগ ধরতে না চায়! তাহলে গল্প শুরু করুন, গল্প বলতে বলতে আপনার ব্যাগ কোনো কথা না বলে তাদের হাঁতে দিয়ে দিন, দেখবেন অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারাও কোনো কথা না বলে আপনার ব্যাগটি ধরে নিবে।

10. এরকম অনেক মানুষ আছেন, যারা আপনার ড্রেস বা জুতো বা ঘড়ি দেখেই সেগুলির সম্পর্কে জানতে চান, কিন্তু আপনি সেগুলোর ব্যাপারে বিশেষ মত প্রকাশ করতে চাননা। এক্ষেত্রে আপনি divert psychology trick ব্যবহার করতে পাড়েন। আপনাকে এরকম প্রশ্ন কেউ করলে আপনি উল্টে তাকে বলুন, “বাঃ তোমার ঘড়ি টা তো দারুন”, অথবা “এই ড্রেসে তোমাকে দারুন লাগছে”, “বাঃ তোমাকে আজ অনেক কিউট লাগছে” ইত্যাদি ইত্যাদি। এরফলে দেখবেন সেই ব্যক্তিটি নিজের প্রশংসা শুনে আপনাকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা প্রশ্ন গুলি নিমেষেই ভুলে যাবে।

11. কেউ কথা বলার সময় সত্য বলছে কি না মিথ্যে তা যাচাই করার জন্য, আপনাকে সেই বক্তার হাতের দিকে নজর দিতে হবে। যদি দেখেন যে, কথা বলার সময় সে তার হাত অনেক নাড়াচ্ছে, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে, সে যা বলছে তা সত্য বা অনেকটাই সত্য। কিন্তু যদি দেখেন সে হাত নাড়াচ্ছে না তাহলে আপনি ধরে নিতে পাড়েন যে সে যা বলছে তা মিথ্যে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

12. অনেক সময় দেখা যায়, কোনো মিটিং বা কয়েকজন বন্ধু মিলে যখন গল্প করছেন, তখন আপনার দিকে বক্তা কিছুতেই দেখছে না, অথচ আপনি চান বক্তা আপনার দিকে দেখুক। এরজন্য আপনি যে সাইকোলজি ট্রিকটি অনুসরণ করবেন সেটি অনেকটা এরকম- আপনি বক্তার কথার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাথা নাড়ান, দেখবেন কিছুক্ষণ পর বক্তা আপনার দিকেই দেখবে, কারণ বক্তা ভাববে আপনি তার কথা একদম গুরুত্ব সহকারে শুনছেন।

13. একজন মানুষ তখনই সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় লাগে যখন সে তার নিজের প্যাশন বা নিজের ভালো লাগার বিষয়ে বলতে থাকে, আর কোনো মানুষের আসল সৌন্দর্য দেখার এটাই হল শ্রেষ্ঠ সময়।

14. অনেক মানুষের সামনে কথা বলতে গেলে কথা আঁটকে যায়? অথচ আপনি সেই আলোচ্য বিষয়ে খুব ভালো জানেন, কিন্তু বলতে পাড়ছেন না? তাহলে এই সমস্যা সমাধানের জন্য আপনাকে প্রতিদিন কিছুটা সময় নতুন নতুন কোনো লেখা পড়ার দিকে দিতে হবে, তারপর নিজের মন থেকে গল্প বা কবিতা অথবা ক্রিয়েটিভ কিছু লেখার চেষ্টা করুন এরফলে আপনার শব্দের জোগান ভালো থাকবে, আর অনর্গল কথা বলার জন্য আপনাকে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলা প্র্যাকটিস করতে হবে। কিছুদিন প্র্যাকটিস করুন, পরিবর্তন নিজেই বুঝতে পাড়বেন।

স্তনের ঝুলে পড়া রোধে করণীয় কী?



শারীরিক গঠন ফিট না থাকলে মন খারাপ হতেই পারে। নারীর ক্ষেত্রে এই মন খারাপের কারণ হতে পারে স্তন ঝুলে যাওয়া নিয়ে। অল্প বয়সেই অনেক নারীর স্তন ঝুলে যাওয়ার সমস্যায় পড়তে হয়। এর অনেকগুলো কারণও আছে। তবে কারণ ও সমাধান জানা থাকলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।



স্তন ঝুলে যাওয়ার কারণ:শরীরের গঠনের তারতম্যের কারণে স্তন ঝুলে যেতে পারে। শরীর মোটা থেকে চিকন বা চিকন থেকে মোটা হওয়ার কারণে স্তন ঝুলে যেতে পারে। অনেক সময় অতিরিক্ত ব্যয়ামও স্তন ঝুলে যাওয়ার একটি কারণ।

সন্তান জন্মদানের কারণে অর্থাৎ প্রসূতিকালীন স্তনের আকার বড় হয়ে যাওয়ার কারণে স্তন ঝুলে যায়। আবার স্তন অতিরিক্ত বড় ও ভারী হওয়ার কারণেও ঝুলে যেতে পারে।

বয়সের কারণে স্বাভাবিকভাবেই স্তন ঝুলে যায়। অপ্রতুল স্তন-সার্পোটের কারণেও স্তন ঝুলে যায়। ধূমপানের চামড়ার স্থিতিস্থাপকতা দুর্বল করে দেয় যা স্তন ঝুলে যেতে সাহায্য করে।

মেডিসিন:-

1)

ডোজ:-10 ফোটা 1/2 কাপ জলসহ। (কাঁচের গ্লাস /চিনামাটির কাপে খাবেন) দিনে দুইবার । (3–6 মাস )

ব্যাহিক প্রয়োগ :- নারকেল তেল পরিমান মতো + sabal serrulata-Q পরিমান মতো (নারকেল তেল 20 ড্রপ + মেডিসিন 10 ড্রপ)।

=} রাত্রে ব্রেস্টে মালিশ করে , টাইট ড্রেস পরে ঘুমাতে হবে।

—————————————————————————————

2)

ডোজ:- দুই চামচ করে দিনে তিনবার। (6 মাস)

সকালে দুটো ডিম সেদ্ধ খেতে হবে।

—————————————————————————

যদি ঝুলে গিয়েই থাকে, তাহল তাকে ফিট রাখার উপায়ও আছে। জেনে নিন কয়েকটি উপায়:

সঠিক ব্রা ব্যবহার: আপনি অবশ্যই এমন ব্রা পরুন যা আপনার স্তনকে সম্পুর্ন সাপোর্ট দেয়। লক্ষ রাখতে হবে আপনার ব্রা অবশ্যই আপনার সাথে সাবলীল ভাবে চলতে পারে- অর্থাৎ চলার সময় আপনার ব্রা লেইস যেন কাঁধ থেকে খসে না পড়ে অথবা বন্ধনি অতিরিক্ত টাইট কিংবা অতিরিক্ত লুজ না হয়। যখন ব্রা সাইজ নেবার জন্য মাপতে যাবেন, অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আপনার পুরাতন ব্রা পরনে থাকতে হবে এবং সে অবস্থায় স্তনের ঠিক নিচে মাপ নিচ্ছেন। এছাড়া কিছু ব্যায়ামও করতে পারেন-

মেডিসিন বল স্ল্যাম: দু’হাতে একটা মেডিসিন বলকে ধরুন। মাথার ওপরে বলটা ধরে তুলুন। হাঁটু সামান্য ভাঁজ করতে পারেন। এবার বলটাকে যত জোরে সম্ভব মাটিতে আছড়ে ফেলুন। আবার তুলে তিনটে সেটে করে মোট তিনবার করুন। আপনি বলটাকে যখন মাটিতে আছড়ে ফেলবেন,তখনই কিন্তু আপনার বুকের ব্যায়াম হয়। যত জোরে আছড়ে ফেলবেন,ততই বেশি আপনার পেশী কাজ করবে। তাই বুকের পেশীকে টোন করতে এই ব্যায়ামটা করেই ফেলুন নিয়ম করে।

পুশ আপস: ঝুলে যাওয়া স্তনকে আবার তার টোনড শেপে ফিরিয়ে আনতে পুশ আপস কিন্তু বেশ কার্যকরী। উপুড় হয়ে সোজা হয়ে শোন। হাত দুটো বগলের পাশে ভাঁজ করে রাখুন। পেটটা টান করে রাখবেন। এবার হাতের ওপর ভর দিয়ে পুশ আপস করুন। যতবার পারেন,ততবারই করবেন। নিয়ম করে করুন। আপনার স্তনকে টোনড করতে শুধু নয়, কাঁধের পেশীকে শক্তিশালী করতেও এই পুশ আপস দারুণ কাজ দেয়।বাড়িতে বসে খুব সহজেই করতে পারবেন।

ট্রাইসেপ ডিপস: একটা বেঞ্চে বসে হাত দুটো আপনার পাশে রাখুন। পা ছড়িয়ে টান করে রাখুন। এবার হাতদুটো আগের জায়গাতেই রেখে বেঞ্চ থেকে নিজেকে তুলুন। আস্তে আস্তে কনুই ভাঁজ করে নিজেকে মেঝের কাছে নিয়ে যান। এভাবে যতক্ষণ পারবেন করুন। আস্তে আস্তে সময় বাড়াবেন। এভাবে নিয়মিত করবেন। এই ব্যায়াম আপনার ট্রাইসেপের ওপর জোর দিলেও বুকের পেশী আর হাতের মাসলকেও কিন্তু টোনড রাখতে সাহায্য করে। আর বাড়িতে করাও খুব সোজা।

ডাম্বেল ফ্লাইস: সোজা হয়ে শুয়ে পরুন। এবার হাতদুটোকে কনুই ভাঁজ করে বুকের কাছে এনে রাখুন। দু’হাতে দুটো ডাম্বেল যেন থাকে। বেশি ওজন তোলার দরকার নেই। হাঁটু ভাঁজ করে রাখবেন। এবার হাতদুটো ছড়িয়ে সোজা করে আস্তে করে খুলুন। আবার আগের ভাঁজ করা অবস্থায় আনুন। এভাবে যতক্ষণ পারবেন করুন। বুকের পেশীকে টান করে ঝোলা স্তনকে নিজের শেপে ফিরিয়ে আনতে এই ব্যায়াম ট্রাই করুন।

মেডিসিন বল পুশ আপস: পুশ আপ পোজিশনে শোন। তবে এবার মাটিতে হাত রাখার বদলে হাত দুটো একটা মেডিসিন বলের ওপরে রাখুন। এবার পুশ আপ করতে শুরু করুন। একটা হাত মাটিতে আর একটা হাত বলের ওপরে আধা মিটার দূরত্বে রেখে পুশ আপ করুন। ১০-২০ বার করে তিনটি বা চারটি সেটে কমপ্লিট করুন। নিয়ম করে করবেন। ঝুলে যাওয়া স্তনকে টোনড অ্যান্ড ফিট করার জন্য এটি পারফেক্ট ব্যায়াম। আর ঘরে বসেই সহজে করতে পারবেন। তাহলে এবার দেরি না করে আজ থেকেই শুরু করুন নিজেকে পারফেক্ট শেপে ফিরিয়ে আনার অভিযান।

জাপানে স্থায়ী হওয়া কতটা যুক্তিসংগত

জাপানে স্থায়ী হওয়া কতটা যুক্তিসংগত

(ভাল বা খারাপদিক বা কী কী বিষয়ে চিন্তা করা লাগবে স্থায়ী হওয়ার আগে)

প্রথমেই ধন্যবাদ ৮৯৯+ আপভোটের জন্য

আমার মামা জাপানে ৬ বছর বসবাসরত, আমিও ২ বছর আগে জাপানে গিয়েছিলাম। শীঘ্রই গোটা পরিবার নিয়ে সেখানে বাস করবো। আমার মামার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতার বিচারে জাপানে স্থায়ী হওয়া যুক্তিসংগত ; ভালো ও খারাপ দিক বিচার করে।

চরম সত্য ভালো দিকঃ ( আমার বিচারে)

  • গোটা  বছরে কোনো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম একবারও বাড়ে নি।
  • ৯৯% দুর্নীতিমুক্ত, এ জন্যই তো ওখানে ১৬ বছরের অধিক হলে ছাত্র-ছাত্রীরা কাজ করতে পারে। কাজের জন্য আজীবন ঘুরতে হয় না। আপনি কোনো রেসটুরেন্টে গেলে দেখবেন যে অনেক ভদ্র, কম বয়সী, সুন্দরী মেয়ে আপনাকে সার্ভ করছেন। ওরা আসলে কোনো না কোনো স্কুল —কলেজের শিক্ষার্থী। এটা ওদের পার্ট টাইম জব।
  • আমার কাছে সবচেয়ে পছন্দের জিনিস হচ্ছে, রাস্তাঘাট বিশেষ করে যখন বৃষ্টি পড়ে তখন ইহা যেন আয়না হয়ে আপনার কাছে ধরা দেয়। এতো পরিষ্কার, এতো স্বচ্ছ। আবহাওয়া এতো সুন্দর! প্রকৃতি এতো সুন্দর বলার বাহিরে! নদী এতো পরিষ্কার। প্রকৃতিপ্রেমীকরাই উপভোগ করতে পারবে।
  • সাম্যতা সব জায়গায়। যাই কাজ করুন না কেন কেউ অসম্মান করবে না। আপনাকে জিজ্ঞেসাও করবে না আপনার চাকরি। বিয়ের সময় মেয়ের অভিভাবকই যদি এ প্রশ্ন জিজ্ঞেস না করে, আর কে করবে? যে ব্যক্তিকে আপনি আজকে স্যার বললেন ওই ব্যক্তিই কোনো না কোনো ক্ষেত্রে আপনাকে স্যার বলবে।
  • একটা পুলিশও সরকারি টাকা বাদে কোনো টাকা নেই না। অদ্ভুত বিষয়! তারা যদি একটু গোপন রাখতো তাহলেই কিন্তু তারা সুদ, ঘোষ নিতে পারে। কিন্তু কেন জানি কেউ করে না, একজনও না।
  • আমার মামার দীর্ঘ ৬ বছরে তিনি ১৪ বার গাড়ির হর্ন শুনেছেন টোকিওর মতো ব্যস্ত শহরে। পাখির গুনগুনানি শুনেছেন ৬ বছর প্রত্যেক ভোরে।
  • অপরাধমুক্ত নয়, কিন্তু উল্লেখযোগ্য কম অপরাধ। জাপানের পত্রিকায় অপরাধের স্থান মাসে বড়জোর একবার মেলে। আর বাংলাদেশের....
  • আপনি কাউকে চর দিলেও কেউ খামাখা তার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আপনার সাথে তর্ক করবে না
  • নীরব দেশ। সব জায়গায় চুপচাপ। কেউ আপনাকে এসে বাধা দিবে না, কেউ আপনার কাছে এসে কথা পাড়ি দিবে না।
  • খুব শৃঙ্খল জাতি
  • পোশাক, রঙ, সবকিছুর স্বাধীনতা, যখন ইচ্ছা রাস্তা থেকে বের হয়ে খেলতে পারবেন। যা ইচ্ছা করেন কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, এতে যেন অপরের অধিকার হস্তক্ষেপ না হয়। বাংলাদেশে এমন স্বাধীনতা দিলেই রাস্তা হয়ে উঠবে চোর, ডাকাত, নগ্ন নারির বাসস্থান।
  • শুধু বিনয়, বিনয় আর বিনয়।
  • ওই সমাজে পুরুষ নারীদের পিছনে দৌড়ায় না, নারী দৌড়ায় পুরুষের পিছনে। তার জন্যই না ঘটে ধর্ষণ, না ঘটে নারী নির্যাতন। বিয়ের প্রস্তাবও দেয় মেয়ের পক্ষ থেকে।
  • সব কিছু অনেক কিউট।

চরম সত্য মন্দ দিকগুলো

  • লিখিত নিয়মের চেয়ে অলিখিত নিয়ম অনেক বেশি। অর্থাৎ যে নিয়ম ভাংলে আপনাকে আইনি ভাবে শাস্তি দেয়া হবে না কিন্তু সমাজ থেকে পাবেন তীব্র নিন্দা। ( যেমন- পাবলিক ট্রান্সপোর্টে কথা না বলা, রাস্তায় কোনো কিছু না ফেলা, উচ্চস্বরে না হাসা, প্রাণখুলে কথা না বলা)
  • চাকরি জীবনে আপনাকে গোটা সময় চাকরির কাজেই থাকতে হবে। বউ-বাচ্চার খোঁজখবর নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। সকাল ভোরে উঠে কাজে যাওয়া আর রাত ৯-১০ টায় ক্লান্ত শরীর নিয়ে আসে। এজন্যই তো ওই দেশে ডিভোর্সের সংখ্যা অনেক বেশি। যেমন- ওই দেশের একজন ইংলিশ শিক্ষকের মাসিক বেতন ৩-৬ লাখ কাজ করতে হবে ১৪-১৮ ঘণ্টা । যেখানে অন্যান্য উন্নত রাষ্ট্রের বেতন প্রায় দ্বিগুণ এবং কাজঘণ্টাও কম।
  • আপনি যত বছরই থাকেন না কেন, তাদের সংস্কৃতিতে আপনি আজীবন ভিনগ্রহী থাকবেন।
  • তাদের কাছে তাদের জাতিই বেস্ট। বাকিরা যেন বৈরাগী। তাদের বাহ্যিক আচরণে তা বোঝা যায় না, কিন্তু এটা শুধু আপনি অনুভবই করতে পারবেন।

বাস, আরো কিছু বলার ছিল লেখার পরিধি অনেক বড় হয়ে গেছে। তাই আর বললাম না, মেইন পয়েন্টগুলা বলে দিলাম।

২০২৬ বিশ্বকাপ হোস্ট করার জন্য আমেরিকার ১০ টি স্টেডিয়াম

 ২০২৬ বিশ্বকাপ হোস্ট করার জন্য আমেরিকার ১০ টি স্টেডিয়াম