শনিবার, ১৪ জুলাই, ২০১২

অপরাধী চেনাবে মাইন্ড রিডিং হেলমেট

অপরাধী চেনাবে মাইন্ড রিডিং হেলমেট

মার্কিন টেকনোলজিকাল কোম্পানি ভেরিটাস সায়েন্টিফিক তৈরি করছে মাইন্ড রিডিং হেলমেট। ব্রেইন ওয়েভ মনিটর করে অপরাধ করার আগেই বিপজ্জনক ব্যক্তিকে শনাক্ত করাই মাইন্ড রিডিং হেলমেট তৈরির মূল উদ্দেশ্য। খবর গ্লোবাল ডেইলি ক্রনিকল-এর।

ভেরিটাস সায়েন্টিফিকের তৈরি মাইন্ড রিডিং হেলমেটটি দেখতে মোটরসাইকেল আরোহীর হেলমেটের মতোই হবে। আর হেলমেটটির ভেতরে থাকবে মেটাল ব্রাশ সেন্সর। হেলমেট পরা ব্যক্তির সামনে দেখানো হবে বিভিন্ন ছবি। হেলেমেটের সেন্সরগুলো ইলেকট্রোএনসেফালোগ্রাফ বা ইইজির মাধ্যমে ব্রেইন ওয়েভ মনিটর করে ডেটা সংগ্রহ করবে। আর ওই ডেটা বিশ্লেষণ করেই সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে ব্যক্তিটি বিপজ্জনক বা অপরাধপ্রবণ মানসিকতার কি-না।

আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর কাজ মাইন্ড রিডিং হেলমেট অনেকটাই সহজ করে দেবে বলে জানান, ভেরিটাস সায়েন্টিফিকের সিইও এরিক এলবট। তবে হাত ফসকে অপরাধীদের হাতে এই প্রযুক্তিটি পৌঁছে গেলে অথবা প্রযুক্তিটির ব্যবহার কতিপয় মানুষের হাতে সীমাবদ্ধ হলে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে সতর্ক করেছেন এলবট।

রবিবার, ৮ জুলাই, ২০১২

৬২০ কোটি ডলারের হোঁচট খেলো মাইক্রোসফট

৬২০ কোটি ডলারের হোঁচট খেলো মাইক্রোসফট

মাইক্রোসফটের অনলাইন অ্যাডভাটাইজিং সার্ভিস, একুয়ানটিভ এ বছর পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ আয় করতে না পারায় ৬২০ কোটি ডলার গচ্চা দিলো এই সফটওয়্যার জায়ান্ট। মাইক্রোসফট পাঁচ বছর আগে একুয়ানটিভ কিনে নিয়েছিলো ৬৩০ কোটি ডলারে। খবর অরেঞ্জ নিউজ-এর।

আগেই ধারণা করা হয়েছিল, ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে মাইক্রোসফট। কোম্পানিটি প্রাথমিকভাবে তাদের লসের জন্য একুয়ানটিভ-এর হতাশাজনক পারফরমেন্সকেই দায়ী করছে। পাঁচ বছর আগে একুয়ানটিভ-ই ছিলো মাইক্রোসফটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্রয়। তারা গত বছর ৮৫০ কোটি ডলারে স্কাইপ কিনে সেই রেকর্ড ভেঙ্গেছে।

মাইক্রোসফটের অনলাইন ডিভিশনের হিসাবে, একুয়ানটিভ কেনার পর এখন পর্যন্ত মাইক্রোসফট প্রায় ৯০০ কোটি ডলার লস করেছে।

ফেকটসেটের বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, এতো কিছুর পরেও মাইক্রোসফট এই অর্থবছরের শেষ ভাগে, ৫৩০ কোটি ডলার আয় করবে। ১৯ জুলাই মাইক্রোসফটের শেষ তিন মাসের আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করার কথা রয়েছে।

অ্যাপল নিয়ে আসছে আইপ্যাড মিনি

অ্যাপল নিয়ে আসছে আইপ্যাড মিনি

যেখানে অ্যাপলের অরিজিনাল আইপ্যাড ছিল সবচেয়ে দীর্ঘতম গুজবের বিষয়। সেই স্থানটি হয়তো অ্যাপলের ৭ ইঞ্চি মিনি আইপ্যাড দখল করবে। ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী অ্যাপল তাদের ছোট এই ট্যাবলেট পিসিটি অক্টোবরের মধ্যে বাজারে আনবে। খবর এবিসি নিউজ-এর।

ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ছোট সাইজের এই আইপ্যাডটির ডিসপ্লে হবে আড়াআড়িভাবে ৭ ইঞ্চি থেকে ৮ ইঞ্চি। তবে এতে নতুন আইপ্যাডের মতো রেটিনা ডিসপ্লে থাকবে না এবং এর দাম আইপ্যাডের চেয়ে কম হবে।

৭ ইঞ্চি মাপের ট্যাবলেটের সাইজটি অ্যামাজন এবং বার্নস অ্যান্ড নোবেলের মতো অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট নির্মাণকারীর কাছে জনপ্রিয়। গত সপ্তাহে গুগল তাদের ৭ ইঞ্চি নেক্সাস সেভেন ট্যাবলেট রিলিজ করেছে। স্ক্রিন অ্যাগ্রি অ্যান্ড লিঞ্চ-এর গবেষক শ’ উ বলেছেন ‘আইপ্যাড মিনি’ প্রতিদ্ব›দ্বীদের জন্য একটি দুঃস্বপ্ন হতে পারে।

রোববার আংশিক ক্র্যাশ করতে পারে ইন্টারনেট

রোববার আংশিক ক্র্যাশ করতে পারে ইন্টারনেট

সোমবার ম্যালওয়্যার আক্রমণে বিশ্বব্যাপী ক্র্যাশ করতে পারে হাজারো ইন্টারনেট সার্ভিস। ইতোমধ্যেই এই সম্ভাব্য ম্যালওয়্যার আক্রমণের বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে ফেইসবুক এবং গুগলের মাধ্যমে। এমনকি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এই ম্যালওয়্যার আক্রমণ প্রতিরোধে তৈরি করেছে একটি বিশেষ ওয়েবসাইট। খবর ফক্স নিউজ-এর।

যেসব ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে ওই ম্যালওয়্যারটির সংক্রমণ হয়েছে, সোমবার মধ্যরাত থেকে (বাংলাদেশ সময় রোববার সকাল ১০টা) ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না তারা। পুনরায় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চাইলে তাদের যোগাযোগ করতে হবে তাদের সার্ভিস প্রোভাইডারের সঙ্গে এবং ডিলিট করতে হবে ম্যালওয়্যারটি, তবেই আবার ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন তারা।

ম্যালওয়্যারটির আক্রমণ শুরু হয় প্রায় বছরখানের আগে। একদল আন্তর্জাতিক হ্যাকার এক মিথ্যা অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই ম্যালওয়্যারটি ছড়িয়ে দেয়। ফলে বিশ্বব্যাপী ৫ লাখ ৭০ হাজার কম্পিউটার শিকার হয়ছিলো ওই ম্যালওয়্যার আক্রমণের।

২০১১ সালের শেষ দিকে হ্যাকারদের বিরুদ্ধে মাঠে নামে এফবিআই। কিন্তু ম্যালওয়্যার ছড়ানো সার্ভারগুলো বন্ধ করে দিলে ব্যবহারকারীদের কম্পিউটারে ইন্টারনেট সার্ভিস বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এ জন্য একটি প্রাইভেট কোম্পানির সাহায্য নিয়ে দু’টি সার্ভার চালু করেছিলো এফবিআই, যেন ব্যবহারকারীরা তাদের ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন।

সোমবার ১২টা ১ মিনিটে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে এফবিআই চালিত ওই সার্ভার দুটি। আর সার্ভার দু’টি বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই ইন্টারনেট সার্ভিস বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে ম্যালওয়্যার আক্রান্ত পিসিগুলোর। এখনও বিশ্বব্যাপী ২ লাখ ৭৭ হাজার কম্পিউটারে এই ম্যালওয়্যারটির অস্তিত্ত্ব থাকতে পারে। এর মধ্যে ৬৪ হাজার কম্পিউটার রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।

গুগল এবং সোশাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট ফেইসবুক ইতোমধ্যেই ম্যালওয়ারটির বিষয়ে সাবধান করে দিয়েছে। ম্যালওয়ারটি পিসির ইন্টারনেট ব্যবহারের গতি কমিয়ে দেয় এবং পিসির অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি নিষ্ক্রিয় করে দেয়, যার ফলে বিশেষ ওই ম্যালওয়্যারটি ছাড়াও অন্যান্য ভাইরাস আক্রমণের শিকার হতে পারে ব্যবহারকারীর পিসি।

সবুজ সংকেত পেলো গোল-লাইন টেকনোলজি

সবুজ সংকেত পেলো গোল-লাইন টেকনোলজি

ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (ওঋঅই)-এর সমর্থন পেয়েছে ফুটবল খেলার গোলা লাইন প্রযুক্তি। ফিফার কাছ থেকেও সবুজ সংকেত পেয়েছে হক-আই এবং গোলরিফ নামের দু’টি গোল লাইন প্রযুক্তি। ২০১২-১৩ প্রিমিয়ার লিগ দিয়েই ফুটবল মাঠে অভিষেক হতে পারে নতুন এই প্রযুক্তির। খবর বিসিসির।

২০১২-১৩ মৌসুমে বৃটিশ প্রিমিয়ার লিগ ছাড়াও এই ডিসেম্বরেই ফিফার ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপে ব্যবহার করা হবে এই প্রযুক্তি। সফল হলে এর পর ২০১৩ সালের কনফেডারেন্স কাপ এবং ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলেও ব্যবহার করা হবে এই প্রযুক্তি।

হক-আই:
ফিফার অনুমোদন পাওয়া হক-আই সিস্টেমসটিতে রয়েছে ছয়টি ক্যামেরা যা ফুটবলটিকে মনিটর করবে এবং ট্রায়াঙ্গুলেশন সিস্টেম ব্যবহার করে বলটির অবস্থান নিশ্চিত করবে। ফুটবলটি গোল লাইন অতিক্রম করলেই একটি এনক্রিপ্টেড রেডিও সিগনাল পৌঁছে যাবে রেফারির হাত ঘড়িতে। পুরো ব্যাপারটি ১ সেকেন্ডেরও কম সময়ে হয়।

গোলরিফ:
গোলরিফ প্রযুক্তিতে ফুটবলটিতে একটি মাইক্রোচিপ দেয়া থাকে এবং বলটির চারপাশের চৌম্বক ক্ষেত্রকে মনিটর করা হয়। ফুটবলটি গোল লাইন অতিক্রম করলেই চারপাশের চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তন মনিটর করে এবং এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে রেফারিকে জানিয়ে দেয় গোল হয়েছে কি না।

এদিকে মাঠে গোল লাইন টেকনোলজির অভিষেক হতে পারে প্রিমিয়ার লিগ দিয়েই। এ ব্যাপারে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অনেকদিন ধরেই প্রিমিয়ার লিগ গোল লাইন টেকনোলজির সমর্থন করে আসছে। যত দ্রুত সম্ভব মাঠে এই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে।’



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস/এইচবি

শুক্রবার, ৬ জুলাই, ২০১২

হতাশা ও উদ্বেগের পেছনে শৈশবের শাস্তি’

শৈশবে ধাক্কা, থাপ্পর বা আঘাত পাওয়া শিশুদের মধ্যে পরবর্তীতে হতাশা, উদ্বেগ ও ব্যক্তিত্বের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সম্প্রতি কানাডার একদল গবেষকের পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। পেডিয়াট্রিকস সাময়িকীতে এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

২০০৪-২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জরিপের জন্য নেওয়া ৩৫ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির সাক্ষাতকারের তথ্যের ভিত্তিতে নতুন এ গবেষণা করা হয়েছে।

শিশু বয়সে কতবার শারীরিক শাস্তি পেয়েছে, পিতামাতার মাদক বিষয়ক বা কারাগারে যাওয়ার মতো পরিবারের অন্য কোনো সমস্যা ছিলো কিনা এবং বর্তমান বা অতীতের মানসিক সমস্যার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের।

অংশগ্রহণকারীদের ছয় শতাংশ জানায়, তাদের ‘মাঝে মাঝে’, ‘মোটামুটি প্রায়ই’ অথবা ‘প্রায়ই’ শারীরিক শাস্তি দেওয়া হত। আর এদেরই মানসিক সমস্যা অথবা মাদক ও মদ ব্যবহারের সঙ্গে বেশি সংশ্লিষ্টতা লক্ষ করা গেছে।

উদাহরণস্বরূপ, শারীরিক শাস্তি পাওয়ার কথা স্মরণ করতে পেরেছে এমন মানুষের ২০ শতাংশ মনোবল হারিয়েছে এবং ৪৩ শতাংশ মাদক গ্রহণ করেছে। অপরদিকে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শারীরিক শাস্তি পায় নি অথচ মনোবল হারিয়েছে এমন ব্যক্তির সংখ্যা ১৬ শতাংশ ও অতিরিক্ত মদ্যপানকারীর সংখ্যা ৩০ শতাংশ।

এসব সংযোগ বের করার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীদের পারিবারিক সমস্যা, গোত্র, আয় ও শিক্ষাগত যোগ্যতাও বিবেচনা করেছেন গবেষকরা।

প্রধান গবেষক মানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেসি আফিফি ও তার দল জানায়, শারীরিক শাস্তির কারণে শিশুদের দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপের সৃষ্টি হতে পারে যা থেকে পরবর্তীতে হতাশা বা উদ্বেগের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

গবেষকদের এ ধরনের ফলাফলে সমর্থন জানিয়েছেন মনস্তত্ববিদ ও টোলেডো কলেজ অব মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ুথ ভায়োলেন্সের শিক্ষক মিশেল নক্স।

তবে শুধু শাস্তির কারণেই যে শিশুদের মানসিক বৈকল্য ঘটে তা মনে করেন না তিনি।

নক্স বলেন, সাক্ষাতকারদাতারা হয়ত জানেন না তাদের পিতামাতার মানসিক অসুস্থতার কোনো ধরনের চিকিৎসা হয়েছে কিনা। আর হতাশা ও উদ্বেগ অনেকটা বংশানুক্রমিকভাবেই চলে আসে।

উইন্ডোজ ৮-এর বিস্তারিত জানালো মাইক্রোসফট


উইন্ডোজ ৮-এর বিস্তারিত জানালো মাইক্রোসফট



সম্প্রতি মাইক্রোসফট প্রথমবারের মতো তাদের পরবর্তী অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এই সংস্করণকে ‘উইন্ডোজ ৮’ বলেই ডাকা হবে বলেও জানিয়েছে মাইক্রোসফট। খবর ম্যাশএবল-এর।


সূত্রমতে, উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমটি ৩২ ও ৬৪ বিট দু’ধরনের হার্ডওয়ারেই চলবে। তবে প্রধানত চার ধরনের উইন্ডোজ ৮ বাজারজাত করা হবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।


‘রেগুলার উইন্ডোজ ৮’ থাকছে একেবারেই সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য। এতে কম্পিউটিংয়ের দৈনন্দিন যাবতীয় কাজ করা যাবে।


‘উইন্ডোজ ৮ প্রো’ থাকছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ডেভেলপার এবং প্রযুক্তিমনস্ক মানুষের জন্য। এতে অ্যাডভান্সড কিছু সুবিধা যেমন ফাইল এনক্রিপ্ট করা, ভার্চুয়াল হার্ড ড্রাইভ থেকে বুট করা ইত্যাদি থাকছে। এছাড়াও মিডিয়া সেন্টার পিসিতে ব্যবহারের জন্য উইন্ডোজ ৮ প্রো এবং মিডিয়া প্যাক অ্যাড-অনের প্রয়োজন পড়বে যা সাধারণ উইন্ডোজ ৮-এ দেয়া থাকবে না বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।


‘উইন্ডোজ ৮ আরটি’ ট্যাবলেট ডিভাইসে চালানোর উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। আরটি বলতে কী বোঝানো হচ্ছে সে ব্যাপারে মাইক্রোসফট পরিষ্কার কিছু না জানালেও ম্যাশএবল ধারণা করছে ‘রান-টাইম’ বোঝাতেই আরটি যোগ করা হয়েছে। তবে এআরএম চিপের জন্য তৈরি এই উইন্ডোজের সংস্করণ আলাদা কিনতে পাওয়া যাবে না। সংশ্লিষ্ট ট্যাবলেট ডিভাইসেই জুড়ে দেয়া থাকবে উইন্ডোজ ৮ আরটি। সেই সঙ্গে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট এবং ওয়াননোটের বিনামূল্যের একটি সংস্করণও প্রি-ইনস্টলড থাকবে উইন্ডোজ ৮ আরটি-চালিত ট্যাবলেট ডিভাইসে।


এই তিনটি ছাড়াও আরও বড় কাজের জন্য ‘উইন্ডোজ ৮ এন্টারপ্রাইজ’ সংস্করণ রয়েছে বলেও জানিয়েছে মাইক্রোসফট। এতে উইন্ডোজ ৮ প্রো-এর সব সুবিধার পাশাপাশি আইটি প্রফেশনালদের জন্য বাড়তি কিছু সুবিধাও যোগ করা থাকবে; যেন একাধিক কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কিং আরও সহজে করা যায়। এছাড়াও চীনসহ বেশ কিছু দেশের জন্য স্থানীয় ভাষাতেও একটি লোকাল-ল্যাঙ্গুয়েজ সমৃদ্ধ উইন্ডোজ ৮ বাজারে ছাড়বে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উইন্ডোজ ৮-এর নতুন এই পরিকল্পনার মাধ্যমে বাজারকে আরও বড় করে তুলছে মাইক্রোসফট। একইসঙ্গে যার যে কাজে কম্পিউটার প্রয়োজন, তাকে অপারেটিং সিস্টেমের ঠিক সেই সংস্করণ (রেগুলার, প্রো, আরটি অথবা এন্টারপ্রাইজ) ব্যবহার করতে বাধ্য করাও মাইক্রোসফটের পরিকল্পনার অংশবিশেষ বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।

তবে কবে নাগাদ সার্বিকভাবে প্রস্তুত উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেম বাজারে আসবে, সে সম্পর্কে এখনো কিছু জানায়নি মাইক্রোসফট।