বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

মহাকাশে মিলল এলিয়েনের সন্ধান! (ভিডিওসহ)

মহাকাশে মিলল এলিয়েনের সন্ধান! (ভিডিওসহ)



অ- অ অ+

সম্প্রতি স্পেসএক্স স্যাটেলাইট লাইভ স্ট্রিমের নতুন একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে যে, একটি ইউএফও (আন আইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট) ফ্যালকন-৯ নামের একটি রকেটের নীচে পরিভ্রমণ করছে। স্যাটেলাইট জেসিএসএটি -১৮/ ক্যাসিফিক-১ মহাকাশে প্রেরণ করার সময় এটা দৃশ্যমান হয়েছে।

ভিডিওটি ফুটেজটি ইউটিউবে ধারণ করেছেন উইলইয়েজে। তিনি তাঁর পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে লিখেছেন, সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল এয়ার ফোর্স স্টেশন কমপ্লেক্স ৪০ (এসএলসি -৪০) থেকে স্পেসএক্স মহাকাশে প্রেরণ করা হয়েছে। উপগ্রহটি লিফট অফের প্রায় ৩৩ মিনিটের পরে স্থাপন করা হয়েছিল।

তিনি জানান, ভিডিওটিতে একটি উজ্জ্বল অস্বাভাবিক বস্তুর গতি এবং দিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। এর মাধ্যমে মহাকাশযানটির ঘূর্ণনের অভিমুখের পরিবর্তনকে ব্যাখ্যা করা যায়। স্থলভাগে অবস্থিত বস্তুগুলি দিক পরিবর্তন করে বলে মনে হয়। এটি গতির পরিবর্তনের ব্যাখ্যা দেয় না। পৃথিবীর আবর্তন একই গতিতে চলেছে।

ইউএফও বিশেষজ্ঞ স্কট ওয়ারিংও ভিডিওটি দেখেছেন। এ বিষয়ে তিনি তার ওয়েবসাইটে লিখেছেন, এই ভিডিওটিতে ৩.০২ তে যান এবং আপনি স্পেসএক্স উপগ্রহের নীচে এবংএকটি বাঁকা ট্র্যাজেক্টোরির শ্যুটে প্রায় এক মিটার জুড়ে একটি বিশাল সাদা ডিস্ক দেখতে পাবেন। মহাকাশে কোনও বস্তুর তার পথ বাঁকানোর কোনও উপায় নেই। কেবলমাত্র বুদ্ধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বা জীবিত জীবই এ জাতীয় বক্রতা অর্জন করতে পারে।

তাঁর অভিমত, এটি ১০০ ভাগ প্রমাণ যে, এলিয়েনরা স্পেসএক্স মিশনটি এত কাছ থেকে দেখছে যে তারা সেটা স্পর্শ করতে পারে।

তিনি বলেন, এটা (এলিয়েনের বিষয়ে) ১০০ ভাগ প্রমাণ।

রহস্যজনক ওই ফুটেজের বিষয়টি স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের মনেও প্রশ্ন তৈরি করেছিল। ইলন মাস্ক দীর্ঘকাল ধরে মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপনের ইচ্ছা পোষণ করে আসছেন।

ওয়ারিং প্রশ্ন রাখেন, ইলন (এসআইসি) কেন এটিকে জনসাধারণের কাছ থেকে গোপন রাখছেন?

আদিম মানুষের সঙ্গে সেক্স করেছিল আধুনিক মানুষ

আদিম মানুষের সঙ্গে সেক্স করেছিল আধুনিক মানুষ


আদিম মানুষের সঙ্গে সেক্স করেছিল আধুনিক মানুষ
অ- অ অ+

আদিম মানুষের সঙ্গে সেক্স করেছিল আধুনিক সভ্য মানুষ। গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
আজ থেকে প্রায় ১ লাখ বছর আগে। এমনটাই ঘটেছিল। এর আগেও আদিম মানুষের সঙ্গে সেক্সের বিষয়টি গবেষণায় উঠে এসেছিল। তখন ভাবা হয়েছিল ৪৭,০০০ থেকে ৬৫,০০০ হাজার বছর আগে এমনটা হয়েছিল। কিন্তু, সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে সে ভাবনা ভুল।
দীর্ঘদিন ধরে DNA নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয়। তারপরই আদিম মানুষের সঙ্গে সেক্সের বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হন গবেষকরা। আফ্রিকা থেকে আধুনিক সভ্য মানুষ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার আগেই ঘটেছিল এ ঘটনা

দীপিকাকে জড়িয়ে অঝোরে কাঁদলেন শ্রীদেবীর স্বামী

দীপিকাকে জড়িয়ে অঝোরে কাঁদলেন শ্রীদেবীর স্বামী


দীপিকাকে জড়িয়ে অঝোরে কাঁদলেন শ্রীদেবীর স্বামী
অ- অ অ+

বলিউডের রানি খ্যাত শ্রীদেবীর চির বিদায়ের দুই বছর হতে যাচ্ছে। কিন্তু স্ত্রীর শোকে এখনো কাতর শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুর। সম্প্রতি দিল্লিতে শ্রীদেবীর বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে কেঁদে ফেললেন তিনি। বনিকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে দেখে জড়িয়ে ধরে তাকে সান্ত্বনা দিলেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন।

অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, দীপিকা পাড়ুকোন বলছেন, আজও শ্রীদেবীকে মনে পড়ে। এমনকি তার কাজের অনুপ্রেরণার পেছনেও কাপুরদের অবদান অনেকটা। ছবি মুক্তি পেলেই এই পরিবার থেকে শুভেচ্ছাবার্তা আসে।

দীপিকা বলেন, আমি মনে করি আজকের এই সন্ধ্যা আমার জন্য বিটার সুইট। আমরা তাকে মিস করি। তবে একই সঙ্গে, আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করি যে কাপুর পরিবার আমাকে এই সুযোগ দিয়েছে।

দীপিকা যখন এসব কথা বলছিলেন, তখন তার পাশে বসেছিলেন বনি কাপুর। তিনি অভিনেত্রীর কথা শুনে আবেগে ভেঙে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে জড়িয়ে ধরেন দীপিকা। সান্ত্বনা দেন।

বইটি লিখেছেন সত্যার্থ নায়ক। এর মুখবন্ধ লিখেছেন কাজল। সেখানে তিনি লিখেছেন, শ্রীদেবীর সুপারস্টারডাম দেখে বড় হয়েছেন তিনি। বড়পর্দায় শ্রীদেবীর ম্যাজিক মোহিত করেছিল তাকে। অভিনয়ের তিনি যেন একটি প্রতিষ্ঠান। শ্রীদেবীই তার প্রিয় আইকন।

শ্রীদেবীর জীবনের গল্প বড়পর্দায় তুলে আনতে চলেছেন বনি কাপুর। শোনা যাচ্ছে, তার কাজও নাকি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছিল, বায়োপিকে শ্রীদেবীর ভূমিকায় অভিনয় করতে নাকি দীপিকা পাড়ুকোনকেই দেখা যাবে।

নববী চিকিৎসা সুস্বাদু মধুর স্বাস্থ্যগুণ

নববী চিকিৎসা
সুস্বাদু মধুর স্বাস্থ্যগুণ
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

সুস্বাদু মধুর স্বাস্থ্যগুণ
অ- অ অ+

আধুনিক যুগে চিকিৎসাবিজ্ঞান উন্নতির শীর্ষ চূড়ায় পৌঁছে গেছে। কিন্তু এসব চিকিৎসাসামগ্রীর মূল উপাদান খাদ্যদ্রব্য। মহান আল্লাহ প্রকৃতিতে মানুষের সুস্থ থাকার উপাদানগুলো রেখে দিয়েছেন। প্রাকৃতিক ওষুধের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো—কালিজিরা, পেঁয়াজ, রসুন ও মধু। মধু হচ্ছে সুস্বাদু গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যনির্যাস। এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। মধু একটি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। মধুর নিরাময়শক্তি বিস্ময়কর। এ বিষয়ে কোরআনের ভাষ্য এমন : ‘তোমার রব মৌমাছিকে তার অন্তরে ইঙ্গিত দিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন, গৃহনির্মাণ করো পাহাড়ে, বৃক্ষে ও মানুষ যে গৃহনির্মাণ করে, তাতে। এরপর প্রত্যেক ফল থেকে কিছু কিছু আহার করো। অতঃপর তোমার রবের সহজ পথ অনুসরণ করো। তার পেট থেকে নির্গত হয় বিবিধ বর্ণের পানীয়, যাতে মানুষের জন্য রয়েছে আরোগ্য। অবশ্যই তাতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৬৮-৬৯)

বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায়, রাসুল (সা.) মধু ব্যবহারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা কোরআন ও মধু দিয়ে ব্যাধি নিরাময়ের ব্যবস্থা করবে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৪৫২)

মহানবী (সা.)-এর কাছে এক সাহাবি এসে তার ভাইয়ের পেটের অসুখের কথা বললে রাসুল (সা.) তাকে মধু পান করানোর পরামর্শ দেন এবং এতে সে সুস্থ হয়ে ওঠে। (বুখারি, হাদিস : ৫৩৬০)

আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মিষ্টি ও মধু খুব ভালোবাসতেন। (বুখারি, হাদিস : ৫২৭০)

মধুর মধ্যে রয়েছে অনেক রোগের প্রতিষেধক। মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে। ফুলের পরাগের মধুতে থাকে ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ, ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ ফ্রুক্টোজ, ০.৫ থেকে ৩.০ শতাংশ সুক্রোজ এবং ৫ থেকে ১২ শতাংশ মন্টোজ। আরো থাকে ২২ শতাংশ অ্যামাইনো এসিড, ২৮ শতাংশ খনিজ লবণ এবং ১১ শতাংশ এনকাইম। এতে চর্বি ও প্রোটিন নেই। ১০০ গ্রাম মধুতে থাকে ২৮৮ ক্যালরি।

মধুতে রয়েছে ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স। এটি ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এক চা চামচ খাঁটি মধু ভোরবেলা পান করলে কোষ্ঠবদ্ধতা এবং অম্লত্ব দূর হয়।

মধু রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে বলে এটি রক্তশূন্যতায় বেশ ফলদায়ক। কারণ এতে থাকে খুব বেশি পরিমাণে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ।

ফুসফুসের যাবতীয় রোগে মধু উপকারী। যদি একজন অ্যাজমা (শ্বাসকষ্ট) রোগীর নাকের কাছে মধু ধরে শ্বাস টেনে নিতে বলা হয়, তাহলে সে স্বাভাবিক ও গভীরভাবে শ্বাস টেনে নিতে পারবে। অনেকে মনে করে, এক বছরের পুরনো মধু শ্বাসকষ্টের রোগীর জন্য বেশ ভালো।

মধু অনিদ্রার ভালো ওষুধ। রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে এটি গভীর ঘুম ও সম্মোহনের কাজ করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া মধুতে ডুবিয়ে দিলে মারা যায়। মধু ইস্টের (ণবধংঃ) বংশবৃদ্ধি ঘটতে দেয় না। এ কারণে খাঁটি মধু বোতলজাত করে অনেক দিন রাখা যায়। মধু একটি উৎকৃষ্ট প্রিজারভেটিভ বা সংরক্ষক। চিকিৎসাশাস্ত্রের অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদে ঔষধি গুণ বেশি দিন ধরে রাখার জন্য ওষুধের সঙ্গে অ্যালকোহল বা রেক্টিফায়েড স্পিরিট মেশানো হয়। ইউনানিতে এর পরিবর্তে মেশানো হয় মধু। মিয়ানমারের বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা শব দাহ করার আগে মধুতে ডুবিয়ে রেখে সংরক্ষণ করতেন। মিসরে গিজেহ পিরামিডের গহ্বর মধু দ্বারা পূর্ণ করা ছিল। সারা পৃথিবীতে কাশির ওষুধ ও অন্যান্য মিষ্টিদ্রব্য তৈরি করতে প্রতিবছর কমপক্ষে ২০০ টন মধু ব্যবহৃত হয়। খুসখুসে কাশিতে মধুর সঙ্গে লেবুর রস উপশমদায়ক। মাতাল রোগীকে স্থিরাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে মধু কার্যকর ভূমিকা রাখে। (আদ-দিমাশকি, আত-তিব্বুন নববী, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ২৭)

এ ছাড়া যক্ষ্মা, বহুমূত্র, হৃদেরাগ, ব্লাডপ্রেসার, বাত, যৌন সমস্যা ইত্যাদি রোগে নিয়মিত মধু সেবন করায় উপশম হয়।

এই শীতে জয়েন্টে ব্যথা হলে

এই শীতে জয়েন্টে ব্যথা হলে...
ডা. জি এম জাহাঙ্গীর হোসেন

এই শীতে জয়েন্টে ব্যথা হলে...
অ- অ অ+

শীতকালে জোড়া বা বাতের ব্যথা মাত্রাতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পায়। বয়স্ক লোকজন, বিশেষ করে যাঁরা আর্থ্রাইটিস, রিওমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও অস্ট্রিওআর্থ্রাইটিসের মতো হাড়ক্ষয় রোগে ভুগছেন, তাঁদের কষ্ট বহুলাংশে বেড়ে যায়। এ ছাড়া পেশি, লিগামেন্ট, হাড় ও স্নায়ুর ব্যথা তীব্র হয়। তাই এ সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

কারণ
♦ শীতকালে স্বাভাবিক নড়াচড়া কম হয় এবং বায়ুর চাপ কম থাকে বলে মানুষের টিস্যুগুলো ফুলে যায়। ফলে জয়েন্ট বা জোড়া জমে যায়; তখন ব্যথার উদ্রেক করে।

♦ শীতের প্রকোপে রক্তনালির খিঁচুনি ও সংকোচন হলে জোড়া, পেশি ও হাড়ে রক্ত চলাচল আগের চেয়ে বেশ কমে যায়; তখন ব্যথা-বেদনা বেড়ে যায়।

♦ শীতে স্নায়ুর সহ্যক্ষমতা কম থাকে এবং অল্পতেই উত্তেজিত হয় বিধায় ব্যথার অনুভূতি বেড়ে যায়।

লক্ষণ
শীতকালে জয়েন্টগুলো, বিশেষ করে ঘাড়, কোমর ও হাঁটুতে ব্যথা বেশি বাড়ে। এ ছাড়া কটি, গোড়ালি, কাঁধ, কনুই ও কবজিতে ব্যথা হয়, জমে যায়। হাত সামনে-পেছনে নেওয়া ও হাত দিয়ে কিছু তোলাও কষ্টকর হয়। হাঁটু ও কোমর সোজা অবস্থা থেকে ভাঁজ করতে এবং বসতে-উঠতে ভীষণ অসুবিধা হয়।

চিকিৎসা
♦ কুসুম কুসুম গরম পানির সেঁক (ময়েস্ট হিট) আর্থ্রাইটিসের ব্যথার জন্য খুবই কার্যকর। এর পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথা ও আর্থ্রাইটিসের অন্যান্য ওষুধ সেবন করতে হবে।

♦ ব্যথানাশক জেল বা মলম দিয়ে হালকাভাবে জোড়ায় ম্যাসাজ করলে ব্যথা নিরাময় হয়।

♦ ব্যথা নিরাময়ে জয়েন্টে ইনজেকশন (স্টেরয়েড ও হায়ালুরোনিক এসিড) পুশেরও প্রয়োজন হয়।

প্রতিরোধে করণীয়
♦ যথেষ্ট গরম কাপড় পরিধান করে শীত থেকে হাড় জোড়াকে রক্ষা করতে হবে।

♦ এক অবস্থায় (বসা, দাঁড়ানো) আক্রান্ত জোড়াকে বেশিক্ষণ রাখা যাবে না।

♦ সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা কম করতে হবে। প্রয়োজনে হাতে স্টিক, পায়ে কুশনযুক্ত জুতা এবং গোড়ালি, হাঁটু, কোমর, ঘাড়, কাঁধ, কনুই ও কবজিতে সাপোর্ট বা ব্রেচ ব্যবহার করতে হবে।

♦ হালকা ব্যায়াম জোড়া ব্যথা উপশমে বেশ ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে শীতকালে কঠোর ব্যায়াম আক্রান্ত জোড়ায় রক্ত চলাচল কমিয়ে ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। জোড়ার স্বাভাবিক নড়াচড়া এবং পেশি, টেনডন ও লিগামেন্টের নমনীয়তা জোড়াকে ব্যথামুক্ত রাখে।

♦ শীতকালে উপযুক্ত খাদ্যদ্রব্য গ্রহণে আর্থ্রাইটিস বা বাত ব্যথার তীব্রতা কমে আসে। এ জন্য সতেজ শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া উচিত। গাজর, শসা, মুলা ইত্যাদি সবজি ব্যথা সৃষ্টিকারী পদার্থকে শরীর থেকে সহজেই বের করে দেয়।

♦ ফলের রস সেবন জোড়াকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

♦ সকালে খালি পেটে রসুন খেলে রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জোড়ায় রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে বলে ব্যথা অনেকাংশে কম অনুভূত হয়।

♦ আদা ও লেবুর রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সকালে এবং রাতে সেবন করলে আর্থ্রাইটিস ব্যথা আস্তে আস্তে কমে আসে।

♦ এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘ডি’, ‘এ’ ও ‘সি’ সেবন করতে হবে। এতদসত্ত্বেও ব্যথা উপশম না হলে উপযুক্ত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

লেখক : হাড়, ট্রমা ও জোড়া বিশেষজ্ঞ এবং অর্থ্রোস্কোপিক সার্জন
বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল, শ্যামলী, ঢাকা।

ঈমান জাগানিয়া গল্প বনি ইসরাঈলের তিন ব্যক্তির পরীক্ষা নিতে ফেরেশতা পাঠালেন আল্লাহ

ঈমান জাগানিয়া গল্প
বনি ইসরাঈলের তিন ব্যক্তির পরীক্ষা নিতে ফেরেশতা পাঠালেন আল্লাহ
মুহাম্মাদ হেদায়াতুল্লাহ

বনি ইসরাঈলের তিন ব্যক্তির পরীক্ষা নিতে ফেরেশতা পাঠালেন আল্লাহ
অ- অ অ+

আল্লাহ তাআলা মানুষকে নানাভাবে পরীক্ষা করেন। কাউকে পরীক্ষা করেন রোগ-ব্যাধি ও বিপদ-আপদ দিয়ে, আবার কাউকে করেন সম্পদ-প্রাচুর্য দিয়ে। তবে সর্বাবস্থায় একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, আল্লাহর সন্তুষ্টিদায়ক কাজে অবিচল থাকা। সুখ-দুঃখ যেকোনো পরিস্থিতি হোক, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা চাই। সুসময় হলে তা অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা করবে। আর কঠিন সময়ের সম্মুখীন হলে তা থেকে পরিত্রাণের দোয়া করবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা কৃতজ্ঞ হলে আমি তোমাদের অবশ্যই বাড়িয়ে দেব, আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠিন।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৭)

প্রিয়নবী (সা.) মুমিনকে প্রাচুর্য ও বিপদের সময় কৃতজ্ঞতা ও ধৈর্যের শিক্ষা দিয়েছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের ব্যাপারটা বিস্ময়কর। তার সব কাজে কল্যাণ নিহিত। মুমিন ছাড়া অন্যদের ক্ষেত্রে এমন নয়। মুমিন আনন্দের মুহূর্তে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। এতে তার কল্যাণ হয়। আবার বিপদের মুহূর্তে সে ধৈর্য ধারণ করে। এটাও তার কল্যাণ বয়ে আনে।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৯৯৯)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, বনি ইসরাঈলের মধ্যে তিনজন লোক ছিল। তাদের একজন ছিল কুষ্ঠরোগী, অপরজনের টাকমাথা এবং অন্যজন অন্ধ। মহান আল্লাহ তাদের পরীক্ষা করতে চাইলেন। তাদের কাছে একজন ফেরেশতা পাঠালেন।

কুষ্ঠরোগীর কাছে এসে ফেরেশতা বলল, তোমার সবচেয়ে পছন্দের বস্তু কী? সে বলল, সুন্দর রং ও সুন্দর চামড়া এবং যে রোগের কারণে মানুষ আমাকে ঘৃণা করে তা থেকে মুক্তি লাভ করা। ফেরেশতা তার দেহ মুছে দিল। এতে তার গায়ের রোগ দূর হয়। তাকে সুন্দর রূপও দেওয়া হলো। অতঃপর ফেরেশতা জিজ্ঞেস করল, কোন সম্পদ তোমার কাছে খুব প্রিয়? সে বলল, উট অথবা গরু (বর্ণনাকারীর সন্দেহ আছে)। তাকে ১০ মাসের গর্ভবতী একটি উটনি দেওয়া হয়। ফেরেশতা বলল, আল্লাহ তোমাকে এতে বরকত দিন।

অতঃপর ফেরেশতা টেকো মাথার লোকের কাছে এলো। তাকে জিজ্ঞেস করল, তোমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কী? সে বলল, সুন্দর রং এবং টাক অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া, যার কারণে মানুষ আমাকে ঘৃণা করে। ফেরেশতা তার মাথা মুছে দিল। তার টাক ভালো হয়ে গেল। তার মাথায় সুন্দর চুল গজাল। ফেরেশতা প্রশ্ন করল, কোন সম্পদ তোমার কাছে খুব প্রিয়? সে বলল, গরু। তাকে একটি গর্ভবতী গাভি দেওয়া হলো। তিনি বললেন, আল্লাহ তোমাকে এতে বরকত দান করুন।

অতঃপর ফেরেশতা অন্ধ ব্যক্তির কাছে এলো। তাকে জিজ্ঞেস করল, তোমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কী? সে বলল, আল্লাহ যেন আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেন, যেন আমি মানুষকে দেখতে পারি। ফেরেশতা তার চোখ স্পর্শ করল। তার চোখের দৃষ্টি আল্লাহ ফিরিয়ে দিলেন। ফেরেশতা জিজ্ঞেস করল, কোন ধরনের সম্পদ তোমার কাছে খুব প্রিয়? সে বলল, ছাগল। তাকে বেশি বাচ্চা দেয় এমন ছাগি দেওয়া হলো।

অল্প দিনের ভেতর উট, গাভি ও ছাগলের বাচ্চা হলো। প্রত্যেকের একেকটি প্রান্তর ভরে গেল উট, গরু ও ছাগল দিয়ে। অতঃপর আগের ফেরেশতা কুষ্ঠরোগীর কাছে প্রথম বেশ ধারণ করে এসে বলল, আমি একজন অসহায় ব্যক্তি। এবারের ভ্রমণে আমার সব কিছু ফুরিয়ে গেছে। এখন আল্লাহ ও তোমার সহায়তা ছাড়া এমন কেউ নেই, যার সাহায্যে আমি গন্তব্যে পৌঁছতে পারব। মহান আল্লাহর নামে তোমার কাছে আমি একটা উট চাচ্ছি, যিনি তোমাকে সুন্দর রং, সুন্দর অবয়ব ও অঢেল সম্পদ দিয়েছেন। তা দিয়ে আমি গন্তব্যে পৌঁছতে পারব। এ কথা শুনে কুষ্ঠরোগী বলল, আমার অনেক ঋণ হয়েছে। ফেরেশতা বলল, তোমাকে তো আমি চিনি। তুমি কুষ্ঠরোগী ছিলে, মানুষ তোমাকে ঘৃণা করত, তাই না? তুমি তো নিঃস্ব ছিলে, আল্লাহ তোমাকে প্রাচুর্য দিয়েছেন। কুষ্ঠরোগী বলল, এই সম্পদ তো আমি উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছি। তিনি বললেন, তুমি মিথ্যাবাদী হলে আল্লাহ যেন তোমাকে আগের মতো করে দেন। অতঃপর ফেরেশতা টাক মাথার ব্যক্তির কাছেও আগের বেশ ধারণ করে এলো। ফেরেশতা তার কাছেও প্রথম ব্যক্তির মতো সাহায্যের আবেদন করল। সে-ও আগের ব্যক্তির মতো উত্তর দেয়। তাই ফেরেশতা তাকে বলল, তুমি মিথ্যাবাদী হলে আল্লাহ যেন তোমাকে আবার আগের মতো করে দেন।

অতঃপর ফেরেশতা অন্ধ ব্যক্তির কাছে আগের বেশে এসে বলল, আমি একজন অসহায় পথিক। আমার সফরের সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। এখন গন্তব্যে পৌঁছতে আল্লাহ ও তোমার সহায়তা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আল্লাহর নামে তোমার কাছে একটি ছাগল চাচ্ছি, যিনি তোমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন। লোকটি বলল, হ্যাঁ, আমি তো অন্ধ ছিলাম, আল্লাহ আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন। কাজেই তোমার ইচ্ছামতো তুমি নিয়ে যাও। আর যা ইচ্ছা রেখে যাও। আল্লাহর শপথ! আজ তুমি যা নেবে তাতে তোমাকে কোনো বাধা দেব না। ফেরেশতা বলল, তোমার সম্পদ তোমার কাছে থাক। তোমাদের সবাইকে পরীক্ষা করা হয়েছে। তোমার প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট আছেন এবং তোমার অপর দুজন সঙ্গীর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন। (বুখারি, হাদিস : ৩৪৬৪, মুসলিম, হাদিস : ২৯৬৪)

অতএব, একজন মুমিনের প্রাচুর্যের সময় সাধ্যমতো অন্যের সহায়তায় এগিয়ে আসা উচিত। কারণ অর্থ-বিত্ত সবই মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ। আমাকে তা দিয়েছেন সঠিক ব্যবহারের জন্য। কাজেই সহায়-সম্পদ ও অর্থবিত্তের অন্যায় ব্যবহার হলে আল্লাহ তা ছিনিয়ে নেবেন।

দুর্লভ সূর্যগ্রহণে কুসুফ নামাজ অনুষ্ঠিত হবে আমিরাতে


দুর্লভ সূর্যগ্রহণে কুসুফ নামাজ অনুষ্ঠিত হবে আমিরাতে


দুর্লভ সূর্যগ্রহণে কুসুফ নামাজ অনুষ্ঠিত হবে আমিরাতে
অ- অ অ+

আগামীকাল বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুর্লভ সূক্ষ্ম সূর্যগ্রহণ দৃশ্যমান হওয়ার সাথে সাথে সারা দেশের মসজিদে সালাতে কুসুফ অনুষ্ঠিত হবে।

আরব আমিরাতের ইসলামিক বিষয় ও যাকাত কর্তৃপক্ষের জেনারেল অথরিটি জানিয়েছে যে ২৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭টা ৪০ মিনিটে আবুধাবীর শেখ জায়েদ মসজিদ এবং অন্যান্য প্রধান মসজিদে 'কুসুফ' নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

বিরল এই সুর্যগ্রহণটি সর্বশেষে ১৮৪৭ সালে হয়েছিল। ইসলামী গবেষক ড. শেখ মোহাম্মদ আশমাউয়ের মতে, যখন সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণ ঘটে, তখন মহানবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুসুফের নামাজ পড়তেন।
নবীজির সময়, যখন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল, তখন তিনি উদ্বিগ্নভাবে মসজিদে ছুটে গেলেন এবং তাঁর চাদরটি পেছনে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং লোকদের নামাজে নিয়ে গেলেন। তিনি যখন গ্রহণের ঘটনা ঘটে তখন লোকদের প্রার্থনা করার আদেশ করেছিলেন।

মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, গ্রহণগুলি মানুষের ধার্মিক হওয়ার জন্য অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে।

এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাসিন্দারা আমিরাত স্পেস এজেন্সি কর্তৃক বেশ কয়েকটি পর্যবেক্ষকের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এবং পৃষ্ঠপোষকতায় বিনামূল্যে বিভিন্ন ইভেন্টে বিরল সূর্যগ্রহণ দেখতে পারবেন। দেখার স্টেশনগুলো আল দাফরার মদিনাত জায়েদের নিকটে লিওয়া হিলস হোটেলে, কসর আল সরব মরুভূমি রিসর্ট এবং আবুধাবিতে মেরিনা মলে। দুবাইয়ের মুশরিফ পার্কের আল থুরায়া জ্যোতির্বিজ্ঞান কেন্দ্রেও আংশিক গ্রহণ দেখতে পারবেন বাসিন্দারা।

হাদিসের নির্দেশনা কতটুকু খাবেন? ইসলাম যা বলে

হাদিসের নির্দেশনা
কতটুকু খাবেন? ইসলাম যা বলে
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

কতটুকু খাবেন? ইসলাম যা বলে
অ- অ অ+

বিজ্ঞানের উৎকর্ষের এই যুগে চিকিৎসাবিজ্ঞান সদর্পে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞান জীবনযাত্রা সহজ ও সাবলীল করেছে। কিন্তু নানা কারণে মানুষের মধ্যে রোগব্যাধি ও অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। শরীরের রোগ প্রতিরোধের উপাদানগুলো দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ছে। ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, ব্লাড প্রেসার, শ্বাসকষ্ট, অনিদ্রা ইত্যাদি রোগ আধুনিক মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। এর সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে নতুন নতুন ভাইরাস ও অদ্ভুত রোগব্যাধি। এসব রোগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ডাক্তার ও হাসপাতালের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু মানুষ আসলে কী পরিমাণ সুস্থ হচ্ছে বা সুস্থ থাকতে পারছে বা মানুষ কতটা ডাক্তারের ওপর আস্থা রাখতে পারে—সেটি এক অমীমাংসিত অধ্যায়। এসব রোগ ও রোগীর কূলকিনারা করতে না পেরে বর্তমানে এ কথার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে যে কম আহার করুন, বেশিদিন বাঁচুন। আর মানুষকে বারবার এ কথা বলা হচ্ছে যে বেশি খেলে বহু রোগ সৃষ্টি হয়। প্রফেসর রিচার বার্ড এই মর্মে একটি তালিকাও প্রণয়ন করেছেন। তিনি লিখেছেন, বেশি খেলে কী কী ক্ষতি হতে পারে—

১. মস্তিষ্কের ব্যাধি, ২. চক্ষুরোগ, ৩. জিব ও গলার রোগ, ৪. বক্ষ ও ফুসফুসের ব্যাধি, ৫. হূদেরাগ, ৬. যকৃত্ ও পিত্তের রোগ, ৭. ডায়াবেটিস, ৮. উচ্চ রক্তচাপ, ৯. মস্তিষ্কের শিরা ফেটে যাওয়া, ১০. দুশ্চিন্তাগ্রস্ততা, ১১. অর্ধাঙ্গ রোগ, ১২. মনস্তাত্ত্বিক রোগ, ১৩. দেহের নিম্নাংশ অবশ হয়ে যাওয়া। (‘সান’ উইকলি, সুইডেন)

গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে যে এই তালিকা প্রকৃতপক্ষে মৃত্যুর তালিকা, যা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু মহানবী (সা.)-এর জীবনচরিত ও হাদিসের প্রতি লক্ষ করুন। তাঁর খাদ্যবিধি পাঠ করুন। তিনি বলেছেন, ‘পেটের এক-তৃতীয়াংশ আহারের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ পানির জন্য আর এক-তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৩৪৯)

পেটের এক-তৃতীয়াংশ পানি দিয়ে পূর্ণ করতে বলার কারণ হলো, পানির মধ্যেও বহুবিধ উপকারিতা রয়েছে—

পানির উপকারিতা নিম্নরূপ
শরীরে পানির অভাব পূরণ করা, রক্তের তরলতা বজায় রাখা, শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় দূষিত জিনিস নির্গত করতে সাহায্য করা, খাদ্যদ্রব্য হজম করতে সাহায্য করা, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা, শরীরের অম্ল-ক্ষারের স্বাভাবিকতা ঠিক রাখা, হরমোন তৈরি করতে অনেক ক্ষেত্রে সাহায্য করা।

একজন ঈমানদার শুধু নামাজ-রোজায়ই তাঁর জীবনকে সীমাবদ্ধ রাখেন না; তাঁর আহার-বিহার, নিদ্রা-জাগরণ—সব কিছুই রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনাদর্শ মোতাবেক পরিচালিত হতে হবে।

মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রহ.) নাফে (রহ.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ইবনে ওমর (রা.) ততক্ষণ পর্যন্ত আহার করতেন না, যতক্ষণ না তাঁর সঙ্গে খাওয়ার জন্য একজন মিসকিনকে ডেকে আনা হতো। একবার আমি তাঁর সঙ্গে বসে খাওয়ার জন্য এক ব্যক্তিকে নিয়ে এলাম। লোকটি খুব বেশি পরিমাণে আহার করল। তিনি বলেন, নাফে! এমন মানুষকে আমার কাছে নিয়ে আসবে না। আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, মুমিন এক পেটে খায়। আর কাফির সাত পেটে খায়। (মুসলিম, হাদিস : ২০৬০, মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৫২২০)

বর্তমানে মিক্সড ফুড, পাঁচমিশালি সবজির প্রতি জোর দেওয়া হয়। বিশেষভাবে সকালের নাশতায় পাঁচমিশালি সবজি রাখার তাগিদ দেওয়া হয়। এ ধরনের খাবারের পুষ্টিগুণই শুধু বেশি নয়, বরং স্বাদেও অসাধারণ। এ বিষয়ে একটি হাদিস স্মরণীয়। সালামাহ (রহ.) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে এক যুদ্ধে গিয়েছিলাম। আমাদের মধ্যে খাদ্যের অভাব দেখা দিল। অবশেষে আমাদের কিছু সওয়ারির বাহন জবাই করার কথা ইচ্ছা করেছিলাম। তখন নবী করিম (সা.)-এর নির্দেশে আমরা আমাদের খাদ্যদ্রব্য একত্র করলাম। আমরা একটি চামড়া বিছালাম এবং তাতে লোকদের খাদ্যদ্রব্য জমা করা হলো। বর্ণনাকারী বলেন, আমি সেটির প্রশস্ততা অনুমান করার জন্য দাঁড়ালাম এবং আমি আন্দাজ করলাম, সেটি একটি ছাগল বসার স্থানের সমান। আর আমরা সংখ্যায় ছিলাম চৌদ্দ শ জন। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা সবাই তৃপ্তির সঙ্গে খেলাম। তারপর আমাদের নিজ নিজ খাদ্য রাখার থলে পূর্ণ করে নিলাম...।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ৪৩৬৯, ইফা)

এই হাদিসের ভাষ্য মতে, পাঁচমিশালি অল্প খাবার বহু মানুষের জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়।

মহান আল্লাহ আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থেকে তাঁর ইবাদত করার তাওফিক দান করুন।

উপকারী দোয় শত্রুর অনিষ্ট থেকে বাঁচার দোয়া



শত্রুর অনিষ্ট থেকে বাঁচার দোয়া
অ- অ অ+

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহুরিহিম ওয়া নাউজুবিকা মিং শুরুরিহিম।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমরা তাদের মোকাবিলায় তোমাকে যথেষ্ট ভাবছি এবং তাদের অনিষ্ট থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাইছি।’

উপকার : আবু বুরদা ইবনে আবদুল্লাহ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তার পিতা তাকে বর্ণনা করেন যে, নবী (সা.) কোনো সম্প্রদায় দ্বারা ক্ষতির আশঙ্কা করলে এই দোয়া পড়তেন।

জ্বলন্ত আগুনে উল্টো ঘি ঢাললেন ভারতীয় সেনাপ্রধান




জ্বলন্ত আগুনে উল্টো ঘি ঢাললেন ভারতীয় সেনাপ্রধান
অ- অ অ+

বিতর্কিত মন্তব্য করে ফের খবরের শিরোনাম হলেন ভারতীয় সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত। তাঁর বক্তব্য, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ভারত প্রত্যুত্তর দেওয়ার জন্য তৈরি।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং এনআরসি নিয়ে ভারতে এখন অশান্তি তুঙ্গে। আগুন ছড়াচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারতে। ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে দক্ষিণ ভারতের বেঙ্গালুরুতে। অশান্ত হায়দরাবাদ। ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে কাশ্মীর। এমন পরিস্থিতিতে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে আগুন যেন উস্কে দিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। বললেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে যে কোনো সময় যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ভারত প্রত্যুত্তর দেওয়ার জন্য তৈরি।

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা কোনো নতুন কথা নয়। গত কয়েক মাসে ভারত একাধিকবার দাবি করেছে যে, পাক সীমান্তরক্ষী বাহিনী অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে গুলি চালিয়েছে। পাকিস্তানও একাধিকবার একই দাবি করেছে। কিন্তু ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে কাশ্মীর পরিস্থিতি যে দিকে মোড় নিয়েছে, তাতে সীমান্তে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ভারত সরকার বার বার দাবি করছে কাশ্মীর শান্ত। কিন্তু কাশ্মীরীদের এক বড় অংশের দাবি সেখানে পরিস্থিতি ভয়াবহ। ১৩৪ দিন ধরে কাশ্মীর কার্যত অবরুদ্ধ। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। হাসপাতাল থেকে ব্যবসা কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এরই মধ্যে সেনাপ্রধানের মন্তব্যে কাশ্মীর উপত্যকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে।

যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ভারতীয় সেনাপ্রধানের এই মন্তব্যের জেরে সত্যি সত্যি যদি সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ে তাতে এই মুহূর্তে ভারতের পক্ষে তা সামলানো তত সহজ হবে না। কারণ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিক্ষোভের জেরে সেনা বাহিনীর একটি বড় অংশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে উত্তর পূর্ব ভারতে। দেশের ভিতরেও প্রায় সর্বত্র বিক্ষোভ চলছে। এই মুহূর্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি সামলানো মুশকিল।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, দেশের ভিতর দিকে দিকে বিক্ষোভ থেকে চোখ ঘোরানোর জন্যই কি এমন মন্তব্য করলেন রাওয়াত?

আগামী ৩১ ডিসেম্বর জেনারেল রাওয়াতের অবসর নেওয়ার কথা। তবে তার পরে তিনি দেশের নিরপত্তা প্রধান হতে পারেন। এই প্রথম এমন একটি পদ তৈরি করেছে সরকার। সেই পদে বসার কথা জেনারেল রাওয়াতের।

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বললাম, তুমি মুসলিম : এলিজাবেথ ভ্যালেনসিয়া

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বললাম, তুমি মুসলিম : এলিজাবেথ ভ্যালেনসিয়া


আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বললাম, তুমি মুসলিম : এলিজাবেথ ভ্যালেনসিয়া
প্রতীকী ছবি

অ- অ অ+

‘ইসলামের শাশ্বত বাণী আমার জীবনে আমূল পরিবর্তন এনেছে। আমার কাছে জীবনটা আগে থেকেই বিষাদময় মনে হতো। নিজেকে অনেক সময় অনেক কষ্ট দিতাম। মা-বাবা আমার প্রয়োজনের সবই সরবরাহ করতেন। তার পরও তাঁদের প্রতি ক্রোধান্বিত হতাম। জীবনটা আমার কাছে বরাবর বিষাদময় মনে হতো। স্কুলে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করতাম, যেন তারা অপরিচিত। মনে হতো, আমি যেমন নিজেকে চিনি না, তেমনি তাদেরও আমি চিনি না।

আমি আমার সাথিদের চেয়ে পড়াশোনায় বেশ ভালো ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমি ক্লাস ফাঁকি দিতে শুরু করলাম, ফলাফল খারাপ করলাম। তখন মিথ্যা বলা শুরু করলাম এবং ক্রমেই নিজের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হতে লাগলাম। বয়ফ্রেন্ডরাও আমাকে অপছন্দ করতে লাগল। সার্বিক দিক দিয়ে জ্বালা-যন্ত্রণা ক্রমে আমাকে অসহনীয় করে তুলল। আমার স্কুলের বন্ধু, মা-বাবা ও দাদা-দাদির কাছে বলতে শুরু করলাম আমার মানসিক অবস্থা। আমি অস্থির হয়ে ভাবতে শুরু করলাম আমি কী করব? তারপর হঠাৎ করেই একদিন মানসিক অবস্থা পরিবর্তনে আমি প্রার্থনা-উপাসনায় মনোযোগ দিলাম। কিন্তু ক্রমেই আমার মনের অবস্থা আরো কৌতূহলী, উচ্ছল হতে লাগল। বেড়ে গেল অনুসন্ধিৎসা। খুঁজতে লাগলাম কার উপাসনা করছি আমি। কোনো সমাধান পেলাম না। আমার সমস্যা আরো প্রকট হলো। আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা হলো। আমার যেসব বান্ধবীর বয়ফ্রেন্ড ছিল, তাদের হিংসা করতাম।

এরই মধ্যে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে স্কুল বন্ধ হলো। ৪ নভেম্বর শনিবার আমি একজনের দেখা পেলাম। তিনি আমাকে এক কপি পবিত্র কোরআন শরিফ উপহার দিলেন। আমি অধীর আগ্রহে পবিত্র কোরআন পাঠ করে তিন মাসে শেষ করলাম। এটিই ছিল আমার জীবনের প্রথম একাধারে পাঠ করে শেষ করা কিতাব। কোরআনের প্রতিটি শব্দ ও বাক্য আমাকে আবেগতাড়িত করল। আমার অনুভূতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার করল।

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০১ সাল। সেদিন আমি হঠাৎ কিছুটা বিষণ্নতায় ছিলাম। মনে মনে কোনো মুসলমান বন্ধুর টেলিফোন আশা করছিলাম। সেদিন আমি আমার স্কুল ফ্রেন্ড, বয়ফ্রেন্ড এমনকি মা-বাবার সম্পর্কের টানাপড়েন সইতে পারছিলাম না। প্রচণ্ড মানসিক দ্বন্দ্বে আমি ভুগছিলাম। সব প্রশংসা আল্লাহ পাকের, দরুদ ও সালাম নবীর ওপর। এই কঠিন সময়ে আমার মন পরিবর্তন হলো। আমি দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় মসজিদে হামজায় গিয়ে সেখান থেকে কিছু মুসলমানের ফোন নম্বর সংগ্রহ করলাম। এক দম্পতির সঙ্গে ফোনে কথা বললাম। উল্লেখ করলাম যে আমি বেশ কিছুদিন ধরে ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করছি। ১৩ বছর বয়স্ক এক মুসলিম মেয়েকেও পেলাম। আমি বললাম, মুসলমান হতে চাই। কিন্তু কিভাবে হতে হয়? সে বলল, এটা খুবই সহজ ব্যাপার। অন্তর থেকে মনোযোগসহকারে ঘোষণা দিতে হবে, স্বীকার করতে হবে, আল্লাহ এক ও একমাত্র উপাস্য। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর বান্দা ও রাসুল। মুসলিম মেয়েটি জিজ্ঞেস করল, আমি এ ঘোষণা তার বাবা ও বাবার সহযোগীর সামনে দিতে প্রস্তুত কি না? আমি রাজি হলাম। দুজন সাক্ষীর সামনেই আমি তাওহিদের মহান বাণী মনে-প্রাণে স্বীকার করে গ্রহণ করলাম। আনন্দে আমি মনভরে, প্রাণভরে কিছু সময় ধরে কাঁদলাম। আমি সেই মুসলিম বোনকে ইসলাম গ্রহণের কাহিনি শোনালাম। সবাই অভিবাদন জানাল, দোয়া করল আল্লাহর দরবারে। আমি তারপর গোসল করলাম। আয়নার সামনে দাঁড়ালাম, নিজেকে বললাম, তুমি মুসলমান। তুমি মুসলমান, ভুলে যেয়ো না, এই মুহূর্ত থেকে তুমি একজন মুসলিম নারী।

আমি দ্রুত নামাজ, রোজাসহ শরিয়তের বিধানাবলি শিখতে আরম্ভ করলাম। প্রয়োজনীয় সুরাগুলো মুখস্থ করলাম। স্কুলে যাওয়ার ফাঁকে আমি মাঝেমধ্যে মসজিদে যাওয়া শুরু করলাম। ইসলামী বইপুস্তক অধ্যয়ন শুরু করলাম। আস্তে আস্তে আমার মনের দৃঢ়তা বাড়তে থাকল। এরই মধ্যে আমি একদিন বাবার সঙ্গে ইসলাম সম্পর্কে আলোচনা করলাম। এ ব্যাপারে আলোচনায় কারো সঙ্গে আমার ভয় হতো না। ইসলামের কথা বলতে না বলতেই আমার ক্যাথলিক খ্রিস্টান পিতার ইসলাম সম্পর্কে ভুল ভাঙল।

ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার

ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার


ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার
অ- অ অ+

অতিরিক্ত ওজন হোক বা না হোক, আমরা সকলেই বিষাক্ত পদার্থ থেকে মুক্তি পেতে চাই। আপনি অবশ্যই জুস ডিটক্স, সালাদ ডিটক্স সম্পর্কে শুনেছেন, কিন্তু আপনি কি আপেল সিডার ভিনেগার ডিটক্সের কথা শুনেছেন? কিছু মশলার সাথে আপেল সিডার ভিনেগার একটি মিশ্রণ হল নতুন শুদ্ধি যা লোকেদের ওজন কমানোর চেষ্টা করছে।

ডিটক্স জনগণের ওজন হ্রাস করতে, তাদের কোলেস্টেরল কমাতে, রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে, রক্তচাপকে হ্রাস করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং শরীরের পিএইচ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

১–২ টেবিল-চামচ কাঁচা ছাপানো আপেল সিডার ভিনেগার, ২৫০ মিলি বিশুদ্ধ পানি এবং ১- ২ টেবিল চামচ সুইটেনার্স (মধু, ম্যাপেল সিরাপ বা স্টেভিয়া) নিন। সুবিধার জন্য অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (সপ্তাহ বা মাস) নিয়মিত এটি গ্রহণ করতে হবে।

২০০৯ সালে পরিচালিত একটি জাপানি গবেষণায় ১৫৫ জনকে নিয়ে গবেষণা করা হয়েছিল। এই লোকদের তিনটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছিল যার একটি গ্রুপের একটি প্লাসবো ছিল, অন্য গ্রুপে ছিল ১ টেবিল চামচ এসিভি এবং তৃতীয় গ্রুপে ২ টেবিল চামচ এসিভি রয়েছে।

১২ সপ্তাহ পরে, এটি পাওয়া গেছে যে প্ল্যাসেবো ছিল এমন লোকেরা কোনও ওজন কমাতে পারেনি। যাদের ভিনেগার ছিল তারা অধ্যয়ন শেষে ২–৪ পাউন্ড কমিয়েছিলেন। আপেল সিডার ক্লিনসকে ব্যয় করা হয় বলে বলা হয়, যা আপনাকে ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে। ভিনেগারের অম্লতা কম পিএইচ এবং ধীরে ধীরে হজমকে সক্রিয় করতে পারে। ধীরে ধীরে হজম মানে পরিপূর্ণ হয়।

আরবদের বহু বিবাহ প্রথা ও কিছু কথা

আরবদের বহু বিবাহ প্রথা ও কিছু কথা


আরবদের বহু বিবাহ প্রথা ও কিছু কথা
অ- অ অ+

বিয়ে একটি সামাজিক ও ধমীয় প্রথা। তবে একাধিক বিয়ে নিয়ে রয়েছে নানা মত। একাধিক বিয়ে নিয়ে কেউ সুখী আবার কেউ বা দুঃখী। যেমন, আমিরাতের (ইউএই) আরবদের একাধিক বিয়ে সংক্রান্ত ধ্যান-ধারণা কৌতুহলোদ্দীপক। একাধিক বিয়ে বা বউ নিয়ে তারা অত্যধিক সুখী না হলেও দুঃখী কাউকে দেখা যায় না। একাধিক বিয়ে নিয়ে আরবদের অনেকেই তেমন কিছু বলতে চান না। তবে অনেক ঘনিষ্ঠজনের কাছে প্রসঙ্গক্রমে বলেন অনেক কিছুই- সেসব থেকে জানা কিছু কিছু বিসয় তুলে ধরা হরো এখানে।

আমিরাতে বিয়ে করতে গেলে কনে পক্ষকে বিপুল পরিমাণ মোহরানার অর্থ দিতে হয়। এ কারণে বেশ কিছু আরব স্থানীয় আরব মেয়ের পরিবর্তে ভিনদেশি মেয়েদের বিয়ের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। আর আরব মেয়েরাও এতে তেমন একটা পিছিয়ে নেই। অবশ্য এখন অনেকেই একাকী জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। তাদের মতে সতীনের সঙ্গে ঘর করার চেয়ে একা থাকাই ভালো। এ কারণে অনেক আরব মেয়ে বিয়ে করেননি।

আবার অনেকে বিয়ে করে কিছুদিন সংসার করে পিতৃগৃহে বা নিজ ঘরে বসে আছেন। এখানে তালাক দেওয়া-নেওয়ার ঘটনা প্রচুর। যাদের ঘরে তিন-চারটা মেয়ে রয়েছে, তাদের ২-১ জনের বিয়ে হলেও ঘুরে ফিরে আবার তাদের বাপের বাড়িতেই দেখা যায়।

আহমদ আল শামসির (ছদ্মনাম) বয়স ৩৪, একটা কম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, তার দুজন স্ত্রী এবং চারটি সন্তান। বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতেই বলে ওঠেন, “এখন পর্যন্ত দুটো। তবে চারটা পর্যন্ত করার ইচ্ছে। এখন দুইজনকে দুই ঘরে রাখি, ঝামেলা তেমন একটা হয় না।" কৌশলে সব কিছু ম্যানেজ করেন বলে জানান তিনি। তার বাবার, শ্বশুরের আর দাদারও দুটো করে বউ ছিল বলে জানান।

এস হারিবের (ছদ্মনাম) বয়স ৩২, একটি সরকারি অফিসের বিশেষ বিভাগের প্রধান। বিয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে জানান, বউ তার একটাই। তবে ছয়জন ছেলেমেয়ে। ২২ বছর বয়সে নিজের কাজিনকে বিয়ে করেন তিনি।

হারিব আরও জানান, তার বাবার তিন বউ, শ্বশুরের চার বউ। আর বিয়ে করবেন কিনা জানতে চাইলে জানান, অন্তত দুই থেকে তিনটি বিয়ে করবেন তিনি। তবে এখন নয়- তা হবে চল্লিশের পর।

তিনি আরো জানান, তার তিনটি মোবাইল, একটি মোবাইলে তিন চারজন গার্ল ফ্রেন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ। পরে হয়তো এদের কাউকে বিয়ে করতে পারেন বলে জানান। বউয়ের সঙ্গে এদের কোনো সমস্যা হবে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি জানান, এসব কিছু ম্যানেজ করতে হবেই। শুধু বাড়ি, গাড়ি আলাদা করে দিলেই হলো। তবে তার বউ নাকি নিশ্চিত তার আরো দুই তিনজন সতীন আসবে।

আবু জিদান (ছদ্ম নাম) অর্থাৎ জিদানের বাবার বয়স ৫২ বছর। তার ছেলের নাম জিদান তাই তাকে সবাই আবু জিদান বলেই ডাকেন। আরবে কোনো ব্যক্তিকে তার বড় ছেলের নামের আগে আবু যুক্ত করে ডাকার রেওয়াজ রয়েছে। আবু জিদান একজন চৌকস ব্যবসায়ী, ঘরে রয়েছে তিনজন বউ। আলাদা দুই বাড়িতে দুই বউকে, আর তৃতীয়জনকে রেখেছেন একটি ফ্লাটে। ছেলেমেয়েদের কথা জিজ্ঞেস করতেই মুচকি হেসে বলেন, “অনুমান করেন, কয়টি হবে?” বললাম, “১০ জন হবে।” মুচকি হেসে ‘হাঁ’ বললেন এ বুড়ো খোকা।

জানলাম, কয়েক মাস পূর্বে জর্ডান থেকে আরেকটি বিয়ে করে নিয়ে এসেছেন। তার আগে আনলেন মরক্কো থেকে একটি। কেন এসব করছেন- জিজ্ঞেস করলে বলেন, “মন তো আরো বেশি চায়।”

সালমা আলীর (ছন্দনাম) বয়স ৩৬। একটি সরকারি অফিসে ভালো চাকরি করতেন। চার সন্তান নিয়ে আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন তিনি। চাকরির সুবাদে আলাপ ও দেখা হত ২৬ বছরের যুবক আলীর সঙ্গে। প্রতিদিনের আলাপে ফেঁসে যান আলী। একদিন সালমা আলীর ঘরে বউ হয়ে আসেন। তাদের রয়েছে এখন চারটি ছেলেমেয়ে। আগের ঘরের ছেলেরাও মায়ের সঙ্গে থাকেন। সালমা জানেন, সুযোগ বুঝে আলীও কয়েকটি বিয়ে করবেন।

তবে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে একাধিক প্রেমের প্রবণতা প্রবল থাকলেও বিয়ের প্রবণতা অনেক কমেছে। আরবের অনেক শেখের উপযুক্ত ছেলেরাও এখনো বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান না। যাদের পেতে বা বিয়ে করতে অনেক মেয়েই পাগল। আরবের নতুন প্রজন্মও বোঝে, বিয়ে বা বহু বিবাহ সব সমস্যার সমাধান নয়। বহু বিবাহ তাদের রীতি; বাপ দাদারা করে এসেছেন, তাই তারা করেন। কিন্তু এখন অনেকেই এক বউ বা এক সংসারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। যদিও নারী আসক্তিটা তাদের কমবেশি রয়েছেই।


মন্তব্য

অফিস পৌঁছাতে দেরি হলে অনীহা বাড়ে কাজে!

অফিস পৌঁছাতে দেরি হলে অনীহা বাড়ে কাজে!


অফিস পৌঁছাতে দেরি হলে অনীহা বাড়ে কাজে!
অ- অ অ+

বাড়ি থেকে সময়মতোই বের হচ্ছেন। তারপরও নির্দিষ্ট সময়ের পরে অফিসে পৌঁছাচ্ছেন। নিজেকে দোষারোপ করছেন। সে সঙ্গে অফিসও বাঁকা চোখে দেখছে আপনাকে। তা নিয়ে আপনি নিশ্চয়ই অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে থাকেন। ভাববেন না, আপনার মতো এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে যাদের অফিস পৌঁছানোর সময় এতটাই বেশি যে পৌঁছনোর পর অফিসের কাজ হয়ে ওঠে অসহ্য।

আবার দিনে দিনে যানজটের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তার জ্যাম টপকে অফিস পৌঁছানো এবং বাড়ি ফেরা অসম্ভভ ক্লান্তিকর। আর এই বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ একটি গবেষণা করেছে। তাতে দেখা গেছে, যতটা সময় ধরে কেউ অফিস পৌঁছান, তার জব স্যাটিসফেকশন ততটাই কম। অফিসের কাছে যার বাড়ি তার থেকে অনেকাংশেই কম অন্তত।

সম্প্রতি পশ্চিম ইংল্যান্ডের এক দল গবেষক অফিস পৌঁছানোর জন্য অতিবাহিত সময় এবং কাজের প্রতি ভালোবাসার মধ্যে একটি যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন। তাদের দাবি, প্রতি বাড়তি এক মিনিটে কর্মীর মানসিক চাপ বাড়তে থাকে এবং কাজের প্রতি অনীহা বাড়ে। বলা হচ্ছে, ২০ মিনিট বাড়তি সময় কাটিয়ে ফেললে তা কর্মীর মনে ১৯ শতাংশ বেতন কেটে নেওয়ার মতো প্রভাব ফেলে। এর ফলে কাজের কোনো আনন্দ উপভোগ করেন না কর্মচারী।

হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ’র রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউরোপের ছয়টি শহরের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের মত, পৌঁছাতে দেরির কারণে কর্মক্ষেত্রে যে মানসিক হয়রানি তৈরি হয় তার পরিমাণ অনেক বেশি নতুন বাড়িতে শিফট করা বা ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়ার চাইতে। আসলে, অফিস থেকে বাড়ি এবং বাড়ি থেকে অফিসে আসার সময় একজন মানুষকে তার 'চরিত্র' পরিবর্তন করতে হয়। তবে অনেক বেশি সময় ভ্রমণ করলে সমস্ত শক্তি ও এনার্জি নষ্ট হয়ে যায়। মানুষ অনেক বেশি বিরক্ত হয়ে পড়েন। সে কারণে ধীরে ধীরে জীবন উপভোগ করার ইচ্ছেটাই মরে যায়।

শরীরের এই পাঁচ জায়গায় চুম্বনে বোঝা যায় প্রেম কতটা গভীর!

শরীরের এই পাঁচ জায়গায় চুম্বনে বোঝা যায় প্রেম কতটা গভীর!


শরীরের এই পাঁচ জায়গায় চুম্বনে বোঝা যায় প্রেম কতটা গভীর!
অ- অ অ+

প্রেমে চুম্বনের গুরুত্ব বিরাট। প্রেমিক বা প্রেমিকা একে অপরকে ঠিক কীভাবে চুম্বন করেন, তার উপরে বোঝা যায় সম্পর্কের গভীরতা কতটা।

প্রেম করলে চুম্বনের ইচ্ছা জাগবেই। কিন্তু শরীরের কোথায় চুম্বন, তা দেখে বোঝা যায় অনেক কিছু।

কারও প্রেমে পড়লে তাকে চুম্বন করতে ইচ্ছে করে। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক অনুভূতি। কিন্তু সেই চুম্বনের ধরন দেখলে বোঝা যায় প্রেমের অনুভূতিটা কতটা গভীর। প্রেমের মধ্যে একাধিক অনুভূতি মিশে থাকে— স্নেহ, মমতা, শরীরী আকর্ষণ— সবকিছু মিলিয়েই প্রেমের অনুভূতি গড়ে ওঠে।

যদি প্রেমের মধ্যে মানসিক যোগাযোগ কম আর শরীরী আকর্ষণের মাত্রা বেশি থাকে, তবে চুম্বন হবে এক রকম। আবার যদি প্রেমে স্নেহের মাত্রা বেশি থাকে, তবে চুম্বনের ধরনটা অনেকটাই অন্যরকম হবে। শুধু তাই নয়, প্রেমিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার মুহূর্তে প্রেমিক ঠোঁট বাদ দিয়ে তার শরীরের কোন অঙ্গে বার বার চুম্বন করছে, সেটা দেখেও বোঝা যায় প্রেমের ধরনটা ঠিক কী রকম।

শরীরের বিশেষ ৫টি জায়গা এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ— কপাল, গাল, নাক, নাভি বা কোমর ও হাতের উল্টো দিক।

কপাল— কপালে চুম্বন অত্যন্ত গভীর প্রেমের লক্ষ্ণণ। প্রেমিক যদি বার বার কপালে চুম্বন করেন তবে বুঝতে হবে তাঁর অনুভূতি অত্যন্ত প্রবল এবং সম্পর্ক নিয়ে তিনি খুবই সিরিয়াস।

গাল— বার বার গালে চুম্বন প্রবল সখ্যতার লক্ষ্ণণ অর্থাৎ প্রেমে বন্ধুত্বের জায়গাটি খুব দৃঢ়। এই প্রবণতা এটাও বলে দেয় যে এই সম্পর্কে একজন আর একজনকে প্যাম্পার করতে পছন্দ করেন।

নাক— একে অপরের জন্য প্রবল স্নেহ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব থাকলে নাকে চুম্বন করার ইচ্ছেটা আসে।

নাভি বা কোমর— প্রেমিকার নাভি বা কোমরের কাছে চুম্বন যৌনতার প্রকাশ। যদি যৌনমিলন ছাড়াও এমনি সময়েও কোমরে বার বার চুম্বন করেন প্রেমিক তবে বুঝতে হবে তিনি প্রেমিকার প্রতি শারীরিকভাবে অত্যন্ত বেশি রকম আকৃষ্ট।

হাতের উল্টো পিঠ— এই চুম্বন পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে বেশি প্রচলিত। সেখানে এটি যে কোনও মেয়েকেই সম্মান জানানোর একটি ধরন। তা বাদ দিয়ে প্রেমের ক্ষেত্রে এর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। প্রেমিকার হাতে যাঁরা এভাবে চুম্বন করেন, তাঁদের প্রেমিকার প্রতি গভীর সম্মান রয়েছে।

ঊর্বশীর নগ্ন গোসলের ভিডিও ফাঁস

ঊর্বশীর নগ্ন গোসলের ভিডিও ফাঁস


ঊর্বশীর নগ্ন গোসলের ভিডিও ফাঁস
অ- অ অ+

আরও এক বলিউড অভিনেত্রীর এমএমএস কাণ্ড। 'সনম রে' সিনেমার শ্যুটিংয়ে এক গোসলের দৃশ্যে অভিনয়ের সময় ভিডিও ফাঁস হয়ে যায় ঊর্বশী রাউতেলার। দিব্যা খোসলা কুমার পরিচালিত এই সিনেমার শ্যুটিংয়ের ফাঁকে এই ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় বিরক্ত প্রযোজক সংস্থা। তবে কীভাবে এই দৃশ্যর ভিডিও ফাঁস হল তা নিয়ে মুখ খুলছেন না পরিচালক-প্রযোজকরা। যদিও এই ভিডিও যে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়েছিল, সেইখান থেকে ঊর্বশীর গোসলের কার্যত নগ্ন ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
ঊর্বশির পাশাপাশি 'সনম রে' সিনেমাটিতে আছেন পুলকিত শর্মা, ইয়ামি গৌতম। উত্তরাখণ্ডের ২১ বছরের মেয়ে ঊর্বশি ২০১২ সালে মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্সের খেতাব জেতেন। ২০১৩ সালে সানি দেওলের 'সিং সাব দ্য গ্রেট' সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সনম রে মুক্তি পাচ্ছে। তার আগে এই সিনেমার মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই ইউটিউবে রেকর্ড পরিমাণ হিট হয়েছে গানটি। তার আগে ঊর্বশীর এই এমএমএস কাণ্ড সিনেমার প্রচারে কতটা সাহায্য করে সেটাই দেখার।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি 'সনম রে' মুক্তি পাচ্ছে।

অভিশপ্ত যৌন পর্যটন-১: মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে দেয়া গর্বিত জাতি ওরা

অভিশপ্ত যৌন পর্যটন-১: মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে দেয়া গর্বিত জাতি ওরা


অভিশপ্ত যৌন পর্যটন-১: মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে দেয়া গর্বিত জাতি ওরা
মেয়েদের জোরপূর্বক প্রবেশ করানো হয় সেক্স-ট্যুরিজমে, ইনসেটে ফাদার শে কুলেন

অ- অ অ+

মানবপ্রকৃতির নৈতিক স্খলনের অনেক উদাহরণ দেখা যায়। তবে বিস্তৃত পরিসরে বিকৃতব্যবস্থা পরিচালনার সর্বাপেক্ষা দুঃখজনক উপায়টি হয়ে উঠেছে 'সেক্স ট্যুরিজম'। এই বিদ্যমান বিষয়টি অনেক দেশেই সরকারের সমর্থন ও উৎসাহপুষ্ট হয়ে থাকে। এ ব্যবস্থা ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে শুরু করে রীতিমতো জাতীয় আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম যৌন পর্যটনের সঙ্গে জড়িত। এর মাধ্যমে যেমন একটা অংশের হাতে অর্থ যাচ্ছে, তেমনি অন্য অংশের লাখ লাখ মানুষ শোষন আর বঞ্চনার শিকার হচ্ছে।

সেক্স ট্যুরিজম নিয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গী প্রকাশ করেছেন আইরিশ মিশনারি প্রিস্ট এবং প্রেডা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ফাদার শে কুলেন। যৌন-পর্যটনের নানা দিক উঠে এসেছে তার বিশ্লেষণে। আজ দেখুন তার প্রথম পর্ব।

বর্তমানে ফিলিপাইনের প্রায় ৫ লাখ মানুষ বিশাল পরিসরের যৌন পর্যটনের সঙ্গে জড়িত। আরো অন্যান্য দেশেই এমনটা ঘটছে। এই ইন্ডাস্ট্রি বছরে বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করছে। অথচ এর আড়ালে ভুক্তভোগীদের ভোগান্তির কোনো পরিসীমা নেই। লাখো মানুষের জীবন নিভে গেছে, ধ্বংস হয়েছে এবং পুরোপুরি নষ্টে পথে এগোচ্ছে।

অতি সুচারুভাবে গড়ে ওঠে এই অর্থ বানানোর দুনিয়া যৌন পর্যটন। এ বাণিজ্য ফুলেফেঁপে ওঠার পেছনে রয়েছে মধ্যবয়সী এবং বয়স্ক মানুষগুলোর চাহিদা, যাদের জীবনে নিজ দেশে যৌন পরিতৃপ্তি লাভের কোনো উপায় নেই। তারা সাধারণত ধনী। বিভিন্ন দেশে ঘুরেফিরে সেই চাহিদা পূরণ করেন। সাধারণত কম বয়সী নারী, এমনকি পুরুষের লোভেও অন্য দেশে চলে যান অতৃপ্তরা। এই খদ্দেরদের মনোরঞ্জনে অপেক্ষায় থাকতে হয় কম বয়সী, বিপদগ্রস্ত এবং দরিদ্র ঘরের মেয়েদের। দেখা যায়, এই পর্যটক পুরুষদের বেশিরভাগই ডিভোর্সপ্রাপ্ত, বিপত্নীক কিংবা অবিবাহিত। অথবা তারা স্ত্রী-পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। যৌনতার জন্যে পর্যটনরতদের মনে এই নারীদের প্রতি কোনো ধরনের শ্রদ্ধাবোধ নেই। তারা মেয়েদের বিক্রয়ের জন্যে রাখা ভোগ্যপণ্য হিসেবেই দেখেন। একান্ত ব্যক্তিগত ভোগের জন্যে তাদের পেতে চান। এখানে যৌন-পর্যটনের শিকার কোনো নারীর ভালো-মন্দের কিছুই দেখা হয় না।

এমন হাজারো কম বয়সী মেয়েকে এমন কাজে লাগানো হয়। তারা সবাই অশিক্ষিত হয়েই থাকে। অনেকের পরিচয় আর গোপন থাকে না। তখন দরিদ্র পরিবারও আর তাদের ফিরিয়ে নিতে চায় না। পুরোপুরি বাণিজ্যিকভাবে যৌনতা বিক্রিতে রাজি না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোনো আয় আসে না। এক অর্থে তাদের কোনো মূল্য নেই। তাদের মূল্য নির্ধারিত হয় একমাত্র যৌনতা বিলানোর মধ্য দিয়ে। অন্যদিকে, মানুষ হিসেবে তাদের মর্যাদা, গুরুত্ব এবং অধিকার শতভাগ লঙ্ঘিত হচ্ছে।

জড়িত নারীদের মূল্যমান আরো কমে আসে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ আর ধনকুবেরদের সংশ্লিষ্টতায়। সেক্স ট্যুরিজম থেকে আসা বিশাল অর্থের অংশ তাদের হাতেও যায়। এই খেলায় পুলিশও জড়িত থাকে। সুবিধাভোগীদের প্রত্যেকের লোভ, স্বার্থপরতা এবং বিকৃত কামনাই আসলে পুরো কারবারের হৃৎপিণ্ড হয়ে কাজ করে। এই বড় বড় নিয়ন্ত্রকদের অনেকেরই আবার ব্যক্তিগত দায়িত্বে কম বয়সী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক যৌনদাসী থাকে।

মানবতাকে বড় মূল্য দিতে হচ্ছে এখানে। যে মেয়েটা এর শিকার হচ্ছেন তার মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ভালো একটা জীবনের অধিকার নেই তাদের। শিক্ষালাভ কিংবা ক্যারিয়ার গড়ে তোলার কোনো স্বপ্ন নেই। যে জাতি পর্যটকদের জন্যে নিজের দেশের মেয়েদের বিক্রি করে দেয়, তাদের চেয়ে ঘৃণ্য কেউ নেই। এটা এক কলঙ্কিত আর দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজের উদাহরণ যারা বিশ্বজুড়ে কম বয়সের লাখো নারীকে এক অন্ধকার জীবনে ঠেলে দিয়েছে।

যৌন-পর্যটন আসলে সত্যিকার অর্থে পর্যটন সংশ্লিষ্ট কোনো আয়োজন নয়। এটা কেবলই যৌনদাসত্বের আধুনিক সংস্করণ। এখানে অপরাধী এবং অন্যায়কারীরা নারীদের মানবাধিকার খর্ব করে। যৌনতার আকাঙ্ক্ষায় পর্যটক হয়ে আসা মানুষগুলোর সাথে যৌনকর্মীদের মধ্যকার এই বচসা মূলত ক্ষমতা, নিয়ন্ত্রণ আর দমনের প্রদর্শন। নিজের বিকৃত রুচি চরিতার্থের জন্যে অন্যকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেন পর্যটকরা। এই মেয়েরা চাইলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন না। পরিবার আর তাদের গ্রহণ করে নেয় না। সমাজেও মুখ দেখানোর উপায় থাকে না। এ ধরনের নিপীড়ন যে অপরাধমূলক কাণ্ড, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

এমন কাজে আসার পেছনে মেয়েদের যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে তা হলো চরম দারিদ্রতা। তাদের কাছে কোনো উৎস নেই, শিক্ষা অর্জনের পথ সরু এবং গ্রামে বসবাসরত এই মেয়েগুলো বাঁচার তাগিদে অর্থ উপার্জনের জন্যে যেকোনো কাজ করতে রাজি থাকেন। তবে এ পেশায় প্রবেশের পর বিষয়টা স্রেফ বেঁচে থাকার এবং একাকী টিকে থাকার হয়ে ওঠে। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তাদের পয়সার জন্যে অস্থির থাকতে হয়। এক কাপ ভাত আর সামান্য সবজির টাকা নিশ্চিত করাই তাদের একমাত্র দুশ্চিন্তা। অনেক সময় রেস্টুরেন্টের উচ্ছিষ্ট জোগাড় করে আবারো রান্না করে খেতে হয় তাদের।

যৌন-পর্যটনের সঙ্গে যে মেয়েরা জড়িয়ে পড়েন তাদের অনেকেই আবার নিজগৃহেই আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী কিংবা পরিবারের সদস্যের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন। তাদের বাঁচার জন্যে বাড়ি থেকে পালানো ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। রাস্তায় থাকা কিংবা যৌনকর্মী হিসেবে মেয়েদের খোঁজে ঘুরে বেড়ানো দালালদের খপ্পরে পড়তে বেশি সময় লাগে না। আর একবার যদি যৌন-পর্যটনের দালালদের কাছে তারা আটকে যায়, তবে আরো কোনো কথা নেই। এরা প্রথমেই অর্থ, খাবার আর আশ্রয় প্রদান করে। আর কী চাই তাদের! পরে স্থান হয় পতিতালয়, সেক্স বার এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্লাবে ঠাঁই হয়।

এ অবস্থা কেবল ফিলিপাইনেই নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা ইউরোপের বিশাল আকারের কুখ্যাত সব পতিতালয়ে এভাবেই মেয়েরা আসে। এ বাণিজ্যকে যে সরকার এবং সমাজ মদদ দিচ্ছে, তারাও সমান অপরাধী। মেয়েদের অনেকেই একেবারে অপ্রাপ্তবয়স্ক। সেক্স ট্যুরিজমই মূলত শিশুদের যৌনকর্মে আনতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে।

যৌন-পর্যটন যেকোনো সমাজের লক্ষ্য ও বুনুন নষ্ট করে দেয়। নারীদের মর্যাদাহানী করে। ওই সমাজের তরুণ সমাজ এবং বাচ্চাদের অধঃপতন ঘটে। যারা এমন অপকর্ম জড়িয়ে থাকে তাদের কাছে কম বয়সী নারীদের দেহ বিক্রির পণ্য বলেই গণ্য হয়। তারা কখনোই মেয়েদের হৃদয় আর আত্মা, অনুভূতি, আকাঙ্ক্ষা এবং আশা নিয়ে বেঁচে থাকা কোনো প্রাণ বলে মনে করে না।

এই দালালরা মূলত মানব বণিক। দর-দামে মিললে মেয়েদের বিক্রি করে দেয়। অনেকেই এই কম বয়সীদের ধর্ষণসহ বিকৃত যৌনরুচি মেটাতে চায়। তাদের সন্ধানেই থাকে দালালরা। মানবাধিকার বিষয়ক আইন-কানুনের কোনো তোয়াক্কা নেই তাদের। মেয়েদের কুমারীত্বই তাদের মূল আকর্ষণের বিষয়।

ফিলিপাইনসহ বিশ্বের অনেক দেশেই পতিতাবৃত্তি অবৈধ। তবুও এমন অনেক স্থানেই তা ধুন্দুমার চলছে। সংশ্লিষ্ট ক্লাব এবং বারগুলো রক্ষা করে পুলিশ ও রাজনীতিবিদরা। এদের অনেকেই আবার নিজেই এ ধরনের ক্লাবের মালিক।

একবার আমি নিজেই বিদেশি পর্যটক হিসেবে খদ্দের সেজে একটা ক্লাবে গিয়েছিলাম, বলছেন লেখক। সেখানে ছোট একটা মঞ্চে ছয় টিনেজার দাঁড়িয়ে রয়েছে বিকিনি পরে। আমি ম্যানেজারকে বললাম, ওইখান থেকে একটা মেয়ের সঙ্গে যদি সময় কাটাতে চাই তবে এখানে তা নিরাপদে করা যাবে কি?

ওহ, স্যার। আপনাকে মোটেও চিন্তা করতে হবে না। আপনি এখানে পুরোপুরি নিরাপদ, জানান দিলেন ম্যানেজার।

তাই নাকি? কিন্তু কীভাবে?- লেখকের পাল্টা প্রশ্ন।

এই ক্লাবের মালিক একজন পুলিশ কর্মকর্তা, জানালেন ম্যানেজার।

অনেক সময়ই মানুষ তাদের মেয়েদের দোষারোপ করে এমন নোংরা কাজে জড়িয়ে পড়ার জন্যে। অথচ মেয়েদের এমন বিপদগ্রস্ত পরিস্থিতিতে ফেলার জন্যে এই মানুষগুলোর উদাসীনতাই অনেকভাবে দায়ী। এসবের বিরুদ্ধে গির্জা বা মানুষের মাঝে তীব্র প্রতিবাদ নেই। এরা অনায়াসেই হাজারো মানুষের দুর্ভোগ ও জীবন ধ্বংকে মেনে নিয়েছে। এক সময়কার এক গর্বিত জাতি ওরা, নিজেদের মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে ফেলতে দ্বিধা করেনি।

ভাষান্তর: সাকিব সিকান্দার
সূত্র: ম্যানিলা টাইমস

আগামীতে আসছে 'অভিশপ্ত যৌন পর্যটনের পরের পর্ব'

স্তন ক্যান্সারের কারণ জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, নতুন গবেষণায় দাবি

স্তন ক্যান্সারের কারণ জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, নতুন গবেষণায় দাবি

স্তন ক্যান্সারের কারণ জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, নতুন গবেষণায় দাবি
অ- অ অ+

স্তন ক্যানসার নিয়ে যখন সারা বিশ্ব সচেতন হওয়ার প্রয়াস চালাচ্ছে, তখনই আমেরিকার ‘ফ্রেড হোচিনসন ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার’-এর গবেষকরা সামনে আনলেন এর অন্যতম এক কারণ। পরিবার পরিকল্পনার ভাবনা তেমন করে শুরু না হলে অধিকাংশ মেয়েই বিয়ের পর জন্মনিয়ন্ত্রক পিল খাওয়ার অভ্যাস করেন। ঘন ঘন এই পিল খাওয়াই স্তন ক্যানসারের অন্যতম কারণ বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।

সম্প্রতি ওই ‘ফ্রেড হোচিনসন ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার’-এর গবেষকদের একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে আমেরিকার একটি হেলথ ম্যাগাজিনে। সেই তথ্য অনুসারে, ৪০-এর কমবয়সি মেয়েদের শরীরে স্তন ক্যানসার বাসা বাঁধার অন্যতম কারণ এই বার্থ কন্ট্রোল পিল বা গর্ভনিরোধক বড়ি। সঙ্গমের পরেই মুড়িমুড়কির মতো কথায় কথায় এই ওষুধ গ্রহণ করেন অনেক মেয়েই। অনেকেই খানিকটা সাবধান হয়ে কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার পিল খোঁজেন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রায় সব রকম পিল ঘন ঘন ব্যবহারেই স্তন ক্যানসারের একটা ঝুঁকি থেকেই যায়।

২১ হাজার ৯৫২ জন মহিলাকে নিয়ে পরীক্ষা চালান গবেষকেরা। ১০ বছর ধরে টানা পরীক্ষা চালানোর পর তাঁরা ২০১০-এ গর্ভনিরোধক বড়িকে ‘ভিলেন’ হিসেবে সন্দেহ করেন। এ বার সেই ভিলেনকেই গ্রহণযোগ্যতা দিলেন তাঁরা। সাম্প্রতিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই ২১ হাজার ৯৫২ জনের মধ্যে ১১০২ জন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর অধিকাংশেরই এই ধরনের পিল খাওয়া অভ্যাস ছিল। এমনকি, গবেষণা চলাকালীন, টানা ১০ বছরে যাঁরা নতুন করে এই পিল নেওয়া শুরু করেছিলেন তাঁদের প্রায় ৬৪ শতাংশের ক্ষেত্রেই এই অসুখ দেখা দিয়েছে। আবার অনেকেই ১০ বছর আগে এই ওষুধ নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এত দিন কোনও লক্ষণও ধরা পড়েনি। কিন্তু ১০ বছর পর এই রোগ নতুন করে জানান দিচ্ছে।

ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সুকুমার সরকারের মতে, এই ধরনের পিল আসলে হরমোনের উপর খুবই প্রভাব ফেলে। সাধারণত ৪০-এর আগে এই অসুখ দানা বাঁধত না শরীরে। তবে আজকাল ৩০-এর পরেও দেখা দিচ্ছে । জন্মনিরোধক পিলগুলোর কমবেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকেই। ইস্ট্রোজেনের মাত্রার তারতম্য ঘটায় এই ওষুধ। ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার জন্যও স্তন ক্যানসার দেখা দিতে পারে। তবে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা সরাসরি কতটা দায়ী তা নিয়ে সারা বিশ্বে এখনও সবিস্তার গবেষণা চলছে। কিন্তু তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা না হলেও গর্ভনিরোধর বড়িগুলো যে ভাবে হরমোনের তারতম্য ঘটায়, তা নিয়মিত নিলে ক্যানসারের শঙ্কা খুবই বাড়ে। তাই জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য ঘন ঘন পিল নয়, বরং আস্থা রাখুন কন্ডোমে।

গর্ভনিরোধক বড়ি কখনওসখনও একান্তই নিতে হলে তা নেওয়ার নিয়ম, দু’টি বড়ির মধ্যে ন্যূনতম ব্যবধান কত হওয়া উচিত, হরমোনাল কোনও অসুখ আগে থেকেই থাকলে আদৌ এই ওষুধ চলবে কি না, এগুলো চিকিৎসকের থেকে জেনে তবেই এই ওষুধ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


মন্তব্য

স্মার্টফোনের কারণেই ওজন বাড়ে, ভুলগুলো করছেন না তো?




স্মার্টফোনের কারণেই ওজন বাড়ে, ভুলগুলো করছেন না তো?
অ- অ অ+

মোবাইল সঙ্গে নিয়ে বেশিরভাগ মানুষ ঘুমাতে যায়, খেতে বসে, হাঁটতে যায়, ঘুরতেও যায়। স্মার্টফোন ছাড়া এক মিনিটও যেন ভাবতেই পারেন না অনেকে। কিন্তু এই স্মার্টফোনের কারণে হাজার চেষ্টা করেও পাতলা হতে পারছেন না!

সব সময় সঙ্গে মোবাইল রাখা কিন্তু মোটেও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। যদি মনে করেন যে, সব সময় মোবাইল ঘাঁটার অভ্যাসের কারণে শুধু আপনার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটছে, তা কিন্তু নয়। মোবাইল ঘাঁটার অভ্যাস আপনাকে পাতলা হতে দিচ্ছে না।

কী নোটিফিকেশন এল, স্ট্যাটাস আপডেট করার পরেও এখনো কেন নোটিফিকেশন এল না, এই চিন্তা আমাদের পিছু ছাড়ে না। মোবাইল ফোন নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাটি আমাদের স্ট্রেস হরমোন বাড়িয়ে দেয়। এই স্ট্রেস হরমোনের কারণে ওজন বেড়ে যায়।

এছাড়া মোবাইল হাতে হাঁটতে বের হলে চোখ বারবার চলে যায় ফোনের স্ক্রিনের দিকে। ফলে হাঁটার বেগও অনেকটাই কমে যায়। যথেষ্ট জোরে না হাঁটলে ওজন কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

খাওয়ার সময় চোখ মোবাইলের দিকে থাকলে আপনি কী খাচ্ছেন, কতটা খাচ্ছেন সেদিকে মনোযোগ দিতে পারবেন না। ফোনে মনোনিবেশ করতে গিয়ে আপনার অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার সম্ভাবনাও যথেষ্ট প্রবল। সে কারণে মোবাইল নিয়ে খেতে বসলে ডায়েট ঠিক থাকবে না।

বেশি রাত পর্যন্ত মোবাইল ঘাঁটাঘাটির অভ্যাস অনেকেরই আছে। ফোন দেখতে গিয়ে রাতে ঘুম ঠিক মতো হয় না। আর ঘুম ঠিক না হলে স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ হয়ে ওজন বাড়বে। রাতে ঠিক মতো ঘুমাতে না পারলে সকালে উঠে ওয়ার্ক আউটও করতে পারবেন না। এসব কারণে ওজন যাবে বেড়ে।


মন্তব্য

নতুন বছর থেকে যেসব ফোনে চলবে না হোয়াটসঅ্যাপ

নতুন বছর থেকে যেসব ফোনে চলবে না হোয়াটসঅ্যাপ

বেশ কিছু ফোনে ১ জানুয়ারি থেকে আর হোয়াটসঅ্যাপ করা যাবে না। কারণ ওই ফোনে যে অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে সেগুলো যথেষ্ট পুরনো- ফলে সেগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপ সাপোর্ট করবে না। এই তালিকায় ‘উইন্ডোজ’-এর সব ফোনের সঙ্গে রয়েছে কিছু ‘অ্যান্ড্রয়েড’ ও ‘আইওএস’ ফোনও।

হোয়াটসঅ্যাপ ঘোষণা করেছে, কোনও উইন্ডোজ ফোনেই ১ জানুয়ারি থেকে আর তাদের পরিষেবা মিলবে না। এখন আর উইন্ডোজ ফোন বেশি ব্যবহার হয় না। তাই অনেক অ্যাপ আগেই উইন্ডোজ ভার্সনে সাপোর্ট দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সেই অ্যাপগুলো আর কাজ করে না উইন্ডোজ ফোনে। ধীরে ধীরে উইন্ডোজ ফোন ব্যবহার বন্ধের পথে। তাই শেষ পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপও আর সাপোর্ট দিচ্ছে না বলে ঘোষণা করে দিল।

কিছু পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস-এওসাপোর্ট দেওয়া বন্ধ করতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ। অ্যান্ড্রয়েট ২.৩.৭ বা তার আগের ভার্সনে আর সাপোর্ট পাওয়া যাবে না। ফলে এখনও যদি কেউ এই পুরনো অপারেটিং সিস্টেমের ফোন ব্যবহার করেন, তবে তারা আর হোয়াটসঅ্যাপ করতে পারবেন না। অ্যান্ড্রয়েডের এই পুরনো ভার্সনগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ থেকে।
একই ভাবে ‘আইওএস ৮’ বা তার পুরনো ভার্সনের ফোনগুলোতেও আর মিলবে না হোয়াটসঅ্যাপ সাপোর্ট। ‘আইওএস ৮’২০১৫ সালের আগস্ট মাসে লঞ্চ করে। ফলে এখনও যাদের ডিভাইস এই অপারেটিং সিস্টেমেই চলছে তারা আর সেই ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা পাবেন না। এক্ষেত্রেও পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।

২৬ কোটি ৭১ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস

২৬ কোটি ৭১ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস


২৬ কোটি ৭১ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস

ফেসবুকের ২৬ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ৪৩৬ জন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে যার অধিকাংশই আমেরিকান নাগরিক। ফাঁস হওয়া এসব তথ্য স্প্যামিং ও ফিশিংয়ের মতো প্রতারণামূলক কাজে ব্যবহার হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাজ্যের গবেষণা প্রতিষ্ঠান কম্পারিটেকের তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বব ডিয়াচেঙ্কো সম্প্রতি ফেসবুক থেকে ফাঁস হওয়া তথ্যের ডেটাবেইস খুঁজে পান। ৪ ডিসেম্বর ওই ডেটাবেইস অনলাইনে ইনডেক্স করা হয়। পরে ওই ডেটাবেইস সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

ওই ডেটাবেইস সরিয়ে ফেলার আগ পর্যন্ত একটি হ্যাকার ফোরামে ডাউনলোডযোগ্য ফাইল হিসেবে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল। ফাঁস হওয়া তথ্যের মধ্যে রয়েছে ফেসবুক আইডি, ফোন নম্বর ও পূর্ণ নাম।

মেকআপ ছাড়া যেমন দেখায় সারা আলী খানকে

মেকআপ ছাড়া যেমন দেখায় সারা আলী খানকে

মেকআপ ছাড়া যেমন দেখায় সারা আলী খানকে
সারা আলি খান

শুটিংয়ের মাঝে এবার নতুন ছবি শেয়ার করলেন সারা আলি খান। যেখানে মেকআপ রুমে বসে পরপর দুটি ছবি শেয়ার করেন সাইফ-কন্যা। যে ছবি দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই। ওই ছবিতে সারা আলি খান তুলে ধরেন, মেকআপ করার সময়ের লুক। সেই সঙ্গে মেক আপ তোলার পর সারাকে দেখতে কেমন লাগে, সেই ছবিও নিজেই তুলে ধরেন সারা।

ছবি দু’টি প্রকাশর পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। সারা বর্তমানে কুলি নাম্বার ওয়ান-এর সিক্যুয়েল নিয়ে ব্যস্ত। এই সিনেমায় বরুণ ধাওয়ানের বিপরীতে অভিনয় করছেন তিনি। কুলি নাম্বার ওয়ানের পাশাপাশি লভ আজকাল-এও দেখা যাবে সারাকে। পরিচালক ইমতিয়াজ আলির এই সিনেমায় সারার বিপরীতে রয়েছেন কার্তিক আরিয়ান।

প্রসঙ্গ, কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে নাকি বিচ্ছেদ হয়ে গেছে সারার। বিচ্ছেদের পরও শুটিং ফ্লোরে সারার সঙ্গে কার্তিকের যে কোনও বিভেদ দাগ কাটতে পারেনি, তা স্পষ্ট করে দেন বলিউডের এই জুটি। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েও হাসিমুখে কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নেন সারা আলি খান। সূত্র : জি নিউজ।
ছবি দু’টি দেখতে এখানে ক্লিক করুন...

স্পর্শ ছাড়াই উড়ল হেলিকপ্টার (ভিডিও)

স্পর্শ ছাড়াই উড়ল হেলিকপ্টার (ভিডিও)


স্পর্শ ছাড়াই উড়ল হেলিকপ্টার (ভিডিও)

হাতের কোনো স্পর্শ ছাড়াই হেলিকপ্টারকে নিয়ে উড়েছে স্কাইরিস নামের একটি স্টার্টআপ। অটোমেশন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এই হেলিকপ্টার পরিচালনায় কোনো স্পর্শ প্রয়োজন নেই।

যদিও এর আগেও অনেকগুলো এয়ার ট্যাক্সিতে অটোমেশন প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখানো হয়েছে। এসব এয়ার ট্যাক্সি ওড়ানো সম্ভব হয়েছে বিদ্যুতের মাধ্যমে চার্জ দিয়ে। তবে অন্যগুলো থেকে ব্যতিক্রম ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক স্টার্টআপ স্কাইরিস। প্রচলিত হেলিকপ্টার রবিনসন আর-৪৪ এ তারা অটোমেশন প্রযুক্তিটি যুক্ত করে।

হেলিকপ্টারটি চালাতে ও স্থির রাখতে কাজ করে কয়েকটি সেন্সর। যাত্রাপথ, সময় ও উচ্চতা পরিমাপ করা হয় ফেডেরাল এভিয়েশন অ্যাডমিন্ট্রেশন সিস্টেম ও স্মার্ট হেলিপ্যাডের সেট করা সেন্সরের মাধ্যমে। সেন্সরগুলো আবহাওয়ার গতি প্রকৃতি, উড়ন্ত বস্তু কিংবা পাখি ও বাতাস ট্র্যাক করতে পারবে।
হাতের স্পর্শ ছাড়া হেলেকপ্টারটি কিভাবে উড়ছে তা দেখাতে ইউটিউবে দেড় মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, হেলিকপ্টারটিতে দুজন পাইলট বসে আছেন। তাদের একজন মার্ক গ্রোডেন। ২৯ বছর বয়সী এই ইঞ্জিনিয়ারই স্কাইরিস স্টার্টআপটির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও।






সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া ১০ অ্যাপ

সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া ১০ অ্যাপ
প্রতীকী ছবি

এই দশকে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া অ্যাপের তালিকা প্রকাশ করেছে ‘অ্যাপ অ্যানি’। সেখানে ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যে অ্যাপ বেশি ডাউনলোড করা হয় তার নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় থাকা অ্যাপগুলো হল-

১. ফেসবুক :
তালিকার সবার ওপরে যথারীতি রয়েছে ফেসবুক। গুগলের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম অর্কুট-কে এতটাই টক্কর দিতে শুরু করে যে, শেষপর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায় সেটি। ২০০৪ সালে প্রথম বাজারে আসে ফেসবুক। ২০১৯-এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ফেসবুক ইউজারের সংখ্যা ২৪৫ কোটির বেশি। যা প্রতিদিন বাড়ছে।

২. ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার :
হোয়াটসঅ্যাপের থেকেও বেশি ডাউনলোড হয়েছে এই অ্যাপটি। ২০১১ সালে অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস প্ল্যাটফর্মে লঞ্চ করে। ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় থাকা যে কেউ এই অ্যাপের মাধ্যমে ইউজারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
৩. হোয়াটসঅ্যাপ :
ফেসবুকের সঙ্গে এ নিঃশ্বাসে যে অ্যাপটির নাম নেওয়া হয় সেটি হল হোয়াটসঅ্যাপ। টেক্সট ছাড়াও অডিও, ভিডিও, ছবি, ডকুমেন্ট ফাইল সেন্ড করা যায় এই প্ল্যাটফর্মে। প্রতিদিন এর ইউজারের সংখ্যা বাড়ছে।

৪. ইনস্টাগ্রাম :
ফেসবুকের এই অ্যাপটি সেলিব্রিটিদের পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছে। ২০১০ সালে লঞ্চ করে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম। এতে মূলত ছবি, ভিডিও শেয়ার হয়। অন্য অনেক ছবি শেয়ারিং অ্যাপের তুলনায় ইনস্টাগ্রামে ছবির মান অনেক ভালো হয়।

৫. স্ন্যাপচ্যাট :
২০১১ সালে বাজারে আসে এই অ্যাপ। ফটো শেয়ার ও এডিটিং করা যায় এই চ্যাটিং অ্যাপে।

৬. স্কাইপ :
এই টেলিকমিউনিকেশন অ্যাপ্লিকেশনটি তালিকায় ষষ্ঠ স্থান দখল করেছে। মূলত ভিডিও ও ভয়েজ কলিংয়ের জন্য ব্যবহার এই অ্যাপটি। হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে এই অ্যাপটি। ওই দু’টি অ্যাপেও একই সুবিধা পাওয়া যায়।

৭. টিকটক :
২০১৭ সালে চীনের বাইরের বাজারে আসে এই অ্যাপ। তারপর থেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভিডিও শেয়ারিং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপটি। এই অ্যাপে ভিডিও এডিটও করা যায়। বাইটড্যান্স নামে এক সংস্থার অ্যাপটি তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে।

৮. ইউসি ব্রাউজার :
চীনের আলিবাবা গ্রুপের এই ব্রাউজিং অ্যাপ তালিকায় অষ্টম স্থান দখল করছে। এশিয়ার কিছু এলাকায় গুগল ক্রোমের থেকেও ইউসি ব্রাউজার বেশি ব্যবহার হয়। এমনটাই জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

৯. ইউটিউব : গুগলের এই প্ল্যাটফর্মটি ভিডিও শেয়ারের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় একটি অ্যাপ। ২০০৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি লঞ্চ করে ইউটিউব। তারপর থেকে এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে।

১০. টুইটার : ২০০৬ সালে লঞ্চ করে মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম টুইটার। ২৮০ ক্যারেক্টারের মধ্যে রাখতে এই সোশ্যাল মিডিয়ার যে কোনও পোস্ট। ছবিও পোস্ট করা যায়। এখন সরকারিভাবে কিছু বলার সময় এই প্ল্যাটফর্মকে অনেকে ব্যবহার করেন।

মার্কিন মহাকাশ বাহিনী' গঠন করলেন ট্রাম্প

মার্কিন মহাকাশ বাহিনী' গঠন করলেন ট্রাম্প


'মার্কিন মহাকাশ বাহিনী' গঠন করলেন ট্রাম্প

'মার্কিন মহাকাশ বাহিনী' নামে এবার নতুন বাহিনী গঠন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) এই নতুন বাহিনীর অনুমোদন দিয়েছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান'র।

খবরে বলা হয়, নতুন এই বাহিনী মার্কিন বিমানবাহিনীর অধীনে কাজ করবে। ১৯৪৭ সালের পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কোনো সামরিক সেবা চালু করা হলো।

নতুন এই বাহিনী গঠন সম্পর্কে ওয়াশিংটনে এক সামরিক ক্যাম্পে এসে ট্রাম্প বলেছেন, নিকট ভবিষ্যতে মহাকাশই হবে নতুন যুদ্ধক্ষেত্র। আগামী কয়েক মাসে বাকি দেশগুলোর চেয়ে অনেকটা এগিয়ে যাব আমরা। নতুন এই মহাকাশ বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অন্য দেশের আগ্রাসন হ্রাস করতে সহায়তা করবে।
নতুন এই বাহিনীর জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে শুক্রবার। প্রথম বছরে নতুন এই বাহিনীর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর পুরো সামরিক বাহিনীর জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে ৭৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

নবগঠিত এই বাহিনী কিন্তু মহাশূন্যে গিয়ে সরাসরি যুদ্ধ করবে না। বরং মহাকাশে বিদ্যমান মার্কিন সম্পদগুলো রক্ষার প্রতি বিশেষ মনোযোগী হবে এই বাহিনী। যেমন যোগাযোগ ও পর্যবেক্ষণের জন্য স্থাপন করা শতাধিক মার্কিন স্যাটেলাইটের নিরাপত্তার দিকটি দেখভাল করবে এই বাহিনী।

চিকিৎসাখাতে ব্যবহৃত পণ্যের দেশীয় উৎপাদন ও বিকাশের সম্ভাবনা


চিকিৎসাখাতে ব্যবহৃত পণ্যের দেশীয় উৎপাদন ও বিকাশের সম্ভাবনা

আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে দেশীয় পণ্যের প্রসার ও প্রচারে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছেন উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশে তৈরি পণ্য দেশ ও বিদেশে ডিজিটাল বাংলাদেশকে নতুন করে তুলে ধরছে। বিশেষ করে ইলেক্ট্রো ম্যানুফ্যাকচারিং সার্ভিসেস (ইএমএস) খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সম্ভাবনাকে মাথায় রেখেই ২০১৫ সালে মেইড ইন বাংলাদেশ প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সেলট্রন ইলেক্ট্রো ম্যানুফ্যাকচারিং সার্ভিসেস লিমিটেড প্রথমবারের মতো বাংলাদেশেই চিকিৎসাসেবায় ব্যবহৃত পণ্য উৎপাদন শুরু করে।

চিকিৎসাসেবায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এতো সম্ভাবনাময় হওয়া সত্বেও আমদানি করে স্থানীয় বাজারে বিক্রিতে অনেক লাভ হওয়ায় কেউ উৎপাদনখাতে সরাসরি বিনিয়োগ করতে উৎসাহী নয়। কিন্তু স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে এই সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগের উদ্যোগ নেয় সেলট্রন ইলেক্ট্রো মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেড।

কঠোর পরিশ্রম আর সরকার ও বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সৌহার্দপূর্ণ দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতায় কঠোর মাননিয়ন্ত্রণের যাচাই বাছাই শেষে চারটি মেডিকেল ইকুপমেন্ট তৈরির লাইসেন্স পায় সেলট্রন ইএমএস। বর্তমানে সফলতার সাথে বাংলাদেশেই তারা ১২ ও ৬ চ্যানেল ইসিজি মেশিন, ফটোথেরাপি, এক্সরে ভিউবক্স ও পেশেন্ট মনিটর তৈরি ও বাজারজাত করছে।
চিকিৎসাখাতে ব্যবহৃত পণ্য উৎপাদন অনেক সূক্ষ্ম ও জটিল একটি প্রযুক্তি। এখানে পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ, কারখানার সক্ষমতা ইত্যাদি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসকল বিষয়ে শতভাগ সক্ষমতা অর্জন করায় সেলট্রন অর্জন করেছে ISO সার্টিফিকেট। একইসাথে তারা জাপান সরকারের অনুমোদনও পেয়েছে।

বাংলাদেশে তৈরি ওষুধের বিপুল চাহিদা রয়েছে বিদেশে। ওষুধ শিল্পের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবায় ব্যবহৃত পণ্য উৎপাদনের এই উদ্যোগ চতুর্থ প্রজন্মের শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও স্বনির্ভরতার প্রতীক হিসেবে সেলট্রনের তৈরি প্রোডাক্টগুলোর ব্যান্ড নাম দেয়া হয়েছে অপরাজেয়।

দেশীয় পণ্য হওয়ার প্রথম দিকে গুণগত মান নিয়ে মানুষ প্রশ্ন তুললেও এখন পাল্টে গেছে সেই চিত্র। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল-নার্সিং হোম, ক্লিনিকে সেলট্রনের তৈরি মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ব্যবহৃত হচ্ছে। কাঁচামালের সহজলভ্যতা, সস্তা শ্রম ও স্থানীয় বাজারের কারণে এসব পণ্যের দামও হাতের নাগালে।

সর্বস্তরের জনগণের আস্থা ও সহযোগিতা পেলে দেশীয় চাহিদা পূরণ করে একসময় প্রতিবেশী রাষ্ট্রসহ আফ্রিকার বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশেও বাংলাদেশে তৈরি মেডিকেল পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।

৫০টি ‘বিপজ্জনক’ পাসওয়ার্ড!

৫০টি ‘বিপজ্জনক’ পাসওয়ার্ড!


৫০টি ‘বিপজ্জনক’ পাসওয়ার্ড!
প্রতীকী ছবি

২০১৯ সালেও সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান স্প্ল্যাশডাটা ৫০ লাখ ফাঁস হওয়া পাসওয়ার্ড বিশ্লেষণ করে দেখে ৫০টি পাসওয়ার্ডকে হ্যাকারদের সবচেয়ে শেয়ার করা পাসওয়ার্ড হিসেবে উল্লেখ করেছে। বিশেষজ্ঞরা এসব ‘বিপজ্জনক’ পাসওয়ার্ড এখনই ব্যবহার বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

সেই ৫০টি বিপজ্জনক পাসওয়ার্ডের তালিকা:

123456
123456789
qwerty
password
1234567
12345678
12345
iloveyou
111111
123123
abc 123
qwerty 123
1 q2 w3 e4 r
admin
qwertyuiop
654321
555555
lovely
7777777
welcome
888888
princess
dragon
password1
123 qwe
666666
1 qaz2 wsx
333333
michael
sunshine
liverpool
777777
1 q2 w3 e4 r5 t
donald
freedom
football
charlie
letmein
!@#$%^&*
secret
aa 123456
987654321
zxcvbnm
passw0 rd
bailey
nothing
shadow
121212
biteme
ginger

নতুন গ্রহের সন্ধান, জল্পনা তুঙ্গে

নতুন গ্রহের সন্ধান, জল্পনা তুঙ্গে


নতুন গ্রহের সন্ধান, জল্পনা তুঙ্গে

অনেকটা তুলার বলের মতো বা হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার হাবল টেলিস্কোপে এ গ্রহের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।

এ ব্যাপারে নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেপলার ৫১ মানের নক্ষত্রমণ্ডলীর মধ্যে অবস্থান করছে নতুন গ্রহটি।

কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জেসিকা লিবি-রবার্টস বলছিলেন, এটা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ছিল। আমরা বড় ওই কেপলার ৫১ তে পানির উপস্থিতির অনুসন্ধান করছিলাম। তখনই হঠাৎ এই পেঁজা তুলার বলের মতো দেখতে নতুন গ্রহটি আমাদের নজরে আসে।
৫১ মানের নক্ষত্রমণ্ডলীতে প্রধানত তিনটি বৃহদাকার গ্রহ রয়েছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, তুলার আস্তরণে ঢাকা ওই তিনটি গ্রহ। এর মধ্যে একটি গ্রহ ২০১২ সালে নাসার বিজ্ঞানীদের নজরে আসে।

সূত্র : ইনসাইডার

সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

খোঁজ মিলল ল্যান্ডার বিক্রমের

খোঁজ মিলল ল্যান্ডার বিক্রমের, চাঁদের মাটিতে ধ্বংসাবশেষ


খোঁজ মিলল ল্যান্ডার বিক্রমের, চাঁদের মাটিতে ধ্বংসাবশেষ
সংগৃহীত ছবি


অবশেষে খোঁজ মিলেছে চন্দ্রযান -২ এর ল্যান্ডার বিক্রমের। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা চাঁদের মাটিতে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের রেছে।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, নাসা'র উপগ্রহের এলআরও ক্যামেরায় ধরা পড়ছে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষের ছবি।

নাসা'র প্রকাশ করা ছবিতে নীল ও সবুজ রঙ করে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করা হয়েছে। সংস্থা জানিয়েছে, নীল রঙ দিয়ে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদিকে, সবুজ রঙ দিয়ে বোঝানো হয়েছে বিক্রমের ভেঙেপড়া টুকরোর ধাক্কায় সরে যাওয়া চাঁদের মাটিকে।
উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে অবতরণের (সফট ল্যান্ডিং) সময়ে চন্দ্রযান ২ এর অরবিটারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ল্যান্ডার বিক্রমের। চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার ওপরে সংকেত পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। এই বিক্রমের মধ্যেই ছিল রোভার প্রজ্ঞাণ। তখনই মনে করা হয়েছিল, চাঁদের বুকে কোথাও মুখ থুবড়ে পড়েছে বিক্রম।

রোবটে যুক্ত হচ্ছে স্পর্শের অনুভূতি



রোবটে যুক্ত হচ্ছে স্পর্শের অনুভূতি


রোবটের মধ্যে থাকবে স্পর্শের অনুভূতি। এমনই উদ্যোগ নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গত মাসে কৃত্রিম চামড়া উন্মোচন করা হয় যার মাধ্যমে রোবট স্পর্শের অনুভূতি বুঝতে পারবে এবং শারিরীকভাবে সাড়া দিতে পারবে। এতে মানুষের সঙ্গে রোবটের যোগাযোগও কার্যকরী হবে।

আন্তর্জাতিক রোবট ফেডারেশনের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালে সারা বিশ্বে প্রতি ১০০০ কর্মচারীর মধ্যে ৮৫টি করে রোবট ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠানে। ২০২১ সালের মধ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠানে রোবট সরবরাহের হার ১৪ শতাংশ করে বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়েছে।


অধ্যাপক গর্ডন চেং

মিউনিখের টেকনিকাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক গর্ডন চেং ও তার দল মানবিক রোবট তৈরির বিষয়ে কাজ করছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে যেসব রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে তার মধ্যে স্পর্শের বিষয়ে কোনো অনুভূতি কাজ করে না। স্পর্শের অনুভূতি রোবটকে আরও নিরাপদ করবে। এতে বস্তু, মানুষ ও রোবট নিজের ক্ষতি করা ছাড়াই সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে বলে আশা করছেন তিনি।

সূত্র: সিএনএন

শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৯

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল
খুলনা-বরিশাল অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে 'বুলবুল'
বরিশালের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে জনগণকে নিরাপদে যাওয়ার আহ্বান

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-পশ্চিম উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার মধ্যরাতের দিকে খুলনা-বরিশাল অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। তবে উপকূলে আঘাত হানার আগে কিছুটা দুর্বল হয়ে যেতে পারে ধারণা করছেন তারা।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে চার নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১৫ কিমি দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯০ কিমি দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে গত রাত থেকে পটুয়াখালী উপকুলজুড়ে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। জেলায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া বিভাগ।

এদিকে, সাগর উত্তাল রয়েছে নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় জেলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের দরবার হলে দুর্যোগ প্রস্তুতি বিষয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ জেলার সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থগিত রেখে শ্রমিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ৬৫ ফুটের চেয়ে ছোট সকল নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সকল মাছ ধরা ট্রলার নিরাপদে আশ্রয় নিচ্ছে।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, জেলায় মোট ৪০৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সার্বিক বিষয় মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১শ’ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ১৬৬ বান্ডিল টিন এবং ৩ হাজার ৫০০টি কম্বল মজুত রাখা হয়েছে।

এদিকে, সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করছেন বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকরা।

রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

সালমানকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিলেন ক্যাটরিনা! (ভিডিও)

সালমানকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিলেন ক্যাটরিনা! (ভিডিও)


সালমানকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিলেন ক্যাটরিনা! (ভিডিও)
সংগৃহীত ছবি

বলিউড ভাইজান সালমান খান ও লাস্যময়ী ক্যাটরিনা কাইফের প্রেমের কথা সবারই জানা। পর্দায় ও পর্দার বাইরে এই জুটিকে সবার পছন্দ। তাদের ভক্তদের বেশির ভাগই চায় তারা বিয়ে করুক। তবে সালমান-ক্যাটরিনার প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও বিয়ের প্রশ্নে তারা বরাবরই নিরব থাকেন। 
 এবার বলিউডের মোস্ট এলিজেবল এই ব্যাচেলর সুপারস্টারকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিলেন তারই বহুদিনের প্রেমিক ক্যাটরিনা! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি রেস্তোরাঁয় বসে সালমানকে ক্যাটরিনা সরাসরি বললেন, বিয়ের বয়স তো আমার পার হয়ে যাচ্ছে; তো, কবে বিয়ে করবে?
আগামী ৫ জুন এই অভিনেতার বড় বাজেটের চলচ্চিত্র ‘ভারত’ মুক্তি পাচ্ছে। এ ছবিতে সালমান ও ক্যাটরিনার অভিনয় করাকে কেন্দ্র করে তাদের প্রেম জোড়া লাগার গুঞ্জন রয়েছে। এর মধ্যে এমন একটি ভিডিওতে ভক্তদের খুশি হওয়ার কিছু নেই। কেননা ‘দি প্রপোজাল’শিরোনামের এই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন ছবির নির্মাতা আলি আব্বাস জাফর। ভিডিওটি মূলত ‘ভারত’ সিনেমার অংশ। 
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

স্বামীর অস্বস্তি ঢাকতে প্রিয়াঙ্কার কাণ্ড

স্বামীর অস্বস্তি ঢাকতে প্রিয়াঙ্কার কাণ্ড

স্বামীর অস্বস্তি ঢাকতে প্রিয়াঙ্কার কাণ্ড

এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে 'সাকার' গানের জন্য সেরা পপ গানের পুরস্কার পেয়েছে জোনাস ব্রাদার্স। পুরস্কার ঘোষণার পর জো জোনাস ও কেভিন জোনাসকে জড়িয়ে চুমু খেয়ে অভিনন্দন জানান তাদের স্ত্রীরা। তবে অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন না নিক জোনাসের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। দুই ভাইয়ের মাঝখানে তিনি একা দাঁড়িয়ে নিক অস্বস্তির হাসি হাসছিলেন। সেই ছবিই পরে ভাইরাল হয়ে গেছে ইন্টারনেটে।
তবে প্রিয়াঙ্কা তার নিজস্ব স্টাইলে জানিয়ে দিয়েছেন, অনুষ্ঠানে না থাকলেও তিনি তার স্বামী ও তার পরিবারের সঙ্গেই আছেন। তিনি অনুষ্ঠানের ছবিটি ফটোশপ করে তার সঙ্গে নিজের ছবিও জুড়ে দিয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা তাতে লিখেছেন, নিক, তোমার সঙ্গে আমি সবসময় রয়েছি। জোনাস-ভাইদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।
নিকের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় সব সময়েই সুপারহিট। এমনকি দুই জা সোফি ও ড্যানিয়েলের সঙ্গে ছবিও পোস্ট করেন তিনি। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, নিকের ভাইয়ের বউ সোফি ও ড্যানিয়েল আমার বোনের মতো। আমরা একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসি।

যৌনশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে ডিম

যৌনশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে ডিম

যৌনশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে ডিম
প্রতীকী ছবি

দেহের চাহিদা মেটাতে, দেহকে সবল ও কর্মক্ষম রাখতে যেমন খাবার প্রয়োজন, তেমনি যৌন জীবন ঠিক রাখতে দরকার কিছু সুনির্দিষ্ট খাবার। যে খাবারগুলো সেক্স অরগানগুলোকে সতেজ রাখতে যে হরমোন প্রয়োজন, তার উৎপাদনে সহায়তা করে। চলুন এক নজরে জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু খাবার।
দুধ : সুষম খাদ্য হিসেবে খাদ্য তালিকার একেবারেই প্রথমে থাকে দুধ। দুধে আছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট, যা সেক্স পারফর্মেন্স বাড়াতে সহায়তা করে। কারণ পুরুষের ক্ষেত্রে টেঁস টো সটেরন এবং নারীদের ক্ষেত্রে ইস্ত্রজেন হরমোন, যা মূলত যৌন জীবন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। শুক্রাণুর উৎপাদন, মহিলাদের অভুলেশনের মাধ্যমে ডিম্বাণু তৈরি এবং উভয়ের যৌন আকাঙ্ক্ষা বাড়াতে এই দুই হরমোনের বিকল্প নেই। এছাড়াও এই দুই হরমোন তৈরিতে ফ্যাট জাতীয় খাবারের বিকল্প নেই।
কলিজা: কলিজায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক। দেহের হরমোন উৎপাদনে এই জিংক অপরিহার্য। পিটুইটারি গ্রন্থি হতে হরমোন নিঃসরণে কাজ করে জিংক। এস্ট্রোজেন তৈরিতে জিঙ্কের ভূমিকা অনেক। শুক্রাণু তৈরিতে জিংক সহায়তা করে।
ডিম: অনেকের প্রিয় খাবার ডিমে রয়েছে কোলেস্টেরল ও ভিটামিন বি, যা হরমোন উৎপাদন এবং আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি করে।
কলা: কলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে লৌহ, জিংক, পটাশিয়াম, মিনারেল, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন- বি কমপ্লেক্স এবং কিছু এনজাইম। যেগুলো সরাসরি সেক্স পারফর্মেন্সে ভূমিকা রাখে।
মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলুতে থাকে প্রচুর শর্করা, যা যৌন ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।
চকলেট: চকলেট তৈরিতে থিওব্রমাইন নামক কেমিকেল ব্যবহার করা হয়। এই কেমিকেল ক্যাফেইনের মত কাজ করে। থিওব্রমাইন সেরোটোনিন নামক নিউরো ট্রান্সমিটারের নিঃসরণ ঘটায়, যা যৌন আকাঙ্ক্ষা এবং সেক্স পারফরমেন্সের জন্য প্রয়োজন।
জয়ফল: ভেষজ চিকিৎসা বিজ্ঞানে, জয়ফল বহু বছর আগে থেকেই যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে ব্যবহার হয়ে আসছে। জয়ফলে রয়েছে বিশেষ এক ধরনের কেমিক্যাল, যা সরাসরি কামোদ্দীপক হিসেবে ব্যবহার হয়। স্নায়ুর কোষকে উত্তেজিত করতে পারে এই জয়ফল। যে কারণে, রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পেয়ে পুরুষাঙ্গের পেনাইল টিস্যুগুলো ফুলে শক্ত হয়ে পুরুষাঙ্গের উত্তান ঘটায় এবং তা দীর্ঘস্থায়ী রাখে।
সূর্যমুখী বীজ: সূর্যমুখী বীজ হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। যে কারণে সূর্যমুখী বীজ খেলে যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়।
শিমের বীজ: ফাইটোইসট্রয়জেন সমৃদ্ধ বলে শিমের বীজ যৌন আকাঙ্ক্ষা এবং শক্তি বাড়াতে কাজ করে।

রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে আমড়া

রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে আমড়া

রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে আমড়া

আমড়াতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ক্যারোটিন, কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। এক কথায় আমড়া পুষ্টিগুণে ভরপুর। জেনে নিন আমড়ার গুণাগুণ-
আমড়া রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে স্ট্রোক ও হৃদরোগের হাত থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে এবং শরীরের পেশী গঠনে সহায়তা করে।
এ ফলটিতে বিদ্যমান পেকটিন জাতীয় ফাইবার বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ করে শরীরকে সুস্থ রাখে।
আমড়া ত্বক, নখ ও চুল সুন্দর রাখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। আমড়াতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় শরীরের রক্তের চাহিদা পূরণ হয় এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সহয়তা করে।
আমড়া খেলে মুখের অরুচিভাব দূর হয় এবং ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে ঠাণ্ডা, কাশি ও কফ দূর করে এ ফলটি।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পেয়ারা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পেয়ারা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পেয়ারা

দেশী ফলগুলোর মধ্যে পেয়ারা বেশ পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি ফল। সাধারণ এবং সহজলভ্য এই ফলটির পুষ্টিগুণ অনেক। শুধু ফল নয়, পেয়ারা পাতায়ও রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। 
পেয়ারার পুষ্টিগুণ:
পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ। একটি পেয়ারাতে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে একটি মাঝারি আকৃতির কমলা থেকে। ১০ গুণ বেশি ভিটামিন এ রয়েছে লেবুর তুলনায়। এছাড়া ভিটামিন বি২, ই, কে, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, কপার, আয়রন, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম রয়েছে।
উপকারিতা:
১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে বিভিন্ন রোগের সাথে যুদ্ধ করার শক্তি প্রদান করে।
২। ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস
পেয়ারাতে লাইকোপিন, ভিটামিন সি, কোয়ারসেটিন এর মত অনেকগুলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা শরীরের ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধ করে। এটি প্রোসটেট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৩। হার্ট সুস্থ রাখতে
১৯৯৩ সালে “Journal of Human Hypertension” এ প্রকাশিত হয় যে নিয়মিত পেয়ারা খেলে রক্ত চাপ ও রক্তের লিপিড কমে। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, ভিটামিন সি রয়েছে। পটাশিয়াম নিয়মিত হৃদস্পন্দনের এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত ভাবে লাইকোপিন সমৃদ্ধ গোলাপি পেয়ারা খেলে কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমায়।
৪। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
চাইনিজ চিকিৎসা শাস্ত্ররে অনেক বছর ধরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেয়ারা ব্যবহার হয়ে আসছে। ১৯৮৩ সালে American Journal of Chinese Medicine প্রকাশ করেন যে, পেয়ারার রসে থাকা উপাদান ডায়াবেটিস মেলাইটাসের চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে পেয়ারা পাতাও বেশ কার্যকর। কচি পেয়ারা পাতা শুকিয়ে মিহি গুঁড়ো করে ১ কাপ গরম পানিতে ১ চা চামচ দিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রেখে তারপর ছেঁকে নিয়ে পান করতে পারেন প্রতিদিন।
৫। ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে
বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত সমস্যা যেমন ব্রংকাইটিস সারিয়ে তুলতে ভূমিকা রাখে পেয়ারা। উচ্চ পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন সি থাকায় এটি শ্লেষ্মা কমিয়ে দেয়। তবে কাঁচা পেয়ারা ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে কার্যকর।
৬। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
পেয়ারা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৭। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে
ভিটামিন এ চোখের জন্য উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন এ কর্নিয়াকে সুস্থ রাখে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেয়ারা রাখুন। কাঁচা পেয়ারা ভিটামিন এ এর ভাল উৎস।

যেসব খাবারে বুদ্ধি বাড়ে

যেসব খাবারে বুদ্ধি বাড়ে

যেসব খাবারে বুদ্ধি বাড়ে

বর্তমান যুগে বুদ্ধি ছাড়া চলা বড় দায়। তাই বুদ্ধি বাড়াতে দরকার পুষ্টিকর খাবার। কারণ, বুদ্ধিমান হতে গেলে দরকার মস্তিষ্কের পুষ্টি। যেহেতু, বুদ্ধিই বল বা শক্তি।  সঠিক হেলদি ডায়েট আপনার মস্তিষ্ককে উর্বর করতে পারে। এক্ষেত্রে, শুধুমাত্র হেলথ ড্রিংকেই আটকে থাকলে চলবে না। দরকার অন্য কিছুর। তাই চলুন জেনে নিই, বুদ্ধির বীজকে কীভাবে বড় বৃক্ষে পরিণত করা যায়-
তৈলাক্ত মাছ : স্যামন, ম্যাকরেল, সারডিন, কডের মতো সামুদ্রিক মাছে আছে প্রচুর ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্ক, চোখ ও স্নায়ুতন্ত্র গঠনে ভূমিকা রাখে। সপ্তাহে দু’দিন এই রকম মাছ খেতে পারলে মস্তিষ্ক ঘটিত সমস্যা কম হবে। ব্রেনও পুষ্ট হবে।
পাতাওয়ালা সবজি : সবুজ রঙের পাতাওয়ালা সবজি শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্ককেও পুষ্ট করে। প্রতিদিন সবুজ পাতাওয়ালা সবজি খেলে স্মৃতি বিলুপ্তির মতো ঘটনা ঘটবে না। বিশেষকরে পালং শাক, ব্রকোলি খাওয়া খুব উপকারি। কারণ, এতে রয়েছে  অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফলিট, বিটা-ক্যারোটিন ও ভিটামিন- সি। 
 
ডিম : সুস্বাস্থের জন্য সপ্তাহে ছয়টি ডিম খাওয়া খুব জরুরি। প্রতিদিন খাবার প্লেটে একটি করে সেদ্ধ ডিম রাখা জরুরী। তবে ডিমের শুধু সাদা অংশ খেলেই হবেনা। খেতে হবে ডিমের কুসুমও। এরমধ্যে থাকে আয়রন। এই উপাদান লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করে। যা, মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে। এছাড়া ভিটামিন বি-১২ ও আয়োডিন স্মৃতি শক্তি জোরদার করে। তাই নিজেকে সজাগ ও মনযোগী করে তুলতে চাইলে রোজ পাতে একটি করে ডিম রাখুন।
গ্রিন টি : মস্তিষ্কের প্রায় ৭০ শতাংশ জুড়ে পানি থাকে। এই পানি ব্রেণকে আদ্র রাখে বলেই ব্রেণ এত নিখুঁত কাজ করে। তাই যখনই ক্লান্ত লাগবে, এক কাপ গ্রিন টি পান করে নিন। নিমেষে চনমনে হয়ে উঠবেন। সেইসঙ্গে স্মৃতি শক্তির উন্নতি ঘটবে। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বয়সকালে ডিমেনশিয়া না হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
ডার্ক চকোলেট : ওবেসিটি-র ভয়ে যারা চকোলেট খাওয়া একপ্রকার ছেড়ে দিয়েছেন, তাঁদের জন্য রইল সুখবর। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন- ডার্ক চকোলেট ব্রেনের জন্য খুব উপকারী। এর ফ্ল্যাবনয়েড উপাদান কগনিটিভ স্কিলের উন্নতি ঘটায়। এছাড়া মস্তিষ্কে নিউরোন তৈরি করে যা নতুন বিষয় মনে রাখতে সাহায্য করে। এমনকি মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে ডার্ক চকোলেট।

যেসব কাজে প্রমাণ দিচ্ছেন, 'আপনি ভালো মানুষ না'

যেসব কাজে প্রমাণ দিচ্ছেন, 'আপনি ভালো মানুষ না'

যেসব কাজে প্রমাণ দিচ্ছেন, 'আপনি ভালো মানুষ না'
প্রতীকী ছবি

কিছু নেতিবাচক বৈশিষ্ট্যের কারণে মানুষ আপনার সঙ্গ ত্যাগ করতে পারে। বন্ধু ও আত্মীস্বজনদের মধ্যে আপনি কোণঠাসা হয়ে পড়তে পারেন। আপনার কিছু আচরণের কারণে আপন মানুষেরাও বিরক্ত হতে পারে। তেমনই কিছু বৈশিষ্ট্য:
দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া
সামর্থ্য থাকতেও দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া সাইকোলজিক্যাল ডিজঅর্ডারের লক্ষণ। আর আশেপাশে মানুষ অবশ্যই আপনার এ বৈশিষ্ট্যকে ভালো চোখে দেখবে না। অনেকেই আছে দায়িত্ব নিতে সাহস পান না, ভুল করার কিংবা ব্যর্থ হওয়ার ভয়ে থাকেন, হীনমন্যভায় ভোগেন। অন্য কী বলবে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দায়িত্ব নিতে চান না। 
সমালোচনা সহ্য করতে না পারা
কেউই সমালোচিত হতে চায় না। এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবে না যে সমালোচনায় আঘাত পায় না। কিন্তু কেউ কেউ আছেন, তারা তার সম্পর্কে সামান্য অপ্রীতিকর সত্যটাও শোনার ধৈর্য রাখেন না। তারা যুক্তির ধার ধারেন না, সমস্যাটাকে কমিয়ে আনতে আগ্রহী থাকেন না। কিন্তু আপনি যখন নিজের সম্পর্কে এমন কিছু উপলব্ধি করতে পারবেন তখন নিজেকে আরও ভালো মানুষ হিসেবে গড়ার সুযোগ পাবেন। 
অন্যের চেহারা, পোশাক নিয়ে হাসাহাসি
আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছেন যারা ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যকে অপমান করতে ভালোবাসেন। অন্যের কমতি তাদের কাছে বিনোদনের উপকরণ হয়ে দাঁড়ায়, সামনে গোপনে তারা এসব নিয়ে রসালো আলাপ করেন। যেটা ঠিক না কারণ এটা দুই পক্ষের জন্যই ক্ষতিকর। অন্যের এসব আচরণে রাগ সামলানো কঠিন তবে ভালো উপায় হলো এসব আচরণে গুরুত্ব না দেয়া এবং এসব নেতিবাচক মানুষকে এড়িয়ে চলা বা যোগাযোগ কমিয়ে দেয়া।