|
IT IS HOT NEWS. Some information and news unknown to everyone. Which is only possible in F S S T S T L. SO keeps watching and keeps telling others.
বৃহস্পতিবার, ৭ জুন, ২০১২
নতুন সেনাপ্রধান ইকবাল করিম
৫২ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট
|
ঢাবিতে যৌন হয়রানি ১ মাসে শিকার ২৮ ছাত্রী
অজপাড়াগাঁয়ের ছাত্রী রানী (ছদ্মনাম)। কঠোর
পরিশ্রম আর সাধনায় সুযোগ পান ঢাবি’তে। হলে উঠতে সাহায্য নেন পারিবারিকভাবে
পরিচিত এক ছাত্রনেতার। এ সাহায্য নেয়াই কাল হয়েছে তার। পরিচয়ের সূত্র ধরে
নেতা খাতির জমানোর চেষ্টা করেন রানীর সঙ্গে। এক সময় জীবন সঙ্গী করার
প্রস্তাব দেন। প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়াতেই শুরু হয় নতুন সমস্যা। প্রতিনিয়ত
বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করা হয় তাকে। এ মাসের শুরুতে
শামসুন্নাহার হলের সামনে থেকে নেতা কৌশলে মোটরসাইকেলে তুলে নেয় রানীকে।
পরের ঘটনা ভয়াবহ। সেখান থেকে কৌশলে পুলিশের সাহায্যে পালিয়ে আসেন রানী।
কেবল রানীর ঘটনা নয়, ঢাবিতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে যৌন হয়রানি। শিক্ষক, বন্ধু,
বহিরাগত বা ক্যাম্পাসের ছাত্রনেতা পরিচয়ে বড় ভাইদের কাছেই তারা এ যৌন
হয়রানির শিকার হচ্ছেন। গত মাসেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ২৮
জন শিক্ষার্থী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রক্টরের কাছেই অভিযোগ করেছেন ১৬ জন ছাত্রী। এদের অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙে
পড়েছেন। আবার অনেকে প্রেমিকের ছুরির ফলায় বিদ্ধ হয়ে জীবন-মৃত্যুর
সন্ধিক্ষণে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রী অপহরণ
করে নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে। গত ১৯শে এপ্রিল প্রেমিককে অস্বীকার করায় তার
উপর্যুপরি ছুরির আঘাতে প্রেমিকা হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। তাকে বাঁচাতে
প্রয়োজন হয়েছে ২৬ ব্যাগ রক্ত। এখনও আশঙ্কামুক্ত নন তিনি।
গত মাসের প্রথম দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের সামনে থেকে অপহরণ করা হয় শ্রেয়া (ছদ্মনাম)-কে। ১৩ ঘণ্টা আটক থাকার পরে কৌশলে শিক্ষকদের ফোন করে তাদের সহযোগিতায় পালিয়ে আসতে সক্ষম হন তিনি।
গত শনিবার ১ম বর্ষের ছাত্রী ত্বহা (ছদ্মনাম)-কে তার পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে এক বহিরাগত বিভাগে ঢুকে প্রেম প্রস্তাব করে। অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। গত শনিবার মাস্টার্সের ছাত্রী তামান্না (ছদ্মনাম)-কে স্ত্রী দাবি করে টাকা দাবি করে এক বহিরাগত। স্ত্রী পরিচয় অস্বীকার ও টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তাকে ক্যাম্পাস থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে বলেও জানায়। এমনকি অশ্লীল মেসেজ, পিতা-মাতার কাছে নিয়মিত বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে তাকে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করে। গত মাসের ১৯ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত আবেদন করেন ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী তনিমা (ছদ্মনাম)। তিনি জানান, প্রতিনিয়ত এক শিক্ষার্থী প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে তাকে উত্ত্যক্ত করছে। অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে সমস্যা সৃষ্টি করার হুমকি দেয়।
গত মাসের ২৪ তারিখে বৃষ্টি (ছদ্মনাম) নামের এক শিক্ষার্থী তার নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে আবেদন করেছেন। তিনি জানান, এক ছাত্রনেতা তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। অথচ সে তার বান্ধবীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম করে আসছে। বিয়ের প্রস্তাব দেয়ায় তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করায় তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হলে তাকে বিয়ে করতে হবে। আর না হলে বখাটে লেলিয়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া করা হবে।
গত ১১ই এপ্রিল প্রেমের দাবিতে হামলা করে আহত করা হয় ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী লাবণ্য (ছদ্মনাম)-কে। হামলাকারী একই বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। হামলায় আহত হয়েছেন লাবণ্যসহ তার কয়েকজন বান্ধবী। তিনিও নিরাপত্তা চেয়ে প্রক্টরের কাছে আবেদন করেছেন।
এদিকে গত ১৬ই এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন এমফিলের শিক্ষার্থী রাফিয়া (ছদ্মনাম)। তিনি জানান, প্রেম করে বিয়ে করার পরেও মাস্টার্সের ছাত্র প্রতিনিয়ত অত্যাচার করছে। এমনকি বিভিন্ন সময়ে তোলা অন্তরঙ্গ ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করছে। মারপিট করে আহত করেছে। এমনকি তাকে বোঝাতে গিয়ে তার হামলায় আহত হয়েছেন তার বড় বোনসহ পরিবারের অনেকে।
গত মাসের শুরুতে নাজ (ছদ্মনাম) নামের এক শিক্ষার্থীকে প্রেমের দাবি পূরণ না করায় প্রাণনাশের হুমকি দেয় এক শিক্ষার্থী। সেও একই বিভাগের শিক্ষার্থী। সে এর আগে বিভাগের তনিমা (ছদ্ম নাম) নামের এক মেয়েকেও উত্ত্যক্ত করতো। তারা নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে আবেদন করেছেন। এভাবে প্রতিনিয়ত যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে ক্যাম্পাসে। অনেকে মানসম্মানের কথা ভেবে কাউকে বিষয়টি জানায় না। ফলে পরে বখাটেদের হামলায় দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ এম আমজাদ আলী বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি ছাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে। তারপরেও মাঝেমধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।
গত মাসের প্রথম দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের সামনে থেকে অপহরণ করা হয় শ্রেয়া (ছদ্মনাম)-কে। ১৩ ঘণ্টা আটক থাকার পরে কৌশলে শিক্ষকদের ফোন করে তাদের সহযোগিতায় পালিয়ে আসতে সক্ষম হন তিনি।
গত শনিবার ১ম বর্ষের ছাত্রী ত্বহা (ছদ্মনাম)-কে তার পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে এক বহিরাগত বিভাগে ঢুকে প্রেম প্রস্তাব করে। অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। গত শনিবার মাস্টার্সের ছাত্রী তামান্না (ছদ্মনাম)-কে স্ত্রী দাবি করে টাকা দাবি করে এক বহিরাগত। স্ত্রী পরিচয় অস্বীকার ও টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তাকে ক্যাম্পাস থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে বলেও জানায়। এমনকি অশ্লীল মেসেজ, পিতা-মাতার কাছে নিয়মিত বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে তাকে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করে। গত মাসের ১৯ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত আবেদন করেন ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী তনিমা (ছদ্মনাম)। তিনি জানান, প্রতিনিয়ত এক শিক্ষার্থী প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে তাকে উত্ত্যক্ত করছে। অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে সমস্যা সৃষ্টি করার হুমকি দেয়।
গত মাসের ২৪ তারিখে বৃষ্টি (ছদ্মনাম) নামের এক শিক্ষার্থী তার নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে আবেদন করেছেন। তিনি জানান, এক ছাত্রনেতা তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। অথচ সে তার বান্ধবীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম করে আসছে। বিয়ের প্রস্তাব দেয়ায় তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করায় তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হলে তাকে বিয়ে করতে হবে। আর না হলে বখাটে লেলিয়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া করা হবে।
গত ১১ই এপ্রিল প্রেমের দাবিতে হামলা করে আহত করা হয় ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী লাবণ্য (ছদ্মনাম)-কে। হামলাকারী একই বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। হামলায় আহত হয়েছেন লাবণ্যসহ তার কয়েকজন বান্ধবী। তিনিও নিরাপত্তা চেয়ে প্রক্টরের কাছে আবেদন করেছেন।
এদিকে গত ১৬ই এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন এমফিলের শিক্ষার্থী রাফিয়া (ছদ্মনাম)। তিনি জানান, প্রেম করে বিয়ে করার পরেও মাস্টার্সের ছাত্র প্রতিনিয়ত অত্যাচার করছে। এমনকি বিভিন্ন সময়ে তোলা অন্তরঙ্গ ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করছে। মারপিট করে আহত করেছে। এমনকি তাকে বোঝাতে গিয়ে তার হামলায় আহত হয়েছেন তার বড় বোনসহ পরিবারের অনেকে।
গত মাসের শুরুতে নাজ (ছদ্মনাম) নামের এক শিক্ষার্থীকে প্রেমের দাবি পূরণ না করায় প্রাণনাশের হুমকি দেয় এক শিক্ষার্থী। সেও একই বিভাগের শিক্ষার্থী। সে এর আগে বিভাগের তনিমা (ছদ্ম নাম) নামের এক মেয়েকেও উত্ত্যক্ত করতো। তারা নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে আবেদন করেছেন। এভাবে প্রতিনিয়ত যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে ক্যাম্পাসে। অনেকে মানসম্মানের কথা ভেবে কাউকে বিষয়টি জানায় না। ফলে পরে বখাটেদের হামলায় দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ এম আমজাদ আলী বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি ছাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে। তারপরেও মাঝেমধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।
রবিবার, ২৭ মে, ২০১২
হারিয়ে যাওয়া টাইটানিক, খুঁজে পাওয়া টাইটানিক
বলো তো, পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত জাহাজ কোনটা? কেন, টাইটানিক। যে জাহাজটিকে
বলা হচ্ছিল কখনোই ডুববে না, সেই জাহাজটিই কিনা ডুবে গিয়েছিল প্রথমবারের মতো
সাগরে ভেসেই। টাইটানিক কবে ডুবে গিয়েছিল, মনে আছে? ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল।
মানে, এই বছর ১৫ এপ্রিল টাইটানিক ডুবে যাওয়ারও ১০০ বছর হয়ে যাচ্ছে। তবে এ
বছর টাইটানিক প্রেমীদের জন্য একটা সুখবরও আছে- এ বছরই টাইটানিকের ডুবে
যাওয়া ধ্বংসাবশেষকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করেছে।
মানে, এখন আর চাইলেই কেউ টাইটানিক দেখতে গিয়ে টাইটানিকের ক্ষতি করতে পারবে
না। আর টাইটানিকের মালপত্র সরানো তো যাবেই না।
টাইটানিক হারিয়ে যাওয়ার গল্প
টাইটানিকের গল্প তো তোমরা জানোই, কী বিশালই না ছিল এই টাইটানিক। প্রায় তিন-তিনটা ফুটবল মাঠের সমান। শুধু কী তাই? সেই কবেকার এই জাহাজটিতে ছিল একটা বিশাল সুইমিং পুল, যেখানে গরম পানিরও বন্দোবস্ত ছিল। ছিল আরাম-আয়েশ আর বিলাস-এর সব ব্যবস্থাই। সব মিলিয়ে যাকে বলে এক ভাসমান সুরম্য প্রাসাদ। আর তাই দেখ না, টাইটানিক সিনেমায় যখন জাহাজটিকে দেখ, মনেই হয় না ওটা সেই ১৯১২ সালের জাহাজ। বাজারে তো এমন কথাও রটে গেল, স্বয়ং ঈশ্বরও এই জাহাজকে ডোবাতে পারবেন না, এমনই মজবুত এই টাইটানিক!
এমন একটা জাহাজ, আর তাতে রাজ্যের যতো বড়লোকরা চড়বে না, তাই কী হয়? রীতিমতো হুড়োহুড়ি করে বিক্রি হল টাইটানিকের প্রথম যাত্রার টিকিট। প্রথম যাত্রার রুট ছিল ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন শহর থেকে আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহর। ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল সাউদাম্পটন থেকে রওয়ানা হল তখনকার সবচাইতে বড় আর সবচাইতে বিলাসী জাহাজ। যারা জাহাজটির প্রথম ভ্রমণে যাত্রী হতে পারলো, তাদের তো খুশি আর ধরে না। সারাদিনই যেন জাহাজে পার্টি হচ্ছে, এমন অবস্থা। এমনি করেই পার হয়ে গেল কয়েকটি দিন।
১৪ এপ্রিল, রাত প্রায় ১২টা। আটলান্টিক সাগরের বুকে ভেসে যাচ্ছে টাইটানিক। তখন টাইটানিক আমেরিকার কাছাকাছি চলে এসেছে, গ্র্যান্ড ব্যাংকস অফ নিউফাউন্ডল্যান্ডে। আবহাওয়া খুবই খারাপ; ভীষণ ঠাণ্ডা আর জমাট বাঁধা কুয়াশা। নিউফাউন্ডল্যান্ড পার হয়ে যাওয়া জাহাজগুলো এর মধ্যেই এখানকার ভাসমান বরফ, মানে আইসবার্গ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে টাইটানিককে। কিন্তু টাইটানিকের ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড জন স্মিথ আর অন্যান্য ক্রুরা তো তাদের এসব কথাকে পাত্তাই দেননি। তাদের ভাবখানা এমন- কোথাকার কোন বরফ নাকি টাইটানিককে ডোবাবে! টাইটানিক আগের মতোই ২১ নটিক্যাল মাইলে (২৪ মাইল) চলতে লাগলো। ২১ নটিক্যাল মাইলকে আবার কম ভেবো না; তখন টাইটানিক ছিল অন্যতম দ্রুতগতির জাহাজ, আর তার সর্বোচ্চ গতিই ছিল ২৪ নটিক্যাল মাইল।
ওদিকে জাহাজের সামনে কোনো বাধা আছে কিনা দেখার জন্য জাহাজের ডেকে একটা উঁচু টাওয়ারের মতো থাকে। সেখানে পালা করে কয়েকজন চোখ রাখে। তখন সেখানে ছিলেন ফ্রেডরিক ফ্লিট। হঠাৎ তিনি দেখলেন, কুয়াশার আড়াল থেকে বের হয়ে এল এক বিশাল আইসবার্গ। আইসবার্গ হল সাগরের বুকে ভাসতে থাকা বিশাল বিশাল সব বরফখণ্ড। এগুলোর সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হলো, এগুলোর মাত্রই আট ভাগের এক ভাগ পানির উপরে থাকে। মানে, এর বড়ো অংশটাই দেখা যায় না। আর বরফের রংও তো কুয়াশার মতোই সাদা, তাই ফ্লিটও প্রথমে ওটাকে আলাদা করে চিনতে পারেনি। যখন দেখতে পেল, ততোক্ষণে আইসবার্গটি অনেক কাছে চলে এসেছে।
ফ্লিট তো আইসবার্গ দেখেই খবর দিতে ছুটলো। ফার্স্ট অফিসার উইলিয়াম মারডক শুনেই জাহাজ পিছনের দিকে চালাতে বললেন। আর মুখ ঘুরিয়ে দিতে বললেন অন্যদিকে। যাতে কোনভাবেই বিশাল ওই আইসবার্গটির সঙ্গে টাইটানিকের সংঘর্ষ না হয়। কিন্তু লাভ হলো না। টাইটানিকের স্টারবোর্ডে আইসবার্গ ধাক্কা খেল। আর তাতে টাইটানিকের পানির নিচে থাকা অংশে অনেকগুলো গর্ত হলো। পানি ঢুকতে লাগলো দৈত্যাকার জাহাজের খোলের ভেতর।
কিছুক্ষণের মধ্যেই এটা পরিস্কার হয়ে গেল, লোকজন যে জাহাজকে ভাবছিল কখনোই ডুববে না, সেই জাহাজই ডুবে যাচ্ছে তার প্রথম যাত্রাতেই। এবার যাত্রীদের লাইফবোটে তুলে পার করে দেওয়ার পালা। কিন্তু কেউ তো এ নিয়ে ভাবেই নি। লাইফবোট যা আছে, তা দিয়ে বড়োজোর মোট যাত্রীদের তিন ভাগের এক ভাগকে বাঁচানো যাবে। তখন এক বিশেষ নীতি অনুসরণ করা হলো- শিশু এবং নারীদেরকে প্রথমে লাইফবোটে করে পাঠানো হতে লাগলো।
এমনি করে কোনো রকমে বিশাল টাইটানিকের মোটে ৩২ শতাংশ যাত্রীদের বাঁচানো গেল। মাত্র ঘণ্টা চারেকের মধ্যে ডুবে গেল সুবিশাল টাইটানিক, ১৫ এপ্রিল রাত ২টায়। টাইটানিকের সঙ্গে আটলান্টিকে ডুবে গেল প্রায় ১৫ শ' মানুষ। মানুষের ইতিহাসেই এরকম বড়ো দুর্ঘটনা আর ঘটেছে কিনা সন্দেহ।
টাইটানিক তো ডুবে গেল আটলান্টিকে, কিন্তু আটলান্টিকের বুকে তার কী হলো? কেউ কেউ বললো, টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। কেউ বললো, টুকরো টুকরো হবে কেন, দু’ভাগ হয়ে পড়ে আছে। কিন্তু যতো গভীরে আছে, সেখান থেকে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব নয়। উদ্ধার কেন, চিহ্নিত করাই তো অসম্ভব। এমনি করেই আড়ালে চলে গেল হোয়াইট স্টার লাইন কোম্পানির জাহাজটি।
টাইটানিক খুঁজে পাওয়ার গল্প
কিন্তু টাইটানিককে বেশিদিন চোখের আড়ালে থাকতে দিলেন না রবার্ট বালার্ড। ফরাসি এই বিজ্ঞানীর ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল টাইটানিককে খুঁজে বের করবেন। বড়ো হয়ে তিনি সেই কাজেই নামলেন। ১৯৮৫ সালে তিনি জাহাজ নিয়ে ঘাঁটি গাড়লেন গ্রেট ব্যাংকস অফ নিউফাউন্ডল্যান্ডে, যেখানে ডুবে গিয়েছিল টাইটানিক। সঙ্গে নিলেন নানা আধুনিক যন্ত্রপাতি। আর্গো নামের একটি আন্ডারওয়াটার ক্র্যাফট পাঠিয়ে দিলেন সাগরতলে। আর্গো সাগরতলের দৃশ্য ভিডিও করে নিয়ে আসতো।
কিন্তু কিছুতেই পাওয়া গেল না টাইটানিককে। হতাশ হয়ে পড়লেন বালার্ড। এদিকে টানা পরিশ্রমে তার শরীরও দুর্বল হয়ে পড়েছে। একটু বিশ্রাম দরকার তার। কিন্তু কীসের বিশ্রাম! যেই একটু ঘুমুতে গেলেন, অমনি তার ডাক পড়লো। আর্গোর ভিডিওতে মেটাল অবজেক্ট পাওয়া গেছে, যেগুলো শুধু কোনো জাহাজ থেকেই ভেসে আসা সম্ভব। উত্তেজনায় যা ঘুম ছিল, সব চলে গেল বালার্ডের। একটু খোঁজাখুজির পর জাহাজটিকে পাওয়া গেল। হ্যাঁ, এটাই টাইটানিকের দৈত্যাকৃতির ধ্বংসাবশেষ।
এবার আর্গোকে দিয়ে নানা দিক দিয়ে টাইটানিকের ছবি তুললেন বালার্ড। দেখলেন টাইটানিকের যাত্রীদের নানা স্মৃতিচিহ্ন- বিছানা, সুটকেস, কাপ- প্লেট, আর অসংখ্য জুতো। যেন সাগরতলের এক জাদুঘরের ভিডিও দেখছেন তিনি।
কিন্তু সময় ফুরিয়ে এল। তাকেও ফিরে যেতে হলো। তখনই ঠিক করলেন, আবার আসবেন টাইটানিকের কাছে। পরের বছরই আবার এলেন বালার্ড। এবার আরো প্রস্তুত হয়ে।
ছোট্ট একটা সাবমেরিনে চড়ে এলেন বালার্ড। সাথে নিয়ে এলেন সাগরতলে ঘোরাঘুরি করতে পারে, এমন একটি রোবটও; নাম তার জেজে। বালার্ড অবশ্য ওকে বলতেন- সুইমিং আইবল। জেজের সাহায্যে তিনি দেখলেন পুরো টাইটানিককে; এর বিশাল সিঁড়িটা এখন কেমন আছে, কেমন আছে ওর জিম, চেয়ার, ঘর, সব।
বালার্ডের টাইটানিক আবিষ্কার তো হলো, কিন্তু তিনি জানতে চাইলেন, কীভাবে ডুবে গেল টাইটানিক। আর তা বোঝার জন্য আবারো তিনি গেলেন টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে, ২০০৪ সালের জুন মাসে। এবার গিয়ে কিন্তু তার মনই খারাপ হয়ে গেল।
বালার্ড টাইটানিক আবিষ্কার করার পর থেকেই মানুষ সাবমেরিনে করে সেখানে ঘুরতে যায়। এই সাবমেরিনগুলো টাইটানিকের যে সব জায়গায় ল্যান্ড করে, সেসব জায়গাতে দাগ তো পড়েছেই, অনেক জায়গায় গর্তও হয়ে গেছে। আর মানুষ জাহাজ থেকে প্রায় ৬ হাজার জিনিস নিয়ে গেছে। এমনকি অনেকে নিয়ে গেছে জাহাজের টুকরোও!
তখন থেকেই টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষণের দাবি ওঠে। আর এ বছর তো ইউনেস্কো টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষকে আন্ডারওয়াটার ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবেই ঘোষণা করে দিয়েছে।
১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ, আমাদের ভীষণ আনন্দের দিন। সেদিন তো খুব আনন্দ করবে। কিন্তু পরের দিন মনে করে টাইটানিকের সাথে ডুবে যাওয়া ১৫শ’ মানুষের কথাও স্মরণ করো। ঠিক ঠিক করে বললে ১৫১৪ জন।
টাইটানিক হারিয়ে যাওয়ার গল্প
টাইটানিকের গল্প তো তোমরা জানোই, কী বিশালই না ছিল এই টাইটানিক। প্রায় তিন-তিনটা ফুটবল মাঠের সমান। শুধু কী তাই? সেই কবেকার এই জাহাজটিতে ছিল একটা বিশাল সুইমিং পুল, যেখানে গরম পানিরও বন্দোবস্ত ছিল। ছিল আরাম-আয়েশ আর বিলাস-এর সব ব্যবস্থাই। সব মিলিয়ে যাকে বলে এক ভাসমান সুরম্য প্রাসাদ। আর তাই দেখ না, টাইটানিক সিনেমায় যখন জাহাজটিকে দেখ, মনেই হয় না ওটা সেই ১৯১২ সালের জাহাজ। বাজারে তো এমন কথাও রটে গেল, স্বয়ং ঈশ্বরও এই জাহাজকে ডোবাতে পারবেন না, এমনই মজবুত এই টাইটানিক!
এমন একটা জাহাজ, আর তাতে রাজ্যের যতো বড়লোকরা চড়বে না, তাই কী হয়? রীতিমতো হুড়োহুড়ি করে বিক্রি হল টাইটানিকের প্রথম যাত্রার টিকিট। প্রথম যাত্রার রুট ছিল ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন শহর থেকে আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহর। ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল সাউদাম্পটন থেকে রওয়ানা হল তখনকার সবচাইতে বড় আর সবচাইতে বিলাসী জাহাজ। যারা জাহাজটির প্রথম ভ্রমণে যাত্রী হতে পারলো, তাদের তো খুশি আর ধরে না। সারাদিনই যেন জাহাজে পার্টি হচ্ছে, এমন অবস্থা। এমনি করেই পার হয়ে গেল কয়েকটি দিন।
১৪ এপ্রিল, রাত প্রায় ১২টা। আটলান্টিক সাগরের বুকে ভেসে যাচ্ছে টাইটানিক। তখন টাইটানিক আমেরিকার কাছাকাছি চলে এসেছে, গ্র্যান্ড ব্যাংকস অফ নিউফাউন্ডল্যান্ডে। আবহাওয়া খুবই খারাপ; ভীষণ ঠাণ্ডা আর জমাট বাঁধা কুয়াশা। নিউফাউন্ডল্যান্ড পার হয়ে যাওয়া জাহাজগুলো এর মধ্যেই এখানকার ভাসমান বরফ, মানে আইসবার্গ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে টাইটানিককে। কিন্তু টাইটানিকের ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড জন স্মিথ আর অন্যান্য ক্রুরা তো তাদের এসব কথাকে পাত্তাই দেননি। তাদের ভাবখানা এমন- কোথাকার কোন বরফ নাকি টাইটানিককে ডোবাবে! টাইটানিক আগের মতোই ২১ নটিক্যাল মাইলে (২৪ মাইল) চলতে লাগলো। ২১ নটিক্যাল মাইলকে আবার কম ভেবো না; তখন টাইটানিক ছিল অন্যতম দ্রুতগতির জাহাজ, আর তার সর্বোচ্চ গতিই ছিল ২৪ নটিক্যাল মাইল।
ওদিকে জাহাজের সামনে কোনো বাধা আছে কিনা দেখার জন্য জাহাজের ডেকে একটা উঁচু টাওয়ারের মতো থাকে। সেখানে পালা করে কয়েকজন চোখ রাখে। তখন সেখানে ছিলেন ফ্রেডরিক ফ্লিট। হঠাৎ তিনি দেখলেন, কুয়াশার আড়াল থেকে বের হয়ে এল এক বিশাল আইসবার্গ। আইসবার্গ হল সাগরের বুকে ভাসতে থাকা বিশাল বিশাল সব বরফখণ্ড। এগুলোর সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হলো, এগুলোর মাত্রই আট ভাগের এক ভাগ পানির উপরে থাকে। মানে, এর বড়ো অংশটাই দেখা যায় না। আর বরফের রংও তো কুয়াশার মতোই সাদা, তাই ফ্লিটও প্রথমে ওটাকে আলাদা করে চিনতে পারেনি। যখন দেখতে পেল, ততোক্ষণে আইসবার্গটি অনেক কাছে চলে এসেছে।
ফ্লিট তো আইসবার্গ দেখেই খবর দিতে ছুটলো। ফার্স্ট অফিসার উইলিয়াম মারডক শুনেই জাহাজ পিছনের দিকে চালাতে বললেন। আর মুখ ঘুরিয়ে দিতে বললেন অন্যদিকে। যাতে কোনভাবেই বিশাল ওই আইসবার্গটির সঙ্গে টাইটানিকের সংঘর্ষ না হয়। কিন্তু লাভ হলো না। টাইটানিকের স্টারবোর্ডে আইসবার্গ ধাক্কা খেল। আর তাতে টাইটানিকের পানির নিচে থাকা অংশে অনেকগুলো গর্ত হলো। পানি ঢুকতে লাগলো দৈত্যাকার জাহাজের খোলের ভেতর।
কিছুক্ষণের মধ্যেই এটা পরিস্কার হয়ে গেল, লোকজন যে জাহাজকে ভাবছিল কখনোই ডুববে না, সেই জাহাজই ডুবে যাচ্ছে তার প্রথম যাত্রাতেই। এবার যাত্রীদের লাইফবোটে তুলে পার করে দেওয়ার পালা। কিন্তু কেউ তো এ নিয়ে ভাবেই নি। লাইফবোট যা আছে, তা দিয়ে বড়োজোর মোট যাত্রীদের তিন ভাগের এক ভাগকে বাঁচানো যাবে। তখন এক বিশেষ নীতি অনুসরণ করা হলো- শিশু এবং নারীদেরকে প্রথমে লাইফবোটে করে পাঠানো হতে লাগলো।
এমনি করে কোনো রকমে বিশাল টাইটানিকের মোটে ৩২ শতাংশ যাত্রীদের বাঁচানো গেল। মাত্র ঘণ্টা চারেকের মধ্যে ডুবে গেল সুবিশাল টাইটানিক, ১৫ এপ্রিল রাত ২টায়। টাইটানিকের সঙ্গে আটলান্টিকে ডুবে গেল প্রায় ১৫ শ' মানুষ। মানুষের ইতিহাসেই এরকম বড়ো দুর্ঘটনা আর ঘটেছে কিনা সন্দেহ।
টাইটানিক তো ডুবে গেল আটলান্টিকে, কিন্তু আটলান্টিকের বুকে তার কী হলো? কেউ কেউ বললো, টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। কেউ বললো, টুকরো টুকরো হবে কেন, দু’ভাগ হয়ে পড়ে আছে। কিন্তু যতো গভীরে আছে, সেখান থেকে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব নয়। উদ্ধার কেন, চিহ্নিত করাই তো অসম্ভব। এমনি করেই আড়ালে চলে গেল হোয়াইট স্টার লাইন কোম্পানির জাহাজটি।
টাইটানিক খুঁজে পাওয়ার গল্প
কিন্তু টাইটানিককে বেশিদিন চোখের আড়ালে থাকতে দিলেন না রবার্ট বালার্ড। ফরাসি এই বিজ্ঞানীর ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল টাইটানিককে খুঁজে বের করবেন। বড়ো হয়ে তিনি সেই কাজেই নামলেন। ১৯৮৫ সালে তিনি জাহাজ নিয়ে ঘাঁটি গাড়লেন গ্রেট ব্যাংকস অফ নিউফাউন্ডল্যান্ডে, যেখানে ডুবে গিয়েছিল টাইটানিক। সঙ্গে নিলেন নানা আধুনিক যন্ত্রপাতি। আর্গো নামের একটি আন্ডারওয়াটার ক্র্যাফট পাঠিয়ে দিলেন সাগরতলে। আর্গো সাগরতলের দৃশ্য ভিডিও করে নিয়ে আসতো।
কিন্তু কিছুতেই পাওয়া গেল না টাইটানিককে। হতাশ হয়ে পড়লেন বালার্ড। এদিকে টানা পরিশ্রমে তার শরীরও দুর্বল হয়ে পড়েছে। একটু বিশ্রাম দরকার তার। কিন্তু কীসের বিশ্রাম! যেই একটু ঘুমুতে গেলেন, অমনি তার ডাক পড়লো। আর্গোর ভিডিওতে মেটাল অবজেক্ট পাওয়া গেছে, যেগুলো শুধু কোনো জাহাজ থেকেই ভেসে আসা সম্ভব। উত্তেজনায় যা ঘুম ছিল, সব চলে গেল বালার্ডের। একটু খোঁজাখুজির পর জাহাজটিকে পাওয়া গেল। হ্যাঁ, এটাই টাইটানিকের দৈত্যাকৃতির ধ্বংসাবশেষ।
এবার আর্গোকে দিয়ে নানা দিক দিয়ে টাইটানিকের ছবি তুললেন বালার্ড। দেখলেন টাইটানিকের যাত্রীদের নানা স্মৃতিচিহ্ন- বিছানা, সুটকেস, কাপ- প্লেট, আর অসংখ্য জুতো। যেন সাগরতলের এক জাদুঘরের ভিডিও দেখছেন তিনি।
কিন্তু সময় ফুরিয়ে এল। তাকেও ফিরে যেতে হলো। তখনই ঠিক করলেন, আবার আসবেন টাইটানিকের কাছে। পরের বছরই আবার এলেন বালার্ড। এবার আরো প্রস্তুত হয়ে।
ছোট্ট একটা সাবমেরিনে চড়ে এলেন বালার্ড। সাথে নিয়ে এলেন সাগরতলে ঘোরাঘুরি করতে পারে, এমন একটি রোবটও; নাম তার জেজে। বালার্ড অবশ্য ওকে বলতেন- সুইমিং আইবল। জেজের সাহায্যে তিনি দেখলেন পুরো টাইটানিককে; এর বিশাল সিঁড়িটা এখন কেমন আছে, কেমন আছে ওর জিম, চেয়ার, ঘর, সব।
বালার্ডের টাইটানিক আবিষ্কার তো হলো, কিন্তু তিনি জানতে চাইলেন, কীভাবে ডুবে গেল টাইটানিক। আর তা বোঝার জন্য আবারো তিনি গেলেন টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে, ২০০৪ সালের জুন মাসে। এবার গিয়ে কিন্তু তার মনই খারাপ হয়ে গেল।
বালার্ড টাইটানিক আবিষ্কার করার পর থেকেই মানুষ সাবমেরিনে করে সেখানে ঘুরতে যায়। এই সাবমেরিনগুলো টাইটানিকের যে সব জায়গায় ল্যান্ড করে, সেসব জায়গাতে দাগ তো পড়েছেই, অনেক জায়গায় গর্তও হয়ে গেছে। আর মানুষ জাহাজ থেকে প্রায় ৬ হাজার জিনিস নিয়ে গেছে। এমনকি অনেকে নিয়ে গেছে জাহাজের টুকরোও!
তখন থেকেই টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষণের দাবি ওঠে। আর এ বছর তো ইউনেস্কো টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষকে আন্ডারওয়াটার ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবেই ঘোষণা করে দিয়েছে।
১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ, আমাদের ভীষণ আনন্দের দিন। সেদিন তো খুব আনন্দ করবে। কিন্তু পরের দিন মনে করে টাইটানিকের সাথে ডুবে যাওয়া ১৫শ’ মানুষের কথাও স্মরণ করো। ঠিক ঠিক করে বললে ১৫১৪ জন।
মানব ভ্রুণের তৈরি ক্যাপসুল!
|
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)