বৃহস্পতিবার, ৫ জুলাই, ২০১২

আসছে ব্ল্যাকবেরি ট্যাবলেট

আসছে ব্ল্যাকবেরি ট্যাবলেট

ব্ল্যাকবেরি প্রস্তুতকারক রিম আগামী বছরের শরৎকালে ব্ল্যাক ফরেস্ট নামে একটি নতুন ট্যাবলেট পিসি আনার পরিকল্পনা করেছে। একটি গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এই খবরটি জানা গেছে। খবর টেলিগ্রাফ নিউজ–এর।

ব্ল্যাকবেরি ব্লগে প্রকাশ করা একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছে, এসবই রিমের ক্লাসিফায়েড তথ্য যা থেকে ব্ল্যাকবেরির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।

ব্ল্যাকবেরির ফাঁস হওয়া ‘রোডম্যাপ’ থেকে জানা গেছে, ব্ল্যাকবেরি ফোরজি প্লেবুক যা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে তৈরি হচ্ছে, সেটি আসবে ২০১২ সালের শেষ দিকে এবং নতুন ব্ল্যাকবেরি ১০ ডিভাইসটি আসবে ২০১৩ সালের শুরুতে।

ব্ল্যাকবেরি ১০ ডিভাইসটি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্লগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রায় সব প্রযুক্তি ব্লগ সাইটেই বলা হচ্ছে, এতে ১০ ইঞ্চি স্ক্রিন থাকবে যা প্লেবুকের স্ক্রিনের তুলনায় বড় এবং এতে ১২৮জিবি মেমোরি থাকবে। তাদের ‘রোডম্যাপ’ থেকে আরো দু’টি নতুন প্রোডাক্ট-এর নাম জানা গেছে। প্রোডাক্ট দু’টির কোডনেম ‘ন্যাশভিল’ এবং ‘নেপলস’।

এদিকে গত সপ্তাহে রিম ঘোষণা করেছে, তারা ব্ল্যাকবেরি ১০ আরো দেরিতে রিলিজ করবে। এর ফলে ব্ল্যাকবেরির শেয়ার মূল্য ২০% কমে গেছে। এই সম্পর্কে স্ক্রিন ডাইজেস্ট-এর সিনিয়র প্রিন্সিপাল বলেছেন, ‘আগামী প্রজন্মের পণ্যের মাধ্যমে, রিমের এখন একটি বড় সাফল্য প্রয়োজন। তার বদলে তারা দেরি করে নিজেদেরই ক্ষতি করছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাজার রিমের প্রতি ক্রমশ আস্থা হারাচ্ছে’।

৬২০ কোটি ডলারের হোঁচট খেলো মাইক্রোসফট

৬২০ কোটি ডলারের হোঁচট খেলো মাইক্রোসফট

মাইক্রোসফটের অনলাইন অ্যাডভাটাইজিং সার্ভিস, একুয়ানটিভ এ বছর পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ আয় করতে না পারায় ৬২০ কোটি ডলার গচ্চা দিলো এই সফটওয়্যার জায়ান্ট। মাইক্রোসফট পাঁচ বছর আগে একুয়ানটিভ কিনে নিয়েছিলো ৬৩০ কোটি ডলারে। খবর অরেঞ্জ নিউজ-এর।

আগেই ধারণা করা হয়েছিল, ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে মাইক্রোসফট। কোম্পানিটি প্রাথমিকভাবে তাদের লসের জন্য একুয়ানটিভ-এর হতাশাজনক পারফরমেন্সকেই দায়ী করছে। পাঁচ বছর আগে একুয়ানটিভ-ই ছিলো মাইক্রোসফটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্রয়। তারা গত বছর ৮৫০ কোটি ডলারে স্কাইপ কিনে সেই রেকর্ড ভেঙ্গেছে।

মাইক্রোসফটের অনলাইন ডিভিশনের হিসাবে, একুয়ানটিভ কেনার পর এখন পর্যন্ত মাইক্রোসফট প্রায় ৯০০ কোটি ডলার লস করেছে।

ফেকটসেটের বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, এতো কিছুর পরেও মাইক্রোসফট এই অর্থবছরের শেষ ভাগে, ৫৩০ কোটি ডলার আয় করবে। ১৯ জুলাই মাইক্রোসফটের শেষ তিন মাসের আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করার কথা রয়েছে।

সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে তৈরি অলিম্পিক ২০১২সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে তৈরি অলিম্পিক ২০১২

সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে তৈরি অলিম্পিক ২০১২

সাইবার অ্যাটাক থেকে নিজেদের রক্ষা করতে রীতিমতো যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে লন্ডন অলিম্পিক গেইমস ২০১২ কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহে ২ লাখ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পুরো অলিম্পিক গেইমসের ইন্টারনেট সিকিউরিটি ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখেছে গেইমসের সাইবার সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা টেকনোলজি কোম্পানি অ্যাটোস। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

২০০২ সাল থেকে অলিম্পিক গেইমসের ইন্টারনেট সিকিউরিটির দায়িত্বে আছে অ্যাটোস। পুরো ইংল্যান্ডের ১১,৫০০-এরও বেশি কম্পিউটারের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে আছে টেকনোলজি কোম্পানিটি। লন্ডন অলিম্পিক ২০১২-এর সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে যেনো যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে তারা। সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণ কিভাবে হতে পারে এবং তা ঠেকাতে কি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা নিশ্চিত করতে, হ্যাকারদেরও অলিম্পিক গেইমসের ইন্টারনেট সিকিউরিটি সিস্টেম হ্যাক করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলো অ্যাটোস।

নিজেদের ইন্টারনেট ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখার জন্য হ্যাকারদের আমন্ত্রণ জানানোর কথা নিশ্চিত করেন অ্যাটোসের চিফ ইন্টিগ্রেটর মিশেল হায়রন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা ছাড়াও আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন সৎ এবং নীতিবান কিছু হ্যাকার। তাদের মূল কাজ হচ্ছে, সিস্টেমটির কোনো ক্ষতি না করে এটির ক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখা।’

এর আগে বেইজিং অলিম্পিকে প্রতিদিন ১ কোটি ২০ লাখ সাইবার অ্যাটাকের শিকার হতে হয়েছিলো অলিম্পিক কর্তৃপক্ষকে। লন্ডন অলিম্পক ২০১২-তে প্রতিদিন ১ কোটি ২০ লাখ থেকে ১ কোটি ৪০ লাখ সাইবার অ্যাটাক হবে ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে অ্যাটোস এবং অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস/এইচবি

নতুন 'কনকর্ড': গতি ঘণ্টায় ৪০০০ কিলো!

নতুন 'কনকর্ড': গতি ঘণ্টায় ৪০০০ কিলো!


গুজবটি যদি সত্যি হয় তবে একবারও না থেমে মাত্র ৪ ঘণ্টায় লন্ডন থেকে সিডনিতে পৌঁছাতে পারবে প্লেনটি। বিশ্ববিখ্যাত এয়ারক্রাফট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং, লকহিড মার্টিন এবং গালফস্ট্রিম মিলে একসময়ের দ্রুততম প্যাসেঞ্জার জেট কনকর্ডের  উত্তরসূরী তৈরি করছে বলে জোর গুজব ছড়িয়েছে। খবর রয়টার্স-এর।
নতুন ওই মডেলটিকে ডাকা হচ্ছে এক্স-৫৪। অল্প সময়ে দূরের পথ পাড়ি দিতে অনেকেরই প্রথম পছন্দ ছিলো সুপারসনিক প্যাসেঞ্জার জেট কনকর্ড। কিন্তু ২০০৩ সালে অবসরে যায় কনকর্ডের সবগুলো পুরোনো প্লেন। নতুন মডেল এক্স-৫৪ তৈরি হলে এটিই হবে পৃথিবীর দ্রুততম প্যাসেঞ্জার জেট। জানা গেছে, এটির গতি হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০০ কিলোমিটার। এর ফলে মাত্র ৪ ঘণ্টায় লন্ডন থেকে ১৭ হাজার কিলোমিটার দূরের সিডনিতে পৌছাতে পারবে প্লেনটি। এই গতি কনকর্ডের গতির প্রায় দ্বিগুণ।
এক্স-৫৪ নিয়ে বোয়িং, লকহিড মার্টিন ও গালফস্ট্রিম-এর ওই প্রকল্পে নাসার কাছ থেকেও সহযোগিতা মিলছে বলে জানা গেছে। কনকর্ডের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল যাত্রা শুরুর সময়ে তৈরি হওয়া সনিক বুম বা প্রচণ্ড শব্দ। নতুন প্লেনের বেলায় সেটি অনেক কমিয়ে আনা যাবে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। তবে নতুন প্লেনটিতে কনকর্ডের শনাক্তকরণ চিহ্ন বাঁকানো নাক, ভি টেইল থাকবে কি-না সেটি এখনো জানা যায়নি।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস/এইচবি/জুলাই ৪/১২
গুজবটি যদি সত্যি হয় তবে একবারও না থেমে মাত্র ৪ ঘণ্টায় লন্ডন থেকে সিডনিতে পৌঁছাতে পারবে প্লেনটি। বিশ্ববিখ্যাত এয়ারক্রাফট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং, লকহিড মার্টিন এবং গালফস্ট্রিম মিলে একসময়ের দ্রুততম প্যাসেঞ্জার জেট কনকর্ডের  উত্তরসূরী তৈরি করছে বলে জোর গুজব ছড়িয়েছে। খবর রয়টার্স-এর।

নতুন ওই মডেলটিকে ডাকা হচ্ছে এক্স-৫৪। অল্প সময়ে দূরের পথ পাড়ি দিতে অনেকেরই প্রথম পছন্দ ছিলো সুপারসনিক প্যাসেঞ্জার জেট কনকর্ড। কিন্তু ২০০৩ সালে অবসরে যায় কনকর্ডের সবগুলো পুরোনো প্লেন। নতুন মডেল এক্স-৫৪ তৈরি হলে এটিই হবে পৃথিবীর দ্রুততম প্যাসেঞ্জার জেট। জানা গেছে, এটির গতি হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০০ কিলোমিটার। এর ফলে মাত্র ৪ ঘণ্টায় লন্ডন থেকে ১৭ হাজার কিলোমিটার দূরের সিডনিতে পৌছাতে পারবে প্লেনটি। এই গতি কনকর্ডের গতির প্রায় দ্বিগুণ।

এক্স-৫৪ নিয়ে বোয়িং, লকহিড মার্টিন ও গালফস্ট্রিম-এর ওই প্রকল্পে নাসার কাছ থেকেও সহযোগিতা মিলছে বলে জানা গেছে। কনকর্ডের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল যাত্রা শুরুর সময়ে তৈরি হওয়া সনিক বুম বা প্রচণ্ড শব্দ। নতুন প্লেনের বেলায় সেটি অনেক কমিয়ে আনা যাবে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। তবে নতুন প্লেনটিতে কনকর্ডের শনাক্তকরণ চিহ্ন বাঁকানো নাক, ভি টেইল থাকবে কি-না সেটি এখনো জানা যায়নি।



জুলাই’য়ে খাদ্যমূল্য বাড়ার আশঙ্কা জাতিসংঘের

 
ক্রমাগত শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্যশস্য ও সয়াবিন উৎপাদন বাধাগ্রস্থ হওয়ায় এ মাসে বিশ্ব খাদ্য মূল্য বাড়ার আশঙ্কা করছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।

এফএও’র জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ও শস্য বিশ্লে¬ষক আব্দুলরেজা আব্বাসিয়ান রয়টার্সকে বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রে ফসল কাটার আগ পর্যন্ত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও মূল্যের অস্থিতিশীলতা ঠেকানো যাবে না। আগামী কয়েকমাস খুব টালমাটাল অবস্থায় যাবে।”

বিশ্ব খাদ্য সংস্থা খাদ্যশস্য, তৈলবীজ, দুগ্ধজাত খাবার, মাংস ও চিনি’র মূল্যের ওপর ভিত্তি করে খাদ্য মূল্য সূচক নির্ণয় করে থাকে।

সংস্থাটি এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ২০১২ সালে বিশ্বে ২ দশমিক ৩৯৬ বিলিয়ন মেট্রিক টন (২৬৪ কোটি টন) খাদ্যশস্য উৎপাদন হবে। যা পূর্ব ঘোষিত পরিমাণের চেয়ে ২৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন কম।

এছাড়া, তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এ বছর ভুট্টা উৎপাদন হবে ৩৫০ মিলিয়ন মেট্রিক টন যা পূর্ব ঘোষিত পরিমাণের চেয়ে ২৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন কম। তবে ২০১১ সালের তুলনায় তা ৩৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন বা ১১ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
 
{সংকলন কৃত  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/বিসিএস/এলকিউ}