বৃহস্পতিবার, ৫ জুলাই, ২০১২

ইমেইল অ্যাড্রেস বদলিয়ে বিপাকে ফেইসবুক

ইমেইল অ্যাড্রেস বদলিয়ে বিপাকে ফেইসবুক

কিছুদিন আগেই বিনা নোটিশে ইমেইল অ্যড্রেস বদলে দিয়ে ব্যবহারকারীদের রোষের মুখে পড়েছিলো ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ। সে ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন বিপাকে পড়েছে এই সোশাল নেটওয়ার্কিং জায়ান্ট। স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট থেকে ফেইসবুক অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করেন, এমন অনেক ব্যবহারকারীর কেবল ফেইসবুক অ্যাকাউন্টের ইমেইল অ্যাড্রেসটিই নয়, বরং ইমেইল কন্ট্যাক্ট লিস্টের সবগুলো ইমেইল ঠিকানাও বদলে সেখানে ফেইসবুকের ডোমেইন বসিয়ে দিয়েছে। খবর বিবিসির।

জানা গেছে, ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের পুরো ইমেইল কন্টাক্ট লিস্ট বদলে যাওয়ার কারণ হচ্ছে, একটি সফটওয়্যার ত্রুটি বা ‘বাগ’। একসঙ্গে সব ফেইসবুক ব্যবহারকারীর ইমেইল অ্যাড্রেস বদলে দেয়ার জন্যে সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছিলো।

ফেইসবুকের এই সফটওয়্যার বাগ-এর কারণে সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ব্ল্যাকবেরি, অ্যান্ড্রয়েড, অ্যাপলের আইওএস সিক্স এবং উইন্ডোজ ফোন এইট অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীরা।

এদিকে এই সফটওয়্যার বাগটির কারণে ইউজারদের রোশের মুখে পড়েছে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ। সফটওয়্যার বাগটি অপসারণের জন্য লেগে আছেন ফেইসবুকের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা। খুব শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ।

নতুন আবিষ্কৃত কণাটিই হিগস-বোসন পার্টিকল!

নতুন আবিষ্কৃত কণাটিই হিগস-বোসন পার্টিকল!

সার্ন বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত নতুন সাব অ্যাটমিক পার্টিকলটিই হতে পারে পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে বহু প্রতীক্ষীত হিগস-বোসন পার্টিকল। লন্ডনের এক কনফারেন্সে এমনটাই দাবি করেছেন বৃটিশ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাসিলিটি কাউন্সিলের প্রধান কর্মকর্তা জন ওমার্সলে। নতুন এই সাব অ্যাটমিক পার্টিকলটির সঙ্গে হিগস-বোসন পার্টিকলের অনেকটাই মিল রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। খবর রয়টার্স-এর।

পদার্থবিজ্ঞানের মতবাদ অনুযায়ী মহাবিশ্বের সৃষ্টি এবং গঠন রহস্য সমাধানের মূল চাবিকাঠিই হচ্ছে হিগস-বোসন পার্টিকল। কয়েক দশক ধরে হিগস-বোসন পার্টিকলের অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা।

লন্ডনের ওই কনফারেন্সে ওমার্সলে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, নতুন একটি মৌল কণা সত্যিই আবিষ্কৃত হয়েছে এবং হিগস-বোসন পার্টিকলের সঙ্গে এটির অনেক মিল রয়েছে।’

অন্যদিকে সার্ন বিজ্ঞানীদের মুখপাত্র জো ইনক্যানডেলা বলেছেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে পাওয়া তথ্যগুলো নির্ভরযোগ্যই মনে হচ্ছে আমাদের।’

সার্ন বিজ্ঞানীদের এই নতুন আবিষ্কার যে হিগস-বোসন পার্টিকল এখনও তা ১০০ ভাগ নিশ্চিত করতে পারেননি তারা। তবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তাদের ধারণা তারা হিগস-বোসন পাটিকল বা তার সঙ্গে মিল রয়েছে এমন কোনো মৌল কণাই আবিষ্কার করেছেন। আর এটি যদি হিগস-বোসন না হয়, তবে এটি সম্পূর্ণ নতুন একটি মৌল কণা, যা এতোদিন বিজ্ঞানীদের অজানাই ছিলো।

আসছে ব্ল্যাকবেরি ট্যাবলেট

আসছে ব্ল্যাকবেরি ট্যাবলেট

ব্ল্যাকবেরি প্রস্তুতকারক রিম আগামী বছরের শরৎকালে ব্ল্যাক ফরেস্ট নামে একটি নতুন ট্যাবলেট পিসি আনার পরিকল্পনা করেছে। একটি গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এই খবরটি জানা গেছে। খবর টেলিগ্রাফ নিউজ–এর।

ব্ল্যাকবেরি ব্লগে প্রকাশ করা একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছে, এসবই রিমের ক্লাসিফায়েড তথ্য যা থেকে ব্ল্যাকবেরির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।

ব্ল্যাকবেরির ফাঁস হওয়া ‘রোডম্যাপ’ থেকে জানা গেছে, ব্ল্যাকবেরি ফোরজি প্লেবুক যা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে তৈরি হচ্ছে, সেটি আসবে ২০১২ সালের শেষ দিকে এবং নতুন ব্ল্যাকবেরি ১০ ডিভাইসটি আসবে ২০১৩ সালের শুরুতে।

ব্ল্যাকবেরি ১০ ডিভাইসটি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্লগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রায় সব প্রযুক্তি ব্লগ সাইটেই বলা হচ্ছে, এতে ১০ ইঞ্চি স্ক্রিন থাকবে যা প্লেবুকের স্ক্রিনের তুলনায় বড় এবং এতে ১২৮জিবি মেমোরি থাকবে। তাদের ‘রোডম্যাপ’ থেকে আরো দু’টি নতুন প্রোডাক্ট-এর নাম জানা গেছে। প্রোডাক্ট দু’টির কোডনেম ‘ন্যাশভিল’ এবং ‘নেপলস’।

এদিকে গত সপ্তাহে রিম ঘোষণা করেছে, তারা ব্ল্যাকবেরি ১০ আরো দেরিতে রিলিজ করবে। এর ফলে ব্ল্যাকবেরির শেয়ার মূল্য ২০% কমে গেছে। এই সম্পর্কে স্ক্রিন ডাইজেস্ট-এর সিনিয়র প্রিন্সিপাল বলেছেন, ‘আগামী প্রজন্মের পণ্যের মাধ্যমে, রিমের এখন একটি বড় সাফল্য প্রয়োজন। তার বদলে তারা দেরি করে নিজেদেরই ক্ষতি করছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাজার রিমের প্রতি ক্রমশ আস্থা হারাচ্ছে’।

৬২০ কোটি ডলারের হোঁচট খেলো মাইক্রোসফট

৬২০ কোটি ডলারের হোঁচট খেলো মাইক্রোসফট

মাইক্রোসফটের অনলাইন অ্যাডভাটাইজিং সার্ভিস, একুয়ানটিভ এ বছর পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ আয় করতে না পারায় ৬২০ কোটি ডলার গচ্চা দিলো এই সফটওয়্যার জায়ান্ট। মাইক্রোসফট পাঁচ বছর আগে একুয়ানটিভ কিনে নিয়েছিলো ৬৩০ কোটি ডলারে। খবর অরেঞ্জ নিউজ-এর।

আগেই ধারণা করা হয়েছিল, ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে মাইক্রোসফট। কোম্পানিটি প্রাথমিকভাবে তাদের লসের জন্য একুয়ানটিভ-এর হতাশাজনক পারফরমেন্সকেই দায়ী করছে। পাঁচ বছর আগে একুয়ানটিভ-ই ছিলো মাইক্রোসফটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্রয়। তারা গত বছর ৮৫০ কোটি ডলারে স্কাইপ কিনে সেই রেকর্ড ভেঙ্গেছে।

মাইক্রোসফটের অনলাইন ডিভিশনের হিসাবে, একুয়ানটিভ কেনার পর এখন পর্যন্ত মাইক্রোসফট প্রায় ৯০০ কোটি ডলার লস করেছে।

ফেকটসেটের বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, এতো কিছুর পরেও মাইক্রোসফট এই অর্থবছরের শেষ ভাগে, ৫৩০ কোটি ডলার আয় করবে। ১৯ জুলাই মাইক্রোসফটের শেষ তিন মাসের আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করার কথা রয়েছে।

সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে তৈরি অলিম্পিক ২০১২সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে তৈরি অলিম্পিক ২০১২

সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে তৈরি অলিম্পিক ২০১২

সাইবার অ্যাটাক থেকে নিজেদের রক্ষা করতে রীতিমতো যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে লন্ডন অলিম্পিক গেইমস ২০১২ কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহে ২ লাখ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পুরো অলিম্পিক গেইমসের ইন্টারনেট সিকিউরিটি ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখেছে গেইমসের সাইবার সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা টেকনোলজি কোম্পানি অ্যাটোস। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

২০০২ সাল থেকে অলিম্পিক গেইমসের ইন্টারনেট সিকিউরিটির দায়িত্বে আছে অ্যাটোস। পুরো ইংল্যান্ডের ১১,৫০০-এরও বেশি কম্পিউটারের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে আছে টেকনোলজি কোম্পানিটি। লন্ডন অলিম্পিক ২০১২-এর সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে যেনো যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে তারা। সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণ কিভাবে হতে পারে এবং তা ঠেকাতে কি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা নিশ্চিত করতে, হ্যাকারদেরও অলিম্পিক গেইমসের ইন্টারনেট সিকিউরিটি সিস্টেম হ্যাক করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলো অ্যাটোস।

নিজেদের ইন্টারনেট ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখার জন্য হ্যাকারদের আমন্ত্রণ জানানোর কথা নিশ্চিত করেন অ্যাটোসের চিফ ইন্টিগ্রেটর মিশেল হায়রন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা ছাড়াও আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন সৎ এবং নীতিবান কিছু হ্যাকার। তাদের মূল কাজ হচ্ছে, সিস্টেমটির কোনো ক্ষতি না করে এটির ক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখা।’

এর আগে বেইজিং অলিম্পিকে প্রতিদিন ১ কোটি ২০ লাখ সাইবার অ্যাটাকের শিকার হতে হয়েছিলো অলিম্পিক কর্তৃপক্ষকে। লন্ডন অলিম্পক ২০১২-তে প্রতিদিন ১ কোটি ২০ লাখ থেকে ১ কোটি ৪০ লাখ সাইবার অ্যাটাক হবে ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে অ্যাটোস এবং অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস/এইচবি