শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬

ডলার আয় সহজ নয় তাই ফ্রিলাসিং না শিখে নয়

ডলার আয় সহজ নয় তাই ফ্রিলাসিং না শিখে নয়

‘আউটসোর্সিং’, ‘ফ্রিল্যান্স’, ‘আয় করুন বৈদেশিক মুদ্রা ঘরে বসেই’ ইত্যাদি শব্দ বা বাক্যের সঙ্গে এখন অনেকেই পরিচিত। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম। এই বিষয়গুলো নানা সময় নানাভাবে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়ে থাকে। তরুণদের অনেকেই মনে করেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করলেই বুঝি কাঁড়ি কাঁড়ি ডলার আসতে থাকবে। কিন্তু আউটসোর্সিংয়ের কাজে সাফল্যের খবর যেমন জানা যায়, ব্যর্থতার খবর কম নয়। প্রকৃতপক্ষে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ে ব্যর্থতার ঘটনা অনেক বেশি। কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন ছাড়া অনলাইনে আয় করা সম্ভব নয়। শুরুর আউটসোর্সিং বিষয়টা সম্পর্কে জানতে হবে।
ফ্রিল্যান্সার:
ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত পেশাজীবী এমন একজন যিনি নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্থায়ী বা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে যুক্ত না থেকেই কাজ করেন। একজন ফ্রিল্যান্সার এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। আবার নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চাকরি বা পড়ালেখার পাশাপাশিও ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অন্যান্য কাজ করতে পারেন।
আউটসোর্সিং:
কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যখন তার নিজের বা প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো বাইরের কাউকে দিয়ে করিয়ে নেয় তখন সেটি আউটসোর্সিং। প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কাজ আউটসোর্স করা হয়ে থাকে। এই কাজগুলো অপর কোনো প্রতিষ্ঠান করতে পারে অথবা একজন ফ্রিল্যান্সারও কাজটা করে দিতে পারেন। প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো আউটসোর্স করার অনেক ধরনের কারণ রয়েছে, দক্ষ লোককে দিয়ে কাজ করানো, কম মজুরির হার, কম সময়ে কাজ সম্পন্ন করা, সামগ্রিক ব্যয় কমানো, প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অন্যান্য কাজে নিয়োগ করাসহ আরও কারণ রয়েছে।
অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট (মার্কেটপ্লেস হিসেবে পরিচিত) যেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। আবার আউটসোর্সিং মানেই সব সময় যে অনলাইনে কাজ করা এমন নয়। ধরা যাক একটি তৈরি পোশাক কারখানায় শার্ট তৈরি করা হয় এবং শার্টের বোতামগুলো এই কারখানায় তৈরি করা হয় না। এগুলো সরবরাহ করা হয় অপর একটি প্রতিষ্ঠান থেকে। অর্থাৎ তৈরি পোশাক কারখানাটি বোতাম তৈরির আলাদা ব্যবস্থা না রেখে অন্য কারখানা থেকে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারে।
অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ পাওয়ার পদ্ধতি:
ইন্টারনেটে বেশ কিছু মার্কেটপ্লেস রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের দক্ষ পেশাজীবীরা এখানে নিয়মিত কাজ করছেন। আবার বিষয়ভিত্তিক আলাদা আলাদা মার্কেটপ্লেসও রয়েছে। এই বাজারে কাজগুলোর বর্ণনা থাকে এবং যাঁরা কাজ করতে আগ্রহী তাঁরা কাজটি কত সময়ের মধ্যে এবং কত পারিশ্রমিকের বিনিময়ে করতে পারবেন তা উল্লেখ করে আবেদন করবেন। এরপর আলোচনার মাধ্যমে যিনি কাজটি করাবেন তিনি কোনো একজনকে নির্বাচন করবেন।
অনলাইন মার্কেটগুলোতে কাজের বর্ণনা সাধারণত ইংরেজিতে দেওয়া থাকে। অর্থাৎ ইংরেজি ভাষা জানেন এবং ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে, পৃথিবীর এমন যে কেউই এই কাজগুলো করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু আবেদন করলেই কাজ পাওয়া যাবে এমন না, এটি প্রায় সম্পূর্ণভাব নির্ভর করে দক্ষতার ওপর। দক্ষতা ছাড়া কাজের জন্য আবেদন করা হলে হয়তো কখনো যোগাযোগই করা হবে না।
অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ৫০০-এরও বেশি বিষয়ের কাজ পাওয়া যায়। যে বিষয় নিয়েই কাজ করা হোক না কেন, ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে। কাজের জন্য আবেদন করা থেকে শুরু করে কাজ পাওয়া, কাজের বিভিন্ন ধাপে এবং সম্পন্ন করার পর পর্যন্ত কাজদাতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। যোগাযোগের দুর্বলতা থাকলে কোনো কারণে কাজ পাওয়া গেলেও নিয়মিতভাবে অনলাইনে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।
কাজ শেখা ও দক্ষতা অর্জন:
‘আলাদাভাবে শেখার প্রয়োজন নেই, কাজ করতে করতে শেখা হবে’—ধারণাটি এ ক্ষেত্রে ভুল। কাজ শুরু করার আগে বিষয়টি সম্পর্কে সর্বোচ্চ দক্ষতা না থাকলেও অবশ্যই কাজটি সম্পন্ন করার মতো জ্ঞান থাকতে হবে। কাজের মাধ্যমে শেখা শুরু করলে প্রায় কখনোই নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রকল্প শেষ করা যায় না। নিজের আগ্রহ কোন দিকে রয়েছে, সেটা বুঝতে হবে প্রথমে এবং এরপর সেই বিষয়সংশ্লিষ্ট কাজগুলো খুঁজে বের করতে হবে মার্কেট থেকে। কাজের বর্ণনায় লেখা থেকেও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কী কী বিষয় শেখা প্রয়োজন সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
কাজ শেখার সব থেকে বড় উৎস হলো ইন্টারনেট। সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে খুঁজে নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব এবং এখান থেকেই শেখা শুরু করা যেতে পারে। অনলাইনে বিনা মূল্যে প্রায় সব বিষয় সম্পর্কেই জানা সম্ভব। নিয়মিত চর্চা করা হলে ধীরে ধীরে বিষয়টি সম্পর্কে দক্ষ হয়ে ওঠা সম্ভব। পাশাপাশি শেখার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া যেতে পারে। তবে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে বা কোনো কোর্স করার সঙ্গে সঙ্গেই কাজ পাওয়া শুরু হয়ে যাবে এমন নয়। নিয়মিত চর্চা চালিয়ে যাওয়া জরুরি। আবার প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলেও, পাশাপাশি নিজের আলাদাভাবে শেখার কাজটি চালিয়ে যেতে হয়।
আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করার ফলেই পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। কোনো বিষয়ে পারদর্শিতা না থাকলে কাজ পাওয়া বা উপার্জনের আশা করাটা ভুল। কত কম সময়ের মধ্যে কত বেশি পরিমাণ উপার্জন সম্ভব, এমন লক্ষ্যের পেছনে দৌড়ালে জয়লাভ করা যাবে না। দক্ষতা বাড়ানোর কাজ চালিয়ে যেতে হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে কাজ পাওয়ার জন্য অনুসন্ধান করতে হবে।
লেখক: সফটওয়্যার প্রকৌশলী নাসির খান

ক্যারিয়ার গড়তে আউটসোসিং এর ক্ষেত্র চিনুন

ক্যারিয়ার গড়তে আউটসোসিং এর ক্ষেত্র চিনুন…

ফ্রীলান্সিং কিংবা আউটসোর্সিং যাই বলুন না কেন তরুন প্রজন্মের প্রায় বেশীরভাগের কাছে এ নিয়ে কৌতূহল দিন দিন বেড়েই চলছে । চাকরি নামক সোনার হরিণ দিনে দিনে দুর্মূল্য হয়ে ওঠায় তরুন থেকে বয়স্ক বিশেষ করে বেকারদের কাছে আগ্রহের বিষয়ে পরিনত হয়েছে।
আসুন আমরা প্রথমে শব্দ দুটোর সাথে পরিচিত হই।
আপাত দৃষ্টিতে ফ্রীলান্সিং এবং আউটসোর্সিং একই অর্থে ব্যবহার করা হলেও দুটোর মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে।
আউটসোর্সিং বলতে আমরা বুঝি ঘরে বসে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে কাজ করে আয় করা।
ফ্রীলান্সিং হচ্ছে স্বাধীন ভাবে কোন কাজ করা। মুক্ত পেশা। যেমন ধরুন, ব্যবসায় করা। এখানে আপনার কোন অফিসিয়াল প্রেসার নাই, আপনি নিজেই নিজের বস। এক্ষেত্রে শুধু ফ্রীলান্সিংকে একক ভাবে আউটসোর্সিং বলা চলে না। আবার নিজ দেশের কাজ বা স্থানীয় কাজকেও আউটসোর্সিং বলা যায় না।
তবে যেহেতু  ইন্টারনেটে  কাজ করা নিজের স্বাধীনতার উপর নির্ভর করে, তাই আউটসোর্সিং ও ফ্রীলান্সিং শব্দ দুটি একই অর্থে  ব্যবহার  করা হয়।
বর্তমানে আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্র সমুহঃ
13342205_560357414142675_1017321887_n
•    COMPUTER PROGRAMMING,
•    WEB DESIGN,
•     ‍ৃGRAPHIC DESIGN,
•    WEBSITE DEVELOPMENT,
•     VIDEO EDITING,
•     VIDEO PRODUCTION,
•     TRANSLATING,
•    ILLUSTRATING
•     MUSIC
•     JOURNALISM
•    PUBLISHING
•     SCREENWRITING,
•     FILM MAKING,
•     ACTING,
•     PHOTOJOURNALISM,
•     COSMETICS,
•    FRAGRANCES,
•     EDITING,
•    PHOTOGRAPHY,
•    EVENT PLANNING,
•    EVENT MANAGEMENT,
•     COPY EDITING,
•     PROOFREADING,
•    AUTHOR EDITING,
•     INDEXING,
•    COPY WRITING,
•     WRITING,
•     CONSULTING,
•     TOUR GUIDING,
•    POST-SECONDARY EDUCATION,
ইত্যাদি
ফ্রীলান্সিং মার্কেটপ্লেসে হাজার হাজার  কাজ আপেক্ষা করছে আপনার জন্য । ফ্রীলান্সিং এ সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি, সেটি হল আত্মবিশ্বাস । আপনাকে নিজের উপর প্রচুর আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে । তার আগে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে। হুজুগে নয় বরং নিজেকেই প্রশ্ন করুন আপনার পছন্দের বিষয় কোনটি । তারপর প্রয়োজনীয় ট্রেনিং আর প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস নিয়ে শুরু করুন আজ থেকেই।
আপনি এখন ভাবতে থাকুন আদৌও ফ্রীলান্সিং পেশায় আসবেন কিনা?  আর আসতে চাইলে কোন বিষয়টা আপনি মন থেকে পছন্দ করছেন…।
চলবে…
লেখক: সিরাজুম মুনিরা

বিনামূল্যে এসইও প্রশিক্ষণ

বিনামূল্যে এসইও প্রশিক্ষণ

এসইও কী?
এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) হচ্ছে এমন কিছু পদ্ধতি, যার মাধ্যমে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের (যেমন : Google, Bing, Yahoo) রেজাল্ট পেজে আপনার সাইট/ব্লগের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায় এবং এর ফলে সাইটে কাঙ্ক্ষিত টার্গেটেড ট্রাফিক আনা সম্ভব হয়।
আরো সহজভাবে বললে, বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের (যেমন : Google, Bing, Yahoo) নির্ধারিত নিয়মনীতি অনুসরণ করে আপনার সাইট/ব্লগকে ওই সব সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে নিয়ে আসার প্রক্রিয়াটিকেই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলে।
এসইও কেন দরকার?
আমরা আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে বা সেবাদানের লক্ষ্যে ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকি। কিন্তু এই ওয়েবসাইট তৈরির মূল উদ্দেশ্য থাকে কাঙ্ক্ষিত ট্রাফিক/ভিজিটর। কারণ, আপনার সাইটে যদি ট্রাফিক না আসে, তাহলে ওই সাইট থেকে আপনি কোনো প্রকার সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। আর সাইটে ট্রাফিক/ভিজিটর বেশি পেতে হলে এটিকে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজের ওপরের দিকে নিয়ে আসতে হবে।
কেননা, অধিকাংশ ট্রাফিকই আসে সার্চ ইঞ্জিনে বিভিন্ন কি-ওয়ার্ডের মাধ্যমে সার্চ করে। আর এসব সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাঙ্কিংয়ে আসতে হলে আপনার সাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনের নিয়মনীতি অনুসরণ করে যথাযথভাবে অপটিমাইজড করতে হবে। তাহলেই আপনি সার্চ ইঞ্জিনগুলো থেকে ভালো মানের ট্রাফিক পেতে পারেন এবং আপনি লাভবান হতে পারবেন। কারণ, ট্রাফিক = প্রফিট। ট্রাফিক যত বাড়বে, আপনার আয়ও তত বৃদ্ধি পাবে।
বাইরের বিভিন্ন দেশে যেকোনো ছোট-বড় ব্যবসা বা ব্যক্তিগত কাজের জন্য ওয়েবসাইটকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাদের সব কাজই অনলাইনের মাধ্যমে হয়ে থাকে। আর এ কারণেই তারা যার যার নিজস্ব সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাঙ্কিংয়ে আনতে চায়। তখনই তাদের প্রয়োজন পড়ে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের। কারণ, এসইও ছাড়া কোনো সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে ভালো অবস্থানে নিয়ে আসা সম্ভব নয়।
আমাদের দেশেও এখন ছোট/বড় ব্যবসার জন্য বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অনেক ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। আর এসব সাইটের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে, অর্থাৎ সাধারণ জনগণের কাছে কাঙ্ক্ষিত কি-ওয়ার্ডের ভিত্তিতে এসব সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের র‍্যাঙ্কিংয়ে আনার জন্য এসইও দরকার।
আর এভাবেই ছোট/বড় সব সাইটের পরিচিতি ও ট্রাফিক বৃদ্ধির জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে বাংলাদেশেও অনেক গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে এবং যতই দিন যাচ্ছে, এর চাহিদা ততই বাড়ছে। কারণ, এসইও একটি চলমান বা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।
এসইও কাদের দরকার?
আপনারা এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, এসইও কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ বা কেন এর চাহিদা এত বেশি। তাহলে এবার আসুন দেখা যাক, কাদের এই এসইও সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন।
বর্তমান যুগ অনলাইনের। এখন সবার কাছেই যেকোনো তথ্য বা সেবা পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে এই ইন্টারনেট। বাসায় ডেস্কটপ, ল্যাপটপ ছাড়াও আমরা অনেকেই এখন মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি এবং এর ব্যবহার ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা দৈনন্দিন বিভিন্ন চাহিদা পূরণের জন্য এই ডিভাইসগুলো ব্যবহার করে থাকি।
অনলাইন সেবার মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি ঘরে বসেই পেয়ে যাই। যেভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, সেভাবে অনলাইনে সেবাদানকারী সাইটের সংখ্যাও বাড়ছে। কয়েকটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয়ে যাবে।
মনে করি, আপনি একটি ছোট্ট বুটিক হাউস বা রেস্টুরেন্ট চালাচ্ছেন। আপনি চাইছেন, আপনার শহর বা এলাকার মধ্যে কেউ যদি আপনার এই সেবা অনলাইনে পেতে চায়, তাহলে সে যেন আপনার ওয়েবসাইটটিকে বুটিকস বা রেস্টুরেন্টকেন্দ্রিক যেসব কি-ওয়ার্ড আছে, এমন কিছু কি-ওয়ার্ডের জন্য আপনার সাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম দিকে পায়। তাহলে আপনার ব্যবসার পরিচিতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আপনার ব্যবসাকেও আরো উন্নতির পথে নিয়ে যাবে।
এখন বিষয়টি হচ্ছে, এটি কীভাবে সম্ভব যে লাখ লাখ ওয়েবসাইটের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট কি-ওয়ার্ডের জন্য আপনার সাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে নিয়ে আসবে। এর জন্য যা দরকার, তা হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি সাইট, যা একমাত্র যথাযথ এসইও এর দ্বারাই সম্ভব।
তাই যাদের এমন ছোট/বড় ব্যবসা আছে বা ই-কমার্স সাইট আছে বা সাইট করতে আগ্রহী, তাদের অবশ্যই এসইও জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। কারণ, এসইও ছাড়া কখনই একটি সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের র‍্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। আর সাইট যদি র‍্যাঙ্কিংয়ে না আসে, তাহলে আপনি ট্রাফিক পাচ্ছেন না আর ট্রাফিক না পেলে সেই সাইট থেকে কোনো প্রকার টাকা আসবে না।
এ ছাড়া এখন অনেকেই নিজের ব্যান্ডিং/পরিচিতির জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করেন এবং এর মাধ্যমে অনলাইন/ভার্চুয়াল জগতে নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখেন। ধরুন, আপনার নিজের নামে আপনি একটি সাইট তৈরি করেছেন এবং সাইটটি যথাযথ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের দ্বারা সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি করেছেন। এখন যদি কেউ আপনাকে সার্চ ইঞ্জিনে (যেমন : গুগল) গিয়ে আপনার নাম লিখে সার্চ করে এবং আপনার সাইটটিকে যদি প্রথমে পায়, তাহলে আপনি নিজেই ভেবে দেখুন আপনার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু বেড়ে যাবে এবং এটি আপনার ব্র্যান্ডিং বা পরিচিতির ক্ষেত্রে কতটুকু ভূমিকা রাখবে।
সুতরাং শুধু ব্যবসার জন্যই নয়, নিজের ব্রান্ডিং/পরিচিতির বা বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে একটি ওয়েবসাইট থাকা দরকার। আর এই ওয়েবসাইটকে বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটা সহজ মাধ্যম হলো এসইও।
seo
কীভাবে এসইও শিখবেন?
এসইও শেখার শুরুটা অনেক সহজ। আপনার বেসিক কিছু জ্ঞান থাকলেই আপনি এসইও শিখতে পারবেন, যেমন—
প্রাথমিক কম্পিউটার জ্ঞান : আপনার কম্পিউটারের সাধারণ ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। কম্পিউটার সঠিকভাবে চালনা করতে জানতে হবে।
ইন্টারনেট জ্ঞান : আপনার প্রাথমিক ইন্টারনেট জ্ঞান থাকতে হবে। ইন্টারনেট কী এবং এটি ব্যবহার করে আমরা কী করতে পারি, এ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
ব্রাউজিং সম্পর্কে ধারণা : আপনাকে ইন্টারনেট ব্রাউজিং সম্পর্কে জানতে হবে। কীভাবে সহজেই আপনি ইন্টারনেট ব্রাউজিং করে সঠিক তথ্য বের করতে পারবেন, এ দক্ষতা থাকতে হবে।
ইংরেজি দক্ষতা : আমি আগেও বলেছি যে, ফ্রিল্যান্সিংয়ে ভালো করতে হলে ইংরেজিতে ভালো দখল থাকতে হবে। আপনার ইংরেজি জ্ঞান ভালো হলে আপনি আরো ভালোভাবে এসইওর কাজ বুঝতে/করতে পারবেন। কেননা, আপনাকে এসইওর আপডেট সম্পর্কে জানতে হলে প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে আর এটি অবশ্যই ইংরেজিতে।
যদিও বললাম যে এসইও শেখাটা সহজ, তবে এর গভীরতা অনেক। কেননা, এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং আপনার নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে হলে সব সময় কাজ চালিয়ে যেতে হবে, নতুন নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে এবং এগুলোর সঠিক প্রয়োগ বুঝতে হবে।
কীভাবে এসইও ক্যারিয়ার শুরু করবেন?
এসইওতে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে আপনি যেকোনো আইটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতে পারেন, যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ক্লায়েন্টকে এসইও সেবা প্রদান করে। এতে করে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে এবং আপনি বুঝতে পারবেন যে বর্তমানে এসইওর কাজ কীভাবে করা হয়ে থাকে।
এ ছাড়া একটি সাইটের সম্পূর্ণ এসইও কীভাবে করা হয়, এ সম্পর্কেও জানতে পারবেন। কেননা, আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে সম্পূর্ণ এসইওর কাজ নাও পেতে পারেন। তাই এখান থেকে একটি ভালো ধারণা লাভ করতে পারবেন।
কিন্তু একটি বড় সমস্যা হচ্ছে, এসব প্রতিষ্ঠান আপনাকে অভিজ্ঞতা ছাড়া কাজে নিতে চাইবে না। হয় আপনার এসইও কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, তা না হলে আপনার কোনো মানসম্মত প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেশন থাকতে হবে। আপনি যেখান থেকে ট্রেনিং নিচ্ছেন, এর গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু বা আপনাকে যিনি প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তাঁর জ্ঞানের পরিধি কতটুকু বা তিনি একজন প্রসিদ্ধ প্রশিক্ষক কি না, এ বিষয়গুলো লক্ষ করুন।
একটি ভালো মানের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিলে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যাবে, তাহলে এটি আপনার কাজ পেতে অনেক সাহায্য করবে।
আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করার মাধ্যমেও আপনার এসইও ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। বর্তমানে এমন অনেক ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস রয়েছে, যেখানে অসংখ্য এসইও রিলেটেড কাজ পাবেন। এখান থেকে আপনার পছন্দ/যোগ্যতা অনুযায়ী কাজে বিড করে কাজটি করতে পারবেন। এখানে আপনি এসইওর বিভিন্ন অংশের ছোট/বড় অনেক কাজ পাবেন। এখানে কাজ করার মাধ্যমেও আপনি অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
বিনামূল্যে এসইও প্রশিক্ষণ
আপনি যদি মানসম্মত এসইও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে চান, তাহলে বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে Skills for Employment Investment Program (SEIP) প্রজেক্ট BASIS institute of Technology & Management (BITM)-এর মাধ্যমে এসইও কোর্সে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন এবং এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এখানে গিয়ে আপনি রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

চাকুরীই খুঁজবে আপনাকে

চাকুরীই খুঁজবে আপনাকে

11987205_622824877821304_1205549035148569085_nযারা ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ভাল দিক নির্দেশনা পাচ্ছেন না অথবা প্রশিক্ষনের জন্য জানা নেই কোথায় যাবেন তাদের জন্য ইনফোপিডিয়ার একটা লিখা প্রকাশ করলাম। আশা করছি লিখাটি আপনাদের উপকারে আসবে। লিখাটি পড়তে আপনাকে একটু সময় ব্যয় করতে হবে।
বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে শর্ত জুড়ে দেয়া হয়, প্রার্থীর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আবেদন করার ক্ষেত্রে প্রথমেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় এই ‘অভিজ্ঞতা’। ভাইবা বোর্ডেও জানতে চাওয়া হয়, পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে কি না। কেবল চাকরি করাটাই কী হতে পারে অভিজ্ঞতা? বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন অন্য কথা! বিভিন্ন পেশা পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিলে অভিজ্ঞতার অভাব অনেকটাই পূরণ হতে পারে।সাংবাদিকতা
সাংবাদিকতা অনেকের কাছেই স্বপ্নের পেশা। দিনে দিনে বেড়েই চলেছে এ পেশার ক্ষেত্র, সেই সঙ্গে বাড়ছে সম্মান। চ্যালেঞ্জিং এই পেশায় আসতে চান অনেকেই। এখন অনেক মেধাবীরা যুক্ত হচ্ছেন সাংবাদিকতা পেশায়। পেশাদারিত্ব থাকলে এ পেশায় উন্নতি করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। সাংবাদিকতা পেশায় আসতে চাইলে প্রশিক্ষণ দরকারি। সবচেয়ে ভালো হয় সরাসরি কোন প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে পারলে। সাংবাদিকতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় এমন কিছু প্রতিষ্ঠান-
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া
২৫৭/৮ এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন ঢাল, ঢাকা-১২০৫
ফোন: ৮৬০৭৯১২, ০১৭১৫৮২২৭৭৮।
প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি)
৩ সার্কিট হাউস রোড, ঢাকা-১০০০
ফোন: ৯৩৩০০৮১-৪।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট
১২৫/এ, দারুস সালাম রোড, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬
ফোন: ৯০০৭৪১০-৪ সংবাদ উপস্থাপনা
টেলিভিশনে সংবাদ উপস্থাপনা হাল সময়ে তুমুল জনপ্রিয় একটি পেশা। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা আগ্রহী হচ্ছেন এ পেশায়। পড়াশোনার পাশাপাশি বা পড়াশোনা শেষ করেও সংবাদ উপস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। তবে এর জন্য প্রশিণ দরকারি। শুদ্ধ উচ্চারণ, বাচনভঙ্গিও গুরুত্বপূর্ণ। আর ভালো সংবাদ উপস্থাপক হতে হলে অবশ্যই প্রশিণ নিতে হবে। এ বিষয়ে প্রশিণ দেয় এমন কিছু প্রতিষ্ঠান-
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেকট্রনিক মিডিয়া
২৫৭/৮, এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন, ঢাকা
ফোন : ৮৬০৭৯১২, ০১৭১৫৮২২৭৭৮।
জবস এ ওয়ান ডটকম
বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা
ফোন : ৮১৪২২৮০, ০১৭২৬৬৯২০০০-২।
অদ্রি
আজিজ সুপার মার্কেট (৩য় তলা), শাহবাগ, ঢাকা
ফোন : ০১৭১১৪০৭৪৯৫।
তৈরি
২/৪ নবাব হাবিবুল্লাহ রোড (৪র্থ তলা), শাহবাগ, ঢাকা
ফোন: ০১৫৫২৪৪৯৯৪৭।
কল সেন্টার
কল সেন্টার হলো টেলিকমিউনিকেশনের মাধ্যমে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ওই কোম্পানির সুযোগ-সুবিধা, কার্যক্রম ইত্যাদি বিস্তারিত তথ্য গ্রাহকদের টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়াই কল সেন্টারের কাজ। বাংলাদেশ সরকার ২০০৮ সাল থেকে কল সেন্টার স্থাপনের লাইসেন্স দিতে শুরু করেছে। এটি শুধু আমাদের দেশ নয়, সারাবিশ্বের প্রোপটেই একটি সম্ভাবনাময় পেশা। পূর্ণকালীন চাকরির পাশাপাশি খন্ডকালীন চাকরিরও সুযোগ আছে কলসেন্টারে। এ বিষয়ে প্রশিণের জন্য খুব বেশি প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশে এখনও গড়ে উঠেনি। কিছু প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা-
ইনস্টিটিউট অব কল সেন্টার টেকনোলজি
১৩বি, সেন্টার পয়েন্ট, কনকর্ড (১১ তলা), ফার্মগেট, ঢাকা
ফোন: ৯১৩৯৬৩৩, ০৬৬৬-২৬১৭৭২৭।
হিরো মাইন্ডমাইন
বাড়ি-৩৫/বি, রোড-৯/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ৯১৪৫১৩৮-৩৯।
উত্তরা শাখা- বাংলাদেশ আউটসোর্সিং সেন্টার, ২৫, সোনারগাঁ জনপথ, সেক্টর-৯, উত্তরা, ঢাকা
ফোন: ০১৮২০২২২২১১।
ওয়ান কল
যোগাযোগ : বাড়ি-১২১ (৩য় তলা), রোড নং-১৯/এ, ব্লক-ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন: ০১৭১৩১৯০০৪৫-৯।
মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা
একটি প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, কর্মী নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, প্রণোদনা, সংগঠিতকরণ এবং বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় করাই মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কাজ। আর যিনি এ কাজটি করে থাকেন, তিনি মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক। বর্তমানে প্রায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠানেই এই বিভাগ আছে এবং এ পেশার ক্ষেত্র বেড়েই চলেছে। তবে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি ওক সহজ নয়। এর জন্যই চাই প্রশিণ। এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় এমন কিছু প্রতিষ্ঠান-
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম)
৪, সোবহানবাগ, মিরপুর রোড, ঢাকা
ফোন: ৮১১৭৪১০৫-৭।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট
৯, ইন্দিরা রোড, ফার্মগেট, ঢাকা
ফোন: ৯১৪২৪৬৪, ০১৮১৭০১১৪০৬।
বিয়াম ফাউন্ডেশন
৬৩ নিউ ইস্কাটন, ঢাকা
ফোন: ৯৩৩৩০১৪।
ইনস্টিটিউট অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট
কনকর্ড পয়েন্ট, ফার্মগেট, ঢাকা
ফোন: ৯১১৩৯৩২।
হোটেল ম্যানেজমেন্ট
হোটেল বা পর্যটন সেবার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য হোটেল ম্যানেজমেন্ট পেশার অনেক চাহিদা রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটি হোটেলে জেনারেল ম্যানেজার, অ্যাকোমোডেশন ম্যানেজার, ক্যাটারিং, ফুড, বেভারেজ ম্যানেজার, এন্টারটেইনমেন্ট কো-অর্ডিনেটর, রেসিডেন্ট ম্যানেজার, ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজার, কনভেনশন সার্ভিসেস ম্যানেজার, অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার, এক্সিকিউটিভ হাউসকিপারসহ অনেক পদে চাকরির সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মাধ্যমে ৬টি কোর্সের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। কোর্সগুলো হল-
১. ন্যাশনাল সার্টিফিকেট কোর্স ইন ফুড অ্যান্ড বেভারেজ: রেস্তোরাঁ প্রিপারেশন, টেবিল সাজানো, হাইজিন, স্যানিটেশন ইত্যাদি শেখানো হয়।
২. ন্যাশনাল সার্টিফিকেট কোর্স ইন ফ্রন্ট অফিস
অভ্যর্থনা প্রণালী, টেলিফোন ম্যানার্স, বিলিং ক্যাশ রেকর্ড ইত্যাদি এই কোর্সের অন্তর্ভুক্ত।
৩. ন্যাশনাল সার্টিফিকেট কোর্স ইন ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাকশন
দেশি, চাইনিজ, ইউরোপিয়ান, ইন্ডিয়ান ইত্যাদি খাদ্য প্রস্তুত, ডেকোরেশন, হাইজিন ইত্যাদি শেখানো হয়।
৪. ন্যাশনাল সার্টিফিকেট কোর্স ইন হাউসকিপিং অ্যান্ড লন্ড্রি
রুম ডেকোরেশন, বেড তৈরি, কিনিং, লন্ড্রি ইত্যাদি বিষয় প্রশিণ দেয়া হয়।
৫. ন্যাশনাল সার্টিফিকেট কোর্স ইন ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেশন
ট্রাভেল এজেন্সি অপারেশন, ট্যুর অপারেশন অ্যান্ড ট্যুর গাইডিং, ট্রাভেল সার্ভিস ইত্যাদি শেখানো হয়।
৬. ন্যাশনাল সার্টিফিকেট কোর্স অন বেকারি অ্যান্ড পেস্ট্রি
ফাস্ট ফুড শপ ও বেকারি পরিচালনার ক্ষেত্রে ডেজার্ট আইটেম প্রস্তুত প্রণালী, ডেকোরেশন ইত্যাদি শেখানো হয়।
যোগাযোগ : ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, ৮৩-৮৮ মহাখালী, ঢাকা-১২১২
ফোন: ৯৮০০২৮৮-৯৯।
এসব বিষয়ে প্রশিণ দেয় এমন আরও কিছু প্রতিষ্ঠান-
রাজমনি ঈশা খাঁ হোটেল ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
৮৯/৩ ভিআইপি রোড, কাকরাইল, ঢাকা
ফোন: ৯৩৩০১৪০-৪৪।
বাংলাদেশ হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
১৪৭/ডি, গ্রিন রোড, ঢাকা
ফোন: ৯১৪৩৬৫৪।
পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
এনেক্স ভবন, ১, দিলকুশা বা/এ, ঢাকা
ফোন: ৯৫৫২২২৯।
ভিডিও এডিটিং
নাটক বা সিনেমার জন্য ধারন করা বিভিন্ন দৃশ্য কাটছাঁট করে দৃশ্যের পর দৃশ্য সাজিয়ে পূর্ণ নাটক বা সিনেমায় রূপান্তরিত করাটাই হচ্ছে ভিডিও এডিটিং। যিনি এই কাজটি করেন তাকে ভিডিও এটিটর বলা হয়। সাউন্ড এফেক্ট, আলো ও রঙের সমন্বয়, ডাবিং প্রভৃতিও একজন ভিডিও এডিটরের কাজ। আসছে নতুন নতুন টিভি চ্যানেল, বাড়ছে ভিডিও এডিটরদের কাজের ক্ষেত্র। শুধু ইলেকট্রনিক মিডিয়া নয়, ভিডিও এডিটিং জানা থাকলে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থা ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পেতে পারেন। এ বিষয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণ দেয়। কিছু প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা-
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট
১২৫/এ দারুস সালাম রোড, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬
ফোন: ৯০০৭৪১০-৬।
ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
৬৪/৩ লেক সার্কাস (৪ ও ৫ তলা), কলাবাগান, ঢাকা
ফোন: ০১৭১১৪৫২২৪৬।
আনন্দ মাল্টিমিডিয়া
১৮৮, মতিঝিল সার্কুলার রোড, ঢাকা
ফোন: ৭১০১৩৫৪।
অ্যাপটেক এরিনা
বাড়ি-৪০৫, রোড-২৭, ধানমণ্ডি, ঢাকা
ফোন: ৯১১১২৫৩।
আনন্দ ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি
৮/৬, সেগুনবাগিচা, ঢাকা
ফোন: ৯৫৫৪৭৩১, ০১৭১১৮২২৬১৯।
ন্যাশনাল ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ
১৬/৩, লেক সার্কাস রোড, কলাবাগান, ঢাকা
ফোন: ৯১১৬৪৯০, ০১৮১৯২২৮২৪৭।
ফটোগ্রাফি
স্থির চিত্র অর্থাৎ ক্যামেরায় ছবি তোলা আপাত দৃষ্টিতে খুব সহজ মনে হতে পারে। কাজটি আসলে সহজ নয়। কোন ছবি কোন অ্যাঙ্গেলে, কতটুকু আলোয় তুলতে হবে- এ বিষয়েগুলো সম্পর্কে ধারণা না থাকলে ভালো ছবি তোলা সম্ভব নয়। প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির জন্য প্রশিক্ষণ খুবই দরকারি একটি বিষয়। ভালো ছবি তোলা জানলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ তো রয়েছেই, নিজেরও হতে পারে একটি ফটোস্টুডিও। বিভিন্ন মিডিয়া ও বিজ্ঞাপনী সংস্থাতেও রয়েছে অনেক কাজের সুযোগ। ফটোগ্রাফি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা দেয়া হলো-
পাঠশালা
১৬, শুক্রাবাদ, পান্থপথ, ঢাকা
ফোন: ৯১২৯৮৪৭, ৯১৩৬৮৯৫।
বেগ আর্ট ইনস্টিটিউট অব ফটোগ্রাফি
৮৩, ল্যাবরেটরি রোড, ঢাকা
ফোন: ০১৭১৬-৬৬৩৭৫৭।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি
টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ফোন: ০১৭১১-৫৮৮১৪২।
চঞ্চল মাহমুদ ফটোগ্রাফি
বাড়ি নং-১, সড়ক নং-২, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ৯৬৬০৬৫১।
ঢাকা ফটোগ্রাফিক ইনস্টিটিউট
২১৮, এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫
ফোন: ৯০১৪২১৩।
এয়ার হোস্টেস, কেবিন ক্রু
বিমানে যাত্রীদের সার্বণিক সেবার কাজটি যারা করে থাকেন, তারাই এয়ার হোস্টেস বা বিমানবালা। আর বিমানের পরিচ্ছন্নতা, আকাশে সি পকেট সম্পর্কে তথ্য দেয়া, ইমার্জেন্সি ইকুইপমেন্ট ও ফাস্ট এইড ঠিকঠাক আছে কি না ইত্যাদি কাজ যারা করে থাকেন, তাদের কেবিন ক্রু বলা হয়ে থাকে। রোমাঞ্চকর এ পেশায় বর্তমানে অনেক তরুণ-তরুণীই আগ্রহী হচ্ছেন। তবে এর জন্য নির্দিষ্ট বয়সসীমা, উচ্চতা ও দৃষ্টিশক্তির বিষয়গুলোও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখা হয়। যোগাযোগ করতে পারেন-
ওয়েস্ট উইন্ড বাংলাদেশ
৩/৬ লালমাটিয়া, ব্লক-এ, ঢাকা-১২০৭
ফোন: ৯১৪৩৩০৬, ০১৭২৬১০৩৮২৪।
বাংলাদেশ এভিয়েশন একাডেমি
স্যুট নং-১/বি, বাসা নং-৩২, পার্ক রোড, বারিধারা, ঢাকা-১২১২।
জবস এ ওয়ান
বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, ঢাকা
ফোন: ৮১৪৪৪৬০, ৮১৪২২৮০।
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রশিণ ইনস্টিটিউট নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটিতে পাঁচটি অনুষদ রয়েছে। এর মাধ্যমে অনেক বিষয়ে হাতে-কলমে শিখে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। এগুলো হল-
১. শিল্পোদ্যোক্তা উন্নয়ন অনুষদ: (ক) উদ্যোক্তা উন্নয়ন (খ) ক্ষুদ্র শিল্প/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (গ) গ্রামীণ উদ্যোগ উন্নয়ন (ঘ) গ্রামীণ মহিলা উদ্যোক্তা উন্নয়ন।
২. শিল্প ব্যবস্থাপনা অনুষদ: (ক) শিল্প ব্যবস্থাপনা (খ) পণ্যমান ব্যবস্থাপনা (গ) ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট (ঘ) কুটির শিল্প ব্যবস্থাপনা (ঙ) উৎপাদন ব্যবস্থাপনা।
৩. সাধারণ ব্যবস্থাপনা অনুষদ: (ক) অফিস ব্যবস্থাপনা (খ) হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (গ) ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ঘ) শিল্প প্রসারণ।
৪. অর্থ ব্যবস্থাপনা অনুষদ: (ক) বুককিপিং অ্যান্ড একাউন্টিং (খ) ক্ষুদ্র শিল্প অর্থায়ন (গ) উদ্যোক্তা উন্নয়ন (ঘ) কস্টিং অ্যান্ড প্রাইসিং।
৫. বিপণন ব্যবস্থাপনা অনুষদ: (ক) মার্কেটিং (খ) বাজার সমীক্ষা (গ) বিপণন ও বিক্রয় প্রসার (ঘ) প্রোডাক্ট ম্যানেজিং।
যোগাযোগ: দ্র ও কুটির শিল্প প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট
বাড়ি নং-২৪/এ, সড়ক নং-১৩/এ, সেক্টর-৬, উত্তরা, ঢাকা
ফোন : ৮৯১৩৬৮৪।
ইন্স্যুরেন্স বিষয়ে প্রশিক্ষণ
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমি এ বিষয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য ডিপ্লোমা ও ট্রেনিং কোর্স করিয়ে থাকে। ডিপ্লোমা কোর্স আবার সার্টিফিকেট ও অ্যাসোসিয়েট দুই স্তরে বিভক্ত। সার্টিফিকেট স্তরগুলো হচ্ছে-
ক. রিক্স অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স
খ. কোম্পানি অ্যান্ড কন্ট্রাক্ট ল’ অ্যান্ড দেয়ার অ্যাপ্লিকেশন টু ইন্স্যুরেন্স
গ. প্রপার্টি অ্যান্ড পিকিউলারি ইনসিওরেন্স অথবা ইন্স্যুরেন্স অব দি পারসন
ঘ. বিজনেস এনভায়রনমেন্ট।
অ্যাসোসিয়েটশিপ স্তরগুলো হল-
ক. জীবন বীমা শাখা
খ. সাধারণ বীমা শাখা
১. লাইফ ইন্সুরেন্স প্র্যাকটিস অ্যান্ড অ্যাডমিনস্ট্রেশন
২. লাইফ অ্যাম্বুলেন্স ল’ অ্যান্ড ট্যাক্সেশন
৩. ম্যাথমেটিক্যাল বেসিস অব লাইফ ইন্স্যুরেন্স
৪. ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাসপেক্টস অব লং টার্ম বিজনেস অথবা ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং অব লাইফ ইন্স্যুরেন্স
৫. প্রিন্সিপল অ্যাক্ট প্র্যাকটিস অব ম্যানেজমেন্ট ইন ইন্স্যুরেন্স
৬. বিজনেস কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ।
সাধারণ বীমা শাখার বিষয়-
১. মেরিন ইন্স্যুরেন্স প্রিন্সিপল অ্যান্ড প্র্যাকটিস
২. মেরিন ইন্স্যুরেন্স ল’ অ্যান্ড কেইমস
৩. ফায়ার ইন্স্যুরেন্স ল অ্যান্ড কেইমস
৪. ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্স্যুরেন্স ল’ অ্যান্ড কেইমস
৫. প্রিন্সিপল অ্যান্ড প্র্যাকটিস অব ম্যানেজমেন্ট ইন্স্যুরেন্স
৬. বিজনেস কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ।
ট্রেনিং কোর্স: ইন্স্যুরেন্স একাডেমিতে সাধারণ ও জীবন বীমা শাখায় যে বিষয়গুলোতে প্রশিণ নেয় যায়, সেগুলো হল-
ক. সাধারণ বীমা ট্রেনিং কোর্স
১. প্র্যাকটিস অব ফায়ার ইন্স্যুরেন্স
২. ফান্ডামেন্টাল কোর্স অন জেনারেল ইনসিওরেন্স
৩. প্র্যাকটিস অব ইনসিওরেন্স ম্যানেজমেন্ট
৪. প্র্যাকটিস অব মোটর ইন্স্যুরেন্স
খ. জীবন বীমা ট্রেনিং কোর্স-
১. আন্ডার রাইটিং অ্যান্ড কেইমস ম্যানেজমেন্ট
২. বেসিক কোর্স অন লাইফ ইন্স্যুরেন্স
৩. সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং
যোগাযোগ : বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমি
৫৩, মহাখালী বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১২১২
ফোন: ৯৮৯৯২৯২, ৯৮৯৯২৯৩।
নার্সিং
সেবার প্রশ্ন আসলেই অগোচরে চলে আসে নার্স শব্দটি। উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসার সঙ্গে নার্সিং শব্দটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। চিকিৎসা সাইকেলের ‘চক্রনাভি’ আখ্যা দেয়া হয়েছে নার্সকে। এ পেশায় বিশেষ করে মেয়েরা অনেক বেশি আগ্রহী। এই পেশায় দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে। যদিও অন্যান্য পেশার সঙ্গে নার্সিং পেশাও সম্মানজনক একটি পেশা হিসেবে স্বীকৃত। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে প্রশিণও দিচ্ছে। এরকম দুটি প্রতিষ্ঠান-
উত্তরা নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার
বাড়ি নং-১৬, আলাউল এভিনিউ, সেক্টর-৬, উত্তরা, ঢাকা
ফোন : ৮৯১১৮১৬।
ওয়াইডা হাসপাতাল
২৬৯, স্কুল রোড, ইব্রাহিমপুর, ঢাকা
ফোন : ৯৮৮৯১৬০-৬১।
ভাষা শিক্ষা কোর্স
বিভিন্ন বিদেশি ভাষা জানা থাকলে কাজের কোন অভাব হয় না, একথা হয়তো সবাই স্বীকার করবেন। অনেক প্রতিষ্ঠানই আছে, যারা বিদেশি ভাষা জানে, তাদের খুঁজে নেয়। পর্যটন, অনুবাদকেন্দ্রকে ঘিরেও তৈরি করে নিতে পারেন কর্মক্ষেত্র। আমাদের দেশে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আছে যারা বিভিন্ন ভাষার ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ
এখানে ফরাসি ভাষার ওপর প্রশিণ দেয়া হয়।
যোগাযোগ : ২৬ মিরপুর রোড, কর্নার হাউস, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ৪৬১১৫৫৭, ৯৬৭৫২৪৯।
গ্যাটে ইনস্টিটিউট
এখানে জার্মান ভাষার ওপর প্রশিণ দেয়া হয়।
যোগাযোগ : জার্মান কালচারাল সেন্টার, বাড়ি নং-১০, রোড নং-৯ (নতুন), ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ৯১২৬৫২৫-৬।
একুশে
কোরিয়ান, স্পোকেন ইংলিশ, আইইএলটিএস, ইতালীয়, জাপানি, জার্মানিসহ ৩০টি ভাষা শেখানো হয়।
যোগাযোগ : ১১/এ, ২/১, মিরপুর-১১, ঢাকা।
ফোন : ৮০৩৫৪০১, ০১৭১৬০২০২০৯।
ব্রিটিশ কাউন্সিল
ইংরেজি শিক্ষার জন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠা ব্রিটিশ কাউন্সিল। এখানে জেনারেল ইংলিশ, ইংরেজি গ্রামার ও উচ্চারণ বিজনেস ইংলিশ ও আইইএলটিএস প্রিপারেশন কোর্স করানো হয়।
যোগাযোগ : ব্রিটিশ কাউন্সিল, ৫ ফুলার রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন : ৮৬১৮৯০৫-৭।
ব্রিটিশ কাউন্সিল টিচিং সেন্টার, ৭৫৪/বি সাতমসজিদ রোড, ঢাকা
ফোন: ৯১১৬১৭১।
এফএম ইনস্টিটিউট
ইংলিশ স্পোকেন, আইইএলটিএস কোর্স করানো হয়।
যোগাযোগ : এফএম টাওয়ার, ১/১ পূর্ব রাজাবাজার, ঢাকা
ফোন: ৯১৩০২৯০।
সাইফুরস
ইংরেজি শেখার উপর নানা ধরনের কোর্স করানো হয়।
যোগাযোগ : সাইফুরস, সুবাস্তু টাওয়ার (৩য় তলা), ৬৯/১ গ্রিন রোড, পান্থপথ, ঢাকা
ফোন: ৯৬৭৭২৭৭, ০১৮১৭১১০৬০০।
পাইলট
অনেকেরই মনেই স্বপ্ন উঁকিঝুকি দেয়- বড় হয়ে পাইলট হব, এরোপ্লেনে চড়ে আকাশে উড়ব। তবে স্বপ্ন দেখাটা যত সোজা, পাইলট হওয়াটা কিন্তু অতটা সহজ কোন ব্যাপার নয়। তবে অদম্য ইচ্ছে আর সেই অনুযায়ী প্রচেষ্টা থাকলে পাইলট হওয়া অসম্ভব কোন বিষয় নয়। আর বর্তমানে এ পেশার ক্ষেত্রও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। বর্তমানে বেশ কয়েকটি বেসরকারি এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে ফাইট পরিচালনা করছে এবং তাদের চাহিদাও অনেক বেশি। যদি আপনার পাইলট হওয়ার স্বপ্ন থাকে, তাহলে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। যদিও আমাদের দেশে এখন সেভাবে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। এ বিষয়ে যোগাযোগ করতে পারেন-
বাংলাদেশ ফাইং একাডেমি অ্যান্ড জেনারেল এভিয়েশন লিমিটেড
জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা
ফোন: ৮৯১৩৯০৯, ৮৯১৯০৩৯।
এয়ার পারাবত
পুরনো বিমানবন্দর, বেগম রোকেয়া সরণি, ঢাকা
ফোন: ৯৫৬৭০৫৬।
পোশাক শিল্প
বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় খাত পোশাকশিল্প। এ খাত থেকেই সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসছে আমাদের দেশে। ফলে পোশাকশিল্পকে ঘিরে গড়ে উঠছে বিভিন্ন ফ্যাক্টরি ও বায়িং হাউস। এর ফলে অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। ফ্যাশন ডিজাইন, মার্চেন্ডাইজিং ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনি এ পেশায় ভালো টাকা আয় করতে পারেন। এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা-
বিআইএফটি
প্রশিক্ষণের বিষয়: ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড টেকনোলজি, অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড টেকনোলজি, ডিপ্লোমা কোর্স ইন ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড টেকনোলজি, পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং, ডিপ্লোমা কোর্স ইন নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড টেকনোলজি, নিটওয়্যার মার্চেন্ডাইজিং, সোয়েটার মার্চেন্ডাইজিং, ওভেন গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজিং, ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, কোয়ালিটি কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স প্রভৃতি বিষয়ে কোর্স করার সুযোগ রয়েছে।
যোগাযোগ : বিজিএমইএ ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিআইএফটি)
এসআর টাওয়ার, ১০৫ উত্তরা, সেক্টর-৭, ঢাকা
ফোন: ৮৯১৯৯৮৬।
আরও কিছু প্রতিষ্ঠান
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজি
ডিপ্লোমা ইন অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে কোর্স।
ঢাকা।
ফোন: ০১৭১৩-১১৬৩১৩।
বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইনস্টিটিউট
চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স।
যোগাযোগ : বাড়ি নং-৪১১, রোড নং-২৯, নিউ ডিওএইচএস, মহাখালী, ঢাকা
ফোন: ৯৮৯২৬৩৭, ০৬৬৬২৬০৪৫৪৬।
লংকান কোথিং ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট
বিভিন্ন বিষয়ে ৩ মাস ও ১ মাস মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স।
যোগাযোগ : বাড়ি নং-১, রোড নং-১, সেক্টর-৬, উত্তরা, ঢাকা
ফোন: ০১৭১৩০৪৭১১৫।
এশিয়ান ফ্যাশন
প্রশিণ মেয়াদ ও ফি : ৪ মাস মেয়াদি, ৬ মাস মেয়াদি কোর্স ও ১ বছর মেয়াদি কোর্স।
যোগাযোগ : ৩৩, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ (২য় তলা), কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৬
ফোন : ৯১১৬৭৪২।
বাংলাদেশ ফ্যাশন ইনস্টিটিউট
২ মাস, ৪ মাস, ৬ মাস ও এবং ১ বছর মেয়াদি কোর্স।
যোগাযোগ : ৮৫, গ্রিন রোড (৩য় তলা), ঢাকা
ফোন : ৯১৩২১৫৯।
বিউটি পার্লার
মানুষকে সুন্দর করে সাজানোর কাজটিই করে থাকে বিউটিশিয়ানরা। আর এ পেশায় বিশেষ করে মেয়েদের কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে। কাজটা শিখতে পারলে কাজের কোন অভাব হবে না। আর নিজেরও তো হতে পারে একটি বিউটি পার্লার! এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় এমন কিছু প্রতিষ্ঠান-
গীতিস বিউটি পার্লার
১৪৬, শান্তিনগর, ঢাকা
ফোন: ৮৩৫১৪৬৮, ৮৩১৮৭১১।
বীথিস হারবাল
বাড়ি নং-৭, রোড নং-৪, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ৯৬৬০২০৮, ৯৬৭২২৯০।
বীথিস হারবাল (ছেলেদের শাখা)
নাভানা টাওয়ার (৭ম তলা), গুলশান-১, ঢাকা
ফোন: ৮৮২৮৮৫৪, ৮৮১৩৯৫৫।
গৃহসুখন
১৩, গ্রিন স্কয়ার রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ৮৬১৫২৪৬।
ফেম ইনস্টিটিউট
বাড়ি নং-৫৭ (২য় তলা), রোড নং-৭, সেক্টর-৪, উত্তরা, ঢাকা
ফোন: ০১৭১৫৩৪৩২৬০।
বাটিক-বুটিক-হস্তশিল্প
আমাদের দেশে মেয়েদের অনেকেই বাটিক বুটিক বা হস্তশিল্পের কাজ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এ বিষয়ে দরকারি প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনিও নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারেন। রাজধানী শহর ঢাকা তো বটেই, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে জেলা শহরগুলোতে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠাটিতে প্রশিণের খরচও অনেক কম। বিসিকের নকশা কেন্দ্র ১১টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। জেনে নিন বিসিকের প্রশিক্ষণের বিস্তারিত-
ব্লক: ব্লক প্রিন্টিং, কাঠের ব্লক বা ছাপা পদ্ধতির চল এখনও আছে। এই প্রশিণে নকশা রিপিট ও রঙ তৈরি কাজ শেখানো হয়।
বাটিক: ইদানীং বাটিকের কাজ গ্রামেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ প্রশিণের জন্য নকশা ও ডাইং সম্পর্কে প্রশিক্ষণার্থীর পূর্ণ জ্ঞান এবং আগ্রহ থাকতে হবে।
স্ক্রিন প্রিন্ট: স্ক্রিন প্রিন্টিং শেখানো হয়। তবে নকশা তৈরি, অনুকরণ, কাটিং, রঙ তৈরি করার প্রাথমিক জ্ঞান থাকলে ভালো হয়।
চামড়ার প্রশিক্ষণ: চামড়ার বাটিক, ব্লক প্রিন্ট, অ্যাম্বুস প্রভৃতি পদ্ধতিতে প্রশিণ দিয়ে থাকে। অঙ্কন, সেলাই, ট্রেসিং প্রভৃতিতে অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো হয়।
পাটজাত দ্রব্য: নকশা কেন্দ্রের এই বিভাগটি পাটজাত দ্রব্যের নকশা ও উন্নত ধরনের হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
প্যাকেজিং: প্যাকেজিং বিভাগে বিভিন্ন ধরনের ঘাস, তালপাতা, কেয়াপাতা, আঁশ, ছোবড়া, খড় ইত্যাদি দিয়ে হরেক রকম নকশা ও বুননে বিভিন্ন ধরনের শপিং ব্যাগ, টুপি, ভ্যানিটি ব্যাগ প্রভৃতি হস্তশিল্প তৈরি করা হয়।
বুনন: বিভিন্ন ধরনের কাপড়, শীতল পাটি বুনন শেখানো হয়।
বাঁশ ও বেত: বাঁশ ও বেতজাত হস্তশিল্পের কাজ শেখানো হয়।
প্রশিক্ষণের সময়: তিন মাস মেয়াদে বছরে ৪টি সেশনে প্রশিণ দেয়া হয়। সেশনগুলো হলো- জানুয়ারি-মার্চ, এপ্রিল-জুন, জুলাই-সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর-ডিসেম্বর।
যোগাযোগ : বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন
১৩৭-১৩৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ফোন: ৯৫৫৩১১২।
এ ছাড়া আরও যেখানে প্রশিক্ষণ নেয়া যাবে-
বাংলাদেশ মহিলা সমিতি
৪ নাটক সরণি, বেইলি রোড, ঢাকা
ফোন: ৯৩৩৭০৫০।
গৃহসুখন
১৩ গ্রিন স্কয়ার, গ্রিন রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ৯৬৬৭৩৬৬।
স্কাই-হাই ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন
বাড়ি ২৭/১, রোড ১৩/১, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন : ৮১২০০৫৪।
ঘরকন্যা
৬৯ কলাবাগান, ডলফিন গলি, ঢাকা
ফোন: ৮১২২৮৫৬, ৯১২১৬৪৯।
সাকসেস হরিয়েন্টাল
৩২, মিরপুর রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ০১৮১৯১৭৫৫৯১।
মোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মোবাইল ফোন মেরামতকারীদের চাহিদাও। মোবাইল মেরামতের জন্য সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার শিখতে হয়। প্রথমে কোন ভালো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত ২-৩ মাসের কোর্স করিয়ে থাকে। কোন মোবাইল সার্ভিস সেন্টারে কমপক্ষে ছয় মাস শিক্ষানবীশ হিসেবে থেকে কাজ করলে পরবর্তীতে অনেক সুবিধা হবে। আমাদের আশেপাশেই অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। তবে ভালো করে খোঁজখবর নিয়ে কোর্সে ভর্তি হওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
আপনি তৈরি তো?
প্রশিণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিলেই যে খুব সহজে চাকরি হয়ে যাবে এমনটি কিন্তু নয়। আপনি কতটুকু শিখতে পেরেছেন বা নিজেকে কতটুকু তৈরি করতে পেরেছেন, তার উপরই অনেক কিছু নির্ভর

রবিবার, ২২ মে, ২০১৬

হঠাৎ গিলে ফেলা বস্তু সরাবে রোবট

হঠাৎ গিলে ফেলা বস্তু সরাবে রোবট



.খাবারের সঙ্গে ভুল করে অন্য কিছু গিলে ফেলেছেন? এ নিয়ে আতঙ্কে অস্থির হওয়ার দিন হয়তো এবার ফুরোল। কারণ, তিন দেশের একদল বিজ্ঞানী একটি ছোট্ট রোবট বা যন্ত্র বানিয়েছেন, যা পাকস্থলীতে গিয়ে সরিয়ে দেবে সেই অনাকাঙ্ক্ষিত জিনিসটি। তাঁদের আশা, ভবিষ্যতে পাকস্থলীর ক্ষত সারাতেও এই যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে।
চিকিৎসার কাজে রোবট বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতির প্রচলন একেবারে নতুন নয়। তবে নতুন যন্ত্রটির বিশেষত্ব হলো, এটি ভাঁজ করা যায়। আর এত ছোট যে খুব সহজেই এঁটে যায় একটি ক্যাপসুলের ভেতর। ফলে পাকস্থলীতে প্রবেশের কাজটা এটির জন্য সহজ। এই অভিনব চিকিৎসা উপকরণ তৈরির কৃতিত্ব যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি), যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও জাপানের টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একদল বিজ্ঞানীর। এ কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন দানিয়েলা রাস। তাঁরা বলছেন, ছোট্ট যন্ত্রটি পাকস্থলীর ভেতর প্রবেশের পর এর ভাঁজ খুলে যায়। চুম্বকের মাধ্যমে দেহের বাইরে থেকেই চিকিৎসকেরা এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বোতাম আকৃতির জিনিসপত্র (যেমন ঘড়ি ও অন্যান্য যন্ত্রে ব্যবহৃত ব্যাটারি) গিলে ফেলার ঘটনা মাঝেমধ্যে ঘটে। কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর এমন ঘটনা প্রায় সাড়ে তিন হাজার।
কিন্তু নতুন রোবটটির সাহায্যে কোনো রকম অস্ত্রোপচার ছাড়াই এ রকম ব্যাটারি পাকস্থলী থেকে বের করা সম্ভব হবে বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।