শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬

চাকরি পেতে কিভাবে এগিয়ে রাখবেন নিজেকে

চাকরি পেতে কিভাবে এগিয়ে রাখবেন নিজেকে…?

1431002965নামীদামি প্রতিষ্ঠানে উঁচু পদে চাকরি, আকর্ষণীয় বেতন কে না চায়। সব চাকরিপ্রার্থীর মধ্যেই থাকে এই স্বপ্ন পূরণের আশা। কিন্তু সবার স্বপ্ন তো আর সার্থক হয় না। গতানুগতিক নিয়োগ পদ্ধতিতে এ আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য চাই উচ্চমানের পড়াশোনা আর দীর্ঘ কর্ম-অভিজ্ঞতা।
তবে এ ব্যাপারে ভিন্ন কথা বলেছে ক্যারিয়ারবিষয়ক ওয়েবসাইট মনস্টার ডটকম। তাদের মতে, শুধু উচ্চশিক্ষা আর অভিজ্ঞতার মাপকাঠিতেই সব সময় পাবেন না উচ্চপদে চাকরি। পছন্দসই চাকরি পেতে অন্য কিছু পদ্ধতিও অনুসরণ করতে হবে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই, যেগুলো এগিয়ে রাখবে আপনাকে বাকিদের থেকে। তো, চলুন দেখে নেওয়া যাক, কী সেই সফলতার চাবিকাঠিগুলো।
জানুন-শিখুন সবকিছু
জ্ঞানের কোনো শেষ নেই, তাই প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুন কিছু জানার কাজে নিয়োজিত রাখতে হবে। কাজ করছেন কোনো ছোট পদে? নিজের কর্মপরিসরের মধ্যে থেকেই নিজেকে মুখোমুখি করুন বিভিন্ন ঝুঁকি আর চ্যালেঞ্জের। এগুলো একজন প্রার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য পূরণে সাহায্য তো করবেই, সঙ্গে সঙ্গে আত্মবিশ্বাসীও করে তুলবে। এই প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্য আর আত্মবিশ্বাস চাকরিদাতাদের কাছে আপনাকে করে তুলবে অন্যদের থেকে আলাদা।
বাড়িয়ে নিন যোগাযোগ দক্ষতা
নিজ কাজে দক্ষ আপনি। তাহলেই কি পাবেন উচ্চ পদের ভালো চাকরি? অবশ্যই না। কর্মদক্ষতার পাশাপাশি আপনাকে হতে হবে যোগাযোগে দক্ষ। যোগাযোগ ক্ষমতা, যা কর্মীদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক মজবুত করার সঙ্গে সঙ্গে করবে উচ্চপদে চাকরির ক্ষেত্রে আপনাকে একধাপ এগিয়ে দেবে।
কাজ করতে শিখুন দলগতভাবে
উচ্চ পদে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে ব্যবস্থাপনায়। দলগতভাবে কাজ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি করে। তাই প্রথম থেকেই অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে দলগত কাজ করার অভ্যাস। দলের পাঁচজনকে নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে আপনি সঞ্চয় করতে পারেন ৫০০ জনের একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা।
ধৈর্যই সাফল্য
উঁচু পদে চাকরির ক্ষেত্রে আপনাকে হতে হবে ধৈর্যশীল। ঘন ঘন চাকরি বদল কিন্তু ধৈর্যশীলতার লক্ষণ নয়। চাকরি বদলের অভ্যাস অনেক সময় চাকরিদাতাদের কাছে একটি অপছন্দের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পছন্দসই কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেলে সেখানেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে নিজের ক্যারিয়ার। কোনো একটি প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ সময়ের সাফল্যের অভিজ্ঞতা অবশ্যই একজনকে এগিয়ে রাখবে।
নেটওয়ার্কিং
নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে একজন প্রার্থী এগিয়ে থাকতে পারেন অনেকটাই। বর্তমানে নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত বা পেশাগতভাবে চেনাজানাদের অনেকটাই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তাই নিজ চেষ্টায় এই চেনা-পরিচিতদের তালিকাটা একটু বাড়িয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ, কনফারেন্সে অংশগ্রহণ এবং লেখালিখির মাধ্যমেও বাড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে পরিচিতির পরিসর।
আগে জানুন চাকরিদাতার আদ্যোপান্ত
সাক্ষাৎকার দেওয়ার আগে বাসায় বসে কিছুটা হোমওয়ার্ক করে নিন। যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে চাইছেন, জেনে নিন প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। প্রতিষ্ঠানটি কেমন, তাদের রীতিনীতি, বিভিন্ন প্রথা, আদর্শ সম্পর্কে ভালো ধারণা নিয়েই যেতে হবে ইন্টারভিউ বোর্ডে। সাধারণত আজকাল এসব তথ্য ইন্টারনেটেই পাওয়া যায়। না পাওয়া গেলে এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে প্রতিষ্ঠানের কর্মরত কর্তাব্যক্তিরা।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হওয়ার যোগ্যতা

freelancer in graphic designটাকাকে নয় কাজকে ভালোবাসতে হবে : ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার জন্য টাকার লোভ ত্যাগ করে কাজে দক্ষতা অর্জনের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। দক্ষ লোকদের সমাদর সব জায়গার মতোই ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে। সেজন্য সবার প্রথমে বিভিন্ন রিসোর্স থেকে কাজ শিখে সেগুলোর বাস্তবভিত্তিক কাজ করে দক্ষতা অর্জন করলেই অনলাইনে কাজের রেট এবং চাহিদা দুটি বৃদ্ধি পাবে। এরকম চাহিদাপূর্ণ অবস্থানে আসার জন্য অবশ্যই কিছুটা সময় দিতে হবে। মনে রাখবেন, অদক্ষ ব্যক্তিদের টাকার পেছনে দৌড়াতে হয়। কিন্তু দক্ষ ব্যক্তিদের পেছনে টাকা দৌড়ায়।
ফ্রিল্যান্সিংকে শুধু পার্টটাইম হিসেবে নয় ফুলটাইম ক্যারিয়ার ভাবা শুরু করতে হবে : সময় এসেছে ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে পার্টটাইম চাকরি না ভেবে ফুলটাইম হিসেবে নিতে হবে। তাহলে প্রত্যেকে কাজের ব্যাপারে আরও বেশি সচেতন হবে এবং দক্ষ হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হবে। তখন বিদেশী বায়াররা এদেশের ফ্রিল্যান্সিংদের কাজ দিতে আরও বেশি স্বস্তি পাবে।
ফ্রিল্যান্সিংকে পার্টটাইম ভাবার কারণে মূলত আমরা তিনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি : ১) দিনের সময়ের সর্বোচ্চ সময়টি ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য বরাদ্দ রাখতে পারছি না। সেজন্য দক্ষ যেমন হতে পারছি না, তেমনি কাজও বেশি করতে পারছি না। ২) যখন ফ্রিল্যান্সিংকে ফুলটাইম হিসেবে ভাবা শুরু হবে তখন আরও বেশি মানুষের সম্পৃক্ততা বাড়বে। বৈদেশিক মুদ্রা আরও বেশি দেশে ঢুকবে, যা সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে বড় সুফল নিয়ে আসবে। ৩) ফুলটাইম কাজ ভাবা শুরু করলে ফ্রিল্যান্সিং শুধু অনলাইন আয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, ধীরে ধীরে এটি তখন সম্মানজনক ক্যারিয়ার হিসেবে বিবেচিত হওয়া শুরু হবে। তখন প্রত্যেকের মধ্যে ভালো করার ব্যাপারে উৎসাহ বাড়বে।
যোগাযোগের দক্ষতা ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফলতা অনেক বাড়িয়ে দেয় : এক জরিপে দেখা গেছে, যাদের যোগাযোগ দক্ষতা বেশি তারা অন্যসব জায়গার মতো ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রেও সফল সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। যোগাযোগ দক্ষতা বলতে বোঝায় : বায়ারের বক্তব্য সঠিকভাবে বুঝতে পারা, বায়ারকে নিজের বক্তব্য সঠিকভাবে বোঝাতে পারা এবং সেইসঙ্গে বায়ারকে কনভেন্স করতে পারাটাই হচ্ছে যোগাযোগের মৌলিক দক্ষতা।
যোগাযোগের এ মৌলিক দক্ষতা থাকলে বায়ার কাজ দিয়ে স্বস্তি পায়। আর সেজন্য একবার কাজ করলে পরের কাজটির ক্ষেত্রেও যথাসম্ভব চেষ্টা করেন, একই ফ্রিল্যান্সারকেই কাজটি দেয়ার জন্য। কাজের দক্ষতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তাহলে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে খুব দ্রুত সফল হওয়া যাবে।
ইংরেজিতে যত ভালো হবেন, তত বেশি সফল হবেন : ইংরেজি হচ্ছে যে কোনো ধরনের বায়ারের সঙ্গে যোগাযোগের মূল ভাষা। যে যত ভালো ইংরেজি পারে, সে তত বেশি ভালোভাবে বায়ারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে। কারণ বায়ারের নির্দেশনা বুঝতে তার অনেক বেশি সহজ হয়। বায়ারও যাকে দিয়ে কাজ করাবে, তার কথা জড়তা ছাড়া বুঝতে পারে। এ ধরনের ফ্রিল্যান্সারদের সঙ্গে বায়ার ?স্বাচ্ছন্দ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে দেখে দীর্ঘদিনের কাজের সম্পর্ক বজায় রাখে। বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, শুধু ভাষাগত সমস্যার কারণে কাজ দিয়ে সন্তুষ্ট করার পরও বায়ার এ ফ্রিল্যান্সারের কাছে আর নতুন কোনো কাজ নিয়ে ফিরে আসে না। একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য তাই নিজেকে ইংরেজিতে ধীরে ধীরে দক্ষ করে তোলার দিকে নজর দিতে হবে।
যত বেশি কিছুতে যত বেশি দক্ষ হবেন, সফল হতে পারবেন তত বেশি : একজন ফ্রিল্যান্সারের কাছে একটি কাজের বাইরে অন্যান্য আরও কাজের সাপোর্টও পাওয়া যায়, তাহলে তার সঙ্গে বায়ারের দীর্ঘদিনের জন্য সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য সব কাজেই দক্ষতা তৈরি করতে পারলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে বায়ারদের কাছে নিজের চাহিদা বৃদ্ধি করা যায়। এক্ষেত্রে মাথাতে রাখতে হবে, সব কাজে সমান দক্ষতা অর্জন করাটা অনেক বেশি কষ্টকর। যেটা করতে হবে, কোনো একটিতে ভালো দক্ষ হতে হবে, বাকিগুলোতে মোটামুটি দক্ষ হলেই চলবে।
সবসময় নিজের আরও বেশি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নেশা থাকতে হবে : ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বহুদিন পর্যন্ত বায়ারদের কাছে নিজের চাহিদা ধরে রাখার জন্য সবসময় নতুন কিছু শেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কেউ যদি এসইওর কাজের মাধ্যমে আউটসোর্সিং করে থাকেন, তাহলে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় এসইও সম্পর্কিত লেখা পাওয়া যায়, এরকম ব্লগগুলোর পোস্ট নিয়মিত পড়া উচিত। নতুন যত আপডেট আসছে, সবকিছু জেনে সেগুলোতে নিজেকে দক্ষ করতে হবে।
যে যত বেশি গুগলের ওপর নির্ভরশীল, তার সফলতার সম্ভাবনা তত বেশি : কোনো সমস্যায় পড়লে সে বিষয়ে জানার জন্য কোনো ব্যক্তির কাছে প্রশ্ন না করে, সে বিষয়ে গুগলকে প্রশ্ন করা উচিত। গুগলের ওপর এ নির্ভরশীলতা জানার পরিধি অনেক বাড়িয়ে দেয়। গুগলে খোঁজ করলে অনেক উত্তর পাওয়া যাবে, যা চিন্তা শক্তিকে বাড়াবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফলতার জন্য শুরু থেকেই গুগলের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে হবে।
ইন্টারনেটের ওপর জীবনকে নির্ভরশীল করতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং সফল হবেন : ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলেই কাজ পেয়ে যায় না। এরকম সফলতার জন্য শুরুর দিকে কষ্ট অনেক বেশি করতে হয়। আর এজন্য ইন্টারনেটে দিনের বেশিরভাগ সময় ব্যয় করা উচিত। শুধু ফেসবুকে সময় ব্যয় না করে, বিভিন্ন ব্লগ, ফোরাম, ভিডিও কিংবা অনলাইনের অন্য জায়গাগুলো প্রতিদিনের বড় একটা সময় ব্যয় করার অভ্যাস নিজের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে। এ জায়গাগুলোতে সারাবিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় ফ্রিল্যান্সাররা তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করে। এগুলো সত্যিকারভাবে অনেক নতুন কিছু শিখতে এবং সবকিছুর বিষয়ে আরও অ্যাডভান্স হতে সহযোগিতা করে।
প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ছাড়া কিছুতেই সফল হওয়া যায় না : যে কোনো কাজের সফলতার জন্য যেমন সবার প্রথমে দরকার ইচ্ছাশক্তি, ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রেও বিষয়টা ব্যতিক্রম নয়। প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তি থাকলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফল হওয়ার ব্যাপারে যত প্রস্তুতিমূলক পরিশ্রম করা দরকার, সবকিছু করতে আগ্রহ থাকবে। সুতরাং কারও কথা শুনে হালকাভাবে লক্ষ্য নিয়ে নামলে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাটা ৯৫ ভাগ। কিন্তু যদি নিজের তীব্র ইচ্ছা থাকে এবং একাগ্রতা থাকে, তাহলেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হবেন।
ধৈর্য শক্তি এ সেক্টরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে ধৈর্য শক্তি বাড়িয়ে নেয়া উচিত। কাজ শিখতেও ধৈর্য নিয়ে শিখতে হবে। পরে শুরুতে কাজ পাওয়ার জন্য বহুদিন ধৈর্য সহকারে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়। এমন হতে পারে, কাজ শেখার পর ১ম কাজের অর্ডার পেতে ১ বছরও লেগে যেতে পারে। কিন্তু তারপরও ধৈর্য হারালে চলবে না। চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, নিজেকে দক্ষ করতে হবে, বায়ারের কাছে কাজ চাওয়ার ধরনে পরিবর্তন এনে দেখা যেতে পারে। হতাশ না হয়ে কাজ পাওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে ওপরের বিষয়গুলো নিজের ভেতরে নিয়ে আসার চেষ্টা শুরু করে দিতে হবে। আন্তর্জাতিকবাজারে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জে জিততে হলে নিজের মধ্যে বিশেষ কিছু থাকতেই হবে। কাজের দক্ষতার পাশাপাশি অধ্যবসায়, ধৈর্য এবং নতুন কিছু শেখার নেশা সফলদের কাতারে পৌঁছে দেবে।
সফল হতে জরুরি
* টাকাকে নয় কাজকে ভালোবাসতে হবে।
* ফ্রিল্যান্সিংকে শুধু পার্টটাইম হিসেবে নয়, ফুলটাইম ক্যারিয়ার ভাবা শুরু করতে হবে।
* কমিউনিকেশন দক্ষতা ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফলতা অনেক বাড়িয়ে দেয়।
* ইংরেজিতে যত ভালো হবেন, তত বেশি সফল হবেন।
* যত বেশি কিছুতে বেশি দক্ষ হবেন, সফল হতে পারবেন তত বেশি।
* সবসময় নিজের আরও বেশি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নেশা থাকতে হবে।
* যে যত বেশি গুগলের ওপর নির্ভরশীল, তার সফলতার সম্ভাবনা তত বেশি।
* ইন্টারনেটের ওপর জীবনকে নির্ভরশীল করতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং সফল হবেন।
* প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ছাড়া কিছুতেই সফল হওয়া যায় না।
* ধৈর্য শক্তি এ সেক্টরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চাকরিতো কারাবাস, উদ্যোক্তার মুক্তআকাশ

চাকরিতো কারাবাস, উদ্যোক্তার মুক্তআকাশ
u75691_815652_412955চাকরি ও কারাবাস/উদ্যোক্তা ও আকাশ:
জীবন-যাপনের জন্য আমাদেরকে কোন না কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এখন প্রশ্ন আমরা কোন অর্থনৈতিক জীবন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যাব? আমরা কি চাকরি করব? প্রশ্ন করি,আমরা চাকরি করি কেন ? সহজ একটিই উত্তর আর্থিক নিরাপত্তার কারণে। যেহেতু অর্থই পারিবারিক-সামাজিক-রাজনৈতিক সকল নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে সুতরাং কেন সেই অর্থ উপার্জনে চাকরি নয় ? চাকরি ছাড়াও নিজের উদ্যোগে ব্যবসা করে যারা অর্থ উপার্জন করছে তাদের সাথে একজন চাকরিজীবির ভিন্নতা কোথায় ? একটা ছোট্ট উদাহরণ টেনে ব্যাপারটা কিছুটা পরিষ্কার করা যেতে পারে। পাখি খাঁচায় এবং আকাশে দুই জায়গাতেই নিরাপদ। কিন্তু পাখি তার স্বভাবগুনেই আকাশমুখী। মানুষ কি আকাশমুখী নয় ? মানুষ কি জন্ম মাত্রই স্বাধীনতা চায় না ? উত্তরে বিরোধিতা করার কোন সুযোগ নেই, চায়। তাহলে চাকরি কি একজন মানুষকে নিরাপত্তা দিচ্ছে খাঁচায় বন্দি রেখে ? শুনতে খারাপ লাগলেও আসলে এটাই সত্য। মানুষ তাহলে কেন মেনে নিচ্ছে এই বন্দিত্ব ? এসব নিয়ে আরো বিস্তর আলোচনা করা যাক…
নির্ভরশীলতা : নির্ভরশীলতা একটি জটিল রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজে কিছু করতে চায় না এবং পরজীবি থাকতে ভালোবাসে। পরের দাসত্ব মেনে নিয়ে অধীন থাকতে চায়। অর্থাৎ সে আসলে অন্যের প্রয়োজনে বেঁচে থাকে, অন্যের জীবনে বেঁচে থাকে, নিজের জীবনে বা নিজের প্রয়োজনে তার চাহিদা থাকেনা। এভাবে নিজেকে বঞ্চিত করে আপনি কতটুকু ভালো থাকতে পারেন ?
অনভিজ্ঞতাকে দূবর্লতা মনে করা : একজন মানুষ উদ্যোগি হয়ে কোন ব্যবসায় নামতে চাইলে নিজেকে অনভিজ্ঞ মনে করে সাহসিকতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়। এবং মেনে নেয় চাকরি জীবন। কিন্তু পথে না নেমেই কি কেউ পথ থেকে সঞ্চয় করতে পেরেছে? গৃহপালিত জীবন ব্যবস্থা : আমাদের পরিবার-সমাজ অনেক সময় পোষ্যতাকে প্রোমোট করে। তাদের চাওয়া পাওয়াই থাকে তুমি বড় হয়ে একজন চমৎকার পোষ্য হবে এবং আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবে। আমাদের চিন্তা-চেতনাকে তারা তাদের আঁচলের চাবির মতো বেঁধে রাখতে চায়। পরিবার-সমাজের এইসব দারিদ্রতা-সংকীর্ণবোধ ভেঙ্গে আমরা কি দেয়ালের ওপাশে যাব না ? দায়িত্বকে চাপ
মনে করা : নিজে উদ্যোগি হয়ে কোন ব্যবসা শুরু করলে তাকে ঘিরে অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হয় এবং তার মাধ্যমে তাদের জীবন জীবিকা নিশ্চিত হয়। অনেকে এই দায়িত্বকে চাপ মনে করেন এবং চাকরি জীবন মেনে নেন। আর এভাবেই কমে আসছে কর্মসংস্থান। দেশে এখন তাই বেকার বৃদ্ধির মৌসুম। আমরা কি আমাদের আর আমাদের চারপাশের মানুষের জন্য কিছু করব না ?
ঝুঁকি মুক্ত থাকা : এটা সত্য যে চাকরি মাস অন্তর নির্দিষ্ট অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং একজন চাকরিজীবি নিজেকে ঝুঁকি মুক্ত মনে করেন। আবার এটাও সত্য সে অর্থ নির্দিষ্ট এবং সব সময় যথেষ্ট নয়। স্বপ্নকে বড় করে দেখুন- স্টিভ জবস্ যেটা বলতেন। আমরা কি চাকরিকে ঝুঁকি মুক্ত স্বীকার করে নির্দিষ্ট ফ্রেমে বাঁধা জীবন মেনে নেব ?
প্রভুত্ব স্বীকার করা : কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে চাকরি করতে গেলে আপনাকে হয়তো বার বার বলতে হবে ‘স্যরি বস’। এই ‘বস’ শব্দটি ব্রিটিশ কালচার থেকে এসেছে যার অর্থ প্রভু। তারা আমাদের এই উপমহাদেশে দুইশ বছরের বেশী প্রভুত্ব করেছে। আমরা আর কতদিন এই প্রভুত্বের কালচারে নিজেদেরকে বশীভূত রাখব ?
কাপুরুষতা : অন্যের বেঁধে দেয়া স্বপ্নে আপনি বসবাস করেন। অন্যের মতো করে আপনি মুখস্থ বলেন আপনার জীবন পাঠ। অথচ নিজের মতো করে স্বপ্ন দেখতে নিজের মতো করে জীবন পাঠ করার সাহস আপনার নেই। রোজ দিন একই সময় অফিস যাওয়া, একই সময় ফেরা, সন্তান উৎপাদন,বেঁচে থাকার জন্য খাওয়া এইসব নিরুত্তাপ দিন কেটে যায় অনেকেরই। কি লাভ ? আপনারও স্বপ্ন ছিল; গোপনে তাকে বেড়ে উঠতে দেন নি। আপনি কি হতে পারতেন না সেই সাহসি মানুষের নাম? এইসব প্রশ্নে এখন আর নিরুত্তর-নিরুত্তাপ থাকার সময় নেই। আর চাকরি নয়। নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে একটি স্বাধীন-স্বপ্নিল জীবনের পথ প্রসারিত হয়ে আছে আমাদের জন্য।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য প্রস্তুতি

ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য প্রস্তুতি

freelancingফ্রিল্যান্সিং এবং ফ্রিল্যান্সার
বর্তমানে আমরা প্রায়ই ‘ফ্রিল্যান্সিং’ কথাটি শুনে থাকি এবং অনেকের কাছেই এর সঠিক অর্থটি অজানা। ছোট্ট এই শব্দটির অর্থ হচ্ছে, একজন ব্যক্তি যখন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নিয়ে কিছু নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করে থাকেন। আর যে বা যাঁরা ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন, তাঁদের বলা হয় ফ্রিল্যান্সার।
একজন ফ্রিল্যান্সার একই সঙ্গে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করতে পারে এবং একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পারিশ্রমিক হিসেবে পেয়ে থাকে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হচ্ছে যে, এখানে আপনি বাড়িতে থেকেও আপনার পছন্দমতো সময়ে কাজটি করতে পারবেন এবং আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী কাজ ঠিক করতে পারবেন। এখানে আপনি ফুলটাইম বা পার্টটাইমে কাজ করতে পারবেন। আপনার পারিশ্রমিক আপনি ক্লায়েন্টের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করে নিতে পারবেন। আর এসব কাজের পারিশ্রমিকও ভালো হয়ে থাকে।
অসুবিধাটি হচ্ছে, যেহেতু একটি আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে আপনার কাজটি পেতে হবে, এ ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যাও অনেক বেশি থাকে। তাই এখানে কোনো কাজ পেতে আপনাকে অনেক ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে টিকে থাকতে হবে। এখানে আপনি কাজটি দুইভাবে করতে পারেন—নির্দিষ্ট একটি বাজেটে এবং ঘণ্টায় একটি নির্দিষ্ট হারে পারিশ্রমিক নিয়ে।
ফ্রিল্যান্সিং শুরুর পূর্বপ্রস্তুতি
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাইলে আপনাকে প্রথমেই ঠিক করতে হবে যে, আপনি কোন বিষয়ে বা ক্যাটাগরিতে কাজ করতে চান এবং আপনি ওই নির্দিষ্ট বিষয়ে কতটা দক্ষ বা পারদর্শী। বিষয়টি এখানে এমন নয় যে আপনাকে অনেক ক্যাটাগরিতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে; বরং এটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি নিজে যে বিষয়টি বা বিভাগে কাজ করতে চাইছেন, সেটি সম্পর্কে আপনার জ্ঞানের পরিধি কতটুকু। হতে পারে আপনি একজন প্রোগ্রামার বা ওয়েব ডেভেলপার বা মার্কেটার অথবা অন্য কিছু। কিন্তু এখানে মুখ্য বিষয় হচ্ছে আপনাকে আপনার কাজ মার্কেটপ্লেসে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সামনে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে জানতে হবে। তাহলেই একমাত্র আপনি এখানে ভালো একটি পারিশ্রমিক নিয়ে টিকে থাকতে পারবেন।
আর এর পরেই যে বিষয়টি আপনাকে গুরুত্ব দিতে হবে, সেটি হচ্ছে ইংরেজি ভাষা। যদিও আমি আমার লেখায় এটিকে দ্বিতীয় স্থানে রেখেছি, তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি এটাই মনে করি যে, এটিই প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, আপনাকে যেকোনো বিষয়ে উচ্চশিক্ষা বা জ্ঞান লাভ করতে হলে ইংরেজি ভাষার কোনো বিকল্প নেই।
আর আপনি যে মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে যাচ্ছেন, এগুলো সবই আন্তর্জাতিক। যার অর্থ হচ্ছে আপনাকে ইংরেজি ভাষার মাধ্যমেই কাজ পেতে হচ্ছে এবং যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হয়ে আপনি কাজ করবেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অবশ্যই আপনাকে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করতে হবে।
যেহেতু আমরা জন্মগতভাবে বাংলাভাষী, তাই ইংরেজি ভাষা আমাদের অনেকের কাছে অনেক কঠিন একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আপনি নিজেকে যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে পরিচিত করতে চান, তাহলে আজ থেকেই ইংরেজি ভাষাকে গুরুত্ব দিন। প্রয়োজনে ফ্রিল্যান্সিং শুরুর আগে ইংরেজির ওপরে কোনো অতিরিক্ত চর্চা বা কোর্স করে নিতে পারেন। কারণ, এটিই আপনার অনেক বড় একটি প্লাস পয়েন্ট হবে।
এবার আসি আপনার নিজেকে আপডেট রাখার বিষয়ে। কারণ, আপনি যে বিভাগেই কাজ করেন না কেন, আপনাকে সেই বিভাগের সব তথ্য সম্পর্কে আপডেট থাকতে হবে। কেননা, এটি আপনাকে কাজ পেতে অনেক সাহায্য করবে। যখন আপনার ক্লায়েন্ট দেখবে যে আপনি সব নতুন তথ্য ও প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত আছেন, তখন সে আপনাকে বেশি প্রাধান্য দেবে। যেমন—আপনি যদি একজন অনলাইন মার্কেটার হন, তাহলে আপনাকে মার্কেটিংয়ের নতুন নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
এ ছাড়া আপনাকে ইন্টারনেট ব্যবহারে পারদর্শী হতে হবে। কেননা, যেকোনো তথ্য জানতে হলে আপনাকে ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে হবে। এমনকি আপনি যেসব মার্কেটপ্লেসে কাজ করবেন, এগুলো সবই অনলাইনে ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে আপনাকে কাজ করতে হবে।
এগুলোর পাশাপাশি আপনার মাইক্রোসফট অফিস অ্যাপ্লিকেশনগুলোর ব্যবহারও জানতে হবে। কেননা, যখন আপনি ক্লায়েন্টের কোনো কাজের রিপোর্ট দেবেন, তখন আপনাকে এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করে সুন্দরভাবে রিপোর্ট উপস্থাপন করতে হবে।
আপনারা অনেকেই ভাবছেন, এত বিষয়ে লক্ষ রেখে কাজ করা মনে হয় কষ্টসাধ্য। অথচ একটু লক্ষ করলেই দেখবেন, বাস্তবে আমি যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছি, প্রতিটিই বিষয়ের সঙ্গেই আমরা জড়িত বা কোনো না কোনোভাবে এগুলোর মধ্য থেকেই আমরা কাজ করি। যেমন ধরুন, ইংরেজি ভাষা শিক্ষা নিয়ে আপনি ছোটবেলা থেকে যখন পড়াশোনা শুরু করেছেন, তখন থেকেই ইংরেজি ছিল। আর উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত আসতে আসতে আপনার ফ্রি রাইটিংয়ের দক্ষতা চলে আসে। এর পাশাপাশি বাড়তি হিসেবে যদি কিছু ইংরেজি আর্টিকেল পড়েন, তাহলে একই সঙ্গে যেমন ইংরেজি শেখা হবে, তেমনি ইন্টারনেট ব্যবহারেও আপনি পারদর্শী হয়ে উঠবেন।
তাই যদি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান, তাহলে উল্লেখিত বিষয়গুলো লক্ষ করলেই এবং কিছু সময় ব্যয় করলেই আপনি একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন।
আত্মবিশ্লেষণ এবং লক্ষ্য নির্ধারণ
আত্মবিশ্লেষণ বলতে আমি বোঝাতে চাইছি, নিজেকে নিয়ে ভাবা বা চিন্তা করা, ব্যক্তির অবস্থান ও তার চাহিদা এবং এগুলোর ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নির্ধারণ করা। মনে হচ্ছে, একটু কঠিন করেই বলে ফেললাম। যাক, একটি উদাহরণ দিলেই হয়তো পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
ধরুন, আপনি বর্তমানে কলেজপড়ুয়া একজন ছাত্রছাত্রী। আপনি আপনার পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়টুকু কী করবেন বা কীভাবে এই সময়টুকু কাজে লাগিয়ে আত্মনির্ভরশীল হবেন, এ নিয়ে ভাবছেন। তখন ফ্রিল্যান্সিং আপনার একটি পছন্দের বিষয় হতে পারে। আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার জন্য অনলাইনে অনেক লেখা পাবেন এবং আপনি এখান থেকে আপনার প্রাথমিক ধারণাটি পেতে পারেন। কিছুদিন এ বিষয়ে পড়াশোনা করলেই আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার অবসর সময়কে কীভাবে কাজে লাগিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন।
আমি এখানে ফ্রিল্যান্সিংকেই আপনার অবসর সময়ে এ জন্যই করতে বলছি যে, ভবিষ্যতে আপনি চাইলে এখান থেকেই নতুন কিছু শুরু করতে পারবেন। এখানে আপনি আপনার পছন্দের বিষয়ে কাজ করতে পারেন, আপনার ইচ্ছামতো সময়ে। এতে করে আপনার পড়াশোনারও খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়; বরং এটি আপনাকে আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করবে।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত সময় ও শ্রম দুটাই দিতে হবে, যা একজন কলেজপড়ুয়া ছাত্রছাত্রীর কাছে রয়েছে। সুতরাং আপনি যদি আগ্রহী হন, তাহলে লক্ষ্য স্থির করে মনোনিবেশ করুন। আশা করছি, একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর আপনি ধীরে ধীরে সাফল্য পেতে শুরু করবেন।
তবে আমি এটি বলছি না, আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংই করতে হবে। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো কাজই করতে পারবেন। আমি এখানে আপনাকে শুধু একটি উপায় বা পথ দেখালাম মাত্র। একজন ফ্রিল্যান্সার হতে হলে আপনাকে ইংরেজি ভাষা নিয়েও পড়তে হবে, যা আপনার লেখাপড়ার জন্য উপকারী। এতে করে একই সঙ্গে আপনি আয়ও করছেন এবং আপনার ইংরেজি ভাষাও উন্নত হলো।

মার্কেটপ্লেস নির্ধারণ
বর্তমানে অনলাইনে বেশ কিছু আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে। নতুন যাঁরা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাইছেন, তাঁদের জন্য আমার মতে উপযুক্ত প্ল্যাটফর্মগুলো হচ্ছে—
১. আপওয়ার্ক (www.upwork.com)
২. ফ্রিল্যান্সার (www.freelancer.com)
৩. ফাইভার (www.fiverr.com)
‘আপওয়ার্ক’ এখন বর্তমানে বাংলাদেশে একটি বহুল পরিচিত ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস, যার পূর্বের নাম ছিল ‘ওডেস্ক’। এখানে আপনি একা বা গ্রুপ তৈরি করে কাজ করতে পারবেন। এখানে বিভিন্ন ক্রেতা (বায়ার) তাঁর চাহিদা অনুযায়ী কাজ অফার করে থাকেন এবং আপনি আপনার প্রস্তাব পেশ বা প্রপোজাল সাবমিটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কাজটি পেতে পারেন। ‘আপওয়ার্ক’-এ অনেক ছোট কাজ রয়েছে, প্রথম দিকে আপনাকে ওই সব কাজ করে একটা ভালো রেটিং অর্জন করতে হবে। আর তাহলেই আপনি পরবর্তী সময়ে বড় কাজগুলোর জন্য প্রপোজাল সাবমিট করতে এবং কাজ পেতে সক্ষম হবেন। এখানে সাধারণত আপওয়ার্ক মেসেজের মাধ্যমে আপনি বায়ারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবেন। কাজ শেষ হয়ে গেলে আপনি একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজটি সাবমিট করবেন এবং বায়ার আপনার কাজটি অনুমোদন দিলেই আপনি আপনার পারিশ্রমিক পেয়ে যাবেন।
‘ফ্রিল্যান্সার’ ডটকম বহুল জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। এটি একটি আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস, যেখানে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট হারে পারিশ্রমিক দিয়ে তাঁর কাঙ্ক্ষিত কাজটি করিয়ে নিতে পারে। এর মানে এই নয় যে, এখানে কাজের মূল্য বা পারিশ্রমিক কম। এখানে বিভিন্ন দেশের বায়ার বা ক্লায়েন্ট থাকে, যারা তাদের চাহিদা অনুযায়ী কাজের অফার দিয়ে থাকে এবং ফ্রিল্যান্সাররা ওই কাজের জন্য বিড করে কাজটি পেয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে দুই পক্ষের সম্মতিক্রমে একটি নির্দিষ্ট বাজেটে কাজটি করা হয়ে থাকে। এখানে আপনি ঘণ্টাপ্রতি বা নির্দিষ্ট বাজেটে কাজ করতে পারবেন।
‘ফাইভার’ মার্কেটপ্লেসটি ‘ফ্রিল্যান্সার’ এবং ‘আপওয়ার্ক’-এর তুলনায় ছোট; কিন্তু এটিও খুব জনপ্রিয় একটি মাইক্রোফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। এখানে কাজের ধরনটা একটু ভিন্ন। এখানে আপনি নিজে কী কাজ জানেন বা অভিজ্ঞ, এর ওপর ভিত্তি করে আপনাকে কাজ এর বর্ণনা দিতে হবে, এগুলোকে ‘গিগ’ বলে। এই মার্কেটপ্লেসে সব কাজেরই মূল্য পাঁচ ডলার করে। তাই বিষয়টি মাথায় রেখে আপনাকে আপনার গিগ তৈরি করতে হবে। এথানে ক্লায়েন্টেরও কিছু কাজ পাওয়া যায়, ক্লায়েন্ট তার চাহিদা অনুযায়ী কিছু কাজ দিয়ে থাকে। আপনি চাইলে তাকে রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে কাজ করতে পারেন। এখানে আপনি একই সঙ্গে অনেক গিগ চালাতে পারবেন।
ওপরের বর্ণিত যেকোনো মার্কেটপ্লেস থেকে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। তবে আপনাকে ধৈর্যশীল ও পরিশ্রমী হতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং শিখুন: কভার লেটার তৈরি ও সাক্ষাৎকার

ফ্রিল্যান্সিং শিখুন: কভার লেটার তৈরি ও সাক্ষাৎকার

কভার লেটার বলতে আমরা সাধারণত যেকোনো প্রকার জব অ্যাপ্লিকেশন লেটারকে বুঝি, যেখানে আপনি নিজেকে তুলে ধরেন, কাজের চাহিদা অনুযায়ী আপনার দক্ষতা কতটুকু এটি বর্ণনা করেন, আর যদি আপনার কোনো অভিজ্ঞতা থাকে সেটি বর্ণনা করে থাকেন এবং সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট বা বায়ারের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কাজ করার সুযোগ চেয়ে অনুরোধ জানান।
আপওয়ার্কেও এর ব্যতিক্রম নয়। এখানে আপনি কোনো একটি নির্দিষ্ট কাজ পাওয়ার জন্য আপনার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার বর্ণনা দিয়ে ক্লায়েন্টের কাছে যে আবেদনপত্রটি প্রেরণ করে থাকেন, তাকেই কভার লেটার বলে।
সাধারণত কভার লেটারটি প্রথমে ওয়ার্ড ফাইলে লিখে চেক করে নিতে পারেন কোনো স্পেলিং বা গ্রামাটিক্যাল মিসটেক আছে কি না। যদি এ ধরনের কোনো সমস্যা না থাকে, তাহলে লেটারটি কপি করুন এবং আপওয়ার্কে পেস্ট করুন। আপওয়ার্কের হেল্প সেন্টারের মতামত অনুয়ায়ী, কভার লেটার ২০০ থেকে ২৫০ ওয়ার্ডের মধ্যে হলে ভালো।
কাজের বর্ণনা
আপনাকে যেকোনো কাজে বিড করার আগে এই কাজ সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে হবে। কাজের প্রধান প্রধান কি-ওয়ার্ডগুলো বের করতে হবে। আপনাকে বুঝতে হবে, ক্লায়েন্ট কোন বিষয়গুলো বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। আপনাকেও ওই বিষয়গুলো মাথায় রেখে কভার লেটার লিখতে হবে।
অনেক সময় ক্লায়েন্ট আপনাকে পরীক্ষা করার জন্য বর্ণনার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট শব্দ বা শব্দগুচ্ছকে আপনার কভার লেটারের মধ্যে ব্যাখ্যা করতে বলে। এটা দ্বারা সে বুঝতে চেষ্টা করে, আপনি যে কাজের জন্য বিড করছেন তার বর্ণনাটি ঠিকমতো পড়েছেন কি না।
ক্লায়েন্ট সম্পর্কে ধারণা
কাজে বিড করার আগে আপনাকে ক্লায়েন্টের সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু ধারণা নিতে হবে। যেমন ধরুন, ক্লায়েন্টের নাম, তার পূর্বের কাজগুলো সম্পর্কে জানা, ক্লায়েন্ট সাধারণত কেমন রেটে কাজ করিয়ে থাকে, ক্লায়েন্টের টাইমজোন ইত্যাদি।
কারণ, আপনি যদি ক্লায়েন্টের নাম উল্লেখ করে জবে বিড করেন, তাহলে সে বুঝতে পারে যে আপনি তার কাজটিকে গুরুত্বসহকারে দেখেছেন এবং তার সম্পর্কেও রিসার্চ করেছেন।
Freelancing_11

অতিরিক্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া
অনেক সময় ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজের সম্পর্কে কভার লেটারের বাইরে কিছু প্রশ্ন করে থাকে এবং আপনাকে কভার লেটার শুরু করার আগেই এ প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে গুছিয়ে নিতে হবে। এর মাধ্যমে ক্লায়েন্ট আপনার কাজের ধরন সম্পর্কে জানতে পারে বা আপনি এ কাজ করতে পারবেন কি না, এ সম্পর্কে ধারণা লাভ করে থাকে।
কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রমাণ দেওয়া
আপনি যে কাজের জন্য বিড করছেন, এ ধরনের কোনো কাজের যদি আপনার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে থাকে, তাহলে এটি আপনাকে নতুন কাজ পেতে অনেক সাহায্য করে। কারণ, ক্লায়েন্ট যখন দেখে যে আপনি এ ধরনের কাজ আগেও করেছেন, তখন সে আপনাকে কাজটি দিতে ভরসা পায়। কভার লেটার দেওয়ার সময় আপনি চাইলে আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা বা কাজ সম্পর্কিত কোনো ফাইল সংযুক্ত করে দিতে পারেন।
কাজের প্রাইস বা রেট নির্ধারণ
আপনাকে আপনার কাজের নির্দিষ্ট প্রাইস বা ঘণ্টাপ্রতি রেট কভার লেটারের ফরমে উল্লেখ করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট পূর্বে এ ধরনের কাজ কত রেটে করিয়েছেন, তা আপনি দেখে নিতে পারেন। তাহলে আপনি কত রেটে বিড করতে পারেন, সে সম্পর্কে একটি ধারণা পাবেন।
কভার লেটার লেখার নিয়ম
কভার লেটারের শুরুতে আপনি ক্লায়েন্টের নাম ধরে সম্বোধন করতে পারেন, যদি আপনি তার পূর্বের কাজগুলো থেকে তার নাম জেনে থাকেন। এর পর তার টাইমজোন অনুযায়ী তাকে শুভেচ্ছা জানান। যেমন : সকাল হলে ‘গুড মর্নিং’। কভার লেটারের শুরুতেই চেষ্টা করবেন কাজটি আপনি কীভাবে সম্পন্ন করবেন, এ প্রক্রিয়া বর্ণনা করতে। কখনই প্রথমে আপনি আপনার নিজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হবেন না। কারণ, ক্লায়েন্টের কাছে যখন আপনার এই অফার লেটার যায়, তখন সে পুরো অংশটা দেখতে পারে না।
Freelancing_22
তাই আপনাকে চেষ্টা করতে হবে যেন প্রথম দুই লাইনের মধ্যেই আপনি এমন কিছু লিখবেন, যা ক্লায়েন্ট পড়ার পর আপনার পুরো লেখাটা পড়ার আগ্রহ পায়। সুতরাং আপনাকে চেষ্টা করতে হবে এই অল্প কথার মধ্যেই কাজের প্রক্রিয়াটি সহজে বর্ণনা করতে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ক্লায়েন্টকে আপনার কাজ করার সময় সম্পর্কে জানান। যেমন : আপনি প্রতি সপ্তাহে ৩০ ঘণ্টা কাজ করবেন। এটি উল্লেখ করলে ক্লায়েন্ট একটি ধারণা পায় যে কত দিনে আপনি কাজটি করতে পারবেন বা সর্বোচ্চ কত সময় লাগতে পারে কাজটি শেষ করতে। এ ছাড়া আপনি এটি উল্লেখ করতে পারেন যে আপনি প্রতি সপ্তাহে তাকে কাজের একটি আপডেট রিপোর্ট দেবেন। যেখানে আপনি এক সপ্তাহে শেষ করা কাজের বর্ণনা দেবেন। এর পরে আপনি এই কাজ করার জন্য আপনার কতটুকু অভিজ্ঞতা আছে, আপনার দক্ষতা কোন বিষয়গুলোতে বেশি এ বিষয়গুলো এখানে তুলে ধরতে পারেন।
কখনই একই কভার লেটার কপি করে বারবার সেটি ব্যবহার করবেন না। তাহলে এটি স্প্যাম হিসেবে গণ্য হবে। সব সময়ই চেষ্টা করবেন প্রতিটি জবের জন্য ইউনিক কভার লেটার লিখতে।
মূল কথা, এই কভার লেটারের মাধ্যমেই আপনার ক্লায়েন্টকে বোঝাতে হবে যে, আপনি কাজটি সম্পর্কে পুরোপুরি বুঝতে পেরেছেন এবং আপনি কাজটি অনেক ভালোভাবে সম্পন্ন করে দিতে সক্ষম। আর আপনি যে তার এই কাজটি করতে কতটা আগ্রহী, এটি বোঝানোর মাধ্যমে কভার লেটারটি শেষ করুন। তাহলেই আপনি ইন্টারভিউর জন্য আশা করতে পারেন।
একটি সাক্ষাৎকার সফল করতে করণীয় বিষয়গুলো
আপনাকে যদি প্রাথমিকভাবে ক্লায়েন্ট নির্বাচন করেন, তাহলে সে আপনাকে ইন্টারভিউ অফার করবে। এই ইন্টারভিউ হতে পারে আপওয়ার্ক মেসেজের মাধ্যমে বা হতে পারে Skype মেসেঞ্জারের মাধ্যমে। তবে ইন্টারভিউ যেখানেই হোক না কেন, আপনাকে যেদিকে লক্ষ রাখতে হবে সে বিষয়গুলো হচ্ছে—
  • ক্লায়েন্টের টাইমজোন অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত রাখুন। ক্লায়েন্ট তার সময়মতো আপনাকে ইন্টারভিউর জন্য কল করবে এবং আপনাকে ওই সময়েই তার সঙ্গে ইন্টারভিউতে আসতে হবে। তা না হলে আপনি কাজটি হারাবেন।
  • ইন্টারভিউর আগে ক্লায়েন্ট সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন এবং তার বিজনেস বা প্রোডাক্ট সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা রাখুন। এটি আপনাকে ইন্টারভিউতে অনেকখানি এগিয়ে রাখবে।
  • যখন আপনার ক্লায়েন্ট ইন্টারভিউ নেবে, তখন তাকে সম্মান জানান। তার সঙ্গে ভদ্রতার সঙ্গে কথা বলুন এবং প্রফেশনালিজম বজায় রাখুন।
  • ইন্টারভিউর সময় সত্য কথা বলবেন। কখনই কোনো কারণে মিথ্যার আশ্রয় নেবেন না। ক্লায়েন্টের সব জিজ্ঞাসার সঠিক উত্তর দিতে চেষ্টা করুন।
  • সব সময় ইন্টারভিউর শেষে পজিটিভ কথা বলবেন। ক্লায়েন্টের কাছে কাজের ডেটলাইন সম্পর্কে জেনে নিন এবং সে অনুযায়ী একটি কর্মপরিকল্পনা তাকে দিন। ইন্টারভিউ শেষ হলে ক্লায়েন্টকে ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না।
  • আপনি ইন্টারভিউ শেষ হওয়ার পর ক্লায়েন্টের সঙ্গে নির্ধারিত কথা অনুযায়ী কাজ শুরু করুন। তবে আপনাকে হায়ারিং লেটার পাঠানোর পরে আপনি সম্পূর্ণভাবে কাজ শুরু করুন। কোনো কিছু জানতে হলে আপওয়ার্কের মাধ্যমে ক্লায়েন্টকে মেসেজ করুন।
  • সব সময় চেষ্টা করবেন ক্লায়েন্টকে কাজের আপডেট জানাতে। আপনি প্রতি সপ্তাহে তাকে আপনার কাজের একটি আপডেট রিপোর্ট দিন। এতে করে ক্লায়েন্ট বুঝতে পারবে, আপনি কীভাবে তার কাজটি করছেন এবং কাজটি ঠিকমতো সম্পন্ন হচ্ছে কি না।
এভাবে কিছু পূর্বপ্রস্তুতি এবং পরিকল্পনার মাধ্যমে আপনি একটি ইন্টারভিউ সফলভাবে শেষ করতে পারবেন। সব সময় চেষ্টা করবেন, কাজের ডেটলাইনের আগেই কাজটি সাবমিট করতে। এবং কাজটি সুন্দর একটি রিপোর্ট আকারে আপনার ক্লায়েন্টের সামনে উপস্থাপন করুন (রিপোর্টটি হতে পারে একটি ওয়ার্ড বা এক্সেল ফাইল অথবা একটি পিডিএফ ফাইল)।
কাজ শেষ হয়ে গেলেও ক্লায়েন্টের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন। এতে করে ভবিষ্যতে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।