চাকরিতো কারাবাস, উদ্যোক্তার মুক্তআকাশ
চাকরি ও কারাবাস/উদ্যোক্তা ও আকাশ:
জীবন-যাপনের জন্য আমাদেরকে কোন না কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এখন প্রশ্ন আমরা কোন অর্থনৈতিক জীবন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যাব? আমরা কি চাকরি করব? প্রশ্ন করি,আমরা চাকরি করি কেন ? সহজ একটিই উত্তর আর্থিক নিরাপত্তার কারণে। যেহেতু অর্থই পারিবারিক-সামাজিক-রাজনৈতিক সকল নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে সুতরাং কেন সেই অর্থ উপার্জনে চাকরি নয় ? চাকরি ছাড়াও নিজের উদ্যোগে ব্যবসা করে যারা অর্থ উপার্জন করছে তাদের সাথে একজন চাকরিজীবির ভিন্নতা কোথায় ? একটা ছোট্ট উদাহরণ টেনে ব্যাপারটা কিছুটা পরিষ্কার করা যেতে পারে। পাখি খাঁচায় এবং আকাশে দুই জায়গাতেই নিরাপদ। কিন্তু পাখি তার স্বভাবগুনেই আকাশমুখী। মানুষ কি আকাশমুখী নয় ? মানুষ কি জন্ম মাত্রই স্বাধীনতা চায় না ? উত্তরে বিরোধিতা করার কোন সুযোগ নেই, চায়। তাহলে চাকরি কি একজন মানুষকে নিরাপত্তা দিচ্ছে খাঁচায় বন্দি রেখে ? শুনতে খারাপ লাগলেও আসলে এটাই সত্য। মানুষ তাহলে কেন মেনে নিচ্ছে এই বন্দিত্ব ? এসব নিয়ে আরো বিস্তর আলোচনা করা যাক…
নির্ভরশীলতা : নির্ভরশীলতা একটি জটিল রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজে কিছু করতে চায় না এবং পরজীবি থাকতে ভালোবাসে। পরের দাসত্ব মেনে নিয়ে অধীন থাকতে চায়। অর্থাৎ সে আসলে অন্যের প্রয়োজনে বেঁচে থাকে, অন্যের জীবনে বেঁচে থাকে, নিজের জীবনে বা নিজের প্রয়োজনে তার চাহিদা থাকেনা। এভাবে নিজেকে বঞ্চিত করে আপনি কতটুকু ভালো থাকতে পারেন ?
অনভিজ্ঞতাকে দূবর্লতা মনে করা : একজন মানুষ উদ্যোগি হয়ে কোন ব্যবসায় নামতে চাইলে নিজেকে অনভিজ্ঞ মনে করে সাহসিকতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়। এবং মেনে নেয় চাকরি জীবন। কিন্তু পথে না নেমেই কি কেউ পথ থেকে সঞ্চয় করতে পেরেছে? গৃহপালিত জীবন ব্যবস্থা : আমাদের পরিবার-সমাজ অনেক সময় পোষ্যতাকে প্রোমোট করে। তাদের চাওয়া পাওয়াই থাকে তুমি বড় হয়ে একজন চমৎকার পোষ্য হবে এবং আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবে। আমাদের চিন্তা-চেতনাকে তারা তাদের আঁচলের চাবির মতো বেঁধে রাখতে চায়। পরিবার-সমাজের এইসব দারিদ্রতা-সংকীর্ণবোধ ভেঙ্গে আমরা কি দেয়ালের ওপাশে যাব না ? দায়িত্বকে চাপ
মনে করা : নিজে উদ্যোগি হয়ে কোন ব্যবসা শুরু করলে তাকে ঘিরে অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হয় এবং তার মাধ্যমে তাদের জীবন জীবিকা নিশ্চিত হয়। অনেকে এই দায়িত্বকে চাপ মনে করেন এবং চাকরি জীবন মেনে নেন। আর এভাবেই কমে আসছে কর্মসংস্থান। দেশে এখন তাই বেকার বৃদ্ধির মৌসুম। আমরা কি আমাদের আর আমাদের চারপাশের মানুষের জন্য কিছু করব না ?
ঝুঁকি মুক্ত থাকা : এটা সত্য যে চাকরি মাস অন্তর নির্দিষ্ট অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং একজন চাকরিজীবি নিজেকে ঝুঁকি মুক্ত মনে করেন। আবার এটাও সত্য সে অর্থ নির্দিষ্ট এবং সব সময় যথেষ্ট নয়। স্বপ্নকে বড় করে দেখুন- স্টিভ জবস্ যেটা বলতেন। আমরা কি চাকরিকে ঝুঁকি মুক্ত স্বীকার করে নির্দিষ্ট ফ্রেমে বাঁধা জীবন মেনে নেব ?
প্রভুত্ব স্বীকার করা : কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে চাকরি করতে গেলে আপনাকে হয়তো বার বার বলতে হবে ‘স্যরি বস’। এই ‘বস’ শব্দটি ব্রিটিশ কালচার থেকে এসেছে যার অর্থ প্রভু। তারা আমাদের এই উপমহাদেশে দুইশ বছরের বেশী প্রভুত্ব করেছে। আমরা আর কতদিন এই প্রভুত্বের কালচারে নিজেদেরকে বশীভূত রাখব ?
কাপুরুষতা : অন্যের বেঁধে দেয়া স্বপ্নে আপনি বসবাস করেন। অন্যের মতো করে আপনি মুখস্থ বলেন আপনার জীবন পাঠ। অথচ নিজের মতো করে স্বপ্ন দেখতে নিজের মতো করে জীবন পাঠ করার সাহস আপনার নেই। রোজ দিন একই সময় অফিস যাওয়া, একই সময় ফেরা, সন্তান উৎপাদন,বেঁচে থাকার জন্য খাওয়া এইসব নিরুত্তাপ দিন কেটে যায় অনেকেরই। কি লাভ ? আপনারও স্বপ্ন ছিল; গোপনে তাকে বেড়ে উঠতে দেন নি। আপনি কি হতে পারতেন না সেই সাহসি মানুষের নাম? এইসব প্রশ্নে এখন আর নিরুত্তর-নিরুত্তাপ থাকার সময় নেই। আর চাকরি নয়। নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে একটি স্বাধীন-স্বপ্নিল জীবনের পথ প্রসারিত হয়ে আছে আমাদের জন্য।
জীবন-যাপনের জন্য আমাদেরকে কোন না কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এখন প্রশ্ন আমরা কোন অর্থনৈতিক জীবন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যাব? আমরা কি চাকরি করব? প্রশ্ন করি,আমরা চাকরি করি কেন ? সহজ একটিই উত্তর আর্থিক নিরাপত্তার কারণে। যেহেতু অর্থই পারিবারিক-সামাজিক-রাজনৈতিক সকল নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে সুতরাং কেন সেই অর্থ উপার্জনে চাকরি নয় ? চাকরি ছাড়াও নিজের উদ্যোগে ব্যবসা করে যারা অর্থ উপার্জন করছে তাদের সাথে একজন চাকরিজীবির ভিন্নতা কোথায় ? একটা ছোট্ট উদাহরণ টেনে ব্যাপারটা কিছুটা পরিষ্কার করা যেতে পারে। পাখি খাঁচায় এবং আকাশে দুই জায়গাতেই নিরাপদ। কিন্তু পাখি তার স্বভাবগুনেই আকাশমুখী। মানুষ কি আকাশমুখী নয় ? মানুষ কি জন্ম মাত্রই স্বাধীনতা চায় না ? উত্তরে বিরোধিতা করার কোন সুযোগ নেই, চায়। তাহলে চাকরি কি একজন মানুষকে নিরাপত্তা দিচ্ছে খাঁচায় বন্দি রেখে ? শুনতে খারাপ লাগলেও আসলে এটাই সত্য। মানুষ তাহলে কেন মেনে নিচ্ছে এই বন্দিত্ব ? এসব নিয়ে আরো বিস্তর আলোচনা করা যাক…
নির্ভরশীলতা : নির্ভরশীলতা একটি জটিল রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজে কিছু করতে চায় না এবং পরজীবি থাকতে ভালোবাসে। পরের দাসত্ব মেনে নিয়ে অধীন থাকতে চায়। অর্থাৎ সে আসলে অন্যের প্রয়োজনে বেঁচে থাকে, অন্যের জীবনে বেঁচে থাকে, নিজের জীবনে বা নিজের প্রয়োজনে তার চাহিদা থাকেনা। এভাবে নিজেকে বঞ্চিত করে আপনি কতটুকু ভালো থাকতে পারেন ?
অনভিজ্ঞতাকে দূবর্লতা মনে করা : একজন মানুষ উদ্যোগি হয়ে কোন ব্যবসায় নামতে চাইলে নিজেকে অনভিজ্ঞ মনে করে সাহসিকতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়। এবং মেনে নেয় চাকরি জীবন। কিন্তু পথে না নেমেই কি কেউ পথ থেকে সঞ্চয় করতে পেরেছে? গৃহপালিত জীবন ব্যবস্থা : আমাদের পরিবার-সমাজ অনেক সময় পোষ্যতাকে প্রোমোট করে। তাদের চাওয়া পাওয়াই থাকে তুমি বড় হয়ে একজন চমৎকার পোষ্য হবে এবং আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবে। আমাদের চিন্তা-চেতনাকে তারা তাদের আঁচলের চাবির মতো বেঁধে রাখতে চায়। পরিবার-সমাজের এইসব দারিদ্রতা-সংকীর্ণবোধ ভেঙ্গে আমরা কি দেয়ালের ওপাশে যাব না ? দায়িত্বকে চাপ
মনে করা : নিজে উদ্যোগি হয়ে কোন ব্যবসা শুরু করলে তাকে ঘিরে অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হয় এবং তার মাধ্যমে তাদের জীবন জীবিকা নিশ্চিত হয়। অনেকে এই দায়িত্বকে চাপ মনে করেন এবং চাকরি জীবন মেনে নেন। আর এভাবেই কমে আসছে কর্মসংস্থান। দেশে এখন তাই বেকার বৃদ্ধির মৌসুম। আমরা কি আমাদের আর আমাদের চারপাশের মানুষের জন্য কিছু করব না ?
ঝুঁকি মুক্ত থাকা : এটা সত্য যে চাকরি মাস অন্তর নির্দিষ্ট অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং একজন চাকরিজীবি নিজেকে ঝুঁকি মুক্ত মনে করেন। আবার এটাও সত্য সে অর্থ নির্দিষ্ট এবং সব সময় যথেষ্ট নয়। স্বপ্নকে বড় করে দেখুন- স্টিভ জবস্ যেটা বলতেন। আমরা কি চাকরিকে ঝুঁকি মুক্ত স্বীকার করে নির্দিষ্ট ফ্রেমে বাঁধা জীবন মেনে নেব ?
প্রভুত্ব স্বীকার করা : কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে চাকরি করতে গেলে আপনাকে হয়তো বার বার বলতে হবে ‘স্যরি বস’। এই ‘বস’ শব্দটি ব্রিটিশ কালচার থেকে এসেছে যার অর্থ প্রভু। তারা আমাদের এই উপমহাদেশে দুইশ বছরের বেশী প্রভুত্ব করেছে। আমরা আর কতদিন এই প্রভুত্বের কালচারে নিজেদেরকে বশীভূত রাখব ?
কাপুরুষতা : অন্যের বেঁধে দেয়া স্বপ্নে আপনি বসবাস করেন। অন্যের মতো করে আপনি মুখস্থ বলেন আপনার জীবন পাঠ। অথচ নিজের মতো করে স্বপ্ন দেখতে নিজের মতো করে জীবন পাঠ করার সাহস আপনার নেই। রোজ দিন একই সময় অফিস যাওয়া, একই সময় ফেরা, সন্তান উৎপাদন,বেঁচে থাকার জন্য খাওয়া এইসব নিরুত্তাপ দিন কেটে যায় অনেকেরই। কি লাভ ? আপনারও স্বপ্ন ছিল; গোপনে তাকে বেড়ে উঠতে দেন নি। আপনি কি হতে পারতেন না সেই সাহসি মানুষের নাম? এইসব প্রশ্নে এখন আর নিরুত্তর-নিরুত্তাপ থাকার সময় নেই। আর চাকরি নয়। নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে একটি স্বাধীন-স্বপ্নিল জীবনের পথ প্রসারিত হয়ে আছে আমাদের জন্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন