অফিস পৌঁছাতে দেরি হলে অনীহা বাড়ে কাজে!
অফিস পৌঁছাতে দেরি হলে অনীহা বাড়ে কাজে!
অ- অ অ+
বাড়ি থেকে সময়মতোই বের হচ্ছেন। তারপরও নির্দিষ্ট সময়ের পরে অফিসে পৌঁছাচ্ছেন। নিজেকে দোষারোপ করছেন। সে সঙ্গে অফিসও বাঁকা চোখে দেখছে আপনাকে। তা নিয়ে আপনি নিশ্চয়ই অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে থাকেন। ভাববেন না, আপনার মতো এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে যাদের অফিস পৌঁছানোর সময় এতটাই বেশি যে পৌঁছনোর পর অফিসের কাজ হয়ে ওঠে অসহ্য।
আবার দিনে দিনে যানজটের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তার জ্যাম টপকে অফিস পৌঁছানো এবং বাড়ি ফেরা অসম্ভভ ক্লান্তিকর। আর এই বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ একটি গবেষণা করেছে। তাতে দেখা গেছে, যতটা সময় ধরে কেউ অফিস পৌঁছান, তার জব স্যাটিসফেকশন ততটাই কম। অফিসের কাছে যার বাড়ি তার থেকে অনেকাংশেই কম অন্তত।
সম্প্রতি পশ্চিম ইংল্যান্ডের এক দল গবেষক অফিস পৌঁছানোর জন্য অতিবাহিত সময় এবং কাজের প্রতি ভালোবাসার মধ্যে একটি যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন। তাদের দাবি, প্রতি বাড়তি এক মিনিটে কর্মীর মানসিক চাপ বাড়তে থাকে এবং কাজের প্রতি অনীহা বাড়ে। বলা হচ্ছে, ২০ মিনিট বাড়তি সময় কাটিয়ে ফেললে তা কর্মীর মনে ১৯ শতাংশ বেতন কেটে নেওয়ার মতো প্রভাব ফেলে। এর ফলে কাজের কোনো আনন্দ উপভোগ করেন না কর্মচারী।
হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ’র রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউরোপের ছয়টি শহরের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের মত, পৌঁছাতে দেরির কারণে কর্মক্ষেত্রে যে মানসিক হয়রানি তৈরি হয় তার পরিমাণ অনেক বেশি নতুন বাড়িতে শিফট করা বা ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়ার চাইতে। আসলে, অফিস থেকে বাড়ি এবং বাড়ি থেকে অফিসে আসার সময় একজন মানুষকে তার 'চরিত্র' পরিবর্তন করতে হয়। তবে অনেক বেশি সময় ভ্রমণ করলে সমস্ত শক্তি ও এনার্জি নষ্ট হয়ে যায়। মানুষ অনেক বেশি বিরক্ত হয়ে পড়েন। সে কারণে ধীরে ধীরে জীবন উপভোগ করার ইচ্ছেটাই মরে যায়।
IT IS HOT NEWS. Some information and news unknown to everyone. Which is only possible in F S S T S T L. SO keeps watching and keeps telling others.
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯
শরীরের এই পাঁচ জায়গায় চুম্বনে বোঝা যায় প্রেম কতটা গভীর!
শরীরের এই পাঁচ জায়গায় চুম্বনে বোঝা যায় প্রেম কতটা গভীর!
শরীরের এই পাঁচ জায়গায় চুম্বনে বোঝা যায় প্রেম কতটা গভীর!
অ- অ অ+
প্রেমে চুম্বনের গুরুত্ব বিরাট। প্রেমিক বা প্রেমিকা একে অপরকে ঠিক কীভাবে চুম্বন করেন, তার উপরে বোঝা যায় সম্পর্কের গভীরতা কতটা।
প্রেম করলে চুম্বনের ইচ্ছা জাগবেই। কিন্তু শরীরের কোথায় চুম্বন, তা দেখে বোঝা যায় অনেক কিছু।
কারও প্রেমে পড়লে তাকে চুম্বন করতে ইচ্ছে করে। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক অনুভূতি। কিন্তু সেই চুম্বনের ধরন দেখলে বোঝা যায় প্রেমের অনুভূতিটা কতটা গভীর। প্রেমের মধ্যে একাধিক অনুভূতি মিশে থাকে— স্নেহ, মমতা, শরীরী আকর্ষণ— সবকিছু মিলিয়েই প্রেমের অনুভূতি গড়ে ওঠে।
যদি প্রেমের মধ্যে মানসিক যোগাযোগ কম আর শরীরী আকর্ষণের মাত্রা বেশি থাকে, তবে চুম্বন হবে এক রকম। আবার যদি প্রেমে স্নেহের মাত্রা বেশি থাকে, তবে চুম্বনের ধরনটা অনেকটাই অন্যরকম হবে। শুধু তাই নয়, প্রেমিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার মুহূর্তে প্রেমিক ঠোঁট বাদ দিয়ে তার শরীরের কোন অঙ্গে বার বার চুম্বন করছে, সেটা দেখেও বোঝা যায় প্রেমের ধরনটা ঠিক কী রকম।
শরীরের বিশেষ ৫টি জায়গা এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ— কপাল, গাল, নাক, নাভি বা কোমর ও হাতের উল্টো দিক।
কপাল— কপালে চুম্বন অত্যন্ত গভীর প্রেমের লক্ষ্ণণ। প্রেমিক যদি বার বার কপালে চুম্বন করেন তবে বুঝতে হবে তাঁর অনুভূতি অত্যন্ত প্রবল এবং সম্পর্ক নিয়ে তিনি খুবই সিরিয়াস।
গাল— বার বার গালে চুম্বন প্রবল সখ্যতার লক্ষ্ণণ অর্থাৎ প্রেমে বন্ধুত্বের জায়গাটি খুব দৃঢ়। এই প্রবণতা এটাও বলে দেয় যে এই সম্পর্কে একজন আর একজনকে প্যাম্পার করতে পছন্দ করেন।
নাক— একে অপরের জন্য প্রবল স্নেহ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব থাকলে নাকে চুম্বন করার ইচ্ছেটা আসে।
নাভি বা কোমর— প্রেমিকার নাভি বা কোমরের কাছে চুম্বন যৌনতার প্রকাশ। যদি যৌনমিলন ছাড়াও এমনি সময়েও কোমরে বার বার চুম্বন করেন প্রেমিক তবে বুঝতে হবে তিনি প্রেমিকার প্রতি শারীরিকভাবে অত্যন্ত বেশি রকম আকৃষ্ট।
হাতের উল্টো পিঠ— এই চুম্বন পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে বেশি প্রচলিত। সেখানে এটি যে কোনও মেয়েকেই সম্মান জানানোর একটি ধরন। তা বাদ দিয়ে প্রেমের ক্ষেত্রে এর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। প্রেমিকার হাতে যাঁরা এভাবে চুম্বন করেন, তাঁদের প্রেমিকার প্রতি গভীর সম্মান রয়েছে।
শরীরের এই পাঁচ জায়গায় চুম্বনে বোঝা যায় প্রেম কতটা গভীর!
অ- অ অ+
প্রেমে চুম্বনের গুরুত্ব বিরাট। প্রেমিক বা প্রেমিকা একে অপরকে ঠিক কীভাবে চুম্বন করেন, তার উপরে বোঝা যায় সম্পর্কের গভীরতা কতটা।
প্রেম করলে চুম্বনের ইচ্ছা জাগবেই। কিন্তু শরীরের কোথায় চুম্বন, তা দেখে বোঝা যায় অনেক কিছু।
কারও প্রেমে পড়লে তাকে চুম্বন করতে ইচ্ছে করে। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক অনুভূতি। কিন্তু সেই চুম্বনের ধরন দেখলে বোঝা যায় প্রেমের অনুভূতিটা কতটা গভীর। প্রেমের মধ্যে একাধিক অনুভূতি মিশে থাকে— স্নেহ, মমতা, শরীরী আকর্ষণ— সবকিছু মিলিয়েই প্রেমের অনুভূতি গড়ে ওঠে।
যদি প্রেমের মধ্যে মানসিক যোগাযোগ কম আর শরীরী আকর্ষণের মাত্রা বেশি থাকে, তবে চুম্বন হবে এক রকম। আবার যদি প্রেমে স্নেহের মাত্রা বেশি থাকে, তবে চুম্বনের ধরনটা অনেকটাই অন্যরকম হবে। শুধু তাই নয়, প্রেমিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার মুহূর্তে প্রেমিক ঠোঁট বাদ দিয়ে তার শরীরের কোন অঙ্গে বার বার চুম্বন করছে, সেটা দেখেও বোঝা যায় প্রেমের ধরনটা ঠিক কী রকম।
শরীরের বিশেষ ৫টি জায়গা এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ— কপাল, গাল, নাক, নাভি বা কোমর ও হাতের উল্টো দিক।
কপাল— কপালে চুম্বন অত্যন্ত গভীর প্রেমের লক্ষ্ণণ। প্রেমিক যদি বার বার কপালে চুম্বন করেন তবে বুঝতে হবে তাঁর অনুভূতি অত্যন্ত প্রবল এবং সম্পর্ক নিয়ে তিনি খুবই সিরিয়াস।
গাল— বার বার গালে চুম্বন প্রবল সখ্যতার লক্ষ্ণণ অর্থাৎ প্রেমে বন্ধুত্বের জায়গাটি খুব দৃঢ়। এই প্রবণতা এটাও বলে দেয় যে এই সম্পর্কে একজন আর একজনকে প্যাম্পার করতে পছন্দ করেন।
নাক— একে অপরের জন্য প্রবল স্নেহ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব থাকলে নাকে চুম্বন করার ইচ্ছেটা আসে।
নাভি বা কোমর— প্রেমিকার নাভি বা কোমরের কাছে চুম্বন যৌনতার প্রকাশ। যদি যৌনমিলন ছাড়াও এমনি সময়েও কোমরে বার বার চুম্বন করেন প্রেমিক তবে বুঝতে হবে তিনি প্রেমিকার প্রতি শারীরিকভাবে অত্যন্ত বেশি রকম আকৃষ্ট।
হাতের উল্টো পিঠ— এই চুম্বন পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে বেশি প্রচলিত। সেখানে এটি যে কোনও মেয়েকেই সম্মান জানানোর একটি ধরন। তা বাদ দিয়ে প্রেমের ক্ষেত্রে এর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। প্রেমিকার হাতে যাঁরা এভাবে চুম্বন করেন, তাঁদের প্রেমিকার প্রতি গভীর সম্মান রয়েছে।
ঊর্বশীর নগ্ন গোসলের ভিডিও ফাঁস
ঊর্বশীর নগ্ন গোসলের ভিডিও ফাঁস
ঊর্বশীর নগ্ন গোসলের ভিডিও ফাঁস
অ- অ অ+
আরও এক বলিউড অভিনেত্রীর এমএমএস কাণ্ড। 'সনম রে' সিনেমার শ্যুটিংয়ে এক গোসলের দৃশ্যে অভিনয়ের সময় ভিডিও ফাঁস হয়ে যায় ঊর্বশী রাউতেলার। দিব্যা খোসলা কুমার পরিচালিত এই সিনেমার শ্যুটিংয়ের ফাঁকে এই ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় বিরক্ত প্রযোজক সংস্থা। তবে কীভাবে এই দৃশ্যর ভিডিও ফাঁস হল তা নিয়ে মুখ খুলছেন না পরিচালক-প্রযোজকরা। যদিও এই ভিডিও যে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়েছিল, সেইখান থেকে ঊর্বশীর গোসলের কার্যত নগ্ন ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
ঊর্বশির পাশাপাশি 'সনম রে' সিনেমাটিতে আছেন পুলকিত শর্মা, ইয়ামি গৌতম। উত্তরাখণ্ডের ২১ বছরের মেয়ে ঊর্বশি ২০১২ সালে মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্সের খেতাব জেতেন। ২০১৩ সালে সানি দেওলের 'সিং সাব দ্য গ্রেট' সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সনম রে মুক্তি পাচ্ছে। তার আগে এই সিনেমার মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই ইউটিউবে রেকর্ড পরিমাণ হিট হয়েছে গানটি। তার আগে ঊর্বশীর এই এমএমএস কাণ্ড সিনেমার প্রচারে কতটা সাহায্য করে সেটাই দেখার।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি 'সনম রে' মুক্তি পাচ্ছে।
ঊর্বশীর নগ্ন গোসলের ভিডিও ফাঁস
অ- অ অ+
আরও এক বলিউড অভিনেত্রীর এমএমএস কাণ্ড। 'সনম রে' সিনেমার শ্যুটিংয়ে এক গোসলের দৃশ্যে অভিনয়ের সময় ভিডিও ফাঁস হয়ে যায় ঊর্বশী রাউতেলার। দিব্যা খোসলা কুমার পরিচালিত এই সিনেমার শ্যুটিংয়ের ফাঁকে এই ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় বিরক্ত প্রযোজক সংস্থা। তবে কীভাবে এই দৃশ্যর ভিডিও ফাঁস হল তা নিয়ে মুখ খুলছেন না পরিচালক-প্রযোজকরা। যদিও এই ভিডিও যে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়েছিল, সেইখান থেকে ঊর্বশীর গোসলের কার্যত নগ্ন ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
ঊর্বশির পাশাপাশি 'সনম রে' সিনেমাটিতে আছেন পুলকিত শর্মা, ইয়ামি গৌতম। উত্তরাখণ্ডের ২১ বছরের মেয়ে ঊর্বশি ২০১২ সালে মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্সের খেতাব জেতেন। ২০১৩ সালে সানি দেওলের 'সিং সাব দ্য গ্রেট' সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সনম রে মুক্তি পাচ্ছে। তার আগে এই সিনেমার মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই ইউটিউবে রেকর্ড পরিমাণ হিট হয়েছে গানটি। তার আগে ঊর্বশীর এই এমএমএস কাণ্ড সিনেমার প্রচারে কতটা সাহায্য করে সেটাই দেখার।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি 'সনম রে' মুক্তি পাচ্ছে।
অভিশপ্ত যৌন পর্যটন-১: মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে দেয়া গর্বিত জাতি ওরা
অভিশপ্ত যৌন পর্যটন-১: মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে দেয়া গর্বিত জাতি ওরা
অভিশপ্ত যৌন পর্যটন-১: মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে দেয়া গর্বিত জাতি ওরা
মেয়েদের জোরপূর্বক প্রবেশ করানো হয় সেক্স-ট্যুরিজমে, ইনসেটে ফাদার শে কুলেন
অ- অ অ+
মানবপ্রকৃতির নৈতিক স্খলনের অনেক উদাহরণ দেখা যায়। তবে বিস্তৃত পরিসরে বিকৃতব্যবস্থা পরিচালনার সর্বাপেক্ষা দুঃখজনক উপায়টি হয়ে উঠেছে 'সেক্স ট্যুরিজম'। এই বিদ্যমান বিষয়টি অনেক দেশেই সরকারের সমর্থন ও উৎসাহপুষ্ট হয়ে থাকে। এ ব্যবস্থা ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে শুরু করে রীতিমতো জাতীয় আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম যৌন পর্যটনের সঙ্গে জড়িত। এর মাধ্যমে যেমন একটা অংশের হাতে অর্থ যাচ্ছে, তেমনি অন্য অংশের লাখ লাখ মানুষ শোষন আর বঞ্চনার শিকার হচ্ছে।
সেক্স ট্যুরিজম নিয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গী প্রকাশ করেছেন আইরিশ মিশনারি প্রিস্ট এবং প্রেডা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ফাদার শে কুলেন। যৌন-পর্যটনের নানা দিক উঠে এসেছে তার বিশ্লেষণে। আজ দেখুন তার প্রথম পর্ব।
বর্তমানে ফিলিপাইনের প্রায় ৫ লাখ মানুষ বিশাল পরিসরের যৌন পর্যটনের সঙ্গে জড়িত। আরো অন্যান্য দেশেই এমনটা ঘটছে। এই ইন্ডাস্ট্রি বছরে বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করছে। অথচ এর আড়ালে ভুক্তভোগীদের ভোগান্তির কোনো পরিসীমা নেই। লাখো মানুষের জীবন নিভে গেছে, ধ্বংস হয়েছে এবং পুরোপুরি নষ্টে পথে এগোচ্ছে।
অতি সুচারুভাবে গড়ে ওঠে এই অর্থ বানানোর দুনিয়া যৌন পর্যটন। এ বাণিজ্য ফুলেফেঁপে ওঠার পেছনে রয়েছে মধ্যবয়সী এবং বয়স্ক মানুষগুলোর চাহিদা, যাদের জীবনে নিজ দেশে যৌন পরিতৃপ্তি লাভের কোনো উপায় নেই। তারা সাধারণত ধনী। বিভিন্ন দেশে ঘুরেফিরে সেই চাহিদা পূরণ করেন। সাধারণত কম বয়সী নারী, এমনকি পুরুষের লোভেও অন্য দেশে চলে যান অতৃপ্তরা। এই খদ্দেরদের মনোরঞ্জনে অপেক্ষায় থাকতে হয় কম বয়সী, বিপদগ্রস্ত এবং দরিদ্র ঘরের মেয়েদের। দেখা যায়, এই পর্যটক পুরুষদের বেশিরভাগই ডিভোর্সপ্রাপ্ত, বিপত্নীক কিংবা অবিবাহিত। অথবা তারা স্ত্রী-পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। যৌনতার জন্যে পর্যটনরতদের মনে এই নারীদের প্রতি কোনো ধরনের শ্রদ্ধাবোধ নেই। তারা মেয়েদের বিক্রয়ের জন্যে রাখা ভোগ্যপণ্য হিসেবেই দেখেন। একান্ত ব্যক্তিগত ভোগের জন্যে তাদের পেতে চান। এখানে যৌন-পর্যটনের শিকার কোনো নারীর ভালো-মন্দের কিছুই দেখা হয় না।
এমন হাজারো কম বয়সী মেয়েকে এমন কাজে লাগানো হয়। তারা সবাই অশিক্ষিত হয়েই থাকে। অনেকের পরিচয় আর গোপন থাকে না। তখন দরিদ্র পরিবারও আর তাদের ফিরিয়ে নিতে চায় না। পুরোপুরি বাণিজ্যিকভাবে যৌনতা বিক্রিতে রাজি না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোনো আয় আসে না। এক অর্থে তাদের কোনো মূল্য নেই। তাদের মূল্য নির্ধারিত হয় একমাত্র যৌনতা বিলানোর মধ্য দিয়ে। অন্যদিকে, মানুষ হিসেবে তাদের মর্যাদা, গুরুত্ব এবং অধিকার শতভাগ লঙ্ঘিত হচ্ছে।
জড়িত নারীদের মূল্যমান আরো কমে আসে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ আর ধনকুবেরদের সংশ্লিষ্টতায়। সেক্স ট্যুরিজম থেকে আসা বিশাল অর্থের অংশ তাদের হাতেও যায়। এই খেলায় পুলিশও জড়িত থাকে। সুবিধাভোগীদের প্রত্যেকের লোভ, স্বার্থপরতা এবং বিকৃত কামনাই আসলে পুরো কারবারের হৃৎপিণ্ড হয়ে কাজ করে। এই বড় বড় নিয়ন্ত্রকদের অনেকেরই আবার ব্যক্তিগত দায়িত্বে কম বয়সী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক যৌনদাসী থাকে।
মানবতাকে বড় মূল্য দিতে হচ্ছে এখানে। যে মেয়েটা এর শিকার হচ্ছেন তার মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ভালো একটা জীবনের অধিকার নেই তাদের। শিক্ষালাভ কিংবা ক্যারিয়ার গড়ে তোলার কোনো স্বপ্ন নেই। যে জাতি পর্যটকদের জন্যে নিজের দেশের মেয়েদের বিক্রি করে দেয়, তাদের চেয়ে ঘৃণ্য কেউ নেই। এটা এক কলঙ্কিত আর দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজের উদাহরণ যারা বিশ্বজুড়ে কম বয়সের লাখো নারীকে এক অন্ধকার জীবনে ঠেলে দিয়েছে।
যৌন-পর্যটন আসলে সত্যিকার অর্থে পর্যটন সংশ্লিষ্ট কোনো আয়োজন নয়। এটা কেবলই যৌনদাসত্বের আধুনিক সংস্করণ। এখানে অপরাধী এবং অন্যায়কারীরা নারীদের মানবাধিকার খর্ব করে। যৌনতার আকাঙ্ক্ষায় পর্যটক হয়ে আসা মানুষগুলোর সাথে যৌনকর্মীদের মধ্যকার এই বচসা মূলত ক্ষমতা, নিয়ন্ত্রণ আর দমনের প্রদর্শন। নিজের বিকৃত রুচি চরিতার্থের জন্যে অন্যকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেন পর্যটকরা। এই মেয়েরা চাইলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন না। পরিবার আর তাদের গ্রহণ করে নেয় না। সমাজেও মুখ দেখানোর উপায় থাকে না। এ ধরনের নিপীড়ন যে অপরাধমূলক কাণ্ড, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এমন কাজে আসার পেছনে মেয়েদের যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে তা হলো চরম দারিদ্রতা। তাদের কাছে কোনো উৎস নেই, শিক্ষা অর্জনের পথ সরু এবং গ্রামে বসবাসরত এই মেয়েগুলো বাঁচার তাগিদে অর্থ উপার্জনের জন্যে যেকোনো কাজ করতে রাজি থাকেন। তবে এ পেশায় প্রবেশের পর বিষয়টা স্রেফ বেঁচে থাকার এবং একাকী টিকে থাকার হয়ে ওঠে। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তাদের পয়সার জন্যে অস্থির থাকতে হয়। এক কাপ ভাত আর সামান্য সবজির টাকা নিশ্চিত করাই তাদের একমাত্র দুশ্চিন্তা। অনেক সময় রেস্টুরেন্টের উচ্ছিষ্ট জোগাড় করে আবারো রান্না করে খেতে হয় তাদের।
যৌন-পর্যটনের সঙ্গে যে মেয়েরা জড়িয়ে পড়েন তাদের অনেকেই আবার নিজগৃহেই আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী কিংবা পরিবারের সদস্যের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন। তাদের বাঁচার জন্যে বাড়ি থেকে পালানো ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। রাস্তায় থাকা কিংবা যৌনকর্মী হিসেবে মেয়েদের খোঁজে ঘুরে বেড়ানো দালালদের খপ্পরে পড়তে বেশি সময় লাগে না। আর একবার যদি যৌন-পর্যটনের দালালদের কাছে তারা আটকে যায়, তবে আরো কোনো কথা নেই। এরা প্রথমেই অর্থ, খাবার আর আশ্রয় প্রদান করে। আর কী চাই তাদের! পরে স্থান হয় পতিতালয়, সেক্স বার এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্লাবে ঠাঁই হয়।
এ অবস্থা কেবল ফিলিপাইনেই নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা ইউরোপের বিশাল আকারের কুখ্যাত সব পতিতালয়ে এভাবেই মেয়েরা আসে। এ বাণিজ্যকে যে সরকার এবং সমাজ মদদ দিচ্ছে, তারাও সমান অপরাধী। মেয়েদের অনেকেই একেবারে অপ্রাপ্তবয়স্ক। সেক্স ট্যুরিজমই মূলত শিশুদের যৌনকর্মে আনতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে।
যৌন-পর্যটন যেকোনো সমাজের লক্ষ্য ও বুনুন নষ্ট করে দেয়। নারীদের মর্যাদাহানী করে। ওই সমাজের তরুণ সমাজ এবং বাচ্চাদের অধঃপতন ঘটে। যারা এমন অপকর্ম জড়িয়ে থাকে তাদের কাছে কম বয়সী নারীদের দেহ বিক্রির পণ্য বলেই গণ্য হয়। তারা কখনোই মেয়েদের হৃদয় আর আত্মা, অনুভূতি, আকাঙ্ক্ষা এবং আশা নিয়ে বেঁচে থাকা কোনো প্রাণ বলে মনে করে না।
এই দালালরা মূলত মানব বণিক। দর-দামে মিললে মেয়েদের বিক্রি করে দেয়। অনেকেই এই কম বয়সীদের ধর্ষণসহ বিকৃত যৌনরুচি মেটাতে চায়। তাদের সন্ধানেই থাকে দালালরা। মানবাধিকার বিষয়ক আইন-কানুনের কোনো তোয়াক্কা নেই তাদের। মেয়েদের কুমারীত্বই তাদের মূল আকর্ষণের বিষয়।
ফিলিপাইনসহ বিশ্বের অনেক দেশেই পতিতাবৃত্তি অবৈধ। তবুও এমন অনেক স্থানেই তা ধুন্দুমার চলছে। সংশ্লিষ্ট ক্লাব এবং বারগুলো রক্ষা করে পুলিশ ও রাজনীতিবিদরা। এদের অনেকেই আবার নিজেই এ ধরনের ক্লাবের মালিক।
একবার আমি নিজেই বিদেশি পর্যটক হিসেবে খদ্দের সেজে একটা ক্লাবে গিয়েছিলাম, বলছেন লেখক। সেখানে ছোট একটা মঞ্চে ছয় টিনেজার দাঁড়িয়ে রয়েছে বিকিনি পরে। আমি ম্যানেজারকে বললাম, ওইখান থেকে একটা মেয়ের সঙ্গে যদি সময় কাটাতে চাই তবে এখানে তা নিরাপদে করা যাবে কি?
ওহ, স্যার। আপনাকে মোটেও চিন্তা করতে হবে না। আপনি এখানে পুরোপুরি নিরাপদ, জানান দিলেন ম্যানেজার।
তাই নাকি? কিন্তু কীভাবে?- লেখকের পাল্টা প্রশ্ন।
এই ক্লাবের মালিক একজন পুলিশ কর্মকর্তা, জানালেন ম্যানেজার।
অনেক সময়ই মানুষ তাদের মেয়েদের দোষারোপ করে এমন নোংরা কাজে জড়িয়ে পড়ার জন্যে। অথচ মেয়েদের এমন বিপদগ্রস্ত পরিস্থিতিতে ফেলার জন্যে এই মানুষগুলোর উদাসীনতাই অনেকভাবে দায়ী। এসবের বিরুদ্ধে গির্জা বা মানুষের মাঝে তীব্র প্রতিবাদ নেই। এরা অনায়াসেই হাজারো মানুষের দুর্ভোগ ও জীবন ধ্বংকে মেনে নিয়েছে। এক সময়কার এক গর্বিত জাতি ওরা, নিজেদের মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে ফেলতে দ্বিধা করেনি।
ভাষান্তর: সাকিব সিকান্দার
সূত্র: ম্যানিলা টাইমস
আগামীতে আসছে 'অভিশপ্ত যৌন পর্যটনের পরের পর্ব'
অভিশপ্ত যৌন পর্যটন-১: মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে দেয়া গর্বিত জাতি ওরা
মেয়েদের জোরপূর্বক প্রবেশ করানো হয় সেক্স-ট্যুরিজমে, ইনসেটে ফাদার শে কুলেন
অ- অ অ+
মানবপ্রকৃতির নৈতিক স্খলনের অনেক উদাহরণ দেখা যায়। তবে বিস্তৃত পরিসরে বিকৃতব্যবস্থা পরিচালনার সর্বাপেক্ষা দুঃখজনক উপায়টি হয়ে উঠেছে 'সেক্স ট্যুরিজম'। এই বিদ্যমান বিষয়টি অনেক দেশেই সরকারের সমর্থন ও উৎসাহপুষ্ট হয়ে থাকে। এ ব্যবস্থা ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে শুরু করে রীতিমতো জাতীয় আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম যৌন পর্যটনের সঙ্গে জড়িত। এর মাধ্যমে যেমন একটা অংশের হাতে অর্থ যাচ্ছে, তেমনি অন্য অংশের লাখ লাখ মানুষ শোষন আর বঞ্চনার শিকার হচ্ছে।
সেক্স ট্যুরিজম নিয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গী প্রকাশ করেছেন আইরিশ মিশনারি প্রিস্ট এবং প্রেডা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ফাদার শে কুলেন। যৌন-পর্যটনের নানা দিক উঠে এসেছে তার বিশ্লেষণে। আজ দেখুন তার প্রথম পর্ব।
বর্তমানে ফিলিপাইনের প্রায় ৫ লাখ মানুষ বিশাল পরিসরের যৌন পর্যটনের সঙ্গে জড়িত। আরো অন্যান্য দেশেই এমনটা ঘটছে। এই ইন্ডাস্ট্রি বছরে বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করছে। অথচ এর আড়ালে ভুক্তভোগীদের ভোগান্তির কোনো পরিসীমা নেই। লাখো মানুষের জীবন নিভে গেছে, ধ্বংস হয়েছে এবং পুরোপুরি নষ্টে পথে এগোচ্ছে।
অতি সুচারুভাবে গড়ে ওঠে এই অর্থ বানানোর দুনিয়া যৌন পর্যটন। এ বাণিজ্য ফুলেফেঁপে ওঠার পেছনে রয়েছে মধ্যবয়সী এবং বয়স্ক মানুষগুলোর চাহিদা, যাদের জীবনে নিজ দেশে যৌন পরিতৃপ্তি লাভের কোনো উপায় নেই। তারা সাধারণত ধনী। বিভিন্ন দেশে ঘুরেফিরে সেই চাহিদা পূরণ করেন। সাধারণত কম বয়সী নারী, এমনকি পুরুষের লোভেও অন্য দেশে চলে যান অতৃপ্তরা। এই খদ্দেরদের মনোরঞ্জনে অপেক্ষায় থাকতে হয় কম বয়সী, বিপদগ্রস্ত এবং দরিদ্র ঘরের মেয়েদের। দেখা যায়, এই পর্যটক পুরুষদের বেশিরভাগই ডিভোর্সপ্রাপ্ত, বিপত্নীক কিংবা অবিবাহিত। অথবা তারা স্ত্রী-পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। যৌনতার জন্যে পর্যটনরতদের মনে এই নারীদের প্রতি কোনো ধরনের শ্রদ্ধাবোধ নেই। তারা মেয়েদের বিক্রয়ের জন্যে রাখা ভোগ্যপণ্য হিসেবেই দেখেন। একান্ত ব্যক্তিগত ভোগের জন্যে তাদের পেতে চান। এখানে যৌন-পর্যটনের শিকার কোনো নারীর ভালো-মন্দের কিছুই দেখা হয় না।
এমন হাজারো কম বয়সী মেয়েকে এমন কাজে লাগানো হয়। তারা সবাই অশিক্ষিত হয়েই থাকে। অনেকের পরিচয় আর গোপন থাকে না। তখন দরিদ্র পরিবারও আর তাদের ফিরিয়ে নিতে চায় না। পুরোপুরি বাণিজ্যিকভাবে যৌনতা বিক্রিতে রাজি না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোনো আয় আসে না। এক অর্থে তাদের কোনো মূল্য নেই। তাদের মূল্য নির্ধারিত হয় একমাত্র যৌনতা বিলানোর মধ্য দিয়ে। অন্যদিকে, মানুষ হিসেবে তাদের মর্যাদা, গুরুত্ব এবং অধিকার শতভাগ লঙ্ঘিত হচ্ছে।
জড়িত নারীদের মূল্যমান আরো কমে আসে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ আর ধনকুবেরদের সংশ্লিষ্টতায়। সেক্স ট্যুরিজম থেকে আসা বিশাল অর্থের অংশ তাদের হাতেও যায়। এই খেলায় পুলিশও জড়িত থাকে। সুবিধাভোগীদের প্রত্যেকের লোভ, স্বার্থপরতা এবং বিকৃত কামনাই আসলে পুরো কারবারের হৃৎপিণ্ড হয়ে কাজ করে। এই বড় বড় নিয়ন্ত্রকদের অনেকেরই আবার ব্যক্তিগত দায়িত্বে কম বয়সী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক যৌনদাসী থাকে।
মানবতাকে বড় মূল্য দিতে হচ্ছে এখানে। যে মেয়েটা এর শিকার হচ্ছেন তার মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ভালো একটা জীবনের অধিকার নেই তাদের। শিক্ষালাভ কিংবা ক্যারিয়ার গড়ে তোলার কোনো স্বপ্ন নেই। যে জাতি পর্যটকদের জন্যে নিজের দেশের মেয়েদের বিক্রি করে দেয়, তাদের চেয়ে ঘৃণ্য কেউ নেই। এটা এক কলঙ্কিত আর দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজের উদাহরণ যারা বিশ্বজুড়ে কম বয়সের লাখো নারীকে এক অন্ধকার জীবনে ঠেলে দিয়েছে।
যৌন-পর্যটন আসলে সত্যিকার অর্থে পর্যটন সংশ্লিষ্ট কোনো আয়োজন নয়। এটা কেবলই যৌনদাসত্বের আধুনিক সংস্করণ। এখানে অপরাধী এবং অন্যায়কারীরা নারীদের মানবাধিকার খর্ব করে। যৌনতার আকাঙ্ক্ষায় পর্যটক হয়ে আসা মানুষগুলোর সাথে যৌনকর্মীদের মধ্যকার এই বচসা মূলত ক্ষমতা, নিয়ন্ত্রণ আর দমনের প্রদর্শন। নিজের বিকৃত রুচি চরিতার্থের জন্যে অন্যকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেন পর্যটকরা। এই মেয়েরা চাইলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন না। পরিবার আর তাদের গ্রহণ করে নেয় না। সমাজেও মুখ দেখানোর উপায় থাকে না। এ ধরনের নিপীড়ন যে অপরাধমূলক কাণ্ড, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এমন কাজে আসার পেছনে মেয়েদের যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে তা হলো চরম দারিদ্রতা। তাদের কাছে কোনো উৎস নেই, শিক্ষা অর্জনের পথ সরু এবং গ্রামে বসবাসরত এই মেয়েগুলো বাঁচার তাগিদে অর্থ উপার্জনের জন্যে যেকোনো কাজ করতে রাজি থাকেন। তবে এ পেশায় প্রবেশের পর বিষয়টা স্রেফ বেঁচে থাকার এবং একাকী টিকে থাকার হয়ে ওঠে। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তাদের পয়সার জন্যে অস্থির থাকতে হয়। এক কাপ ভাত আর সামান্য সবজির টাকা নিশ্চিত করাই তাদের একমাত্র দুশ্চিন্তা। অনেক সময় রেস্টুরেন্টের উচ্ছিষ্ট জোগাড় করে আবারো রান্না করে খেতে হয় তাদের।
যৌন-পর্যটনের সঙ্গে যে মেয়েরা জড়িয়ে পড়েন তাদের অনেকেই আবার নিজগৃহেই আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী কিংবা পরিবারের সদস্যের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন। তাদের বাঁচার জন্যে বাড়ি থেকে পালানো ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। রাস্তায় থাকা কিংবা যৌনকর্মী হিসেবে মেয়েদের খোঁজে ঘুরে বেড়ানো দালালদের খপ্পরে পড়তে বেশি সময় লাগে না। আর একবার যদি যৌন-পর্যটনের দালালদের কাছে তারা আটকে যায়, তবে আরো কোনো কথা নেই। এরা প্রথমেই অর্থ, খাবার আর আশ্রয় প্রদান করে। আর কী চাই তাদের! পরে স্থান হয় পতিতালয়, সেক্স বার এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্লাবে ঠাঁই হয়।
এ অবস্থা কেবল ফিলিপাইনেই নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা ইউরোপের বিশাল আকারের কুখ্যাত সব পতিতালয়ে এভাবেই মেয়েরা আসে। এ বাণিজ্যকে যে সরকার এবং সমাজ মদদ দিচ্ছে, তারাও সমান অপরাধী। মেয়েদের অনেকেই একেবারে অপ্রাপ্তবয়স্ক। সেক্স ট্যুরিজমই মূলত শিশুদের যৌনকর্মে আনতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে।
যৌন-পর্যটন যেকোনো সমাজের লক্ষ্য ও বুনুন নষ্ট করে দেয়। নারীদের মর্যাদাহানী করে। ওই সমাজের তরুণ সমাজ এবং বাচ্চাদের অধঃপতন ঘটে। যারা এমন অপকর্ম জড়িয়ে থাকে তাদের কাছে কম বয়সী নারীদের দেহ বিক্রির পণ্য বলেই গণ্য হয়। তারা কখনোই মেয়েদের হৃদয় আর আত্মা, অনুভূতি, আকাঙ্ক্ষা এবং আশা নিয়ে বেঁচে থাকা কোনো প্রাণ বলে মনে করে না।
এই দালালরা মূলত মানব বণিক। দর-দামে মিললে মেয়েদের বিক্রি করে দেয়। অনেকেই এই কম বয়সীদের ধর্ষণসহ বিকৃত যৌনরুচি মেটাতে চায়। তাদের সন্ধানেই থাকে দালালরা। মানবাধিকার বিষয়ক আইন-কানুনের কোনো তোয়াক্কা নেই তাদের। মেয়েদের কুমারীত্বই তাদের মূল আকর্ষণের বিষয়।
ফিলিপাইনসহ বিশ্বের অনেক দেশেই পতিতাবৃত্তি অবৈধ। তবুও এমন অনেক স্থানেই তা ধুন্দুমার চলছে। সংশ্লিষ্ট ক্লাব এবং বারগুলো রক্ষা করে পুলিশ ও রাজনীতিবিদরা। এদের অনেকেই আবার নিজেই এ ধরনের ক্লাবের মালিক।
একবার আমি নিজেই বিদেশি পর্যটক হিসেবে খদ্দের সেজে একটা ক্লাবে গিয়েছিলাম, বলছেন লেখক। সেখানে ছোট একটা মঞ্চে ছয় টিনেজার দাঁড়িয়ে রয়েছে বিকিনি পরে। আমি ম্যানেজারকে বললাম, ওইখান থেকে একটা মেয়ের সঙ্গে যদি সময় কাটাতে চাই তবে এখানে তা নিরাপদে করা যাবে কি?
ওহ, স্যার। আপনাকে মোটেও চিন্তা করতে হবে না। আপনি এখানে পুরোপুরি নিরাপদ, জানান দিলেন ম্যানেজার।
তাই নাকি? কিন্তু কীভাবে?- লেখকের পাল্টা প্রশ্ন।
এই ক্লাবের মালিক একজন পুলিশ কর্মকর্তা, জানালেন ম্যানেজার।
অনেক সময়ই মানুষ তাদের মেয়েদের দোষারোপ করে এমন নোংরা কাজে জড়িয়ে পড়ার জন্যে। অথচ মেয়েদের এমন বিপদগ্রস্ত পরিস্থিতিতে ফেলার জন্যে এই মানুষগুলোর উদাসীনতাই অনেকভাবে দায়ী। এসবের বিরুদ্ধে গির্জা বা মানুষের মাঝে তীব্র প্রতিবাদ নেই। এরা অনায়াসেই হাজারো মানুষের দুর্ভোগ ও জীবন ধ্বংকে মেনে নিয়েছে। এক সময়কার এক গর্বিত জাতি ওরা, নিজেদের মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে ছুড়ে ফেলতে দ্বিধা করেনি।
ভাষান্তর: সাকিব সিকান্দার
সূত্র: ম্যানিলা টাইমস
আগামীতে আসছে 'অভিশপ্ত যৌন পর্যটনের পরের পর্ব'
স্তন ক্যান্সারের কারণ জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, নতুন গবেষণায় দাবি
স্তন ক্যান্সারের কারণ জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, নতুন গবেষণায় দাবি
স্তন ক্যান্সারের কারণ জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, নতুন গবেষণায় দাবি
অ- অ অ+
স্তন ক্যানসার নিয়ে যখন সারা বিশ্ব সচেতন হওয়ার প্রয়াস চালাচ্ছে, তখনই আমেরিকার ‘ফ্রেড হোচিনসন ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার’-এর গবেষকরা সামনে আনলেন এর অন্যতম এক কারণ। পরিবার পরিকল্পনার ভাবনা তেমন করে শুরু না হলে অধিকাংশ মেয়েই বিয়ের পর জন্মনিয়ন্ত্রক পিল খাওয়ার অভ্যাস করেন। ঘন ঘন এই পিল খাওয়াই স্তন ক্যানসারের অন্যতম কারণ বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।
সম্প্রতি ওই ‘ফ্রেড হোচিনসন ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার’-এর গবেষকদের একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে আমেরিকার একটি হেলথ ম্যাগাজিনে। সেই তথ্য অনুসারে, ৪০-এর কমবয়সি মেয়েদের শরীরে স্তন ক্যানসার বাসা বাঁধার অন্যতম কারণ এই বার্থ কন্ট্রোল পিল বা গর্ভনিরোধক বড়ি। সঙ্গমের পরেই মুড়িমুড়কির মতো কথায় কথায় এই ওষুধ গ্রহণ করেন অনেক মেয়েই। অনেকেই খানিকটা সাবধান হয়ে কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার পিল খোঁজেন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রায় সব রকম পিল ঘন ঘন ব্যবহারেই স্তন ক্যানসারের একটা ঝুঁকি থেকেই যায়।
২১ হাজার ৯৫২ জন মহিলাকে নিয়ে পরীক্ষা চালান গবেষকেরা। ১০ বছর ধরে টানা পরীক্ষা চালানোর পর তাঁরা ২০১০-এ গর্ভনিরোধক বড়িকে ‘ভিলেন’ হিসেবে সন্দেহ করেন। এ বার সেই ভিলেনকেই গ্রহণযোগ্যতা দিলেন তাঁরা। সাম্প্রতিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই ২১ হাজার ৯৫২ জনের মধ্যে ১১০২ জন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর অধিকাংশেরই এই ধরনের পিল খাওয়া অভ্যাস ছিল। এমনকি, গবেষণা চলাকালীন, টানা ১০ বছরে যাঁরা নতুন করে এই পিল নেওয়া শুরু করেছিলেন তাঁদের প্রায় ৬৪ শতাংশের ক্ষেত্রেই এই অসুখ দেখা দিয়েছে। আবার অনেকেই ১০ বছর আগে এই ওষুধ নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এত দিন কোনও লক্ষণও ধরা পড়েনি। কিন্তু ১০ বছর পর এই রোগ নতুন করে জানান দিচ্ছে।
ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সুকুমার সরকারের মতে, এই ধরনের পিল আসলে হরমোনের উপর খুবই প্রভাব ফেলে। সাধারণত ৪০-এর আগে এই অসুখ দানা বাঁধত না শরীরে। তবে আজকাল ৩০-এর পরেও দেখা দিচ্ছে । জন্মনিরোধক পিলগুলোর কমবেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকেই। ইস্ট্রোজেনের মাত্রার তারতম্য ঘটায় এই ওষুধ। ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার জন্যও স্তন ক্যানসার দেখা দিতে পারে। তবে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা সরাসরি কতটা দায়ী তা নিয়ে সারা বিশ্বে এখনও সবিস্তার গবেষণা চলছে। কিন্তু তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা না হলেও গর্ভনিরোধর বড়িগুলো যে ভাবে হরমোনের তারতম্য ঘটায়, তা নিয়মিত নিলে ক্যানসারের শঙ্কা খুবই বাড়ে। তাই জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য ঘন ঘন পিল নয়, বরং আস্থা রাখুন কন্ডোমে।
গর্ভনিরোধক বড়ি কখনওসখনও একান্তই নিতে হলে তা নেওয়ার নিয়ম, দু’টি বড়ির মধ্যে ন্যূনতম ব্যবধান কত হওয়া উচিত, হরমোনাল কোনও অসুখ আগে থেকেই থাকলে আদৌ এই ওষুধ চলবে কি না, এগুলো চিকিৎসকের থেকে জেনে তবেই এই ওষুধ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য
স্তন ক্যান্সারের কারণ জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, নতুন গবেষণায় দাবি
অ- অ অ+
স্তন ক্যানসার নিয়ে যখন সারা বিশ্ব সচেতন হওয়ার প্রয়াস চালাচ্ছে, তখনই আমেরিকার ‘ফ্রেড হোচিনসন ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার’-এর গবেষকরা সামনে আনলেন এর অন্যতম এক কারণ। পরিবার পরিকল্পনার ভাবনা তেমন করে শুরু না হলে অধিকাংশ মেয়েই বিয়ের পর জন্মনিয়ন্ত্রক পিল খাওয়ার অভ্যাস করেন। ঘন ঘন এই পিল খাওয়াই স্তন ক্যানসারের অন্যতম কারণ বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।
সম্প্রতি ওই ‘ফ্রেড হোচিনসন ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার’-এর গবেষকদের একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে আমেরিকার একটি হেলথ ম্যাগাজিনে। সেই তথ্য অনুসারে, ৪০-এর কমবয়সি মেয়েদের শরীরে স্তন ক্যানসার বাসা বাঁধার অন্যতম কারণ এই বার্থ কন্ট্রোল পিল বা গর্ভনিরোধক বড়ি। সঙ্গমের পরেই মুড়িমুড়কির মতো কথায় কথায় এই ওষুধ গ্রহণ করেন অনেক মেয়েই। অনেকেই খানিকটা সাবধান হয়ে কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার পিল খোঁজেন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রায় সব রকম পিল ঘন ঘন ব্যবহারেই স্তন ক্যানসারের একটা ঝুঁকি থেকেই যায়।
২১ হাজার ৯৫২ জন মহিলাকে নিয়ে পরীক্ষা চালান গবেষকেরা। ১০ বছর ধরে টানা পরীক্ষা চালানোর পর তাঁরা ২০১০-এ গর্ভনিরোধক বড়িকে ‘ভিলেন’ হিসেবে সন্দেহ করেন। এ বার সেই ভিলেনকেই গ্রহণযোগ্যতা দিলেন তাঁরা। সাম্প্রতিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই ২১ হাজার ৯৫২ জনের মধ্যে ১১০২ জন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর অধিকাংশেরই এই ধরনের পিল খাওয়া অভ্যাস ছিল। এমনকি, গবেষণা চলাকালীন, টানা ১০ বছরে যাঁরা নতুন করে এই পিল নেওয়া শুরু করেছিলেন তাঁদের প্রায় ৬৪ শতাংশের ক্ষেত্রেই এই অসুখ দেখা দিয়েছে। আবার অনেকেই ১০ বছর আগে এই ওষুধ নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এত দিন কোনও লক্ষণও ধরা পড়েনি। কিন্তু ১০ বছর পর এই রোগ নতুন করে জানান দিচ্ছে।
ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সুকুমার সরকারের মতে, এই ধরনের পিল আসলে হরমোনের উপর খুবই প্রভাব ফেলে। সাধারণত ৪০-এর আগে এই অসুখ দানা বাঁধত না শরীরে। তবে আজকাল ৩০-এর পরেও দেখা দিচ্ছে । জন্মনিরোধক পিলগুলোর কমবেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকেই। ইস্ট্রোজেনের মাত্রার তারতম্য ঘটায় এই ওষুধ। ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার জন্যও স্তন ক্যানসার দেখা দিতে পারে। তবে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা সরাসরি কতটা দায়ী তা নিয়ে সারা বিশ্বে এখনও সবিস্তার গবেষণা চলছে। কিন্তু তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা না হলেও গর্ভনিরোধর বড়িগুলো যে ভাবে হরমোনের তারতম্য ঘটায়, তা নিয়মিত নিলে ক্যানসারের শঙ্কা খুবই বাড়ে। তাই জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য ঘন ঘন পিল নয়, বরং আস্থা রাখুন কন্ডোমে।
গর্ভনিরোধক বড়ি কখনওসখনও একান্তই নিতে হলে তা নেওয়ার নিয়ম, দু’টি বড়ির মধ্যে ন্যূনতম ব্যবধান কত হওয়া উচিত, হরমোনাল কোনও অসুখ আগে থেকেই থাকলে আদৌ এই ওষুধ চলবে কি না, এগুলো চিকিৎসকের থেকে জেনে তবেই এই ওষুধ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)