শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

আপনার জন্য রইল প্রেম নিবেদনের পৃথিবী বিখ্যাত ১০ উক্তি




আপনার জন্য রইল প্রেম নিবেদনের পৃথিবী বিখ্যাত ১০ উক্তি। এগুলো থেকে শিক্ষা নিন, অনুপ্রাণিত হোন। তারপর তৈরি করে নিন নিজের ভালবাসার সঠিক অভিব্যক্তি
. তুমি, শুধু তুমি কাছে থাকলে আমি বুঝি আমি বেঁচে আছি। অন্য পুরুষরা দাবি করে, তারা নাকি পরীর দেখা পেয়েছে। আমি দেখেছি শুধু তোমাকে, আর সেটুকুই আমার পক্ষে যথেষ্ট।’— জর্জ মুর (আইরিশ ঔপন্যাসিক)
. তোমাকে যে ভালোবাসি তা কেবল তুমি কেমন মানুষ তা দেখে নয়, তোমার সংস্পর্শে আমি যেমনটা হয়ে উঠি তার আকর্ষণেও। এলিজাবেথ ব্যারেট ব্রাউনিং (১৯শ শতকের ব্রিটিশ কবি)
. হৃদয়ের সবটুকু দিয়ে তোমার কাছে মিনতি করছি, তোমার মন আর আমাদের মধ্যেকার ভালবাসার সবটুকু আমাকে জানতে দিও। সম্রাট অষ্টম হেনরি (১৬শ শতকের ইংল্যান্ড সম্রাট)
. ভালবাসা কী তা জানতে পেরেছি তোমার জন্যই। হারমান হেস (জার্মান কবি, ঔপন্যাসিক)
. এসো, আমরা প্রেমকে অমর করে দিই। হার্বার্ট ট্রেঞ্চ (আইরিশ কবি)
. ভালোবাসা, এসো, ঘুমিয়ে পড়ো হে, আমার নিকটে এসে, আমি জানি, আমি তোমার প্রেমের জোয়ারে গিয়েছি ভেসে। রবার্ট ব্রাউনিং (১৯শ শকের ব্রিটিশ কবি)
. আমি তোমায় ভালোবাসি, আমৃত্যু ভালোবাসব, আর মৃত্যুত্তর জীবন বলে যদি কিছু থাকে সেই জীবনেও ভালোবেসে যাব তোমাকে। কাসান্দ্রা ক্লেয়ার (মার্কিন ঔপন্যাসিক)
. আমার অন্তরতম অন্তরে, যেখানে আমি একেবারে একা, সেখানে তোমার ঝর্ণাধারা কখনও শুকোবার নয়।’— পার্ল এস বাক (আমেরিকান ঔপন্যাসিক)
. তোমার কাছে আমার যত ঋণ, 
সে ঋণ কভু শোধ হবার নয়,
যতই করি অর্থ ব্যয় আর
যতই করি দিবস অপচয়...
জেসি বেল রিটেনহাউস (আমেরিকান কবি)
১০. সবচেয়ে জরুরি কথাটিই বলা সবচেয়ে কঠিন, কারণ শব্দের বাঁধনে কথার অর্থ খাটো হয়ে আসে।
স্টিফেন কিং (আমেরিকান কথাসাহিত্যিক)

শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

ওয়াই-ফাই স্পিড বাড়ানোর সহজ কিছু উপায়

ওয়াই-ফাই স্পিড বাড়ানোর সহজ কিছু উপায়


ওয়াই-ফাই স্পিড বাড়ানোর সহজ কিছু উপায়
প্রতীকী ছবি

আমরা অনেকেই ইন্টারনেটের ধীর গতি নিয়ে বিরক্ত বোধ করি। ওয়াই-ফাই সংযোগে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চাইলেও অনেক সময় দেখা যায় সংযোগ রয়েছে কিন্তু গতি একেবারেই নেই। অর্থাৎ ইন্টারনেট স্পিড নেই। তবে এই সমস্যা হতে খুব সহজেই মুক্তি মিলতে পারে! চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ওয়াই-ফাই স্পিড বাড়াবেন-
১. রাউটারের লোকেশন পরিবর্তন করুণ:
ওয়াই-ফাই সংযোগের গতি বাড়াতে হলে প্রথমেই আপনাকে রাউটারের অবস্থান পরিবর্তন বা অবস্থানের মাঝে সমন্বয় রক্ষা করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, রাউটার বাড়ির ভিতরে আসা ইন্টারনেট তারের খুব কাছাকাছি রাখা হয়ে থাকে। এটা মোটেও উচিত নয়। আবার অনেক সময় রাউটারের অ্যান্টেনার অবস্থান ঠিক করে রাখা হয় না। যে কারণে অ্যান্টেনার থেকে সব দিকে সংকেত পাঠানো এবং রিসিভ করা সম্ভব হয় না। সে কারণে রাউটারকে এমন স্থানে রাখা উচিত, যাতে রাউটারটি সবদিকে সংকেত পাঠাতে পারে অথবা সংকেত রিসিভ করতে পারে।
২. ওয়্যারলেস রাউটারে উন্নত অ্যান্টেনা যোগ করা:
অনেক সময় রাউটারের অবস্থান পরিবর্তন করেও ইন্টারনেটের গতি উন্নত বা বাড়ানো সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অ্যান্টেনা পরিবর্তন করতে পারেন। রাউটারের চারপাশে যদি অনেক দেওয়াল বা অনেক বাধা থাকে তবে সেক্ষেত্রে একটি এক্সটারনাল অ্যান্টেনা রাউটারের সামনে বা সঠিকভাবে ব্যবহার করে রাউটারের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারেন। কারণ রাউটারের কার্যক্ষমতা বাড়লে ইন্টারনেটের স্পিডও বাড়বে।
৩.ওয়্যারলেস রিপিটার যোগ করুণ:
আপনি ইচ্ছে করলে রাউটারে নেটওয়ার্কের পরিসীমা বাড়ানোর জন্য একটি ওয়্যারলেস রিপিটারের সাহায্য নিতে পারেন। এই রিপিটার রাউটার এবং সংযুক্ত ডিভাইসের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। কম দামে বাজারে এমন অনেক ভালো ভালো রিপিটার পেয়ে যাবেন।
৪. ব্যাকগ্রাউন্ডের ডেটা ডাউনলোড বন্ধ করা:
অনেক সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা একাধিক কাজের জন্য ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের গতি স্লো হতে পারে। ব্যবহারকারী কম্পিউটার, ট্যাবলেট বা ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে যদি একাধিক ট্যাব একইসঙ্গে চলতে থাকে তবে ইন্টারনেটের গতি এমনিতেই কমে যাবে। সেক্ষেত্রে ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে হলে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন বা ট্যাব বন্ধ করতে হবে। তাহলে দেখবেন ইন্টারনেটের স্পিড আগের থেকে অনেক বেড়েছে। তাছাড়াও অনেক সময় ইন্টারনেটের গতি কমে গেলে রাউটারটি রিস্টার্ট দিয়ে নিলেও কাজ হয়। রাউটারটি রিস্টার্ট দিলে আবার গতি স্বাভাবিকভাবে কাজ করে।

চাঁদে যাওয়ার জন্য যাত্রী খুঁজছে নাসা

চাঁদে যাওয়ার জন্য যাত্রী খুঁজছে নাসা


চাঁদে যাওয়ার জন্য যাত্রী খুঁজছে নাসা!
প্রতীকী ছবি

এবার মঙ্গল ও চাঁদে পাড়ি দিতে চলেছে মহাকাশচারীরা। এর জন্য মার্কিন নাগরিকত্বের পাশাপাশি সম্পর্কিত বিষয়ে মাস্টার ডিগ্রি থাকতে হবে। মাটি থেকে ৪০০ কিলোমিটার উপরে তৈরি ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে থাকার জন্য তৈরি থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস এজেন্সি নাসা গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মহাকাশে যাত্রার অগ্রিম পদক্ষেপ তৈরি করার ঘোষণা করে দিয়েছে। 
আপাতত নাসার কাছে ৪৮ জন মহাকাশচারী রয়েছে। নাসার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদে প্রথম নারী ও অপর একজন মহাকাশচারীকে পাঠাতে চলেছে ৷ প্রতিভাশালী নারী ও পুরুষদের আমরা চাকরি দেব ৷ এর জন্য সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং ও স্টেমে মাস্টার ডিগ্রির সঙ্গে দু’বছরের 'STEM' পিএইচডি থাকলে আরও ভাল হয় ৷ আবেদনকারীদের কাছ মেডিকেল ডিগ্রি থাকলে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে ৷
তিনি আরও জানিয়েছেন, এর পাশাপাশি আবেদনকারীর কাছে ফ্লাইয়িংয়ের দু’বছরের প্রোফেশনাল এক্সপার্টাইজ থাকতে হবে। পাইলটের জন্য কমপক্ষে ১০০০ ঘণ্টার পাইলট ইন কমান্ড টাইম থাকতে হবে। আবেদনকারীদের দু’ঘণ্টার একটি অনলাইন টেস্ট দিতে হবে। এর জন্য নাসার তরফে ৫৩,৮০০ ডলার থেকে ৭০,০০০ ডলারের মধ্যে বেতন দেওয়া হবে।
নাসার তরফে জানানো হয়েছে যে, ২০২১ সালের মধ্যে তারা যোগ্য প্রার্থী পেয়ে যাবেন ৷ এরপর দু’বছরের ট্রেনিং প্রোগ্রাম হিউস্টনে জনসন স্পেস সেন্টারে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

বিশ্বের প্রথম হাইড্রোজেনচালিত ইয়টের মালিক হচ্ছেন বিল গেটস

বিশ্বের প্রথম হাইড্রোজেনচালিত ইয়টের মালিক হচ্ছেন বিল গেটস


বিশ্বের প্রথম হাইড্রোজেনচালিত ইয়টের মালিক হচ্ছেন বিল গেটস

এই মুহূর্তের বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী বিল গেটস। তার সম্পদের পরিমাণ ১১৮ বিলিয়ন ডলার। সময় পেলেই নিয়মিত সুপার ইয়টে ছুটি কাটান বিল গেটস। তবে এতদিন তার নিজস্ব কোনো ইয়ট ছিল না। নিজের প্রয়োজনে ইয়ট ভাড়া নিতেন ৬৪ বছর বয়সী এ ধনকুবের। ভূমধ্যসাগরে ইতালীয় দ্বীপ সার্দিয়ানায় বিল গেটস যে ইয়টে ছুটি কাটিয়েছেন সেটির দাম ছিল ৩৩০ মিলিয়ন ডলার। 
তবে এবার আর ইয়ট ভাড়া নিতে হবে না বিল গেটসকে। তিনি নিজস্ব সুপারইয়টের মালিক হচ্ছেন। এরইমধ্যে আকুয়া শিপকে নিজের চাহিদার কথা জানিয়ে দিয়েছেন মাইক্রোসফটের এই সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ১১২ মিটার (৩৭০ ফুটের) এ ইয়ট নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার। বিশ্বের প্রথম এই হাইড্রোজেন চালিত ইয়টে থাকবে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাড, স্পা এবং জিম। ২০২৪ সালে ওই ইয়ট তার যাত্রা শুরু করবে। তরল হাইড্রোজেনে পরিচালিত হবে সে ইয়ট।
একবার জ্বালানি পূর্ণ করেই ইয়টটিতে করে লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ করা যাবে। এরপর জ্বালানি নেয়ার প্রয়োজন পড়বে। পরিবেশবান্ধব এ ইয়টে শীত দূর করতে কাঠ ও কয়লা পোড়ানোর প্রয়োজন হবে না। ৫ ডেক বিশিষ্ট এ ইয়টে ১৪ জন অতিথি ও ৩১ জন ক্রু সদস্যের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে 

সূর্য গবেষণায় নয়া দিগন্ত, প্রথম সৌর অরবিটর উৎক্ষেপণ

সূর্য গবেষণায় নয়া দিগন্ত, প্রথম সৌর অরবিটর উৎক্ষেপণ


সূর্য গবেষণায় নয়া দিগন্ত, প্রথম সৌর অরবিটর উৎক্ষেপণ

সূর্য তথা মহাকাশ গবেষণায় নাসা এবং ইএসএ (ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি)-র যৌথ উদ্যোগে উৎক্ষেপণ হল প্রথম সৌর অরবিটার। ইউরোপীয় সময় রাত ১১টা ৩ মিনিটে ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে লঞ্চ কমপ্লেক্স ৪১ থেকে ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স অ্যাটলাস ভি রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই প্রথম মহাকাশ থেকে সূর্যের মেরুগুলোর ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠাতে পারবে এই মহাকাশযান।
উৎক্ষেপণের পরের দিন সোমবার সকাল ১২টা ১২ মিনিটে জার্মানির ডারমস্টাডেটের ইউরোপীয় স্পেস অপারেশনস সেন্টারের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা মহাকাশযান থেকে একটি সঙ্কেত পেয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, সোলার অরবিটারের সৌর প্যানেলগুলো সফলভাবে প্রতিস্থাপিত হয়েছে।
নাসা জানিয়েছে, উৎক্ষেপণের পরে প্রথম দু’দিন সৌর অরবিটার কয়েকটি অ্যান্টেনা স্থাপন করবে যা পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তার পর শুরু হবে তথ্য সংগ্রহ এবং পৃথিবীতে পাঠানোর কাজ। সোলার অরবিটার একটি অনন্য কক্ষপথে রয়েছে, যেখান থেকে সূর্যের মেরুগুলোর ছবি তুলে পাঠাতে পারবে। এই কক্ষপথে সূর্যের কাছাকাছি মোট ২২টি অবস্থান পড়বে। বুধের কক্ষপথের মধ্যে থেকে সূর্য এবং পৃথিবীতে তার প্রভাব সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ করবে এই মহাকাশযান।
ইএসএ-র ডিরেক্টর মহাকাশবিজ্ঞানী গুন্থার হেসিঙ্গার বলেছেন, ‘‘পৃথিবীতে প্রাণের জন্য সূর্যের গুরুত্ব কতটা, মানুষ হিসেবে তা আমরা জানি, এটাকে পর্যবেক্ষণ করি এবং কীভাবে কাজ করে চলেছে, তা নিয়ে নিরন্তর পরীক্ষানিরীক্ষা করে চলেছি। আবার আমরা এটাও জানি যে, একটা সৌরঝড় আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম ব্যাহত করতে পারে।’’ 
আর নতুন এই অভিযান সম্পর্কে তাঁর মত, এই সোলার অরবিটার মিশনের শেষে আমরা সূর্যের আচরণের পরিবর্তনের জন্য দায়ী কী এবং আমাদের গ্রহের উপর তার প্রভাবই বা কতটা, সে সম্পর্কে আরও বেশি কিছু এবং আরও বিস্তারিত জানতে পারব।’